12 July, 2018

খাগড়াছড়ি জেলার ইতিহাস



১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : বৃটিশ সরকার কর্তৃক ১৮৬০ সালে স্বতন্ত্র জেলা ঘোষণা
করার আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিল বৃহত্তর চট্টগ্রামের একটি অঙ্গ। পার্বত্য
চট্টগ্রাম জেলা ০৩টি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিল। মহকুমাগুলি ছিল রাঙ্গামাটি,
বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি। রামগড় মহকুমা ০৩টি থানা নিয়ে গঠিত ছিল।
থানাগুলি ছিল রামগড় সদর, মহালছড়ি ও দীঘিনালা । খাগড়াছড়ি তৎকালীন
মহালছড়ি থানাধীন একটি ইউনিয়ন ছিল। পরে ১৯৬৮ সালে খাগড়াছড়িকে
থানায় উন্নীত করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১লা নভেম্বর খাগড়াছড়ি পূর্ণাঙ্গ
জেলায় উন্নীত হয় ।

২. নামকরণ : খাগড়াছড়ি নামের উৎপত্তি হয়েছিল নল খাগড়ার বন থেকে।
খাগড়াছড়ি সদর শহরের বুক চিরে একটি ছড়ানদী বহমান রয়েছে। অতীতে
উক্ত ছড়ানদীর দু পাড়ে গভীর নলখাগড়ার বন ছিল। এই নল খাগড়ার বন
থেকে খাগড়াছড়ি নামের উৎপত্তি। খাগড়াছড়ির প্রাচীন নাম ছিল তারক।
৩. আয়তন : (প্রায়) ২,৬৯৯৫৬ বর্গ কি. মি.।

৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ৬১৩৯১৭ জন। পুরুষ- ৩,১৩,৭৯৩ ও মহিলা
৩,০০,১২৪ । বৃদ্ধির হার : ১.৫৪% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ২২৩ জন।

৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৮টি। খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালাপানছড়ি,
মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, মহালছড়ি, লক্ষীছড়ি ও রামগড়।

৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ০৯টি । খাগড়াছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি, পানছড়ি,
লক্ষীছড়ি, দীঘিনালামাটিরাঙ্গা, রামগড় ও গুইমারা।

৭. সংসদীয় আসন : ০১টি ।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।

৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ , অনন্ত কুমার কৃষ্ণ, নবীন ত্রিপুরা, সমীর দেওয়ান, জায়দুল
আলম, শহীদ আন্দুল কাদের, মহারাণী নিহার দেবী, উনিকা দেব, রাজীব
রায়, অনন্ত বিহারী থিসা, ড. নীরু কুমার চাকমা প্রমূখ।

৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২৭৫ কি. মি.।

১০. যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস। : ঢাকা-সায়েদাবাদ, মতিঝিল-খাগড়াছড়ি-ঢাকা।
বাস স্টেশন, খাগড়াছড়ি বাস স্টেশন । এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৩৭১ ও
পোস্ট কোড-৪৪০০ ।

১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক অরণ্য বার্তা ও দৈনিক প্রতিদিন।

১২. পৌরসভা০৩টি ও ইউনিয়ন-৩৫টি।

১৩. উপজেলা ভূমি অফিস-০৬টি ।

১৪. মৌজার সংখ্যা-১২১টি ও গ্রামের সংখ্যা-১,৩৮৮টি।

১৫. আদর্শ গ্রাম-৮১টি । শিক্ষার হার-৪৪.০৭%

১৬. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, গম, সরিষাভুট্টা, তুলা ও আখ ।

১৭শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-৪২০টি, উচ্চ বিদ্যালয়-৭১টি, কলেজ
০৭ টি ও মাদ্রাসা-৩৫টি।

১৮. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-২৫৫টি, মন্দির৪৭০টি ও গীর্জা-২৬টি।

১৯. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-৭টি।

২০. নদনদীর নাম : চেঙ্গী, মাইনী, ফেনী ইত্যাদি।

২১. দর্শনীয় স্থান : আলুটিলা পাহাড়ের রহস্যময় সুড়ঙ্গ, নুনছড়ি মৌজার দেবতা
পুকুর, রিছাং ঝর্ণা, ঐতিহাসিক রামগড়, রামগড় লেক, পাহাড়ি কৃষি গবেষণা
কেন্দ্রের খামার, দীঘিনালা সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও ভগবান টিলা ।

No comments:

Post a Comment

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে শিবগঞ্জ উপজেলাবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

 বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহিম ঈদ বয়ে আনুক সবার জীনবে সুখ শান্তি ও কল্যাণের বার্তা ঈদের দিনের মতো সুন্দর হোক প্রতিটি দিন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক...