27 May, 2018

পাগল-ছাগলের কৌতুক




কৌতুক-০০১

এক পাগল এক চাইনিজকে জিজ্ঞেস করছে, "তুমি কি আমেরিকান?"

চাইনিজঃ না...আমি চাইনিজ।

পাগলঃ তুমি আমেরিকান না?

চাইনিজঃ না, আমি চাইনিজ।

পাগলঃ মিথ্যা বলছ, তুমি অবশ্যই আমেরিকান।

চাইনিজ লোকটি শেষে বিরক্ত হয়ে বলল, হ্যাঁ বাবা। আমি আমেরিকান। খুশি?

পাগলঃ চেহারা দেখে তো মনে হয় তুমি চাইনিজ।

কৌতুক-০০২

মাইকেল কথায় কথায় রেগে যায়। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। একদিন মাইকেলের সঙ্গে দেখা করতে গেল তার বন্ধু জনি।

জনি: কেমন আছো, মাইকেল?

মাইকেল: ভালো। এখন এখান থেকে দূর হ হতভাগা!

নাহ, মাইকেলের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ভেবে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরল জনি। এক মাস পর আবার গেল তাকে দেখতে।

জনি: এখন তোমার শরীরটা কেমন মাইকেল?

মাইকেল: ভালো। এখন এখান থেকে দূর হ হতভাগা।

আবার মন খারাপ করে ফিরল জনি। এক মাস পর আবার গেল মাইকেলকে দেখতে। ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘এখন কেমন বোধ করছ মাইকেল?’

মাইকেল জবাব দিল, ‘ভালো।’

উচ্ছ্বসিত হয়ে জনি গেল ডাক্তারের কাছে। বলল, ‘বাহ, আপনারা তো ওকে সুস্থ করে ফেলেছেন! কীভাবে করলেন?’

ডাক্তার: এখন এখান থেকে দূর হ হতভাগা!

কৌতুক-০০৩

পাগলাগারদের ডাক্তার এক পাগলের কাছে গিয়ে বলল - আপনার জন্য একটা সুসংবাদ আর একটা দুঃসংবাদ আছে। কোনটা আগে শুনতে চান?

পাগল ফিচ করে হেসে - সুসংবাদটাই আগে বলেন।

ডাক্তার - সুসংবাদটা হলো, আপনি আজ যে দুঃসাহসিক কাজ করেছেন, হাসপাতালের পুকুরে ডুবন্ত আরেক পাগলকে যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ে উদ্ধার করেছেন, তাতে আমরা নিশ্চিত আপনি আর পাগল নন। আপনি সুস্থ হয়ে গেছেন। এবার আপনি নিশ্চিন্তে বাড়ি যেতে পাড়েন।

পাগল - আর দুঃসংবাদটা কি?

ডাক্তার - দুঃসংবাদটা হচ্ছে, আপনি যে পাগলকে পানি থেকে উদ্ধার করেছিলেন, সে পরবর্তিতে আত্মহত্যা করেছে পুকুরের পাশের আমগাছের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে।

পাগল আবারো ফিচ করে হেসে - আরে না! ও তো নিজে গলায় দড়ি দেয় নাই। পুকুর থিকা উঠানোর পর দেখলাম ব্যাটা ভিজা পুরা চুপচুপা হইয়া রইছে, তাই আমিই ওরে আম গাছের লগে লটকাইয়া শুকাইতে দিছিলাম।

কৌতুক-০০৪

এক 'পাগলের হাসপাতালে' নিয়ম করা হলো - যে সব পাগল একটু সুস্থতার পথে, প্রতি মাসে তাদের ইন্টারভিউ নেয়া হবে। তাতে যদি দেখা যায় সেই পাগল অসংবৃত কোন কথা বলছে না অথবা কোন পাগলামি মাথাচাড়া দিচ্ছে না তার মধ্যে, তবে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।

তো এই নিয়মের আওতায়, পাগল মদন কুমারেরও ডাক পড়লো এক দিন প্রধান ডাক্তারের কাছে মদন কুমার সেখানে যেয়ে দেখলো তিন চারজন ডাক্তার বসে আছেন টেবিল ঘিরে। তার জন্যও একটা বসার চেয়ার আছে। সে গিয়ে সেই চেয়ারে বসলো। তারপর সবাইকে সম্ভাসন জানালো ভদ্রভাবে। ডাক্তাররা তার আচরন দেখে বেশ মুগ্ধ হয়ে গেলেন। একজন ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন - মদন কুমার, তুমি তো এখন ভালো হয়ে গেছ তাই না?

মদন হেসে উত্তর দিল - জ্বি সার, আমি এখন পুরাপুরি সুস্থ। কোন পাগলামি করি না।

আরেক জন ডাক্তার বললেন - বাহ্ বেশ, তাহলে তো তোমাকে এবার ছেড়ে দেয়া যায়। তা বাড়িতে গিয়ে কি করবে তুমি?

মদন - সার আমি বাড়িতে গিয়া একটা বড় গুলতি বানামু। তারপর অনেকগুলা মার্বেল কিনুম। তারপর সেই গুলতি আর মার্বেল নিয়া আইসা এই হাসপাতালের যতগুলা কাঁচের জানলা আছে, সবগুলার কাঁচ ভাইঙ্গা ফালামু।

মদনের উত্তরে ডাক্তারদের মুখ অন্ধকার হয়ে গেল। তারা মাথা নেড়ে মদনকে আবার হাসপাতালের ভেতর পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু সেদিনই মদনের আরেক পাগল বন্ধু ইন্টারভিউতে পাশ করে মুক্তি পেয়ে গেল। বিদায় নেবার সময় মদন তার কাছে জানতে চাইলো - দোস্ত তুমি মুক্তি পাইলা আর আমি পাইলাম না ক্যান? তার বন্ধু জানতে চাইলো - আচ্ছা ইন্টারভিউতে তোমারে কি জিগাইছিল আর তুমি কি উত্তর দিছিলা? মদন তখন তার বন্ধুকে সব খুলে বলল।

সব শুনে তার বন্ধু বলল - দোস্ত তুমি যদি এই রকম উত্তর দেও, তাইলে এই জীবনে তুমি মুক্তি পাইবা না। আবার যদি তোমারে এই সব জিগায় তাইলে তুমি বলবা, বাড়িতে গিয়া তুমি পড়াশুনা করবা, তারপর পাশ কইরা চাকরি নিবা, তারপর বিয়া করবা তারপর মনে আর যা আসে সব বলবা। মানে, মনে মনে সুন্দর কাহিনী বানাবা আর সেইগুলা ডাক্তারগো বলবা। দেখবা তারা খুশি হইয়া তোমারে ছাইড়া দিবে। মদন মাথা ঝাকালো এরপর সে এভাবেই ইন্টারভিউ দেবে।

পরের মাসে মদনের আবার ইন্টারভিউতে ডাক পড়লো। সেখানে ডাক্তাররা যখন তাকে জিজ্ঞেস করলো বাড়িতে ফিরে সে কি করবে, তখন সে বলা শুরু করলো - সার, বাড়িতে গিয়া আমি আবার পড়াশুনা শুরু করুম। তারপর পাশ কইরা চাকরি নিমু। তারপর সুন্দর দেইখা এক মাইয়ারে বিয়া করুম।

ডাক্তারদের মুখে সন্তুষ্টির হাসি ফুটলো। তারা জানতে চাইলেন - তারপর কি করবে?

মদন : তারপর সার সেই মাইয়ারে নিয়া বাসর রাইত করুম।
ডাক্তারদের মুখের হাসি বিস্তৃত হলো - কি করবে তুমি বাসর রাতে?
মদন : বাসর রাইতে বউরে অনেক আদর করুম।
ডাক্তারগন : তারপর ?
মদন : তারপর বউ’র সব কাপড়-চোপর খুইলা ফালামু।
ডাক্তারগন : তারপর ? (বেশ উত্তেজিত তারা)
মদন : তারপর বউ’র ব্রা, পেন্টিতে কোন ইলাস্টিক আছে কিনা দেখুম।
ডাক্তাররা হতভম্ব হয়ে - কেন ?
মদন : যদি ইলাস্টিক থাকে তাইলে সেইগুলা সব টাইনা টাইনা বাইর করুম। তারপর সেইগুলা দিয়া একটা গুলতি বানামু আর অনেকগুলা মার্বেল কিনুম। তারপর সেইগুলা নিয়া এই হাসপাতালে আইসা, এইখানে যত কাঁচের জানলা আছে, সবগুলার কাঁচ ভাইঙ্গা ফালামু।

কৌতুক-০০৫

টিএসসি-র মোড়ে বসে এক পাগল হাতে বেশ বড় একটা পাথর নিয়ে সারাদিন ধরে নিজের মাথায় ঠকাশ-ঠকাশ করে মারে আর ব্যথায় আর্তনাদ করতে থাকে। তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হল, কী ব্যাপার ভাই, আপনি নিজেই নিজেরে মারেন, আবার নিজেই চিল্লান... ঘটনা তো বুঝলাম না।

পাগল একটু মুচকি হেসে বলল, বুঝবেন... একটু কাছে আসেন।

প্রশ্নকর্তা ঘাবড়ে গেল... মারবে নাকি রে বাবা?

মনোভাব বুঝতে পেরে পাগল বলল, না রে ভাই, মারুম না, কানে কানে কমু।

আশ্বস্ত হয়ে পাগলের মুখের কাছে কান নেবার পর ফিসফিস করে পাগল বলল, ভাই রে, মারা যখন বন্ধ রাখি, তখন কী যে আরাম লাগে!

কৌতুক-০০৬

নেত্রকোনা এলাকার এক পাগল যে কিনা খট খটে মাটিতে লাঠি দিয়ে পানি মেপে দেখায়, মাটির উপর লাঠি রেখে বলে এই খানে এত হাত পানি, আর তাই দেখে সবাই মজা পায়।

তো এলাকার এক বিয়ের অনুষ্ঠানে বরপক্ষকে মজা দেওয়ার জন্য সেই পাগলকে ডেকে আনা হয়েছে।

বর পক্ষের সামনে পাগলকে বলা হলো পানি মেপে দেখা তাকে একটা লাঠি এনে দেওয়া হল কিন্তু পাগল পানি মাপে না যতই পাগলকে ভয় দেখিয়ে বলা হচ্ছে তাকে পানি মাপার জন্য পাগল আর পানি মাপেনা এদিকে বর পক্ষের সামনে মানসম্মান যাওয়ার মত অবস্থা।

পাগল শেষে বিরক্ত হয়ে বলে উঠলো আমাকে কি পাগল পাইছো নাকি এই খটখটে মাটিতে পানি মাপমু।

কৌতুক-০০৭

রোকেয়া হলের সামনে অনেক আগে এক পাগল থাকতো। মেয়েরা যখন হলের সামনে দিয়ে যেত তখন সে তার লুঙ্গীটা একটু তুলে বলতো, আপা দেখবেন? আর মেয়েরা লজ্জা পেয়ে চলে যেত।

একদিন এক সাহসীকে মেয়েকে পাগলটি একই কথা বললে, মেয়েটি সাহস করে বলে উঠলো হে দেখবো দেখান কি দেখাবেন,

তখন পাগল লজ্জা পেয়ে চলে গেল তারপর থেকে পাগলটি আর রোকেয়া হলের সানে আসেনি।

কৌতুক-০০৮

আমেরিকার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি একবার পাগলা গারদ পরিদর্শনে গিয়েছেন

তো সেখানে গিয়ে এক পাগলকে বললেন,' জানো আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি'।

পাগলটি তার উত্তরে বললো,' এখানে আসার আগে আমি নিজেকে আব্রহাম লিংকন বলতাম'।

কৌতুক-০০৯

এক পাগল পাগলা গারদের এক বাথরুমের বেসিনে মাছধরার ছিপ ফেলে বসে আছে।

তো এমন সেই পাগলা গারদের পরিদর্শক খুব আগ্রহ নিয়ে তার কাছে এসে বললেন,'কি খবর কয়টা মাছ ধরলেন'।

পাগল টি খুব বিরক্তি নিয়ে উত্তর দিল আপনি পাগল নাকি এই বেছিনে কি কখনো মাচ ধরা যায় ।

কৌতুক-০১০

পাগলা গারদের এক ডাক্তার তিন পাগলের পরীক্ষা নিচ্ছেন। পরীক্ষায় পাস করলে তিনজনকে পাগলাগারদ থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, কিন্তু ফেল করলেই পাঁচ বছরের জন্য তাদের আটকে দেওয়া হবে।

ডাক্তার তিন পাগলকে একটা ফাঁকা, জলবিহীন সুইমিং পুলের সামনে নিয়ে গিয়ে ঝাঁপাতে বললেন। প্রথম পাগলটি তৎক্ষণাৎ তাতে ঝাঁপ দিয়ে পা ভেঙে ফেলল।

দ্বিতীয় পাগলটিও ডাক্তারের নির্দেশমতো পুলে ঝাঁপ দিল এবং হাত ভেঙে ফেলল।

তৃতীয় পাগলটি কিন্তু কোনোমতেই ঝাঁপ দিতে রাজি হলো না।

ডাক্তারটি উচ্ছ্বসিত হয়ে বললেন, ‘আরে, তুমি তো কামাল করে দিয়েছ! যাও, তুমি মুক্ত।

তবে একটা কথা বলো, তুমি পুলে ঝাঁপ দিলে না কেন?’

নির্দ্বিধায় পাগলটি জবাব দিল, ‘দেখুন ডাক্তারবাবু, আমি সাঁতারটা একেবারে জানি না!’

কৌতুক-০১১

পাগলদের স্বভাব তো আপনারা সবাই কম বেশি জাননে। কোন পাগল বলে আমি বাংলাদেশের president ছিলাম, আবার কোন পাগল বলে আমি আমেরিকার president ইত্যাদি……

যাইহোক- একবার-president জিয়াউর রহমান পাবনার পাগলা গারদ পরিদর্শনে গিয়েছিল ।

ঐখানে পাগলদের মাঝখানে দাড়িয়ে president জিয়াউর রহমান পাগলদের উদ্দেশ্যে বলছেন-

এই যে তোমরা আমাকে চেন ? আমি বাংলাদেশের president জিয়াউর রহমান !!

পাগলদের এক জন জবাব দিল- হি:! হি:! চিনি–চিনি, প্রথম – প্রথম সবাই এইরকম president থাকে- পরে সব ঠিক হয়ে যায় !

কৌতুক-০১২

পাগলাগারদে সব পাগল নাচানাচি করছিল। শুধু একজন বসে ছিল চুপ করে। অন্য পাগলেরা জিজ্ঞেস করল, ‘কী হে, তুমি বসে আছ কেন?’

সে উত্তর দিল, ‘দূর ব্যাটা, বিয়েবাড়িতে জামাই কখনো নাচে?’

কৌতুক-০১৩

একবার এক পরিদর্শক পাগলাগারদ পরিদর্শনে গেলেন।

পরিদর্শকঃ আপনারা কীভাবে বোঝেন যে একজন রোগী সুস্থ হয়েছে?

ডাক্তারঃ প্রথমে আমরা রোগীদের বাথরুমে বাথটাবের কাছে নিয়ে যাই। বাথটাবটা পানি দিয়ে পূর্ণ করি। তাদের আমরা একটি চামচ, একটি মগ ও একটি কাপ দিই।

তারপর তাদের বাথটাবটি পানিশূন্য করতে বলি। তাদের পানিশূন্য করার নিয়ম দেখেই আমরা বুঝি কে সুস্থ হয়েছে।

পরিদর্শকঃ যদি তারা মগ দিয়ে পানি ফেলে দেয়। তাহলে নিশ্চয়ই আপনারা তাকে সুস্থ বলেন?

ডাক্তারঃ না, যদি তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়, তবে বাথটাবের পানি বের করার প্লাগ তুলে ফেলবে, তবেই আমরা ধরে নেই, সেই রোগী এখন সুস্থ হয়েছে।

তা, আপনার জন্য কী এখানকার একটা রুম বুক করব?

কৌতুক-০১৪

২১২ জন যাত্রী নিয়ে জেট বিমানটি ৩৫ হাজার ফুট উপরে। হঠাৎ বিমানের পাইলট অট্রহাসি হাসতে লাগল। মাইক্রোফোনে সে হাসি শোনা গেল।

দ্রুত ককপিটে গিয়ে একজন যাত্রী জনতে চাইল, এমনভাবে কেন হাসছেন, ক্যাপ্টেন?

: আমি ভাবছি, সবাই কী ভাববে, যখন পাগলাগারদের ডাক্তার, নার্স, পাহাদাররা টের পাবে পাবে যে আমি পালিয়ে এসেছি। হা -হা-হা।

কৌতুক-০১৫

মানসিক হাসপাতালের চিকিত্সক প্রতিদিনের মতো সকালে গিয়েছেন রোগীদের খোঁজখবর নিতে। এক নম্বর কক্ষে ঢুকে দেখেন, একজন মাটিতে বসে খুব মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা কাটছে।

আরেকজন উল্টো হয়ে ছাদের একটা কাঠে পা বেঁধে ঝুলে আছে! চিকিত্সক প্রথমজনকে জিজ্ঞেস করলেন, কী করছেন আপনি?

কেন দেখতে পারছেন না, আমি একটা কাঠ কাটছি!

ও আচ্ছা, কাঠ কাটছেন, ভালো কথা। ছাদের জনকে দেখিয়ে বললেন, কিন্তু উনি ছাদে এভাবে উল্টো হয়ে ঝুলে কী করছেন?

কী আর করবে, সে আসলে নিজেকে একটা বাল্ব ভাবছে।

চিকিৎসক চিন্তিত মুখে বললেন, কিন্তু তার সব রক্ত তো মাথায় চলে এসেছে, ভয়ানক ব্যাপার এটা! আপনি তার বন্ধু হয়েও এটা দেখছেন!

তাকে নামানোর চেষ্টা করছেন না কেন? তা শুনে প্রথমজন দাঁত কেলিয়ে হেসে বলে, আরে ধুর, ওরে নামাইলে তো সব অন্ধকার হয়ে যাবে! তখন আমি কাজ করব ক্যামনে?

কৌতুক-০১৬

লুলু পাগলকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পাড়ার ছোট ভাই সিদ্দিক গেল থানায় দেখা করতে আর কারণটা জানতে।

সিদ্দিকঃ ভাই কি হইছিল, এতো লোক থাকতে পুলিশ আপনার মত পাগলা, মানে ভাল মানুষরে ক্যান ধরল?

লুলু পাগলাঃ আর কইয়ো না সিদ্দিক, রাস্তার ধারে দাঁড়ায় ছিলাম, এক মাইয়া যাইতেছিল সামনে দিয়া। হের বুকের উপর একটা কার্ড ঝুইলা আছে, লেখা “PRESS”। আমি তাই দেইখা দেরি না করে ভাল ছেলের মত “PRESS” কইরা দিলাম। মাইয়াটা চিল্লান দিল আর পুলিশ আমারে ধইরা আনল থানায়। এখন বল আমার দোষটা কথায়?

কৌতুক-০১৭

একদিন একটি বিমান মানসিক অসুস্থ (পাগল) দের বহন করে চিকিৎসার জন্য একদেশ থেকে অন্যদেশে নিয়ে যাচ্ছিলো। পুরো বিমানটিতে পাগলগুলো চিৎকার করে শব্দ-দূষণ করছিলো এবং এতে পাইলট এর প্লেন চালাতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিলো।

হঠাৎ করে একটি পাগল কিভাবে যেন পাইলট এর কেবিনে ঢুঁকে পড়লো।


পাগলটি পাইলটকে বলল,

পাগলঃ ভাই তুমি কিভাবে প্লেন চালাও আমারে একডু শিখায় দাও । আমি কালকেই একডা প্লেন কিন্না নিজে চালায়া লং ড্রাইভে যামু।

পাইলটঃ আচ্ছা ঠিক আছে, কিন্তু একটা শর্ত আছে।

পাগলঃ কি শর্ত?

পাইলটঃ আপনি যদি আপনার বন্ধুদের শান্ত করে এই প্লেনে হওয়া শব্দ-দূষণ বন্ধ করতে পারেন। আমার প্লেন চালাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।

পাগলঃ আচ্ছা ঠিক আছে।

~(৫ মিনিট পরে প্লেন একদম শান্ত!!)~

পাগল এসে পাইলটকে বলল,

পাগলঃ হ্যা ভাই, এখন শিখান।

পাইলটঃ Wow!! খুবই চমৎকার :) আপনি কিভাবে উনাদের শান্ত করলেন?









পাগলঃ আমি গিয়া প্লেন এর দরজা খুইল্লা সবাইরে কইলাম ” কেও এখানে শব্দ কইরো না, যাও সবাই বাহিরে গিয়া খেলোগা”

কৌতুক-০১৮

এক ছেলে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে।

হঠাৎ দেখল এক উলঙ্গ পাগল রাস্তার পাশে উপুর হয়ে শুয়ে আছে।

উলঙ্গ পাগলটাকে দেখা মাত্র তার মনে একটা ইচ্ছা জাগল।

ইচ্ছাটা পূরন করার জন্য সে পাগলটার পাশে বসে পড়ল।

আর বেশ কিছুক্ষণ পাগলটার পাছায় তবলা বাজাল।

তবলা বাজানো শেষ হলে যখন সে উঠে চলে যেতে লাগল তখন পাগলটা ঘুরে তাকে বলল,

:
:
:
:
:
:
:
:
” ভাই তবলা তো ভালই বাজাইলেন, এবার বাঁশিটাও বাজায় দিয়া যান !

কৌতুক-০১৯

মানসিক হাসপাতালের চিকিত্সক প্রতিদিনের মতো সকালে গিয়েছেন

… রোগীদের খোঁজখবর নিতে।

এক নম্বর কক্ষে ঢুকে দেখেন, একজন মাটিতে বসে খুব মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা কাটছে।

আরেকজন উল্টো হয়ে ছাদের একটা কাঠে পা বেঁধে ঝুলে আছে!

চিকিত্সক প্রথমজনকে জিজ্ঞেস করলেন, কী করছেন আপনি?

কেন দেখতে পারছেন না, আমি একটা কাঠ কাটছি!

ও আচ্ছা, কাঠ কাটছেন, ভালো কথা।

ছাদের জনকে দেখিয়ে বললেন, কিন্তু উনি ছাদে এভাবে উল্টো হয়ে ঝুলে কী করছেন?

কী আর করবে, সে আসলে নিজেকে একটা বাল্ব ভাবছে।

চিকিত্সক চিন্তিত মুখে বললেন, কিন্তু তার সব রক্ত তো মাথায় চলে এসেছে, ভয়ানক ব্যাপার এটা! আপনি তার বন্ধু হয়েও এটা দেখছেন! তাকে নামানোর

চেষ্টা করছেন না কেন?

তা শুনে প্রথমজন দাঁত কেলিয়ে হেসে বলে, আরে ধুর, ওরে নামাইলে তো সব

অন্ধকার হয়ে যাবে! তখন আমি কাজ করব ক্যামনে?

কৌতুক-০২০

তিন পাগল পাগলা গারদ থেকে পালানোর প্ল্যান করতাছে ।

১ম পাগলঃ পালামু পশ্চিম দিক দিয়া । ঐদিকের দেয়াল যদি বেশী উচু হয় তাইলে একটা মই যোগাড় করতে হইবো । তারপরে মই দিয়া দেয়াল ডিঙ্গায়া পালামু ।

২য় পাগলঃ আর দেয়াল যদি বেশী পুরু হয় তাইলে শাবল দিয়া গর্ত কইরা পালামু ।

৩য় পাগলঃ তাইলে মনে হয় আমরা আর পালাইতে পারুম না রে ।

… ১ম ও ২য় পাগলঃ কেন ?

৩য় পাগলঃ পশ্চিম দিকে তো কোন দেয়ালই নাই, সব খোলা ।।

কৌতুক-০২১

এক পাগলাগারদে ডাক্তার আর পাগলের কথোপকথন : পাগলা গারদে এক পাগল ছাদের সাথে দড়ি লাগিয়ে ঝুলছিল………..

এটা দেখে ডাক্তার বললঃ ওই তুই ঝুলিস কেন ?

পাগলঃ আমি তো বাল্ব!

ডাক্তারঃ তাইলে জলিস না কেন??

পাগলঃ আরে পাগল তুই কোন দেশে আছিস এইটা বাংলাদেশ কারেন্ট পামু কই???

কৌতুক-০২২

এক পাগল রোগী এসেছেন চিকিৎসকের কাছে—

চিকিৎসক: কী সমস্যা আপনার, বলুন?

রোগী: স্যার, আমার সব সময় মনে হয়, আমি একটা মুরগি।

চিকিৎসক: বলেন কী। তা কবে থেকে এমনটা মনে হয় আপনার?

রোগী: যখন আমি একটি ডিম ছিলাম, ঠিক তখন থেকেই, স্যার।

কৌতুক-০২৩

দীর্ঘদিন চিকিৎসা করার পর তিন পাগলকে নিয়ে বসেছেন চিকিৎসক।

চিকিৎসক: বলো তো, ৩ কে ৩ দিয়ে গুণ করলে কত হয়?

প্রথম পাগল: ৩৯৮

হতাশ চিকিৎসক দ্বিতীয় জনকেও একই প্রশ্ন করলেন।

দ্বিতীয় পাগল: মঙ্গলবার

… হতাশ হয়ে চিকিৎসক তৃতীয় জনকেও একই প্রশ্ন করলেন।

তৃতীয় পাগল: ৯

‘ভেরি গুড! এবার বলো তো, তুমি এটা কীভাবে বের করলে।’ খুশি হয়ে বললেন চিকিৎসক।

তৃতীয় পাগল: খুবই সহজ! ৩৯৮ থেকে মঙ্গলবার বিয়োগ করেছি!

কৌতুক-০২৪

ক্রিং ক্রিং !!!

বেজে উঠলো পাগলাগারদের টেলিফোনটা ।

রিসিপশনিস্ট মেয়েটা ফোন ধরে বললেন,” হেল্লো ,কিভাবে সাহায্য করতে পারি?? ”

ওপাশ থেকে উত্তর দিল ,” আপা , দেখেন তো রুম নাম্বার ৪৭ এ কেউ আছেনি ?? ”

মেয়েটা জবাব দিল ,” জ্বিনা ,কেউ নাই ,আপনি কাকে চাচ্ছেন ?? ”

লোক তা আবার বলল ,” দেখেন তো ভালো মত ,কেউ আছে কিনা ,সিউর হইয়া বলেন না প্লিজ । ”

মেয়েটা রুম নাম্বার ৪৭ এ গেল ,ভালমত দেখে এসে নললো ,” না রে ভাই,কেউ নাই…আপনি কাকে চাচ্ছেন ??? ”

অপরপ্রান্ত হতে উত্তর আসলো,” যাক,তাইলে ঠিক মতই পালাইছি ”!!!

কৌতুক-০২৫

মানসিক রোগীর রোরশাখ ইঙ্কব্লট টেস্ট নিচ্ছেন মনোচিকিৎসক। হিজিবিজি কিছু কালির ছোপ রোগীকে দেখানো হয় এ টেস্টে।

প্রথম কার্ডটা এগিয়ে দিলেন তিনি। ‘বলুন তো এটা কিসের ছবি?’

‘একটা ছেলে একটা মেয়েকে জাপটে ধরে চুমু খাচ্ছে।’

দ্বিতীয় ছবিটা এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। ‘এটা কিসের ছবি বলুন তো?’

‘ঐ ছেলেটা এবার মেয়েটার জামাকাপড় খুলে ফেলছে, আর মেয়েটা চেঁচাচ্ছে হাঁ করে।’

আরেকটা ছবি এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। ‘এটা কিসের ছবি বলুন তো?’

‘ছেলেটা মেয়েটার চুল টেনে ধরে ঘাড়ে কামড় দিচ্ছে, আর মেয়েটা খিখি করে হাসছে।’

ডাক্তার আর পারলেন না। ‘দেখুন, রিয়াদ সাহেব, আপনার রোগ খুব জটিল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আপনার মনটা খুবই নোংরা, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি।’

রিয়াদ সাহেব চটে আগুন। ‘নিজে যত রাজ্যের নোংরা ছবি এগিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, আর বলছেন আমার মন নোংরা?’

কৌতুক-০২৬

এক বিখ্যাত ব্যক্তি পাগলাগারদ পরিদর্শনে এসে জানতে চাইলো মনোবিদরা কিভাবে বোঝেন একজন রোগীকে হাসপাতালে রাখতে হবে কী না।

জবাব এলো, আমরা রোগীকে একটা চা চামচ, একটা চায়ের কাপ আর একটা বালতি দেই। তারপর পানিভরা বাথটাব দেখিয়ে বলি খালি করার জন্য। এখান থেকেই বুঝতে পারি লোকটা পাগল না সুস্থ।

বিখ্যাত ব্যক্তি বললো, ও বুঝেছি। সুস্থ লোক বালতি দিয়ে বাথটাবের পানি সরাবে কারণ এটাই সবচেয়ে দ্রুত উপায়।

– না, সুস্থ লোক বাথটাবের পানি বেরিয়ে যাবার প্লাগটা খুলে দিবে। জবাব এলো।

কৌতুক-০২৭

এক পাগল সারাদিন চিল্লাত”গুলতি বানাব, পাখি মারব”…।
তাকে ৬ মাস পাগলা গারদে রাখা হল।
৬ মাস পর ডাক্তার বলছে …
-আপনি ত এখন ভাল হয়ে গেছেন…বাড়ি জাবেন কবে?
-কাল
-বাড়ি যেয়ে কি করবেন?
-মেয়ে দেখব !
-কেন?
-বিয়ে করব
-তারপর?
-বাসর রাত করব
-তারপর?
-বউ এর চুমা খাব…।
-তারপর?
-বউ এর শাড়ি খুলব
-তারপর?
-ব্লাউস খুলব
-তারপর?
-ব্রা খুলব
-তারপর?
-তারপর আর কি? ব্রা এর ইলাস্টিক দিয়ে গুলতি বানাব আর পাখি মারব…

কৌতুক-০২৮

এক মানসিক রোগীদের হাসপাতাল…

জুমন হাত দুটো সামনে বাড়িয়ে গুনগুন করছে।

নার্স- জুমন, কী হচ্ছে এসব?

জুমন- গাড়ি চালাচ্ছি, চট্টগ্রাম যাবো।

পরদিন জুমন ঝিমোচ্ছে।

নার্স- জুমন, কী হচ্ছে এসব?

…জুমন- মাত্র পৌঁছালাম চট্টগ্রামে, বিরক্ত কোরো না।

এবার সুমনের ঘরে গেলো নার্স। সেখানে সুমন বিছানায় শুয়ে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করছিলো।

নার্স- সুমন, কী হচ্ছে এসব?

সুমন- জ্বালাতন কোরো না। জুমনের বউয়ের সাথে প্রেম করছি। ঐ শালা তো গেছে চট্টগ্রাম ।

কৌতুক-০২৯

এক পাগলা গারদে এক পাগল ছাদের সাথে দড়ি লাগিয়ে ঝুলছিল .. .. ..

এটা দেখে ডাক্তার জিজ্ঞেস করলোঃ ওই পাগল, তুই ঝুলিস কেন..??

পাগল জবাব দিলোঃ আমি তো বাল্ব..!!

ডাক্তার উত্তর দিলোঃ তাইলে তুই জ্বলিস না কেন…??

পাগল মুচকি হাইসা জবাব দিলোঃ আরে পাগলের ডাক্তার পাগল…!!

তুই কোন দেশে আছোস…??

ভুইলা গেছোস…??

এইটা বাংলাদেশ…!!

এইখানে লোডশেডিং ছাড়া কারেন্ট পামু কই…?!

এখন লোডশেডিং চলতাসে, তাই জ্বলতে পারতাসিনারে ভোদাই..!!

কৌতুক-০৩০

এক পাগলাগারদে ডাক্তার আর পাগলের কথোপকথন :

পাগলা গারদে এক পাগল ছাদের সাথে দড়ি লাগিয়ে ঝুলছিল………

এটা দেখে ডাক্তার বললঃ ওই তুই ঝুলিস কেন ?

পাগলঃ আমি তো বাল্ব!

ডাক্তারঃ তাইলে জলিস না কেন??

পাগলঃ আরে পাগল তুই কোন দেশে আছিস এইটা বাংলাদেশ, কারেন্ট পামু কই???

কৌতুক-০৩১

চার পাগল একটি পুকুর ঘাটে বসে কথা বলছে ।

১ম পাগল:- শুনেছিস গতরাতে এই পুকুরে আগুন লেগেছে ।

২য় পাগল:- তাই নাকি । তাহলে মাছেরা কোথায় উড়ে পালিয়ে ছিল ।

৩য় পাগল:- যা মাছের কি ঘোড়ার মত পাখা আছেনাকি উড়ে ছলে যাবে ।

৪র্থ পাগল:- তোরা সবাই পাগল হয়ে গেছিস । ঐ সময় মাছেরা আগুনকে কেরোসিন মেরে নিভাচ্ছিল ।

কৌতুক-০৩২

তিন পাগল পাগলা গারদ থেকে পালানোর প্ল্যান করতাছে ।

১ম পাগলঃ পালামু পশ্চিম দিক দিয়া । ঐদিকের দেয়াল যদি বেশী উচু হয় তাইলে একটা মই যোগাড় করতে হইবো । তারপরে মই দিয়া দেয়াল ডিঙ্গায়া পালামু ।

২য় পাগলঃ আর দেয়াল যদি বেশী পুরু হয় তাইলে শাবল দিয়া গর্ত কইরা পালামু ।

৩য় পাগলঃ তাইলে মনে হয় আমরা আর পালাইতে পারুম না রে ।

… ১ম ও ২য় পাগলঃ কেন ?

৩য় পাগলঃ পশ্চিম দিকে তো কোন দেয়ালই নাই, সব খোলা ।।

কৌতুক-০৩৩

লুলু পাগলকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পাড়ার ছোট ভাই সিদ্দিক গেল থানায় দেখা করতে আর কারণটা জানতে।

সিদ্দিকঃ ভাই কি হইছিল, এতো লোক থাকতে পুলিশ আপনার মত পাগলা, মানে ভাল মানুষরে ক্যান ধরল?

লুলু পাগলাঃ আর কইয়ো না সিদ্দিক, রাস্তার ধারে দাঁড়ায় ছিলাম, এক মাইয়া যাইতেছিল সামনে দিয়া। হের বুকের উপর একটা কার্ড ঝুইলা আছে, লেখা “PRESS”। আমি তাই দেইখা দেরি না করে ভাল ছেলের মত “PRESS” কইরা দিলাম। মাইয়াটা চিল্লান দিল আর পুলিশ আমারে ধইরা আনল থানায়। এখন বল আমার দোষটা কথায়?

কৌতুক-০৩৪

একদিন একটি বিমান মানসিক অসুস্থ (পাগল) দের বহন করে চিকিৎসার জন্য একদেশ থেকে অন্যদেশে নিয়ে যাচ্ছিলো। পুরো বিমানটিতে পাগলগুলো চিৎকার করে শব্দ-দূষণ করছিলো এবং এতে পাইলট এর প্লেন চালাতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিলো।

হঠাৎ করে একটি পাগল কিভাবে যেন পাইলট এর কেবিনে ঢুঁকে পড়লো।

পাগলটি পাইলটকে বলল,

পাগলঃ ভাই তুমি কিভাবে প্লেন চালাও আমারে একডু শিখায় দাও । আমি কালকেই একডা প্লেন কিন্না নিজে চালায়া লং ড্রাইভে যামু।

পাইলটঃ আচ্ছা ঠিক আছে, কিন্তু একটা শর্ত আছে।

পাগলঃ কি শর্ত?

পাইলটঃ আপনি যদি আপনার বন্ধুদের শান্ত করে এই প্লেনে হওয়া শব্দ-দূষণ বন্ধ করতে পারেন। আমার প্লেন চালাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।

পাগলঃ আচ্ছা ঠিক আছে।

~(৫ মিনিট পরে প্লেন একদম শান্ত!!)~

পাগল এসে পাইলটকে বলল,

পাগলঃ হ্যা ভাই, এখন শিখান।

পাইলটঃ Wow!! খুবই চমৎকার আপনি কিভাবে উনাদের শান্ত করলেন? ↓







পাগলঃ আমি গিয়া প্লেন এর দরজা খুইল্লা সবাইরে কইলাম ” কেও এখানে শব্দ কইরো না, যাও সবাই বাহিরে গিয়া খেলোগা”

কৌতুক-০৩৫

এক ছেলে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে।

হঠাৎ দেখল এক উলঙ্গ পাগল রাস্তার পাশে উপুর হয়ে শুয়ে আছে।

উলঙ্গ পাগলটাকে দেখা মাত্র তার মনে একটা ইচ্ছা জাগল।

ইচ্ছাটা পূরন করার জন্য সে পাগলটার পাশে বসে পড়ল।

আর বেশ কিছুক্ষণ পাগলটার পাছায় তবলা বাজাল।

তবলা বাজানো শেষ হলে যখন সে উঠে চলে যেতে লাগল তখন পাগলটা ঘুরে তাকে বলল, ↓







” ভাই তবলা তো ভালই বাজাইলেন, এবার বাঁশিটাও বাজায় দিয়া যান !

কৌতুক-০৩৬

মানসিক হাসপাতালের চিকিত্সক প্রতিদিনের মতো সকালে গিয়েছেন

রোগীদের খোঁজখবর নিতে।

এক নম্বর কক্ষে ঢুকে দেখেন, একজন মাটিতে বসে খুব মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা কাটছে।

আরেকজন উল্টো হয়ে ছাদের একটা কাঠে পা বেঁধে ঝুলে আছে!

চিকিত্সক প্রথমজনকে জিজ্ঞেস করলেন, কী করছেন আপনি?

কেন দেখতে পারছেন না, আমি একটা কাঠ কাটছি!

ও আচ্ছা, কাঠ কাটছেন, ভালো কথা।

ছাদের জনকে দেখিয়ে বললেন, কিন্তু উনি ছাদে এভাবে উল্টো হয়ে ঝুলে কী করছেন?

কী আর করবে, সে আসলে নিজেকে একটা বাল্ব ভাবছে।

চিকিত্সক চিন্তিত মুখে বললেন, কিন্তু তার সব রক্ত তো মাথায় চলে এসেছে, ভয়ানক ব্যাপার এটা! আপনি তার বন্ধু হয়েও এটা দেখছেন! তাকে নামানোর

চেষ্টা করছেন না কেন?

তা শুনে প্রথমজন দাঁত কেলিয়ে হেসে বলে, আরে ধুর, ওরে নামাইলে তো সব

অন্ধকার হয়ে যাবে! তখন আমি কাজ করব ক্যামনে?

কৌতুক-০৩৭

তিন পাগল পাগলা গারদ থেকে পালানোর প্ল্যান করতাছে ।

১ম পাগলঃ পালামু পশ্চিম দিক দিয়া । ঐদিকের দেয়াল যদি বেশী উচু হয় তাইলে একটা মই যোগাড় করতে হইবো । তারপরে মই দিয়া দেয়াল ডিঙ্গায়া পালামু ।

২য় পাগলঃ আর দেয়াল যদি বেশী পুরু হয় তাইলে শাবল দিয়া গর্ত কইরা পালামু ।

৩য় পাগলঃ তাইলে মনে হয় আমরা আর পালাইতে পারুম না রে ।

… ১ম ও ২য় পাগলঃ কেন ?

৩য় পাগলঃ পশ্চিম দিকে তো কোন দেয়ালই নাই, সব খোলা ।।

কৌতুক-০৩৮

এক পাগলাগারদে ডাক্তার আর পাগলের কথোপকথন :

পাগলা গারদে এক পাগল ছাদের সাথে দড়ি লাগিয়ে ঝুলছিল………..

এটা দেখে ডাক্তার বললঃ ওই তুই ঝুলিস কেন ?

পাগলঃ আমি তো বাল্ব!

ডাক্তারঃ তাইলে জলিস না কেন??

পাগলঃ আরে পাগল তুই কোন দেশে আছিস এইটা বাংলাদেশ কারেন্ট পামু কই???

কৌতুক-০৩৯

এক পাগল রোগী এসেছেন চিকিৎসকের কাছে—

চিকিৎসক: কী সমস্যা আপনার, বলুন?

রোগী: স্যার, আমার সব সময় মনে হয়, আমি একটা মুরগি।

চিকিৎসক: বলেন কী। তা কবে থেকে এমনটা মনে হয় আপনার?

রোগী: যখন আমি একটি ডিম ছিলাম, ঠিক তখন থেকেই, স্যার।

কৌতুক-০৪০

দীর্ঘদিন চিকিৎসা করার পর তিন পাগলকে নিয়ে বসেছেন চিকিৎসক।

চিকিৎসক: বলো তো, ৩ কে ৩ দিয়ে গুণ করলে কত হয়?

প্রথম পাগল: ৩৯৮

হতাশ চিকিৎসক দ্বিতীয় জনকেও একই প্রশ্ন করলেন।

দ্বিতীয় পাগল: মঙ্গলবার

… হতাশ হয়ে চিকিৎসক তৃতীয় জনকেও একই প্রশ্ন করলেন।

তৃতীয় পাগল: ৯

‘ভেরি গুড! এবার বলো তো, তুমি এটা কীভাবে বের করলে।’ খুশি হয়ে বললেন চিকিৎসক।

তৃতীয় পাগল: খুবই সহজ! ৩৯৮ থেকে মঙ্গলবার বিয়োগ করেছি!

কৌতুক-০৪১

ক্রিং ক্রিং !!!

বেজে উঠলো পাগলাগারদের টেলিফোনটা ।

রিসিপশনিস্ট মেয়েটা ফোন ধরে বললেন,” হেল্লো ,কিভাবে সাহায্য করতে পারি?? ”

ওপাশ থেকে উত্তর দিল ,” আপা , দেখেন তো রুম নাম্বার ৪৭ এ কেউ আছেনি ?? ”

মেয়েটা জবাব দিল ,” জ্বিনা ,কেউ নাই ,আপনি কাকে চাচ্ছেন ?? ”

লোক তা আবার বলল ,” দেখেন তো ভালো মত ,কেউ আছে কিনা ,সিউর হইয়া বলেন না প্লিজ । ”

মেয়েটা রুম নাম্বার ৪৭ এ গেল ,ভালমত দেখে এসে নললো ,” না রে ভাই,কেউ নাই…আপনি কাকে চাচ্ছেন ??? ”

অপরপ্রান্ত হতে উত্তর আসলো,” যাক,তাইলে ঠিক মতই পালাইছি ”!!!

< কৌতুক-০৪২ মানসিক রোগীর রোরশাখ ইঙ্কব্লট টেস্ট নিচ্ছেন মনোচিকিৎসক। হিজিবিজি কিছু কালির ছোপ রোগীকে দেখানো হয় এ টেস্টে। প্রথম কার্ডটা এগিয়ে দিলেন তিনি। ‘বলুন তো এটা কিসের ছবি?’ ‘একটা ছেলে একটা মেয়েকে জাপটে ধরে চুমু খাচ্ছে।’ দ্বিতীয় ছবিটা এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। ‘এটা কিসের ছবি বলুন তো?’ ‘ঐ ছেলেটা এবার মেয়েটার জামাকাপড় খুলে ফেলছে, আর মেয়েটা চেঁচাচ্ছে হাঁ করে।’ আরেকটা ছবি এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। ‘এটা কিসের ছবি বলুন তো?’ ‘ছেলেটা মেয়েটার চুল টেনে ধরে ঘাড়ে কামড় দিচ্ছে, আর মেয়েটা খিখি করে হাসছে।’ ডাক্তার আর পারলেন না। ‘দেখুন, রিয়াদ সাহেব, আপনার রোগ খুব জটিল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আপনার মনটা খুবই নোংরা, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি।’ রিয়াদ সাহেব চটে আগুন। ‘নিজে যত রাজ্যের নোংরা ছবি এগিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, আর বলছেন আমার মন নোংরা?’ কৌতুক-০৪৩ এক বিখ্যাত ব্যক্তি পাগলাগারদ পরিদর্শনে এসে জানতে চাইলো মনোবিদরা কিভাবে বোঝেন একজন রোগীকে হাসপাতালে রাখতে হবে কী না। জবাব এলো, আমরা রোগীকে একটা চা চামচ, একটা চায়ের কাপ আর একটা বালতি দেই। তারপর পানিভরা বাথটাব দেখিয়ে বলি খালি করার জন্য। এখান থেকেই বুঝতে পারি লোকটা পাগল না সুস্থ। বিখ্যাত ব্যক্তি বললো, ও বুঝেছি। সুস্থ লোক বালতি দিয়ে বাথটাবের পানি সরাবে কারণ এটাই সবচেয়ে দ্রুত উপায়। না, সুস্থ লোক বাথটাবের পানি বেরিয়ে যাবার প্লাগটা খুলে দিবে। জবাব এলো। কৌতুক-০৪৪ এক পাগল সারাদিন চিল্লাত”গুলতি বানাব, পাখি মারব”…। তাকে ৬ মাস পাগলা গারদে রাখা হল। ৬ মাস পর ডাক্তার বলছে … -আপনি ত এখন ভাল হয়ে গেছেন…বাড়ি জাবেন কবে? -কাল -বাড়ি যেয়ে কি করবেন? -মেয়ে দেখব ! -কেন? -বিয়ে করব -তারপর? -বাসর রাত করব -তারপর? -বউ এর চুমা খাব…। -তারপর? -বউ এর শাড়ি খুলব -তারপর? -ব্লাউস খুলব -তারপর? -ব্রা খুলব -তারপর? -তারপর আর কি? ব্রা এর ইলাস্টিক দিয়ে গুলতি বানাব আর পাখি মারব… আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বুশ পাগলা গারদ পরিদর্শনে গিয়েছেন। এক পাগল তাকে জিজ্ঞাসা করল, কি হে, তুমি কে? প্রেসিডেন্ট বললেন, আমি আমেরিকার …প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। পাগল বলল, ও আচ্ছা, ব্যাপার না এখানে আসার পর আমি ও সবাইকে এই কথাই বলতাম। একটু পরে দুইটা ডান্ডার বাড়ি পড়লেই ঠিক হয়ে যাবে। কৌতুক-০৪৫ এক মানসিক রোগীদের হাসপাতাল… জুমন হাত দুটো সামনে বাড়িয়ে গুনগুন করছে। নার্স- জুমন, কী হচ্ছে এসব? জুমন- গাড়ি চালাচ্ছি, চট্টগ্রাম যাবো। পরদিন জুমন ঝিমোচ্ছে। নার্স- জুমন, কী হচ্ছে এসব? জুমন- মাত্র পৌঁছালাম চট্টগ্রামে, বিরক্ত কোরো না। এবার সুমনের ঘরে গেলো নার্স। সেখানে সুমন বিছানায় শুয়ে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করছিলো। নার্স- সুমন, কী হচ্ছে এসব? সুমন- জ্বালাতন কোরো না। জুমনের বউয়ের সাথে প্রেম করছি। ঐ শালা তো গেছে চট্টগ্রাম । কৌতুক-০৪৬ ২১২ জন যাত্রী নিয়ে জেট বিমানটি ৩৫ হাজার ফুট উপরে। হঠাৎ বিমানের পাইলট অট্টহাসি হাসতে লাগল। মাইক্রোফোনে সে হাসি শোনা গেল। দ্রুত ককপিটে গিয়ে একজন যাত্রী জনতে চাইল, এমনভাবে কেন হাসছেন, ক্যাপ্টেন? : আমি ভাবছি, সবাই কী ভাববে, যখন পাগলাগারদের ডাক্তার, নার্স, পাহাদাররা টের পাবে পাবে যে আমি পালিয়ে এসেছি। হা -হা-হা। কৌতুক-০৪৭ দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর ৩ পাগল কে নিয়ে বসেছেন ডাক্তার। চিকিৎসকঃ “৩ কে ৩ দিয়ে গুন করলে কত হয়??” ১ম পাগলঃ ৪২৫!! হতাশ চিকিৎসক পরের জনকেও একই প্রশ্ন করলেন।। দ্বিতীয় পাগলঃ “মঙ্গলবার!!” পুরোপুরি হতাশ হয়ে তৃতীয় জনকেও একই প্রশ্ন করলেন।। তৃতীয় পাগলঃ “৯!!” চিকিৎসক খুশি হয়ে বললেনঃ “ভেরি গুড!! এইবার বলতো এটা তুমি কিভাবে বের করলে??” কৌতুক-০৪৮ এক শিক্ষক ক্লাসে পড়ানোর এক ফাকে ছাত্রদের বললেন>>>

: বলতো যদি সূর্য পূর্ব দিকে উঠে তাহলে , আমার বয়স কত ??

: hints এর সাথে প্রশ্নের কোন লিঙ্ক না পেয়ে সবাই যখন হা করে আছে...........

তখন পেছন থেকে একজন বলে উঠল :

স্যার, আপনার বয়স ৪৬।

স্যার অবাক হয়ে বললেনঃ কি করে পারলে ???

ছাত্র মুচকি হেসে বলল.................. .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আমাদের এলাকায় একটা আধ পাগলা আছে...........বয়স ২৩

কৌতুক-০৪৯

একদিন এক মানসিক হসপিটালে সকল পাগল কান্না করছিল.... কিন্তু একটা পাগলে চুপচাপ শুয়ে ছিল !!! .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
ডাক্তার জিজ্ঞেস করল:" তুমি শুয়ে আছো কেন?? .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
তখন পাগলটি বলল... " আরে বেকুব আমি তো মারা গেছি এর জন্যই তো সবাই কান্নাকাটি করতাছে "

কৌতুক-০৫০

পাবনার পাগলদের ১ বছর ভালভাবে টিটমেন্ট করার পর তাদের মানসিক উন্নতি হল কিনা দেখার জন্য একটি পরীক্ষা নেওয়া হল। .
.
একটি পাথরের ফুটবল দিয়ে মাঠে সব পাগলদের ছেড়ে দেওয়া হল খেলার জন্য। .
.
কারন যার মানসিক উন্নত হবে সে কখনো পাথরের বল দিয়ে খেলা করবে না - .
.
সব পাগল এই পাথরের বলটি কে আঘাত করতে শুরু করলো। শুধু মাত্র একজন বাদে, এবং সে আমাদের বল্টু। ডাক্তাররা মনে করলো তার মানসিক উন্নতি হয়েছে। তাই বল্টুর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো। .
.
ডাক্তারঃ এই তুমি খেলবে না? সবাই বল দিয়ে খেলা করছে । তার মানে নিশ্চয় তুমি ভাল হয়ে গেছ। .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
বল্টুঃ না, আমি ভাবছি বলটি কখন উপরে উঠবে আর হেড মারব....


Developed by

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন