27 May, 2018

ক্রেতা-বিক্রেতা মজার কৌতুক




কৌতুক-০০১

নতুন এক গয়নার দোকানের মালিক সিদ্ধান্ত নিলেন তাদের দোকানের বিজ্ঞাপন শহরের প্রতিটি বিবাহিত মহিলার হাতে পৌছে দিতে হবে।

তিনি বিজ্ঞাপনগুলো খামে ভরে তাদের স্বামীদের নামে পাঠিয়ে দিলেন, আর খামের ওপরে লিখে দিলেন- ব্যক্তিগত ও অতি গোপনীয়।

কৌতুক-০০২

একদিন এক মেয়ে জুতা চয়েজ করলো। জুতা চয়েজ হলো কিন্তু সমস্যাটা হলো টাকা দিতে সে দেখলো তার সাথে কোন টাকা নাই! জুতার দোকানদারকে বেপারটা বল দোকানদার রাজি হইয়া গেলো বাকিতে আর কাল দিয়ে যেতে বলে।

এতে তার পার্শ্বের দোকানদার অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলো কিভাবে বিশ্বাস করলেন??

কাল যদি না আসে???

জুতার দোকানদার: কাল আসতেই হইবো!!

কারন ২টা ২ সাইজের জুতা দিয়া দিছি!!

ল্যাও ঠ্যালা .

কৌতুক-০০৩

বই বিক্রেতা : এই বইটা পড়লে হাসতে হাসতে মারা যাবেন।

ক্রেতা : তাহলে এক কপি দিন। আমার বসকে পড়তে দেব।

কৌতুক-০০৪

ক্রেতা : সবাই এই ঈদে কিছু না কিছু ছাড় দিচ্ছে, আপনারা দিচ্ছেন না কেন?

বিক্রেতা : আমরা এবার এই ‘ছাড়’ শব্দটাকেই ছাড় দিয়েছি!

কৌতুক-০০৫

ক্রেতা : এই ঈদে আপনাদের বিশেষ কোনো অফার আছে?

বিক্রেতা : অবশ্যই। এই ঈদে আমাদের মার্কেট থেকে আপনি যে পরিমাণ শপিং করবেন, পরের ঈদে তার দ্বিগুণ করলেই, তার পরের ঈদে পাবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।

কৌতুক-০০৬

দোকানদারের কাছে অদৃশ্য কালি চাইতেই-

দোকানদার বলল, ‘কী রঙের দেব বলুন।’

কৌতুক-০০৭

ক্রেতাঃ আলুর দাম কত?

বিক্রেতাঃ ১০ টাকা কেজি।

ক্রেতাঃ আত দাম কেন? আগে না ৬ টাকা ছিল?

বিক্রেতাঃ আগে দিতাম এখন দেই না

ক্রেতাঃ দুই কেজি আলু দাও।

আলু নিয়া টাকা না দিয়া ক্রেতা চলে জাচ্ছে, , , ,

বিক্রেতাঃ আই জে ভাই, টাকা না দিয়ে চলে জাচ্ছেন কেন?

ক্রেতাঃ আগে দিতাম এখন দেই না

কৌতুক-০০৮

এক পিচ্চি মেয়ে

দোকানদারকে বলছে,

মেয়ে:- আচ্ছা আঙ্কেল আমি যখন বড় হবো তখন আপনি কি আপনার ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে দিবেন?

দোকানদার হেসে দিয়ে, হ্যাঁ মামনি অবশ্যই দিবো।

মেয়ে:- ঠিক আছে, তাহলে আপনার হবু পুত্র বধূকে ফ্রি দুইটা আইসক্রিম দেন।

কৌতুক-০০৯

সমুদ্রসৈকতে একটি নান রুটির দোকান। তুহিনের খুব নানরুটি খেতে ইচ্ছা করলো।

তুহিন নানের অর্ডার দিল। দোকানদার বলল, নানরূটি দিতে দেরি হবে। আপনার আগে আরও দুইজনকে দিতে হবে। তুহিন অপেক্ষা করতে থাকলো।

কোথা থেকে একজন এসে বলল, বড় জলোচ্ছ্বাস আসছে উপকূলের দিকে। যেকোন সময় আঘাত হানতে পারে। সবাই ছুটোছুটি শুরু করলো। নানরুটির দোকানদার দোকান ফেলে পালাতে লাগলো।

তুহিন খুব নির্বিকার ভঙ্গিতে বলল, "আমাকে নানটা দিয়ে যান।"

দোকানদার অবাক। "ভাই, সবাই জান বাঁচাতে ব্যস্ত, আর আপনি এখনও নান খেতে চান।"

তুহিন বলল, "আরে ভাই দিয়া যান, জলোচ্ছ্বাস হবে না।"

অগত্যা দোকানদার দুটো নান বানিয়ে তুহিনকে বলল,"এইযে খান, আপনার নান।"

কিন্তু আসলেই জলোচ্ছ্বাস হল না।

দোকানদার অবাক হয়ে তুহিনকে জিজ্ঞাসা করলো, "ভাই আপনি কিভাবে বুঝলেন জলোচ্ছ্বাস হবে না, একটু বলবেন??"

তুহিনের নির্বিকার উত্তর...... .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
“কেন শুনেন নি? Time & Tide wait for নান!!!!

কৌতুক-০১০

এক পিচ্চি দোকানে গিয়েছে, হাতে একটা বোতল।

পিচ্চিঃ এক লিটার আটা দিন তো।

দোকানদারঃ বাবু!! আটা লিটারে না কেজিতে বিক্রি হয়।

পিচ্চিঃ আচ্ছা। এই বোতলে এক কেজি আটা দিন তো!

দোকানদারঃ আহ! বাবু, এভাবে না। আটা বোতলে নেয় না।

আচ্ছা তুমি আমার জায়গায় আস, আমি দেখিয়ে দিচ্ছি কিভাবে বলতে হয়।

(পিচ্চি কাউন্টারের ওপাশে গেল আর দোকানদার কাউন্টারের সামনে)

দোকানদারঃ এক কেজি আটা দিন তো, .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পিচ্চিঃ বোতল আনছেন

কৌতুক-০১১

আস্ত মুরগির ফ্রাইটা মাত্র আয়েশ করে খেতে বসেছেন জলিল মিঞা, এমন সময় রেস্টুরেন্টের এক কর্মচারী এসে হাজির।

বিনীত ভঙ্গিতে বললেন কর্মচারী, ‘স্যার, কিছু মনে করবেন না। ওই টেবিলে যে বিশালদেহী লোকটাকে দেখছেন, সে আমাদের নিয়মিত কাস্টমার। প্রতিদিন এসে মুরগির ফ্রাই খায়। আজ আমাদের এখানে একটাই ফ্রাই অবশিষ্ট ছিল, সেটা আপনাকে দেওয়া হয়েছে। এখন মুরগির ফ্রাই না পেয়ে ভীষণ খেপেছেন তিনি। যদি কিছু মনে না করেন, আপনার ফ্রাইটা ওনাকে দিই, আপনি অন্য কিছু খান।’

রেস্টুরেন্টের কর্মচারীকে পাত্তাই দিলেন না জলিল।

বললেন, ‘ধুত্তোরি, তোমার বিশালদেহীকে অন্য কিছু খেতে বলোগে, যাও।’

কিছুক্ষণ পর হাতা গোটাতে গোটাতে উঠে এল বিশালদেহী। বলল,

‘আমার মুরগি আমাকে দিয়ে দিন। নইলে…’

জলিল: নইলে কী করবেন, শুনি? বিশালদেহী: আপনি মুরগিটার সাথে যা করবেন, আমিও আপনার সাথে তা-ই করব। আপনি যখন ওর রানটা ছিঁড়বেন, আমিও আপনার রান ছিঁড়ে নেব। আপনি যখন ওর ঘাড়ে কামড় বসাবেন, আমিও আপনার ঘাড়ে কামড় বসাব….!’ .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
জলিল একটুও ঘাবড়ালেন না। ফ্রাই করা মুরগিটার পায়ে আলতো করে চুমু খেয়ে নিজের একটা পা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,

‘এবার আপনার পালা!’

কৌতুক-০১২

একদিন এক লোক রেস্টুরেন্টে গেল---

লোকঃ এই, গরম কি আছে ?

বালকঃ বিরানী, খিচুরি,তেহারি।.

লোকঃ আরো গরম কি আছে ?

বালকঃ মোগলাই পরোটা, পুরি।

লোকঃ আরো গরম কি আছে ?

বালকঃ দুধ, চা, কফি।

লোকঃ আরো গরম কি আছে ?

বালকঃ (বিরক্ত হয়ে) আছে চুলার জ্বলন্ত কয়লা।

লোকঃ যা এক প্লেট নিয়া আয়।

বালকঃ কেনো ? কি করবেন ?

লোকঃ বিড়ি জ্বালাইয়াম...

কৌতুক-০১৩

ছোট্ট খোকা এক সকালে দোকানের একটা সাইকেল দেখিয়ে বলল-

খোকা : আঙ্কেল, আপনাদের এই সাইকেলটা কি রাত পর্যন্ত থাকবে?

দোকানদার : নিশ্চয়ই। কিন্তু কেন?

খোকা : কারণ, আমি এখন বাড়ি গিয়ে সাইকেলটা কেনার জন্য ঘ্যান ঘ্যান শুরু করব। দুপুর নাগাদ বিরক্ত হয়ে মা আমাকে মারবেন। সন্ধ্যা অবধি আমার কান্না থামবে না।

বাধ্য হয়ে রাতে বাবা আমাকে সাইকেলটা কিনে দেবেন।

কৌতুক-০১৪

ক্রেতা গেছেন পর্দার দোকানে

ক্রেতা : ভাই, আমাকে একটা পর্দা দিন তো।

বিক্রেতা : কয় গজ?

ক্রেতা : আরে গজ না! এক ফুট দিলেই হবে।

বিক্রেতা : এক ফুট পর্দা কোন জানালায় লাগাবেন??

ক্রেতা : কেন! আমার কম্পিউটারের ‘উইন্ডোজ’-এ!

কৌতুক-০১৫

রঞ্জু মিয়া বড়ই কৃপণ। একবার তিনি গেছেন কলা কিনতে।

রঞ্জু মিয়া : কি ভাই, এই ছোট্ট কলাটার দাম কত?

বিক্রেতা : তিন টাকা।

রঞ্জু মিয়া : দুই টাকায় দেবে কি না বলো?

বিক্রেতা : বলেন কি! কলার ছোকলার দামই তো দুই টাকা।

রঞ্জু মিয়া : এই নাও এক টাকা। ছোকলা রেখে আমাকে কলা দাও।

কৌতুক-০১৬

বারাক ওবামা তরকারির দোকানে গেল। দোকানদার অনন্ত জলিল।

ওবামা : ভাই দুই লিটার টমেটো দেন তো!

একথা শুনে পাশের দোকানের শাকিব খান হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায়।

অনন্ত : কিরে ছাকিপ হাসছ কেন?

শাকিব : হা হা হা, কত্ত বড় বেকুব! দুই লিটার টমেটো কিনতে আসছে কিন্তু বোতলটাই আনে নাই।

কৌতুক-০১৭

৮ বছর বয়সের এক বালক দোকানে গিয়ে বলল-

বালক : মামু এক প্যাকেট বিড়ি দাও।

দোকানদার : কেন? তুই কি বিড়ি খাস নাকি?

বালক : আরে না। বিড়ি তো নিচ্ছি আমার ছোট ভাইয়ের জন্য। আমাকে একটা বেনসন দাও।

কৌতুক-০১৮

আকাশ ও তার বন্ধু গেছে পানের দোকানে-

আকাশ : একটা পান দেন।

দোকানদার : কি দিয়ে খাবেন?

আকাশ : কেন, দাঁত দিয়ে।

দোকানদার : বলছি কিভাবে খাবেন?

আকাশ : চিবিয়ে খাব?

দোকানদার : আরে ভাই, সাথে কি খান?

আকাশ : সাথে আমার বন্ধু হাবলু খাঁন।

দোকানদার : আরে মিয়া ভাই, আপনি কি জর্দা খান?

আকাশ : জ্বি না।

দোকানদার : তাহলে?

আাকাশ : আমি আকাশ খাঁন।

কৌতুক-০১৯

কমল বাজারে গেছে মাছ কিনতে। মাছ বিক্রেতা কমলের ব্যাগে মাছ তুলে দিয়ে বলল-

বিক্রেতা : এই নাও, তোমাকে ওজনে কিছুটা কম দিলাম বাসায় নিয়ে যেতে সুবিধা হবে।

কমল : এই নিন টাকা।

বিক্রেতা : একি মাছের দাম তো একশ’ টাকা, দশ টাকা দিলে কেন?

কমল : টাকা একটু কম দিলাম, আপনার গুনতে সুবিধা হবে!

কৌতুক-০২০

জানালার পর্দার কাপড় কিনতে শান্তা একটা কাপড়ের দোকানে ঢুকেছে। অনেক ঘেঁটেঘুঁটে শেষে একটা ঝলমলে গোলাপি রঙের কাপড় পছন্দ হয়েছে তার। কাপড় কাটার সময়-

দোকানি : কয় গজ কাপড় লাগবে আপনার?

শান্তা : কয় গজ মানে! পাক্কা পনেরো ইঞ্চি কাপড় কেটে দাও।

দোকানি : পনেরো ইঞ্চি মানে! পাগলে পেয়েছে আপনাকে? এই কাপড় দিয়ে কোনো জানালার পর্দা হবে!

শান্তা : আরে মিয়া, এই পর্দা তো আমার কম্পিউটারের জন্য।

দোকানি : কম্পিউটারের জন্য! কম্পিউটারে কেউ পর্দা দেয় নাকি?

শান্তা : ‘কেউ দেয় না, আমি দিই। কারণ আমার কম্পিউটারে ‘উইন্ডোজ’ আছে!

কৌতুক-০২১

একবার কালু আর লালু দুজনে এক দোকানে গেল

দোকানে সবাইকে কাজে ব্যাস্ত দেখে কালু ৩টে চকলেট পকেটে পুরে নিলো। দোকানের বাইরে এসে…

কালুঃ দেখলি তো…..আমি ৩টে চকলেট তুলে নিলাম, অথচ কেউ কিছু বুঝতেই পারলো না। তুই কখনই এটা করতে পারবি না।

এটা শুনে লালু খুব রেগে গিয়ে বললঃ চল, আমি এর থেকে কিছু বেশি তোকে দেখাচ্ছি।

তারা দুজনে আবার দোকানে গেল, এবং লালু দোকানদারকে বললঃ আঙ্কেল, আপনি কি একটা জাদু দেখবেন?

দোকানদারঃ ঠিক আছে দেখাও।

লালুঃ তাহলে এরজন্য আমাকে ১টা চকলেট দিন।

দোকানদার লালুকে ১টা চকলেট দিল।

লালু সেটা খেয়ে নিয়ে আর ১টা চাইলো। দোকানদার আবার ১টা দিল।

লালু সেটা খেয়ে নিয়ে আবার ১টা চকলেট চাইলো।

দোকানদার এবারও তাকে চকলেট দিতেই লালু সেটাও খেয়ে ফেললো।

দোকানদারঃ আরে বাছা, এতে তোর জাদুটা কোথায় ??

লালুঃ উং…চুং…মুং. …এবার, .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আমার বন্ধুর পকেট চেক করুণ, আপনার ৩টে চকলেট ফেরত পেয়ে যাবেন

কৌতুক-০২২

বল্টু গেছে দোকানে বিষ কিনতে।

দোকানদার : ভাই বিষ দিয়া কি করবেন?

বল্টু: আত্মহত্যা করব।

দোকানদার: ক্যান ভাই?

বল্টু:কিছু কিছু জিনিস আছে কাউকে বোঝানো যায় না।

দোকানদার: মানে?

বল্টু:আজ সকালে আমি গরুর দুধ দোহাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে গরুটা বাম পা দিয়ে লাথি মারতে লাগল। আমি বাধ্য হয়ে বাশের সাথে বাম পা বেধে রাখলাম। এরপর গরুটা ডান পা দিয়ে লাথি মারা শুরু করল। আমি এবার গরুর ডান পা ও বাশের সাথে শক্ত করে বাধলাম। অবশেষে লেজ দিয়ে বাড়ি মারতে লাগল। ভাবলাম লেজটাও বেধে রাখি। কিন্তু লেজ বাধার জন্য কিছু পেলাম না। শেষমেষ নিজের বেল্ট খুলে বাধতে লাগলামবেল্ট খোলার কারণে আমার প্যান্ট হঠাৎ করে খুলে গেল। এমন সময় আমার বউ গোয়ালে এসেআমাকে ঐ অবস্থায় দেখলো। এখন আপনিই বলেন আমি আমার বউকেকি করে তা বোঝাব???? বউ আমাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গেছে।

এ জীবন আমি আর রাখতে চাই না।

কৌতুক-০২৩

জন সিনা একবার এক দোকানে গেছে রেসলিং এ জয়ী হওয়া ঘড়ি ঠিক করার জন্য।।।

জন সিনা : আমি আমার এই ঘড়িটা ঠিক করতে চাই। কত টাকা লাগবে???

দোকানদার : আপনি যা দিয়ে কিনেছেন তার অর্ধেক দিলেই চলবে।।।

দোকানদার : আপনি যা দিয়ে কিনেছেন তার অর্ধেক দিলেই চলবে।।।

জন সিনা : আমি ঘড়িটা ৩২ টা ঘুসি মেরে পেয়েছি। তো কয়টা দিতে হবে??? .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
দোকানদার বেহুশ!!

কৌতুক-০২৪

আনিস সাহেব : হ্যালো, আমি একটা বিজ্ঞাপন দিতে চাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন ম্যানেজার : আপনি শেষ মুহূর্তে ফোন করেছেন, মাত্র এক স্কয়ার ইঞ্চি খালী আছে।

আনিস সাহেব : না না, এত কম জায়গায় হবে না। আমি একটা হাতি বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিতে চেয়েছিলাম।

কৌতুক-০২৫

জন্য কুকুর কিনতে দোকানে গেলেন এক ভদ্রলোক।

ক্রেতা : ওটার দাম কত পড়বে?

বিক্রেতা : এক শ’ টাকা।

ক্রেতা : ওটার চেয়ে ছোট ওই পাশেরটা?

বিক্রেতা : ওটা তিন শ’ টাকা।

ক্রেতা : একেবারে ছোট ওই সাদাটা?

বিক্রেতা : ওটার দাম পাঁচ শ’ টাকা।

ক্রেতা বিরক্ত হয়ে : আচ্ছা, আমি যদি কোনো কুকুরই না কিনি তাহলে কত দিতে হবে?

কৌতুক-০২৬

ক্রেতা : তাড়াতাড়ি একটা পলিথিন

ব্যাগ দিন তো, এক্ষুনি আমাকে ট্রেন ধরতে হবে।

বিক্রেতা : .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
মাফ করবেন, ট্রেন ধরার মতো এত বড়

পলিথিন ব্যাগ আমার কাছে নেই।

কৌতুক-০২৭

বল্টু এক অফিসের ম্যানেজার পদে চাকরি পেল।

তো, বল্টু চাকরিতে জয়েন করার পরই কর্মচারীরা সময়মতো অফিসে আসা শূরু করল। কেউ লেট করেনা।

তাই দেখে অফিসের এম.ডি. একদিন বল্টুকে বললঃ ঘটনা কি? আগে তো কেউ সময়মতো অফিসে আসতোনা। আপনাকে ম্যানেজার করার পর থেকেই সবাই টাইমের আগেই চলে আসে! আপনি কি জাদু জানেন নাকি ??

বল্টুঃ না স্যার, জাদু-টাদু কিছুনা। আমি অফিস থেকে একটা চেয়ার সরিয়ে ফেলেছি। যে সবার পরে আসবে, তাকে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হবে !! তাই সবাই টাইমের আগেই চলে আসে !!!

কৌতুক-০২৮

একটা ভাঙ্গাচোড়া গাড়ির নিলাম হচ্ছে…

-১০ লাখ!

-২০ লাখ!

-৩০ লাখ!

এক লোক এই গাড়ির ভাঙ্গাচোরা অবস্থা দেখে পাশে দাঁড়ানোআরেক লোককে বলল, “ভাই এই ভাঙ্গাগাড়ির এত দাম কেন”?

লোকটি উত্তর দিল, “এই গাড়ীর একটি বিশেষত্ব আছে। এই পর্যন্ত এই গাড়িটার প্রায় ৫০ বার এক্সিডেন্ট হয়েছে এবং প্রতিবারই শুধু মালিকের বউ মারা গেছে….স্বামী কোনদিন মরে নাই।”

কৌতুক-০২৯

করিম গেছেন তোতাপাখি কিনতে। দোকানদার তিনটা তোতা দেখালেন। দোকানদার: প্রথম পাখিটার দাম ১০

হাজার টাকা। এটা বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে।

করিম: বাহ্! দ্বিতীয়টার দাম?

দোকানদার: এটার দাম ২০ হাজার টাকা। এটা শুধু তথ্যই সংরক্ষণ করে না, হিসাবও রাখতে পারে।

করিম: দারুণ! আর তৃতীয়টা? এটার দাম নিশ্চয়ই আরও বেশি?

দোকানদার: হু, এর দাম ৪০ হাজার টাকা। তবে বিশ্বাস করুন, আজ পর্যন্ত আমি এটাকে কিছু করতে দেখিনি।

বাকি দুটো একে ‘সিনিয়র অফিসার’ বলে ডাকে!

কৌতুক-০৩০

পাপ্পু এক দোকানে গেছে কেক কিনতে—

পাপ্পু: ভাই কেকের দাম কত? দোকানদার: দুটি কেকের দাম ২৫ টাকা।

পাপ্পু: তাহলে এই একটি কেকের দাম কত?

দোকানদার: ১৩ টাকা।

পাপ্পু: ঠিক আছে, ১২ টাকায় অন্য কেকটি দিয়ে দেন।

কৌতুক-০৩১

এক ভদ্রমহিলা এলেন বিশাল এক সুপার শপে। দোকানের বিক্রয়কর্মীকে দেখতে পেয়ে বললেন, আমার স্বামীর জন্য কিছু ফল নিতে চাচ্ছি। আপনাদের ফলগুলোতে কীটনাশক দেওয়া আছে নাকি?

বিক্রয়কর্মী মুখটা কানের কাছে এনে ফিসফিস করে বলল, ফল এখান থেকেই নিতে পারেন। কীটনাশক আমাদের পাশের দোকানে বিক্রি হয়। এনে দেব এক শিশি?

কৌতুক-০৩২

এক মহিলা মুরগির দোকানে গেছেন, দোকানে একটাই মুরগি আছে।

মহিলা: ওই মুরগির দাম কত?

দোকানদার: ২৭০ টাকা।

মহিলা: আরেকটা মুরগি দেখাও।

দোকানদার ওই মুরগিটাই ভেতরে নিয়ে গিয়ে আবার এনে বলল, ২৮০ টাকা।

মহিলা: আমাকে দুটি মুরগিই দাও।

কৌতুক-০৩৩

চালের দোকানে এসে বেশ হাসিমুখে কথা বলতে লাগল এক লোক।

-আসলে আমি এসেছি আপনাকে কিছু টাকা দেওয়ার জন্য।

দোকানদার বেশ অবাক হলো। টাকা দিতে এসেছেন? কিন্তু আপনার কাছে কখনো বাকিতে চাল বিক্রি করেছি বলে তো মনে পড়ে না?

লোকটা বলল, আপনি ঠিকই বলেছেন। আমার কাছে কখনোই আপনি বাকিতে চাল বিক্রি করেননি। সেই হিসেবে আমি আপনাকে কোনো বকেয়া টাকা দিতে আসিনি। আমি এসেছি আপনাকে কিছু বকশিশ দিতে। কারণ, আপনি আমার অনেক বড় উপকার করেছেন।

দোকানদার এবার আগের চেয়ে দ্বিগুণ অবাক হলো। “বকশিশ দিতে এসেছেন! আমি আপনার উপকার করেছি?”

-অবশ্যই উপকার করেছেন। কারণ, আপনি এই কয়েক মাসে চালের সঙ্গে যে পরিমাণ ইটের কণা দিয়েছেন, তাতে আমি সহজেই বাড়ির ছাদের ঢালাইটা সেরে ফেলতে পেরেছি।

কৌতুক-০৩৪

এক কেজি দুধ দিন।

—দুধ আমরা কেজি হিসেবে বিক্রি করি না।

—তাহলে আশি সেন্টিমিটার দুধ দিন।

—এক কেজি দুধ দিন।

—দুধ আমরা কেজি হিসেবে বিক্রি করি না।

—তাহলে আশি সেন্টিমিটার দুধ দিন।

কৌতুক-০৩৫

ইফতেখার সাহেব বইয়ের দোকানে গেছেন বই কিনতে।

বিক্রেতা: স্যার, এ বইটা নিয়ে যান। এটা একটা ভয়ের বই। এতে কালো জাদু সম্পর্কে লেখা আছে!

ইফতেখার সাহেব: দাম কত?

বিক্রেতা: তিন হাজার টাকা।

ইফতেখার সাহেব: এইটুকুন পাতলা বইয়ের এত দাম!

বিক্রেতা: জি, স্যার! এ বইতেও কালো জাদুর প্রভাব আছে। (ফিসফিস করে বলল বিক্রেতা, ভুলেও এ বইয়ের শেষ পৃষ্ঠাটা খুলবেন না! খুললেই আপনি জ্ঞান হারাবেন!)

কৌতূহল সামলাতে না পেরে বইটি কিনলেন ইফতেখার। পুরো বইটা পড়লেন, কিন্তু শেষ পৃষ্ঠা খুললেন না। একদিন সাহস করে শেষ পৃষ্ঠাটা উল্টে দেখলেন। তাতে লেখা আছে, সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য ৩০ টাকা

কৌতুক-০৩৬

ক্রেতা: তোমার দোকানে কি সবকিছু পাওয়া যায়?

বিক্রেতা: জি স্যার, সব পাবেন!

ক্রেতা: বিস্কুট আছে?

বিক্রেতা: ওহেহা, স্যরি স্যার, বিস্কুট একটু আগেই শেষ হয়ে গেছে।

ক্রেতা: চাল আছে?

বিক্রেতা: চাল স্যার এখনো এসে পৌঁছায়নি। আমি স্যার খুবই দুঃখিত।

ক্রেতা: সাবান আছে?

বিক্রেতা: স্যার, সাবান আজকে বিকেলে এলেই পাবেন, এখন নেই।

ক্রেতা: তালা আছে?

বিক্রেতা: জি জি স্যার! এটা আছে!

ক্রেতা: গুড। দোকানে তালা লাগাও, আর বাড়ি গিয়ে ঘুমাও।

কৌতুক-০৩৭

পল্টু বেকারির দোকানে নতুন চাকরি পেয়েছে। অথচ চাকরির দুই দিনের মাথায় দোকানমালিক তাকে ছাঁটাই করে দিল। কী তার অপরাধ?

দোকানে এক ভদ্রলোক এসেছিলেন। বলেছিলেন, খোকা, তোমাদের এখানে কি কুকুরকে খাওয়ানোর কেক পাওয়া যায়? পল্টু গদগদ হয়ে বলেছিল, অবশ্যই স্যার! এখানে খাবেন, না বাড়ি গিয়ে খাবেন?

কৌতুক-০৩৮

রেগেমেগে খেলনার দোকানে ঢুকলেন এক ভদ্রমহিলা। বললেন, ‘এই নিন আপনার খেলনা। আমার টাকা ফেরত দিন।’

দোকানদার: কেন, কেন? খেলনাটা তো খুবই ভালো। সহজে ভাঙে না।

ভদ্রমহিলা: এটা ভাঙে না। কিন্তু এটা দিয়ে আমার ছেলে ঘরের সবকিছু ভেঙে ফেলছে!


Developed by

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন