28 February, 2018

৩. পারমাণবিক বোমা,বাংলা রচনা

বাংলা রচনা


(সংকেত: ভূমিকা; পারমাণবিক বোমা কী; পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের ইতিহাস; বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক বোমার ব্যবহার; পারমাণবিক বোমা ও বিশ্বশান্তির অবনতি; পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রসমূহ; পারমাণবিক বোমার ব্যবহার প্রতিরোধ; উপসংহার।)
ভূমিকা: আধুনিক বিশ্বসভ্যতার যুগে যা কিছু অভিশাপ স্বরূপ আবির্ভূত হয়েছে তার মধ্যে পারমাণবিক বোমা অন্যতম। পারমাণবিক বোমা আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই এটি বিশ্ববাসীর কাছে নিকৃষ্টতম বর্বরতার হাতিয়ার নামে বিবেচিত হয়ে আসছে। এর ব্যবহারে গোটা মানবগোষ্ঠী দেখেছে সভ্যতার এক ভয়ানক ও বীভৎস রূপ। বর্তমান বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের মালিকানা বিশ্বের বুকে শক্তিধরের পরিচয় বহন করে। এরূপ অস্ত্র ও বোমার উপর অধিকার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে নিজেকে মহাশক্তিধর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অভিপ্রায় প্রকাশ করে সবাই। তবে সাম্প্রতিককালে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক বোমা ও অস্ত্রের নিরস্ত্রীকরণের জোর প্রচেষ্টা চলছে। কেননা এর অপব্যবহার মানুষের জীবনকে দাঁড় করিয়েছে মারাত্মক হুমকির মুখে।

পারমাণবিক বোমা কী: পারমাণবিক বোমা হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক অস্ত্র। পরমাণুর কেন্দ্র বিভাজিত হওয়ার সময় উদ্ভুত শক্তির সাহায্যে প্রবলভাবে বিস্ফোরিত বোমাকে পারমাণবিক বোমা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। একে নিউক্লিয়ার বোমাও বলা হয়ে থাকে।

পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের ইতিহাস: নৃশংস বর্বরতার প্রতীক পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের রয়েছে একটি সুদীর্ঘ ইতিহাস। এই ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে বেশ কিছু বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও গবেষকের নাম। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের প্রচেষ্টা শুরু হয় ১৯১৯ সালে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী রাদারফোর্ডের হাত ধরে। পরবর্তীতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক এই প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করেন নিজ নিজ গবেষণা কর্মের মাধ্যমে। জর্জ বি. প্রোগ্রাম, কন্যান্ট, ব্রিগম, লরেন্স, মারফ্রি প্রমুখ বিজ্ঞানীরা এ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যান। ১৯৪৩ সালে বিজ্ঞানী ওপেনহেইমার এই প্রচেষ্টাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যান। তার ধারাবাহিকতায় ১৯৪৫ সালের প্রথম দিকে প্রথম পারমাণবিক বোমা আবিষ্কৃত হয়। এই কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ওপেনহেইমারকে বলা হয় পারমাণবিক বোমার আবিষ্কারক। আবিষ্কারের কিছুদিন পরেই বিশ্ববাসী দেখতে পেয়েছে এ বোমার ভয়াবহ ও মর্মান্তিক ব্যবহার।

বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক বোমার ব্যবহার:
পারমাণবিক বোমার ব্যবহার কতটা নিষ্ঠুর ও ভয়ংকর হতে পারে তা প্রথম প্রমাণিত হয় ১৯৪৫ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে। যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে এ বোমা ব্যবহারের পরিণতি ছিল খুবই ভয়াবহ ও হৃদয় বিদারক। ১৯৩৯ সালে শুরু হয়ে ২য় বিশ্বযুদ্ধের ব্যপ্তি ছিল ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত। সেই যুদ্ধে জার্মান-জাপান-ইতালি ছিল ফ্যাসিবাদী অক্ষশক্তি। পারমাণবিক বোমার আবিষ্কারক ওপেন হেইমারের পরিকল্পনা ছিল তৎকালীন নাৎসি বাহিনীর প্রধান হিটলারের বর্বরতা ও অত্যাচার থেকে জার্মান তথা মানবজাতিকে মুক্ত করার জন্য ঐ বোমা ব্যবহার করা হবে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে সময় জাপানকেই সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করেছিল। যার ফলে চূড়ান্ত আক্রমণের জন্য তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হেনরি ট্রূম্যান জাপানকেই চিহ্নিত করেন। অবশেষে ১৯৪৫ সালের ৬ আগষ্ট বোমারু বিমানের মাধ্যমে মার্কিন বাহিনী জাপানের হিরোশিমা শহরে একটি ২০,০০০ টন টি.এন.টি শক্তিসম্পন্ন পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এর ফলে শহরের বিশাল অঞ্চল সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। প্রায় পুরো শহরজুড়ে তৈরি হয় ধ্বংসের মহাস্তুপ। বোমার বিস্ফোরণে মারা যায় প্রায় ৬৬ হাজার মানুষ এবং আহত হয় আরো ৬৯ হাজার। অথচ ঐ শহরের অধিবাসী ছিল প্রায় ৩,৪৩,০০০ জন। হিরোশিমা ধ্বংসযজ্ঞের রেশ কাটতে না কাটতেই একই মাসের ৯ তারিখ আবারো পারমাণবিক বোমা বিক্ষেপ করা হয় জাপানের নাগাসাকি শহরে। এতে মারা যায় প্রায় ৩৯ হাজার লোক এবং আহত হয় আরো ২৫ হাজার। পারমাণবিক বোমার আঘাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় প্রায় ৬০ হাজার ঘর বাড়ি। ১৯৪৫ সালের পর বোমার ব্যবহার তেমন প্রসারিত না হলেও বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারমাণবিক বোমা ও অস্ত্র ব্যবহার করার প্রবণতা এখনো দেখা যায়।

পারমাণবিক বোমা ও বিশ্বশান্তির অবনতি: বিশ্বশান্তির ধারায় প্রবলভাবে আঘাত করেছে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। কিন্তু বিশ্ব নেতারা এই ভয়াবহ ধ্বংসলীলা ও চরম অমানবিক আচরণের পরিণাম থেকে তেমন কোনো শিক্ষাগ্রহণ করেছে বলে মনে হয় না। যার ফলে বিশ্বে নতুন করে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং দেশে-দেশে অরাজকতা ও শত্রুতা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন প্রভৃতি ক্ষমতাধর রাষ্ট্র পারমাণবিক বোমা তৈরি ও ব্যবহার করার এক নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। যার ফলস্বরূপ বিশ্বশান্তি প্রতিনিয়ত চরম অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।

পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রসমূহ: বর্তমান বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে শক্তির একটি মাপকাঠি হিসাবে পারমাণবিক বোমা ও অস্ত্র থাকা -না থাকাকে ধরা হয়। এর ভিত্তি শীর্ষ পাঁচটি ক্ষমতাশালী দেশকে পারমাণবিক শক্তি সমৃদ্ধ দেশ বলা হয়ে থাকে। দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও চীন। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এরা নিউক্লিয়ার ক্লাব নামে পরিচিত। এই পাঁচটি দেশের বাইরেও ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও ইসরাইলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে মনে করা হয়।

পারমাণবিক বোমার ব্যবহার প্রতিরোধ: আধুনিক সভ্যতাকে পারমাণবিক বোমা ও অস্ত্রের বিষাক্ত প্রকোপ থেকে রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সর্বপ্রথম উদ্যোগ নেয় ১৯৬৮ সালে। ১৯৭০ সালে প্রথম একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রাথমিকভাবে সেই নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল মাত্র ৩টি দেশ। পরে ১৯৯৫ সালে ঐ সংখ্যা বেড়ে ১৭৩- এ দাঁড়ায়। বিশ্ববাসীর এ ব্যাপারে সচেতনতার সূত্র ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে আন্তর্জাতিক ‘রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা (OPCW)। পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার কমানো এবং ক্রমান্বয়ে বন্ধ করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সিটিবিটি (CTBT)। যার পূর্ণনাম হচ্ছে 'Comprehensive Nuclear Test Ban Treaty'। এটির উদ্দেশ্য ছিল নতুন করে কেউ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি এবং ব্যবহার করতে চাইলে তাতে বাধা দেওয়া। এ কথা পরিষ্কার যে, পারমাণবিক বোমার ভয়াবহতা থেকে বিশ্ববাসীকে রেহাই দিতে হলে দরকার মূলত অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সদিচ্ছা। নিজ নিজ অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করতে হবে সবার আগে। অন্যথায় চুক্তিপত্রের কার্যকারিতা কখনো সফলতার মুখ দেখবে না।

উপসংহার: পারমাণবিক শক্তির আবিষ্কার নিঃসন্দেহে মানব সভ্যতার অন্যতম একটি কৃতিত্ব। এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের কল্যাণ সাধন করা যায়। অথচ এটা ব্যবহৃত হচ্ছে মানবজাতিকে ধ্বংস করার কাজে। পারমাণবিক বোমা ও শক্তি নিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যুদ্ধ পুরোপুরি নিরসন না করে বিশ্বে শান্তি স্থাপন করা সম্ভব নয়। মানব সভ্যতার হুমকি এই পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করার মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ করতে বিশ্বনেতাদের পদক্ষেপ অপরিহার্য। এক্ষেত্রে সবার আগে পারমানবিক অস্ত্র-সমৃদ্ধ দেশগুলোর এগিয়ে আসা উচিৎ।

অর্থসহ ছেলে শিশুদের পূর্ণাঙ্গ ইসলামি নাম




১ - আবরার আজমল - ন্যায়বান নিখুঁত

২ - আবরার আখলাক - ন্যায়বান চরিত্র

৩ - আবরার আখইয়ার - ন্যায়বান চমৎকার মানুষ

৪ - আবরার আমজাদ - ন্যয়বান সম্মানিত

৫ - আবরার ফাইয়াজ - ন্যায়বান দাতা

৬ - আবরার ফসীহ - ন্যায়বান বিগুদ্ধভাষী

৭ - আবরার ফাহাদ - ন্যায়বান সিংহ

৮ - আবরার গালিব - ন্যায়বান বিজয়ী

৯ - আবরার হাসিন - ন্যায়বান সুন্দর

১০ - আবরার হামিদ - ন্যায়বান রক্ষাকারী

১১ - আবরার হাফিজ - ন্যায়বান রক্ষাকারী

১২ - আবরার হামিদ - ন্যায়বান প্রশংসাকারী

১৩ - আবরার হাসান - ন্যায়বান উত্তম

১৪ - আবরার হাসনাত - ন্যায়গুণাবলী

১৫ - আবরার হামিম - ন্যায়বান বন্ধু

১৬ - আবরার হানিফ - ন্যায়বান ধার্মিক

১৭ - আবরার জলীল - ন্যায়বান মহান

১৮ - আবরার জামিল - ন্যায়বান সুন্দর

১৯ - আবরার জাওয়াদ - ন্যায়বান দানশীল

২০ - আবরার করিম - ন্যায়বান দয়ালূ

২১ - আবরার খলিল - ন্যায়বান বন্ধু

২২ - আবরার লাবীব - ন্যায়বান বুদ্ধিমান

২৩ - আবরার মাসুম - ন্যায়বান নিষ্পাপ

২৪ - আবরার মাহির - ন্যায়বান দক্ষ

২৫ - আবরার মোহসেন - ন্যায়বান উপকারী

২৬ - আবরার মুইন - ন্যায়বান সাহায্যকারী

২৭ - আবরার নাসির - ন্যায়বান সাহায্যকারী

২৮ - আবরার রইস - ন্যায়বান ভদ্রব্যক্তি

২৯ - আবরার শাহরিয়ার - ন্যায়বান বিচক্ষণ

৩০ - আজমল জাহিন - ন্যায়বান বিচক্ষণ

৩১ - আজমল আবসার - নিঁখুত দৃষ্টি

৩২ - আজমল ফুয়াদ - নিখুঁত অন্তর

৩৩ - আজমল আওসাফ - নিখুঁত গুণাবলী

৩৪ - আহমার আখতার - লাল তাঁরা

৩৫ - আসীর আবরার - সম্মানিত ন্যায়বান

৩৬ - আসীর ফয়সাল - সম্মানিত বন্ধু

৩৭ - আসীর ইনতিসার - সম্মানিত বিজয়

৩৮ - আসীর মুজতবা - সম্মানিত মনোনীত

৩৯ - আসীর মোসলেহ - সম্মানিত প্রত্যয়নকারী

৪০ - আসীর মনসুর - সম্মানিত বিজয়ী

৪১ - আসীর ওয়াদুদ - সম্মানিত বন্ধু

৪২ - আবরার ফুয়াদ - ন্যায়পরায়ণ অন্তর

৪৩ - আবরার ফয়সাল - ন্যায় বিচারক

৪৪ - আবরার আহমাদ - ধর্মিবিশ্বাসী প্রশংসাকারী

৪৫ - আহনাফ আবিদ - ধর্মিবিশ্বাসী এবাদতকারী

৪৬ - আহনাফ আদিল - ধর্মিবিশ্বাসী ন্যায়পরায়ণতা

৪৭ - আহনাফ আমের নাহি - ধর্মিবিশ্বাসী শাসক

৪৮ - আহনাফ আনসার - ধর্মিবিশ্বাসী সাহায্যকারী

৪৯ - আহনাফ আতেফ - ধর্মিবিশ্বাসী দয়ালূ

৫০ - আহনাফ আকিফ - ধর্মিবিশ্বাসী উপাসক

৫১ - আহনাফ হাবিব - ধর্মিবিশ্বাসী বন্ধু

৫২ - আহনাফ হামিদ - ধর্মিবিশ্বাসী প্রশংসাকারী

৫৩ - আহনাফ হাসান - ধর্মিবিশ্বাসী উত্তম

৫৪ - আহনাফ মুজাহিদ - ধর্মিবিশ্বাসী সংযমশীল

৫৫ - আহনাফ মুত্তাকী - ধর্মিবিশ্বাসী সংযমশীল

৫৬ - আহনাফ মোহসেন - ধর্মিবিশ্বাসী উপকারী

৫৭ - আহনাফ মুরশেদ - ধর্মিবিশ্বাসী প্রত্যয়ণকারী

৫৮ - আহনাফ মোসাদ্দেক - ধর্মিবিশ্বাসী প্রত্যয়ণকারী

৫৯ - আহনাফ মুইয - ধর্মিবিশ্বাসী সম্মা্নীত

৬০ - আহনাফ মনসুর - ধর্মিবিশ্বাসী বিজয়ী

৬১ - আহনাফ রাশীদ - ধর্মিবিশ্বাসী

৬২ - আহনাফ শাকিল - ধর্মিবিশ্বাসী সুপুরুষ

৬৩ - আহনাফ শাহরিয়ার - ধর্মিবিশ্বাসী রাজা

৬৪ - আহনাফ তাহমিদ - ধর্মিবিশ্বাসী প্রতিনিয়ত

৬৫ - আহনাফ তাজওয়ার - আল্লাহর প্রশংসাকারী

৬৬ - আহনাফ ওয়াদুদ - ধর্মিবিশ্বাসী বন্ধু

৬৭ - আমজাদ হাবিব - সম্মানীত বন্ধু

৬৮ - আকিল আখতাব - বিচক্ষণ বন্ধু

৬৯ - আবিদ আখতাব - ভাষাবিদ ভক্তা

৭০ - আদিল আহনাফ - ন্যায়পরায়ন ধামিক

৭১ - আজওয়াদ আবরার - অতি উত্তম ন্যায়বান

৭২ - আহনাফ আহমাদ - ধার্মিক অতি প্রশংসনীয়

৭৩ - আজওয়াদ আখলাক - অতি উত্তম চারিত্রিক গুণাবলী

৭৪ - আজমল আহমেদ - নিখুঁত অতি প্রশংসাকারী

৭৫ - আহমার আজবাল - লাল পাহাড়

৭৬ - আবইয়াজ আজবাল - সাদা পাহাড়

৭৭ - আহমার আবরেশাম - লাল বর্ণের সিল্ক

৭৮ - আবইয়াজ আবরেশাম - সাদা বর্ণের সিল্ক

৭৯ - আজমাইন আদিল - সম্পূর্ণ ন্যায় পরায়ণ

৮০ - আলি আবসার - উচ্ছ দৃষ্টি

৮১ - িআখজার আবরেশাম - সবুজ বর্ণের সিল্ক

৮২ - আরহাম আহবাব - সবচাইতে সংবেদনশীল বন্ধু

৮৩ - আরশাদ আরমাস - অতি স্বচ্ছ হীরা

৮৪ - আশহাব আসাদ - বীর সিংহ

৮৫ - আশফাক বাহবাব - অধিক স্নেহশীল বন্ধু

৮৬ - আসেফ আকতাম - যোগ্য নেতা

৮৭ - আকমার আনজুম - অতি উজ্জল তারা

৮৮ - আসেফ আমের - যোগ্য শাসক

৮৯ - আমজাদ আমের - অতিদানশীল শাসক

৯০ - আকরাম আমের - অতি বুদ্ধিমান শাসক

৯১ - আজরফ আমের - অতি বুদ্ধিমান শাসক

৯২ - আকমার আবসার - অতি উজ্জ্বল দৃষ্টি

৯৩ - আকমার আজমাল - অতি উজ্জ্বল অতি সুন্দর

৯৪ - আকমার আহমার - অতি উজ্জ্বল লাল

৯৫ - আরহাম আখইয়ার - সবচেয়ে সংবেদনশীল চমৎকার

৯৬ - আকমার আওসাফ - অতি উজ্জল গুণাবলী মানুষ

৯৭ - আকমার আনওয়ার - অতি উজ্জ্বল জ্যেতিমালা

৯৮ - আফজাল আহবাব - অতি উত্তম বন্ধু

৯৯ - আতেফ আমের - দয়ালু শাসক

১০০ - আতেফ আকতাব - দয়ালু নেতা

১০১ - আতেফ আসাদ - দয়ালু সিংহ

১০২ - আতেফ আকরাম - দয়ালু অতি দানশীল

১০৩ - আতেফ আকবর - দয়ালূ মহান

১০৪ - আতেফ আশহাব - দয়ালূ বীর

১০৫ - আতেফ আজিজ - দয়ালূ ক্ষমতাবান

১০৬ - আতেফ আরমান - দয়ালু ইচ্ছা

১০৭ - আতেফ আরহাম - দয়ালু সংবেদনশীল

১০৮ - আতেফ আহরার - দয়ালু সরল

১০৯ - আতেফ আহবাব - দয়ালু বন্ধু

১১০ - আতেফ আবরার - দয়ালু ন্যায়বান

১১১ - আতেফ আবসার - দয়ালু দৃষ্টি

১১২ - আতেফ আহমাদ - দয়ালু অতি প্রশংসনীয়

১১৩ - আতেফ আনসার - দয়ালু সাহায্যকারী

১১৪ - আতেফ আনিস - দয়ালু বন্ধু

১১৫ - আতেফ বখতিয়ার - দয়ালু সৌভাগ্যবান

১১৬ - আসলাম আনজুম - নিরাপদ তারা

১১৭ - আজমাইন ফায়েক - সম্পূর্ন উত্তম

১১৮ - আমাদ আশহাব - অতি প্রশংসনীয় বীর

১১৯ - আকদাস আরমান - অতি পবিত্র ইচ্ছা

১২০ - আতহার আনওয়ার - অতি পবিত্র জ্যোতির্মালা

১২১ - আতহার ফিদা - অতি পবিত্র উৎসর্গ

১২২ - আতহার ইশরাক - অতি পবিত্র সকাল

১২৩ - আতহার ইশতিয়াক - অতি পবিত্র ইচ্ছা

১২৪ - আতহার ইহসাস - অতি পবিত্র অনুভূতি

১২৫ - আতহার জামাল - অতি পবিত্র সৌন্দর্য

১২৬ - আতহার মাসুম - অতি পবিত্র নিষ্পাপ

১২৭ - আতহার মুবারাক - অতি পবিত্র শুভ

১২৮ - আতহার মেসবাহ - অতি পবিত্র প্রদীপ

১২৯ - আতহার নূর - অতি পবিত্র আলো

১৩০ - আতহার শাহাদ - অতি পবিত্র মধু

১৩১ - আতহার শিহাব - অতি পবিত্র উজ্জল তারকা

১৩২ - আতহার সিপার - অতি পবিত্র ধর্ম

১৩৩ - আতহার জুহায়ের - অতি পবিত্র উজ্জল

১৩৪ - আরিফ আবসার - পবিত্র দৃষ্টি

১৩৫ - আরিফ আজমল - পবিত্র অতি সুন্দর

১৩৬ - আরিফ আসমার - পবিত্র ফলমূল

১৩৭ - আরিফ আখতার - পবিত্র তারকা

১৩৮ - আরিফ আরমান - পবিত্র ইচ্ছা

১৩৯ - আরিফ আনজুম - পবিত্র তারকা

১৪০ - আরিফ আশহাব - জ্ঞানবীর

১৪১ - আরিফ আকতাব - জ্ঞানী নেতা

১৪২ - আরিফ আকরাম - জ্ঞানী অতি দানশীল

১৪৩ - আরিফ আলমাস - পবিত্র হীরা

১৪৪ - আরিফ আমের - জ্ঞানী শাসক

১৪৫ - আরিফ নেসার - পবিত্র উৎসর্গ

১৪৬ - আরিফ আনওয়ার - পবিত্র জ্যোতির্মালা

১৪৭ - আরিফ বখতিয়ার - জ্ঞানী সৌভাগ্যবান

১৪৮ - আরিফ ফয়সাল - জ্ঞানী বিচারক

১৪৯ - আরিফ ফুয়াদ - জ্ঞানী অন্তর

১৫০ - আরিফ গওহর - পবিত্র মুক্তা

১৫১ - আরিফ হাসনাত - পবিত্র গুণাবলি

১৫২ - আরিফ হানিফ - জ্ঞানী ধার্মিক

১৫৩ - আরিফ হামিম - জ্ঞানী বন্ধু

১৫৪ - আরিফ শাকিল - জ্ঞানী সুপুরুষ

১৫৫ - আরিফ শাহরিয়ার - জ্ঞানী রাজা

১৫৬ - আরিফ রমিজ - পবিত্র প্রতীক

১৫৭ - আরিফ রায়হান - পবিত্র সুগন্ধীফুল

১৫৮ - আরিফ সালেহ - জ্ঞানী চরিত্রবান

১৫৯ - আরিফ সাদিক - জ্ঞানী সত্যবান

১৬০ - আরিফ ইশতিয়াক - পবিত্র ইচ্ছা

১৬১ - আরিফ জামাল - পবিত্র সৌন্দর্য

১৬২ - আরিফ জাওয়াদ - জ্ঞানী দানশীল

১৬৩ - আরিফ মাহতাব - পবিত্র চাঁদ

১৬৪ - আরিফ মাহির - জ্ঞানী দক্ষ

১৬৫ - আরিফ মোসলেহ - জ্ঞানী সংস্কারক

১৬৬ - আরিফ মুইয - জ্ঞানী সম্মানিত

১৬৭ - আরিফ মনসুর - জ্ঞানী বিজয়ী

১৬৮ - আবরার আওসাফ - ন্যায় গুণাবলি

১৬৯ - আসীর আওসাফ - সম্মানিত গুণাবলি

১৭০ - আমাদ আওসাফ - অতি প্রশংসনীয় গুণাবলি

১৭১ - আরিফ আওসাফ - উচ্চ গুণাবলি

১৭২ - আরশাদ আওসাফ - সবচাইতে সৎ গুণাবলি

১৭৩ - আশহাব আওসাফ - বীর গুণাবলি

১৭৪ - আকবর আওসাফ - মহান গুণাবলি

১৭৫ - আয়মান আওসাফ - নির্ভীক গুণাবলি

১৭৬ - আজমাইন মাহতাব - পূর্ণ চাঁদ

১৭৭ - আজমাইন ইনকিসাফি - পূর্ণ সূর্যগ্রহণ

১৭৮ - আজমাইন ইনকিয়াদ - পূর্ণ বাধ্যতা

১৭৯ - আজমাইন ইকতিদার - পূর্ণ ক্ষমতা

১৮০ - আতিক আবরার - সম্মানিত ন্যায়বান

১৮১ - আতিক আবসার - সম্মানিত দৃষ্টি

১৮২ - আতিক আহবাব - সম্মানিত বন্ধু

১৮৩ - আতিক আহরাম - সম্মানিত স্বাধীন

১৮৪ - আতিক আহমাদ - সম্মানিত অতি প্রশংসনীয়

১৮৫ - আতিক আজিজ - সম্মানিত ক্ষমতাবান

১৮৬ - আতিক আজিম - সম্মানিত শক্তিশালী

১৮৭ - আতিক আশহাব - সম্মানিত বীর

১৮৮ - আতিক আসেফ - সম্মানিত যোগ্য ব্যাক্তি

১৮৯ - আতিক আকবর - সম্মানিত মহান

১৯০ - আতিক আমের - সম্মানিত শাসক

১৯১ - আতিক আনসার - সম্মানিত সাহায্যকারী

১৯২ - আতিক বখতিয়ার - সম্মানিত সৌভাগ্যবান

১৯৩ - আতিক ফয়সাল - সম্মানিত বিচারক

১৯৪ - আতিক ইশরাক - সম্মানিত প্রভাত

১৯৫ - আতিক জামাল - সম্মানিত সৌন্দর্য

১৯৬ - আতিক জাওয়াদ - সম্মানিত দানশীল

১৯৭ - আতিক মাসুদ - সম্মানিত সেৌভাগ্যবান

১৯৮ - আতিক মুজাহিদ - সম্মানিত ধর্মযোদ্ধা

১৯৯ - আতিক মুহিব - সম্মানিত প্রেমিক

২০০ - আতিক মাহবুব - সম্মানিত প্রিয় বন্ধু

২০১ - আতিক মুরশেদ - সম্মানিত পথ প্রদর্শক

২০২ - আতিক মোসাদ্দেক - সম্মানিত প্রত্যয়নকারী

২০৩ - আতিক মনসুর - সম্মানিত বিজয়ী

২০৪ - আতিক সাদিক - সম্মানিত সত্যবান

২০৫ - আতিক শাহরিয়ার - সম্মানিত রাজা

২০৬ - আতিক শাকিল - সম্মানিত সুপুরুষ

২০৭ - আতিক তাজওয়ার - সম্মানিত রাজা

২০৮ - আতিক ওয়াদুদ - সম্মানিত বন্ধু

২০৯ - আতিক ইয়াসির - সম্মানিত বন্ধু

২১০ - আতিক আহবাব - সম্মানিত বন্ধু

২১১ - আতিক আহরাম - সম্মানিত স্বাধীন

২১২ - আতিক আহমাদ - সম্মানিত অতি প্রশংসনীয়

২১৩ - আতিক আহনাফ - সম্মানিত খাঁটি ধার্মিক

২১৪ - আতিক আদিল - সম্মানিত ন্যায়পরায়ণ

২১৫ - আমজাদ আবিদ - সম্মানিত এবাদতকারী

২১৬ - আমজাদ আরিফ - সম্মানিত জ্ঞানী

২১৭ - আমজাদ আলি - সম্মানিত উচ্ছ

২১৮ - আমজাদ িআজিজ - সম্মানিত ক্ষমতাবান

২১৯ - আমজাদ আজিম - সম্মানিত শক্তিশালী

২২০ - আমজাদ আসাদ - সম্মানিত সিংহ

২২১ - আমজাদ আশহাব - সম্মানিত বীর

২২২ - আমজাদ সাদিক - সম্মানিত সত্যবান

২২৩ - আমজাদ রফিক - সম্মানিত বন্ধু

২২৪ - আমজাদ রইস - সম্মানিত ভদ্র লোক

২২৫ - আমজাদ নাদিম - সম্মানিত সঙ্গী

২২৬ - আমজাদ মুনিফ - সম্মানিত বিখ্যাত

২২৭ - আমজাদ লতীফ - সম্মানিত পবিত্র

২২৮ - আমজাদ লাবিব - সম্মানিত বুদ্ধিমান

২২৯ - আমজাদ জলীল - সম্মানিত মহান

২৩০ - আমজাদ খলিল - সম্মানিত বন্ধু

২৩১ - আমজাদ মোসাদ্দেক - সম্মানিত প্রত্যয়নকারী

২৩২ - আমজাদ মাহবুব - সম্মানিত বন্ধু

২৩৩ - আমজাদ শাকিল - সম্মানিত সুপুরুষ

২৩৪ - আমজাদ আসেফ - সম্মানিত যোগ্য ব্যক্তি

২৩৫ - আমজাদ আনিস - সম্মানিত বন্ধু

২৩৬ - আমজাদ আকিফ - সম্মানিত উপাসক

২৩৭ - আমজাদ বখতিয়ার - সম্মানিত সেৌভাগ্যবান

২৩৮ - আমজাদ বশীর - সম্মানিত সুসংবাদ বহনকারী

২৩৯ - আমজাদ ফুয়াদ - সম্মানিত বিজয়ী

২৪০ - আমজাদ হাবিব - সম্মানিত প্রিয় বন্ধু

২৪১ - আমজাদ হামি - সম্মানিত প্রিয় বন্ধু

২৪২ - আমজাদ হামিদ - সম্মানিত প্রশংসাকারী

২৪৩ - বখতিয়ার আহবাব - সৌভাগ্যবান বন্ধু

২৪৪ - বখতিয়ার আকরাম - সৌভাগ্যবান দানশীল

২৪৫ - বখতিয়ার আখতাব - সৌভাগ্যবান বক্তা

২৪৬ - বখতিয়ার আদিল - সৌভাগ্যবান ন্যায়পরায়ণ

২৪৭ - বখতিয়ার আবিদ - সৌভাগ্যবান এবাদতকারী

২৪৮ - বখতিয়ার আজিম - সৌভাগ্যবান শক্তিশালী

২৪৯ - বখতিয়ার আসলাম - সৌভাগ্যবান নিরাপদ

২৫০ - বখতিয়ার আশহাব - সৌভাগ্যবান বীর

২৫১ - বখতিয়ার আসেফ - সৌভাগ্যবান যোগ্য ব্যক্তি

২৫২ - বখতিয়ার আমের - সৌভাগ্যবান সম্মানিত

২৫৩ - বখতিয়ার আমজাদ - সৌভাগ্যবান সম্মানিত

২৫৪ - বখতিয়ার আনিস - সৌভাগ্যবান বন্ধু

২৫৫ - বখতিয়ার আশিক - সৌভাগ্যবান প্রেমিক

২৫৬ - বখতিয়ার ফাহিম - সৌভাগ্যবান বুদ্ধিমান

২৫৭ - বখতিয়ার ফাতিন - সৌভাগ্যবান সুন্দর

২৫৮ - বখতিয়ার ফতেহ - সৌভাগ্যবান বিজয়ী

২৫৯ - বখতিয়ার পরিদ - সৌভাগ্যবান অনুপম

২৬০ - বখতিয়ার গালিব - সৌভাগ্যবান বিজয়ী

২৬১ - বখতিয়ার হাসিন - সৌভাগ্যবান সুন্দর

২৬২ - বখতিয়ার হামিদ - সৌভাগ্যবান বন্ধু

২৬৩ - বখতিয়ার হামিম - সৌভাগ্যবান বন্ধু

২৬৪ - বখতিয়ার জলিল - সৌভাগ্যবান মহান

২৬৫ - বখতিয়ার করিম - সৌভাগ্যবান দয়ালু

২৬৬ - বখতিয়ার খলিল - সৌভাগ্যবান বন্ধু

২৬৭ - বখতিয়ার মুজিদ - সৌভাগ্যবান আবিষ্কারক

২৬৮ - বখতিয়ার মাশুক - সৌভাগ্যবান প্রেমাস্পদ

২৬৯ - বখতিয়ার মাদীহ - সৌভাগ্যবান মধর্মযোদ্ধা

২৭০ - বখতিয়ার মুহিব - সৌভাগ্যবান প্রেমিক

২৭১ - বখতিয়ার মাহবুব - সৌভাগ্যবান প্রিয়

২৭২ - বখতিয়ার মুস্তাফিজ - সৌভাগ্যবান উপকৃত

২৭৩ - বখতিয়ার মুইজ - সৌভাগ্যবান সম্মানিত

২৭৪ - বখতিয়ার মনসুর - সৌভাগ্যবান বিজয়ী

২৭৫ - বখতিয়ার নাদিম - সৌভাগ্যবান সাথী

২৭৬ - বখতিয়ার নাফিস - সৌভাগ্যবান উত্তম

২৭৭ - বখতিয়ার রফিক - সৌভাগ্যবান বন্ধু

২৭৮ - বশীর আহবাব - সুসংবাদ বহনকারী বন্ধু

২৭৯ - বশীর আখতাব - সুসংবাদ বহনকারী বক্তা

২৮০ - বশীর আনজুম - সুসংবাদ বহনকারী তারা

২৮১ - বশীর আশহাব - সুসংবাদ বহনকারী বীর

২৮২ - বশীর হাবিব - সুসংবাদ বহনকারী প্রিয় বন্ধু

২৮৩ - বশীর হামিম - সুসংবাদ বহনকারী বন্ধু

২৮৪ - বশীর মনসুর - সুসংবাদ বহনকারী বিজয়ী

২৮৫ - বশীর শাহরিয়ার - সুসংবাদ বহনকারী রাজা

২৮৬ - দিলির আহবাব - সাহসী বন্ধু

২৮৭ - দিলির হাবিব - সাহসী বন্ধু

২৮৮ - দিলির হামিম - সাহসী বন্ধু

২৮৯ - দিলির মনসুর - সাহসী বিজয়ী

২৯০ - ফিরোজ আহবাব - সমৃদ্ধিশালী বন্ধু

২৯১ - ফিরোজ আসেফ - সমৃদ্ধিশালী যোগ্য ব্যক্তি

২৯২ - ফিরোজ আতেফ - সমৃদ্ধিশালী দয়ালূ

২৯৩ - ফিরোজ মুজিদ - সমৃদ্ধিশালী লেখক

২৯৪ - ফিরোজ ওয়াদুদ - সমৃদ্ধিশালী বন্ধু

২৯৫ - ফাহিম আবরার - বুদ্ধিমান ন্যায়বান

২৯৬ - ফাহিম আজমল - বুদ্ধিমান অতি সুন্দর

২৯৭ - ফাহিম আহমাদ - বুদ্ধিমান অতি প্রশংসনীয়

২৯৮ - ফাহিম আখতাব - বুদ্ধিমান বক্তা

২৯৯ - ফাহিম আসাদ - বুদ্ধিমান সিংহ

৩০০ - ফাহিম আশহাব - বুদ্ধিমান বীর

৩০১ - ফাহিম আকতাব - বুদ্ধিমান নেতা

৩০২ - ফাহিম আনিস - বুদ্ধিমান বন্ধু

৩০৩ - ফাহিম ফয়সাল - বুদ্ধিমান বিচারক

৩০৪ - ফাহিম হাবিব - বুদ্ধিমান বন্ধু

৩০৫ - ফাহিম মাহতাব - বুদ্ধিমান চাঁদ

৩০৬ - ফাহিম মুরশেদ - বুদ্ধিমান সংস্কারক

৩০৭ - ফাহিম মোসলেহ - বুদ্ধিমান সংস্কারক

৩০৮ - ফাহিম শাকিল - বুদ্ধিমান সুপুরুষ

৩০৯ - ফাহিম শাহরিয়ার - বুদ্ধিমান রাজা

৩১০ - ফাহিম তাজওয়ার - বুদ্ধিমান রাজা

৩১১ - ফারহান আবসার - প্রফুল্ল তারা

৩১২ - ফারহান আনজুম - প্রফুল্ল তারা

৩১৩ - ফারহান আকতাব - প্রফুল্ল নেতা

৩১৪ - ফারহান আমের - প্রফুল্ল শাসক

৩১৫ - ফারহান আনিস - প্রফুল্ল বন্ধু

৩১৬ - ফারহান মাসুদ - প্রফুল্ল সৌভাগ্যবান

৩১৭ - ফারহান মুহিব - প্রফুল্ল প্রেমিক

৩১৮ - ফারহান মনসুর - প্রফুল্ল বিজয়ী

৩১৯ - ফারহান নাদিম - প্রফুল্ল সঙ্গী

৩২০ - ফারহান রফিক - প্রফুল্ল বন্ধু

৩২১ - ফারহান সাদিক - প্রফুল্ল সত্যবান

৩২২ - ফারহান শাহরিয়ার - প্রফুল্ল রাজা

৩২৩ - ফারহান তানভির - প্রফুল্ল আলোকিত

৩২৪ - ফাতিন আজবাল - সুন্দর পাহাড়

৩২৫ - ফাতিন আলমাস - সুন্দর হীরা

৩২৬ - ফাতিন ফুয়াদ - সুন্দর অন্তর

৩২৭ - ফাতিন আবরেশাম - সুন্দর সিল্ক

৩২৮ - ফাতিন অনজুম - সুন্দর তারা

৩২৯ - ফাতিন আনওয়ার - সুন্দর জ্যৌতির্মালা

৩৩০ - ফাতিন হাসনাত - সুন্দর গুণাবলি

৩৩১ - ফাতিন আখইয়ার - সুন্দর চমৎকার মানুষ

৩৩২ - ফাতিন ইলহাম - সুন্দর অনুভূতি

৩৩৩ - ফাতিন ইশরাক - সুন্দর সকাল

৩৩৪ - ফাতিন ইশতিয়াক - সুন্দর ইচ্ছা

৩৩৫ - ফাতিন ইহসাস - সুন্দর অনুভুতি

৩৩৬ - ফাতিন জালাল - সুন্দর মহিমা

৩৩৭ - ফাতিন মাহতাব - সুন্দর চাঁদ

৩৩৮ - ফাতিন মেসবাহ - সুন্দর প্রদীপ

৩৩৯ - ফাতিন নিহাল - সুন্দর চারাগাছ

৩৪০ - ফাতিন আলমাস - সুন্দর হীরা

৩৪১ - ফাতিন নূর - সুন্দর আলো

৩৪২ - ফাতিন নেসার - সুন্দর সাহায্য

৩৪৩ - ফাতিন শাদাব - সুন্দর সবুজ

৩৪৪ - ফাতিন ওয়াহাব - সুন্দর দান

৩৪৫ - হাসিন আবরার - সুন্দর ন্যায়বান

৩৪৬ - হাসিন আহবাব - সুন্দর বন্ধু

৩৪৭ - হাসিন আহমদ - সুন্দর অতি প্রশংসনীয়

৩৪৮ - হাসিন আখলাক - সুন্দর চারিত্রিক গুণাবলি

৩৪৯ - হাসিন আহমার - সুন্দর লাল বর্ণ

৩৫০ - হাসিন আজমল - সুন্দর নিখুঁত

৩৫১ - হাসিন আখজার - সুন্দুর সবুজ বর্ণ

৩৫২ - হাসিন আখইয়ার - সুন্দর চমৎকার মানুষ

৩৫৩ - হাসিন আজহার - সুন্দর অতি স্বচ্ছ

৩৫৪ - হাসিন আরমান - সুন্দর ইচ্ছা

৩৫৫ - হাসিন আনজুম - সুন্দর তারা

৩৫৬ - হাসিন আলমাস - সুন্দর হীরা

৩৫৭ - হাসিন হামিদ - সুন্দর প্রশংসাকারী

৩৫৮ - হাসিন ইশরাক - সুন্দর সকাল

৩৫৯ - হাসিন মাহতাব - সুন্দর চাঁদ

৩৬০ - হাসিন মুহিব - সুন্দর প্রেমিক

৩৬১ - হাসিন মেসবাহ - সুন্দর প্রদীপ

৩৬২ - হাসিন শাহাদ - সুন্দর মধু

৩৬৩ - হাসিন শাদাব - সুন্দর সবুজ

৩৬৪ - হামি আবরার - রক্ষাকারী ন্যায়বান

৩৬৫ - হামি আবসার - রক্ষাকারী দৃষ্টি

৩৬৬ - হামি আহবাব - রক্ষাকারী বন্ধু

৩৬৭ - হামি আজবাল - রক্ষাকারী পাহাড়

৩৬৮ - হামি আখতার - রক্ষাকারী তারা

৩৬৯ - হামি আনজুম - রক্ষাকারী তারা

৩৭০ - হামি আসাদ - রক্ষাকারী সিংহ

৩৭১ - হামি আশহাব - রক্ষাকারী বীর

৩৭২ - হামি আসেফ - রক্ষাকারী যোগ্য ব্যক্তি

৩৭৩ - হামি আলমাস - রক্ষাকারী হীরা

৩৭৪ - হামি খলিল - রক্ষকারী বন্ধু

৩৭৫ - হামি লুকমান - রক্ষাকারী জ্ঞানী ব্যক্তি

৩৭৬ - হামি লায়েস - রক্ষাকারী সিংহ

৩৭৭ - হামি মুশফিক - রক্ষাকারী দয়ালু

৩৭৮ - হামি মোসলেহ - রক্ষাকারী সংস্কারক

৩৭৯ - হামি নকীব - রক্ষাকারী নেতা

৩৮০ - হামি নাদিম - রক্ষাকারী সঙ্গী

৩৮১ - হামি সোহবাত - রক্ষাকারী সঙ্গ

৩৮২ - হামি জাফর - রক্ষাকারী বিজয়

৩৮৩ - হামিদ আবরার - প্রশংসাকারী ন্যায়বান

৩৮৪ - হামিদ আহবাব - প্রশংসাকারী বন্ধু

৩৮৫ - হামিদ আবিদ - প্রশংসাকরী এবাদতকারী

৩৮৬ - হামিদ আজিজ - প্রশংসাকারী ক্ষমতাসীন

৩৮৭ - হামিদ আশহাব - প্রশংসাকারী বীর

৩৮৮ - হামিদ আসেফ - প্রশংসাকারী যোগ্যব্যক্তি

৩৮৯ - হামিদ আমের - প্রশংসাকারী শাসক

৩৯০ - হামিদ আনিস - প্রশংসাকারী বন্ধু

৩৯১ - হামিদ বখতিয়ার - প্রশংসাকারী সৌভাগ্যবান

৩৯২ - হামিদ বশীর - প্রশংসাকারী সুসংবাদ বহনকারী

৩৯৩ - হামিদ মাহতাব - প্রশংসাকারী চাঁদ

৩৯৪ - হামিদ মুবাররাত - প্রশংসাকারী ধার্মিক

৩৯৫ - হামিদ মুত্তাকি - প্রশংসাকারী সংযমশীল

৩৯৬ - হামিদ রইস - প্রশংসাকারী ভদ্র ব্যক্তি

৩৯৭ - হামিদ শাহরিয়ার - প্রশংসাকারী রাজা

৩৯৮ - হামিদ তাজওয়ার - প্রশংসাকারী রাজা

৩৯৯ - হামিদ ইয়াসির - প্রশংসাকারী ধনবান

৪০০ - হামিদ জাকের - প্রশংসাকারী কৃতজ্ঞ

৪০১ - মুনাওয়ার আখতার - দীপ্তিমান তারা

৪০২ - মুনাওয়ার মাহতাব - দীপ্তিমান চাঁদ

৪০৩ - মুনাওয়ার আনজুম - দীপ্তিমান তারা

৪০৪ - মুনাওয়ার মুজীদ - বিখ্যাত লেখক

৪০৫ - মুজতবা আহবাব - মনোনীত বন্ধু

৪০৬ - মুয়ী মুজিদ - সম্মানিত লেখক

৪০৭ - মুয়ীজ - সম্মানিত

৪০৮ - মুজাহীদ - ধর্মযোদ্ধা

৪০৯ - মোসাদ্দেক হামিম - প্রত্যয়নকারী বন্ধু

৪১০ - মোসাদ্দেক হাবিব - প্রত্যয়নকারী বন্ধু

৪১১ - মুজতবা রাফিদ - মনোনীত প্রতিনিধি

৪১২ - মুস্তফা আবরার - মনোনীত ন্যায়বান

৪১৩ - মুস্তফা আহবাব - মনোনীত বন্ধু

৪১৪ - মুস্তফা আখতাব - মনোনীত বক্তা

৪১৫ - মুস্তফা আনজুম - মনোনীত তারা

৪১৬ - মুস্তফা মাহতাব - মনোনীত চাঁদ

৪১৭ - মুস্তফা আসাদ - মনোনীত সিংহ

৪১৮ - মুস্তফা আশহাব - মনোনীত ভরি

৪১৯ - মুস্তফা আসেফ - মনোনীত যোগ্যব্যক্তি

৪২০ - মুস্তফা আকবর - মনোনীত মহান

৪২১ - মুস্তফা আমের - মনোনীত শাসক

৪২২ - মুস্তফা আমজাদ - মনোনীত সম্মানিত

৪২৩ - মুস্তফা - মনোনীত

৪২৪ - বখতিয়ার - সৌভাগ্যবান

৪২৫ - মুস্তফা বশীর - মনোনীত সুসংবাদ বহনকারী

৪২৬ - মুস্তফা ফাতিন - মনোনীত সুন্দর

৪২৭ - মুস্তফা গালিব - মনোনীত বিজয়ী

৪২৮ - মুস্তফা হামিদ - মনোনীত প্রশংসাকারী

৪২৯ - মুস্তফা মুজিদ - মনোনীত আবিষ্কারক

৪৩০ - মুস্তফা মাসুদ - মনোনীত সৌভাগ্যবান

৪৩১ - মুস্তফা মুরশেদ - মনোনীত পথ প্রদর্শক

৪৩২ - মুস্তফা মনসুর - মনোনীত বিজয়ী

৪৩৩ - মুস্তফা নাদের - মনোনীত প্রিয়

৪৩৪ - মুস্তফা রাফিদ - মনোনীত প্রতিনিধি

৪৩৫ - মুস্তফা শাহরিয়ার - মনোনীত রাজা

৪৩৬ - মুস্তফা শাকিল - মনোনীত সুপুরুষ

৪৩৭ - মুস্তফা তালিব - মনোনীত অনুসন্ধানকারী

৪৩৮ - মুস্তফা তাজওয়ার - মনোনীত রাজা

৪৩৯ - মুস্তফা ওয়াদুদ - মনোনীত বন্ধু

৪৪০ - মুস্তফা ওয়াসিফ - মনোনীত গুণ বর্ণনাকারী

৪৪১ - মাহির আবসার - দক্ষ দৃষ্টি

৪৪২ - মাহির আজমল - দক্ষ অতি সুন্দর

৪৪৩ - মাহির আশহাব - দক্ষ বীর

৪৪৪ - মাহির আসেফ - দক্ষ যোগ্যব্যক্তি

৪৪৫ - মাহির আমের - দক্ষ শাসক

৪৪৬ - মাহির দাইয়ান - দক্ষ বিচারক

৪৪৭ - মাহির ফয়সাল - দক্ষ বিচারক

৪৪৮ - মাহির জসীম - দক্ষ শক্তিশালী

৪৪৯ - মাহির লাবিব - দক্ষ বুদ্ধিমান

৪৫০ - মাহির মোসলেহ - দক্ষ সংস্কার

৪৫১ - মাহির শাহরিয়ার - দক্ষ রাজা

৪৫২ - মাহির তাজওয়ার - দক্ষ রাজা

৪৫৩ - মুনেম শাহরিয়ার - সম্মানিত রাজা

৪৫৪ - মুনেম তাজওয়ার - সম্মানিত রাজা

৪৫৫ - মুনেম শাহরিয়ার - দয়ালু রাজা

৪৫৬ - মুনেম তাজওয়ার - দয়ালু রাজা

৪৫৭ - মুশতাক আবসার - আগ্রহী দৃষ্টি

৪৫৮ - মুশতাক আনিস - আগ্রহী বন্ধু

৪৫৯ - মুশতাক ফুয়াদ - আগ্রহী অন্তর

৪৬০ - মুশতাক ফাহাদ - আগ্রহী সিংহ

৪৬১ - মুশতাক হাসনাত - আগ্রহী গুণাবলি

৪৬২ - মুশতাক লুকমান - আগ্রহী জ্ঞানী ব্যক্তি

৪৬৩ - মুশতাক মুতারাসসীদ - আগ্রহী লক্ষ্যকারী

৪৬৪ - মুশতাক মুতারাদ্দিদ - আগ্রহী চিন্তাশীল

৪৬৫ - মুশতাক মুজাহিদ - আগ্রহী ধর্মযোদ্ধা

৪৬৬ - মুশতাক নাদিম - আগ্রহী সঙ্গী

৪৬৭ - মুশতাক শাহরিয়ার - আগ্রহী রাজা

৪৬৮ - মুশতাক তাহমিদ - আল্লহর প্রশংসাকারী

৪৬৯ - মুশতাক ওয়াদুদ - আগ্রহী বন্ধু

৪৭০ - রাগীব আবসার - আকাঙ্খিত দৃষ্টি

৪৭১ - রাগীব আখলাক - আকাঙ্ক্ষিত চারিত্রিক গুণাবলি

৪৭২ - রাগীব আবিদ - আকাঙ্ক্ষিত এবাদতকারী

৪৭৩ - রাগীব আখইয়ার - আকাঙ্ক্ষিত চমৎকার মানুষ

৪৭৪ - রাগীব আশহাব - আকাঙ্ক্ষিত বীর

৪৭৫ - রাগীব আসেফ - আকাঙ্ক্ষিত শাসক

৪৭৬ - রাগীব আমের - আকাঙ্ক্ষিত সাহায্যকারী

৪৭৭ - রাগীব আনসার - আকাঙ্ক্ষিত বন্ধু

৪৭৮ - রাগীব আনিস - আকাঙ্ক্ষিত সৌভাগ্য

৪৭৯ - রাগীব বরকত - আকাঙ্ক্ষিত সৌভাগ্য

৪৮০ - রাগীব হাসিন - আকাঙ্ক্ষিত সুন্দর

৪৮১ - রাগীব ইশরাক - আকাঙ্ক্ষিত সকাল

৪৮২ - রাগীব মাহতাব - আকাঙ্ক্ষিত চাঁদ

৪৮৩ - রাগীব আখতার - আকাঙ্ক্ষিত তারা

৪৮৪ - রাগীব আনুজম - আকাঙ্ক্ষিত তারা

৪৮৫ - রাগীব মুবাররাত - আকাঙ্ক্ষিত ধার্মিক

৪৮৬ - রাগীব মুহিব - আকাঙ্ক্ষিত প্রেমিক

৪৮৭ - রাগীব মোহসেন - আকাঙ্ক্ষিত উপকারী

৪৮৮ - রাগীব নিহাল - আকাঙ্ক্ষিত চারাগাছ

৪৮৯ - রাগীব নাদিম - আকাঙ্ক্ষিত সঙ্গী

৪৯০ - রাগীব নাদের - আকাঙ্ক্ষিত প্রিয়

৪৯১ - রাগীব নুর - আকাঙ্ক্ষিত আলো

৪৯২ - রাগীব রওনক - আকাঙ্ক্ষিত সৌন্দর্য

৪৯৩ - রাগীব রহমত - আকাঙ্ক্ষিত দয়া

৪৯৪ - রাগীব শাকিল - আকাঙ্ক্ষিত সুপুরুষ

৪৯৫ - রাগীব শাহরিয়ার - আকাঙ্ক্ষিত রাজা

৪৯৬ - রাগীব ইয়াসার - আকাঙ্ক্ষিত সম্পদ

৪৯৭ - রাকিন আবসার - শ্রদ্ধাশীল দৃষ্টি

৪৯৮ - তাহির আবসার - বিশুদ্ধ দৃষ্টি

৪৯৯ - তানভির মাহতাব - আলোকিত চাঁদ

৫০০ - তানভির আনজুম - আলোকিত তারা

৫০১ - যাকী মুজাহিদ - তীক্ষ্ণবুদ্ধিসম্পন্ন ধর্মযোদ্ধা

৫০২ - জুহায়ের মাহতাব - উজ্জ্বল চাঁদ

৫০৩ - জুহায়ের অনুজুম - উজ্জ্বল তারা

৫০৪ - জুহায়ের আখতাব - উজ্জ্বল তারা

৫০৫ - আলি আরমান - উচ্চ ইচ্ছা

৫০৬ - গালিব গজনফর - সাহসী সিংহ

৫০৭ - দিলির দাইয়ান - সাহসী বিচারক

৫০৮ - মুইন নাদিম - সাহায্য সঙ্গী

৫০৯ - আখযার নিহাল - সবুজ চারাগাছ

৫১০ - রাগীব সোহবাত - আকাঙ্ক্ষিত সঙ্গ

৫১১ - মুনাওয়ার মেসবাহ - প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ

৫১২ - রাদ শারার - ব্রজ ঝলক

৫১৩ - হাদিদ সিপার - লৌহ বর্ম

৫১৪ - শিতাব জুবাব - দ্রুত মৌমাছি

৫১৫ - সাকিব সালিম - দীপ্ত স্বাস্থ্যবান

৫১৬ - জুহায়ের ওয়াসিম - উজ্জ্বল সুন্দর গঠন

৫১৭ - ওয়াজিহ তওসীফ - সুন্দর প্রশংসা

৫১৮ - শিতাব যাবী - দ্রুত হরিণ

৫১৯ - সামিন ইয়াসার - মূল্যবান সম্পদ

৫২০ - তকী ইয়াসির - ধার্মিক ধনী

৫২১ - তকী তাজওয়ার - ধার্মিক রাজা

৫২২ - মাসুম লতীফ - নিষ্পাপ পবিত্র

৫২৩ - মাসুম মুশফিক - নিষ্পাপ দয়ালু

৫২৪ - মুজাফফর লতীফ - জয়দীপ্ত পবিত্র

৫২৫ - মাসুদ লতীফ - সৌভাগ্যবান পবিত্র

৫২৬ - রাব্বানী রাশহা - স্বর্গীয় ফলের রস

৫২৭ - সারিম শাদমান - স্বাস্থ্যবান

৫২৮ - তওকীর তাজাম্মুল - সম্মান মর্যদা

৫২৯ - তালাল ওয়াজীহ - চমৎকার সুন্দর

৫৩০ - তালাল ওয়াসিম - চমৎকার সুন্দরর গঠন

৫৩১ - শাদাব সিপার - সবুজ বর্ণ

৫৩২ - শাদমান সাকীব - আনন্দিত উজ্জ্বল

৫৩৩ - শিহাব শারার - উজ্জ্বল তারকা জলক

৫৩৪ - রাদ শাহামাত - বজ্র সাহসিকতা

৫৩৫ - হাসিন রাইহান - সুন্দর সুগন্ধি ফুল

৫৩৬ - ফরিদ হামিদ - অনুপম প্রশংসাকারী

৫৩৭ - মুহতাসিম ফুয়াদ - মহান অন্তর

৫৩৮ - লাজিম খলিল - অপরিহার্য বন্ধু

৫৩৯ - মুকাত্তার ফুয়াদ - পরিশোধত অন্তর

৫৪০ - মুবতাসিম ফুয়াদ - হাস্যময় অন্তর


সংক্ষেপে পৃথিবী






1. পৃথিবীর বয়স- আনুমানিক ৪,৫০০ মিলিয়ন

2. আয়তন- ৫১,০১,০০,৫০০ বর্গকিমি

3. সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে গড়ে- ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড (প্রচলিত তথ্য)

4. (প্রকৃতপক্ষে- ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট ১২ সেকেন্ড)

5. পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব- ১৪,৯৫,০০,০০০ কিমি

6. পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব- ৩,৮৪,৪০০ কিমি

7. মোট মহাসাগর- ৫টি

8. মোট মহাদেশ- ৭টি

9. মোট রাষ্ট্র- ২০৪টি

10. মোট স্বাধীন রাষ্ট্র- ১৯৩টি (জাতিসংঘ স্বীকৃত রাষ্ট্র)(তথ্যসূত্র


11. সর্বশেষ স্বাধীন রাষ্ট্র- দক্ষিণ সুদান

1. বৃহত্তম --> এশিয়া

2. মহাদেশ --> এশিয়া

3. রাষ্ট্র (আয়তন) --> রাশিয়া

4. রাষ্ট্র (জনসংখ্যা) --> চীন

5. মহাসাগর --> প্রশান্ত বা প্যাসিফিক


1. বৃহত্তম --> ওশেনিয়া

2. মহাদেশ --> ওশেনিয়া

3. রাষ্ট্র (আয়তন) --> ভ্যাটিকান

4. রাষ্ট্র (জনসংখ্যা) --> ভ্যাটিকান

5. মহাসাগর --> উত্তর বা আর্কটিক


দু’টি মহাদেশে অবস্থিত রাষ্ট্র- তুরস্ক, রাশিয়া

দু’টি মহাদেশে অবস্থিত শহর- ইস্তাম্বুল

যে দেশের সাথে সবচেয়ে বেশি দেশের সীমান্ত আছে- চীন


বিশ্বের সমুদ্র বন্দরবিহীন দেশসমূহ

1. মহাদেশ --> এশিয়া

2. দেশসমূহ --> নেপাল
ভুটান
আফগানিস্তান
লাওস
মঙ্গোলিয়া
কাজাকিস্তান
কিরগিস্তান
উজবেকিস্তান
তাজাকিস্তান
তুর্কমেনিয়া
আজারবাইজান

3. মোট --> ১১ টি


1. মহাদেশ --> আফ্রিকা

2. দেশসমূহ --> মালি
নাইজার
উগান্ডা
বতসোয়ানা
জিম্বাবুই
রুয়ান্ডা
বুরুন্ডি
মালাবি
জাম্বিয়া
সোয়াজিল্যান্ড
চাঁদ
মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র
বারকিনা ফাসো
লেসোথো
ইথিওপিয়া

3. মোট --> ১৫ টি


1. মহাদেশ --> ইউরোপ

2. দেশসমূহ --> অস্ট্রিয়া
সুইজারল্যান্ড
মালদোভা
শ্লোভাকিয়া
চেক প্রজাতন্ত্র
হাঙ্গেরি
বেলারুশ
লুক্সেমবার্গ
আর্মেনিয়া
সার্বিয়া

3. মোট --> ১০ টি


1. মহাদেশ --> দক্ষিণ আমেরিকা

2. দেশসমূহ --> প্যারাগুয়ে
বলিভিয়া

3. মোট --> ২ টি

সর্বমোট ৪৪ টি


একনজরে মহাদেশ পরিচিতি

1. মহাদেশ --> এশিয়া

2. আয়তন (বর্গ কিমি) --> ৪,৪৪,৯৩,০০০

3. লোকসংখ্যা --> ৪১২ কোটি ১১ লাখ

4. দেশ সংখ্যা (স্বাধীন দেশ) --> ৫৪

5. জাতিসংঘ ভুক্ত দেশ --> ৪৮

6 . সর্বোচচ স্থান (মিটার)--> মাউন্ট এভারেস্ট (৮৮৫০)


1. মহাদেশ --> আফ্রিকা

2. আয়তন (বর্গ কিমি) --> ২,৯৮,০০,৪৫০

3. লোকসংখ্যা --> ১০০কোটি ৯৯ লাখ

4. দেশ সংখ্যা (স্বাধীন দেশ) --> ৫৬

5. জাতিসংঘ ভুক্ত দেশ --> ৫৪

6. সর্বোচচ স্থান (মিটার)--> কিলিমাঞ্জারো (৫৯৬৩)


1. মহাদেশ --> উত্তর আমেরিকা

2. আয়তন (বর্গ কিমি) --> ২,৪৩,২০,১০০

3. লোকসংখ্যা --> ৫৩ কোটি ৩৩ লাখ

4. দেশ সংখ্যা (স্বাধীন দেশ) --> ২৩

5. জাতিসংঘ ভুক্ত দেশ --> ২৩

6. সর্বোচচ স্থান (মিটার)--> ম্যাককিনলে (৬১৯৪)


1. মহাদেশ --> দক্ষিন আমেরিকা

2. আয়তন (বর্গ কিমি) --> ১,৭৫,৯৯,০৫০

3. লোকসংখ্যা --> ৩৮ কোটি ২ লাখ

4. দেশ সংখ্যা (স্বাধীন দেশ) --> ১২

5. জাতিসংঘ ভুক্ত দেশ --> ১২

6. সর্বোচচ স্থান (মিটার)--> আকাঙ্গাগুয়া (৬৯৫৯)


1. মহাদেশ --> ইউরোপ

2. আয়তন (বর্গ কিমি) -->১,০৫,৩০,৭৫০

3. লোকসংখ্যা --> ৭৩ কোটি ২২ লাখ

4. দেশ সংখ্যা (স্বাধীন দেশ) --> ৪৮

5. জাতিসংঘ ভুক্ত দেশ --> ৪৬

6. সর্বোচচ স্থান (মিটার)--> মাউন্ট এলবুর্জ (৫৬৩৩)


1. মহাদেশ --> ওশেনিয়া

2. আয়তন (বর্গ কিমি) --> ৭৬,৮৭,১২০

3. লোকসংখ্যা --> ৩ কোটি ৫৪ লাখ

4. দেশ সংখ্যা (স্বাধীন দেশ) --> ১৪

5. জাতিসংঘ ভুক্ত দেশ --> ১৪

6. সর্বোচচ স্থান (মিটার)--> পুঁসাক জায়া (৪৮৮৪)


1. মহাদেশ --> এন্টার্কটিকা

2. আয়তন (বর্গ কিমি) --> ১,৫২,০৪,৫০০

3. লোকসংখ্যা --> ৪ হাজার

4. দেশ সংখ্যা (স্বাধীন দেশ) -->

5. জাতিসংঘ ভুক্ত দেশ -->

6. সর্বোচচ স্থান (মিটার)--> ভিনসন মাসিক (৪৮৯৭)


1. মহাদেশ --> মোট

2. আয়তন (বর্গ কিমি) --> ১৪,৮৯,৫০,৩২০

3. লোকসংখ্যা --> ৬৮২ কোটি ৯৮ লাখ

4. দেশ সংখ্যা (স্বাধীন দেশ) --> ২০৪

5. জাতিসংঘ ভুক্ত দেশ --> ১৯৩

6. সর্বোচচ স্থান (মিটার)-->


পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল পরিচিতি

প্রশান্ত মহাসাগরে ওশেনিয়ায় ৩টি বিশেষ অঞ্চল রয়েছে-

1. অঞ্চলের নাম --> মাইক্রোনেশিয়া

2. অন্তর্গত দেশসমূহ --> ক্যারোলিন দ্বীপপুঞ্জ মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ (গুয়াম ও নর্দার্ন মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ) কিরিবাতি (বানাবা ও জিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জ) নাউরু পালাউ


1. অঞ্চলের নাম --> মেলোনেশিয়া

2. অন্তর্গত দেশসমূহ --> ক্যারোলিন দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ (গুয়াম ও নর্দার্ন মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ)
কিরিবাতি (বানাবা ও জিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জ)
নাউরু
পালাউ


1. অঞ্চলের নাম --> পলিনেশিয়া

2. অন্তর্গত দেশসমূহ --> পাপুয়া নিউগিনি
ফিজি
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
ভানুয়াতু
মালুকু দ্বীপপুঞ্জ (ইন্দোনেশিয়া)
নিউ ক্যালিডোনিয়া (ফ্রান্স)
নিউগিনি (ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি)
বিসমার্ক (পাপুয়া নিউগিনি)
সান্তা ক্রুজ দ্বীপপুঞ্জ (সলোমন দ্বীপপুঞ্জ)


1. অঞ্চলের নাম --> পলিনেশিয়া

2. অন্তর্গত দেশসমূহ --> সামোয়া
আমেরিকান সামোয়া (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
হাওয়াই (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
টুভ্যালু
টোঙ্গা
মারকুয়েজ আইল্যান্ড
ইস্টার আই্ল্যান্ড (চিলি)
নিউজিল্যান্ড
কুক দ্বীপপুঞ্জ (নিউজিল্যান্ড)
নিউ (নিউজিল্যান্ড)
তোকেলউ (নিউজিল্যান্ড)
ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া (ফ্রান্স)
নরফোক আইল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া)
পিটকেয়ার্ন আইল্যান্ড (বৃটেন)


রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল

1. অঞ্চলের নাম --> আরব উপদ্বীপের রাষ্ট্রসমূহ

2. অন্তর্গত দেশসমূহ --> সৌদি আরব
কুয়েত
কাতার
সংযুক্ত আরব আমিরাত
ওমান
বাহরাইন
ইয়েমেন

3. অন্যান্য তথ্য -->


1. অঞ্চলের নাম --> বাল্টিক রাষ্ট্রসমূহ

2. অন্তর্গত দেশসমূহ --> এস্তোনিয়া
লাটভিয়া
লিথুয়ানিয়া
(ফিনল্যান্ড)

3. অন্যান্য তথ্য --> প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভকারী ৩ রাষ্ট্র এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পরে স্বাধীনতা লাভকারী ফিনল্যান্ড (১৯২০)


1. অঞ্চলের নাম --> স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশসমূহ

2. অন্তর্গত দেশসমূহ --> ডেনমার্ক
নরওয়ে
সুইডেন
আইসল্যান্ড
ফিনল্যান্ড
ফ্যারো আইল্যান্ড
গ্রিনল্যান্ড

3. অন্যান্য তথ্য --> মূলত ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেন; স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতি অধ্যূষিত অঞ্চল


1. অঞ্চলের নাম --> পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ

2. অন্তর্গত দেশসমূহ --> অ্যান্টিগুয়া এন্ড বারবুডা
বাহামা
বার্বাডোজ
কিউবা
ডোমিনিকা
ডোমিনিক প্রজাতন্ত্র
গ্রেনাডা
হাইতি
জ্যামাইকা
সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস
সেন্ট লুসিয়া
সেন্ট ভিনসেন্ট এন্ড গ্রেনাডিয়ান্স
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো

3. অন্যান্য তথ্য --> দুই আমেরিকা মহাদেশের মধ্যবর্তী ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত এই দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর এই নামকরণ করেন আমেরিকার আবিষ্কারক ক্রিস্টোফার কলম্বাস । তিনি মনে করেছিলেন দ্বীপগুলো ভারতের দক্ষিণে । এই অঞ্চলে এই ১৩টি দ্বীপরাষ্ট্র ছাড়াও ১৭টি কলোনি বা পরাধীন উপনিবেশ/দেশ আছে ।


1. অঞ্চলের নাম --> সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন

2. অন্তর্গত দেশসমূহ --> রাশিয়া
ইউক্রেন
কাজাখস্তান
উজবেকিস্তান
বেলারুশ
আজারবাইজান
মলদোভা
জর্জিয়া
লিথুয়ানিয়া
কিরঘিজিস্তান
তাজিকিস্তান
আর্মেনিয়া
লাটভিয়া
তুর্কমেনিস্তান
এস্তোনিয়া

3. অন্যান্য তথ্য --> ১৯৯১ সালে ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে ১৫ টি রাষ্ট্র গঠিত হয়


1. অঞ্চলের নাম --> সি আই এস ভুক্ত (কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস)

2. অন্তর্গত দেশসমূহ --> আর্মেনিয়া
আজারবাইজান
বেলারুশ
কাজাখস্তান
কিরঘিজিস্তান
মোলদোভা
রাশিয়া
তাজিকিস্তান
তুর্কমেনিস্তান
উজবেকিস্তান
(ইউক্রেন)

3. অন্যান্য তথ্য --> পূর্বে জর্জিয়া সি আই এস-র সদস্য থাকলেও সম্প্রতি সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছে । আর ইউক্রেন শুরু থেকেই (১৯৯১) এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকলেও সদস্য হয়নি ।


1. অঞ্চলের নাম --> সাবেক চেকোশ্লোভাকিয়া

2. অন্তর্গত দেশসমূহ --> চেক প্রজাতন্ত্র
শ্লোভাকিয়া

3. অন্যান্য তথ্য -->১ জানুয়ারি ১৯৯৩ সালে ভেঙ্গে চেক প্রজাতন্ত্র ও শ্লোভাকিয়া নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়


1. অঞ্চলের নাম --> সাবেক যুগোশ্লাভিয়া

2. অন্তর্গত দেশসমূহ --> র্বিয়া
ক্রোয়েশিয়া
শ্লোভেনিয়া
মন্টিনিগ্রো
বসনিয়া এন্ড হার্জেগোভিনা
মেসিডোনিয়া
কসোভো

3. অন্যান্য তথ্য --> ১৯৯২ সালে ভেঙ্গে ৪টি পৃথক প্রজাতন্ত্র হয়- ক্রোয়েশিয়া, শ্লোভেনিয়া, মেসিডোনিয়া এবং বসনিয়া এন্ড হার্জেগোভিনা । পরবর্তীতে ২০০৬ সালে চূড়ান্তভাবে যুগোশ্লাভিয়া ভেঙে যায়, সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রো আলাদা হয়ে গেলে । ২০০৮ সালে কসোভো সার্বিয়া থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে ।


1. অঞ্চলের নাম --> ইন্দোচীন

2. অন্তর্গত দেশসমূহ --> লাওস
কম্বোডিয়া
ভিয়েতনাম

3. অন্যান্য তথ্য -->


বিভিন্ন বিখ্যাত অঞ্চল (region)

1. নাম --> সেভেন সিস্টারস

2. অন্তর্ভূক্ত অঞ্চল বা দেশ --> আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, অরুণাচল, নাগাল্যান্ড

3. বিশেষত্ব/ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য --> ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ৭ টি রাজ্যকে সেভেন সিস্টার বলা হয়


1. নাম --> গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল

2. অন্তর্ভূক্ত অঞ্চল বা দেশ --> মায়ানমার, লাওস ও থাইল্যান্ড সীমান্তে অবস্থিত

3. বিশেষত্ব/ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য --> আফিম মাদক উৎপাদনকারী অঞ্চল


1. নাম --> গোল্ডেন ক্রিসেন্ট

2. অন্তর্ভূক্ত অঞ্চল বা দেশ --> আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ইরান সীমান্তে অবস্থিত

3. বিশেষত্ব/ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য --> আফিম মাদক উৎপাদনকারী অঞ্চল


1. নাম --> গোল্ডেন ওয়েজ

2. অন্তর্ভূক্ত অঞ্চল বা দেশ --> বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল সীমান্তে অবস্থিত

​3. বিশেষত্ব/ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য --> মাদক পাচার ও চোরাচালানের জন্য বিখ্যাত


1. নাম --> গোল্ডেন ভিলেজ

2. অন্তর্ভূক্ত অঞ্চল বা দেশ --> বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার ২৬ টি গ্রাম

3. বিশেষত্ব/ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য --> গাঁজা উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত


বিভিন্ন বিখ্যাত অর্থনৈতিক জোট/ (দেশ)

1. জোট --> 3-Tigers

2. দেশ --> জাপান, জার্মানি, ইতালি


1. জোট --> 4-Tigers

2. দেশ --> দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, হংকং


1. জোট --> সুপার সেভেন

2. দেশ --> মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড + ফোর টাইগারস (দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, হংকং)


1. জোট --> ইস্ট এশিয়ান মিরাকল

2. দেশ --> জাপান + সুপার সেভেন (মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, হংকং)





বিভিন্ন দেশের রাজধানী

বিভিন্ন দেশের রাজধানী

কতিপয় দেশের রাজধানী (মহাদেশ অনুযায়ী ভাগ করে তালিকা দেওয়া হল)

1. মহাদেশ --> এশিয়া

2. রাষ্ট্র --> আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, ইয়েমেন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া, উজবেকিস্তান, ওমান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, কম্বোডিয়া, কুয়েত, কাতার, চীন, জর্দান, জর্জিয়া, জাপান, তাইওয়ান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তুরস্ক,

3. রাজধানী --> কাবুল, ইয়েরেভান, বাকু, সানা, জাকার্তা, তেহরান, বাগদাদ, জেরুজালেম, পিয়ংইয়ং, তাশখন্দ, মুসকাট, আস্তানা, বিশকেক, নমপেন, কুয়েত সিটি, দোহা, টোকিও, তাইপে, দুশানবে, আশগাবাত, আঙ্কারা,


1. মহাদেশ --> ইউরোপ

2. মহাদেশ --> থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, পূর্ব তিমুর, ফিলিপাইন, ফিলিস্তিন, বাংলাদেশ, বাহরাইন, ব্রুনেই, ভূটান, ভারত, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মায়ানমার, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, লাওস, লেবানন, শ্রীলঙ্কা, সাইপ্রাস, সিরিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত

3. রাষ্ট্র --> ব্যাংকক, সিউল, কাঠমুণ্ডু, ইসলামাবাদ, দিলি, ম্যানিলা, জেরুজালেম, ঢাকা, মানামা, বন্দর শের-ই-বেগাওয়ান, থিম্পু, নয়াদিল্লি, হ্যানয়, কুয়ালালামপুর, মালে, নেপিদ, উলানবাটোর, মস্কো, ভিয়েনতিয়েন, বৈরুত, কলম্বো, নিকোশিয়া, দামেস্ক, নিকোশিয়া, দামেস্ক, রিয়াদ, সিঙ্গাপুর


1. মহাদেশ --> উত্তর আমেরিকা

2. রাষ্ট্র --> অ্যান্টিগুয়া এন্ড বারবুডা, ইউনাইটে স্টেটস/ আমেরিকা/ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এল সালভাদর, কানাডা, কোস্টারিকা, কিউবা, গ্রিনল্যান্ড, গ্রেনাডা, গুয়াতেমালা, জ্যামাইকা, ডোমিনিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো (টিএন্ডটি), নিকারাগুয়া, পানামা, পুয়োর্তো রিকো*, বাহামা, বার্বাডোস, বেলিজ, বারমুডা*, বৃটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস*, মেক্সিকো, সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এন্ড দি গ্রেনাডিয়ানস, হাইতি, হন্ডুরাস

​3. রাজধানী --> সেন্ট জনস,


1. মহাদেশ --> দক্ষিণ আমেরিকা

2. রাষ্ট্র --> আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, উরুগুয়ে, কলম্বিয়া, গায়ানা, চিলি, প্যারাগুয়ে, পেরু, ফকল্যান্ড আইল্যান্ডস*, ব্রাজিল, বলিভিয়া, ভেনিজুয়েলা, সুরিনাম

3. রাজধানী --> বুয়েন্স আয়ার্স, কুয়োটো, মন্টিভিডিও, বোগোতা, জর্জটাউন, সান্তিয়াগো, আসুনচিয়ন, লিমা, স্ট্যানলি, ব্রাসিলিয়া, সুক্রে, লা পাজ (সংসদীয়), কারাকাস, পারামারিবো, অ্যাঙ্গোলা, ইরিতিয়া, ইথিওপিয়া, ইকুইটেরিয়াল গিনি , উগান্ডা, ক্যামেরুন, কেপ ভার্দে, কমোরোস, কঙ্গো, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, কেনিয়া, গ্যাবন, গাম্বিয়া,


1. মহাদেশ --> আফ্রিকা

2. রাষ্ট্র --> আলজেরিয়া, আইভরি কোস্ট, গিনি, গিনি-বিসাউ, ঘানা, চাঁদ, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, জিবুতি, টোগো, তাঞ্জানিয়া, তিউনিসিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ সুদান, নামিবিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, বেনিন, বতসোয়ানা, বুরকিনো ফাসো, বুরুন্ডি, মিশর, মাদাগাস্কার, মালাওয়ি, মালি

3. রাজধানী --> আলজিয়ার্স, ইয়ামোসুক্রো আবিদজান (সংসদীয়), লুয়ান্ডা, আসমারা, আদ্দিস আবাবা, মালাবো, কাম্পালা, ইয়ান্দে, প্রায়া, মোরোনি, ব্রাজ্জাভিলে, কিনসাসা, নাইরোবি, লিব্রেভিল, বানজুল, ক্যানোক্রি, বিসাউ, আক্রা, নজামেনা, লুসাকা, হারারে, জিবুতি, লোমে, দাদোমা, তিউনিস, প্রিটোরিয়া (প্রশাসনিক)কেপটাউন (সংসদীয়) ব্লুমফন্টেইন (আইন বিষয়ক), জুবা, উইন্ডহোয়েক, নিয়ামে, আবুজা, পোর্তো নোভো, গ্যাবোর্ন, উগাদুগো, বুজুম্বুরা, কায়রো, আন্টানানারিভো, লিলোঙ্গি, বামাকো, নকচট, পোর্ট লুইস, রাবাত, মাপুতো,


1. মহাদেশ --> অস্ট্রেলিয়া/ ওশেনিয়া

2. রাষ্ট্র --> অস্ট্রেলিয়া, কুক আইল্যান্ডস*, কিরিবাতি, টোঙ্গা, টুভ্যালু, নাউরু, নিউজিল্যান্ড, পালাউ, পাপুয়া নিউগিনি, ফিজি, ভানুয়াতু, মার্শাল আইল্যান্ডস, মাইক্রোনেশিয়া, সামোয়া, সলোমন আইল্যান্ডস

3. রাজধানী --> ক্যানবেরা, আভারুয়া, দক্ষিণ তারাওয়া, নুকুআলোফা, ফুনাফুতি, ইয়ারেন, ওয়েলিংটন, মেলেকেওক, পোর্ট মোর্সবি, সুভা, পোর্ট ভিয়া, মাজুরো, পালিকির, আপিয়া, হোনিয়ারা




পার্লামেন্ট

পার্লামেন্ট

এককক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট

1. বাংলাদেশ -->জাতীয় সংসদ/ হাউস অফ দ্য নেশন --> বুলগেরিয়া

2. মালদ্বীপ -->মজলিস/ পার্লামেন্ট -->বুরকিনা ফাসো

3. ইসরাইল -->নেসেট/ অ্যাসেম্বলি -->আর্মেনিয়া

4. ইরান -->মজলিস/ অ্যাসেম্বলি -->আজারবাইজান

5. ইরাক -->মজলিস আল-নওয়াব আল-ইরাকি --> বেনিন

6. লেবানন -->মজলিস-উন-নওয়াব/ অ্যাসেম্বলি অফ ডেপুটিস --> ক্যামেরুন

7. সৌদি আরব -->মজলিস-এ-শূরা --> কেপ ভার্দে

8. ফিনল্যান্ড -->এসডুস্কুন্টা/ রিখসড্যাগ -->মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র

9. গ্রিস -->হেলেনিক পার্লামেন্ট --> চাঁদ

10. আইল্যান্ড -->আলথিং/ অ্যাসেম্বলি অফ অল --> আইভরি কোস্ট

11. আলবেনিয়া -->কুভেনডি --> ইকুয়েডর --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি

12. ক্রোয়েশিয়া --> সাবোর/ অ্যাসেম্বলি --> হাঙ্গেরি

13. ডেনমার্ক --> ফোকেটিং/ পার্লামেন্ট--> কেনিয়া

14. সুইডেন --> রিকসড্যাগ --> মরিশাস

15. ইউক্রেন --> ভারখোরনা রাডা --> কুয়েত

16. নরওয়ে --> স্টরটিনগেট/ গ্রেট অ্যাসেম্বলি --> লাওস

17. ডোমিনিকা-->হাউজ অব অ্যাসেম্বলি -->মালাওয়ি

18. লিচেনস্টাইন --> ডায়েট -->মরিশাস,নিকারাগুয়া,নাইজার,সার্বিয়া,পানামা

19. মঙ্গোলিয়া--> স্টেট গ্রেট খুরাল --> ভিয়েতনাম

20. মাল্টা --> হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ --> কুয়েত -->ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি অব কুয়েত

21. সাইপ্রাস -->হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ -->তুরস্ক -->গ্রান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি

22. লুক্সেমবার্গ -->চেম্বার অব ডেপুটিস -->পর্তুগাল -->অ্যাসেম্বলি অব দি রিপাবলিক

23. লেবানন -->অ্যাসেম্বলি অব ডেপুটিস--> কিউবা --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি অফ পিপলস পাওয়ার

24. উত্তর কোরিয়া-->সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলি-->কোস্টারিকা -->লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি

25. চীন-->ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস --> নিউজিল্যান্ড

26. নেপাল--> লেজিসলেচার পার্লামেন্ট/ কংগ্রেস -->মন্টিনিগ্রো

27. চিলি-->ন্যাশনাল কংগ্রেস -->ফিলিস্তিন

28. গুয়েতেমালা -->কংগ্রেস অফ দ্য রিপাবলিক -->লাটভিয়া

29. লিবিয়া-->জেনারেল পিপলস কংগ্রেস -->লিথুয়ানিয়া

30. স্লোভাকিয়া-->ন্যাশনাল কাউন্সিল -->মলদোভা,সিয়েরা লিওন,সিঙ্গাপুর,শ্রীলংকা



দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট

1. দেশ --> অস্ট্রিয়া

2. পার্লামেন্ট --> ফেডারেল অ্যাসেম্বলি

3. উচ্চকক্ষ --> ফেডারেল কাউন্সিল

4. নিম্ন কক্ষ --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি


1. দেশ --> অস্ট্রেলিয়া

2. পার্লামেন্ট --> ফেডারেল পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ


1. দেশ --> অন্টিগুয়া-বারবুডা

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ


1. দেশ --> আফগানিস্তান

2. পার্লামেন্ট --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি

3. উচ্চকক্ষ --> হাউস অফ এল্ডার্স

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউস অফ দ্য পিপল


1. দেশ --> আর্জেন্টিনা

2. পার্লামেন্ট --> আর্জেন্টাইন ন্যাশনাল কংগ্রেস

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট অফ দ্য নেশন

4. নিম্ন কক্ষ --> চেম্বার অফ ডেপুটিস অফ দ্য নেশন


1. দেশ --> বাহামা

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ


1. দেশ --> বারবাডোস

2. পার্লামেন্ট --> হাউজ অব অ্যাসেম্বলি

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউজ অব অ্যাসেম্বলি


1. দেশ --> বেলিজ

2. পার্লামেন্ট --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ


1. দেশ --> বেলজিয়াম

2. পার্লামেন্ট --> ফেডারেল পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> চেম্বার অব পিপলস রিপ্রেজেনটেটিভ


1. দেশ --> ভুটান

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> ন্যাশনাল কাউন্সিল

4. নিম্ন কক্ষ --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি


1. দেশ --> বসনিয়া এন্ড হার্জগোভিনা

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি

3. উচ্চকক্ষ --> হাউস অফ পিপলস

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস


1. দেশ --> বলিভিয়া

2. পার্লামেন্ট --> ন্যাশনাল কংগ্রেস

3. উচ্চকক্ষ --> চেম্বার সিনেটর্স

4. নিম্ন কক্ষ --> চেম্বার অফ ডেপুটিস


1. দেশ --> ব্রাজিল

2. পার্লামেন্ট --> ন্যাশনাল কংগ্রেস

3. উচ্চকক্ষ --> ফেডারেল সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> চেম্বার অফ ডেপুটিস


1. দেশ --> কানাডা

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউজ অব কমনস


1. দেশ --> চেক রিপাবলিক

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> চেম্বার অব ডেপুটিস


1. দেশ --> মিশর

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> কনসাল্টেটিভ কাউন্সিল/ মজলিস-এ-শূরা

4. নিম্ন কক্ষ --> পিপলস কাউন্সিল/ মজলিস-এ-সা’ব


1. দেশ --> ইথিওপিয়া

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> হাউস অফ ফেডারেশন

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউস অফ পিপলস রিপ্রেজেন্টেটিভ


1. দেশ --> ফ্রান্স

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি


1. দেশ --> জার্মানী

2. পার্লামেন্ট --> রিকস্টেগ

3. উচ্চকক্ষ --> ফেডারেল কাউন্সিল/ বুন্দেসট্যাগ

4. নিম্ন কক্ষ --> ফেডারেল ডায়েট/বুন্দেসর‌্যাগ



1. দেশ --> ভারত

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট/ সংসদ

3. উচ্চকক্ষ --> কাউন্সিল অফ স্টেটস/ রাজ্যসভা

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউস অফ দ্য পিপল/ লোকসভা


1. দেশ --> গ্রেনাডা

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ


1. দেশ --> হাইতি

2. পার্লামেন্ট --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> চেম্বার অফ ডেপুটিস


1. দেশ --> আয়ারল্যান্ড

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট অফ আয়ারল্যান্ড

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস অফ আয়ারল্যান্ড


1. দেশ --> ইতালি

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট অফ দ্য রিপাবলিক

​4. নিম্ন কক্ষ --> চেম্বার অফ ডেপুটিস


1. দেশ --> জ্যামাইকা

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস


1. দেশ --> জাপান

2. পার্লামেন্ট --> ডায়েট

3. উচ্চকক্ষ --> হাউস অফ কাউন্সিলর্স

4. নিম্ন কক্ষ -->হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস


1. দেশ --> মালয়েশিয়া

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস


1. দেশ --> জর্ডান

2. পার্লামেন্ট --> মজলিস-এ-উম্মা

3. উচ্চকক্ষ --> মজলিস-এ-আয়ান

4. নিম্ন কক্ষ --> মজলিস-এ-নওয়াব


1. দেশ --> কাজাখস্তান

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> অ্যাসেম্বলি/ পার্লামেন্ট


1. দেশ --> নেদারল্যান্ড

2. পার্লামেন্ট --> স্ট্রোটস জেনারেল

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস



1. দেশ --> পাকিস্তান

2. পার্লামেন্ট --> অ্যাসেম্বলি অফ কাউন্সিলর্স / মজলিস-এ- শূরা

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি


1. দেশ --> পোল্যান্ড

2. পার্লামেন্ট --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> ডায়েট/ সেম


1. দেশ --> স্লোভেনিয়া

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> ন্যাশনাল কাউন্সিল

4. নিম্ন কক্ষ --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি


1. দেশ --> দক্ষিণ আফ্রিকা

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ প্রভিন্স

4. নিম্ন কক্ষ --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি


1. দেশ --> দক্ষিণ সুদান

2. পার্লামেন্ট --> ন্যাশনাল লেজিসলেচার

3. উচ্চকক্ষ --> ন্যাশনাল লেজিসলেচার অ্যাসেম্বলি

4. নিম্ন কক্ষ --> কাউন্সিল অফ স্টেটস


1. দেশ --> স্পেন

2. পার্লামেন্ট --> কোর্ট জেনারালে/ জেনারেল কোর্টস

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> কংগ্রেস অফ ডেপুটিস


1. দেশ --> সুদান

2. পার্লামেন্ট --> ন্যাশনাল লেজিসলেচার

3. উচ্চকক্ষ --> অ্যাসেম্বলি অফ স্টেটস

4. নিম্ন কক্ষ --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি


1. দেশ --> সুইজারল্যান্ড

2. পার্লামেন্ট --> ফেডারেল অ্যাসেম্বলি

3. কাউন্সিল ​ -->অফ স্টেটস

4. নিম্ন কক্ষ --> ন্যাশনাল কাউন্সিল


1. দেশ --> থাইল্যান্ড

2. পার্লামেন্ট --> ন্যাশন্যাল অ্যাসেম্বলি

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস


1. দেশ --> ক্যাম্বোডিয়া

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি


1. দেশ --> বুরুন্ডি

2. পার্লামেন্ট --> পার্লামেন্ট

3. উচ্চকক্ষ --> সিনেট

4. নিম্ন কক্ষ --> ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি





বিভিন্ন দেশের মুদ্রা

বিভিন্ন দেশের মুদ্রা

1. দেশ --> মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পূর্ব তিমুর, সিঙ্গাপুর, হংকং, ব্রুনাই, জিম্বাবুয়ে, গ্রানাডা, গায়ানা, বেলিজ, জ্যামাইকা, অ্যান্টিগুয়া ও বারমুডা

2. মুদ্রা --> ডলার


1. দেশ --> সুইজারল্যান্ড, মোনাকো, বুরুন্ডি, বেনিন্, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ক্যামেরুন, চাঁদ, কঙ্গো, আইভরি কোস্ট, গ্যাবন, মালাগাছি, নাইজার, রুয়ান্ডা, সেনেগাল

2. মুদ্রা --> ফ্রাংক


1. দেশ --> কেনিয়া, তাঞ্জানিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডা

2. মুদ্রা --> শিলিং


1. দেশ --> সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE), মরক্কো
2. মুদ্রা --> দিরহাম


1. দেশ --> ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল
2. মুদ্রা --> রুপি


1. দেশ --> চেক প্রজাতন্ত্র
2. মুদ্রা --> কোরনা


1. দেশ --> স্লোভাক
2. মুদ্রা --> নিউকোরনা


1. দেশ --> কোস্টারিকা, এল সালভাদর
2. মুদ্রা --> কোলন


1. দেশ --> বুলগেরিয়া, রুমানিয়া
2. মুদ্রা --> লেড


1. দেশ --> দক্ষিণ কোরিয়া
2. মুদ্রা --> ওন


1. দেশ --> উত্তর কোরিয়া
2. মুদ্রা --> ওয়ান


1. দেশ --> প্যারাগুয়ে
2. মুদ্রা --> ওয়ারানি


1. দেশ --> মালয়েশিয়া
2. মুদ্রা --> রিংগিট


1. দেশ --> চীন
2. মুদ্রা --> ইউয়ান


1. দেশ --> গুয়েতেমালা
2. মুদ্রা --> কুয়েত জাল


1. দেশ --> মায়ানমার
2. মুদ্রা --> কিয়াট


1. দেশ --> ব্রাজিল
2. মুদ্রা --> রিয়েল


1. দেশ --> কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
2. মুদ্রা --> জায়ারে


1. দেশ --> পেরু
2. মুদ্রা --> ইনতি



1. দেশ --> নিরাকাগুয়া
2. মুদ্রা --> করডোবা


1. দেশ --> পোল্যান্ড
2. মুদ্রা --> জোটি


1. দেশ --> ভুটান
2. মুদ্রা --> গুলট্রাম


1. দেশ --> বাংলাদেশ
2. মুদ্রা --> টাকা


1. দেশ --> যুক্তরাজ্য, সাইপ্রাস, মিশর, লেবানন, সিরিয়া
2. মুদ্রা --> পাউন্ড


1. দেশ --> আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ইতালি, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, স্পেন, নেদারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, পর্তুগাল, গ্রিস, মাল্টা, সাইপ্রাস, স্লোভেনিয়া, স্লোভাকিয়া
2. মুদ্রা --> ইউরো


1. দেশ --> ভ্যাটিকান, তুরস্ক
2. মুদ্রা --> লিরা


1. দেশ --> ইয়েমেন, সৌদি আরব, ওমান, কাতার, ইরান
2. মুদ্রা --> রিয়াল


1. দেশ --> আলজেরিয়া, বাহরাইন, কুয়েত, তিউনিশিয়া
2. মুদ্রা --> দিনার


1. দেশ --> ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ
2. মুদ্রা --> রুপাইয়া


1. দেশ --> ফিলিপাইন, মেক্সিকো, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে, কিউবা, আর্জেন্টিনা, চিলি
2. মুদ্রা --> পেসো


1. দেশ --> ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন
2. মুদ্রা --> ক্রোনার


1. দেশ --> ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া
2. মুদ্রা --> চির


1. দেশ --> থাইল্যান্ড
2. মুদ্রা --> বাথ


1. দেশ --> রাশিয়া
2. মুদ্রা --> রুবল


1. দেশ --> হাঙ্গেরি
2. মুদ্রা --> ফোরিন্ট


1. দেশ --> দক্ষিণ আফ্রিকা
2. মুদ্রা --> র‌্যান্ড


1. দেশ --> জাপান
2. মুদ্রা --> ইয়েন


1. দেশ --> ইসরাইল
2. মুদ্রা --> সেকেল


1. দেশ --> ভেনিজুয়েলা
2. মুদ্রা --> বলিভার


1. দেশ --> ভিয়েতনাম
2. মুদ্রা --> ডং


1. দেশ --> জাম্বিয়া
​2. মুদ্রা --> কওয়াচা


1. দেশ --> কাজাকিস্তান
2. মুদ্রা --> টেনজে





বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রতীক

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রতীক

1. বাংলাদেশ --->শাপলা

2. ভারত --->অশোক স্তম্ভ

3. পাকিস্তান --->অর্ধচন্দ্র

4. আফগানিস্তান --->মসজিদ

5. অস্ট্রেলিয়া --->ক্যাঙ্গারু

6. ডেনমার্ক --->সিংহ

7. প্যালেস্টাইন --->ঈগল

8. পোল্যান্ড --->সাদা ঈগল

9. রাশিয়া --->দুই মাথাযুক্ত ঈগল

10. জাপান --->ক্রিসেন্ট থিমাম

11. ইরান --->চারটি অর্ধচন্দ্র এবং একটি তলোয়ার নিয়ে আল্লাহ লেখা

12. কসোভো --->ছয়টি তারকা এবং দেশের মানচিত্র

​13. কুয়েত --->শিল্ডের মধ্যে ধাবমান জাহাজ

14. যুক্তরাষ্ট্র --->স্বর্ণ দণ্ড

15. নেপাল --->এভারেস্ট

16. নরওয়ে --->কুড়ালসমেত মুকুটযুক্ত

17. আয়ারল্যান্ড --->গোল্ডেন হার্প

18. সৌদি আরব --->খেজুর বৃক্ষ ও তার নিচে তরবারি

19. সুইজারল্যান্ড --->হোয়াইট ক্রস

20. চীন ---> তিয়েনআনমেন স্কয়ারের গেট আর তার উপরে ৫টি তারা



আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ

তিক দিবসসমূহ

1. জানুয়ারি

২৬ জানুয়ারি- শুল্ক দিবস


2. ফেব্রুয়ারি

৪ ফেব্রুয়ারি- ক্যান্সার দিবস

১৪ ফেব্রুয়ারি- ভালোবাসা দিবস

২০ ফেব্রুয়ারি- সামাজিক ন্যায়বিচার দিবস

২১ ফেব্রুয়ারি- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস


3. মার্চ

৮ মার্চ- নারী দিবস

২১ মার্চ- বর্ণবৈষম্য নির্মূল দিবস

২১ মার্চ- বন দিবস

২১ মার্চ- কবিতা দিবস

২২ মার্চ- পানি দিবস

২৩ মার্চ- আবহাওয়া দিবস


4. এপ্রিল

২ এপ্রিল- অটিজন সচেতনতা দিবস

৭ এপ্রিল- স্বাস্থ্য দিবস

২২ এপ্রিল- ধরিত্রী দিবস

২৩ এপ্রিল- বই দিবস

২৭ এপ্রিল- শিশু দিবস

২৯ এপ্রিল- আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস


5. মে

১ মে- মে দিবস/ বিশ্ব শ্রমিক দিবস

৩ মে- সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা দিবস

৮ মে- রেডক্রস দিবস ২য় রোববার- মা দিবস (২০১১ সালে ৮ মে)

১৫ মে- পরিবার দিবস

১৭ মে- টেলিযোগাযোগ দিবস

১৮ মে- জাদুঘর দিবস

২৯ মে- জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস

৩১ মে- ধূমপানবিরোধী দিবস


6. জুন

৫ জুন- পরিবেশ দিবস

৮ জুন- সাগর দিবস

১২ জুন- শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস

২০ জুন- শরণার্থী/উদ্বাস্তু দিবস

২৩ জুন- অলিম্পিক দিবস

২৬ জুন- মাদকবিরোধী দিবস


7. জুলাই

১১ জুলাই- জনসংখ্যা দিবস

১৮ জুলাই- নেলসন ম্যান্ডেলা দিবস


8. আগস্ট

১ আগস্ট- বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস

৬ আগস্ট- হিরোশিমা দিবস

১ম রবিবার- বন্ধুত্ব দিবস (২০১১ সালে ৭ আগস্ট)

৯ আগস্ট- নাগাসাকি দিবস

৯ আগস্ট- আদিবাসী দিবস

১২ আগস্ট- যুব দিবস

২৪ আগস্ট- নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস

২৯ আগস্ট- নিউক্লিয়ার অস্ত্র পরীক্ষা বিরোধী দিবস


9. সেপ্টেম্বর

৮ সেপ্টেম্বর- স্বাক্ষরতা দিবস

১z সেপ্টেম্বর- গণতন্ত্র দিবস

২৭ সেপ্টেম্বর- পর্যটন দিবস

২৮ সেপ্টেম্বর- তথ্য অধিকার দিবস


10. অক্টোবর

১ অক্টোবর- প্রবীণ দিবস

৫ অক্টোবর- শিক্ষক দিবস

৯ অক্টোবর- ডাক দিবস

১০ অক্টোবর- মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

১১ অক্টোবর- দর্শন দিবস

২য় বৃহস্পতিবার- অন্ধত্ব/সাদা ছড়ি দিবস (২০১১ সালে ১৩ অক্টোবর)

১৪ অক্টোবর- শিশু দিবস

১৬ অক্টোবর- খাদ্য দিবস

২৪ অক্টোবর- জাতিসংঘ দিবস


11. নভেম্বর

১৬ নভেম্বর- সহিষ্ণুতা দিবস

১৯ নভেম্বর- টয়লেট দিবস

২০ নভেম্বর- শিশু দিবস

৩য় রবিবার- সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণে দিবস (২০১১ সালে ২০ নভেম্বর)

২১ নভেম্বর- টেলিভিশন দিবস

২৯ নভেম্বর- সংহতি দিবস


12. ডিসেম্বর

১ ডিসেম্বর- এইডস দিবস

২ ডিসেম্বর- দাসপ্রথা বিলোপ দিবস

৩ ডিসেম্বর- বিকলাঙ্গ/পঙ্গু/প্রতিবন্ধী দিবস

৯ ডিসেম্বর- দুর্নীতি বিরোধী দিবস

১০ ডিসেম্বর- মানবাধিকার দিবস

১৮ ডিসেম্বর- প্রবাসী দিবস



বিভিন্ন দেশের উপজাতি/ আদিবাসী

বিভিন্ন দেশের উপজাতি/ আদিবাসী

বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ উপজাতি/ আদিবাসীদের নাম নিচে দেয়া হলো-

1. উপজাতি/ আদিবাসী --> মাওরি

2. দেশ --> নিউজিল্যান্ড


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> কসাক

2. দেশ --> পোল্যান্ড, ইউক্রেন


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> ভাইকিং

2. দেশ --> নরওয়ে


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> এস্কিমো

2. দেশ --> গ্রিনল্যান্ড, আলাস্কা, ল্যাব্রাডার, সাইবেরিয়া


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> তাতার

2. দেশ --> সাইবেরিয়া


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> রেড ইন্ডিয়ান

2. দেশ --> যুক্তরাষ্ট্র


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> জুলু

2. দেশ --> দক্ষিণ আফ্রিকা


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> হটেনটট

2. দেশ --> দক্ষিণ আফ্রিকা


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> পিগমি

2. দেশ --> আফ্রিকা (কঙ্গো)


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> নিগ্রো

2. দেশ --> মধ্য ও দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকা মহাদেশ


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> বুশম্যান

2. দেশ --> আফ্রিকা (বতসোয়ানা ও নামিবিয়ার কালাহারি মরুভূমি সংলগ্ন অংশে)


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> বেদুইন

2. দেশ --> আরবের যাযাবর জাতি


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> কুর্দি

2. দেশ --> তুরস্ক, ইরান ও ইরাক (কুর্দিস্তান)


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> হুন

2. দেশ --> মধ্য এশিয়া


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> পাপুয়ান

2. দেশ --> পশ্চিম ইরান


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> শেরপা

2. দেশ --> নেপাল ও তিব্বত


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> গুর্খা

2. দেশ --> নেপাল


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> নাগা

2. দেশ --> ভারত (নাগাল্যান্ড)


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> খাসিয়া*

2. দেশ --> ভারত (আসাম প্রদেশ)


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> সাঁওতাল*

2. দেশ --> ভারত (উড়িষ্যা ও ছোটনাগপুর)


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> দ্রাবিড়

2. দেশ --> ভারত ও শ্রীলঙ্কা


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> আফ্রিদি

2. দেশ --> পাকিস্তান


1. উপজাতি/ আদিবাসী --> আইনু

2. দেশ --> জাপান

* চিহ্নিত উপজাতিরা বাংলাদেশেও বসবাস করে।

19 February, 2018

বগুড়া জেলার সকল ইউনিয়ন


-
আপনি কোন ইউনিয়নের কমেন্ট করে জানানঃ
-
1#সোনাতলাঃ 07 টি ইউনিয়ন
-
*সোনাতলা ইউনিয়ন
*বালুয়া ইউনিয়ন
*দিগদাইড় ইউনিয়ন
*জোড়গাছা ইউনিয়ন
*মধুপুর ইউনিয়ন
*তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়ন
*পাকুল্ল্যা ইউনিয়ন
-
2#আদমদীঘিঃ 06 টি ইউনিয়ন
-
*ছাতিয়ানগ্রাম
*নশরতপুর
*আদমদীঘি
*কুন্দগ্রাম
*চাঁপাপুর
*সান্তাহার
-
3#বগুড়া সদরঃ 11 টি ইউনিয়ন
-
*ফাঁপোর
*সাবগ্রাম
*নিশিন্দারা
*এরুলিয়া
*রাজাপুর
*শাখারিয়
*শেখেরকোলা
*গোকুল
*নুনগোলা
*লাহিড়ীপাড়া
*নামুজা
-
4#ধুনটঃ 10 টি ইউনিয়ন
-
*নিমগাছি ইউনিয়ন
*কালের পাড়া ইউনিয়ন
*চিকাশী ইউনিয়ন
*গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন
*ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন
*ধুনট ইউনিয়ন
*এলাঙ্গী ইউনিয়ন
*চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন
*মথুরাপুর ইউনিয়ন
*গোপালনগর ইউনিয়ন
-
5#দুপচাঁচিয়াঃ 6 টি ইউনিয়ন
-
*জিয়ানগর
*চামরুল
*দুপচাঁচিয়া (সদর)
*গুনাহার
*গোবিন্দপুর
*তালোড়া.
-
6#গাবতলীঃ 11 টি ইউনিয়ন
-
*গাবতলী ইউনিয়ন
*নেপালতলী ইউনিয়ন
*সোনারায় ইউনিয়ন
*কাগইল ইউনিয়ন
*রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন
*মহিষাবান ইউনিয়ন
*দক্ষিণপাড়া ইউনিয়ন
*দুর্গাহাটা ইউনিয়ন
*বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন
*নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন
*নশিপুর ইউনিয়ন
-
7#কাহালুঃ 09 টি ইউনিয়ন
-
*বীরকেদার
*কালাই
*পাইকড়
*নারহট্ট
*মুরইল
*কাহালু
*দূর্গাপুর
*জামগ্রাম
*মালঞ্চা।
-
8#নন্দীগ্রামঃ 05 টি ইউনিয়ন
-
*বুড়ইল ইউনিয়ন
*নন্দীগ্রাম ইউনিয়ন
*ভাটরা ইউনিয়ন
* থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়ন
*ভাটগ্রাম ইউনিয়ন
-
9#সারিয়াকান্দিঃ 12 টি ইউনিয়ন
-
*চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন
*হাটশেরপুর ইউনিয়ন
*কাজলা ইউনিয়ন
*সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়ন
*নারচী ইউনিয়ন
*ফুলবাড়ী ইউনিয়ন
*কর্ণিবাড়ী ইউনিয়ন
*কুতুবপুর ইউনিয়ন
*ভেলাবাড়ী ইউনিয়ন
*চন্দনবাইশা ইউনিয়ন
*কামালপুর ইউনিয়ন
*বোহাইল ইউনিয়ন
-
10#শেরপুরঃ 10 টি ইউনিয়ন
-
*কুসুম্বী ইউনিয়ন
*গাড়ীদহ ইউনিয়ন
*খামারকান্দি ইউনিয়ন
*খানপুর ইউনিয়ন
*মির্জাপুর ইউনিয়ন
*বিশালপুর ইউনিয়ন
*ভবানীপুর ইউনিয়ন
*সুঘাট ইউনিয়ন
*সীমাবাড়ী ইউনিয়ন
*শাহ-বন্দেগী ইউনিয়ন
-
11#শিবগঞ্জঃ 12 টি ইউনিয়ন
-
*শিবগঞ্জ,
*বিহার,
*রায়নগর,
*বুড়িগঞ্জ,
*মাঝিহট্ট,
*পীরব,
*আটমূল,
*কিচক,
*ময়দানহাটা,
*দেউলি,
*মোকামতলা
*সৈয়দপুর।
-
12#শাজাহানপুরঃ 09 টি ইউনিয়ন
-
*আশেকপুর ইউনিয়ন
*মাদলা ইউনিয়ন
*মাঝিড়া ইউনিয়ন
*আড়িয়া ইউনিয়ন
*খরনা ইউনিয়ন
*গোহাইল ইউনিয়ন
*খোট্রাপাড়া ইউনিয়ন
*চোপীনগর ইউনিয়ন
*আমরুল ইউনিয়ন

04 February, 2018

আবদুর রহমান ইবন ’আউফ (রা:) এর জীবনী


ইমাম বুখারীর মতে জাহিলী যুগে আবদুর রহমান ইবন ’আউফের নাম ছিল ’আবদু ’আমর। ইবন সা’দ তাঁর ‘তাবাকাতে’ উল্লেখ করেছেন, জাহিলী যুগে তাঁর নাম ছিল ’আবদু কা’বা। ইসলাম গ্রহণের পর রাসূল সা. তাঁর নাম রাখেন ‘আবদুর রহমান’। তাঁর মাতা-পিতা উভয়ে ছিলেন ‘যুহরা’ গোত্রের লোক। মাতার নাম শিফা বিনতু ’আউফ। দাদা ও নানা উভয়ের নাম ’আউফ।

ইবন সা’দ ওয়াকিদীর সূত্রে উল্লেখ করেছেন, তিনি ’আমূল ফীলের (হস্তীর বৎসর) দশ বছর পর জন্মগ্রহণ করেন। এ বর্ণনার ভিত্তিতে তিনি রাসূলুল্লাহ সা. থেকে বয়সে দশ বছর ছোট। রাসূল সা. ’আমুল ফীলের ঘটনায় পঞ্চাশ দিন পর জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু ইবন হাজার তাঁকে রাসূলুল্লাহর সা. তের বছর ছোট বলে উল্লেখ করেছেন।

রাসূলুল্লাহর সা. নবুওয়াত প্রাপ্তির পর প্রথম পর্যায়ে যাঁরা ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি তাঁদেরই একজন। মক্কার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রায় প্রতিদিনই হযরত আবু বকরের বাড়ীতে বৈঠকে মিলিত হতেন। আবদুর রহমানও ছিলেন এ বৈঠকের একজন নিয়মিত সদস্য। আবু বকরের সাথে ছিল তাঁর গভীর বন্ধুত্ব। আবু বকরের দাওয়াতেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। আবু বকরের বাড়ীর এ বৈঠকের নিয়মিত পাঁচজন সদস্যের নাম ইতিহাসে পাওয়া যায়। যেমনঃ উসমান, সা’দ, তালহা, যুবাইর এবং আবদুর রহমান। তাঁদের সকলেই আবু বকরের দাওয়াতে প্রথম পর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ইসলামের জন্য অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ লাভ করেন।

নবুওয়াতের পঞ্চম বছর রজব মাসে যে এগারজন পুরুষ ও চারজন নারীর প্রথম কাফিলাটি মক্কা থেকে হাবশায় হিজরাত করে তার মধ্যে আবদুর রাহমানও ছিলেন। আবার রাসূলের সা. মদীনায় হিজরাতের পর তিনিও মদীনায় হিজরাত করেন। যাঁরা হাবশা ও মদীনা দু’স্থানেই হিজরাত করেছিলেন তাঁদেরকে বলা হয় ‘সাহিবুল হিজরাতাইন’। মদীনায় তিনি হযরত সা’দ ইবন রাবী’ বলে আল-খাযরাজীর গৃহে আশ্রয় নেন এবং তাঁর সাথেই রাসূল সা. ভ্রাতৃসম্পর্ক স্থাপন করে দেন। এ সম্পর্কে ইমাম বুখারী একাধিক সনদের মাধ্যমে বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ সম্পর্কে হযরত আনাস রা. বলেনঃ ‘আবদুর রহমান ইবন ’আউফ হিজরাত করে মদীনায় এলে রাসূল সা. সা’দ ইবন রাবী’র সাথে তাঁর ভ্রাতৃসম্পর্ক কায়েম করে দেন। সা’দ ছিলেন মদীনার খাযরাজ গোত্রের নেতা ও ধনাঢ্য ব্যক্তি। তিনি আবদুর রহমানকে বললেন, ‘আনসারদের সকলে জানে আমি একজন ধনী ব্যক্তি। আমি আমার সকল সম্পদ সমান দু’ভাগে ভাগ করে দিতে চাই। আমার দু’জন স্ত্রী আছেন। আমি চাই, আপনি তাদের দু’জনকে দেখে একজনকে পছন্দ করুন। আমি তাকে তালাক দেব। তারপর আপনি তাকে বিয়ে করে নেবেন।’ আবদুর রহমান বললেনঃ ‘আল্লাহ আপনার পরিজনের মধ্যে বরকত ও কল্যাণ দান করুন! ভাই, এসব কোন কিছুর প্রয়োজন আমার নেই। আমাকে শুধু বাজারের পথটি দেখিয়ে দিন।’

ইসলামী ভ্রাতৃত্বে হযরত সা’দের এ দৃঢ় আস্থা ও অতুলনীয় উদারতার দৃষ্টান্ত ইসলামী উম্মাহ তথা মানব জাতির ইতিহাসে বিরল। অন্যদিকে হযরত আবদুর রহমানের মহত্ব, আত্মনির্ভরতা ও নিজ পায়ে দাঁড়ানোর দৃঢ় সংকল্পও বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়।

মদীনায় অবস্থানের দ্বিতীয় দিন আবদুর রহমান তাঁর আনসারী ভাই সা’দকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘বেচাকেনা হয় এমন কোন বাজার কি এখানে আছে?’’ বললেনঃ ‘‘হাঁ, ইয়াসরিবে (মদীনায়) কায়নুকার বাজার তো আছে।’’ হযরত আব্দুর রহমান এক স্থান থেকে কিছু ঘি ও পনির খরিদ করে বাজারে যান। দ্বিতীয় দিনও তিনি এমনটি করলেন। এভাবে তিনি বেচাকেনা জারি রাখেন। কিছু পয়সা হাতে জমা হলে তিনি এক আনসারী মহিলাকে বিয়ে করেন। "

বিয়ের পর তিনি একদিন রাসূলুল্লাহর সা. খিদমতে হাজির হলেন। তাঁর কাপড়ে হলুদের দাগ দেখে রাসূল সা. জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি বিয়ে করেছ?’ বললেন, ‘হাঁ’। জিজ্ঞেস করলেন কাকে?’ তিনি বললেন, ‘এক আনসারী মহিলাকে।’ রাসূল সা. জিজ্ঞেস করলেন, ‘মোহর কত নির্ধারণ করেছ?’ তিনি বললেন, ‘কিছু সোনা।’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, ‘একটি ছাগল দিয়ে হলেও ওয়ালিমা করে নাও।’

তিনি ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকলেন। কিছুদিন পর তার হাতে আরও কিছু অর্থ জমা হলে রাসূলুল্লাহর সা. নির্দেশমত ওয়ালিমার কাজটি সেরে নেন। ধীরে ধীরে তাঁর ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত হয়। মক্কার উমাইয়া ইবন খালফের সাথে একটি ব্যবসায়িক চুক্তিও সম্পাদন করেন।

হযরত আবদুর রহমান ইবন ’আউফ বদর, উহুদ ও খন্দক সহ সকল যুদ্ধেই অংশগ্রহণ করেন এবং অত্যন্ত সাহস ও দৃঢ়তার পরিচয় দেন। ইমাম বুখারী ‘কিতাবুল মাগাজী’তে বদর যুদ্ধের একটি ঘটনা তাঁরই যবানে এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ ‘‘বদর যুদ্ধে, আমি সারিতে দাঁড়িয়ে। তুমুল লড়াই চলছে। আমি ডানে বাঁয়ে তাকিয়ে আমার দু’পাশে দুই নওজোয়ানকে দেখলাম। তাদের ওপর আমার খুব একটা আস্থা হলো না। তাদের একজন ফিসফিস করে আমাকে জিজ্ঞেস করলোঃ ‘‘চাচা, বলুন তো আবু জাহল কোন দিকে?’’ বললাম, ‘‘ভাতিজা, তাকে দিয়ে কি করবে?’’ সে বলল, ‘‘আমি আল্লাহর সাথে অংগীকার করেছি, হয় আমি তাকে কতল করবো, না হয় এ উদ্দেশ্যে আমার নিজের জীবন কুরবান করবো।’’ একই কথা ফিসফিস করে আমাকে বলল অন্যজনও। আবদুর রহমান বলেন, ‘‘তাদের কথা শোনার পর আমার আনন্দ হলো এই ভেবে যে, কত মহান দু’ব্যক্তির মাঝাখানেই না আমি দাঁড়িয়ে। আমি ইশারা করে আবু জাহলকে দেখিয়ে দিলাম। অকস্মাৎ তারা দু’জন একসাথে বাজপাখীর মত আবু জাহলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যেই তাকে কতল করে। এ দু’নওজোয়ান ছিল ’আফরার দু’পুত্র মুয়ায ও মু’য়াওবিয।’ বদর যুদ্ধে আবদুর রহমান পায়ে আঘাত পান।

উহুদের যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। এ যুদ্ধেও তিনি অসম সাহসিকতা প্রদর্শন করেন। রাসূল সা. উহুদ পর্বতের এক কোণে আশ্রয় নিয়েছেন, উবাই ইবন খালফ এগিয়ে এলো আল্লাহর রাসূলকে শহীদ করার উদ্দেশ্যে। আবদুর রহমান তাকে জাহান্নামে পাঠাবার উদ্দেশ্যে অগ্রসর হলে রাসূল সা. তাঁকে বাধা দেন। অতঃপর রাসূল সা. নিজেই হারিস ইবন সাম্মার নিকট থেকে বর্শা নিয়ে উবাই ইবন খালফের গর্দানে ছুড়ে মারেন। সামান্য আহত হয়ে সে চেঁচাতে চেঁচাতে পালিয়ে যায় এবং মক্কার পথে ‘সারফ’ নামক স্থানে নরক যাত্রা করে।

ইবন সা’দ ‘তাবাকাতুল কুবরা’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, উহুদের যুদ্ধে আবদুর রহমান অসীম সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দেন। বালাযুরী তাঁর ফুতুহুল বুলদান, ইবনে হাজার তাঁর আল-ইসাবা এবং ইবন খালদুন তাঁর তারীখে বর্ণনা করেছেন, এ যুদ্ধে তিনি সারা দেহে মোট একত্রিশটি আঘাত পান।

ষষ্ঠ হিজরীর শাবান মাসে রাসূল সা. মদীনা থেকে প্রায় তিন শো মাইল উত্তরে ‘দুমাতুল জান্দালে’ একটি অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলেন। এ বাহিনীর পরিচালনার দায়িত্ব দেন আবদুর রহমানকে। যাত্রার পূর্বে তিনি উপস্থিত হলেন রাসূলুল্লাহর সা. নিকট। রাসূল সা. নিজ হাতে আবদুর রহমানের মাথার পাগড়ীটা খুলে রেখে দিয়ে অন্য একটি কালো পাগড়ী তার মাথায় বেঁধে দেন। তারপর যুদ্ধের পলিসি সংক্রান্ত কিছু হিদায়াত দিয়ে তিনি আবদুর রহমানকে রা. বিদায় দেন।

মক্কা বিজয়ের সময় রাসূলুল্লাহ সা. মুহাজিরদের যে ছোট্ট দলটির সংগে ছিলেন, আবদুর রহমানও ছিলেন সেই দলে।

মক্কা বিজয়ের পর রাসূল সা. আরব উপদ্বীপে দাওয়াতী কাজের জন্য কতকগুলি তাবলীগী গ্রুপ বিভিন্ন দিকে পাঠান। তখনও আরব গোত্রগুলি মূর্খতা ও আসাবিয়্যাতের মধ্যে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। এ কারণে রাসূল সা. তাবলীগী গ্রুপগুলিকে সশস্ত্র অবস্থায় পাঠলেন। যাতে প্রয়োজনে তারা আত্মরক্ষা করতে পারে। এরকম তিরিশ সদস্য বিশিষ্ট একটি দলকে হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্বে বনু খুযায়মার লোকদের নিকট পাঠানো হলো। কিন্তু হযরত খালিদ ও বনু খুযায়মার মধ্যে ভুল বুঝা-বুঝি সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে হযরত খালিদ বনু খুযায়মার ওপর হামলা করে তাদের বহু লোককে হতাহত করেন। এ ঘটনা অবগত হয়ে রাসূল সা. হযরত খালিদকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং তঁর ভুলের জন্য আল্লাহর নিকট মাগফিরাত কামনা করেন। রাসূল সা. নিহত ব্যক্তিদের দিয়াত আদায় করেন। এমন কি কারও একটি কুকুরও মারা গিয়ে থাকলে তারও বিনিময় মূল্য আদায় করা হয।

বনু খুযায়মার এ দুর্ঘটনা নিয়ে খালিদ ও আবদুর রহমানের মধ্যে বচসা ও বিতর্ক হয়। এ কথা রাসূল সা. অবগত হয়ে খালিদকে ডেকে তিরস্কার করেন। তিনি বলেন, ‘তুমি সাবেকীনে আওয়াবীন’ (প্রথম পর্বে ইসলাম গ্রহণকারী) একজন সাহাবীর সাথে ঝগড়া ও তর্ক করেছ। এমনটি করা তোমার শোভন হয়নি। আল্লাহর কসম, যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনার মালিকও তুমি হও এবং তার সবই আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দাও, তবুও তুমি আমার সেসব প্রবীণ সাহাবীর একজনেরও সমকক্ষ হতে পারবে না।’ উল্লেখ থাকে যে, হযরত খালিদ আহযাবের যুদ্ধের পর ষষ্ঠ হিজরীতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

নবম হিজরীতে তাবুক অভিযানের সময় মুসলমানগণ যে ঈমানী পরীক্ষার সম্মুখীন হয় সে পরীক্ষায়ও তিনি কৃতকার্য হন। রাসূলুল্লাহর সা. আবেদনে সাড়া দিয়ে এ অভিযানের জন্য হযরত আবু বকর, উসমান ও আবদুর রহমান রা. রেকর্ড পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন। আবদুর রহমান আট হাজার দিনার রাসূলুল্লাহর সা. হাতে তুলে দিলে মুনাফিকরা কানাঘুষা শুরু করে দেয়। তারা বলতে থাকে, ‘সে একজন রিয়াকার- লোক দেখানোই তার উদ্দেশ্য।’ তাদের জবাবে আল্লাহ বলেন, ‘এ তো সেই ব্যক্তি যার উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হতে থাকবে।’ (সূরা তাওবাহঃ ৭১) অন্য একটি বর্ণনায় আছে, উমার রা. তাঁর এ দান দেখে বলে ফেলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে আবদুর রহমান গুনাহগার হয়ে যাচ্ছে। কারণ, সে তার পরিবারের লোকদের জন্য কিছুই রাখেনি।’ একথা শুনে রাসুল সা. জিজ্ঞেস করেন, ‘আবদুর রহমান, পরিবারের জন্য কিছু রেখেছ কি?’ তিনি বলেন, ‘হাঁ। আমি যা দান করেছি তার থেকেও বেশী ও উৎকুষ্ট জিনিস তাদের জন্য রেখেছি।’ রাসূলুল্লাহ সা. জিজ্ঞেস করলেন, ‘কত?’ বললেন, ‘আল্লাহ ও তার রাসূল যে রিযিক, কল্যাণ ও প্রতিদানের অঙ্গীকার করেছেন, তাই।’

এ তাবুক অভিযানকালে একদিন ফজরের নামাযের সময় রাসূল সা. প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যান। ফিরতে একটু দেরি হয়। এদিকে নামাযের সময়ও হয়ে যায়। তখন সমবেত মুসল্লীদের অনুরোধে আবদুর রহমান ইমাম হিসাবে নামাযে দাড়িয়ে যান। এদিকে রাসুল সা. ফিরে এলেন, এক রাকায়াত তখন শেষ। আবদুর রহমান রাসূলুল্লাহর সা. উপস্থিতি অনুভব করে পেছন দিকে সরে আসার চেষ্টা করেন। রাসূল সা. তাঁকে নিজের স্থানে থাকার জন্য হাত ইশারা করেন। অতঃপর অবশিষ্ট দ্বিতীয় রাকায়াতটিও তিনি শেষ করেন এবং রাসুল সা. তাঁর পেছনে ইকতিদা করেন। ইমাম মুসলিম ও আবু দাউদ তাঁদের সহীহ গ্রন্থদ্বয়ে এ সম্পর্কিত হাদিস বর্ণনা করেছেন।

প্রথম খলীফা হযরত আবু বকর রা. অন্তিম রোগশয্যায়। জীবনের আশা আর নেই। তাঁর পর খলীফা কে হবেন সে সম্পর্কে চিন্তাশীল বিশিষ্ট সাহাবীদের ডেকে পরামর্শ করলেন। হযরত আবদুর রহমানের সাথেও পরামর্শ করেন এবং হযরত উমারের কিছু গুণাবলী তুলে ধরে পরবর্তী খলীফা হিসাবে তাঁর নামটি তিনি প্রস্তাব করেন। আবদুর রহমান ধৈর্য সহকারে খলীফার কথা শুনার পর বললেন, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন। তাঁর যোগ্যতা সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই। তবে স্বভাবগতভাবেই তিনি একটু কঠোর।

হযরত আবু বকরের রা. খিলাফতকালে আটজন বিশিষ্ট সাহাবীকে ফাতওয়া ও বিচারের দায়িত্ব প্রদানের সাথে সাথে অন্য সকলকে ফাতওয়া দান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। আবদুর রহমান ছিলেন এ আটজনের একজন।

হযরত উমারও তাঁর খিলাফতকালে জ্ঞান ও বিচক্ষণতার অধিকারী সাহাবীদের ছাড়া অন্য সকলকে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখেন। এমনকি যে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদকে তিনি ‘খাযিনাতুল ইলম’ (জ্ঞানের ভাণ্ডার) বলে অভিহিত করতেন, তিনিও যখন পূর্ব অনুমতি ছাড়াই ফাতওয়া দিতে শুরু করেন, তাঁকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। জ্ঞানের যে শাখায় যিনি বিশেষজ্ঞ ছিলেন হযরত উমার তাকেই কেবল সে বিষয়ে মতামত প্রকাশের অনুমতি প্রদান করেন। এ সম্পর্কে সিরিয়া সফরকালে ‘জাবিয়া’ নামক স্থানে এক বক্তৃতায় বলেন, ‘যারা কুরআন বুঝতে চায়, তারা উবাই বিন কা’ব, যারা ফারায়েজ সম্পর্কে জানতে চায়, তারা যায়িদ বিন সাবিত এবং যারা ফিক্হ সংক্রান্ত বিষয়ে অবগত হতে চায়, তারা মুয়ায বিন জাবাল ও আবদুর রহমান বিন ’আউফের সাথে যেন সম্পর্ক গড়ে তোলে।’’

খলীফা হযরত উমার হযরত আবদুর রহমানকে বিশেষ উপদেষ্টার মর্যাদা দেন। রাতে তিনি যখন ঘুরে ঘুরে নগরের মানুষের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতেন, অনেক সময সংগে নিতেন হযরত আবদুর রহমানকে এবং নানা বিষয়ে তাঁর সাথে পরামর্শ করতেন।

একদিন রাতে খলীফা উমার বের হলেন আব্দুর রহমানকে সংগে নিয়ে নগর পরিভ্রমণে। দূর থেকে তাঁরা লক্ষ্য করলেন একটি বাড়ীতে আলো। কাছে গিয়ে দেখলেন বাড়ীর দরজা-জানালা সব বন্ধ; কিন্তু ভেতর থেকে কিছু লোকের উচ্চকণ্ঠ ভেসে আসছে। খলীফা উমার আবদুর রহমানকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি ভেতর থেকে আসা আওয়ায শুনতে পাচ্ছেন?

- ‘জী হ্যাঁ, শুনতে পাচ্ছি।’

- ‘কি বলছে, তা-কি বুঝতে পারছেন?’

- ‘সমবেত কণ্ঠের আওয়ায। কেবল শোরগোল শোনা যাচ্ছে। কি বলছে তা বুঝা যাচ্ছে না।’

- ‘আপনি কি জানেন বাড়ীটি কার?’

- ‘বাড়ীটি তো রাবীয়া’ ইবন উমাইয়্যার।’

উমার বলেন, ‘সম্ভবতঃ তারা মদপান করে মাতলামি করছে। আপনার কি মনে হয়?’

- ‘‘আল্লাহ আমাদেরকে গুপ্তচরবৃত্তি থেকে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেনঃ ওয়ালা তাজাস্সাসূ (গুপ্তচর বৃত্তি করোনা) এবং ওয়ালা তাকফু মা লাইসা লাকা বিহি ইলমুন (যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই, তার অনুসরণ করো না)।’’

এ কথা শুনে উমার বললেন, ‘আপনি ঠিক বলেছেন এবং যথাসময়ে স্মরণ করে দিয়েছেন।’- এই বলে তিনি আবদুর রহমানকে সংগে নিয়ে সামনে অগ্রসর হন। হযরত আবদুর রহমান এ ক্ষেত্রে যে আয়াতে দু’টি আমীরুল মুমিনীনকে স্মরণ করে দেন, তা হচ্ছে মুসলিম সমাজ জীবনে ব্যক্তির বুনিয়াদী অধিকারের প্রাণস্বরূপ।

১৬ হিজরী সনে ইরাক বিজয়ের ফলে ইরাকে কিসরা শাহানশাহীর পতন হয় এবং ইয়ারমুকে যুদ্ধের পর সিরিয়া থেকে রোমের কাইসার সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। খলীফা জিযিয়া ও খারাজ নির্ধারণের ব্যাপারে উদ্যোগী হন। কিন্তু এ ব্যাপারে তিনি সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ, বিলাল ও আবদুর রহমানের প্রবল প্রতিবাদের সম্মুখীন হন। অবশেষে মজলিসে শূরার ক্রমাগত বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনার পর খলীফার মতামতই গৃহীত হয়।

খলীফা হযরত উমার রাসূলুল্লাহর সা. সাহাবীদের ভাতা নির্ধারণের ইচ্ছা করলেন। এ ইচ্ছা তিনি ব্যক্ত করলেন হযরত আবদুর রহমানের নিকট। তিনি পরামর্শ দিলেন, কুষ্ঠি বিদ্যায় পারদর্শী তিন ব্যক্তি- মাখযামা ইবন নাওফিল, খায়বর ইবন মাতয়াম এবং আকীল ইবন আবু তালিবের ওপর একটি তালিকা প্রণয়নের দায়িত্ব অর্পণের জন্য। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী খলীফা তাঁদেরকে দায়িত্ব প্রদান করলেন। তাঁরা তালিকা প্রণয়ন করে খলীফার নিকট পেশ করতে আমীরুল মুমিনীন ও আবদুর রহমান দু’জনেই তা পরীক্ষা করেন। হযরত উমার তালিকা দেখার পর বললেন, ‘‘বর্তমান তালিকার ক্রমধারা পরিবর্তন করে আমার নিজের ও আমার গোত্রীয় অন্য লোকদের নাম রাসূলের সা. সাথে বংশগত সম্পর্কে দিক দিয়ে যখন আসবে তখন লিখবে’’। হযরত আলী ও হযরত আবদুর রহমান আপত্তি করে বললেন, ‘‘আপনি আমীরুল মুমিনীন। তালিকার সূচনা আপনার নাম দিয়েই হওয়া উচিত।’’ তিনি বললেন, ‘‘না। রাসূলুল্লাহর সা. চাচা ’আব্বাস রা. থেকে শুরু কর, তারপর আলীর রা. নামটি লিখ।’’ ভাতার পরিমাণ তিনি আবদুর রহমানের সাথে পরামর্শ করেই নির্ধারণ করেন। তারপর তা মজলিসে শূরায় পেশ করেন।

আযওয়াজে মুতাহ্হারাত (রাসূলুল্লাহর সা. সহধর্মিণীগণ) বেশ আগে থেকেই হজ্জ্ব পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করছিলেন। তেইশ হিজরী সনে খলীফা উমার তাঁদের হজ্জ্ব আদায়ের ব্যবস্থা চূড়ান্ত করেন। তিনি নিজেও তাঁদের সফরসংগী হন। তাঁদের সফর ব্যবস্থাপনার যাবতীয় দায়িত্ব হযরত আবদুর রহমান ও হযরত উসমানের রা. ওপর অর্পণ করেন। সফরের সময় আবদুর রহমান কাফিলার আগে এবং উসমান পেছনে সশস্ত্র অবস্থায় পাহারা দিয়ে চলতেন। কোন ব্যক্তিকে তাঁদের উটের কাছে ঘেঁষতে দিতেন না। তাঁরা যখন কোথাও অবস্থান করতেন, এরা দু’জন তাঁবুর প্রহরায় নিয়োজিত থাকতেন।

হযরত উমার তাঁর খিলাফতের প্রথম বছর আবদুর রহমানকে আমীরে হজ্জ নিয়োগ করে মক্কায় পাঠান। আর তাঁর সাথে পাঠান নিজের পক্ষ থেকে কুরবানীর একটি পশু। এ বছর বিশ্ব মুসলিম তাঁর নেতৃত্বেই হজ্জ্ব আদায় করে।

ফলীফা হযরত উমার রা. ফজরের জামায়াতে ইমামতি করছিলেন। মুগীরা ইবন শু’বার পারসিক দাস ফিরোয তাকে ছুরিকাঘাত করে। আহত অবস্থায় সংগে সংগে তিনি পেছনে দণ্ডায়মান আবদুর রহমানের হাতটি ধরে নিজের স্থানে তাঁকে দাঁড় করে দেন এবং তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অতপর আবদুর রহমান অবশিষ্ট নামায দ্রুত শেষ করেন।

হযরত উমার আহত হওয়ার দশ ঘন্টা পর সমবেত লোকদের বললেন, ‘আপনারা যেমন বলতেন আমিও চাচ্ছিলাম, এ উম্মাতের বোঝা বহনের ক্ষমতা রাখে এমন এক ব্যক্তিকে আমি আমীর বানিয়ে যাই। পরে আমি চিন্তা করলাম, এমনটি করলে আমার মৃত্যুর পরও এর দায়-দায়িত্ব আমার ওপর বর্তাবে। এ কারণে, আমার সাহস হলো না। এ ছ’ব্যক্তি- আলী, উসমান, আবদুর রহমান, সা’দ, যুবাইর ও তালহা। আল্লাহর রাসূল সা. তাদেরকে জান্নাতী হওয়ার সুসংবাদ দিয়েছেন। তাদের কোন একজনকে আপনারা আমীর নির্বাচন করে নেবেন। এ ছ’জন ছাড়া আমার পুত্র আবদুল্লাহও আছে। তবে খিলাফতের সাথে তার কোন সম্পর্ক থাকবে না। উল্লেখিত ছয় ব্যক্তি যদি খলীফা নির্বাচনের ব্যাপারে তিনজন করে সমান দু’দলে বিভক্ত হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আবদুল্লাহ যে দকে সমর্থন করবে সে দল থেকেই খলীফা হবে। কিন্তু আবদুল্লাহর মতামত যদি সর্বসাধারণের নিকট গৃহীত না হয় তাহলে আবদুর রহমান যে দলে থাকবেন তাঁদের মতই গ্রহণযোগ্য হবে।’ হযরত উমারের এ পরামর্শের মধ্যে আবদুর রহমান সম্পর্কে তাঁর ধারণা স্পষ্ট হয়ে উঠে।

হযরত উমার ইনতিকাল করলেন। আবদুর রহমান খলীফা হতে রাজি ছিলেন না। এদিকে হযরত তালহাও তখন মদীনায় ছিলেন না। অবশিষ্ট চার ব্যক্তি খলীফা নির্বাচনের পূর্ণ দায়িত্ব আবদুর রহমানের ওপর ন্যস্ত করেন।

হযরত আবদুর রহমানের ওপর অর্পিত এ দায়িত্ব তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আমানতদারীর সাথে পালন করেন। ক্রমাগত তিন দিন তিন রাত বিভিন্ন স্তরের লোকদের সাথে মত বিনিময় করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হযরত উসমানের পক্ষেই মত ব্যক্ত করেন। অবশেষে উমারের নির্ধারিত সময় তিন দিন তিন রাত শেষ হওয়ার আগে তিনি মানুষকে ফজরের জামায়াতে শরীক হওয়ার জন্য আবেদন জানান। নামায শেষে তিনি সমবেত জনমণ্ডলীর সামনে খলীফা হিসাবে হযরত উসমানের নামটি ঘোষণা করেন। হযরত উমারের ছুরিকাহত হওয়ার পর থেকে তাঁরই নির্দেশে তৃতীয় খলীফা হিসাবে উসমানের রা. নাম ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামায়াতের ইমামতি করেন এবং প্রশাসনের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন।

চব্বিশ হিজরী সনের মুহাররম মাসে হযরত উসমান খলীফা নির্বাচিত হন। সে বছরই তিনি আবদুর রহমানকে আমীরুল হজ নিযুক্ত করেন। মুসলিম উম্মাহ সে বছরের হজটি তাঁরই নেতৃত্বে আদায় করে।

হযরত আবদুর রহমান আমরণ খলীফা উসমানের মজলিসে শূরার সদস্য থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ দানের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর বিশেষ খিদমাত আঞ্জাম দেন। হযরত আবু বকর, উমার, উসমান রা- এ তিন খলীফার প্রত্যেকের নিকটই তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিশ্বাসভাজন ও আস্থার পাত্র।

ইবন সা’দের মতে, হযরত আবদুর রহমান হিঃ ৩২ সনে ৭৫ বছর বয়সে ইনতিকাল করেন। তবে ইবন হাজারের মতে, তিনি ৭২ বছর জীবন লাভ করেছিলেন। ইবন হাজার এ কথাও বলেছেন, হযরত উসমান অথবা যুবাইর ইবনুল আওয়াম তাঁর জানাযার ইমামতি করেন এবং তাঁকে মদীনার বাকী’ গোরস্থানে দাফন করা হয়। গোরস্থান পর্যন্ত তার লাশ বহনকারীদের মধ্যে প্রখ্যাত সাহাবী হযরত সা’দ ইবন আবী ওয়াক্কাসও ছিলেন।

পূর্বেই আমরা দেখেছি সম্পূর্ণ রিক্ত হস্তে আবদুর রহমান মদীনায় এসেছিলেন। সামান্য ঘি ও পনির কেনাবেচার মাধ্যমে তিনি তাঁর ব্যবসা শুরু করেন। কালক্রমে তিনি তৎকালীন মুসলিম উম্মাহর একজন সেরা ব্যবসায়ী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিকে পরিণত হন। রাসূল সা. তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির জন্য দুআ করেছিলেন এবং সে দুআ আল্লাহর দরবারে কবুলও হয়েছিল। কিন্তু সে সম্পদের প্রতি তাঁর একটুও লোভ ও আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি। রাসূলুল্লাহর সা. জীবদ্দশায় এবং তাঁর ইনতিকালের পরেও আমরণ তিনি সে সম্পদ অকৃপণ হাতে আল্লাহর পথে ও মানব কল্যাণে ব্যয় করেছেন।

একবার রাসূল সা. একটি অভিযানের সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি একটি অভিযানে সৈন্য পাঠানোর ইচ্ছা করেছি, তোমরা সাহায্য কর।’ আবদুর রহমান এসে দৌড়ে বাড়ীতে গিয়ে আবার ফিরে এসে বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমার কাছে এ চার হাজার আছে। দু’হাজার আমার রবকে করজে হাসানা দিলাম এবং বাকী দু’হাজার আমার পরিবার-পরিজনদের জন্য রেখে দিলাম।’ রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, ‘তুমি যা দান করেছ এবং যা রেখে দিয়েছ, তার সবকিছুতে আল্লাহ তায়ালা বরকত দান করুন।’

একবার মদীনায় শোরগোল পড়ে গেল, সিরিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য নিয়ে একটি বাণিজ্য কাফিলা উপস্থিত হয়েছে। শুধু উট আর উট। উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা রা. জিজ্ঞেস করলেন, ‘এ কার বাণিজ্য কাফিলা?’ লোকেরা বলল, ‘আবদুর রহমান ইবন আউফের।’ তিনি বললেন, আমি রাসূলকে সা. বলতে শুনেছি, আমি যেন আবদুর রহমানকে সিরাতের ওপর একবার হেলে গিয়ে আবার সোজা হয়ে উঠতে দেখলাম।’ অন্য একটি বর্ণনায় আছে, হযরত আয়িশা বলেন, ‘আল্লাহ দুনিয়াতে তাকে যা কিছু দিয়েছেন তাতে বরকত দিন এবং তাঁর আখিরাতের প্রতিদান এর থেকেও বড়। আমি রাসূলুল্লাহকে সা. বলতে শুনেছিঃ আবদুর রহমান হামাগুড়ি দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’

হযরত আয়িশার এ কথাগুলো আবদুর রহমানের কানে গেল। তিনি বললেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমাকে সোজা হয়েই জান্নাতে প্রবেশ করতে হবে।’ অতঃপর তিনি তাঁর সকল বাণিজ্য সম্ভার সাদকা করে দেন। পাঁচ শো, মতান্তরে সাত শো উটের পিঠে এ মালামাল বোঝাই ছিল। কেউ বলেছেন, বাণিজ্য সম্ভারের সাথে উটগুলিও তিনি সাদকা করে দেন। হযরত আবদুর রহমান ছিলেন উম্মাহাতুল মুমিনীনের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। তাঁদের সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য তিনি আজীবন অকাতরে খরচ করেছেন। তাঁদের নিকট তিনি ছিলেন একজন বিশ্বাসী ও আস্থাভাজন ব্যক্তি। একবার তিনি কিছু ভূমি চল্লিশ হাজার দীনারে বিক্রি করেন এবং বিক্রয়লব্ধ সমুদয় অর্থ বনু যুহরা (রাসূলুল্লাহর সা. জননী হযরত আমিনার পিতৃ-গোত্র), মুসলমান, ফকীর মিসকীন, মুহাজির ও আযওয়াজে মুতাহ্হারাতের মধ্যে বণ্টন করে দেন। হযরত আয়িশার নিকট তাঁর অংশ পৌঁছলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে পাঠিয়েছে?’ বলা হলো, ‘আবদুর রহমান ইবন আওফ।’ তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেনঃ ‘আমার পরে ধৈর্যশীলরাই তোমাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাবে।’

ইবন হাজার ‘আল-ইসাবা’ গ্রন্থে জা’ফর ইবন বারকানের সূত্রে উল্লেখ করেছেন, আবদুর রহমান মোট তিরিশ হাজার দাস মুক্ত করেছেন। জাহিলী যুগেও মদ পানকে তিনি হারাম মনে করতেন।

হযরত আবদুর রহমান ছিলেন তাকওয়া ও আল্লাহভীতির এক বাস্তব নমুনা। মক্কায় গেলে তিনি তাঁর আগের বাড়ী-ঘরের দিকে ফিরেও তাকাতেন না। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, ‘আপনার বাড়ী-ঘরের প্রতি আপনি এত নাখোশ কেন?’ তিনি বললে, ‘ওগুলি তো আমি আমার আল্লাহর জন্য ছেড়ে দিয়েছি।’

একবার তিনি তাঁর বন্ধুদের দাওয়াত দিলেন। ভালো ভালো খাবার এলো। খাবার দেখে তিনি কান্না শুরু করে দিলেন। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, ‘কি হয়েছে?’ তিনি বলেন, ‘রাসূল সা. বিদায় নিয়েছেন। তিনি নিজের ঘরে যবের রুটিও পেট ভরে খেতে পাননি।’

একদিন তিনি সাওম পালন করছিলেন। ইফতারের পর তাঁর সামনে আনীত খাবারের দিকে তাকিয়ে বলরেন, ‘মুসয়াব ইবন উমায়ের ছিলেন আমার থেকেও উত্তম মানুষ। তিনি শহীদ হলে তাঁর জন্য মাত্র ছোট্ট একখানা কাফনের কাপড় পাওয়া গিয়েছিল। তা দিয়ে মাথা ঢাকলে পা এবং পা ঢাকলে মাথা বেরিয়ে যাচ্ছিল। তারপর আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য দুনিয়ার এ প্রাচুর্য দান করলেন। আমার ভয় হয়, আমাদের বদলা না জানি দুনিয়াতেই দিয়ে দেওয়া হয়।’ অতঃপর তিনি হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন।

হযরত উমার তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, ‘আবদুর রহমান মুসলিম নেতৃবৃন্দের একজন।’ হযরত আলী একটি ঘটনা বর্ণনা প্রসংগে রাসূলুল্লাহ সা. থেকে বর্ণনা করেন, ‘আবদুর রহমান আসমান ও যমীনের বিশ্বাসভাজন ব্যক্তি।’

হযরত আবদুর রহমান রাসূলুল্লাহ সা. থেকে সরাসরি ও উমার রা. থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাঁর থেকে তাঁর পুত্রগণ, যেমন ইবরাহীম, হুমায়েদ, উমার, মুসয়াব, আবু সালামা, তাঁর পৌত্র মিসওয়ার, ভাগ্নে মিসওয়ার ইবন মাখরামা এবং ইবন আব্বাস, ইবন উমার, জুবাইর, জাবির, আনাস, মালিক ইবন আওস রা. প্রমুখ সাহাবীগণ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাঁর বড় পরিচয়, তিনি আশারায়ে মুবাশ্শারার একজন।

যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা:) এর জীবনী



নাম যুবাইর, কুনিয়াত আবু আবদিল্লাহ এবং ‘হাওয়ারিয়্যূ রাসূলিল্লাহ’ লকব। পিতার নাম ‘আওয়াম’ এবং মাতা ‘সাফিয়্যা বিনতু আবদিল মুত্তালিব।’ মা হযরত সাফিয়্যা ছিলেন রাসূলুল্লাহর সা. ফুফু। সুতরাং যুবাইর ছিলেন রাসূলুল্লাহর সা. ফুফাতো ভাই। উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদিজাতুল কুবরা ছিলেন তাঁর ফুফু। অন্যদিকে হযরত সিদ্দিকে আকবরের কন্যা হযরত আসমাকে বিয়ে করায় রাসূলুল্লাহ সা. ছিলেন তাঁর ভায়রা। হযরত আসমা রা. ছিলেন উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশার রা. বোন। এভাবে রাসূলুল্লাহর সা. সংগে ছিল তাঁর একাধিক আত্মীয়তার সম্পর্ক।

হযরত যুবাইর রা. হিজরাতের আটাশ বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশবকালীন জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। তবে এটা নিশ্চিত যে প্রথম থেকেই তাঁর মা তাঁকে এমনভাবে প্রতিপালন করেছিলেন, যাতে বড় হয়ে তিনি একজন দুঃসাহসী, দৃঢ়-সংকল্প ও আত্মপ্রত্যয়ী মানুষ হন। এ কারণে প্রায়ই মা তাঁকে মারধোর করতেন এবং কঠোর অভ্যাসে অভ্যস্ত করতেন। একদিন তাঁর চাচা নাওফিল বিন খুওয়াইলিদ তাঁর মা হযরত সাফিয়্যার ওপর ভীষণভাবে ক্ষেপে গিয়ে বলেন, ‘এভাবে মারতে মারতে ছেলেটাকে তুমি মেরেই ফেলবে।’ তাছাড়া বনু হাশিমের লোকদের ডেকে বলেন, ‘তোমরা সাফিয়্যাকে বুঝাওনা কেন?’ জবাবে সাফিয়্যা বলেন, ‘যারা বলে আমি তাকে দেখতে পারিনা, তারা মিথ্যা বলে। আমি তাকে এজন্য মারধোর করি যাতে সে বুদ্ধিমান হয় এবং পরবর্তী জীবনে শত্রুসৈন্য পরাজিত করে গণিমাতের মাল লাভে সক্ষম হয়।

এমন প্রতিপালনের প্রভাব অবশ্যই তাঁর ওপর পড়েছিলো। অল্প বয়স থেকেই তিনি বড় বড় পাহলোয়ান ও শক্তিশালী লোকেদের সাথে কুস্তি লড়তেন। একবার মক্কায় একজন তাগড়া জোয়ানের সাথে তাঁর ধরাধরি হয়ে গেল। তাকে এমন মারই না মারলেন যে, লোকটির হাত ভেঙ্গে গেল। লোকেরা তাঁকে ধরে হযরত সাফিয়্যার নিকট নিয়ে এসে অভিযোগ করলো। তিনি পুত্রের কাজে অনুতপ্ত হওয়া বা ক্ষমা প্রার্থনার পরিবর্তে সর্বপ্রথম তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা যুবাইরকে কেমন দেখলে সাহসী না ভীরু?’

যুবাইর রা. মাত্র ষোল বছর বয়সেই ইসলাম গ্রহণ করেন। প্রথম পর্বে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অনন্য ও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী।

যদিও তাঁর বয়স ছিল কম তবুও দৃঢ়তা ও জীবনকে বাজি রাখার ক্ষেত্রে কারো থেকে পিছিয়ে ছিলেন না। তাঁর ইসলাম গ্রহণের পর একবার কেউ রটিয়ে দিয়েছিলো, মুশরিকরা রাসূলুল্লাহকে সা. বন্দী অথবা হত্যা করে ফেলেছে। একথা শুনে তিনি আবেগ ও উত্তেজনায় এতই আত্মভোলা হয়ে পড়েছিলেন যে তক্ষুণি একটানে তরবারি কোষমুক্ত করে মানুষের ভিড় ঠেলে আল্লাহর রাসূলের সা. দরবারে গিয়ে হাজির হন। রাসূলুল্লাহ সা. তাঁকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হয়েছে যুবাইর?’ তিনি বললেন, ‘শুনেছিলাম, আপনি বন্দী অথবা নিহত হয়েছেন।’ রাসূলে কারীম সা. অত্যন্ত খুশী হয়ে তাঁর জন্যে দুআ করেন। সীরাত লেখকদের বর্ণনা, এটাই হচ্ছে প্রথম তলোয়ার যা আত্মোৎসর্গের উদ্দেশ্যে একজন বালক উন্মুক্ত করেছিলো।

প্রাথমিক পর্যায়ে মক্কার অন্যান্য মুসলমানদের মত তিনিও অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হন। তাঁর চাচা তাঁকে ইসলাম থেকে ফিরানোর জন্যে চেষ্টার ত্রুটি করেননি। কিন্তু তাওহীদের ছাপ যার অন্তরে একবার লেগে যায় তা কি আর মুছে ফেলা যায়? ক্ষেপে গিয়ে চাচা আরো কঠোরতা শুরু করে দেন। উত্তপ্ত পাথরের উপর চিৎ করে শুইয়ে দিয়ে এমন মারই না মারতেন যে তাঁর প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যেত। তবুও তিনি বলতেন, ‘যত কিছুই করুন না কনে আমি আবার কাফির হতে পারিনা।’ অবশেষে নিরুপায় হয়ে জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে হাবশায় হিজরাত করেন। হাবশায় কিছুকাল অবস্থানের পর মক্কায় ফিরে এলেন। এদিকে রাসূল সা.ও মক্কা থেকে মদীনায় হিজরাত করলেন। তিনিও মদীনায় গেলেন।

রাসূল সা. মক্কায় তালহা ও যুবাইরের মধ্যে ইসলামী ভ্রাতৃ-সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু মদীনায় আসার পর নতুন করে হযরত সালামা ইবন সালামা আনসারীর সাথে তাঁর ভ্রাতৃসম্পর্ক স্থাপিত হয়। সালামা ছিলেন মদীনার এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিত্ব এবং আকাবায় বাইয়াত গ্রহণকারীদের অন্যতম।

যুদ্ধে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অনন্য। তিনি বদর যুদ্ধে অত্যন্ত সাহস ও নিপুণতার পরিচয় দেন। মুশরিকদের প্রতিরোধ ব্যুহ ভেঙ্গে তছনছ করে দেন। একজন মুশরিক সৈনিক একটি টিলার ওপর উঠে। দ্বন্দ্বযুদ্ধের আহ্বান জানালে যুবাইর তাকে মুহূর্তের মধ্যে এমনভাবে জাপ্টে ধরেন যে, দু’জনেই গড়িয়ে নীচের দিকে আসতে থাকেন। তা দেখে রাসূল সা. বলেন, ‘এদের মধ্যে যে প্রথম ভূমিতে পড়বে, সে নিহত হবে।’ সত্যি তাই হয়েছিলো। মুশরিকটি প্রথম মাটিতে পড়ে এবং যুবাইর রা. তরবারির এক আঘাতে তাকে হত্যা করেন। এমনিভাবে তিনি ’উবাইদা ইবন সাঈদের মুখোমুখি হলেন। সে ছিল আপাদ-মস্তক এমনভাবে বর্মাচ্ছাদিত যে কেবল দু’টি চোখই তার দেখা যাচ্ছিলো। তিনি খুব তাক করে তার চোখ লক্ষ্য করে তীর ছুড়লেন। নিশানা নির্ভুল হলো। তীরের ফলা এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গেল। অতি কষ্টে তিনি তার লাশের উপর বসে ফলাটি বের করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে তা কিছুটা বেঁকে গিয়েছিলো। স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে রাসূল সা. এ তীরটি নিজেই নিয়ে নেন এবং তাঁর ইনতিকালের পর তৃতীয় খলীফা হযরত উসমান পর্যন্ত এ তীরটি বিভিন্ন খলীফার নিকট রক্ষিত ছিল। হযরত উসমানের শাহাদাতের পর হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর তীরটি গ্রহণ করেন এবং তাঁর শাহাদাত পর্যন্ত এটি তাঁর নিকট ছিল।

বদরে তিনি এত সাংঘাতিকভাবে লড়েছিলেন যে তাঁর তরবারি ভোঁতা হয়ে গিয়েছিলো এবং আঘাতে আঘাতে তাঁর সারা শরীর ক্ষত বিক্ষত হয়ে গিয়েছিলো। এ দিনের একটি ক্ষত এত গভীর ছিল যে চিরদিনের জন্য তা একটি গর্তের মত হয়ে গিয়েছিলো। তাঁর পুত্র হযরত উরওয়া, বলেন, ‘আমরা সেই গর্তে আংগুল ঢুকিয়ে খেলা করতাম।’ এ যুদ্ধে তিনি হলুদ রঙের পাগড়ী পরিহিত ছিলেন। তা দেখে রাসূল সা. বলেন, ‘আজ ফিরিশতাগণও এ বেশে এসেছে।’

উহুদের ময়দানে সত্য ও মিথ্যার লড়াই যখন চরম পর্যায়ে, তখন রাসূল সা. স্বীয় তরবারি কোষমুক্ত করে বললেন, ‘আজ কে এর হক আদায় করবে?’ সকল সাহাবীই অত্যন্ত আগ্রহের সাথে নিজ নিজ হাত বাড়ালেন। যুবাইর রা.ও তিনবার নিজের হাত বাড়ালেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা লাভের গৌরব অর্জন করেন হযরত আবু দুজানা আনসারী রা.। উহুদের যুদ্ধে তীরন্দাজ সৈনিকদের অসতর্কতার ফলে যখন যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেল এবং মুসলিমদের সুনিশ্চিত বিজয় পরাজয়ের রূপ নিল তখন যে চৌদ্দজন সাহাবী নিজেদের জীবনের বিনিময়ে রাসূলে পাককে কেন্দ্র করে প্রতিরোধ ব্যুহ রচনা করেন যুবাইর রা. ছিলেন তাঁদের অন্যতম।

খন্দকের যুদ্ধে মুসলিম নারীরা যেদিকে অবস্থান করছিলেন, সে দিকটির প্রতিরক্ষার দায়িত্বভার লাভ করেন যুবাইর রা.। এ যুদ্ধের সময় মদীনার ইয়াহুদী গোত্র বনু কুরাইজা মুসলিমদের সাথে সম্পাদিত মৈত্রী চুক্তি ভঙ্গ করে। রাসূল সা. তাদের অবস্থা জানার জন্যে কাউকে তাদের কাছে পাঠাতে চাইলেন। তিনবার তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে তাদের সংবাদ নিয়ে আসতে পার?’ প্রত্যেকবারই হযরত যুবাইর বলেন, ‘আমি’। রাসূল সা. তাঁর আগ্রহে সন্তুষ্ট হয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক নবীরই থাকে হাওয়ারী। আমার হাওয়ারী যুবাইর।’

খন্দকের পর বনু কুরাইজার যুদ্ধ এবং বাইয়াতে রিদওয়ানেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। খাইবারের যুদ্ধে তিনি অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় দেন। খাইবারের ইয়াহুদী নেতা মুরাহহিব নিহত হলে বিশাল দেহ ও বিপুল শক্তির অধিকারী তার ভাই ইয়াসির ময়দানে অবতীর্ণ হয়ে হুঙ্কার ছেড়ে দ্বন্দ্বযুদ্ধের আহ্বান জানায়। হযরত যুবাইর রা. লাফিয়ে পড়লেন। তখন তাঁর মা হযরত সাফিয়্যা বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ, নিশ্চয় আজ আমার কলিজার টুকরা শহীদ হবে।’ রাসূল সা. বললেন, ‘না। যুবাইরই তাকে হত্যা করবে।’ সত্যি সত্যি অল্পক্ষণের মধ্যে যুবাইর তাকে হত্যা করেন।

খাইবার বিজয়ের পর মক্কা বিজয়ের প্রস্তুতি চলছে। মানবীয় কিছু দুর্বলতার কারণে প্রখ্যাত সাহাবী হাতিব বিন আবী বালতাআ (রা) সব খবর জানিয়ে মক্কার কুরাইশদের নিকট একটি চিঠি লিখলেন। চিঠিসহ গোপনে একজন মহিলাকে তিনি মক্কায় পাঠান। এদিকে ওহীর মাধ্যমে সব খবর রাসূল সা. অবগত হলেন। তিনি চিঠিসহ মহিলাটিকে গ্রেফতারের জন্যে যে দলটি পাঠান, হযরত যুবাইরও ছিলেন সে দলের একজন। চিঠিসহ মহিলাকে গ্রেফতার করে মদীনায় নিয়ে আসা হলো। হাতিব বিন বালতায়া লজ্জিত হয়ে তওবাহ করেন। রাসূলও সা. তাঁকে ক্ষমা করেন।

মক্কা বিজয়ের দিন রাসুল সা. মুসলিম সেনাবাহিনীকে কয়েকটি দলে বিভক্ত করেন। সর্বশেষ ও ক্ষুদ্রতম দলটিতে ছিলেন রাসূল সা. নিজে। আর এ দলটির পতাকাবাহী ছিলেন যুবাইর রা.। রাসূল সা. মক্কায় প্রবেশ করলেন। চারদিকে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে এলে হযরত মিকদাদ ও হযরত যুবাইর রা. নিজ নিজ ঘোড়ার ওপর সওয়ার হয়ে রাসূলে পাকের নিকট উপস্থিত হলেন। রাসূল সা. উঠে দাঁড়িয়ে নিজ হাতে তাঁদের উভয়ের মুখমণ্ডলের ধুলোবালি ঝেড়ে দেন।

হুনাইন যুদ্ধের সময় হযরত যুবাইর কাফিরদের একটি গোপন ঘাঁটির নিকটে পৌঁছলে তারা তাঁকে অতর্কিত আক্রমণ করে। অত্যন্ত সাহসের সাথে অল্প সময়ের মধ্যে তিনি ঘাঁটিটি সাফ করে ফেলেন। তায়িফ ও তাবুকের যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করে। দশম হিজরীতে বিদায় হজ্জেও তিনি রাসূলুল্লাহর সা. সফরসঙ্গী ছিলেন।

দ্বিতীয় খলীফা হযরত ’উমারের রা. খিলাফতকালে সিরিয়ার ইয়ারমুক প্রান্তরে বিশাল রোমান বাহিনীর সাথে মুসলিম বাহিনীর ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত য়। এটা ছিল সিরিয়ার ভাগ্য নির্ধারণী যুদ্ধ। হযরত যুবাইর এ যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধের এক চরম পর্যায়ে মুসলিম সৈনিকদের এক দল সিদ্ধান্ত নিল, হযরত যুবাইর রোমান বাহিনীর মধ্যভাগে প্রচণ্ড আক্রমণ চালাবেন এবং অন্যরা তাঁর সমর্থনে পাশে পাশে থাকবেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হযরত যুবাইর রা. ক্ষিপ্রতার সাথে প্রচণ্ডভাবে আক্রমণ চালিয়ে রোমান বাহিনীর ব্যুহ ভেদ করে অপর প্রান্তে চলে যান কিন্তু অন্যরা তাঁকে অনুসরণ করতে সক্ষম হলেন না। একাকী আবার রোমান বাহিনী ভেদ করে ফিরে আসার সময় প্রচণ্ডভাবে আক্রান্ত হয়ে ঘাড়ে দারুণভাবে আঘাত পান। হযরত ’উরওয়া বলেন, বদরের পর এটা ছিল দ্বিতীয় যখম যার মধ্যে আংগুল ঢুকিয়ে ছেলে বেলায় আমরা খেলতাম। তাঁর এ দুঃসাহসী আক্রমণের ফলে রোমান বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।

হযরত আমর ইবনুল ’আস মিসরে আক্রমণ চালিয়ে ফুসতাতের কিল্লা অবরোধ করে রেখেছেন। আমীরুল মু’মিনীন হযরত ’উমার তাঁর সাহায্যে দশ হাজার সিপাহী ও চার হাজার অফিসার পাঠালেন। আর চিঠিতে লিখলেন, এসব অফিসারের এক একজন এক হাজার অশ্বারোহীর সমান। হযরত যুবাইর ছিলেন এ চার হাজার অফিসারের একজন। মুসলিম সৈন্যরা সাত মাস ধরে কিল্লা অবরোধ করে আছে। জয়-পরাজয়ের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বিরক্ত হয়ে হযরত যুবাইর একদিন বললেন, ‘আজ আমি মুসলিমদের জন্য আমার জীবন কুরবান করবো।’ এ কথা বলে উন্মুক্ত তরবারি হাতে সিঁড়ি লাগিয়ে কিল্লা প্রাচীরের মাথার ওপর উঠে পড়লেন। আরো কিছু সাহাবীও তাঁর সঙ্গী হলেন। প্রাচীরের ওপর থেকে অকস্মাৎ তাঁরা ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দিতে শুরু করেন। এ দিকে নিচ থেকে সকল মুসলিম সৈনিক এক যোগে আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে আকাশ বাতাস মুখরিত করে তোলেন। খৃস্টান সৈন্যরা মনে করলো, মুসলিমগণ কিল্লায় ঢুকে পড়েছে। তারা ভীত-বিহ্বল হয়ে পড়লো। এক পর্যায়ে অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সাথে হযরত যুবাইর কিল্লার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ফটক উন্মুক্ত করে দেন এবং সঙ্গে সঙ্গে মুসলিম বাহিনী অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। উপায়ন্তর না দেখে মিসরের শাসক মাকুকাস সন্ধির প্রস্তাব দেয় এবং তা গৃহীত হয়। সকলকে আমান দেওয়া হয়।

হিজরী ২৩ সনে দ্বিতীয় খলীফা হযরত ’উমার রা. এক অগ্নি উপাসকের ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে শাহাদাত বরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি ছয়জন প্রখ্যাত সাহাবীর সমন্বয়ে একটি বোর্ড গঠন করে তাদের ওপর পরবর্তী খলীফা নির্বাচনের দায়িত্ব অর্পণ করে যান। তিনি বলেন, ‘জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাসূল সা. এদের প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন।’ হযরত যুবাইর ছিলেন এ বোর্ডের অন্যতম সদস্য।

তৃতীয় খলীফা হযরত ’উসমানের খিলাফতকালে হযরত যুবাইর রা. নিরিবিলি জীবন যাপন করছিলেন। কোন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। আসলে বয়সও বেড়ে গিয়েছিলো। ৩৫ হিজরীতে বিদ্রোহীদের দ্বারা হযরত ’উসমান অবরুদ্ধ হলে তাঁর নিরাপত্তার জন্য হযরত যুবাইর স্বীয় পুত্র হযরত আবদুল্লাহকে নিয়োগ করেন। হযরত ’উসমান শহীদ হলে রাতের অন্ধকারে গোপনে তিনি তাঁর জানাযার নামায আদায় করে দাফন করেন।

হযরত আলীর রা. শাসনকালে তিনি এবং হযরত তালহা মক্কায় যেয়ে হযরত আয়িশার রা. সাথে মিলিত হন। সেখানে তাঁরা মুসলিম উম্মাহর তৎকালীন পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেন এবং মদীনায় না গিয়ে বসরার দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিপুল সংখ্যক লোক তাঁদের সহযোগী হয়। এদিকে হযরত আলী রা. তাঁদেরকে প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীসহ অগ্রসর হন এবং হিজরী ৩৬ সনের ১০ই জমাদিউল উখরা বসরার অনতিদূরে ‘যীকার’ নামক স্থানে দুই মুসলিম বাহিনী মুখোমুখি হয। ইতিহাসে এটি উটের যুদ্ধ নামে পরিচিতি।

ইসলামী ইতিহাসের এ দুঃখজনক অধ্যায়ের বিশ্লেষণ আমাদের এ প্রবন্ধের মুখ্য বিষয় নয়। তবে একদিন যাঁরা ছিলেন ভাই ভাই, আজ তাঁরা একে অপরের খুনের পিপাসায় কাতর। ব্যাপারটি যাই হোক না কেন, এটা যে তাঁদের ব্যক্তিগত ঝগড়া ও আক্রোশের কারণে নয়, তা আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। সত্য ও সততার আবেগ-উৎসাহ ও উদ্দীপনায় তাঁরা এমনটি করেছিলেন। এ কারণে আমরা দেখতে পাই, একই গোত্রের লোক তখন দু’দিকে বিভক্ত। তাছাড়া দু’পক্ষের নেতৃবৃন্দের মূল লক্ষ্যই ছিল একটা সমঝোতায় উপনীত হওয়া। আর এ কারণেই দু’পক্ষের মধ্যে দূত বিনিময়ের মাধ্যমে আলাপ-আলোচনা হয়েছিলো। আর একই কারণে আমরা দেখতে পাই, হযরত আলী একাকী ঘোড়ায় চড়ে রণাঙ্গণের মাঝখানে এসে হযরত যুবাইরকে ডেকে বলছেন, ‘আবু আবদুল্লাহ! তোমার কি সে দিনটির কথা মনে আছে, যে দিন আমরা দু’জন হাত ধরাধরি করে রাসূলুল্লাহর সা. সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। রাসূল সা. তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ তুমি কি আলীকে মুহাব্বত কর? বলেছিলেঃ হ্যাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ! স্মরণ কর, তখন রাসূল সা. বলেছিলেনঃ ‘একদিন তুমি অন্যায়ভাবে তার সাথে লড়বে।’ হযরত যুবাইর জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ এখন আমার স্মরণ হচ্ছে।’

একটি মাত্র কথা। কথাটি বলে হযরত আলী রা. তাঁবুতে ফিরে গেলেন। এ দিকে যুবাইরের অন্তরে ঘটে গেল এক বিপ্লব। তাঁর সকল সংকল্প ও দৃঢ়তা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশার রা. কাছে এসে বললেনঃ আমি সম্পূর্ণ ভুলের ওপর ছিলাম। আলী আমাকে রাসূলুল্লাহর সা. একটি বাণী স্মরণ করে দিয়েছে। আয়িশা রা. জিজ্ঞেস করলেন, ‘তাহলে এখন ইচ্ছা কি?’ তিনি বললেনঃ ‘আমি এ ঝগড়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।’ পুত্র আবদুল্লাহ বললেন, ‘আব্বা আপনি আমাদেরকে গর্তে ফেলে আলীর ভয়ে এখন পালিয়ে যাচ্ছেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি কসম করেছি, আলীর সাথে আর লড়বো না।’ আবদুল্লাহ বললেন, ‘কসমের কাফ্ফারা সম্ভব।’ এই বলে তিনি স্বীয় গোলাম মাকহুলকে ডেকে আযাদ করে দেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহর সা. হাওয়ারী যুবাইর বললেনঃ ‘বেটা, আলী আমাকে এমন কথা স্মরণ করে দিয়েছে যাতে আমার সকল উদ্যম-উৎসাহ স্তিমিত হয়ে পড়েছে। আমি সুনিশ্চিত যে, আমরা হকের ওপর নেই। এসো তুমিও আমার অনুগামী হও।’ হযরত আবদুল্লাহ অস্বীকার করলেন। হযরত যুবাইর একাকী বসরার দিকে রওয়ানা হলেন।

হযরত যুবাইরকে যেতে দেখে আহনাফ বিন কায়েস বললেনঃ ‘কেউ জেনে এসো তো তিনি যাচ্ছেন কেন?’ আমর ইবন জারমুয বললো, ‘আমি যাচ্ছি।’ এই বলে সে অস্ত্র-সজ্জিত হয়ে ঘোড়া ছুটিয়ে হযরত যুবাইরের সঙ্গে মিলিত হলো। তখন তিনি বসরা ছেড়ে একটু দূরে গিয়ে পৌঁছেছেন। কাছে এসে ইবনে জারমুয বললেনঃ

--আবু আবদুল্লাহ। জাতিকে আপনি কি অবস্থায় ছেড়ে এলেন?
--তারা সবাই একে অপরের গলা কাটছে।
--এখন কোথায় যাচ্ছেন?
--আমার ভুল আমি বুঝতে পেরেছি। এ কারণে এ ঝগড়া থেকে দূরে থাকার জন্যে অন্য কোথাও যেতে চাই।
ইবন জারমুয বললোঃ ‘চলুন, আমাকেও এ দিকে কিছুদূর যেতে হবে।’ দু’জন এক সংগে চললেন। জুহরের নামাযের সময় হযরত যুবাইর থামলেন। ইবনে জারমুয বললো, ‘আমিও আপনার সাথে নামায আদায় করবো। দু’জন নামাযে দাঁড়ালেন। হযরত যুবাইর যেই তাঁর মা’বুদের উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হয়েছে, বিশ্বাসগত ইবন জারমুয অমনি তরবারির এক আঘাতে রাসূলুল্লাহ সা. হাওয়ারীর দেহ থেকে তাঁর শির বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

ইবন জারমুয হযরত যুবাইরের তরবারি, বর্ম ইত্যাদিসহ হযরত আলীর রা. নিকট উপস্থিত হয়ে অত্যন্ত গর্বের সাথে তার কৃতিত্বের বর্ণনা দিল। আলী রা. তলোয়ার খানির প্রতি অনুশোচনার দৃষ্টিতে এক নজর তাকিয়ে বললেন, ‘তিনি অসংখ্যবার রাসূলুল্লাহর সা. সম্মুখ থেকে মুসিবতের মেঘমালা অপসারণ করেছেন। ওরে ইবন সাফিয়্যার হন্তা, শুনে রাখ, জাহান্নাম তোর জন্যে প্রতীক্ষা করছে।’ এভাবে হযরত যুবাইর রা. হিজরী ৩৬ সনে শাহাদাত বরণ করেন এবং ‘আস-সিবা’ উপত্যকায় সমাহিত হন। তিনি ৬৪ বছর জীবন লাভ করেছিলেন।

হযরত যুবাইর ছিলেন অত্যন্ত মহৎ চরিত্রের অধিকারী। তাকওয়া, সত্য-প্রীতি, দানশীলতা, উদারতা ও বেপরোয়াভাব ছিল তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। শিশুদের মত তাঁর অন্তর ছিল কোমল। সামান্য ব্যাপারেই তিনি মোমের মত বিগলিত হয়ে যেতেন। যখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হলোঃ

‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল। অতঃপর কিয়ামত দিবসে তোমরা পরস্পর তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে বাক-বিতণ্ডা করবে।’ (যুমার/৩১) তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! কিয়ামতের দিন আমাদের এ ঝগড়ার কি পুনরাবৃত্তি হবে?’ রাসূল সা. বললেন, ‘হ্যাঁ। অণু-পরমাণুর হিসাব করে প্রত্যেক হকদারকে তার হক দেওয়া হবে।’ এ কথা শুনে তার অন্তর কেঁপে ওঠে। তিনি বলে উঠলেন, ‘আল্লাহু আকবর। কেমন কঠিন ব্যবস্থা হবে।’

একবার তাঁর দাস ইবরাহীমের দাদী উম্মু আতার কাছে গিয়ে তিনি দেখলেন, আইয়্যামে তাশরীকের পরেও তাদের নিকট কুরবানীর গোশত অবশিষ্ট রয়েছে। তিনি বলরেন, ‘উম্মু আতা! রাসূল সা. মুসলমানদেরকে তিনদিনের বেশী কুরবানীর গোশত খেতে নিষেধ করেছেন।’ উম্মু ’আতা বললেন, ‘আমি কি করবো। লোকেরা এত হাদীয়া পাঠায় যে তা শেষই হয়না।’ (মুসনাদে ইমাম আহমাদ ১/১৬৬)

হযরত যুবাইর যদিও রাসূলুল্লাহর সা. হাওয়ারী ও সার্বক্ষণিক সহচর ছিলেন, তবুও আল্লাহ-ভীতি ও সতর্কতার কারণে খুব কমই হাদীস বর্ণনা করতেন। একদিন পুত্র আবদুল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন, ‘আব্বা, অন্যদের মত আপনি বেশী বেশী হাদীস বর্ণনা করেন না- এর কারণ কি?’ তিনি বললেন, ‘বেটা, অন্যদের থেকে রাসূলের সা. সাহচর্য ও বন্ধুত্ব আমার কোন অংশে কম ছিল না। যেদিন ইসলাম গ্রহণ করেছি, সেদিন থেকে রাসূলুল্লাহর সা. সাহচর্য হতে বিচ্ছিন্ন হইনি কিন্তু তাঁর এ সতর্কবাণীটি আমাকে দারুণভাবে সতর্ক করেছে- ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত আমার পতি মিথ্যা আরোপ করবে, সে যেন জাহান্নামে তার আবাসস্থল নির্ধারণ করে নেয়।

ইসলামী সাম্যের প্রতি তিনি এতবেশী সতর্ক ছিলেন যে, দু’জন মুসলিম মৃতের মধ্যেও একজনকে সামান্য প্রাধান্য দান তিনি বৈধ মনে করেননি। উহুদের যুদ্ধে তাঁর মামা হযরত হামযা রা. শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর মা হযরত সাফিয়্যা রা. ভাইয়ের কাফনের জন্যে দু’প্রস্থ কাপড় নিয়ে আসেন। কিন্তু মামার পাশেই একজন আনসারী ব্যক্তির লাশ ছিলো। একটি লাশের জন্যে দু’টি কাপড় হবে আর অন্যটি থাকবে কাফনহীন-ব্যাপারটি তিনি মেনে নিতে পারেননি। উভয়ের মধ্যে ভাগ করার জন্যে কাপড় দু’টিকে মাপলেন। ঘটনাক্রমে কাপড় দু’খানা ছিল ছোট-বড়। যাতে কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব না হয়, সে জন্য লটারীর মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করেন।

হযরত যুবাইর যে কোন ধরণের বিপদ-আপদকে তুচ্ছ জ্ঞান করতেন। মৃত্যু-ভয় তাঁর দৃঢ় সংকল্পে কোনদিন বিন্দুমাত্র ফাটল ধরাতে পারেনি। ইসকান্দারিয়া অবরোধের সময় তিনি সিঁড়ি লাগিয়ে কিল্লার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে চাইলেন। সঙ্গীরা বললেন, ‘ভেতরে মারাত্মক প্লেগ।’ জবাবে বললেন, ‘আমরা তো যখম ও প্লেগের জন্যেই এসেছি। সুতরাং মৃত্যুভয় কেন?’ সেদিন তিনি ভীষণ সাহসিকতার সঙ্গে সিঁড়ি লাগিয়ে কিল্লায় প্রবেশ করেছিলেন।

হযরত যুবাইরের সততা, আমানতদারী, পরিচালনা ক্ষমতা ও সংগঠন যোগ্যতা ছিল অসাধারণ। মৃত্যুকালে লোকেরা তাঁকে আপন আপন সন্তান-সন্ততি ও ধন-সম্পদের মুহাফিজ বানাবার ইচ্ছা ব্যক্ত করতো। মুতী ইবনুল আসওয়াদ তাঁকে অসী বানাতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। তখন তিনি কাতর কণ্ঠে বলতে থাকেন, ‘আমি আপনাকে আল্লাহ, রাসূল ও নিকট- আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে বলছি। আমি ফারুকে আজম উমারকে বলতে শুনেছি, যুবাইর দ্বীনের একটি রুকন বা স্তম্ভ। হযরত উসমান, মিকদাদ, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ, আবদুর রহমান ইবন আউফ প্রমুখ সাহাবী মৃত্যুকালে তাঁকে অসী নিযুক্ত করেছিলেন। অত্যন্ত সততার সাথে তিনি তাঁদের ধন-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করে তাঁদের সন্তান ও পরিবার-পরিজনদের জন্য ব্যয় করেন।

হযরত যুবাইর স্ত্রী ও ছেলে-সন্তানদের গভীরভাবে ভালোবাসতেন। বিশেষতঃ পুত্র আবদুল্লাহ ও তাঁর সন্তানদেরকে অতিমাত্রায় স্নেহ করতেন। মৃত্যুর পূর্বে সন্তানদের তা’লীম ও তারবিয়্যাতের ব্যাপারে তিনি ছিলেন দারুণ সচেতন। ইয়ারমুকের যুদ্ধে তিনি পুত্র আবদুল্লাহকে সংগে নিয়ে যান। তখন তার বয়স মাত্র দশ বছর। হযরত যুবাইর তাকে একটি ঘোড়ার ওপর বসিয়ে একজন সিপাহীর তত্ত্বাবধানে দিয়ে দেন, যাতে সে যুদ্ধের ভয়াবহ দৃশ্যগুলি দেখিয়ে তাকে বীরত্ব ও সাহসিকতার শিক্ষা দেয়।

বদান্যতা, দানশীলতা ও আল্লাহর রাস্তায় খরচের ব্যাপারে তিনি অন্য কারো থেকে কখনো পিছিয়ে থাকেননি। তাঁর এক হাজার দাস ছিল। প্রতিদিন তিনি তাদের ভাড়া খাটিয়ে মোটা অংকের অর্থ লাভ করতেন। কিন্তু তার একটি পয়সাও নিজের বা পরিবারবর্গের জন্য ব্যয় করা সমীচীন মনে করতেন না। সবই বিলিয়ে দিতেন। মোটকথা, নবীর একজন হাওয়ারীর মধ্যে যত রকমের গুণ থাকা সম্ভব, সবই হযরত যুবাইরের মধ্যে ছিল।

ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল হযরত যুবাইরের প্রধান পেশা। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, যে ব্যবসায়ে তিনি হাত দিয়েছেন, কখনো তাতে লোকসান হয়নি।

আল্লাহর রাহে সংগ্রামে দুশমনদের তীর-বর্শার অসংখ্য আঘাত তিনি খেয়েছেন। আলী ইবন খালিদ বলেন, আমাদের কাছে মুসেল থেকে একটি লোক এসেছিলো। সে বর্ণনা করলোঃ ‘আমি যুবাইর ইবনুল আওয়ামের একজন সফর-সঙ্গী ছিলাম। সফরের এক পর্যায়ে আমি তাঁর দেহের এমন সব ক্ষতিচিহ্ন দেখতে পেলাম যা অন্য কারো দেহে আর কখনো দেখিনি। জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ এ সবই ঘটেছে রাসূলুল্লাহর সা. সঙ্গে ও আল্লাহর রাহে।’

আলী ইবন যায়িদ বলেন, ‘যুবাইরকে দেখেছে এমন এক ব্যক্তি আমাকে বলেছে, ‘তাঁর (যুবাইরের) বুকে ঝরণার মত দেখতে তীর বর্শার অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল।’

পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাদাসিধে। তবে তাঁর তরবারিটি ছিল অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ। তরবারির হাতলটি ছিল চমৎকার নকশা অংকিত।

হযরত মুআবিয়া রা. আবদুল্লাহ ইবন আব্বাসকে রা. জিজ্ঞেস করলেন, ‘তালহা ও যুবাইর সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি।’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহ তাদের দু’জনের ওপর রহমত বর্ণন করুন। আল্লাহর কসম, তাঁরা দু’জনই ছিলেন অত্যন্ত সংযমী, পূণ্যবান, সৎকর্মশীল, আত্মসমর্পণকারী, পুত-পবিত্র, পবিত্রতা অর্জনকারী ও শাহাদাত বরণকারী।’

হযরত যুবাইর বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সা. আমার জন্য এবং আমার সন্তান-সন্ততি ও পৌত্র-পৌত্রীদের জন্য দু’আ করেছেন।’

হযরত যুবাইরের সবচেয়ে বড় পরিচয় ও সৌভাগ্য এই যে, তিনি আশারায়ে মুবাশ্শারা অর্থাৎ দুনিয়াতে জান্নাতের শুভ সংবাদ প্রাপ্ত দশজন সাহাবীর একজন।

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে শিবগঞ্জ উপজেলাবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

 বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহিম ঈদ বয়ে আনুক সবার জীনবে সুখ শান্তি ও কল্যাণের বার্তা ঈদের দিনের মতো সুন্দর হোক প্রতিটি দিন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক...