03 February, 2019

কুষ্টিয়া জেলার ইতিহাস

১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : ১৭২৫ সালে কুষ্টিয়া নাটোর জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং
পরিচিতি আসে কাপ্তারনগর পরগনার রাজশাহী ফৌজদারীর সিভিল প্রশাসনের
অন্তর্ভুক্তিতে। পরে বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ১৭৭৬ সালে। কুষ্টিয়াকে যশোর
জেলার অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু ১৮২৮ সালে এটি পাবনা জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৮৬১ সালে নীল বিদ্রোহের কারণে কুষ্টিয়া মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং
১৮৭১ সালে কুমারখালী ও খোকসা থানা নিয়ে কুষ্টিয়া মহকুমা নদীয়ার অন্তর্ভুক্ত
হয়। ভারত উপমহাদেশ বিভক্তির পূর্বে কুষ্টিয়া নদীয়া জেলার আওতায় একটি
মহকুমা ছিল। ১৯৪৭ সালে কুষ্টিয়া জেলার অভুদয় ঘটে। তখন কুষ্টিয়া জেলা
৩টি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিল। ১৯৮৪ সালে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর আলাদা
জেলা হিসেবে পৃথক হয়ে গেলে কুষ্টিয়া মহকুমার ৬টি থানা নিয়ে বর্তমান কুষ্টিয়া
জেলা গঠিত হয়।
২. নামকরণ : আউল-বাউল আর পীর ফকিরের একতারার সুর মুছনা, পদ্মাগড়াই
আর কুমার বাহিত কুষ্টিয়ার মাটি হয়েছে ধন্য। কুষ্টিয়া গ্রামের নামানুসারে কুষ্টিয়া
জেলার নামকরণ করা হয়েছে ।
৩. আয়তন : (প্রায়) ১৬২১.১৫ বর্গ কি. মি.।
৪. লোক সংখ্যা : মোট-(প্রায়) ১৯,৪৬৮৩৮ জন। পুরুষ-৯৭৩৫১৮ ও মহিলা
৯,৭৩,৩২০ । বৃদ্ধির হার : ১.১১% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ১২১০ জন।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম ঃ ০৬টি। কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর, দৌলতপুর, খোকসা
ভেড়ামারা ও কুমারখালী।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ০৬টি। কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর, দৌলতপুর, খোকসা
ভেড়ামারা ও কুমারখালী।
৭. সংসদীয় আসন : ০৪টি। (১) দৌলতপুর উপজেলা। (২) ভেড়ামারা ও মিরপুর
উপজেলা। (৩) কুষ্টিয়া সদর উপজেলা। (৪) কুমারখালী ও খোকসা উপজেলা।
৮. হানাদার মুক্ত দিবস : ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা
হানাদার মুক্ত হয়।
৯. পৌরসভা- ০৫টি, ইউনিয়ন- ৬৬টি।
১০. উপজেলা ভূমি অফিস : ০৬টি, ইউনিয়ন ভূমি অফিস-৬৩টি।
১১. মৌজার সংখ্যা- ৭০৭টি, গ্রামের সংখ্যা- ৯৭৮টি।
১২. মোট জমি- ১,৬২১২৫ হেক্টর।
১৩. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : শাহ আজিজুর রহমান, গোলাম কিবরিয়ামো: আলাউদ্দিন,
মাসুদ রুমীআকবর হোসেন, সামসুল হুদা, মীর মোশাররফ হোসেন, লালন
শাহ কাঙ্গাল হরিণণাথ, আন্দুর রউফ চৌধুরীসৈয়দ আলতাফ হোসেন,
ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, নূর আলম জিক, আব্দুল বারি, প্রফেসর গোলাম
মো: মহিউদ্দিন, প্রফেসর কামরুল হুদা প্রমূখ।
১৪. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২২৭ কি. মি. ও রেলপথে-৪৭০ কি. মি.।
১৫. যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস : ঢাকা-গাবতলী-কুষ্টিয়া বাস স্টেশন, কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয়
বাস স্টেশন কুষ্টিয়াখুলনা-পাবনা-রাজশাহী বাস স্টেশন কুষ্টিয়া । রেল : কুষ্টিয়া
রেলওয়ে স্টেশন, পোড়াদহ রেলওয়ে স্টেশন। এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৭১
ও পোস্ট কোড-৭০০০।
১৬. পত্রপত্রিকা : দৈনিক কুষ্টিয়া, আন্দোলনের বাজার, বাংলাদেশ বার্তা, ,বজ্রপাত
আজকের আলোশিকল, সূত্রপাত, দিনের খবর, দেশভূমি, দেশতথ্য,
আরশীনগর, হাওয়া, সময়ের কাগজ, জয়যাত্রা, সাপ্তাহিক জাগরণী, দেশরতী,
কুষ্টিয়া বার্তা, গড়াই, লালন ভূমি, ইস্পাত, মুক্তমঞ্চ, কুষ্টিয়ার কণ্ঠ, প্রভাষণ,
কুমারখালী বার্তা, দ্রোহ, প্রথিকৃৎ ও বাংলাদেশ রিভিউ ।
১৭. মোট জমি- ১৬২১২৫ হেক্টর, আদর্শ গ্রাম- ০৭টি।
১৮. শিক্ষার হার- ৪০.৩৭%।
১৯. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, আখ, তামাক, পাট, গম, ভুট্টা, সরিষা ও ডাল।
২০. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৭১৬টি, উচ্চ বিদ্যালয়- ২০৪টি,
মাধ্যমিক বিদ্যালয়-২৪১টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়- ৭২টি, কলেজ -৬৩টি,
মাদ্রাসা -১৯৯টি ও কিন্ডার গার্টেন -১৪৪টি।
২১. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ- ১,৫০০টি, মন্দির- ৬৪৬টি ও গীর্জা- ২২টি।
২২. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স- ০৫টি ও ক্লিনিক ০৮টি ।
২৩. নদনদীর নাম : পদ্মাকুমার, আত্রাই, কালিগঙ্গা ইত্যাদি।
২৪. দর্শনীয় স্থান : শিলাইদহ কুঠিবাড়ীফকির লালন শাহের মাজার, মীর মশাররফ
হোসেনের বসতভিটানীলকুঠি জমিদার বাড়ীরেনউইক, কুষ্টিয়া ইসলামিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি ।
২৫. জেলার ঐতিহ্য : তাঁত শিল্প ও মৃৎ শিল্প জেলার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন