30 July, 2018

২৪ টাকায় ৭৫ জিপি মিনিট


শর্তাবলীঃ

এই অফারটি পেতে যোগ্য গ্রাহকদের *১২১*৪০০২# নম্বরে ডায়াল করতে হবে
গ্রাহক ৭৫ জিপি-জিপি মিনিট পাবেন
ক্রয় করার সময় থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ফ্রি মিনিটের মেয়াদ থাকবে
মেয়াদ শেষ হওয়ার মুহূর্তে যদি কোনো গ্রাহকের অবশিষ্ট মিনিট থাকে, তবে তা বাতিল করা হবে। তবে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে যদি কোন গ্রাহক অফারটি পুনরায় ক্রয় করেন তাহলে অবশিষ্ট মিনিট যোগ হয়ে যাবে এবং বেশি মেয়াদ প্রদান করা হবে।
অবশিষ্ট মিনিট ব্যালেন্স জানার জন্য গ্রাহককে *১২১*১*২# নম্বরে ডায়াল করতে হবে
ক্রয়কৃত মিনিট যেকোনো জিপি নম্বরে ব্যবহার করা যাবে
অফারের মূল্য সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ সহ

৪৩ টাকায় ১০০ জিপি-জিপি মিনিট


শর্তাবলীঃ

এই অফারটি পেতে যোগ্য গ্রাহকদের *১২১*৪০০৩# নম্বরে ডায়াল করতে হবে
গ্রাহক ১০০ জিপি-জিপি মিনিট পাবেন
ফ্রি মিনিট-এর মেয়াদ ৩ দিন এবং দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ব্যবহার করা যাবে
মেয়াদ শেষ হওয়ার মুহূর্তে যদি কোনো গ্রাহকের অবশিষ্ট মিনিট থাকে, তবে তা বাতিল করা হবে। তবে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে যদি কোন গ্রাহক অফারটি পুনরায় ক্রয় করেন তাহলে অবশিষ্ট মিনিট যোগ হয়ে যাবে এবং বেশি মেয়াদ প্রদান করা হবে
অবশিষ্ট মিনিট ব্যালেন্স জানার জন্য গ্রাহককে *১২১*১*২# নম্বরে ডায়াল করতে হবে
ক্রয়কৃত মিনিট যেকোনো জিপি নম্বরে ব্যবহার করা যাবে
অফারের মূল্য সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ সহ

২৩৭ টাকায় ৭৫০ জিপি মিনিট


শর্তাবলীঃ

এই অফারটি পেতে যোগ্য গ্রাহকদের (আই-সিম, ফ্লেক্সি লোড সিম ও বিপিও ছাড়া সকল প্রিপেইড) *১২১*৪০০৮# নম্বরে ডায়াল করতে হবে
গ্রাহক ৭৫০ জিপি-জিপি মিনিট পাবেন
ফ্রি মিনিট-এর মেয়াদ ১৫ দিন এবং দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ব্যবহার করা যাবে
মেয়াদ শেষ হওয়ার মুহূর্তে যদি কোনো গ্রাহকের অবশিষ্ট মিনিট থাকে, তবে তা বাতিল করা হবে। তবে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে যদি কোন গ্রাহক অফারটি পুনরায় ক্রয় করেন তাহলে অবশিষ্ট মিনিট যোগ হয়ে যাবে এবং বেশি মেয়াদ প্রদান করা হবে
অবশিষ্ট মিনিট ব্যালেন্স জানার জন্য গ্রাহককে *১২১*১*২# নম্বরে ডায়াল করতে হবে
ক্রয়কৃত মিনিট যেকোনো জিপি নম্বরে ব্যবহার করা যাবে
অফারের মূল্য সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ সহ

৯৯ টাকায় ৩০০ মিনিট



শর্তাবলীঃ

এই অফারটি পেতে যোগ্য গ্রাহকদের (আই-সিম, ফ্লেক্সি লোড সিম ও বিপিও ছাড়া সকল প্রিপেইড) *১১১*৩০০# অথবা *১২১*৪০০৬# নম্বরে ডায়াল করতে হবে
গ্রাহক ৩০০ জিপি-জিপি মিনিট পাবেন
ফ্রি মিনিট-এর মেয়াদ ৭ দিন এবং দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ব্যবহার করা যাবে
মেয়াদ শেষ হওয়ার মুহূর্তে যদি কোনো গ্রাহকের অবশিষ্ট মিনিট থাকে, তবে তা বাতিল করা হবে। তবে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে যদি কোন গ্রাহক অফারটি পুনরায় ক্রয় করেন, তাহলে অবশিষ্ট মিনিট যোগ হয়ে যাবে এবং বেশি মেয়াদ প্রদান করা হবে
অবশিষ্ট মিনিট ব্যালেন্স জানার জন্য গ্রাহককে *১২১*১*২# নম্বরে ডায়াল করতে হবে
ক্রয়কৃত মিনিট যেকোনো জিপি নম্বরে ব্যবহার করা যাবে
অফারের মূল্য সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ সহ

৬ জিবি মাত্র ১৯৯ টাকায়


শর্তাবলী:

১৯৯ টাকায় ৬জিবি ৭ দিন মেয়াদে (অ্যাক্টিভেশন+ ৬)
অ্যাক্টিভেশন কোড : *১২১*৩১৩৩#
পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেট অফারটি চলবে
সকল জিপি গ্রাহকের জন্য অফারটি প্রযোজ্য
অটো রিনিউয়াল প্রযোজ্য নয়
ইন্টারনেট ভলিউম শেষ হবার পর ইন্টারনেট ব্যবহারে কাস্টমার এর টাকা ১.২২ /MB (SD+VAT+SC সহ) চার্জ প্রযোজ্য হবে সর্বোচ্চ ৫MB পর্যন্ত। একই রেটে ২০০MB পর্যন্ত নিরবিছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ অব্যাহত রাখতে ডায়াল করুন *121*3352# অথবা ইন্টারনেট প্যাক কিনতে ডায়াল করুন *121*3#
অফার সক্রিয় থাকা অবস্থায় গ্রাহক পুনরায় এই প্যাক (১৯৯ টাকায় ৬ জিবি) ক্রয় করলে অব্যবহৃত ডাটা ভলিউম নতুন প্যাকের সাথে যোগ করা হবে
ইন্টারনেট ব্যালেন্স জানতে ডায়াল *১২১*১*৪#
ইন্টারনেট অফার বাতিল করতে ডায়াল *১২১*৩০৪১#
অফারটি স্কিটো গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য নয়
ইন্টারনেট প্যাকগুলির সমস্ত শর্তাবলী এখানে প্রযোজ্য হবে

৪ জিবি মাত্র ১৭৯ টাকায়


শর্তাবলী:

১৭৯ টাকায় (সম্পূরক শুল্ক+ভ্যাট+সারচার্জ অন্তর্ভুক্ত) ৪ জিবি ইন্টারনেট ৭ দিনের জন্যে + ১  এস এম এস (জিপি-জিপি)
অ্যাক্টিভেট করতে ডায়াল করুন *১২১*৩০৮৪#
পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেট অফারটি চলবে
অফারটি সকল জিপি গ্রাহকের জন্যে প্রযোজ্য
অটো রিনিউয়াল প্রযোজ্য নয়
ইন্টারনেট ভলিউম শেষ হবার পর ইন্টারনেট ব্যবহারে কাস্টমার এর টাকা ১.২২ /MB (SD+VAT+SC সহ) চার্জ প্রযোজ্য হবে সর্বোচ্চ ৫MB পর্যন্ত। একই রেটে ২০০MB পর্যন্ত নিরবিছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ অব্যাহত রাখতে ডায়াল করুন *121*3352#  অথবা ইন্টারনেট প্যাক কিনতে ডায়াল করুন *121*3#
অফার সক্রিয় থাকা অবস্থায় গ্রাহক পুনরায় এই প্যাক (১৭৯ টাকায় ৪ জিবি) ক্রয় করলে অব্যবহৃত ডাটা ভলিউম নতুন প্যাকের সাথে যোগ করা হবে
ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে *১২১*১*৪# এ ডায়াল করুন
ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিল করতে ডায়াল করুন *১২১*৩০৪১#
এই অফারটি Skitto গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য নয়
গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ব্যবহারের অন্যান্য সকল শর্তাবলী এখানে প্রযোজ্য হবে

২৫০ এমবি মাত্র ৩১ টাকায়



শর্তাবলী:

৩১ টাকায় (সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ অন্তর্ভুক্ত) ৩ দিন মেয়াদে (রিচার্জের দিন + ২ দিন) ২৫০এমবি ইন্টারনেট
অ্যাক্টিভেশন কোড: *১২১*৩০৮৩#
পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেট অফারটি চলবে
অটো রিনিউয়াল প্রযোজ্য নয়
সকল জিপি গ্রাহকের জন্য অফারটি প্রযোজ্য
 ইন্টারনেট ভলিউম শেষ হবার পর ইন্টারনেট ব্যবহারে কাস্টমার এর টাকা ১.২২ /MB (SD+VAT+SC সহ) চার্জ প্রযোজ্য হবে সর্বোচ্চ ৫MB পর্যন্ত। একই রেটে ২০০MB পর্যন্ত নিরবিছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ অব্যাহত রাখতে ডায়াল করুন *121*3352#  অথবা ইন্টারনেট প্যাক কিনতে ডায়াল করুন *121*3#
গ্রাহক মেয়াদ থাকাকালীন পুনরায় ক্যাম্পেইন অফারটি (৩১ টাকায় ২৫০এমবি) কিনলে অব্যবহৃত ইন্টারনেট ভলিউম নতুন কেনা ইন্টারনেট ভলিউমের সাথে যোগ হয়ে যাবে
ইন্টারনেট ব্যালেন্স জানতে ডায়াল *১২১*১*৪#
ইন্টারনেট অফার বাতিল করতে ডায়াল *১২১*৩০৪১#
এই অফারটি Skitto গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য নয়
গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট বাবহারের অন্যান্য সকল শর্তাবলী এখানে প্রযোজ্য হবে

২০৪৯ মেগাবাইট ১২৯ টাকায়


শর্তাবলী:

২০৪৯ মেগাবাইট ইন্টারনেট + ৭টি (জিপি- যে কোন অপারেটর) এসএমএস  ৭ দিনের মেয়াদে মাত্র ১২৯ টাকায় (সম্পূরক শুল্ক+ভ্যাট+সারচার্জ সহ)
অফারটি উপভোগ করতে গ্রাহকদের *১২১*৩০৫৮# ডায়াল করতে হবে
পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেট অফারটি চলবে
অফারটি সকল প্রিপেইড ও পোস্টপেইড গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য
অফার চলাকালীন সময়ে গ্রাহক অফারটি যত খুশি ততবার নিতে পারবেন
ইন্টারনেট ভলিউম শেষ হবার পর ইন্টারনেট ব্যবহারে কাস্টমার এর টাকা ১.২২ /MB (SD+VAT+SC সহ) চার্জ প্রযোজ্য হবে সর্বোচ্চ ৫MB পর্যন্ত। একই রেটে ২০০MB পর্যন্ত নিরবিছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ অব্যাহত রাখতে ডায়াল করুন *121*3352#  অথবা ইন্টারনেট প্যাক কিনতে ডায়াল করুন *121*3#
অব্যবহৃত ডাটা ভলিউম পরবর্তীতে নেয়া ডাটার সাথে যোগ হবে যদি মেয়াদ থাকাকালীন সময়ে একই প্যাক (২০৪৯ মেগাবাইট ১২৯ টাকায়) ক্রয় করেন
ইন্টারনেট ব্যালেন্স জানতে *১২১*১*৪# ডায়াল করতে হবে
ইন্টারনেট অফারটি বাতিল করতে ডায়াল করুন *১২১*৩০৪১#
এই অফারটি Skitto গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য নয়
গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ব্যবহারের অন্যান্য সকল শর্তাবলী এখানে প্রযোজ্য হবে

১ জিবি ইন্টারনেট মাত্র ৯৪ টাকায়



শর্তাবলীঃ

৯৪ টাকায় (সম্পূরক শুল্ক+ভ্যাট+সারচার্জ সহ) ৭ দিনের মেয়াদে ১০২৬ এমবি ইন্টারনেট + ৭টি (জিপি-যে কোন অপারেটর) এসএমএস
অফারটি উপভোগ করতে গ্রাহকদের *১২১*৩০৫৬# ডায়াল করতে হবে
অফারটি পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত চলবে
অফারটি সকল প্রিপেইড ও পোস্টপেইড গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য
অফার চলাকালীন সময়ে গ্রাহক অফারটি যত খুশি ততবার নিতে পারবেন
ইন্টারনেট ভলিউম শেষ হবার পর ইন্টারনেট ব্যবহারে কাস্টমার এর টাকা ১.২২ /MB (SD+VAT+SC সহ) চার্জ প্রযোজ্য হবে সর্বোচ্চ ৫MB পর্যন্ত। একই রেটে ২০০MB পর্যন্ত নিরবিছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ অব্যাহত রাখতে ডায়াল করুন *121*3352#  অথবা ইন্টারনেট প্যাক কিনতে ডায়াল করুন *121*3#
অব্যবহৃত ডাটা ভলিউম পরবর্তীতে নেয়া ডাটার সাথে যোগ হবে যদি মেয়াদ থাকাকালীন সময়ে একই প্যাক (৯৪ টাকায় ১ জিবি) ক্রয় করেন
ইন্টারনেট ব্যালেন্স জানতে ডায়াল *১২১*১*৪#
ইন্টারনেট অফারটি বাতিল করতে ডায়াল করুন *১২১*৩০৪১#
এই অফারটি Skitto গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য নয়
গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ব্যবহারের অন্যান্য সকল শর্তাবলী এখানে প্রযোজ্য হবে

12 July, 2018

জয়পুরহাট জেলার ইতিহাস



সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : ১৯০৭ সালে জয়পুরহাট একটি পৃথক থানা গঠিত হয়।
১৯১৮ সালে জয়পুরহাট থানা ভবন নির্মিত হয়। ১৯২০ সালে ভূমি জরিপ
রেকর্ডে জয়পুরহাট থানার একটি পৃথক নকশা অংকন করা হয় এবং খঞ্জনপুর
খাসমহাল কাচারীর পরিত্যক্ত ভবনগুলি জয়পুরহাট মহকুমা এবং জেলা
পর্যায়ে বিভিন্ন অফিসআদালত ও ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস রুপে ব্যবহৃত হয়ে
থাকে। এই কাচারী প্রাঙ্গনেই ১৯৭১ সালের ১লা জানুয়ারি জয়পুরহাট
মহকুমার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে জয়পুরহাট
মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত করা হয়।

২. নামকরণ ঃ , জয়পুরহাট একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ জেলা। রাজা।
জয়পালের নামানুসারে এ জেলার নামকরণ করা হয় জয়পুরহাট।
৩. আয়তন : (প্রায়) ৯৬৫ বর্গ কি. মি.।

৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ৯১৩,৭৬৮ জন। পুরুষ - ৪,৫৯,২৮৪ ও মহিলা
৪,৫৪,৪৮৪ । বৃদ্ধির হার : ০.৭৫% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ৯০৩ ।

৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৫টি। জয়পুরহাট সদর, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর,
কালাই ও পাচবিবি।

৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ৫টি। জয়পুরহাট, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর, কালাই ও
পাচবিবি ।

৭. সংসদীয় আসন : ০২টি। (১) জয়পুরহাট সদর ও পাচবিবি উপজেলা । (২)
আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলা।

৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : ড. আন্দুল কাদের চৌধুরী, ড. মফিজ উদ্দিন, শহীদ
মজিবুর রহমান, শহীদ ডা: আবুল কাশেম, কবি আতাউর রহমান, একে
আন্দুল আজিজ, অধ্যক্ষ মহসীন আলী দেওয়ান প্রমুখ।

৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২৮০ কি. মি. ও রেলপথে-৪৪১ কি. মি.।

১০. যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস । : জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন, ঢাকা
জয়পুরহাট-ঢাকা বাস স্টেশন। এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৫৭১ ও পোস্ট
কোড-৫৯০০।

১১ . পত্রপত্রিকা : সাপ্তাহিক গ্রামীণ আলোজয়পুর কণ্ঠ, চেতনা ও মুক্ত পাতা।

১২. পৌরসভা০১টি ও ইউনিয়ন-৩২টি । উপজেলা ভূমি অফিস-০৫টি।

১৩. গ্রামের সংখ্যা-৯৮৮ টি ও মৌজার সংখ্যা-১১০৭টি।

১৪. শিক্ষার হার-৪৯.৬২%।

১৫. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, আখ, তামাক, পাট, গম, , সরিষা ও ডাল ।

১৬. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : জুনিয়র স্কুল-৩৭টি, উচ্চ বিদ্যালয়-১১৮টি, স্কুল এন্ড
কলেজ-৪টি ও কলেজ-৩৬টি।

১৭. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-২,৪১২টি।

১৮. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৫টি ও উপ
স্বাস্থ্য কেন্দ্ৰ০৭টি।

১৯নদনদীর নাম : ছোট যমুনাতুলশীগঙ্গাচিরি, হারামতি ও শ্রীনদী।

২০. দর্শনীয় স্থান : আছরাঙ্গা দীঘি, নান্দাইল দীঘি, লকমা রাজবাড়ি, পাথরঘাটা,
নিমাই পীরের মাজার, গোবিনাথপুর মন্দির, বারশিবালয় মন্দির, হিন্দা-কসবা
শাহী মসজিদ, পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি, কড়ই কাদিপুর বধ্যভূমি, শিশু
উদ্যান।
.

বগুড়া জেলার ইতিহাস




১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : ১৮২১ সালে রাজশাহী জেলা হতে আদমদিঘি, শেরপুর,
ও বগুড়া থানা, রংপুর জেলা হতে দেওয়ানগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জ থানা,
দিনাপজপুর জেলা হতে লালবাজার, ক্ষেতলাল ও বদলগাছি থানা নিয়ে বগুড়া
জেলা গঠিত । ১৮২১ সারে বগুড়া জেলা গঠন হবার পর একজন জয়েন্ট
ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত হন। ১৮৩২ সালে বগুড়া জেলার প্রায় অর্ধাংশ পরিচিত।
স্থানের রাজস্ব গ্রহণের কাজ বগুড়াতে সম্পন্ন হতে লাগল এবং সেজন্য জয়েন্ট
ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতি ডেপুটি কালেক্টরের ক্ষমতাও অর্পিত হয়। ১৮৩৯ সালে
রাজশাহী জেলার রায়গঞ্জ থানা বগুড়া জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৬৮ সালের ৮
অক্টোবর ইছামতি নদী বগুড়া জেলার দক্ষিণ পূর্ব পাবনা জেলার মধ্যে সীমা
নির্দিষ্ট হয়। ১৮৫৯ সালে বগুড়া জেলার জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি
কালেক্টরের স্থলে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর নিযুক্ত হল এবং বগুড়া স্বতন্ত্র
জেলা হিসেবে পরিগনিত হয়।

২. নামকরণ : সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন বগরা
খান ১২৭৯ থেকে ১২৮২ পর্যন্ত এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তার নামানুসারে এ
অঞ্চলের নাম হয়েছে বগরা বা বগুড়া জেলা।
৩. আয়তন : (প্রায়)২৮৯৮ বর্গ কি. মি.।

৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ৩৪,০০৮৭৪ জন। পুরুষ- ১৭,০৮,৮০৬ ও মহিলা
১৬৯২০৬৮। বৃদ্ধির হার : ১.২০% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ১১৭৩ জন।

৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ১২টি। বগুড়া সদর, ধুপচাচিয়াকাহালু, আদমদীঘি,
নন্দিগ্রাম, শীবগঞ্জ, গাবতলী, শাহজাহানপুর, শেরপুর, সোনাতলা, ধুনট ও
সারিয়াকান্দি।

৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ১২টি। বগুড়া সদর, ধুপচাচিয়া, কাহালু, আদমদীঘি,
নন্দিগ্রাম, শীবগঞ্জ, গাবতলীশাহজাহানপুর, শেরপুর, সোনাতলাধুনট ও
সারিয়াকান্দি ।

৭. সংসদীয় আসন : ০৭টি। (১) সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা এবং ধুনট
উপজেলার নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ : ভান্ডারবাড়ী ও গোসাইবাড়ী। (২) শীবগঞ্জ
উপজেলা। (৩) আদমদিঘী ও দুপচাচিয়া উপজেলা। (৪) কাহালু ও নন্দীগ্রাম
উপজেলা। (৫) শেরপুর উপজেলা ও নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমুহ ব্যতীত ধুনট
উপজেলা : ভান্ডারবাড়ী ও গোসাইবাড়ী। (৬) বগুড়া সদর উপজেলা। (৭)
গাবতলী ও শাহজাহানপুর উপজেলা।

৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : অবিভক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আলী
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, কারু শিল্পী আমিনুল করিম দুলাল, আঙুমান
আরা বেগম, খন্দকার মারফ আহমদ, প্রফেসর মো: আন্দুল হামিদ, আ. ফ. ম
বদরুদ্দোজা, ড: আশফাক, ডা: হাবিবুর রহমান, আজিজ হক, বেগম মাহমুদা
সাদেক ও এম. আর. আক্তার মুকুল ।

৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২২৯ কি. মি. ও রেলপথে-৩৬৯ কি. মি.।

১০ . যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস : ঢাকা-বগুড়াঢাকা বাস স্টেশন, বগুড়া কেন্দ্রীয় বাস
স্টেশন-চারমাথা, চেলোপাড়া বাস স্টেশন-সাতমাথা। রেল : বগুড়া রেলওয়ে
স্টেশন-বগুড়া। লঞ্চ- সরিষাকান্দি নৌ বন্দরসরিয়াকান্দি। এনডব্লিউডি কোড
নম্বর : ০৫১ ও পোষ্ট কোড-৫৮০০।

১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক করতোয়া, চাদনী বাজার, দুর্জয় বাংলা, আজ ও
আগামীকাল, বগুড়াউত্তর কোণ, সাতমাথাসকালের আনন্দ, সাপ্তাহিক বিজয়
বাংলাসূর্য তোরণ, হাতিয়ার ও বরেন্দ্র বার্তা।
১২. পৌরসভা-১১টি, ইউনিয়ন-১০৯টি ও উপজেলা ভূমি অফিস-১২টি।

১৩গ্রামের সংখ্যা-২০,৬৯৫টি, মৌজার সংখ্যা-১, ৭৫৯টি।

১৪. মোট জমি-২৩০০৩৯ একর ও আদর্শ গ্রাম- ৫৪ টি।
১৫. শিক্ষার হার-৫৩%।

১৬উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, আখ, তামাক, পাট, গম, , সরিষা, ডাল।

১৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-১,৪৯৪টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৩৫৫টি,
কলেজ-৮৩টি। মসজিদ-৭.০১৬টি।

১৮. হাসপাতাল : সদর হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-১২টি, উপ
স্বাস্থ্য কেন্দ্ৰ-০৭টি ও ক্লিনিক-৯টি।

১৯. নদনদীর নাম : যমুনা, করতোয়া, নাগর, বাঙ্গালী ইত্যাদি।

২০. দর্শনীয় স্থান : মহাস্থানগড়পুড্রবর্ধন প্রাচীনতম নগরীভাসু-বিহার, গোকুল মেধ
(বেহুলার বাসরঘর), শাহ সুলতান বলখী মাহী সাওয়ার এর মাজার, ভবানীপুর
শিব মন্দির, ভবানী মন্দির, খেড়য়া মসজিদ, মোহাম্মদ আলী প্যালেস
মিউজিয়াম, গ্রোয়েন বাধ, ওয়ান্ডারল্যান্ড, মহাস্থান প্রত্নতাত্বিক যাদুঘর।

২১. জেলার ঐতিহ্য : মহাস্থানগড়ের বিস্তীর্ণ ধবংসাবশেষ প্রাচীর পুস্ত্রবর্ধনভূমির
রাজধানী পুন্দ্রনগর সুদীর্ঘ প্রায় আড়াই হাজার বছরের গৌবরোজ্জল ইতিহাসের
এক নীরব স্বাক্ষী। সমগ্র বাংলার সর্বপ্রধান ও সর্বপ্রাচীন এ দূর্গনগরী পর্যায়ক্রমে
মাটি ও ইটের বেষ্টনী প্রাচীন দ্বারা সুরক্ষিত ।

চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ইতিহাস



১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : ১৯১৩ সালে পূর্ণিমা ও দিনাজপুর জেলা ভেঙ্গে মালদহ জেলা।
গঠিত হয়। কিন্তু, ১৮৫৯ সাল পর্যন্ত এটিকে কোন কালেক্টরেটের অধীনে দেয়া।
হয়নি। এ সময় শিবগঞ্জ ও কালিয়াচক থানাদ্বয় অপরাধপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে
কুখ্যাত ছিল। নবাবগঞ্জ তখন শিবগঞ্জ থানার অধীনে একটি পুলিশ ফাড়ি ছিল।
মাত্র। ১৮৭৩ সালে মুন্সেফ চৌকি শিবগঞ্জ থেকে নবাবগঞ্জে স্থানান্তরিত হয় এবং
তারও কিছুদিন পর ১৮৯৯ সালে নবাবগঞ্জ থানায় উন্নীত হয়। থানা প্রতিষ্ঠিত
হওয়ার পর থেকেই নবাবগঞ্জ ও তার পাশ্ববর্তী থানাগুলো নিয়ে একটি স্বতন্ত্র
মহকুমা গঠনের পরিকল্পনা ও প্রয়াস চলতে থাকে। ১৮৭৬ সাল পর্যন্ত নবাবগঞ্জ
অঞ্চল রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং ১৮৭৬ থেকে ১৯০৫ সাল সময়ে
বিহারের ভাগলপুরের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইতোমধ্যে ১৯০৩ সালে ১২ জন ওয়ার্ড
কমিশনারের সমন্বয়ে নবাবগঞ্জ মিউনিসিপ্যালিটি গঠিত হয় । ১৯০৫ সালে
বঙ্গভঙ্গের সময় তদানীন্তন পূর্ব বাংলা ও আসাম প্রদেশসহ এ অঞ্চলটি আবার
রাজশাহী বিভাগের সাথে যুক্ত করা হয়। যদিও তা মালদহ জেলার অন্তর্গত
থাকে। ১৯০৬ সালে নবাবগঞ্জে সাবরেজিষ্ট্রি অফিস স্থাপিত হলে এখানে কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পায়। সরকারি কাজকর্মের সুবিধার জন্য ‘চাঁপাই' গ্রামে অবস্থিত ডাকঘরটি ১৯২৫ সালে নবাবগঞ্জ শহরে স্থানান্তর করা হয় এবং তার নাম রাখা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং ১৯৮৪ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় উন্নীত করা হয়।

২. নামকরণ : চাপাইনবাবগঞ্জের নামকরণ সম্পর্কে জানা যায়, প্রাক-ব্রিটিশ আমলে
এ অঞ্চলে ছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের বিহারভূমি। এবং এর অবস্থান ছিল ।
বর্তমান সদর উপজেলার দাউদপুর মৌজায়। নবাবরা তাঁদের পাত্ৰমিত্র ও
পরিষদসহ এখানে শিকার করতে আসতেন বলে এ স্থানের নাম হয় নবাবগঞ্জ ।
বলা হয়ে থাকে যে, বাংলাবিহার উড়িষ্যার নবাব সরফরাজ খাঁ ১৭৩৯-৪০
সালে একবার শিকারে এসে যে স্থানটিতে ছাউনি ফেলেছিলেন সে জায়গাটিই
পরে নবাবগঞ্জ নামে পরিচিত পায়। অনেকের মতে নবাব আলীবর্দী খার আমলে
নবাবগঞ্জ নামকরণ হয়। অষ্টাদশ শতকের প্রথম ও মধ্যভাগে বর্গীয় ভয়ে
পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকজন ব্যাপকভাবে এ এলাকায় এসে বসতি স্থাপনের ফলে।
স্থানটি এক কর্মব্যস্ত জনপদে পরিণত হয়। কালক্রমে নবাবগঞ্জের নাম চারদিকে
ছড়িয়ে পড়ে। নবাবগঞ্জের ডাকঘর চাপাই গ্রামে অবস্থিত হওয়ায় নবাবগঞ্জ তখন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামে পরিচিত হয়।

৩. আয়তন : (প্রায়) ১,৭০২.৫৬ বর্গ কি. মি.।

৪. লোকসংখ্যা : মোট- (প্রায়) ১৬,৪৭,৫২১ জন। পুরুষ-৮,১০,২১৮ ও মহিলা
৮,৩৭,৩০৩ । বৃদ্ধির হার : ১.৪৪% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ৯৬৮ জন।

৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ৫টি। চাপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর,
নাচোল ও ভোলাহাট

৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ০৫টি। নবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও
ভোলাহাট।

৭. সংসদীয় আসন। : ০৩টি। (১) শিবগঞ্জ উপজেলা। (২) ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর
উপজেলা। (৩) চাপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা।
৮. পৌরসভা-০৪টি ও ইউনিয়ন-৪৫টি ।

৯. বিশিষ্ট ব্যক্তি : দিয়ানতুল্লাহ চৌধুরী ওরফে লুকা চৌধুরী, গিরিশ চন্দ্র সিংহ,
রফিক মন্ডল, গণিতজ্ঞ প্রফেসর আন্দুর রহিম, ড. জহুরুল হক, বাবু অভয় প্রদ।
মুখার্জী, ইলা মিত্র, রমেশ মিত্র, কুতুব উদ্দিন ও রফিকুন্নবী।

১০. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-৩২০ কি. মি. ও রেলপথে-৪১৭ কি. মি.।

১১. যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস : চাপাইনবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন, শিবগঞ্জ বাস
স্টেশনউদয়ন মোড়, ঢাকা- মহাখালী, কল্যাণপুর-চাপাইনবাবগও বাস
স্টেশন। রেল : ঢাকা-কমলাপুর, বিমানবন্দর, রেলওয়ে স্টেশন, নবাবগঞ্জ
রেলওয়ে স্টেশন, নবাবগঞ্জ, আমনুরা রেলওয়ে স্টেশন, নবাবগঞ্জ । এনডব্লিউডি
কোড নম্বর : ০৭৮১ ও পোস্ট কোড-৬৩০০।

১২. পত্রপত্রিকা : সাপ্তাহিক গৌড়সংবাদ, সোনামসজিদ।

১৩. উপজেলা ভূমি অফিস-০৫টি।

১৪. মৌজার সংখ্যা৪৩০টি ও গ্রামের সংখ্যা-১,১৩৬টি।

১৫. আদর্শ গ্রাম-১৪টি । শিক্ষার হার-৬৭%।

১৬শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-২১২টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৬৮২টি,
কলেজ-৫২টি, মাদ্রাসা-১৩৪টি ও ক্যাডেট কলেজ-০১টি।

১৭. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-১০৪০৫টি, মন্দির-১,০২১টি ও গীর্জা-১১৪টি।

১৮. হাসপাতাল : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৪টি, ক্লিনিক-২৪টি
ও পারিবারিক কল্যাণ কেন্দ্র-২০টি।

১৯. নদনদীর নাম : পদ্মামহানন্দাপুনর্ভরা ও পাগলা ।

২০ . উল্লেখযাগ্য ফসল: ধান, পাট, ইক্ষু, গম, পান ও ডাল ।

২১. দর্শনীয় স্থান : গৌড়ের বিখ্যাত ছোট সোনা মসজিদ ও তৎসংলগ্ন বীরশ্রেষ্ঠ
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এর সমাধি, তোহাখানা ইত্যাদি।

২২. জেলার ঐতিহ্য : আম ও লিচু জেলার ঐতিহ্য বহন করে।

সিরাজগঞ্জ জেলার ইতিহাস



১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : ১৭৯০ সালে মোমেনশাহী জেলার কালেক্টর সাহেব বিশাল ।
মোমেনশাহী জেলার স্থানে স্থানে থানা স্থাপনের তাগিদে ঢাকা রেভিনিউ
বোর্ডের কাছে পরানগঞ্জ, কটিয়াদী, চাদপুর, সিরাজগঞ্জ, জগন্নাথগঞ্জ, শের
মদন, শের দিবার দিযাশের মাচরা প্রভৃতি স্থানের প্রস্তাব পেশ করেন।
১৭৯২ সালের মধ্যে সিরাজগঞ্জসহ এসব এলাকায় প্রথম বিলেতি পাল্টানের
থানা স্থাপিত হয়। ১৮৪৫ সালে মোমেনশাহী জেলায় ধরমচান্দ ঘোষ প্রথম ।
ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত হয়ে আসেন। ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনশাহী জেলার পূর্ব
ও পশ্চিম দিকে দুটি মহকুমা স্থাপনের প্রস্তাব করেন। শেরপুর, সিরাজগঞ্জ,
হাজীপুর ও পিংনাসহ ৪ থানা নিয়ে ১৮৪৫ সালে জামালপুর মহকুমা এবং
নিকলীবাজিতপুরফতেপুর ও মাদারগঞ্জ এই ৪ থানা নিয়ে হুসেনপুর বা
নিকলী মহকুমা স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়। ১৮৪৫ সালের এপ্রিল মাসে।
সরকার সিরাজগঞ্জ ও জামালপুর মহকুমা দুইটি স্থাপনের অনুমতি দেন। ফলে
১৮৪৫ সালে বিশাল মোমেনশাহী জেলার অধীনে জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ
নামে দুটি মহকুমার সৃষ্টি করা হয়। পরবর্তীকালে মোমেনশাহী জেলাকে
বিভক্ত করে ১৮৬৫ সালে কিশোরগঞ্জ, ১৮৬৯ সালে টাঙ্গাইল এবং ১৮৮২
সালে নেত্রকোনা মহকুমা সৃষ্টি করা হয়েছিল। ১৮২৮ সালে রাজশাহীর
একাংশ নিয়ে পাবনা জেলার পতন হয়েছিল। সিরাজগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের
দাবীর প্রেক্ষিতে ১৮৫৫ সালে যমুনা নদীর গতি পরিবর্তনের কারণে
সিরাজগঞ্জ থানাকে পাবনা জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮৭৫ সালে রায়গঞ্জ
থানাকে সিরাজগঞ্জ মহকুমার অন্তর্ভুক্ত করে সিরাজগঞ্জের প্রশাসনিক বিস্তৃতি
ঘটানো হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে সিরাজগঞ্জ জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

২. নামকরণ : বেলকুচি থানার সিরাজউদ্দিন চৌধুরী নামক একজন (ভুস্বামী)
জমিদার ছিলেন। তিনি তার নিজ মহালে একটি 'গঞ্জ' স্থাপন করেন। তার
নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় সিরাজগঞ্জ। তার নামে নামকরণকৃত
সিরাজগঞ্জ স্থানটি নদীভাঙ্গনে বিলীন হয়। পরবর্তীতে তিনি ভূতের দিয়ার
মৌজা নিলামে খরিদ করেন। তিনি ভূতের দিয়ার মৌজাকেই নতুনভাবে
সিরাজগঞ্জ নামে নামকরণ করেন। ফলে ভূতের দিয়ার মৌজাই সিরাজগঞ্জ
নামে স্থায়ী রূপ লাভ করে।

৩. আয়তন : (প্রায়) ২৪৯৭.৯২ বর্গ কি. মি.।

৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ৩০,৯৭৪৯৩ জন। পুরুষ- ১৫,৫১,৩৬৮ ও
মহিলা১৫,৪৬,১২১। বৃদ্ধির হার : ১.৩৮% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ১২৯০
জন।

৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম ঃ ০৯টি । সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর, বেলকুচি,
তারাশ, কামারখন্দ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, চৌহালী ও শাহজাদপুর।

৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ১২টি । সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, তারাশ,
কামারখন্দ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, চৌহালী, শাহজাদপুর, সলংগাবঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম ও এনায়েতপুর।

৭. সংসদীয় আসন : ০৬টি। (১) কাজিপুর উপজেলা ও সিরাজগঞ্জ সদর
উপজেলার নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ হ মেছড়ারতনকান্দি, বাগবাটি ও
ছোনগাছা। (২) নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ ব্যতীত সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা
মেছড়ারতনকান্দি, বাগবাটি, ছোনগাছা ও কামারখন্দ উপজেলা। (৩)
রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা। (৪) উল্লাপাড়া উপজেলা । (৫) বেলকুচি ও
চৌহালী উপজেলা । (৬) শাহজাদপুর উপজেলা।

৮. পৌরসভা০৬টি ও ইউনিয়ন-৮২টি।

৯. বিশিষ্ট ব্যক্তি : মাওলানা আব্দল হামিদ খান ভাসানী, মো: মজিবুর রহমান,
যাদব চন্দ্র চক্রবর্তীসৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী, রজনী কান্ত সেন,
আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মনসুর আলীফতেহ লোহানী,
ফজলে লোহানী, মকবুলা মথুর, আন্দুল মমিন তালুকদার, অমূল্যনাথ লাহিরী,
সূচিত্রা সেন, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ, আন্দুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন, গোলাম
মকসূদ হিলালী প্রমূখ।
১০. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে- ১৪২ কি. মি. ও রেলপথে-৩০১ কি. মি.।

১১. যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস : ঢাকামহাখালী বাস স্টেশন, সিরাজগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন, ঢাকাসিরাজগঞ্জ বাস স্টেশন। রেল : ঢাকাসিরাজগঞ্জ
রেলওয়ে স্টেশন, সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। এনডব্লিউডি কোড নম্বর:
০৭৫১, পোস্ট কোড-৬৭০০।

১২. পত্র-পত্রিকা : দৈনিক যমুনা সেতু, দোলনচাপাযমুনা প্রবাহ, চাদতারা,
সীমান্ত বাজার, যুগের কথাসিরাজগঞ্জ কণ্ঠ, কলম সৈনিক, সাপ্তাহিক সাহসী
জনতা ও জীবনধাতা ।

১৩. উপজেলা ভূমি অফিস-০৯টি ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস-৭২টি।

১৪. মৌজার সংখ্যা-১,৪৭২টি ও গ্রামের সংখ্যা-২,১৮০টি।

১৫. মোট জমি- ১,৯৫,৯৩৭ হেক্টর, শিক্ষার হার-৬৮%।

১৬. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, আখ, কলা ও পান।

১৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-১৫৬৩টি, উচ্চ বিদ্যালয়-৩৭৪টি,
কলেজে-৭৭টি, মাদ্রাসা-৩৫৬টি ও অন্যান্য স্কুল-০৪টি।

১৮. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-৩,৯১৬টি ও মন্দির-৪৫টি।

১৯. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৮টি, উপ
স্বাস্থ্য কেন্দ্র-১৫টি ও ক্লিনিক-০৯টি।

২০. নদনদীর নাম : যমুনাকরতোয়া, বড়াল ইত্যাদি।

২১. দর্শনীয় স্থান : বঙ্গবন্ধু সেতু, শাহজাদপুর কুঠিবাড়ি, শাহ মখদুম মসজিদ,
মিন্ধ-ভিটা ও নৌবন্দর, সলঙ্গা ইসমাইল হোসেন সিরাজীর বানীকুঞ্চ, গণিত
সম্রাট যাদব চক্রবর্তীর বাসভবন, হযরত এনায়েতপুরীর মাজার, হাটিকুয়বুল।
মন্দির।

২২. জেলার ঐতিহ্য : তাত শিল্প ও যমুনা সেতু জেলার ঐতিহ্য বহন করে আছে।

রাজশাহী জেলার ইতিহাস



১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : ১৭৭২ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে রাজশাহী জেলা সৃষ্টি হয়। তখন
রাজশাহী, নাটোর, চাপাইনবাবগঞ্জ ও নওগা৷ ছাড়াও পাবনা এবং বর্তমান
পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার বৃহদাংশ ছিল এ জেলার অন্তর্গত।
১৮৭৬ সালে রাজশাহী পৌরসভা সষ্টি হয় এবং ১৯৮৭ সালে এটি সিটি
কর্পোরেশনের মর্যাদা পায়।



২. নামকরণ : প্রাচীন পুস্ত্রবর্ধন জনপদের অংশ রাজশাহীর জনবসতি হাজার বছরের
ঐতিহ্য বহন করছে। মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন, মোগল, ইংরেজরা এ অঞ্চলে শাসন
প্রতিষ্ঠা করেন। এ অঞ্চলে রাজা রাজাদের আবাসস্থলকে কেন্দ্র করে নাম হয়েছে ।
রাজশাহী। পঞ্চদশ শতকে ভাতুরিয়া দিনাজপুরের জমিদার রাজা কংস বা গনেশ এ
অঞ্চলের অধিপতি ছিলেন । তিনি রাজা শাহ নামে পরিচিতি ছিলেন। মনে করা হয়।
রাজা আর শাহ মিলে রাজশাহী নামকরণ হয়েছে।

৩. আয়তন : (প্রায়) ২৪০৭.০১ বৰ্গ কি. মি.।

৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ২৫,৯৫,১৯৭ জন। পুরুষ- ১৩০৯৮৯০ ও মহিলা ১২৮৫হার .,,৩০৭। বৃদ্ধির : ১২৫% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ১০৭০ জন ।

৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ৯টি। পবা, দুর্গাপুর, চারঘাট, মহনপুর, পুটিয়াবাঘা,বাগমারা, তানোর ও গোদাগাড়ী ।

৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ১১টি। রাজশাহী সদর, বাঘা, পুটিয়া, পবাবাগমারা,
তানোর, বোয়ালিয়ামোহনপুর, চারঘাট, গোদাগাড়ী ও দুর্গাপুর।

৭. সংসদীয় আসন ঃ ০৬টি। (১ ) তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা। (২) রাজশাহী
সিটি কর্পোরেশনভুক্ত এলাকা। (৩) পবা ও যোহনপুর উপজেলা। (৪) বাগমারা।
উপজেলা। (৫) দুর্গাপুর ও পুটিয়া উপজেলা। (৬) চারঘাট ও বাঘা উপজেলা।

৮. বিশিষ্ট ব্যক্তি : শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামান, কুমার শরৎকুমার রায়,
অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, যদুনাথ সরকার, রমাপ্রসাদ চন্দ্র, রাধাগোবিন্দ বসাক, মৌলভী
সামশুদ্দিন আহমেদ, মোখলেছুর রহমান, নরোত্তম দাস ঠাকুর, কবি শুকুর মাহমুদ,
জগদিন্দ্রনাথ রায়, রজনীকান্ত সেন, মির্জা মোহাম্মদ ইউসুফ আলীরাণী ভবানী
প্রমথরায় নাথ, শরৎসুন্দরী দেবীহেমন্তকুমারী দেবীহরনাথ রায়, রাজকুমার
সরকার, হাজী লাল মোহাম্মদ সরকার, এমাদউদ্দীন আহমদ, আহসান উল্লা
আশরাফ আলী খান চৌধুরী, ইদ্রিস আহমদ, আব্দুল হামিদ মিয়া ও কাজী
আব্দুল।

৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২৭০ কি. মি. ও রেলপথে-৩৪৩ কি. মি.।

১০ . যোগাযোগ ব্যবস্থা গ্র রাজশাহী বিমান বন্দর-নওহাটা। বাস : ঢাকা-মহাখালী,
কল্যাণপুর বাস স্টেশন, রাজশাহী-ঢাকা বাস স্টেশন, কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন।
রাজশাহী। রেল ঢাকা-কমলাপুর, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, রাজশাহী
রেলওয়ে জংশন । এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৭২১ ও পোস্ট কোড- রাজশাহী জিপিও-৬০০০ ও হেড অফিস-৬১০০।

১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক সোনালী সংবাদ, বার্তা, সানশাইন, নতুন প্রভাত, আমাদের
রাজশাহী, রাজবার্তাউপাচার, সোনার দেশ, লাল গোলাপ, সাপ্তাহিক গণদৃষ্টি ও রাজশাহীর আলো ।

১২. সিটি কর্পোরেশন-০১টি, পৌরসভা১৪টি ও ইউনিয়ন-৭১টি।

১৩. উপজেলা ভূমি অফিস-০৯টি ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস-৩৬টি।

১৪. মৌজার সংখ্যা-১,৭১৮টি ও গ্রামের সংখ্যা-১,৯১৪টি।

১৫. মোট জমি- ৫, ৯৯, ৫০৪ একর।

১৬. শিক্ষার হার- ৪৭.৪ %।

১৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-৯৮৩টি, নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়-৪৩টি,
মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৪০৯টি, কলেজ-৭৪টি, মাদ্রাসা-২২১টি, ক্যাডেট কলেজ ০১টি।

১৮. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-১০,৪০৫ টি, মন্দির-১,০২১ টি, গীর্জা-১১৪ টি ।

১৯. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০৩টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৯টি, ক্লিনিক-
৪৪টি, পারিবারিক কল্যাণ কেন্দ্র-৩৯টি।

২০. নদনদীর নাম : পদ্মাযমুনা, আত্রাই, মহানন্দা ইত্যাদি।

২১. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, সরিষা, গোল আলু, মিষ্টি আলু, ডাল, মরিচ ও সবজি ।

২২. দর্শনীয় স্থান : হযরত শাহ মখদুম (রহ:-এর দরগা, পুটিয়া রাজবাড়ীপুটিয়া বড়
আহ্নিক মন্দির, পুটিয়া বড় শিব মন্দির, পুটিয়া গোবিন্দ মন্দির, বাঘা মসজিদ,
রাজশাহী বড়কুঠি, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, রাজশাহী কলেজ, বাংলাদেশ পুলিশ
একাডেমি, পদ্মা নদীর বাধ, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ।

২৩. জেলার ঐতিহ্য : বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত রাজশাহী এক ইতিহাসখ্যাত
নগরী। প্রাচীন পুত্রবর্ধন জনপদের অংশ রাজশাহীর জনবসতি হাজার বছরের
ঐতিহ্য বহন করছে। মৌর্য, গুণ্ড, পাল, সেন, মোগল, ইংরেজরা এ অঞ্চলে শাসন প্রতিষ্ঠা করেন ।

খাগড়াছড়ি জেলার ইতিহাস



১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : বৃটিশ সরকার কর্তৃক ১৮৬০ সালে স্বতন্ত্র জেলা ঘোষণা
করার আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিল বৃহত্তর চট্টগ্রামের একটি অঙ্গ। পার্বত্য
চট্টগ্রাম জেলা ০৩টি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিল। মহকুমাগুলি ছিল রাঙ্গামাটি,
বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি। রামগড় মহকুমা ০৩টি থানা নিয়ে গঠিত ছিল।
থানাগুলি ছিল রামগড় সদর, মহালছড়ি ও দীঘিনালা । খাগড়াছড়ি তৎকালীন
মহালছড়ি থানাধীন একটি ইউনিয়ন ছিল। পরে ১৯৬৮ সালে খাগড়াছড়িকে
থানায় উন্নীত করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১লা নভেম্বর খাগড়াছড়ি পূর্ণাঙ্গ
জেলায় উন্নীত হয় ।

২. নামকরণ : খাগড়াছড়ি নামের উৎপত্তি হয়েছিল নল খাগড়ার বন থেকে।
খাগড়াছড়ি সদর শহরের বুক চিরে একটি ছড়ানদী বহমান রয়েছে। অতীতে
উক্ত ছড়ানদীর দু পাড়ে গভীর নলখাগড়ার বন ছিল। এই নল খাগড়ার বন
থেকে খাগড়াছড়ি নামের উৎপত্তি। খাগড়াছড়ির প্রাচীন নাম ছিল তারক।
৩. আয়তন : (প্রায়) ২,৬৯৯৫৬ বর্গ কি. মি.।

৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ৬১৩৯১৭ জন। পুরুষ- ৩,১৩,৭৯৩ ও মহিলা
৩,০০,১২৪ । বৃদ্ধির হার : ১.৫৪% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ২২৩ জন।

৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৮টি। খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালাপানছড়ি,
মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, মহালছড়ি, লক্ষীছড়ি ও রামগড়।

৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ০৯টি । খাগড়াছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি, পানছড়ি,
লক্ষীছড়ি, দীঘিনালামাটিরাঙ্গা, রামগড় ও গুইমারা।

৭. সংসদীয় আসন : ০১টি ।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।

৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ , অনন্ত কুমার কৃষ্ণ, নবীন ত্রিপুরা, সমীর দেওয়ান, জায়দুল
আলম, শহীদ আন্দুল কাদের, মহারাণী নিহার দেবী, উনিকা দেব, রাজীব
রায়, অনন্ত বিহারী থিসা, ড. নীরু কুমার চাকমা প্রমূখ।

৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২৭৫ কি. মি.।

১০. যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস। : ঢাকা-সায়েদাবাদ, মতিঝিল-খাগড়াছড়ি-ঢাকা।
বাস স্টেশন, খাগড়াছড়ি বাস স্টেশন । এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৩৭১ ও
পোস্ট কোড-৪৪০০ ।

১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক অরণ্য বার্তা ও দৈনিক প্রতিদিন।

১২. পৌরসভা০৩টি ও ইউনিয়ন-৩৫টি।

১৩. উপজেলা ভূমি অফিস-০৬টি ।

১৪. মৌজার সংখ্যা-১২১টি ও গ্রামের সংখ্যা-১,৩৮৮টি।

১৫. আদর্শ গ্রাম-৮১টি । শিক্ষার হার-৪৪.০৭%

১৬. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, গম, সরিষাভুট্টা, তুলা ও আখ ।

১৭শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-৪২০টি, উচ্চ বিদ্যালয়-৭১টি, কলেজ
০৭ টি ও মাদ্রাসা-৩৫টি।

১৮. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-২৫৫টি, মন্দির৪৭০টি ও গীর্জা-২৬টি।

১৯. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-৭টি।

২০. নদনদীর নাম : চেঙ্গী, মাইনী, ফেনী ইত্যাদি।

২১. দর্শনীয় স্থান : আলুটিলা পাহাড়ের রহস্যময় সুড়ঙ্গ, নুনছড়ি মৌজার দেবতা
পুকুর, রিছাং ঝর্ণা, ঐতিহাসিক রামগড়, রামগড় লেক, পাহাড়ি কৃষি গবেষণা
কেন্দ্রের খামার, দীঘিনালা সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও ভগবান টিলা ।

লক্ষীপুর জেলার ইতিহাস



১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : ১৯৭৬ সালে ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ৫নং বাস্কানগর
ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। পরে আরো নতুন নতুন মৌজা
নিয়ে পৌরসভার বিস্তৃতি ঘটে। লক্ষ্মীপুর নামে থানা পতিষ্ঠিত হয় ১৮৬০
সালে । রায়পুর-১৮৭৭ সালে, রামগঞ্জ-১৮৯১ সালে, রামগতি-১৮৮৩ সালে।
এবং লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নিয়ে ১৯৭৯ সালে লক্ষ্মীপুর মহকুমা এবং ২৮
ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা গঠিত হয় ।

২. নামকরণ : বঙ্গোপসাগর এবং মেঘনার মিলন স্থলে অবস্থিত জেলা লক্ষ্মীপুর।
শ্ৰীসুরেস চন্দ্রনাথ মজুমদার মহাশয়ের রাজপুরুষ ‘যোগী বংশ" একখানা
গবেষণামূলকগ্রস্থ । সেই গ্রন্থে দালাল বাজারের জমিদার রাজ গৌর কিশোর
রায় চৌধুরী সম্বন্ধে তিনি লিখেছেন ১৬২৯-১৬৫৮ সালের মধ্যে তার পূর্ব পুরুষ
দালাল আসেন। রাজা গৌর কিশোর রায় ১৭৬৫ সালে কোম্পানীর নিকট
থেকে “রাজা” উপাধি পান। তার বংশের লক্ষ্মীনারায়ণের নামানুসারে এই
জেলার নামকরণ হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।

৩. আয়তন : (প্রায়) ১৫৩৪.০৭ বৰ্গ কি. মি.।

৪. লোকসংখ্যা : মোট- (প্রায়) ১৭,২৯,১৮৮ জন। পুরুষ- ৮,২৭,৭৮০ ও
মহিলা-৯,০১,৪০৮। বৃদ্ধির হার : ১.৪৮% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ১২০০
জন ।

৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম। এ ০৫টি। লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ,
কমলনগর ও রামগতি ।

৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ৪টি। লক্ষ্মীপুর, রামগঞ্জ, রায়পুর ও রামগতি । সীমান্ত ফাড়ি- ০৮টি ।

৭. সংসদীয় আসন : ০৪টি। (১) রামগঞ্জ উপজেলা। (২) রায়পুর উপজেলা ও
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ :- উত্তর হামছাদী, দক্ষিণ
হামছাদী, দালাল বাজার, চর রুহিতাপার্বতী নগর, বশিকপুর, শাকচর, টুমচর
ও চর। রমনী মোহন। (৩) নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ ব্যতীত লক্ষ্মীপুর সদর
উপজেলা : উত্তর হামছাদী, দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, চর রুহিতা
পার্বতী নগর, বশিকপুর, শাকচর, টুমচর ও চর রমনী মোহন । (৪) রামগতি ও
কমলনগর উপজেলা।

৮. বিশিষ্ট ব্যক্তি : মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক কবির চৌধুরীমোহাম্মদ উল্লাহ,
অধ্যাপক মুজাফফর আহমদ চৌধুরীড. আন্দুল মতিন চৌধুরীকাজী
মোতাহার হোসেন, ড. মফিজুল্লাহ কবির, আবুল আহসান, মোহাম্মদ তোয়াহা,
মেজর জেনারেল (অব.) ড. এ এস এম মতিউর রহমান, আ স ম আন্দুর রব,
আন্দুর রব চৌধুরীরুহুল আমিন, এম এম রুহুল আমিন, আনসার উদ্দিন
সৈয়দ বদরুল আলম, কামাল উদ্দিন খান, আলহাজ্ব এম এ হাসেম, আলী
হায়দার, শফিক উল্লাহ, মো: নুরুল আমিন প্রমুখ।

৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২১৬ কি. মি.।

১০. যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস : ঢাকা-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা বাস স্টেশন, লক্ষীপুর বাস
স্টেশন । এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৩৮১ ও পোস্ট কোড-৮০০।

১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক লক্ষ্মীপুর কণ্ঠ, উপকূল কণ্ঠ, ভোরের মালঞ্চ, নতুন চাদ,
সাপ্তাহিক এলান, নতুন সমাজ, দামামা, রামগঞ্জ বার্তা, রামগতি দর্পণ ও
আনন্দ আকাশ ।

১২. পৌরসভা০৪টি ও ইউনিয়ন-৫৮টি।

১৩. উপজেলা ভূমি অফিস-০৫টি ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস-৪৬টি।

১৪. মৌজার সংখ্যা-৪৭৪টি ও গ্রামের সংখ্যা-৫১৪টি।

১৫. আদর্শ গ্রাম-০৯টি। শিক্ষার হার-৬২.২৬%।

১৬. উল্লেখযোগ্য ফসল। : ধান, সুপারী, নারিকেল, সয়াবিন, গম, সরিষা, পাট, ।
মরিচ, আলু, ডাল, ভুট্টা, চিনাবাদাম ও আখ ।

১৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-৭১৫টি, জুনিয়র বিদ্যালয়-২০টি,
মাধ্যমিক বিদ্যালয়-১৬৬টি, কলেজ-২৪ টি ও মাদ্রাসা-১৮৫টি।

১৮. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-৩,৫৩৯টি, মন্দির-৪৫টি ও গীর্জা-০১টি।

১৯. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স০৩টি, পরিবার
কল্যাণ কেন্দ্ৰ-০৩, ক্লিনিক-১৩টি ও প্যাথলজি-৩৫টি।

২০. নদনদীর নাম : মেঘনা, ডাকাতিয়া ইত্যাদি ।

২১. দর্শনীয় স্থান : দালাল বাজার জমিদার বাড়ীকামানখোলা জমিদার বাড়ী, তিতা
বা জমিদার বাড়ি, জ্বীনের মসজিদ, খোয়া সাগর দিঘী, মটকা মসজিদ ও মজু
চৌধুরী ঘাট ।

২২. জেলার ঐতিহ্য : ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে লক্ষ্মীপুর ছিল লবন ও বস্ত্র।
শিল্পে সমৃদ্ধ। সন্ট হাউজ ও কুঠি বাড়িগুলো এ শিল্পকে নিয়ন্ত্রন করত ।
সাহাপুর কুঠি বাড়ি, জকসিন কুঠি বাড়ি ও রায়পুরের উত্তরে সাকেরগঞ্জ কুঠি
বাড়ি লবন ও বস্ত্র ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত । যা এখনও জেলার ঐতিহ্য হিসেবে
পরিগনিত হয়।

নোয়াখালী জেলার ইতিহাস



১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : নোয়াখালী জেলার মর্যাদা পায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী
কর্তৃক এদেশে জেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়।
থেকেই । ১৭৭২ সাল কোম্পানীর গর্ভনর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস
এদেশে প্রথম আধুনিক জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রচেষ্টা করেন।
তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ১৯টি জেলায় বিভক্ত করে প্রতি জেলায় একজন।
করে কালেক্টর নিয়োগ করেন। এ ১৯টি জেলার একটি ছিল কলিন্দা। এ
জেলাটি গঠিত হয়েছিল মূলত নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে। কিন্তু ১৭৭৩ সালে।
জেলা প্রথা বাতিল করা হয় এবং প্রদেশ প্রথা চালু করে জেলাগুলোকে করা
হয় প্রদেশের অধীনস্থ অফিস। ১৭৮৭ সালে পুনরায় জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা।
প্রবর্তন করা হয় এবং সমগ্র বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করা হয়। এ
১৪টির মধ্যে ভুলুয়া নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে
১৭৯২ সালে ত্রিপুরা নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্ত
ভূক্ত করা হয়। ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠার পূর্ব
পর্যন্ত এ অঞ্চল ছিল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত। নোয়াখালী, লক্ষীপুর ও ফেনী
মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা গঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে সরকারী সিদ্ধান্ত
মোতাবেক সকল মহকুমাকে জেলায় রূপান্তরিত করা হলে লক্ষীপুর ও ফেনী
জেলা আলাদা হয়ে যায়। শুধুমাত্র নোয়াখালী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা
পুনঃগঠন করা হয় ।

২. নামকরণ নোয়াখালী জেলার নামকরণ নিয়ে অনেকে মনে করেন,
নোয়াখালী নামে খাল থেকেই নোয়াখালী জেলার নামকরণ করা হয়েছে।

৩. আয়তন : (প্রায়) ৪২০২.৭০ বৰ্গ কি. মি.।

৪. লোকসংখ্যা : মোট- (প্রায়) ৩১,০৮,০৮৩ জন। পুরুষ- ১৪,৮৫,১৬৯ ও
মহিলা- ১৬২২,৯১৪ । বৃদ্ধির হার : ১.৮৬% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) :
৮৪৩ জন।

৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম ঃ ০৯টি । চাটখিল, সেনবাগ, । সোনাইমুড়ী
বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর ও হাতিয়া ।

৬. থানার সংখ্যা ও নাম ঃ ০৯টি। নোয়াখালী সদর, চাটখিল, সেনবাগ, ।
সোনাইমুড়ীবেগমগঞ্জকবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জসুবর্ণচর ও হাতিয়া।
ফাঁড়ি-০৮টি।

৭. সংসদীয় আসন : ০৬টি । (১) চাটখিল উপজেলা ও নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ
ব্যতীত সোনাইমুড়ী উপজেলা : বারগাও, নাটেশ্বর ও অম্বর নগর ।
নোয়াখালী। (২) সেনবাগ উপজেলা ও সোনাইমুড়ী উপজেলার নিম্নবর্ণিত
ইউনিয়নসমূহ : বারগাও, নাটেশ্বর ও অম্বর নগর নোয়াখালী । (৩) বেগমগঞ্জ
উপজেলা। (৪) নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ ব্যতীত নোয়াখালী সদর উপজেলা
: নেয়াজপুর ও অশ্বদিয়া এবং সুবর্ণচর উপজেলা। (৫) কোম্পানীগঞ্জ ও
কবিরহাট উপজেলা এবং নোয়াখালী সদর উপজেলার নিম্নবর্ণিত
ইউনিয়নসমূহ : নেয়াজপুর, অশ্বদিয়া । (৬) হাতিয়া উপজেলা।

৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : রাজনীতিবীদ ওবায়দুল কাদের, মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার
ওবায়েদ উল্লাশহীদ বুদ্ধিজীবী এ এন এম মুনির চৌধুরীআন্দুল মালেক
উকিল, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, রফিক উল্লাহ চৌধুরীসার্জেন্ট জহুরুল হক,
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বেলাল চৌধুরীআবু তাহের প্রমূখ।

৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-১৯২ কি. মি. ও রেলপথে-২৪২ কি. মি.।

১০. যোগাযোগ ব্যবস্থা । : বাস- ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা বাস স্টেশন, নোয়াখালী
কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন। এনডব্লিউডি কোড নম্বর । : ০৩২১ ও পোস্ট কোড-
৩৮০০ ।

১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক নোয়াখালী বার্তা, জাতীয় নূর, জাতীয় নিশান, সচিত্র।
নোয়াখালী, জনতার অধিকার, নোয়াখালীর প্রত্যাশা, নোয়াখালীর খবর,
সফল বার্তা, সাপ্তাহিক আজকাল পত্র ও চলমান নোয়াখালী।

১২. পৌরসভা-০৮টি ও ইউনিয়ন-৯১টি।

১৩. উপজেলা ভূমি অফিস-০৯টি ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস-৬৫টি।

১৪. মৌজার সংখ্যা-৯৪৬টি ও গ্রামের সংখ্যা-৭৮৬টি ।

১৫. মোট পরিবার- ৫,০৪,৫৫২ টি ও মোট জমি-৭,৬৫,১২৯ একর।

১৬. শিক্ষার হার-৬৯.৫০%।

১৭. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, গম, সরিষা, ভুট্টা, তুলা ও আখ ।

১৮. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-১,২৪৩টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-২৮৭টি,
কলেজ-৩৫টি ও মাদ্রাসা-১৬১টি।

১৯. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-৪,৪৮৪টি।

২০. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৭টি, উপ
স্বাস্থ্য কেন্দ্র-২৯টি ও ক্লিনিক-৪০টি।

২১. নদনদীর নাম : মেঘনা, ডাকাতিয়া, কাটাখালী, ফেনী ইত্যাদি।

২২. দর্শনীয় স্থান : বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্মৃতি জাদুঘর, চরবাটা স্টীমার ঘাট,
জেলা জামে মসজিদ, বজরা শাহী জামে মসজিদ, গান্ধী আশ্রম, নিঝুম দ্বীপ,
গাংচিল স্নাইস, রামনারায়ণপুর মিয়া বাড়ী ও ক্যাথলিক গীর্জা।

২৩জেলার ঐতিহ্য : ফকির ছাডু মিজি (র:) সাহেবের দরগাহ নোয়াখালী জেলা
শহরে মাইজদী কোর্টের কেন্দ্রস্থল জেলা প্রশাসকের বাসভবন থেকে মাত্র
২০০ গজ পূর্ব উত্তরে অবস্থিত। কবে কখন এ ঐতিহ্যবাহী দরগাহ প্রতিষ্ঠিত
করেছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি তবে মরহুম মুজাফফর আহাম্মদ
(১১৪) থেকে জানা যায় এ দরগাহ তাদের বাপ-দাদার আগে থেকেই ছিল।
যা জেলার ঐতিহ্যের প্রতীক।

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে শিবগঞ্জ উপজেলাবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

 বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহিম ঈদ বয়ে আনুক সবার জীনবে সুখ শান্তি ও কল্যাণের বার্তা ঈদের দিনের মতো সুন্দর হোক প্রতিটি দিন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক...