03 February, 2019

খুলনা জেলার ইতিহাস

খুলনা জেলার ইতিহাস
১.সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : বৃটিশ প্রশাসনিক স্তর হিসেবে খুলনা জেলা গঠিত হয়েছিল।
১৮৮২ সালের ১ জুন তারিখ । এ ব্যাপারে তৎকালীন সরকারি প্রধান মুখপাত্র
:he Calcu:a Gaze:e’ এর ১৯ ও ২৬ এপ্রিল তারিখের সংখ্যায় দুটি
প্রজ্ঞাপন মুদ্রিত হয়েছিল। যা থেকে জানা যায়, খুলনা জেলা গঠিত হয়েছিল।
তৎকালীন যশোর জেলার বিদ্যমান খুলনা সদর ও বাগেরহাট মহকুমা এবং ২৪
পরগনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমা এ তিনের সমন্বয়ে এবং ১ মে ১৮৮২ সালে।
খুলনা জেলা হিসেবে মর্যাদা লাভ করে।
২. নামকরণ : খুলনা জেলার নামকরণ নিয়ে নানাজনের নানা মত রয়েছে। তবে
সবচেয়ে আলোচিত মত হচ্ছে- প্রাচীনকাল থেকে শহরের পূর্বে নদীর অপর
তীরে কিসমত খুলনা নামে একটি গ্রাম ছিল। বর্তমানেও কিসমত খুলনা মৌজার
অস্তিত্ব আছে। এখানে সর্বপ্রথম খুলনার মহকুমা অফিস স্থাপিত হয়। এই
কিসমত খুলনা গ্রামের নাম থেকে কিসমত বাদ দিয়ে খুলনা নামকরণ করা
হয়েছে। আবার কারো মতে ধনপতি এক সওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী খুলনার নামে
নির্মিত “খুনেশ্বরী কালী মন্দির” থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি হয়েছে।
৩. আয়তন : (প্রায়)৪৩৯৪.৪৬ কি. মি.।
৪. লোকসংখ্যা : মোট- (প্রায়) ২৩১৮,৫২৭ জন। পুরুষ-১১,৭৫,৬৮৬ ও মহিলা
১১,৪২,৮৪১। বৃদ্ধির হার : -০.২৫% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ৫২৮ জন।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম.  ০৯টি। রূপসাতেরখাদা, দিঘলিয়া, ডুমুরিয়া,
ফুলতলাবাটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, দাকোপ ও কয়রা।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ১৪টি। খুলনা সদর, রুপসাদৌলতপুর, বাটিয়াঘাটা,
তেরখাদা, কয়রাদাকোপ, পাইকগাছা, ডুমুরিয়াফুলতলাদিঘলিয়া
খালিশপুর, খানজাহান আলী ও সোনাডাঙ্গা।
৭. সংসদীয় আসন : ০৬টি। (১) বাটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলা ও পাইকগাছা
উপজেলার দেলুটি ইউনিয়ন। (২) খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড নং-১৬,
১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১।
(৩) খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড নং-০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৬, ০৭,
০৮, ০৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ ও দৌলতপুর মেট্রোপলিটন থানাধীন।
আড়ংঘাটা ইউনিয়ন এবং খানজাহান আলী মেট্রোপলিটন থানাধীন যোগীপোল।
ইউনিয়ন। (৪) দিঘলিয়া উপজেলা (আড়ংঘাটা ও যোগীপোল ইউনিয়ন ব্যতীত)
ও রূপসা এবং তেরখাদা উপজেলা। (৫) ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা (আটরা
গিলাতলা ইউনিয়নসহ)। (৬) কয়রা উপজেলা ও দেলুটি ইউনিয়ন ব্যতীত
পাইকগাছা উপজেলা।
৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : আশ্চর্য প্রফুল্লচন্দ্র, কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার, সাহিত্যিক কাজী ।
এমদাদুল হক, নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, বিচারপতি গাজী শামসুর রহমান,
গল্পকার হাসান আজিজুল হক, বেদুঈন সামাদ, কবি আবুল হোসেন, লোহিত
কান্তি বঙ্গোপাধ্যায়, সৈয়দ হায়দার প্রমুখ।
৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-৩৩৪কি. মি. ও রেলপথে-৫৩৭ কি. মি.।
১০. যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস : আন্তজেলা বাস স্টেশন সোনাডাঙ্গা, খুলনা, রূপসা
বাস স্টেশন, দৌলতপুর বাস স্টেশন। রেল- খুলনা রেলওয়ে জংশন, দৌলতপুর।
রেলওয়ে স্টেশন। লঞ্চ : খুলনারূপসা ফেরী ঘাট, রূপসাদৌলতপুর ফেরী
ঘাট। এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৪১, পোস্ট কোড- খুলনা জিপিও-৯০০০ ও
খুলনা হেড অফিস-৯১০০।
১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক পূর্বাঞ্চল, অনির্বাণ, প্রবাহ, কালান্তর, ফলাফল, জন্মভূমি,
প্রবর্তন, জাহানাবাদ, তথ্য, সাপ্তাহিক খুলনার বাণী, দুপছায়া, গণআজাদী, সেরা
খবর, কোলাহল, সত্যের সন্ধান, আজকের তথ্য, বহুবচন, ছায়াপথ, দখিনা দূত
কল্পনা, পাক্ষিক গণমিছিল ও মাসিক সারস।
১২. সিটি কর্পোরেশন -০১টি, পৌরসভা -০২টি, ইউনিয়ন -৬৮টি।
১৩. উপজেলা ভূমি অফিস ঃ ০৮ টি।
১৪. মৌজার সংখ্যা -৭৪৭টি, গ্রামের সংখ্যা -১১০৬টি।
১৫. শিক্ষার হার- ৪৩.৯% ।
১৬. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, আখ, কলা ও পান।
১৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-৯০৩টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়২৫৭টি, নিম্ন
মাধ্যমিক বিদ্যালয়-১০৭টি, কলেজ-৪৭টি, মাদ্রাসা-২০৫টি ও অন্যান্যস্কুল-০৪টি।
১৮. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ -১৫০০টি, মন্দির -৬৪৬টি ও গীর্জা -২২টি।
১৯. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স -০৯টি ও ক্লিনিক ১৭টি
২০. নদনদীর নাম : পশুর, ভদ্ৰা, ভৈরব, রুপসাশিবসা, কাজীবাছা, কপোতাক্ষ,
আতাই, শোলমারী ও সুতারখালী।
২১. দুর্শনীয় স্থান ঃ সুন্দরবন, দক্ষিণডিহি, পিঠাভোগ, রাজুলী, সেনহাটি, বকুলতলা
শিরমনি, চুকনগর ও গল্লামারি।
২২. জেলার ঐতিহ্য : সুন্দরবন।

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন