12 July, 2018

বগুড়া জেলার ইতিহাস




১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : ১৮২১ সালে রাজশাহী জেলা হতে আদমদিঘি, শেরপুর,
ও বগুড়া থানা, রংপুর জেলা হতে দেওয়ানগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জ থানা,
দিনাপজপুর জেলা হতে লালবাজার, ক্ষেতলাল ও বদলগাছি থানা নিয়ে বগুড়া
জেলা গঠিত । ১৮২১ সারে বগুড়া জেলা গঠন হবার পর একজন জয়েন্ট
ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত হন। ১৮৩২ সালে বগুড়া জেলার প্রায় অর্ধাংশ পরিচিত।
স্থানের রাজস্ব গ্রহণের কাজ বগুড়াতে সম্পন্ন হতে লাগল এবং সেজন্য জয়েন্ট
ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতি ডেপুটি কালেক্টরের ক্ষমতাও অর্পিত হয়। ১৮৩৯ সালে
রাজশাহী জেলার রায়গঞ্জ থানা বগুড়া জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৬৮ সালের ৮
অক্টোবর ইছামতি নদী বগুড়া জেলার দক্ষিণ পূর্ব পাবনা জেলার মধ্যে সীমা
নির্দিষ্ট হয়। ১৮৫৯ সালে বগুড়া জেলার জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি
কালেক্টরের স্থলে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর নিযুক্ত হল এবং বগুড়া স্বতন্ত্র
জেলা হিসেবে পরিগনিত হয়।

২. নামকরণ : সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন বগরা
খান ১২৭৯ থেকে ১২৮২ পর্যন্ত এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তার নামানুসারে এ
অঞ্চলের নাম হয়েছে বগরা বা বগুড়া জেলা।
৩. আয়তন : (প্রায়)২৮৯৮ বর্গ কি. মি.।

৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ৩৪,০০৮৭৪ জন। পুরুষ- ১৭,০৮,৮০৬ ও মহিলা
১৬৯২০৬৮। বৃদ্ধির হার : ১.২০% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ১১৭৩ জন।

৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ১২টি। বগুড়া সদর, ধুপচাচিয়াকাহালু, আদমদীঘি,
নন্দিগ্রাম, শীবগঞ্জ, গাবতলী, শাহজাহানপুর, শেরপুর, সোনাতলা, ধুনট ও
সারিয়াকান্দি।

৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ১২টি। বগুড়া সদর, ধুপচাচিয়া, কাহালু, আদমদীঘি,
নন্দিগ্রাম, শীবগঞ্জ, গাবতলীশাহজাহানপুর, শেরপুর, সোনাতলাধুনট ও
সারিয়াকান্দি ।

৭. সংসদীয় আসন : ০৭টি। (১) সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা এবং ধুনট
উপজেলার নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ : ভান্ডারবাড়ী ও গোসাইবাড়ী। (২) শীবগঞ্জ
উপজেলা। (৩) আদমদিঘী ও দুপচাচিয়া উপজেলা। (৪) কাহালু ও নন্দীগ্রাম
উপজেলা। (৫) শেরপুর উপজেলা ও নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমুহ ব্যতীত ধুনট
উপজেলা : ভান্ডারবাড়ী ও গোসাইবাড়ী। (৬) বগুড়া সদর উপজেলা। (৭)
গাবতলী ও শাহজাহানপুর উপজেলা।

৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : অবিভক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আলী
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, কারু শিল্পী আমিনুল করিম দুলাল, আঙুমান
আরা বেগম, খন্দকার মারফ আহমদ, প্রফেসর মো: আন্দুল হামিদ, আ. ফ. ম
বদরুদ্দোজা, ড: আশফাক, ডা: হাবিবুর রহমান, আজিজ হক, বেগম মাহমুদা
সাদেক ও এম. আর. আক্তার মুকুল ।

৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২২৯ কি. মি. ও রেলপথে-৩৬৯ কি. মি.।

১০ . যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস : ঢাকা-বগুড়াঢাকা বাস স্টেশন, বগুড়া কেন্দ্রীয় বাস
স্টেশন-চারমাথা, চেলোপাড়া বাস স্টেশন-সাতমাথা। রেল : বগুড়া রেলওয়ে
স্টেশন-বগুড়া। লঞ্চ- সরিষাকান্দি নৌ বন্দরসরিয়াকান্দি। এনডব্লিউডি কোড
নম্বর : ০৫১ ও পোষ্ট কোড-৫৮০০।

১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক করতোয়া, চাদনী বাজার, দুর্জয় বাংলা, আজ ও
আগামীকাল, বগুড়াউত্তর কোণ, সাতমাথাসকালের আনন্দ, সাপ্তাহিক বিজয়
বাংলাসূর্য তোরণ, হাতিয়ার ও বরেন্দ্র বার্তা।
১২. পৌরসভা-১১টি, ইউনিয়ন-১০৯টি ও উপজেলা ভূমি অফিস-১২টি।

১৩গ্রামের সংখ্যা-২০,৬৯৫টি, মৌজার সংখ্যা-১, ৭৫৯টি।

১৪. মোট জমি-২৩০০৩৯ একর ও আদর্শ গ্রাম- ৫৪ টি।
১৫. শিক্ষার হার-৫৩%।

১৬উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, আখ, তামাক, পাট, গম, , সরিষা, ডাল।

১৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-১,৪৯৪টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৩৫৫টি,
কলেজ-৮৩টি। মসজিদ-৭.০১৬টি।

১৮. হাসপাতাল : সদর হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-১২টি, উপ
স্বাস্থ্য কেন্দ্ৰ-০৭টি ও ক্লিনিক-৯টি।

১৯. নদনদীর নাম : যমুনা, করতোয়া, নাগর, বাঙ্গালী ইত্যাদি।

২০. দর্শনীয় স্থান : মহাস্থানগড়পুড্রবর্ধন প্রাচীনতম নগরীভাসু-বিহার, গোকুল মেধ
(বেহুলার বাসরঘর), শাহ সুলতান বলখী মাহী সাওয়ার এর মাজার, ভবানীপুর
শিব মন্দির, ভবানী মন্দির, খেড়য়া মসজিদ, মোহাম্মদ আলী প্যালেস
মিউজিয়াম, গ্রোয়েন বাধ, ওয়ান্ডারল্যান্ড, মহাস্থান প্রত্নতাত্বিক যাদুঘর।

২১. জেলার ঐতিহ্য : মহাস্থানগড়ের বিস্তীর্ণ ধবংসাবশেষ প্রাচীর পুস্ত্রবর্ধনভূমির
রাজধানী পুন্দ্রনগর সুদীর্ঘ প্রায় আড়াই হাজার বছরের গৌবরোজ্জল ইতিহাসের
এক নীরব স্বাক্ষী। সমগ্র বাংলার সর্বপ্রধান ও সর্বপ্রাচীন এ দূর্গনগরী পর্যায়ক্রমে
মাটি ও ইটের বেষ্টনী প্রাচীন দ্বারা সুরক্ষিত ।

No comments:

Post a Comment

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে শিবগঞ্জ উপজেলাবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

 বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহিম ঈদ বয়ে আনুক সবার জীনবে সুখ শান্তি ও কল্যাণের বার্তা ঈদের দিনের মতো সুন্দর হোক প্রতিটি দিন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক...