24 January, 2020

পটুয়াখালী জেলার ইতিহাস

১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : বর্তমান পটুয়াখালী অঞ্চল প্রথমদিকেই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া
কোম্পানির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজদ্দৌলার পরাজয়ের
কারণে সাবেক বাংলা প্রদেশের (বিহার ও উড়িষ্যাসহ) অন্যান্য অংশের ন্যায়
বর্তমান পটুয়াখালী অঞ্চলও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসনাধীন আসে।
বিদেশি শাসনের প্রথম বছরগুলােতে পটুয়াখালীর বাকেরগঞ্জ এলাকা ঢাকা
প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৭৮১ সালে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাসহ একজন
বেসামরিক বিচারক নিয়ােগ করা হয়। তদানীন্তন বাকেরগঞ্জ জেলার
দক্ষিণাঞ্চলের বিরাট অংশ নিয়ে ১৮৭১ সালে পটুয়াখালী মহকুমা গঠন করা
হয়। ১ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালী জেলার সৃষ্টি হয়।
২. নামকরণ : পটুয়াখালীর নামকরণ সম্পর্কে মতভেদ আছে। মতভেদ থাকলেও
অধিকাংশ জনমতের স্বীকৃতি হচ্ছে স্বর্গীয় দেবেন্দ্রনাথ দত্তের ‘পতুয়ার খাল
কবিতা থেকে পটুয়াখালীর উৎপত্তি। এ অঞ্চলে বসবাসরত মৃৎশিল্পী, পটুয়া,
চিত্রকর, কুমার শব্দ থেকে পটুয়াখালীর উৎপত্তি। অন্যমত হচ্ছে পেট-
আকৃতির খাল-বিল থেকে পটুয়াখালী নামের উৎপত্তি।
| ৩. আয়তন : (প্রায়) ৩,২২০.১৫ বর্গ কি. মি.।
৪. লােকসংখ্যা : মােট-(প্রায়) ১৫,৩৫,৮৫৪ জন। পুরুষ-৭,৫৩,৪৪১ ও
| মহিলা-৭,৮২,৪১৩। বৃদ্ধির হার : ০.৪৯% ও ঘনত্ব (বর্গ কি. মি.) : ৪৭৭
জন।।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৮টি। পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী,
বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ০৮টি। পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী, বাউফল,
দশমিনা, গলাচিপা, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী ।
৭. সংসদীয় আসন : ৪টি। (১) নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ ব্যতীত পটুয়াখালী
সদর উপজেলা : আউলিয়াপুর, লােহালিয়া ও কমলাপুর। মির্জাগঞ্জ ও দুমকী।
উপজেলা। (২) বাউফল উপজেলা ও নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ : লােহাগড়া ও
কমলাপুর। (৩) দশমিনা উপজেলা ও নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ ব্যতীত
গলাচিপা উপজেলা : বড় বাইশদিয়া, ছােট বাইশদিয়া, রাঙ্গাবালী,
চালিতাবুনিয়া ও চরমােস্লাজ এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর
ইউনিয়ন। (৪) কলাপাড়া উপজেলা ও গলাচিপা উপজেলার নিম্নবর্ণিত
ইউনিয়নসমূহ : বড় বাইশদিয়া, ছােট বাইশদিয়া, রাঙ্গাবালী, চালিতাবুনিয়া ও
চরমােপ্লজ।
৮. হানাদার মুক্ত দিবস : ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর পটুয়াখালী জেলা হানাদার
মুক্ত হয়।
৯. বিশিষ্ট ব্যক্তি : বিপ্লবী জননেতা সতীন্দ্রনাথ সেন, হীরালাল দাস গুপ্ত, মুস্তফা
মজিদ, নয়ন রহমান প্রমুখ ।
১০. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-৩১৯ কি. মি.।।
১১. যােগাযােগ ব্যবস্থা : বাস : ঢাকা- গাবতলী- পটুয়াখালী বাস স্টেশন,
পটুয়াখলী কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন। লঞ্চ : সদরঘাট-পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাট।
এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৪৪১ ও পােস্ট কোড-৮৬০০।
১২. পত্র-পত্রিকা : দৈনিক গণদাবি, সাথী, তেঁতুলিয়া, রূপান্তর, পটুয়াখালী বার্তা
ও সাপ্তাহিক প্রিয় কাগজ।
১৩. পৌরসভা-০১টি ও ইউনিয়ন-৬৮টি।
১৪. উপজেলা ভূমি অফিস-০৮টি।
১৫. মৌজার সংখ্যা-৫৫৮টি ও গ্রামের সংখ্যা-৮৮২টি।
১৬. মােট জমির পরিমাণ- ৫,৬৩,৪৮৭ একর।
১৭. শিক্ষার হার-৬৫%।
১৮.শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-১,০৭৬টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-২৯৭টি,
মাদ্রাসা-২৮৪টি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-০১টি ও কলেজ-৩৪টি।
১৯. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-৩,৮৯৩টি, মন্দির-৪৯০টি ও প্যাগােডা-০৮টি।
২০. আদর্শ গ্রাম-১৯টি।
২১. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৭টি ও
ক্লিনিক-১৩টি।
২২. উল্লেখযােগ্য ফসল: ধান, পাট, শাখ-সবজি ইত্যাদি।
২৩. নদনদীর নাম : লােহালিয়া, লাউকাঠী, পায়রা, লেবুখালী, আন্ধারমানিক,
আগুনমুখা, বুড়া গৌরাঙ্গ ও তেঁতুলিয়া।
২৪. দর্শনীয় স্থান : কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির, কুয়াকাটা
রাখাইন পল্লী, হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সােনারচর, দয়াময়ী দেবীর মন্দির ও আগুন মুখা।


বরিশাল জেলার ইতিহাস

১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : প্রাক্তন বাকেরগঞ্জ জেলা পূর্ব বাংলায় অবস্থিত ছিল। যে চারটি
কালেক্টরেট নিয়ে ঢাকা বিভাগ বা কমিশনারশিপ গঠিত এটি তারই একটি। গঙ্গা
বা পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার সম্মিলিত জলরাশি বাহিত পলিমাটি দ্বারা গঠিত ব-
দ্বীপের নিম্নভাগে এ জেলার অবস্থান। বাকেরগঞ্জে ম্যাজিস্ট্রেসি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
১৭৯৭ সালের রেগুলেশন-৭ অনুযায়ী ওই সালেই একে জেলা করা হয়। তবে
১৮১৭ সাল পর্যন্ত এটি একটি কালেক্টরেটে পরিণত হতে পারেনি।
নামকরণ : বরিশাল জেলার প্রাচীন নাম চন্দ্রদ্বীপ। প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে
চন্দ্রদ্বীপের ভূগঠন শুরু হয়। সর্বপ্রথম কবে চন্দ্রদ্বীপে মানুষের বসতি শুরু হয় তা
জানা যায়নি। আজকের বরিশাল নামকরণের পেছনে যেসব কথা জনশ্রুতি
রয়েছে তাহলাে প্রাচীনকাল থেকে এ অঞ্চল লবণ ও মাছের জন্য বিখ্যাত ছিল।
১৭৫৭ সালে পলাশীর বিজয়ের পর ইংরেজরা এ অঞ্চলের লবণ ব্যবসা করায়ত্ত্ব
করে। এর আগে বরিশালের নাম ছিল গিরদে বন্দর । ইংরেজ ও পর্তুগীজ
বণিকরা বড় লবণ চৌকিকে বরিসল্ট বলত। বরিসল্ট থেকে বরিশাল নামকরণ
হয়েছে।
৩. আয়তন : (প্রায়) ২৭৯০.৫১ বর্গ কি. মি.।
৪. লােকসংখ্যা : মােট-(প্রায়) ২৩,২৪,৩১০ জন। পুরুষ-১১,৩৭,২১০ ও মহিলা-
১১,৮৭,১০০। বৃদ্ধির হার : -০.১৩% ও ঘনত্ব (বর্গ কি. মি.) : ৮৩৫ জন।
| উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ১০টি। বরিশাল সদর, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর,
বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া, মুলাদী, গৌরনদী, বাকেরগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ১৩টি। কোতােয়ালি মডেল থানা, বন্দর, কাউনিয়া,
বরিশাল সদর, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর, বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া, মুলাদী,
গৌরনদী, বাকেরগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা।
৭. সংসদীয় আসন : ৬টি। (১) গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা। (২) উজিরপুর
ও বানারীপাড়া উপজেলা। (৩) মুলাদী ও বাবুগঞ্জ উপজেলা। (৪) মেহেন্দিগঞ্জ
ও হিজলা উপজেলা। (৫) বরিশাল সিটি কর্পোরেশনভুক্ত এলাকা ও বরিশাল
সদর এবং (৬) বাকেরগঞ্জ উপজেলা।
৮. হানাদার মুক্ত দিবস : ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর বরিশাল (গৌরনদী
উপজেলা) হানাদার মুক্ত হয়।
৯, বিশিষ্ট ব্যক্তি : শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক, কবি মীননাথ, কবি বিজয়গুপ্ত,
কবি মুকুন্দ দাস, রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাস, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ,
আসাদ চৌধুরী, শহীদ আলতাফ মাহমুদ, অমৃত লাল দে, আতিকুল হক চৌধুরী,
মেজর এম এ জলিল, চিত্রশিল্পী মিঠুন চক্রবর্তী, রাজনীতিবীদ রাশেদ খান
মেনন, আব্দুল গাফফার চৌধুরী।
১০, ঢাকা থেকে দূরত্ব: সড়ক পথে-আরিচা হয়ে-২৭৫ ও মাওয়া হয়ে-১৬৭ কি.মি.।
১১. যােগাযােগ ব্যবস্থা : বাস : ঢাকা-সায়েদাবাদ-মতিঝিল-বরিশাল বাস স্টেশন,
বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস স্টেশন, আব্দুর রব সেরনিয়াবত বাস স্টেশন-রূপাতলী,
বন্দর সড়ক বাস স্টেশন। লঞ্চ : সদরঘাট-বরিশাল লঞ্চ স্টেশন। এনডব্লিউডি
কোড নম্বর : ০৪৩১ ও পােস্ট কোড-৮২০০।
১২. পত্রপত্রিকা : দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল, শাহানামা, পল্লী অঞ্চল, বাংলার বনে,
আজকের বার্তা, আজকের পরিবর্তন, মতবাদ, সত্য সংবাদ, বরিশাল বার্তা,
ভােরের অঙ্গীকার, বরিশাল প্রতিদিন, বিপ্লবী বাংলাদেশ ও সাপ্তাহিক বরিশাল
সময়।
১৩. সিটি কর্পোরেশন-০১টি, পৌরসভা-০৫টি ও ইউনিয়ন-৮৫টি।
১৪. উপজেলা ভূমি অফিস-১০টি ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস-৬৯টি।
১৫. মৌজার সংখ্যা-১,০৮৬টি ও গ্রামের সংখ্যা-১,২০৪টি।
১৬. মােট জমির পরিমাণ-৪,৮৯,৪০৬.৯৬ একর।
১৭. শিক্ষার হার-৫৫%।
১৮. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : জুনিয়র স্কুল-৬৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৩৫৫টি, স্কুল এন্ড
কলেজ-২০টি ও ডিগ্রী কলেজ-৩৬টি।
১৯, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-৬,৭২৮টি।
২০. চিকিৎসা কেন্দ্র : সদর হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৭টি ও
| ক্লিনিক-১৩টি।
২১. উল্লেখযােগ্য ফসল: ধান, পাট, শাকসবজি ইত্যাদি।
২২. নদনদীর নাম : কীর্তনখােলা, লােহালিয়া, রামগঞ্জ, গজালিয়া, মেঘনা, বিশখালী,
আড়িয়াল খাঁ, তেঁতুলিয়া ইত্যাদি।
২৩. দর্শনীয় স্থান : দুর্গা সাগর, কালেক্টরেট ভবন, চাখার প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর,
অক্সফোর্ড মিশন, শংকর মঠ, জোড় মসজিদ, শের-ই-বাংলা জাদুঘর ও কীর্তন
খােলা গার্ডেন।
২৪. জেলার ঐতিহ্য : এক সময়ের বিখ্যাত ‘গ্রেদে নৌবন্দর এবং পরবর্তীতে তাকে
কেন্দ্র কের গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক নগরী বরিশালের মতই পুরানাে সেখানের
ঐতিহ্যবাহী শাখারী বা শাঁখ-শঙ্খ শিল্প এবং গৌরনদীর দই এ জেলার ঐতিহ্য
বহন করে।

16 January, 2020

জ্যামিতিক সংঙ্গা, জ্যামিতির সকল সংঙ্গা ।

সূক্ষ্মকোণ (Acute angle) 
এক সমকোণ (90) অপেক্ষা ছোট কোণকে সূক্ষকোণ বলে।

সমকোণ (Right angle) 
একটি সরল রেখার উপর অন্য একটি লম্ব টানলে এবং লম্বের দু’পাশে অবস্থিত ভূমি সংলগ্ন কোণ দুটি সমান হলে, প্রতিটি কোণকে সমকোণ বলে।
এক সমকোণ=90

স্থূলকোণ (Obtuse angle) 
এক সমকোণ অপেক্ষা বড় বিন্তু দুই সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে সথূলকোণ বলে।

প্রবৃদ্ধকোণ (Reflex angle) 
দুই সমকোণ অপেক্ষা বড় কিন্তু চার সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে প্রবদ্ধ কোণ বলে।
অর্থাৎ 360 > x 180 হলে x একটি প্রবৃদ্ধ কোণ।


সরলকোণ (Straight angle) 
দু’টি সরল রেখাপরস্পর সম্পর্ণ বিপরীত দিকে গমন করলে রেখাটির দু’পাশে যে কোণ উৎপন্ন হয় তাকে সরলকোণ বলে।
সরলকোণ দুই সমকোণের সমান বা 180

বিপ্রতীপকোণ (Vertically Opposite angle ) 
দু’টি সরল রেখা পরস্পর ছেদ করলে যে চারটি কোণ উৎপন্ন হয় এদের যেকোণ একটিকেতার বিপরীত কোণের বিপ্রতীপ কোণ বলে।


সম্পূরককোণ(Supplementary angle ) 
দু’টি কোণের সমষ্টি 180 বা দুইসমকোণ হলে একটিকে অপরটির সম্পূরক কোণ বলে।


পূরককোণ (Complementary angle) 
দু’টি কোণের সমষ্টি এক সমকোণ বা 90 হলেএকটিকেঅপরটির পূরক কোণ বলে


ত্রিভূজ (Triangle)
তিনটি সরলরেখা দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে ত্রিভূজ বলে।


সুক্ষ্মকোণীত্রিভূজ (Acute angle triangle ) 
যে ত্রিভূজের তিনটি কোণই এক সমকোণ(90 0 ) এর ছোট তাকে সূক্ষ্মকোণী ত্রিভূজ বলে।


সুক্ষ্মকোণীত্রিভূজ (Obtuse angled triangle) 
যে ত্রিভূজের একটি কোণ সথূলকোণ বা এক সমকোণ অপেক্ষা বড় তাকে সথূলকোণী ত্রিভূজ বলে।
কোণ ত্রিভূজের একের অধিক সথূলকোণ থাকতে পারে না।


সমকোণী ত্রিভূজ (Right angled triangle) 
যে ত্রিভূজের একটি কোণ সমকোণ তাকে সমকোণী ত্রিভূজ বলে। কোন ত্রিভূজে একটির অধিক সমকোণ থাকতে পারে না। সমকোণী ত্রিভূজের সমকোণের বিপরীত বাহুকে অতিভূজ এবং সমকোণ সংলগ্ন বাহুদ্বয়ের একটিকে ভূমি এবং অপরটিকে লম্ব বলা হয়।


লম্বকেন্দ্র(orthocente)
লম্বকেন্দ্র ত্রিভুজের তিনটি শীর্ষ থেকে বিপরীত বাহুগুলির উপর তিনটি লম্ব সমবিন্দুগামী, এবং বিন্দুটির নাম লম্বকেন্দ্র (orthocenter)


একাস্তরকোণ
দু’টি সমান্তরাল রেখাকে অপর একটি রেখা তির্যকভাবে ছেদ করলে ছেদক রেখার বিপরীত পাশে সমান্তরাল রেখা যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে একান্তর কোণ বলে। একান্তর কোণগুলো পরস্পর সমান হয়।

অনুরূপকোণ
দু’টি সমান্তরাল সরল রেখাকে অপর একটি সরল রেখা ছেদ করলে ছেদকের একই পাশে যে কোণ উৎপন্ন হয় তকে অনুরূপ কোণ বলে। অনুরূপ কোণগুলো পরস্পর সমান হয়।

সন্নিহিতকোণ
যদি দু’টি কোণের একটি সাধারণ বাহু থাকে তবে একটি কোণের অপর কোণের সন্নিহিত কোণ বলে।


পরিবৃত্ত

তিনটি শীর্ষবিন্দু যোগ করে যেমন একটিমাত্র ত্রিভুজ হয় তেমনি তিনটি বিন্দু (শীর্ষ)গামী বৃত্তও একটিই, এর নাম পরিবৃত্ত।



পরিকেন্দ্র
পরিবৃত্তের কেন্দ্র (যে বিন্দু ত্রিভুজের শীর্ষত্রয় থেকে সমদূরত্বে স্থিত)।



চতুর্ভুজ
চারটি রেখাংশ দিয়ে সীমাবদ্ধ সরলরৈখিক ক্ষেত্রের সীমারেখাকে চতুর্ভুজ বলে।
বিকল্প সংজ্ঞা: চারটি রেখাংশ দিয়ে আবদ্ধ চিত্রকে চতুর্ভুজ বলে।চিত্রে কখগঘ একটি চতুর্ভুজ।


কর্ণ
চতুর্ভুজের বিপরীত শীর্ষ বিন্দুগুলোর দিয়ে তৈরি রেখাংশকে কর্ণ বলে। চতুর্ভুজের কর্ণদ্বয়ের সমষ্টি তার পরিসীমার চেয়ে কম।



চতুর্ভুজের বৈশিষ্ট্য
চারটি বাহু, চারটি কোন, অন্তর্বর্তী চারটি কোনের সমষ্টি ৩৬০°।


সামান্তরিক
যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো সমান ও সমান্তরাল এবং বিপরীত কোণগুলো সমান (কিন্তু কোণ গুলো সমকোন নয়) , তাকে সামান্তরিক বলে।



আয়ত
যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো সমান ও সমান্তরাল এবং প্রতিটি কোণ সমকোণ, তাকে আয়ত বলে।



বর্গক্ষেত্র
বর্গক্ষেত্র বলতে ৪টি সমান বাহু বা ভূজ বিশিষ্ট বহুভূজ, তথা চতুর্ভূজকে বোঝায়, যার প্রত্যেকটি অন্তঃস্থ কোণ এক সমকোণ বা নব্বই ডিগ্রীর সমান।



রম্বস
রম্বস এক ধরনের সামান্তরিক যার সবগুলি বাহু সমান কিন্তু কোণ গুলো সমকোন নয়।



ট্রাপিজিয়াম
যে চতুর্ভুজ এর দুইটি বাহু সমান্তরাল কিন্তু অসমান।


বহুভুজ
(কারনসরলরেখা দ্বারা সীমাবদ্ধ) বহুভুজ নয় (কারনঃ বক্র রেখা দ্বারা সীমাবদ্ধ) বহুভুজ নয় (কারনঃ সীমাবদ্ধ নয়) যদি বহুভুজের সবগুলি বাহু ও কোণ সমান হয়, তবে সেটিকে সুষম বহুভুজ বলে।
বিপ্রতীপ কোণঃ কোন কোণের বাহুদ্বয়ের বিপরীত রশ্মি যে কোণ তৈরি করে, তা ঐ কোণের বিপ্রতীপ কোণ বলে ।



গোলক
দুইটি পরস্পর বিপরীত রশ্মি তাদের সাধারণ প্রান্ত বিন্দুতে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে সরল কোণ বলে ।



প্রবৃদ্ধকোণ
দুই সমকোণ থেকে বড় কিন্তু চার সমকোণ থেকে ছোট কোণকে প্রবৃদ্ধকোণ বলে ।



সমান্তরাল রেখা
একই সমতলে অবস্থিত দুটি সরল রেখা একে অপরকে ছেদ না করলে, তাদেরকে সমান্তরাল সরল রেখা বলে ।


ছেদক

যে সরলরেখা দুই বা ততোধিক সরলরেখাকে ছেদ করে, তাকে ছেদক বলে ।


অন্তঃকেন্দ্র
ত্রিভুজের কোণত্রয়ের সমদ্বিখন্ডকগুলো সমবিন্দু ।ত্রই বিন্দু ত্রিভুজের অন্তঃকেন্দ্র।

পরিকেন্দ্র 

ত্রিভুজের বাহুত্রয়ের লম্বদ্বিখন্ডকত্রয় সমবিন্দু। ত্রই বিন্দু ত্রিভুজের পরিকেন্দ্র।



ভরকেন্দ্র
ত্রিভুজের কোণ একটি শীর্ষবিন্দু এবং তার বিপরীত বাহুর মধ্যবিন্দুর সংযোজক সরলরেখাকে মধ্যমা বলে। ত্রিভুজের মধ্যমাত্রয় সমবিন্দু । ত্রই বিন্দু ত্রিভুজের ভরকেন্দ্র।



লম্ববিন্দু
ত্রিভুজের শীর্ষত্রয় হতে বিপরীত বাহুর উপর অঙ্কিত লম্বত্রয় সমবিন্দু। ত্রই বিন্দু ত্রিভুজের লম্ববিন্দু।



সর্বসম
দুইটি ক্ষেত্র সর্বসম হবে যদি একটি ক্ষেত্র অন্যটির সাথে সর্বতোভাবে মিলে যায় । সর্বসম বলতে আকার ও আকৃতি সমান বুঝায় ।


বর্গ
আয়তক্ষেত্রের দুটি সন্নিহিত বাহু সমান হলে তাকে বর্গ বলে ।

স্পর্শক

একটি বৃত্ত ও একটি সরলরেখার যদি একটি ও কেবল ছেদবিন্দু থাকে তবে রেখাটিকে বৃত্তটির একটি স্পর্শক বলা হয় ।


সাধারণ স্পর্শক

একটি সরলরেখার যদি দুইটি বৃত্তের স্পর্শক হয়, তবে বৃত্ত দুইটির একটি সাধারণ স্পর্শক বলা হয় ।



আয়তিক ঘনবস্তু
তিন জোড়া সমান্তরাল আয়তাকার সমতল বা পৃষ্ট দ্বারা আবদ্ধ ঘনবস্তুকে আয়তিক ঘনবস্তু বলে ।



ঘনক
আয়তাকার ঘনবস্তুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সমান হলে, তাকে ঘনক বলে ।


কোণক
কোন সমকোণী ত্রিভুজে সমকোণ সংলগ্ন যে কোন একটি বাহুকে স্থির রেখে ঐ বাহুর চতুর্দিকে ত্রিভুজটিকে ঘুরালে যে ঘনবস্তু উৎপন্ন হয় তাকে সমবৃত্তভুমিক কোণক বলে। ৪৩।

সিলিন্ডার বা বেলুনঃ একটি আয়তক্ষেত্রের যে কোন একটি বাহুকে স্থির রেখে ঐ বাহুর চতুর্দিকে আয়তক্ষেত্রটিকে ঘুরালে যে ঘনবস্তু উৎপন্ন হয় তাকে সমবৃত্তভুমিক বেলুন বলে ।

ধন্যবাদ সবাইকে
মোঃ রিপন মিয়া

তোমায় ভালোবাসি হে প্রিয়

তোমায় ভালোবাসি হে প্রিয়

06 January, 2020

ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন ও ওয়াজ মাহফিল স্থানঃ চান্দার বাকসন দাখিল মাদ্রাসা । ময়দাহাটা,শিবগঞ্জ,বগুড়া।

ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন ও ওয়াজ মাহফিল
স্থানঃ চান্দার বাকসন দাখিল মাদ্রাসা । ময়দাহাটা,শিবগঞ্জ,বগুড়া। 
তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০২০ ইং
প্রধান বক্তাঃ হয়রত মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন জিহাদি নাটোর
২য় বক্তাঃ মাওলানা মোঃ আমিন উল্লাহ

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে শিবগঞ্জ উপজেলাবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

 বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহিম ঈদ বয়ে আনুক সবার জীনবে সুখ শান্তি ও কল্যাণের বার্তা ঈদের দিনের মতো সুন্দর হোক প্রতিটি দিন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক...