- আমি তিরিশ বছর ব্যয় করেছি আদব শিখতে এবং বিশ বছর ব্যয় করেছি জ্ঞানার্জনে।আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)
- কোন ব্যক্তি যতক্ষণ জ্ঞানার্জনের পথে থাকে ততক্ষণ সে জ্ঞানী, যখনই সে নিজেকে আলেম বলে মনে করে তখনই সে জাহেল হয়ে যায়। --আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)
- আমাদের অন্তরগুলো যদি শুদ্ধ হতো, তাহলে আল্লাহর স্মরণে (যিকিরে) কখনো আমরা ক্লান্তিবোধ করতাম না। --আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)
- ততক্ষণ পর্যন্ত যেকোন জ্ঞানের মাধ্যমে কেউ উন্নত হতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সুন্দর আচরণের মাধ্যমে সে তার জ্ঞানকে সৌন্দর্যময় করে। --আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)
- আমি সিরিয়াতে একটি কলম ধার নিয়েছিলাম এবং কলমটি যার তাকে ফেরত দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। যখন আমি মারভেতে (ইরানে অবস্থিত) এসে পড়েছিলাম, তখন খেয়াল করলাম কলমটি আমার সাথেই রয়ে গেছে। তাই আমি সিরিয়ায় ফিরে গিয়ে যার কলম তাকে ফেরত দিয়েছিলাম। --আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)
- আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে জ্ঞানার্জন করার চেয়ে উত্তম আর কিছু নেই। এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য জ্ঞানার্জন করলে তিনি যেমন ঘৃণা করেন তা অন্য কিছুতে করেন না। --আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)
- যদি কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের মাঝে এমন কিছু দেখে যা সে অপছন্দ করে, সে গোপনে ভাইটিকে নির্দেশনা দিবে এবং একান্তেই তাকে নিষেধ করবে। অন্যদিকে, তার কারণে সে পুরষ্কৃত হবে ভাইয়ের দোষ লুকিয়ে রাখার জন্য এবং মন্দ কাজ থেকে তাকে নিষেধ করার জন্য। কিন্তু এখনকার দিনে, যখন কোন ব্যক্তি তার ভাইকে এমন কিছু করতে দেখে যা সে অপছন্দ করে, সে তাকে রাগিয়ে দেয় এবং তার দোষ প্রকাশ করে দেয়। --আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)
- কাপড়ের উপরে কালি হলো আলেমদের জন্য সুগন্ধির ন্যায়। --আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রাহিমাহুল্লাহ)
- তিনটি বস্তু মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। লোভ, হিংসা ও অহংকার। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- সাফল্যের অপর নামই অধ্যবসায়। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- তিনটি অভ্যাস মানুষের জন্য সর্বমুখী কল্যাণ ডেকে আনে। আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা, বিপদের সময় দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এবং যে কোন সংকটে ধৈর্য ধারণ করা। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- শক্ত কথায় রেশমের মতো নরম অন্তরও পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- ক্রোধ মনুষ্যত্বের আলোকশিখা নির্বাপিত করে দেয়। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- মানবজীবনের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হচ্ছে তার ‘মন এবং জবানকে’ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সমর্থ হওয়া। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- দুই ধরনের লোক কখনও তৃপ্ত হতে পারে না- জ্ঞানের অম্বেষী এবং সম্পদের লোভী। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- আয়নায় নিজের চেহারা দেখ, যদি সুদর্শন হও তবে পাপের কালিমা লেপন করে ওকে কুৎসিত করো না! আর যদি কালো-কুশ্রী হয়ে থাক, তবে ওকে পাপ-পঙ্কিলতা মেখে আরও বীভৎস করে তুলো না। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- আল্লাহর প্রত্যেকটি ফয়সালাই ন্যায়বিচারের ওপর ভিত্তিশীল। সুতরাং কোন অবস্থাতেই অভিযোগের ভাষা যেন তোমার মুখে উচ্চারিত না হয়। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- দুনিয়াতে সবচেয়ে বোকা ও নির্বোধ সে, যে নিজের পবিত্রতা দাবী করে এবং নিজেই নিজের প্রশংসা করে। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- যদি কোন আলেমকে অন্য আলেমদের নামে মন্দ কথা বলতে দেখেন, তাকে এড়িয়ে চলুন। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- লোকের প্রশংসায় আনন্দিত হতে এবং লোকের নিন্দায় দুঃখিত হতে আপনার অন্তরকে প্রশ্রয় দিবেন না। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- যে ব্যক্তি ভালো কাজের আদেশ দেয় এবং খারাপ কাজ থেকে নিষেধ করে তার ধৈর্য, সহানুভূতি, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা থাকতে হবে। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- আপনার অবশ্যই নিজেকে বুঝিয়ে সন্তুষ্ট রাখতে হবে এই বলে যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আপনার জন্য যা নির্ধারণ করে রেখেছেন সেটাই আপনার সবচাইতে সঠিক এবং সর্বাধিক কল্যাণকর। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- আপনি যা ভালোবাসেন তা অর্জন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার অপছন্দের বিষয়টিতে ধৈর্যধারণ করতে হবে। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- নরম-কোমল কথামালা পাথরের চাইতে কঠিন হৃদয়কেও কোমল করে দেয়, কর্কশ-কঠিন কথাবার্তা রেশমের চাইতে কোমল হৃদয়কেও কঠিন করে দেয়। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- যদিও মানুষের হয়ত জ্ঞান রয়েছে, কিন্তু সেই জ্ঞান তাদের জন্য অর্থহীন যতক্ষণ তাতে বুদ্ধিমত্তার সংযোগ না ঘটবে। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- যে ব্যক্তি অন্যের খারাপ চরিত্র নিয়ে অভিযোগ করলো,সে নিজের চরিত্রের খারাপ দিকটি প্রকাশ করে দিলো। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ নির্ভরশীলতা যেন সেই শিশুটির মতন যে খুব ভালো করে জানে সে যদি মাকে না-ও ডাকে তবু মা তার ব্যাপারে সম্পূর্ণ সচেতন এবং সঠিকভাবেই তার দেখাশোনা করছেন। --ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
- তাহাজ্জুদের সময়ে করা দু’আ হলো এমন একটি তীরের মতন যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না --ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)
- দায়িত্ব বেড়ে যাবার আগেই তোমার ইবাদাতের পরিমাণ বাড়িয়ে দাও। কেননা একদিন এমন সময় আসবে যখন যথেষ্ট ইবাদাত করার মতন সময় পাবে না। --ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)
- তোমরা কি দেখ না সিংহ কেমন নিশ্চুপ হয়ে থাকে তবু সবাই তাকে ভয় করে, কুকুর তো সবসময় ঘেউ ঘেউ করে এবং সবাই তাকে ঘৃণা করে। --ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)
- আল্লাহকে যারা ভালোবাসেনা, তাদেরকে ভালোবাসবেন না। তারা যদি আল্লাহকে ছেড়ে থাকতে পারে, তারা আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে। --ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)
- যেকথা ভেবে আমার অন্তর প্রশান্ত হয় তা হলো আমার জন্য যা নির্ধারিত আছে তা কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না এবং যা কিছু আমার পাওয়া হয়না তা কখনো আমার জন্য নির্ধারিত ছিলো না। --ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)
- যে ব্যক্তি দাবী করে যে, সে এই দুনিয়া ও তার স্রষ্টাকে একই সাথে ভালবাসে সে আসলে মিথ্যা কথা বলে। --ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)
- যে আপনার জন্য অন্যদের নামে গীবত করে, সে আপনার নামেও অন্যদের কাছে গীবত করবে। --ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)
- যাকে আল্লাহভীতি দান করে সম্মানিত করা হয়নি তার আর কোনো সম্মানই নেই। --ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)
- হাজার জন জ্ঞানীর সাথে যুক্তিতর্কে হয়তো আমি জিতে যাব, কিন্তু একজন মূর্খের সাথে আমি কখনোই পেরে উঠবো না। --ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)
- কিছু মানুষ পৃথিবী থেকে চলে গেছেন কিন্তু তাদের চরিত্র তাদের আজো বাঁচিয়ে রেখেছে, আর কিছু মানুষ বেঁচে আছে কিন্তু তাদের চরিত্র তাদেরকে মেরে ফেলেছে। --ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)
- দু’টি অংশের সমন্বয়ে ঈমান; একটি অংশ ধৈর্য (সবর) এবং অপরটি কৃতজ্ঞ হওয়া (শোকর)। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- আমাদের হৃদয় একটা পাখির মতন, মাথাটি যার ভালোবাসা এবং পাখা দু’টি হলো আশা ও ভয়। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- আন্তরিকতাবিহীন আমল হচ্ছে পরিষ্কার পানিতে ময়লা মিশিয়ে বয়ে নিয়ে যাবার মত। এটা বহনকারীকে শুধু ভার অনুভব করাবে আর কোন উপকারে আসবে না। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- কুফর এবং ঈমান কখনো একসাথে থাকতে পারেনাঃ যখন এদের একটি উপস্থিত থাকে, তখন অন্যটি হারিয়ে যায়। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- কোন ভালো কাজ করার পর যদি আপনি অন্তরে মিষ্টতা অনুভব না করেন এবং হৃদয় প্রশান্ত না হয় তাহলে আপনার অন্তরকে সন্দেহ করুন। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- তুমি আখিরাতের সন্তান হও, দুনিয়ার জীবনের সন্তান হয়ো না, নিশ্চয়ই সন্তান তার মা-কে অনুসরণ করে। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- পাপকাজের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো তা আপনার কাছ থেকে জ্ঞান ছিনিয়ে নেবে। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- যখন আদম (আলাইহিস সালাম) জান্নাত থেকে নেমে এসেছিলেন তখন শয়তান আনন্দে উৎফুল্ল হয়েছিলো, কিন্তু সে জানতো না একজন ডুবুরি যখন সাগরে ডুব দেয়, সে মণি-মুক্তা সংগ্রহ করে আবার ভেসে ওঠে। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- আমাদের পুর্ব প্রজন্মের একজন মানুষ বলেছিলেন, খারাপ কাজের একটি শাস্তি হলো আরো খারাপ কাজ হওয়া এবং ভালো কাজের একটি পুরষ্কার হলো আরো ভালো কাজ হওয়া। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- প্রতিটি পাপ আরো অনেক পাপের জন্ম দেয়, একটি পাপ আরেকটি পাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই পাপরাশি মানুষটিকে এমনভাবে কাবু করে ফেলে যে কৃত পাপগুলোর জন্য তাওবা করাকে তার কাছে কঠিন বলে মনে হয়। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- আপনার নিজ অন্তরকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করুন তিনটি স্থানে– ১) যখন কুর’আন তিলাওয়াত শুনবেন, ২) যেসব মজলিশে (আল্লাহর) যিকির হয়, ৩) এবং যখন (একাকী) গোপনে থাকবেন। এই জায়গাগুলোতে যদি আপনি তা খুঁজে না পান, তাহলে আল্লাহর কাছে দু’আ করুন যেন তিনি আপনাকে একটি অন্তর দান করেন, কেননা আপনার আসলে সেটি নেই। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- আপনি যখন কোন সৃষ্টিকে ভয় করবেন তখন তার থেকে দূরে পালাতে চেষ্টা করবেন। আপনি যখন আল্লাহকে ভয় করবেন তখন তাকে ভালোবাসবেন এবং তার সাথে ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- যে ব্যক্তি জ্ঞানবিহীন আমল করে সে তো ঐ ব্যক্তির মত যে কোন পথপ্রদর্শক (গাইড) ছাড়াই ভ্রমণ করে। আর এটা জানা কথা যে এমন লোক সম্ভবত রক্ষা পাবে না বরং ধ্বংস হবে। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- আপনি যদি কুরআন থেকে উপকৃত হতে চান তাহলে তিলাওয়াতের সময় সম্পূর্ণ অন্তর দিন (কী বলা হচ্ছে বুঝতে চেষ্টা করুন), শোনার ব্যাপারে মনোযোগী হোন এবং কল্পনা করুন আল্লাহ আপনার সাথে সরাসরি কথা বলছেন। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- আত্মার বিরুদ্ধে জিহাদ হলো কাফির এবং মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদের ভিত্তি। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- নিজের জন্য কেনাকাটা করুন (ভালো কাজ করার মাধ্যমে) যতদিন আপনার জন্য বাজার রয়েছে এবং আপনার কেনাকাটার সামর্থ্য আছে। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- সবর (ধৈর্য) তো সেটাই যখন কারো তাকদীরে যা নির্ধারিত হয়েছে তাতে অন্তর কোন রাগ অনুভব করেনা এবং মুখ সে ব্যাপারে কোন অভিযোগ করে না। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- সে-ই মানুষ যে তার অন্তরের মৃত্যুকে ভয় করে, শরীরের মৃত্যুকে নয়। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- একজন পাপাচারী লোক তার পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়না। কারণ তার অন্তর ইতোমধ্যেই মরে গেছে। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- লক্ষ্যপূরণের ব্যাপারে নিষ্ঠাবান থাকলে দেখবেন আল্লাহর সাহায্য আপনাকে চারপাশ থেকে ঘিরে আছে। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- যে ভালো কাজের ফলে অন্তরে অহংকার সৃষ্টি হয় তার চাইতে যে পাপের জন্য কোন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে তার আত্মাকে সমর্পিত করে সেটি আল্লাহর কাছে বেশি পছন্দের। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- একজন প্রকৃত আন্তরিক উপদেশদাতার উপদেশ আপনি গ্রহণ না করলেও তিনি কখনো আপনার প্রতি শত্রুতা পোষণ করবেন না। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- জেনে রাখুন আপনি যাকে দান করছেন তার দানটি যতটুকু প্রয়োজন তার চাইতে অকল্পনীয় রকমের বেশি প্রয়োজনীয় বিষয় হলো আপনার এই দানটি আল্লাহর কাছে কবুল হওয়া। --ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
- কারো উপরে বেশি নির্ভরশীল হয়ে যেয়ো না। মনে রেখো, অন্ধকারে তোমার নিজের ছায়াও তোমাকে ছেড়ে চলে যায়। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- লোকে অতীতে কী ধরণের কাজ করতো সেই দিকে তোমাদের খেয়াল করা উচিত নয়, বরং তারা আজকে কেমন মানুষ সেই বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। যে ব্যক্তি মানুষের অতীত নিয়ে লেগে থাকে, সে তো একদম ইবলিশের মতন যে আল্লাহকে বলেছিলো, “আপনি আমাকে আগুণ থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি থেকে। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- সুন্দর বিদায় হলো ক্ষতি না করে বিদায় নেয়া, সুন্দর ক্ষমা হলো বকা না দিয়ে ক্ষমা করা, সুন্দর ধৈর্য হলো অভিযোগ না রেখে ধৈর্য্ধারণ করা। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- জ্ঞানার্জন ছাড়া দিক-নির্দেশনা অর্জন করা যায় না। আর ধৈর্যধারণ ছাড়া সঠিক পথের দিশা অর্জন করা যায়না। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- পাপকাজগুলো মানুষের চেহারাকে কুৎসিত করে দেয়। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- পৃথিবীর মানুষের যত পথভ্রষ্টতা তার মূল নিহিত এই দুইটি জিনিসে: হয় আল্লাহ অনুমোদন দেননি এমন কিছুকে ধর্ম হিসেবে নেয়া, অথবা আল্লাহ নিষেধ করেননি এমন কিছুকে নিষিদ্ধ করা। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- একজন মানুষের অন্তর যদি রোগগ্রস্ত না হয় তাহলে সে কোনদিন, কোন অবস্থাতেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ছাড়া অন্য কাউকে ভয় পাবে না। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- ঐক্যের কথা বিবেচনা করাই সঠিক পথ। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- ঈমানদারদের জীবন ক্রমাগত বিভিন্ন কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি করানো হয় তাদের ঈমানকে বিশুদ্ধ এবং তাদের পাপকে মোচন করানোর জন্য। কারণ, ঈমানদারগণ তাদের জীবনের প্রতিটি কাজ করেন কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য; আর তাই জীবনে সহ্য করা এই দুঃখ-কষ্টগুলোর জন্য তাদের পুরষ্কার দেয়া আল্লাহর জন্য অপরিহার্য হয়ে যায়। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- পাপ হলো শেকলের মতন যা পাপকারীকে আটকে রাখে যেন সে তাওহীদের বিশাল বাগানে বিচরণ করতে এবং সেখানকার ফল সৎকর্মসমূহকে সংগ্রহ করতে না পারে। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- কেউ যখন আমাকে খেপিয়ে তোলে, আমি মনে করি আল্লাহর পক্ষ থেকে তা একটি উপহার। তিনি আমাকে নম্র হওয়া শেখাচ্ছেন। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- ইলম (জ্ঞান) যে রোগ বয়ে আনে তা হলো দাম্ভিকতা, ইবাদাত যে রোগ বয়ে আনে তা হলো রিয়া (প্রদর্শনেচ্ছা)। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- নিয়্যাহ-এর প্রকৃত স্থান হলো অন্তরে, জিহবায় নয়। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- ঈমানদার কখনো আগ বাড়িয়ে ঝগড়া করতে যায়না বা প্রতিশোধ নিতে যায়না, এমনকি অন্যের খুঁত ধরতে এবং তাদের নিন্দা করতেও যায় না। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণ জাতিকে সাহায্য করেন যদি তারা কাফিরও হয় এবং তিনি অন্যায়কারী জাতিকে সাহায্য করেন না যদি তারা মুসলিমও হয়। ন্যায়বিচারের মাধ্যমেই মানুষকে আল্লাহ সম্মান ও আভিজাত্য প্রদান করেন এবং সম্পদে প্রাচুর্য দেন। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- মাছের জন্য পানি যেমন, বান্দার অন্তরের জন্যে আল্লাহর স্মরণও (যিকির) ঠিক তেমন। আর মাছকে যখন পানি থেকে আলাদা করা হয় তখন মাছের অবস্থা কেমন হয়? --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- বান্দা তার রব আল্লাহকে যত বেশি ভালোবাসবে অন্যান্য জিনিসকে ততই কম ভালোবাসবে এবং তাদের সংখ্যাও কমে যাবে। বান্দা তার রব আল্লাহকে যত কম ভালোবাসবে অন্যান্য জিনিসকে ততই বেশি ভালোবাসবে এবং তাদের সংখ্যাও বেড়ে যাবে। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- যে বিপদ-আপদ ও মুসিবত আপনাকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে দেয়, তা সেই রাহমাতের চাইতে উত্তম যা আপনাকে আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ করে দেয়। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- আপনি যদি লোকের অলক্ষ্যে ভালো কাজ করেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা প্রকাশ্যে আপনার উপরে তার রাহমাত বর্ষণ করবেন। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- যখন মানুষ পাপকাজে এবং সীমালঙ্ঘনে একে অপরকে সাহায্য করে, তখন তাদের সম্পর্কের পরিসমাপ্তি ঘটে পরস্পরের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণে। --ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
- যে ব্যক্তি ধৈর্যধারণ করতে পারবে, সে কখনো সফলতা থেকে বঞ্চিত হবেনা। হয়তবা সফল হবার জন্য তার একটু বেশি সময় লাগতে পারে। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- সবচেয়ে সুখী ব্যক্তিই সেই যাকে আল্লাহ তা’আলা একজন পূণ্যবতী স্ত্রী দান করেছেন। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- যেসব পাপকাজ তোমরা গোপনে করে থাকো সেগুলোকে ভয় করো, কেননা সেসব পাপের সাক্ষী বিচারক স্বয়ং নিজেই। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- অতিরিক্ত সমালোচনা করবেন না। অতিরিক্ত সমালোচনা ঘৃণা এবং খারাপ চরিত্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- কারো অধঃপতনে আনন্দ প্রকাশ করো না, কেননা ভবিষ্যত তোমার জন্য কী প্রস্তুত করে রেখেছে সে সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞানই নেই। আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- সেই ব্যক্তিই সবচেয়ে জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান যিনি পরম করুণাময় আল্লাহর দয়ার ব্যাপারে আশা ও আত্মবিশ্বাস না হারানোর জন্য মানুষকে উপদেশ দেন। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- আপনার দ্বারা নেক কাজ সাধিত হলে আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করুন, এবং যখন অসফল হবেন তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- আপনার গর্বকে ছুঁড়ে ফেলুন, দাম্ভিকতাকে দমিয়ে দিন আর আপনার কবরকে স্মরণ করুন। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- হৃদয় থাকা সকল মানুষের বোধ থাকে না, কান থাকা সকল মানুষই শুনতে পায় না, চোখ থাকা সকল মানুষই দেখতে পায় না। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- কল্যাণপ্রাপ্ত তো সেই ব্যক্তি যার নিজের পাপসমূহ তাকে অন্যদের পাপের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ থেকে বিরত রাখে। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- জ্ঞানের মত সম্পদ আর নেই, অজ্ঞতার মতন দারিদ্র আর নেই। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- ফুলের মতন হও, যে তাকে দলিত করে তাকেও সে সুগন্ধ বিলায়। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- মানুষের সাথে তাদের বুদ্ধি পরিমাণ কথা বলো। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- যে নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- তোমার যা ভাললাগে তাই জগৎকে দান কর, বিনিময়ে তুমিও অনেক ভালো জিনিস লাভ করবে। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- আত্মীয়ত্যাগী ধনী অপেক্ষা আত্মীয়বত্সল গরিব ভালো। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- বুদ্ধিমানেরা কোনো কিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। আর নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- যৌবনের অপচয়কৃত সময়ের ক্ষতি অবশ্যই পূরন করতে হবে, যদি তুমি সন্তোষজনক সমাপ্তি অনুসদ্ধান করো। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- নিজের মহানুভবতার কথা গোপন রাখো, আর তোমার প্রতি অন্যের মহানুভবতার কথা প্রচার করো। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- বুদ্ধিমানেরা বিনয়ের দ্বারা সম্মান অর্জন করে, আর বোকারা ঔদ্ধত্যের দ্বারা অপদস্ত হয়। --আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
- আল্লাহ তাকেই সাহায্য করেন যে আল্লাহর রাস্তায় চলেন। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- যে ব্যাক্তি অভিযোগকে এড়িয়ে যায় ,সে সুখ কে আহবান করে। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- সর্বশ্রেষ্ঠ সত্য হল সততা, এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মিথ্যা হল অসাধুতা। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- মন্দ সমাজের চেয়ে নিজর্নতা অনেক ভালো। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- একজন যুবকের পাপ করা অন্যায়; কিন্তু একজন বৃদ্ধ মানুষের জন্য তা আরও খারাপ। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- যদি তুমি অন্য লোকদের নিয়ন্ত্রণ করতে চাও, তাহলে আগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করো। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- জ্ঞান ছাড়া সকল কাজই অনর্থক, কাজ ছাড়া জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা বৃথা। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- যদি তুমি আল্লাহর আশীর্বাদ চাও, তাহলে লোকদের উপর দয়ালু হও। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- ভাল কাজগুলো প্রতিকুল পরিবেশের বিপক্ষে একটি রক্ষক হয়। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- জিহাদ মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- সেই ব্যক্তিই অভিশপ্ত যে মরে যায় অথচ তার খারাপ কাজগুলো পৃথিবীতে রয়ে যায়। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- অপরের কষ্ট দূর করার জন্য কষ্ট করার মাঝে রয়েছে মহত্বের প্রকৃত নির্যাস। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- পরীক্ষার মুখোমুখি হয়ে সবর করার চেয়ে পরীক্ষা থেকে সুরক্ষিত থেকে কৃতজ্ঞ হওয়া আমার কাছে বেশি পছন্দের। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি গৃহ নির্মাণ করবেন। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- যখন জ্ঞান সীমিত হয় - এটি মূঢ়তা সৃষ্টি করে ... যখন জ্ঞান একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে, তখন এটি শোষণের দিকে পরিচালিত করে। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
- আপনি আল্লাহ কে যত বেশি ভয় করবেন, ততবেশী জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। --উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)