27 May, 2018

পুলিশ-চোরের কৌতুক




কৌতুক-০১

পিচ্চি এক ছেলে দৌড়ে গিয়ে পুলিশকে বলছে_

ছেলে : পুলিশ ভাই, পুলিশ ভাই, শিগগির আমাদের বাড়িতে আসেন। একটা লোক আমার বাবাকে ধরে মারছে।

পুলিশ : তো এতক্ষণ ডাকোনি কেন?

ছেলে : এতক্ষণ তো আমার বাবাই ওদের ধরে আচ্ছামতো মারছিল!

কৌতুক-০২

গৃহকর্তাঃ (ঘুমের ঘোরে) কে ওখানে?

চোরঃ আমি হ্যাবলা চোর।

গৃহকর্তাঃ ওখানে কী করিস?

চোরঃ চুরি করছি।

গৃহকর্তাঃ চুরি করবি তো হারমোনিয়াম বাজাচ্ছিস কেন?

চোরঃ আমাদের সর্দার যা নেব সব বাজিয়ে (পরখ করে) নিতে বলেছে। তাই হারমোনিয়াম বাজিয়ে নিচ্ছি।

কৌতুক-০৩

আইফেল টাওয়ারের অদূরে এক অপূর্ব সুন্দরী পর্যটক হেঁটে বেড়াচ্ছে। তাকে অনুসরণ করছে এক স্থানীয় পুরুষ। উপায়ান্তর না দেখে মেয়েটি এগিয়ে গেল পুলিশের কাছে; বলল, ‘ওই লম্বামতন লোকটা আমার পিছু ছাড়ছে না। আমি যেখানে যাচ্ছি, সেও যাচ্ছে আমার পিছু পিছু।’

পুলিশ বলল, ‘ডিউটিতে না থাকলে আমিও একই কাজ করতাম।

কৌতুক-০৪

এক লোককে অতিরিক্ত স্পীডে গাড়ি চালানোর দায়ে ট্রাফিক পুলিশ দাঁড় করালো।

: কী ব্যপার এত স্পীডে চালাচ্ছিলেন কেন ? এখনতো জরিমানা দিতে হবে ।

: কী করব? আমারতো লাইসেন্স নেই,

:লাইসেন্স ছাড়াই রাস্তায় গাড়ী নিয়ে বেরিয়েছেন?

:কী আর করা । আমার স্ত্রীকে হঠাৎ খুন করে ফেল্লাম, এখন লাশটা গুম করতে যাচ্ছি।

(ট্রাফিক পুলিশ ভড়কে গিয়ে) লাশ কই?

: গাড়ীর বনেটে রখেছি

সাথে সাথে ট্রাফিক পুলিশ সবখানে খবরটা জানিয়ে দিলেন আর এইরকম একজন ভয়ংকর অপরাধী ধরার সাফল্যে প্রমোশনের আশা জেগে উঠল তার। পুলিশের বড় কর্তা সবাই এসে হাজির, সাথে মিডিয়া । ঐ লোককে চারদিক থেকে ঘিরে ধরা হল, আর লোকটা চেঁচাতে লাগলঃ এই ট্রাফিক একটা মিথ্যুক, ঘুষ না পয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে ।

বড় কর্টা সেদিকে কান না দিয়ে গাড়ীর বনেট-টা তুললেন, সেখানে কিছু নেই- ফাঁকা । রাগত দৃষ্টিতে তিনি এবার ট্রাফিক পুলিশটার দিকে তাকালেন ।

ঐ ব্যাটা আমাতা আমতা করে বলতে লাগল, ''লোকটা লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালাচ্ছে'' অপরাধী ড্রাইভার সাঠে সাথে চেঁচিয়ে উঠল- ব্যাটা মিঠ্যুক, এটা কী? বলে পকেট থেকে তার লাইসেন্সটা বের করে দিল ।

ওটা দেখে পুলিশটা আমাতা আমতা করে আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলো, তখন ড্রাইভার লোকটা চেঁচিয়ে উঠল ''বল, আরো বানিয়ে বানিয়ে বল। এবার নিশ্চয় বলবি জয আমি বেশী স্পীডে গাড়ী চালাচ্ছিলাম! "

কৌতুক-০৫

মিনিট দশেক তাড়া করে গতিবিধি লঙ্ঘন করা এক ড্রাইভারকে থামাল ট্রাফিক পুলিশ, বলল, আমি থামতে বলা সত্ত্বেও কেন আপনি থামেননি?

এক মুহূর্ত ভেবে নিয়ে ড্রাইভার বলল, আসলে হয়েছে কি, গত সপ্তাহে আমার স্ত্রী এক ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তো আপনাকে আমার পেছনে ছুটতে দেখে মনে হলো, আমার স্ত্রীকে ফেরত দিতেই আপনি আমার পিছু নিয়েছেন।

কৌতুক-০৬

এক দুষ্ট ছেলে থানায় ফোন করেছে।
- এইটা কি পুলিশ স্টেশন?
- হ্যাঁ।
- আপনি কি পুলিশ?
- হ্যাঁ।
- আপনার থানায় বাথরুম আছে?
- হ্যাঁ।
- আপনার বাথরুমে কমোড আছে?
- হ্যাঁ, আছে।
- তাহলে কমোডের মধ্যে মাথা ঢুকাইয়া বইসা থাকেন।
এই বলে ছেলেটি ফোন কেটে দিল।
কিছুক্ষণ পর পুলিশ নাম্বার বের করে কলব্যাক করল।
ছেলেটির বাবা ফোন ধরল।
পুলিশ অভিযোগ করল, আপনার ছেলে আমাকে কমোডে মাথা ঢুকিয়ে বসে থাকতে বলেছে!
- কতক্ষণ আগে বলেছে?
- এই ধরেন ১০ মিনিট।
- তাহলে এখন মাথা বের করে ফেলেন....

কৌতুক-০৭

পুলিশ : অস্ত্র কই রাখছিস বল?

আসামী : স্যার আমি অস্ত্রের খবর যানি না।

পুলিশ : বলবি নাকি ক্রসফায়ারে মরবি?

আসামী : স্যার ঐ দিক দিয়ে গেলে তিনটা তাল গাছ পাবেন।

পুলিশ : তাল গাছের গোঁড়ায় পুতে রাখছিস..?

আসামী : না স্যার প্রথম দুইটা তাল গাছ বাদ। তিন নাম্বারটার

পুলিশ : হুম ওখানে আছে?

আসামী : স্যার তিন নাম্বারটার পাশ দিয়ে তিনটা রাস্তা আছে। প্রথম দুইটা বাদ ৩ নাম্বার রাস্তা দিয়ে গিয়ে তিনটা বাড়ি পাবেন।

পুলিশ : কোন বাড়িতে বল শালা?

আসামী : প্রথম দুইটা বাদ তিন নাম্বার বাড়িতে গিয়ে তিনটা ঘর। প্রথম দুইটা বাদ তিন নাম্বার ঘরে তিনটা আলমারি আছে। প্রথম দুইটা বাদ তিন নাম্বারটাতে তিনটা ড্রয়ার আছে। তিন নাম্বার ড্রয়ারে....

পুলিশ : অস্ত্র আছে?

আসামী : স্যার তিনটা ছবি আছে আর তিন নাম্বার ছবিটা আমার মায়ের। ঐ ছবির কসম স্যার। আমি অস্ত্রের খবর যানি না স্যার।

পুলিশতো পুরাই টাসকি!!!

ফিলিং হা হা হা হি হি হি হু হু হ

কৌতুক-০৮

এক পুলিশ এবং তার পরিবার আনন্দঘন পরিবেশে ছুটি কাটানোর জন্য সমুদ্র তীরবর্তী একটা রিসোর্ট ভাড়া করলো। নির্ধারিত দিনে জরুরী কাজ পড়ে যাওয়া পুলিশ বাধ্য হয়ে তার বউ এবং সন্তাকে পাঠিয়ে দিল এবং দুদিনের মধ্যে কাজ সেরে সে নিজেও পৌছে গেল।

প্রাকৃতিক নিরিবিলি পরিবেশে অপরুপ সুন্দরী বউকে কাছে টেনে নিয়ে কানে কানে বলল- “চলো ভালোবাসা নির্মান করি”।

… বউ বলল- নো ডারলিং, এখান তো করা যাবে না, বাচ্চাটা দেখে ফেলবে।

স্বামী-তুমি ঠিকই বলেছ। চলো না বিচের এক কোনায় যাই, বিচতো খুবই নিরিবিলি মনে হচ্ছে।

কিছুক্ষন হাটাহাটি করে তার এক নিরিবিলতে ভালোবাসা নির্মানে ব্যস্ত হয়ে পরলো।

কিন্তু হঠাৎ করে কোথা থেকে এক পুলিশ এসে বলল- তাড়াতাড়ি কাপড় পড়ে নেন। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত এরকম পাবলিক প্লেসে অসামাজিক কাজ করছেন। লজ্জিত স্বামী তার পরিচয় দিয়ে বলল- দেখেন আমি একজন পুলিশ অফিসার, একটু নিরিবিলি একান্ত সময় কাটানোর জন্যই আমরা এসেছে, আমাদের ভুল হয়ে গেছে, আপনি যদি কেস ফাইল করেন তাহলে আর ইজ্জত থাকবে না।

পুলিশ অফিসার কিছুক্ষন ভাবলো, তারপর বলল- চিন্তার কিছু নেই – যেহেতু আপনি আমাদের একজন সহকর্মী আর এটা আপনার ফার্ষ্ট টাইম তাই আপনাকে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি কিন্তু এই মহিলাকে ছাড়া যাবে না কারন গত দুই দিনে তিন তিন বার তাকে ক্ষমা করা হয়েছে, আর সম্ভব না।

কৌতুক-০৯

মরুভূমিতে এক গাধা আর এক হাবিলদারের মধ্যে দেখা হলো। গাধা জিজ্ঞেস করল, “তুই কে রে??”

হাবিলদার এদিক ওদিক তাকিয়ে আশপাশে কেউ নেই দেখে গর্বের… সঙ্গে বলল, “আমি মেজর জেনারেল!! তুই কে??”

গাধা এদিক ওদিক তাকিয়ে আশপাশে কেউ নেই দেখে বলল, “আমি ঘোড়া!!”

কৌতুক-১০

এক সৈন্য ভুল করে তার মগ উলটে রেখে গেলো টেবিলে। জেনারেলের তেষ্টা পেয়েছে, পেয়াদাকে হুকুম করলেন পানি আনার জন্য।

পেয়াদা অনেক ক্ষন দেখে ফিরে এসে রিপোর্ট করলো স্যার পানি আনতে পারবো না, মগের কোনো মুখ নেই। …

জেনারেল গেলেন টেবিলের কাছে অনেক ক্ষন গবেষনা করে বললেন কি আশ্চর্য এটার তো তলাও নেই।

কৌতুক-১১

এক উইং কমাণ্ডার আসলেন বিমান ঘাটি পরিদর্শনে। টেক অফ জোনে তিনি দেখতে পেলেন একটা আধখাওয়া সিগারেটের পুচ্ছদেশ তকতকে মেঝেতে পড়ে আছে।

ভীষণ দৃষ্টিকটু লাগলো জিনিসটা তাঁর কাছে। সেটা তুলে নিলেন তিনি। “এই সিগেরেটের পোঁদটা কার?”, বললেন তিনি। “কারও না স্যার।” জবাব দিলেন পার্শ্ববর্তী জুনিয়র অফিসার।

“আপনার ইচ্ছা হলে আপনি নিঃশংসয়ে খেতে পারেন।”

কৌতুক-১২

আর্মিদের ডিজগাইজ ট্রেনিং চলছে। এমন সময় আর্মির এক উচ্চপদস্থ জেনারেল এলেন পরিদর্শনে।

সাথে সাথে গাছের ছদ্মবেশে দাঁড়িয়ে থাকা এক সোলজার চিৎকার করে লাফ দিয়ে উঠল।

ভয়ঙ্কর রেগে গেলেন জেনারেল। রাগতস্বরে বল্লেন, ‘তোমার কোটমার্শাল হবে!’

মিনমিন করে বলতে লাগলো সোলজার….’স্যার আমার কি দোষ যখন আমার গাছের ডালে বসে থাকা পাখিকে একটা শিকারি গুলি করলো তখন আমি চিৎকার করিনি….চিৎকার করিনি যখন একটা বিষাক্ত সাপ আমার পয়ের উপর দিয়ে চলে গেল….কিন্তু..

‘কিন্তু কি??’ খেঁকিয়ে উঠলেন জেনারেল।

-’কিন্তু যখন দুইটা কাঠবেরালি আমার প্যান্টের ভেতর ঢুকে বলে উঠল,

‘একটা বাদাম এখন খাব আর আরেকটা খাব কাল…তখন আমার আর না

চিৎকার করে উপায় ছিল না.

কৌতুক-১৩

মেজর মজনু ছিলেন নৌবাহিনীর দায়িত্বে। তিনি একবার ঘুরতে গেলেন তার দোস্তলোগ মেজর বাকসুদের কর্মস্থলে, যিনি কিনা আছেন সেনাবাহিনীর দায়িত্বে। মেজর মজনু বন্ধু বাকসুদের সাথে হাত মিলিয়ে বললেন, “তো বন্ধু, কি অবস্থা? দিনকাল কেমন চলছে? সৈন্য-সামন্ত কেমন সামলাচ্ছ?”

“দারূণভাবে।” বললেন মেজর বাকসুদ। “একেকটাকে এমন অকুতোভয় করে গড়েছি, যে একাই দুয়েকটা প্লাটুনকে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে।”

বন্ধুবরের স্পর্ধিত কথা শুনে বিস্ময়াপণ্ণ হলেন মজনু। “তাই নাকি! অবশ্য আমার লোকেরাও কম সাহসী না। তাদেরকেও আমি অনেক যত্নের সাথেই গড়েছি। বোঝোই তো, জলে নেমে হাঙরের সাথে কুস্তি লড়ে।”

“কিন্তু আমারগুলো সাহসিকতায় অদ্বিতীয়। নিঃসন্দেহে।”

“নমুনা দেখাতে পারবে?” শুধালেন মেজর মজনু।

মেজর বাকসুদ একজন সিপাহীকে ডাক দিলেন, “মানিক। এদিকে আসো।”

সিপাহী মানিক দৌড়ে সন্নিকট হলো।

“যাওতো” বললেন বাকসুদ। “ঐ যে যাচ্ছে ট্যাঙ্কটা, ওটাকে হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়ে আসোতো।”

“আপনার আক্কেলে কি কুত্তায় মুতেছে!” সপাটে বললো সিপাহী। “ওটার সামনে গিয়ে দাঁড়াই, আর ওমনি চ্যাপ্টে চাপাতি হয়ে যাই। মর্কট কোথাকার!” বলেই হনহনিয়ে ফেরৎ গেলো সিপাহীটা।

যেন ঘোরের মধ্যে সবকিছু দেখছিলেন মেজর মজনু। হা করে বন্ধু বাকসুদের দিকে তাকালেন তিনি।

গোঁফ মুচড়ে, হাসিমুখে মেজর বাকসুদ বললেন, “দেখলে বন্ধু। কলজেতে কতটা সাহস থাকলেই না একজন সিনিয়র অফিসারের মুখের উপর কথাগুলো এমনভাবে বলতে পারে!!”

কৌতুক-১৪

ক্যাপ্টেন গফুর দরাজ গলায় হাঁক পাড়লো, “সার্জেন্ট জলিল। একটু আগেই একটা টেলিগ্রাম পেলাম, সিপাহী বরকতের আম্মা নাকি মারা গেছে। তাকে গিয়ে দুঃসংবাদটা জানাও আর আমার সাথে দেখা করতে বলো।”

সার্জেন্ট জলিল সমবেত সিপাহী জনতার সামনে গিয়ে বললো, “রমজান, মেস হলের হাল হকিকত এক্ষুণি আমাকে রিপোর্ট করো। বাশেদ, দপ্তরের কেরাণীকে এক্ষুণি ক্যান্টনমেন্টের ফাইলগুলো পাঠাতে বলো। আর বরকত, ভালো কথা, তোমার আম্মা মারা গেছে। তুমি স্যারের সাথে গিয়ে দেখা করো।”

সেদিন সন্ধ্যায় ক্যাপ্টেন গফুর, সার্জেন্ট জলিলকে বললেন, “দ্যাখো জলিল। এমন একটা মানবিক ব্যাপার তুমি এমন আবেগহীন ভাবে সোজাসাপ্টা কীভাবে বললে! এইসব বিষয়ে…মানে বুঝলে তো- আরেকটু কৌশলী হলেই পারো।”

“ইয়েস স্যার।” পায়ে মেঝে ঠুকে, স্যালুট মেরে বললো সার্জেন্ট।

কিছু সপ্তা পর ক্যাপ্টেন গফুরের ফের দরাজ কণ্ঠ, “সার্জেন্ট জলিল। একটু আগেই একটা টেলিগ্রাম পেলাম, সিপাহী শমসেরের আম্মা নাকি মারা গেছে। তাকে গিয়ে দুঃসংবাদটা জানাও আর আমার সাথে দেখা করতে বলো। তবে রোসো, একটু কৌশলে।”

সার্জেন্ট জলিল আবারো সিপাহী জনতার সামনে এসে দাঁড়ালো।

“সমাবেশ! ফল ইন করো।” চড়া গলায় বললো সার্জেন্ট। “এবার, যাদের যাদের আম্মা জিন্দা আছে, তারা সবাই দুই কদম এগিয়ে এসো। শমসের, তুমি বাদে।”

কৌতুক-১৫

প্রচণ্ড গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল বল্টু। পথে ট্রাফিক পুলিশ তার পথ রোধ করে দাঁড়াল।

ট্রাফিক পুলিশ: তোমার মতো বেয়াড়াদের ধরতেই দিনভর এখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি, বুঝলে বাছাধন?

বল্টু: সে জন্যই তো যত দ্রুত সম্ভব আপনার কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করছিলাম!

কৌতুক-১৬

সর্দারজি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এমন সময় ট্রাফিক পুলিশ থামতে ইশারা করল।

সর্দারজি: দুঃখিত, স্যার, আমরা ইতিমধ্যেই তিনজন উঠে বসে আছি, আপনাকে ওঠানোর মতো জায়গা নেই!

কৌতুক-১৭

ঝুম বৃষ্টি। এর মধ্যে প্রচণ্ড গতিতে যাচ্ছিল গাড়িটা। সংগত কারণেই গাড়িটার পথ রোধ করে দাঁড়াল কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ।

পুলিশ: এই বেকুব! এই বৃষ্টিতে কেউ এত জোরে গাড়ি চালায়?

চালক: আমি তো গাড়ির ভেতর বসে আছি, গায়ে বৃষ্টির ছিটাফোঁটাও লাগছে না। বেকুব আমি—না যে বাইরে দাঁড়িয়ে বোকার মতো বৃষ্টিতে ভিজছে, সে?

কৌতুক-১৮

সেদিন এক লোক সিঙ্গাপুরের রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে। একটা সিগন্যাল অতিক্রম করার সময় সে দেখল, রাস্তার পাশে রাখা ক্যামেরা তার ছবি তুলেছে। লোকটা তড়িঘড়ি করে স্পিডমিটার চেক করল।

না, সবই ঠিক আছে। তাহলে ছবি তুলল কেন? লোকটার মাথায় তো কিছুই ঢুকছে না। সে ভাবল, কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে। তাই সে বিষয়টা আরেকটু পরীক্ষা করার জন্য একটু ঘুরে আবার ওই রাস্তায় এল।

ক্যামেরা তার ছবি তুলল। এবার গাড়ির গতি গতবারের চেয়ে কম ছিল। তার কৌতূহল আরও বেড়ে গেল। সে ভাবল, নিশ্চয় কোথাও কোনো বড় রকমের ঝামেলা হয়েছে।

সে আরও তিনবার একই সিগন্যাল অতিক্রম করল। প্রতিবার গতি আগেরবারের চেয়ে কমিয়ে দিয়ে। কিন্তু ক্যামেরা প্রতিবারই তার ছবি তুলল।

এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর লোকটার ঠিকানায় তার নামে পাঁচটা চিঠি এল। সিটবেল্ট না বেঁধে ড্রাইভিং করার অপরাধে পাঁচটা চিঠিতেই তাকে জরিমানা করা হয়েছে!

কৌতুক-১৯

ভদ্রলোক এসে পুলিশকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি কি এখানে গাড়িটা পার্ক করতে পারি?’
না।
তাহলে এই গাড়িগুলো এখানে কেন?
যারা রেখেছে, তারা কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেনি।

কৌতুক-২০

জনি গাড়ি নিয়ে মহাসড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছিল। তার গাড়ির গতিসীমা তখন ঘণ্টায় ৬০ কিমির বেশি অতিক্রম করছে।

এমন সময় সে লক্ষ করল, পেছন থেকে একটা পুলিশের গাড়ি তাকে ধাওয়া করছে। জনি বুঝল, সে সর্বোচ্চ গতিসীমা অতিক্রম করে ফেলেছে।

এখন উপায়? গাড়ি থামালেই একগাদা টাকা জরিমানা গুনতে হবে। মনে মনে সে একটা বুদ্ধি আঁটল।

গাড়ির গতি না কমিয়ে সে আরও বাড়িয়ে দিল। পুলিশের গাড়িটাও তখন ঝড়ের বেগে ধেয়ে আসছে।

হঠাৎ একটা পেট্রলপাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে গেল জনি। গাড়ি থেকে নেমে এক ছুটে ঢুকে গেল পেট্রলপাম্পের বাথরুমে।

পাঁচ মিনিট পর জনি যখন বের হলো, পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলেছে। জনি পেটে হাত বোলাতে বোলাতে বলল, ‘বুঝতেই পারছেন, বেগটা একটু বেশি পেয়েছিল!’

কৌতুক-২১

হাইওয়েতে জলিল সাহেবের গাড়ি আটক করল পুলিশ। কর্তব্যরত সার্জেন্ট ধমক দিয়ে বললেন, ‘ব্যাপার কী? আপনি এত আস্তে গাড়ি চালাচ্ছেন কেন?’

জলিল: রাস্তার শুরুতে দেখলাম, ওপরে বড় করে লেখা ২০। ভাবলাম, এই রাস্তার সর্বোচ্চ গতিসীমা নিশ্চয় ২০। তাই…

সার্জেন্ট: ওরে বোকা, এটা ২০ নম্বর রাস্তা। কিন্তু কথা হচ্ছে, আপনার গাড়ির পেছনের সিটে বসা দুজন এমন ভয়ার্ত চোখে চেয়ে আছে কেন? চুল খাড়া হয়ে আছে, দাঁতকপাটি লাগার দশা। ঘটনা কী?

জলিল: না মানে, একটু আগে ২১২ নম্বর রাস্তা দিয়ে এলাম তো!

কৌতুক-২২

চোরকে বেঁধে রেখে পুলিশের কাছে নালিশ করতে এসেছে গেরস্ত।

পুলিশ: আপনি বলছেন যে আপনি চোরকে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রেখে এসেছেন?

গেরস্ত: জি, স্যার । দুই পা চেয়ারের সঙ্গে ভালো করে বেঁধে এসেছি।

পুলিশ: শুধু পা বেঁধেছেন?

গেরস্ত: জি, স্যার।

পুলিশ: গর্দভ কোথাকার! মুখ না বাঁধলে চলবে কী করে? সে তো সাহায্যের জন্য অন্য কাউকে ডাকলেই তার বাঁধন খুলে দিয়ে যাবে!

কৌতুক-২৩

স্ত্রী: শোনো না, নীচের তলায় চোর এসেছে। সকালে যে কেকটা বানিয়েছিলাম, সেটা খেয়ে নিচ্ছে।

স্বামী: কাকে ডাকব, পুলিশ না অ্যাম্বুল্যান্স?

কৌতুক-২৪

জেলারঃ আপনি জেলার পদে কাজ করতে পারবেন?
প্রার্থীঃ অবশ্যই পারব স্যার

জেলারঃ বলেন তো কয়েদীরা ঝামেলা করলে কি করবেন?
প্রার্থীঃ এক ঝাড়ি দিয়ে থামিয়ে দেবো স্যার

জেলারঃ যদি বেশি বেয়াদবী করে?
প্রার্থীঃ থাপ্পড় দিয়ে ওদেরকে জেল থেকে বের করে দিবো স্যার

কৌতুক-২৫

এক ট্রাক ড্রাইভার ব্রিজের প্বার্শে খালে ট্রাকসহ পড়ে গেল।
পুলিশ এমন দুর্ঘটনায় ট্রাক ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলঃ কেমন করে ফাঁকা রাস্তায় এমন ঘটনা ঘটল।
ড্রাইভারঃ স্যার, আমি খুব সাবধানে গাড়ী চালাইয়া আসছিলাম।
সামনে একটি সাইকেল আসল আমি তাকে সাইড দিলাম।
এরপর একটা ভ্যান আসল আমি তাকেও সাইড দিলাম।
এরপর একটা রিক্সা আসল তাকেও সাইড দিলাম।
এরপর একটা মটরসাইকেল আসল তাকেও সাইড দিলাম।










এরপর একটা বাস আসল তাকেও সাইড দিলাম।
স্যার এরপর এই হতছাড়া ব্রিজ আসল তাকে সাইড দিতে যাইয়াই আমার এ অবস্থা।

কৌতুক-২৬

পুলিশ বলছে চোরকে, লজ্জা করে না তোমার? এই নিয়ে তৃতীয়বার তুমি থানায় এলে! চোর: স্যার,
.
.
.
.
.
.
আমি তো মাত্র তৃতীয়বার, আপনি যে প্রতিদিনই আসেন!

কৌতুক-২৭

এক পুলিশের ছেলে পরীক্ষায় সব বিষয়ে শূন্য পেয়েছে।

পুলিশঃ হারামজাদা অল সাবজেক্টে আন্ড পেয়েছিস। এখন তুই বল আমি তোকে কি শাস্তি দিব?

ছেলেঃ এই নাও ৫০ টাকা, কেসটা এখানেই শেষ করে দাও।

কৌতুক-২৮

একজন এসে পুলিশকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি কি এখানে গাড়িটা পার্ক করতে পারি?’

—না

—তাহলে এই গাড়িগুলো এখানে কেন?

—তারা কেউ এখানে গাড়ি পার্ক করতে পারবে কি না জিজ্ঞেস করেনি।

কৌতুক-২৯

রাত ১১-৫০ মিনিটে একটা গাড়ী পার্কের পাশের পার্কিং প্লেসে থামল।

গাড়ীর ড্রাইভিং সিটে বসা ২১-২২ বছরের এক ছেলে।

পাশের সিটে বসা এক মেয়ে।

এক টহল পুলিশ এসে জিজ্ঞাসা করল কি করছেন?

ছেলেটি বলল “ আমি মাগ্যাজিন পড়ছি”।

মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করায় বলল “ আমি অপেক্ষা করছি, আর দশ মিনিট পর আমার ১৮ বছর হবে, আর আমরা দুজন হোটেলে এক সাথে রাতে…

কৌতুক-৩০

এক ট্রাক ড্রাইভার মালের ট্রাক নিয়ে বর্ডার এলাকায় গেছে ডেলিভারি দিতে।

অনেক দিন যাবত যেহেতু বাড়ির বাইরে তাই তার মনের মধ্যে রোমান্টিক কাজ করার জন্য ভীষন ভাবে তাড়না দিচ্ছিল।

অনেক খুঁজা খুঁজির পরে দালাল টাইপের একজনকে খুঁজে পাওয়া গেল।

কথাবার্তার এক পর্যায়ে ড্রাইভার জানতে চাইল- মালের রেট কত?

দালালঃ মালের জন্য লাগবে এক হাজার টাকা, আমার জন্য লাগবে তিনশত টাকা আর পুলিশের জন্য লাগবে একশত টাকা।

ড্রাইভারঃ আরে শালা পুরাই পাংখা, দিল খুশ করে দিলিরে, যা প্রথমে পুলিশ ওয়ালাকে পাঠা ।

কৌতুক-৩১

পুলিশ নাইট ক্লাবে হানা দিয়ে তিন মহিলার সাথে হোটেলের ম্যানেজারকেও(ছেলে) গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান করে দিল।

বিচার শুরু হলে জর্জ মেয়েদের প্রফেশন লাইফ সম্পর্কে প্রশ্ন করে রায় দিচ্ছেন-

প্রথম মেয়ে: স্যার, আমি একজন মডেল।

জর্জ তাকে তিন মাসের জেল দিলেন।

দ্বিতীয়মেয়ে: স্যার, আমি একজন অভিনেত্রী।

জর্জ তাকেও তিন মাসের দন্ড দিলেন।

তৃতীয় মেয়ে: স্যার, আমি কলগার্ল।

জর্জ তাকে বেকসুর খালাস দিলেন।

এবার জর্জ ম্যানেজারের দিকে তাকিয়ে- তা তোমার পেশা কি?

ম্যানেজারের উত্তর: স্যার আমিও কলগার্ল।

কৌতুক-৩২

রাজীব আর মীনা ঈদের শপিং করতে কলকাতা গেছে।

এয়ারপোর্টে রাজীবের চেকিং শেষ।

মীনার চেকিং করার সময় বিভিন্ন প্রশ্ন করছে দুই কাস্টমস অফিসার।

প্রথম কাস্টমস অফিসারঃ আচ্ছা, ম্যাডাম! শুনেছি আপনাদের ঢাকা জায়গাটা খুব সুন্দর! সত্যি নাকি? একবার দেখতে খুব শখ হচ্ছে।

মীনা লজ্জা পেল, রাগও হল খুব। দাঁতে দাঁত কিড়মিড় করে এক ঘুষি দিয়ে অফিসারের ডান চোখে কালসিটে ফেলে দিল।

কাস্টমস অফিসার হত-বিহবল।

তার পাশের অন্য কাস্টমস অফিসার প্রশ্নটা খেয়াল করলেও ঘুষিটা খেয়াল করে নি।

দ্বিতীয় কাস্টমস অফিসারঃ আচ্ছা, ম্যাডাম! শুনলাম ওখানে নাকি স্পষ্ট দুটি ভাগ আছে, সত্যি নাকি? আমারও দেখতে খুব শখ হচ্ছে।

ফলাফল – তার ডান চোখেও কালসিটে।

কৌতুক-৩৩

চল্লিশ বছর বয়সের এক জুটি সংসদ ভবনের সামনে বসে, হাতে হাত রেখে গল্প করছিল।

এক পুলিশ ব্যাপারটা দেখে কৌতূহলী হল।

পুলিশঃ আমি আপনাদের নিষেধ করছি না; শুধু জানতে ইচ্ছা হল, আপনারা কারা?

পুরুষটিঃ আমরা স্বামী-স্ত্রী।

পুলিশঃ (কিছুটা রেগে) স্বামী-স্ত্রীতো এখানে কেন? বাসায়ইতো…

পুরুষঃ না মানে, আমি একজনের স্বামী আর ও অন্যজনের স্ত্রী।

কৌতুক-৩৪

চল্লিশ বছর বয়সের এক জুটি সংসদ ভবনের সামনে বসে, হাতে হাত রেখে গল্প করছিল।

এক পুলিশ ব্যাপারটা দেখে কৌতূহলী হল।

পুলিশঃ আমি আপনাদের নিষেধ করছি না; শুধু জানতে ইচ্ছা হল, আপনারা কারা?

পুরুষটিঃ আমরা স্বামী-স্ত্রী।

পুলিশঃ (কিছুটা রেগে) স্বামী-স্ত্রীতো এখানে কেন? বাসায়ইতো…

পুরুষঃ না মানে, আমি একজনের স্বামী আর ও অন্যজনের স্ত্রী।

কৌতুক-৩৫

এক মহিলা ট্রাফিক সিগন্যাল ভঙ্গ করলো ……

পুলিশ : থামুন

মহিলা : আমাকে যেতে দিন আমি একজন টিচার

পুলিশ : আহ…..এই মুহুর্তটার জণ্য সারাজীবন অপেক্ষা করেছি ,এখন আপনি খাতায় ১০০ বার লিখুন “”আমি জীবনেও আর ট্রাফিক সিগন্যাল ভঙ্গ করবো না””

কৌতুক-৩৬

শীতের রাত, চট্টগ্রাম থেকে ট্রাক নিয়ে ঢাকা ফিরছে। কেবিনে ড্রাইভার আর হেলপার। চৌদ্দগ্রামের কাছে পুলিশ ট্রাক থামালো। ড্রাইভারকে বল্লো দুইজন পুলিশকে ঢাকা নিয়ে যেতে হবে। ড্রাইভার অনিচ্ছাস্বত্তেও রাজী হলো। বেচারা হেলপারকে পেছনে চলে যেতে হলো। শীতের রাত, ড্রাইভারের হেলপারের জন্য খারাপ লাগছিলো। কিন্তু কিছু করার নেই।

পুলিশ অফিসার আলাপ জমানোর জন্য জানতে চাইলো, বাড়ি কই?

ডাইভারঃ কূড়িগ্রাম

পু.অঃ বাড়িতে কবে গেছেন শেষ?

ড্রাইঃ তাও ছয় মাস আগে

পু.অঃ তা বাড়ীর সবাই কেমন আছে?

ড্রাইঃ ভালো, বউ চিঠিতে জানাইছে হ্যায় তিন মাসের পোয়াতী

পু.অঃ কন কি! আপ্নে ছয় মাস বাড়ি যান নাই, আর আপ্নের বউ তিন মাসের পোয়াতী! তাইলে বাচ্ছাতো আপ্নের না! অবৈধ!

ড্রাইঃ হ, তাতো বুঝতেই পারতাছি।

পু.অঃ তা, এই জারজ কে নিয়ে কি করবেন?

ড্রাইঃ কি আর করমু, কিছুদুর পাড়াশুনা করাইয়া, পুলিশে ঢুকাইয়া দিমু!

কৌতুক-৩৭

ট্রাফিক পুলিশ স্পীড লিমিট না মানায় এক ব্যক্তিকে থামালো।

পুলিশ(নোটবুক এবং পেন্সিল বের করে)ঃ আপনার নাম কি?

আসামীঃ আবুল কাসেম ইবনে মজিদ আল ফারিব মোহাম্মদ ইবনে জাবীর আল

ফোরকানী ইবনে মাসরুর

পুলিশ(কিছুক্ষণ চিন্তা করে): এইবারের মত আপনার নামে আর রিপোর্ট করছিনা। এখন থেকে স্পীড লিমিট মেনে চলবেন।

কৌতুক-৩৮

এক মেয়ে পুলিশকে ফোন করছে………………

মেয়ে :এটা কি পুলিশ স্টেশন ?

পুলিশ :হ্যাঁ

মেয়ে :আমাদের হোস্টেলে ডাকাত আক্রমন করছে ।সব মেয়েকে রেপ করছে ।একটু পর আমাকে করবে ।তাই আপনি ২ ঘন্টা পর এসে ওদের ধরে নিয়ে যাবেন ।

কৌতুক-৩৯

এক পুলিশ হাইওয়েতে যাচ্ছে।

পথের মধ্যে দেখে এক লোককে ন্যাংটা করে কেউ গাছে সাথে বেধে রেখেছে।

লোকটা কাদছে।

পুলিশ গাড়ি থামাল।

লোকটার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,

আপনার কি হইছে?

আজকে আমার দিনটাই খারাপ।

সকালে বউয়ের সাথে ঝগড়া হল।

গাড়ি নিয়ে বের হলাম,ওভার স্পীডের জন্য জরিমানা দিলাম।

পথের মাঝে একলোককে লিফট দিলাম। অই ব্যাটা গাড়িতে উঠে আমার আমার বুকে বন্দুক ধরল। সে আমার সব টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। আমার জামা কাপড় নিয়ে গেছে। আমার গাড়িটাও নিয়ে গিয়ে আমাকে গাছের সাথে বেধে রেখে গেছে।

পুলিস সব শুনে একটু চিন্তা করল। এরপর নিজের প্যান্ট খুলা শুরু করল। লোকটা বলল, কি করছেন আপনি?

পুলিশ মুচকি হেসে বলল, “ হ! আজকে আপনার দিনটাই খারাপ”

কৌতুক-৪০

এক মহিলার স্বামী হারিয়ে গেছে ।

সে এ ব্যাপারে রিপোর্ট করতে পুলিশ স্টেশনে উপস্থিত –

মহিলা : আমার স্বামী হারিয়ে গেছে ..

ইন্সপেক্টর : তার উচ্চতা কত ?

মহিলা : আমি কখনো খেয়াল করিনি

ইন্সপেক্টর : স্লিম নাকি স্বাস্থ্যবান ?

মহিলা : স্লিম না । মনে হয় স্বাস্থ্যবাণ

ইন্সপেক্টর : তার পড়নে কি ছিলো ?

মহিলা : স্যুট নয়তো শার্ট । ঠিক মনে পড়ছে না

ইন্সপেক্টর : তার সাথে তখন কেউ ছিলো ?

মহিলা : হ্যাঁ, আমার প্রিয় কুকুরটা ছিল । নাম – টমি , গলায় সোনালী চেইন বাঁধা, ২৬ ইঞ্চি , স্বাস্থ্যবাণ , নীল চোখ , কালচে বাদামী লোম , তার বাম পায়ের বুড়ো আঙুলটা একটু ভাঙা , সে কখনো ঘেউ ঘেউ করেনা এবং সে ভেজিটেরিয়ান !

(কথাগুলো বলা শেষে মহিলা কাঁদতে লাগলো)

ইন্সপেক্টর : হুমম .. বুঝলাম । প্রথমে কুকুরটাকেই খুঁজে বের করা দরকার !

কৌতুক-৪১

মিনিট দশেক তাড়া করে গতিবিধি লঙ্ঘন করা এক ড্রাইভারকে থামাল ট্রাফিক পুলিশ|

ট্রাফিক পুলিশ বলল, আমি থামতে বলা সত্ত্বেও কেন আপনি থামেননি?

এক মুহূর্ত ভেবে নিয়ে ড্রাইভার বলল, আসলে হয়েছে কি, গত সপ্তাহে আমার স্ত্রী এক ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তো আপনাকে আমার পেছনে ছুটতে দেখে মনে হলো, আমার স্ত্রীকে ফেরত দিতেই আপনি আমার পিছু নিয়েছেন।

কৌতুক-৪২

চোর : জলদি, পুলিশ আসছে! জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়।

সহকারী : কিন্তু ওস্তাদ, আমরা যে এখন তের তলায় আছি।

চোর : দুর গাধা! এখন কি কুসংস্কার নিয়ে মাথা ঘামানোর সময়।

কৌতুক-৪৩

এক ভদ্রলোক এসে পুলিশকে জিজ্ঞেস করলেন___

ভদ্রলোকঃ আমি কি এখানে গাড়িটা পার্ক করতে পারি?’

পুলিশঃ না।

ভদ্রলোকঃ তাহলে এই গাড়িগুলো এখানে কেন?

পুলিশঃ যারা রেখেছে, তারা কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেনি।

কৌতুক-৪৪

বুড়ো মকবুলের কথা মনে আছে??

সেই বুড়ো মকবুল, জীবনে প্রথম থানায় গিয়ে নোটিশ বোর্ডে কয়েকটি ছবি দেখে

জিজ্ঞেস করলো “এইগুলা কাদের ছবি?”

অফিসার বলল,” আসামীর ছবি, এদের গ্রেফতার করতে হবে|”

মকবুল একটু ভেবে ক্রুদ্ধ কন্ঠে,” তাহলে ছবি তোলার সময় গ্রেফতার করলেননা কেন?”

কৌতুক-৪৫

এক লোক থানায় গেলো, তার বাসায় গত রাতে যে চোর ঢুকেছে,তার সাথে কথা বলতে চাইলো।

পুলিশ বলল,”সেই সুযোগ তোমাকে আদালতে দেয়া হবে।”

লোকটির জবাব, “না না… .
.
.
.
.
.
আমি ওই চোরের কাছ থেকে জানতে চাই,কিভাবে আমার স্ত্রীকে না জাগিয়ে আমার ঘরে ঢুকল।আমি কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করছি|”

কৌতুক-৪৬

মোতালেব পুলিশের সঙ্গে ফোনে কথা বলছে—

মোতালেব: স্যার, আমার স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে গেছে। দয়া করে তাকে একটু খুঁজে দিন না।

পুলিশ: কবে থেকে নিখোঁজ হয়েছেন তিনি?

মোতালেব: মাসখানেক তো হবেই।

পুলিশ: বলেন কী! তা এতোদিন আমাদের জানান নি কেন?

মোতালেব: আমার যে স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে এই বিষয়টিই মনে ছিল না, স্যার।

পুলিশ: আজ কী করে মনে হল?

মোতালেব: স্যার, সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার পড়ার মতো পরিস্কার কোনো কাপড়-চোপড় না দেখেই মনে হল, আসলেই আমার স্ত্রী নিখোঁজ!

কৌতুক-৪৭

এক পুলিশ অফিসার মোটেই আর্মি সহ্য করতে পারে না।

আর্মির কাউকে দেখলেই সে চান্সে থাকে কিভাবে পচানো যায়।

একদিন তার সামনে পড়লো আর্মির এক সিপাহী।

পুলিশ তখন বলল- কি হে , শুনলাম তোমরা যখন টানা কয়েক বছর বিদেশে থাকো, তারপর দেশে ফিরে দেখ তোমাদের বউ-এর কোলে নবজাতক সন্তান। সত্য নাকি ?

সিপাহী কিছু বলল না।

পুলিশ- তা তোমরা ঐ সব অবৈধ বাচ্চাগুলো নিয়ে কি করো ? .
.
.
.
.
.
সিপাহীর উত্তর- কি আর করি, বড় হলে নিয়ে গিয়ে পুলিশে ভর্তি করিয়ে দেই।

কৌতুক-৪৮

একদিন থানায় ফোন এল, এক মহিলা একাই একটা চোরকে পাকড়াও করছে, তো পুলিশকে যেতে হবে চোরকে ধরে আনার জন্য|

কিছুক্ষণ পর থানার এক দারোগা গেল ওই মহিলার বাড়িতে|

গিয়ে দেখলেন, লাইটপোস্টের সাথে দড়ি দিয়ে আধমরা এক লোক বাধা আসে, ব্যাপক মাইর খেয়েছে বুঝায় যাচ্ছে|

মহিলার সাথে দেখা হতেই দারোগা তার প্রশংসা করে বলল,”আপনার মত সাহসী মানুষ যদি বাড়ি বাড়ি থাকত, তাহলে দেশে কোনো চোর-ডাকাত বা অপরাধী টিকতে পারত না, সবাই ধরা পরত| আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ|”

তখন মহিলা বলল,”আসলে হয়েছে কি, কাল রাতে আমি ভুল করে চোরটাকে আমার স্বামী মনে করে মেরেছি! অন্ধকার ছিল তো তাই ঠিক বুঝতে পারিনি ও আমার স্বামী ছিল না! আহা খুব মায়া হচ্ছে! বেদম মার খেয়েছে!”

কৌতুক-৪৯

একবার সরকার প্রধান ঘোষনা দিলেন তিনি সেনাবাহিনী , RAB এবং পুলিসের মধ্যে কে সবচেয়ে দক্ষ তা পরীক্ষা করবেন।

এজন্য তিনি একটি খরগোস বনে ছেড়ে দিয়ে বললেন যে এই খরগোসটি ধরে আনতে পারবে বুঝব সে বাহিনীটিই সবচেয়ে দক্ষ।

তারপর সেনাবাহিনী সারদেশের বন উজাড় করে দুই সপ্তাহ পর বলল কোথায়ও খরগোস নেই।

RAB দুই মাস গভীর তদন্ত করে বলল খরগোসটি ভারতে চলে গেছে

পুলিস দুই ঘন্টা পর একটি ভাল্লুক ধরে আনল যেটাকে দেখে মনে হচ্ছে খুব মার খেয়েছে এবং সেটা চিৎকার করে বলছে ঠিক কাছে আমি খরগোস! খেয়েছি আমি খরগোস!…. …..

কৌতুক-৫০

এক ভদ্রলোক তার বাচ্চাটিকে নিয়ে পার্টিতে গেছেন।

আড্ডায় আড্ডায় তিনি অনেকক্ষণ ধরেই মদ্যপান করছেন|

হঠাৎ তার বাচ্চার কথা মনে হতেই পাশে তাকিয়ে দেখলেন তার বাচ্চাও খানিকটা মদ্যপান করে ফেলেছে।

তিনি ঐ মদ্যপ অবস্থায় নিজেই গাড়ি চালিয়ে পার্টি থেকে বাসায় ফিরছেন আর একটু পর পর বাচ্চাকে বকছেন।

হঠাৎ একজন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ তার গাড়ি থামিয়ে প্রশ্ন করছেন,

ট্রাফিক পুলিশঃ আপনার গাড়ি চালানো দেখে আমার সন্…দেহ হচ্ছে, আপনি নিশ্চয় মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছেন !

লোকটিঃ না, আমি মাতাল নই।

ট্রাফিক পুলিশঃ আচ্ছা ঠিক আছে, আপনি হা করুন আমার কাছে ডিটেক্টর মেশিন আছে আমি চেক করছি আপনি মাতাল কি-না?

লোকটি হা করলো এবং মেশিনে ”মাতাল“সিগনাল দিল।

ট্রাফিক পুলিশঃ মেশিন বলছে, আপনি মাতাল।

লোকটিঃ আপনার মেশিন নষ্ট।

ট্রাফিক পুলিশ‍ঃ অসম্ভব !

লোকটিঃ ঠিক আছে, আপনি আমার এই ছোট বাচ্চার মুখে মেশিনটি ধরুন, দেখি কি সিগনাল দেয়? এতটুকু বাচ্চাতো আর মদ পান করে না !

ট্রাফিক পুলিশঃ ঠিক আছে, বাবু মুখ হা করো তো…।

বাচ্চাটি মুখ হা করলো। এবং মেশিনে যথারীতি “মাতাল” সিগনালই দিল।

সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশটি লজ্জিত হয়ে বলল,

ট্রাফিক পুলিশঃ আপনার সময় নষ্ট করার জন্য স্যরি। অনেক দিন আগের মেশিন তো তাই মাঝে মধ্যেই ডিস্টার্ব দেয় !!!


Developed by

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন