24 January, 2020

পটুয়াখালী জেলার ইতিহাস

১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : বর্তমান পটুয়াখালী অঞ্চল প্রথমদিকেই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া
কোম্পানির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজদ্দৌলার পরাজয়ের
কারণে সাবেক বাংলা প্রদেশের (বিহার ও উড়িষ্যাসহ) অন্যান্য অংশের ন্যায়
বর্তমান পটুয়াখালী অঞ্চলও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসনাধীন আসে।
বিদেশি শাসনের প্রথম বছরগুলােতে পটুয়াখালীর বাকেরগঞ্জ এলাকা ঢাকা
প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৭৮১ সালে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাসহ একজন
বেসামরিক বিচারক নিয়ােগ করা হয়। তদানীন্তন বাকেরগঞ্জ জেলার
দক্ষিণাঞ্চলের বিরাট অংশ নিয়ে ১৮৭১ সালে পটুয়াখালী মহকুমা গঠন করা
হয়। ১ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালী জেলার সৃষ্টি হয়।
২. নামকরণ : পটুয়াখালীর নামকরণ সম্পর্কে মতভেদ আছে। মতভেদ থাকলেও
অধিকাংশ জনমতের স্বীকৃতি হচ্ছে স্বর্গীয় দেবেন্দ্রনাথ দত্তের ‘পতুয়ার খাল
কবিতা থেকে পটুয়াখালীর উৎপত্তি। এ অঞ্চলে বসবাসরত মৃৎশিল্পী, পটুয়া,
চিত্রকর, কুমার শব্দ থেকে পটুয়াখালীর উৎপত্তি। অন্যমত হচ্ছে পেট-
আকৃতির খাল-বিল থেকে পটুয়াখালী নামের উৎপত্তি।
| ৩. আয়তন : (প্রায়) ৩,২২০.১৫ বর্গ কি. মি.।
৪. লােকসংখ্যা : মােট-(প্রায়) ১৫,৩৫,৮৫৪ জন। পুরুষ-৭,৫৩,৪৪১ ও
| মহিলা-৭,৮২,৪১৩। বৃদ্ধির হার : ০.৪৯% ও ঘনত্ব (বর্গ কি. মি.) : ৪৭৭
জন।।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৮টি। পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী,
বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ০৮টি। পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী, বাউফল,
দশমিনা, গলাচিপা, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী ।
৭. সংসদীয় আসন : ৪টি। (১) নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ ব্যতীত পটুয়াখালী
সদর উপজেলা : আউলিয়াপুর, লােহালিয়া ও কমলাপুর। মির্জাগঞ্জ ও দুমকী।
উপজেলা। (২) বাউফল উপজেলা ও নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ : লােহাগড়া ও
কমলাপুর। (৩) দশমিনা উপজেলা ও নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ ব্যতীত
গলাচিপা উপজেলা : বড় বাইশদিয়া, ছােট বাইশদিয়া, রাঙ্গাবালী,
চালিতাবুনিয়া ও চরমােস্লাজ এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর
ইউনিয়ন। (৪) কলাপাড়া উপজেলা ও গলাচিপা উপজেলার নিম্নবর্ণিত
ইউনিয়নসমূহ : বড় বাইশদিয়া, ছােট বাইশদিয়া, রাঙ্গাবালী, চালিতাবুনিয়া ও
চরমােপ্লজ।
৮. হানাদার মুক্ত দিবস : ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর পটুয়াখালী জেলা হানাদার
মুক্ত হয়।
৯. বিশিষ্ট ব্যক্তি : বিপ্লবী জননেতা সতীন্দ্রনাথ সেন, হীরালাল দাস গুপ্ত, মুস্তফা
মজিদ, নয়ন রহমান প্রমুখ ।
১০. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-৩১৯ কি. মি.।।
১১. যােগাযােগ ব্যবস্থা : বাস : ঢাকা- গাবতলী- পটুয়াখালী বাস স্টেশন,
পটুয়াখলী কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন। লঞ্চ : সদরঘাট-পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাট।
এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৪৪১ ও পােস্ট কোড-৮৬০০।
১২. পত্র-পত্রিকা : দৈনিক গণদাবি, সাথী, তেঁতুলিয়া, রূপান্তর, পটুয়াখালী বার্তা
ও সাপ্তাহিক প্রিয় কাগজ।
১৩. পৌরসভা-০১টি ও ইউনিয়ন-৬৮টি।
১৪. উপজেলা ভূমি অফিস-০৮টি।
১৫. মৌজার সংখ্যা-৫৫৮টি ও গ্রামের সংখ্যা-৮৮২টি।
১৬. মােট জমির পরিমাণ- ৫,৬৩,৪৮৭ একর।
১৭. শিক্ষার হার-৬৫%।
১৮.শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-১,০৭৬টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-২৯৭টি,
মাদ্রাসা-২৮৪টি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-০১টি ও কলেজ-৩৪টি।
১৯. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-৩,৮৯৩টি, মন্দির-৪৯০টি ও প্যাগােডা-০৮টি।
২০. আদর্শ গ্রাম-১৯টি।
২১. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৭টি ও
ক্লিনিক-১৩টি।
২২. উল্লেখযােগ্য ফসল: ধান, পাট, শাখ-সবজি ইত্যাদি।
২৩. নদনদীর নাম : লােহালিয়া, লাউকাঠী, পায়রা, লেবুখালী, আন্ধারমানিক,
আগুনমুখা, বুড়া গৌরাঙ্গ ও তেঁতুলিয়া।
২৪. দর্শনীয় স্থান : কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির, কুয়াকাটা
রাখাইন পল্লী, হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সােনারচর, দয়াময়ী দেবীর মন্দির ও আগুন মুখা।


No comments:

Post a Comment

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে শিবগঞ্জ উপজেলাবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

 বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহিম ঈদ বয়ে আনুক সবার জীনবে সুখ শান্তি ও কল্যাণের বার্তা ঈদের দিনের মতো সুন্দর হোক প্রতিটি দিন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক...