১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজ উদ দৌলা
কে পরাজিত করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাংলার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
হয়। তৎকালীন নদীয়ারাজ কৃষ্ণ চন্দ্র রায় পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজ পক্ষকে সমর্থন
করেছিলেন। ১৭৬৫ সালে মোঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বার্ষিক
২৬ লক্ষ টাকা রাজস্বের বিনিময়ে কোম্পানী বঙ্গদেশের দেওয়ানী শাসন ক্ষমতা লাভ
করেন । ১৭৬৯ সালে জ্যাকভ রেইডার নদীয়ার প্রথম সুপারভাইজার হন। ১৭৮৭
সালে ২১ মার্চ নদীয়া জেলা গঠিত হয়। ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে চুয়াডাঙ্গাসহ
কুষ্টিয়া অঞ্চল রাজশাহী জেলাভূক্ত ছিল। পরে আইন শৃঙলা রক্ষাথে ১৮২৮ সালে।
পাবনা জেলা গঠিত হলে এ অঞ্চল পাবনা জেলাভূক্ত হয় । ১৮৬০ সালে সূদুর
মফস্বলে যাতে অত্যাচারী নীলকর বা জমিদার প্রজাদের উৎপীড়ন করতে না পারে
সে কারণে নদীয়াকে পাঁচটি মহকুমায় বিভক্ত করা হয়। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা
যুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুর, কুষ্টিয়াচুয়াডাঙ্গা মহকুমা নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার মর্যাদা
লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা জেলায় উন্নীত হয়।
২. নামকরণ : চুয়াডাঙ্গার নামকরণ নিয়ে সঠিক কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে
জনশ্রুতি আছে চুংগু মল্লিক নামে একজন ব্যক্তির নাম থেকে পর্যায়ক্রমে। চুয়াডাঙ্গা
নামের উৎপত্তি হয়েছে।
৩. আয়তন : (প্রায় )১১৭০.৮৭ বৰ্গ কি. মি.।
৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ১১,২৯,০১৫ জন। পুরুষ-৫,৬৪,৮১৯ ও মহিলা
৫,৬৪,১৯৬। বৃদ্ধির হার : ১.১৩% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ৯৬২ জন।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৪টি। চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, জীবন নগর ও দামুরহুদা |
৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ০৪টি। চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, জীবন নগর ও দামুরহুদা।
. সংসদীয় আসন : ০২টি। (১) নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমুহ ব্যতীত চুয়াডাংগা সদর
উপজেলা : তিতুদহ ও বেগমপুর এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা। (২) দামুরহুদা ও
জীবননগর উপজেলা এবং নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমুহ : তিতুদহ ও বেগমপুর।
৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : অনন্তহরি মিত্র, অতুলকৃষ্ণ সাহা, অমির কুমার রায়, আকরাম
আহমেদ (বীর বিক্রম), আসহাব উল হক, এড. ইউনুস আলীফিরোজ বারী
মালিক, বশিরা মান্নান, মোসলেম আলী বিশ্বাস, মি: মো: মনসুর আলীমোহাম্মদ
শাহজাহান, আশোক কুমার, এম এ বকর প্রমুখ ।
৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২৬৭ কি. মি. ও রেলপথে-৪৮৯ কি. মি.।
১০. যোগাযোগ ব্যবস্থা বাস : চুয়াডাঙ্গা আন্তজেলা বাস স্টেশন, মেহেরপুর বাস।
স্টেশন দেউলিয়া । রেল : দর্শনা রেলওয়ে স্টেশন, আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন,
লঞ্চ : সদরঘাট-চুয়াডাঙ্গা। এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৭৬১, পোস্ট কোড-
৭২০০
১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক মাথাভাঙ্গা ও আমাদের সংবাদ ।
১২. পৌরসভা০৪টি ও ইউনিয়ন-৩৪টি। উপজেলা ভূমি অফিস-০৪টি, ইউনিয়ন ভূমি।
অফিস-৩৪টি ।
১৩. মৌজার সংখ্যা-৩৮০টি ও গ্রামের সংখ্যা-৫১৪টি।
১৪. মোট জমি- ১,১৬১০৮ হেক্টর। আদর্শ গ্রাম-১১টি।
১৫. শিক্ষার হার-৩১%।
১৬. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, পাট, শাক সবজি ।
১৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-৪১২টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-১৪০টি, কলেজ ১৯টি ও
মাদ্রাসা-৪০টি ।
১৮. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-১,৩৩৮টি।
১৯. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০২টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৪টি ও ক্লিনিক ৫টি
২০. নদনদীর নাম : মাথাভাঙ্গা, ভৈরব, কুমার, চিত্রা ও নবগঙ্গা ।
২১. দর্শনীয় স্থান : ঘোলদাড়ী জামে মসজিদ, তিয়রবিলা বাদশাহী মসজিদ, আলমডাঙ্গা
রেলওয়ে স্টেশন, হযরত খাজা মালিক উল গাউস (র:) এর মাজার, দর্শনা কেরু
এন্ড কো: লি:, দর্শনা শুষ্ক স্টেশন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকপোস্ট, নাটুদহ
আট কবর, নাটুদহ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, চারুলিয়াকার্পাসডাঙ্গা, তালসারি, দত্তনগর
কৃষি খামার, কাশিপুর জমিদার বাড়ি, ধোপাখালী শাহী মসজিদ।
২২. জেলার ঐতিহ্য : অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলা ছিল বাঙ্গালী সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র।
গৌরবময় সেই উত্তরাধিকার চুয়াডাঙ্গা জেলাও বহন করে চলেছে। এখানকার
লোকসংস্কৃতি ও গ্রামীণ ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। এক সময় মুর্শিদী, মারফতি, যাত্রা,
ভাসান, কবিগান, কীর্তন, জারি গান, গাজীর গীত, গাজনের গান, মেয়েলী গীত,
বিয়ের গান প্রভৃতি গ্রামগুলো মুখরিত করে রাখত।
কে পরাজিত করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাংলার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
হয়। তৎকালীন নদীয়ারাজ কৃষ্ণ চন্দ্র রায় পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজ পক্ষকে সমর্থন
করেছিলেন। ১৭৬৫ সালে মোঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বার্ষিক
২৬ লক্ষ টাকা রাজস্বের বিনিময়ে কোম্পানী বঙ্গদেশের দেওয়ানী শাসন ক্ষমতা লাভ
করেন । ১৭৬৯ সালে জ্যাকভ রেইডার নদীয়ার প্রথম সুপারভাইজার হন। ১৭৮৭
সালে ২১ মার্চ নদীয়া জেলা গঠিত হয়। ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে চুয়াডাঙ্গাসহ
কুষ্টিয়া অঞ্চল রাজশাহী জেলাভূক্ত ছিল। পরে আইন শৃঙলা রক্ষাথে ১৮২৮ সালে।
পাবনা জেলা গঠিত হলে এ অঞ্চল পাবনা জেলাভূক্ত হয় । ১৮৬০ সালে সূদুর
মফস্বলে যাতে অত্যাচারী নীলকর বা জমিদার প্রজাদের উৎপীড়ন করতে না পারে
সে কারণে নদীয়াকে পাঁচটি মহকুমায় বিভক্ত করা হয়। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা
যুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুর, কুষ্টিয়াচুয়াডাঙ্গা মহকুমা নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার মর্যাদা
লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা জেলায় উন্নীত হয়।
২. নামকরণ : চুয়াডাঙ্গার নামকরণ নিয়ে সঠিক কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে
জনশ্রুতি আছে চুংগু মল্লিক নামে একজন ব্যক্তির নাম থেকে পর্যায়ক্রমে। চুয়াডাঙ্গা
নামের উৎপত্তি হয়েছে।
৩. আয়তন : (প্রায় )১১৭০.৮৭ বৰ্গ কি. মি.।
৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ১১,২৯,০১৫ জন। পুরুষ-৫,৬৪,৮১৯ ও মহিলা
৫,৬৪,১৯৬। বৃদ্ধির হার : ১.১৩% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ৯৬২ জন।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৪টি। চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, জীবন নগর ও দামুরহুদা |
৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ০৪টি। চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, জীবন নগর ও দামুরহুদা।
. সংসদীয় আসন : ০২টি। (১) নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমুহ ব্যতীত চুয়াডাংগা সদর
উপজেলা : তিতুদহ ও বেগমপুর এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা। (২) দামুরহুদা ও
জীবননগর উপজেলা এবং নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমুহ : তিতুদহ ও বেগমপুর।
৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : অনন্তহরি মিত্র, অতুলকৃষ্ণ সাহা, অমির কুমার রায়, আকরাম
আহমেদ (বীর বিক্রম), আসহাব উল হক, এড. ইউনুস আলীফিরোজ বারী
মালিক, বশিরা মান্নান, মোসলেম আলী বিশ্বাস, মি: মো: মনসুর আলীমোহাম্মদ
শাহজাহান, আশোক কুমার, এম এ বকর প্রমুখ ।
৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২৬৭ কি. মি. ও রেলপথে-৪৮৯ কি. মি.।
১০. যোগাযোগ ব্যবস্থা বাস : চুয়াডাঙ্গা আন্তজেলা বাস স্টেশন, মেহেরপুর বাস।
স্টেশন দেউলিয়া । রেল : দর্শনা রেলওয়ে স্টেশন, আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন,
লঞ্চ : সদরঘাট-চুয়াডাঙ্গা। এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৭৬১, পোস্ট কোড-
৭২০০
১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক মাথাভাঙ্গা ও আমাদের সংবাদ ।
১২. পৌরসভা০৪টি ও ইউনিয়ন-৩৪টি। উপজেলা ভূমি অফিস-০৪টি, ইউনিয়ন ভূমি।
অফিস-৩৪টি ।
১৩. মৌজার সংখ্যা-৩৮০টি ও গ্রামের সংখ্যা-৫১৪টি।
১৪. মোট জমি- ১,১৬১০৮ হেক্টর। আদর্শ গ্রাম-১১টি।
১৫. শিক্ষার হার-৩১%।
১৬. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, পাট, শাক সবজি ।
১৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-৪১২টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-১৪০টি, কলেজ ১৯টি ও
মাদ্রাসা-৪০টি ।
১৮. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-১,৩৩৮টি।
১৯. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০২টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৪টি ও ক্লিনিক ৫টি
২০. নদনদীর নাম : মাথাভাঙ্গা, ভৈরব, কুমার, চিত্রা ও নবগঙ্গা ।
২১. দর্শনীয় স্থান : ঘোলদাড়ী জামে মসজিদ, তিয়রবিলা বাদশাহী মসজিদ, আলমডাঙ্গা
রেলওয়ে স্টেশন, হযরত খাজা মালিক উল গাউস (র:) এর মাজার, দর্শনা কেরু
এন্ড কো: লি:, দর্শনা শুষ্ক স্টেশন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকপোস্ট, নাটুদহ
আট কবর, নাটুদহ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, চারুলিয়াকার্পাসডাঙ্গা, তালসারি, দত্তনগর
কৃষি খামার, কাশিপুর জমিদার বাড়ি, ধোপাখালী শাহী মসজিদ।
২২. জেলার ঐতিহ্য : অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলা ছিল বাঙ্গালী সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র।
গৌরবময় সেই উত্তরাধিকার চুয়াডাঙ্গা জেলাও বহন করে চলেছে। এখানকার
লোকসংস্কৃতি ও গ্রামীণ ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। এক সময় মুর্শিদী, মারফতি, যাত্রা,
ভাসান, কবিগান, কীর্তন, জারি গান, গাজীর গীত, গাজনের গান, মেয়েলী গীত,
বিয়ের গান প্রভৃতি গ্রামগুলো মুখরিত করে রাখত।
No comments:
Post a Comment