১সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : ১৭৫৭ সালের পর ১৭৮১ সালে ঝিনাইদহ সরাসরি ইংরেজ
. শাসনের অধীনে চলে যায় । ইংরেজ আমলে ১৭৯৩ সালে প্রথমে ঝিনাইদ
পুলিশ ফাঁড়ি । পরবর্তীতে থানা এবং ১৮৬০-৬১ সালের দিকে ঝিনাইদহ
প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয়। অপর সূত্র মতে, ১৮৬২
সালে ঝিনাইদহ মহকুমা পর্যায়ে উন্নীত হয়। ঝিনাইদহ মহকুমা হলে ১৮৬৩
সাল তৎকালীন সময়ের বাণিজ্য নগরী বলে খ্যাত কোটচাদপুর মহকুমা বিলুপ্ত
হয়ে যায়। বর্তমানে কোটচাদপুর ঝিনাইদহের একটি থানা ও উপজেলা শহর।
১৮৬৩ থেকে ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের এক
দশক পর্যন্ত প্রশাসনিক কাঠামো হিসেবে ঝিনাইদহে মহকুমা বিদ্যমান ছিল।
এর পর ১৯৮৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলায় উন্নীত হয়।
২. নামকরণ : প্রাচীনকালে বর্তমান ঝিনাইদহের উত্তর পশ্চিম দিকে নবগঙ্গা নদীর
ধারে ঝিনুক কুড়ানো শ্রমিকের বসতি গড়ে ওঠে বলে জনশ্রুতি আছে। সে সময়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতা থেকে ব্যবসায়ীরা ঝিনুকের মুক্তা সংগ্রহের
জন্য এখানে ঝিনুক কিনতে আসতো। সে সময় ঝিনুক প্রাপ্তির এই স্থানটিকে
ঝিনুকদহ বলা হতো। অনেকের মতে ঝিনুককে আঞ্চলিক ভাষায় ঝিনেই,
ঝিনাই এবং দহ অর্থ বড় জলাশয় ও ফাসি ভাষায় দহ বলতে গ্রামকে বুঝাতো।
সেই অর্থে ঝিনুকদহ বলতে ঝিনুকের জলাশয় বা ঝিনুকের গ্রাম বুঝাতো আর
এই ঝিনুক এবং দহ থেকেই ঝিনুকদহ বা ঝিনেইদহ, যা রুপান্তরিত হয়ে
আজকের ঝিনাইদহ নামকরণ হয়েছে। ঝিনাইদহকে আঞ্চলিক ভাষায় এখনও
ঝিনেদা বলা হয় । ঝেনিদাঝিনেদা আর ঝিনাইদহ যাই বলা হোক না কেন।
ঝিনাইদহ নামের উৎপত্তি যে ঝিনুক থেকে তা এ অঞ্চলের মানুষের কাছে
অধিকতর গ্রহণযোগ্য ।
৩. আয়তন : (প্রায় ) ১২১২.৮০ কি. মি.।
৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ১৭,৭১,৩০৪ জন। পুরুষ-৮,৮৬৪০২ ও মহিলা
৮,৮৪,৯০২। বৃদ্ধির হার : ১.১% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ৯০২ জন।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৬টি। ঝিনাইদহ সদর, কালীগঞ্জ, কোটচাদপুর,
মহেশপুর, শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ড।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম ঃ ০৬টি। ঝিনাইদহ সদর, কালীগঞ্জ, কোটচাদপুর,
মহেশপুর, শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ড।
৭. সংসদীয় আসন : ০৪টি। (১) শৈলকূপা উপজেলা। (২) নিম্নবর্ণিত
ইউনিয়নসমূহ ব্যতীত ঝিনাইদহ সদর উপজেলা । নলডাংগা, ঘোড়াশাল,
ফুরসুন্দি, মহারাজপুর ও হরিণাকুন্ড। (৩) কোর্টর্চাদপুর ও মহেশপুর উপজেলা।
(৪) কালীগঞ্জ উপজেলা ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ
: নলডাংগা, ঘোড়াশাল, ফুরসুন্দি, মহারাজপুর ও হরিণাকুন্ড।
৮. হানাদার মুক্ত দিবস : ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ জেলা হানাদার মুক্ত
হয়।
৯. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : কালিপদ বসু, কবি গোলাম মোস্তফাকবি পাঞ্জু শাহ, কবি
পাগলা কানাই, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, বীর প্রতিক সিরাজুল ইসলাম, সর্দার
সাখাওয়াতুল্লাশুকচাদ শাহ, দু:খী মাহমুদ, কবি সামশুদ্দিন আহম্মেদ, মোবারক
আলীমিয়াকাজী আহসান হাবিব, ওয়াজেদ আলী প্রমূখ
১০. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২২৮ কি. মি.
১১ যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস : কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা বাস
স্টেশন, হামদহ বাস স্টেশন। রেল : মোবারকগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন, কালিগঞ্জ,
কোটচাদপুর স্টেশন, সবদলপুর স্টেশন। এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৪৫১ ও
পোষ্ট কোড-৭৩০০
১২. পত্রপত্রিকা : দৈনিক ঝিনাইদহ, নবচিত্র, সাপ্তাহিক নির্বাণ, চলন্তিকা, সীমান্তবাণী
ও মাসিক দিগন্তবাণী
১৩. পৌরসভা-০৬টি ও ইউনিয়ন-৬৭টি। উপজেলা ভূমি অফিস-০৬টি।
১৪. মৌজার সংখ্যা-৯৮১টি ও গ্রামের সংখ্যা-১১৩৬টি শিক্ষার হার-৬২%
১৫ উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, আখ, কলা ও পান।
১৬শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-৮৩৩টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-২৫০টি, নিম্ন
মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৩৩টি, কলেজ-৫০টি ও মাদ্রাসা-১১৬টি
১৭. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-২,৬৮০টি, মন্দির-৩৬৫টি ও গীর্জা১৬টি
১৮. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৫টি, ইউনিয়ন।
পরিবার কল্যাণ কেন্দ্ৰ৫৯টি ও ক্লিনিক-৭৯টি
১৯. নদনদীর নাম : নবগঙ্গাকুমার ইত্যাদি
২০. দর্শনীয় স্থান : মরমী কবি পাগলাকানাই এর মাজার, নলডাঙ্গা সিদ্ধেশ্বরী কালী
মন্দির, কে, পি বসুর বাসভবন, মিয়ার দালান, মুরারীদহ, ঢোল সমুদ্র দীঘি,
শৈলকূপা শাহী মসজিদ, কবি গোলাম মোস্তফার বাড়ীরামগোপাল মন্দির,
রাজা হরিশ চন্দ্রের বাড়ী, কার্চের কোল জমিদারবাড়ীসিরাজ সাই এর মাজার,
জোড়াদাহ, মরমী কবি ফকির লালন সাই এর ভিটাপাঞ্চ শাহ এর মাজার,
গাজী কালু চম্পাবতির মাজার, ঐতিহাসিক গোড়ার মসজিদ, গলাকাটা মসজিদ,
জোড় বাংলা মসজিদ, জাহাজমারী বন্দর, ঐতিহাসিক সাতগাছিয়াঐতিহাসিক
বল দেওয়ান এর মাজার, শহীদ বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি
(
২১. জেলার ঐতিহ্য : বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, বাঘা যতীনসহ মুরাদগড়, গাজী
কালু চম্পাবতীজঙ্গলপীরের দরগা, ভাইবোনের পুকুর, বলু দেওয়ানের কবর
সুইতলার বটগাছ, নলডাঙ্গার রাজবাড়ীর মন্দির ইত্যাদি জেলার ঐতিহ্য বহন করে।
. শাসনের অধীনে চলে যায় । ইংরেজ আমলে ১৭৯৩ সালে প্রথমে ঝিনাইদ
পুলিশ ফাঁড়ি । পরবর্তীতে থানা এবং ১৮৬০-৬১ সালের দিকে ঝিনাইদহ
প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয়। অপর সূত্র মতে, ১৮৬২
সালে ঝিনাইদহ মহকুমা পর্যায়ে উন্নীত হয়। ঝিনাইদহ মহকুমা হলে ১৮৬৩
সাল তৎকালীন সময়ের বাণিজ্য নগরী বলে খ্যাত কোটচাদপুর মহকুমা বিলুপ্ত
হয়ে যায়। বর্তমানে কোটচাদপুর ঝিনাইদহের একটি থানা ও উপজেলা শহর।
১৮৬৩ থেকে ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের এক
দশক পর্যন্ত প্রশাসনিক কাঠামো হিসেবে ঝিনাইদহে মহকুমা বিদ্যমান ছিল।
এর পর ১৯৮৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলায় উন্নীত হয়।
২. নামকরণ : প্রাচীনকালে বর্তমান ঝিনাইদহের উত্তর পশ্চিম দিকে নবগঙ্গা নদীর
ধারে ঝিনুক কুড়ানো শ্রমিকের বসতি গড়ে ওঠে বলে জনশ্রুতি আছে। সে সময়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতা থেকে ব্যবসায়ীরা ঝিনুকের মুক্তা সংগ্রহের
জন্য এখানে ঝিনুক কিনতে আসতো। সে সময় ঝিনুক প্রাপ্তির এই স্থানটিকে
ঝিনুকদহ বলা হতো। অনেকের মতে ঝিনুককে আঞ্চলিক ভাষায় ঝিনেই,
ঝিনাই এবং দহ অর্থ বড় জলাশয় ও ফাসি ভাষায় দহ বলতে গ্রামকে বুঝাতো।
সেই অর্থে ঝিনুকদহ বলতে ঝিনুকের জলাশয় বা ঝিনুকের গ্রাম বুঝাতো আর
এই ঝিনুক এবং দহ থেকেই ঝিনুকদহ বা ঝিনেইদহ, যা রুপান্তরিত হয়ে
আজকের ঝিনাইদহ নামকরণ হয়েছে। ঝিনাইদহকে আঞ্চলিক ভাষায় এখনও
ঝিনেদা বলা হয় । ঝেনিদাঝিনেদা আর ঝিনাইদহ যাই বলা হোক না কেন।
ঝিনাইদহ নামের উৎপত্তি যে ঝিনুক থেকে তা এ অঞ্চলের মানুষের কাছে
অধিকতর গ্রহণযোগ্য ।
৩. আয়তন : (প্রায় ) ১২১২.৮০ কি. মি.।
৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ১৭,৭১,৩০৪ জন। পুরুষ-৮,৮৬৪০২ ও মহিলা
৮,৮৪,৯০২। বৃদ্ধির হার : ১.১% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ৯০২ জন।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৬টি। ঝিনাইদহ সদর, কালীগঞ্জ, কোটচাদপুর,
মহেশপুর, শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ড।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম ঃ ০৬টি। ঝিনাইদহ সদর, কালীগঞ্জ, কোটচাদপুর,
মহেশপুর, শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ড।
৭. সংসদীয় আসন : ০৪টি। (১) শৈলকূপা উপজেলা। (২) নিম্নবর্ণিত
ইউনিয়নসমূহ ব্যতীত ঝিনাইদহ সদর উপজেলা । নলডাংগা, ঘোড়াশাল,
ফুরসুন্দি, মহারাজপুর ও হরিণাকুন্ড। (৩) কোর্টর্চাদপুর ও মহেশপুর উপজেলা।
(৪) কালীগঞ্জ উপজেলা ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ
: নলডাংগা, ঘোড়াশাল, ফুরসুন্দি, মহারাজপুর ও হরিণাকুন্ড।
৮. হানাদার মুক্ত দিবস : ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ জেলা হানাদার মুক্ত
হয়।
৯. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : কালিপদ বসু, কবি গোলাম মোস্তফাকবি পাঞ্জু শাহ, কবি
পাগলা কানাই, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, বীর প্রতিক সিরাজুল ইসলাম, সর্দার
সাখাওয়াতুল্লাশুকচাদ শাহ, দু:খী মাহমুদ, কবি সামশুদ্দিন আহম্মেদ, মোবারক
আলীমিয়াকাজী আহসান হাবিব, ওয়াজেদ আলী প্রমূখ
১০. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২২৮ কি. মি.
১১ যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস : কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা বাস
স্টেশন, হামদহ বাস স্টেশন। রেল : মোবারকগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন, কালিগঞ্জ,
কোটচাদপুর স্টেশন, সবদলপুর স্টেশন। এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৪৫১ ও
পোষ্ট কোড-৭৩০০
১২. পত্রপত্রিকা : দৈনিক ঝিনাইদহ, নবচিত্র, সাপ্তাহিক নির্বাণ, চলন্তিকা, সীমান্তবাণী
ও মাসিক দিগন্তবাণী
১৩. পৌরসভা-০৬টি ও ইউনিয়ন-৬৭টি। উপজেলা ভূমি অফিস-০৬টি।
১৪. মৌজার সংখ্যা-৯৮১টি ও গ্রামের সংখ্যা-১১৩৬টি শিক্ষার হার-৬২%
১৫ উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, আখ, কলা ও পান।
১৬শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-৮৩৩টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-২৫০টি, নিম্ন
মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৩৩টি, কলেজ-৫০টি ও মাদ্রাসা-১১৬টি
১৭. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-২,৬৮০টি, মন্দির-৩৬৫টি ও গীর্জা১৬টি
১৮. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৫টি, ইউনিয়ন।
পরিবার কল্যাণ কেন্দ্ৰ৫৯টি ও ক্লিনিক-৭৯টি
১৯. নদনদীর নাম : নবগঙ্গাকুমার ইত্যাদি
২০. দর্শনীয় স্থান : মরমী কবি পাগলাকানাই এর মাজার, নলডাঙ্গা সিদ্ধেশ্বরী কালী
মন্দির, কে, পি বসুর বাসভবন, মিয়ার দালান, মুরারীদহ, ঢোল সমুদ্র দীঘি,
শৈলকূপা শাহী মসজিদ, কবি গোলাম মোস্তফার বাড়ীরামগোপাল মন্দির,
রাজা হরিশ চন্দ্রের বাড়ী, কার্চের কোল জমিদারবাড়ীসিরাজ সাই এর মাজার,
জোড়াদাহ, মরমী কবি ফকির লালন সাই এর ভিটাপাঞ্চ শাহ এর মাজার,
গাজী কালু চম্পাবতির মাজার, ঐতিহাসিক গোড়ার মসজিদ, গলাকাটা মসজিদ,
জোড় বাংলা মসজিদ, জাহাজমারী বন্দর, ঐতিহাসিক সাতগাছিয়াঐতিহাসিক
বল দেওয়ান এর মাজার, শহীদ বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি
(
২১. জেলার ঐতিহ্য : বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, বাঘা যতীনসহ মুরাদগড়, গাজী
কালু চম্পাবতীজঙ্গলপীরের দরগা, ভাইবোনের পুকুর, বলু দেওয়ানের কবর
সুইতলার বটগাছ, নলডাঙ্গার রাজবাড়ীর মন্দির ইত্যাদি জেলার ঐতিহ্য বহন করে।
No comments:
Post a Comment