কৌতুক-০১
অফিসের বস মিটিংয়ে ব্যাস্ত অবস্থায় চাকর কে বলল চা দিতে। চাকর চা নিয়ে আসছে হটাত বস দেখল চাকর চায়ের ভিতরএকটা আঙ্গুল ডুবিয়ে রেখেছে। বস মহা ব্যাস্ততার ভিতর ভুলে গিয়ে চা খেয়ে নিল। পরে মনে হল চাকর তো চায়ের ভিতর আঙ্গুল দিয়ে রেখেছিল। বস ভীষণ রাগে চাকরকে ডাকল...
বসঃ তুই আমার চায়ের ভিতর আঙ্গুল দিয়ে রাখছিলি কেন?
চাকরঃ সার আঙ্গুলে ঘা হয়েছে তাই ডাক্তার বলেছে সবসময় গরম পানির ভিতর ডুবিয়ে রাখতে।
বস রেগে গিয়ে বলল আঙ্গুলটা তোর পাছার ভিতর দিয়ে রাখতে পারলি না…..? ↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
চাকরঃ সার চায়ের আগে আঙ্গুলটা ওখানেই ছিল।
কৌতুক-০২
এটা একটা শোনা গল্প, তবে ঘটনা সত্যি।
মিটিং রুমে একজন প্রেজেন্টেশন দিচ্ছেন তার বসের কাছে। বস হচ্ছেন আবার মহিলা। প্রেজেন্টেশনের এক পর্যায়ে মাইক্রোসফট এক্সেলে বিজনেস কেস দেখাচ্ছেন বসকে।
তো, বস বলছেনঃ উপরে ওঠ, নিচে নামো। ওইটা খোল (কোন একটা ফাইল দেখিয়ে)।
এমন সময় প্রেজেন্টার বলছেনঃ আপা, একটু আস্তে বলেন, বাইরে লোকজন শুনলে কি মনে করবে!
আপা বললেনঃ কেন?? ১০ সেকন্ড পর অবশ্য আপার মুখ খানা লাল হয়ে গিয়েছিল
কৌতুক-০৩
এক সেক্রেটারী বার্থডেতে তার বসের কাছ থেকে একটা এক্সপেন্সিভ PEN গিফট পেল।
সে বাসায় এসে রাতের বেলা PEN দিয়ে লিখে খুব মজা পেল।
পরদিন সকালে সে চিন্তা করল,বস কে ধন্যবাদ জানিয়ে একটা SMS করি।
SMS টি যখন আসলো তখন বস ঘুমিয়ে ছিল।
SMS টি পড়লো তার বউ।পড়েই সে বাপের বাড়ী চলে গেল।
…SMS টি ছিল এইরকম…
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
→ → → “Your penis wonderful, I enjoyed using it last night. Thanks.”
কৌতুক-০৪
মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান বিল গেটস; তুরস্কের নতুন অফিসের জন্য একজন কাবিল এমপ্লয়ি খুঁজছেন। প্রায় ২০,০০০ আবেদনপত্র জমা পরল
এই ২০,০০০ জনের মধ্যে, ‘তরফদার’ নামের এক বাংলাদেশীও আছেন।
বিল গেটস, ২০,০০০ আবেদনকারীকেই এক সাথে একটা বড় হল রুমে ডাকলেন।
বিল গেটস বললেন, এখানে যারা ‘জাভা প্রোগ্রামিং’ পারেন, শুধু তারা থাকবেন। বাকিরা, দয়া করে আসতে পারেন। ২০,০০০ এর মধ্যে ১০,০০০ জন হল ত্যাগ করলেন। তরফদার সাহেব মনে মনে ভাবলেন, আমি বরং থেকেই যাই এখানে… হারানোর তো কিছু নাই আমার…আর ‘জাভা প্রোগ্রামিং’ এমন কি জিনিষ!! চাকরিটা পেলে, দুই দিনে না’হয় শিখে নিব।দাড়িয়েই থাকি বরং
বিল গেটস এবার বললেন, এখানে যাদের ‘নেটওয়ার্কিং এ দক্ষতা আছে, শুধু তারা থাকবেন। বাকিরা, দয়া করে আসতে পারেন। ১০,০০০ এর মধ্যে ৫,০০০ জন হল ত্যাগ করলেন। তরফদার সাহেব মনে মনে ভাবলেন, ‘নেটওয়ার্কিং’ আর এমন কি জিনিষ!! চাকরিটা পেলে, দুই দিনের মামলা এটা!
বিল গেটস এবার বললেন, এখানে যাদের ‘ইউন্ডোজ ও ইউনিক্সএ দক্ষতা আছে’, শুধু তারা থাকবেন। বাকিরা, দয়া করে আসতে পারেন। ৫,০০০ এর মধ্যে ৩,০০০ জন হল ত্যাগ করলেন। তরফদার সাহেব মনে মনে ভাবলেন, ব্যাপার না… চাকরিটা পেলে, দুই দিনে শর্ট কোর্স করে নিব।
বিল গেটস এবার বললেন, যারা তুরস্কের ভাষা ফ্লুয়েন্টলি বলতে পারেন… তারা থাকবেন… আর বাকিরা, দয়া করে আসতে পারেন। ২,০০০ এর মধ্যে ১,৯৯৮ জন হল ত্যাগ করলেন… দুইজন দাড়িয়ে রইলেন; তরফদার আর আরেক ভদ্রলোক
বিল গেটস বললেন, “গুড, তোমরা দুইজন আমাদের সকল ক্রায়টেরিয়া ফুলফিল করেছো। তোমাদের এখন আমি টেস্ট নিব। তবে তার আগে আপনারা দুইজন একে অপরের সাথে তুরস্কের ভাষায় কিছু কথা বলুন তো দেখি”
তরফদার সাহেব পাশের ভদ্রলোককে আমতা আমতা করে বললেন, ‘ভাইজান, কেমন আসুইন’
পাশের ভদ্রলোক দাঁত বের করে বললেন, ‘এই তো, বালাই আছি… আফনে?’
কৌতুক-০৫
মহিলা সেক্রেটারি তার বস কে “স্যার আপনার স্ত্রী সবসময় আমাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে কেন দেখে??
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
বসঃ “কারণ তোমার আগে সে আমার সেক্রেটারি ছিল তাই…”
কৌতুক-০৬
সি. আই. এ অফিসে নতুন এজেন্ট দরকার। প্রার্থী দুইজন পুরুষ, একজন মহিলা।
এদের নার্ভ কেমন শক্ত তা পরীক্ষা করতে কর্তৃপক্ষ তাদের প্রত্যেককে একটি করে পিস্তল দিল।
এদের কাজ হবে পাশের রুমে এদের একজন প্রিয় মানুষ আছে। তাকে গুলি করতে হবে। তবে এদের জানানো হয়নি পিস্তলে আসলে কোন গুলি নেই।
প্রথম প্রাথী রুমে প্রবেশ করে দেখল একটি চেয়ারে হাত মুখ বাধা অবস্থায় তার স্ত্রী।
প্রিয় জনকে দেখে তার চোখ দিয়ে পানি …পড়তে শুরু করে। গুলি করার বদলে ছুটে গিয়ে সে তার স্ত্রীকে মুক্ত করল । ফলে এই পরীক্ষায় সে ফেল মারল।
দ্বিতীয় প্রার্থীর বেলায়ও একই ব্যাপার ঘটল।
তৃতীয় মহিলা প্রার্থী ভেতরে প্রবেশ করে তার স্বামীকে হাত বাধা অবস্থায় পেল। অনেকক্ষণ পর সেই মেয়ে হাপাতে হাপাতে বেরিয়ে আসল।
রেগে মেগে বলতে লাগল আপনারা কি পিস্তল দিয়েছেন গুলিই বের হয় না। শেষ পর্যন্ত পিস্তলের বাট দিয়ে পিটিয়ে আমার স্বামীকে মারতে হয়েছে।
কৌতুক-০৭
এক ট্রাক ড্রাইভার মালের ট্রাক নিয়ে বর্ডার এলাকায় গেছে ডেলিভারি দিতে।
অনেক দিন যাবত যেহেতু বাড়ির বাইরে তাই তার মনের মধ্যে রোমান্টিক কাজ করার জন্য ভীষন ভাবে তাড়না দিচ্ছিল।
অনেক খুঁজা খুঁজির পরে দালাল টাইপের একজনকে খুঁজে পাওয়া গেল।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে ড্রাইভার জানতে চাইল- মালের রেট কত?
দালালঃ মালের জন্য লাগবে এক হাজার টাকা, আমার জন্য লাগবে তিনশত টাকা আর পুলিশের জন্য লাগবে একশত টাকা।
ড্রাইভারঃ আরে শালা পুরাই পাংখা, দিল খুশ করে দিলিরে, যা প্রথমে পুলিশ ওয়ালাকে পাঠা ।
কৌতুক-০৮
স্বামী তার স্ত্রীকে বলছে…
স্বামী : “জানু…আমার অফিসে না আমি একটা সমস্যায় পরেছি।”
স্ত্রী : “আমার বলে না জান, বল আমাদের। আমি কি আর একা আছ? তুমি আর আমি এখন একজন, তাই তোমার সমস্যা এখন আমার সমস্যা।”
স্বামী : ওকে জান আমার !…আসলে আমাদের দ্বারা আমাদের “secretary” কিছুদিন আগে pregnant হয়ে গিয়েছে…!!!”
কৌতুক-০৯
এক পুলিশ এবং তার পরিবার আনন্দঘন পরিবেশে ছুটি কাটানোর জন্য সমুদ্র তীরবর্তী একটা রিসোর্ট ভাড়া করলো। নির্ধারিত দিনে জরুরী কাজ পড়ে যাওয়া পুলিশ বাধ্য হয়ে তার বউ এবং সন্তাকে পাঠিয়ে দিল এবং দুদিনের মধ্যে কাজ সেরে সে নিজেও পৌছে গেল।
প্রাকৃতিক নিরিবিলি পরিবেশে অপরুপ সুন্দরী বউকে কাছে টেনে নিয়ে কানে কানে বলল- “চলো ভালোবাসা নির্মান করি”।
বউ বলল- নো ডারলিং, এখান তো করা যাবে না, বাচ্চাটা দেখে ফেলবে।
স্বামী-তুমি ঠিকই বলেছ। চলো না বিচের এক কোনায় যাই, বিচতো খুবই নিরিবিলি মনে হচ্ছে।
কিছুক্ষন হাটাহাটি করে তার এক নিরিবিলতে ভালোবাসা নির্মানে ব্যস্ত হয়ে পরলো।
কিন্তু হঠাৎ করে কোথা থেকে এক পুলিশ এসে বলল- তাড়াতাড়ি কাপড় পড়ে নেন। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত এরকম পাবলিক প্লেসে অসামাজিক কাজ করছেন। লজ্জিত স্বামী তার পরিচয় দিয়ে বলল- দেখেন আমি একজন পুলিশ অফিসার, একটু নিরিবিলি একান্ত সময় কাটানোর জন্যই আমরা এসেছে, আমাদের ভুল হয়ে গেছে, আপনি যদি কেস ফাইল করেন তাহলে আর ইজ্জত থাকবে না।
পুলিশ অফিসার কিছুক্ষন ভাবলো, তারপর বলল- চিন্তার কিছু নেই – যেহেতু আপনি আমাদের একজন সহকর্মী আর এটা আপনার ফার্ষ্ট টাইম তাই আপনাকে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি কিন্তু এই মহিলাকে ছাড়া যাবে না কারন গত দুই দিনে তিন তিন বার তাকে ক্ষমা করা হয়েছে, আর সম্ভব না।
কৌতুক-১০
পুলিশ নাইট ক্লাবে হানা দিয়ে তিন মহিলার সাথে হোটেলের ম্যানেজারকেও(ছেলে) গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান করে দিল।
বিচার শুরু হলে জর্জ মেয়েদের প্রফেশন লাইফ সম্পর্কে প্রশ্ন করে রায় দিচ্ছেন-
প্রথম মেয়ে: স্যার, আমি একজন মডেল।
জর্জ তাকে তিন মাসের জেল দিলেন।
দ্বিতীয়মেয়ে: স্যার, আমি একজন অভিনেত্রী।
জর্জ তাকেও তিন মাসের দন্ড দিলেন।
তৃতীয় মেয়ে: স্যার, আমি কলগার্ল।
জর্জ তাকে বেকসুর খালাস দিলেন।
এবার জর্জ ম্যানেজারের দিকে তাকিয়ে- তা তোমার পেশা কি?
ম্যানেজারের উত্তর: স্যার আমিও কলগার্ল।
কৌতুক-১১
রাজীব আর মীনা ঈদের শপিং করতে কলকাতা গেছে।
এয়ারপোর্টে রাজীবের চেকিং শেষ।
মীনার চেকিং করার সময় বিভিন্ন প্রশ্ন করছে দুই কাস্টমস অফিসার।
প্রথম কাস্টমস অফিসারঃ আচ্ছা, ম্যাডাম! শুনেছি আপনাদের ঢাকা জায়গাটা খুব সুন্দর! সত্যি নাকি? একবার দেখতে খুব শখ হচ্ছে।
মীনা লজ্জা পেল, রাগও হল খুব। দাঁতে দাঁত কিড়মিড় করে এক ঘুষি দিয়ে অফিসারের ডান চোখে কালসিটে ফেলে দিল।
কাস্টমস অফিসার হত-বিহবল।
তার পাশের অন্য কাস্টমস অফিসার প্রশ্নটা খেয়াল করলেও ঘুষিটা খেয়াল করে নি।
দ্বিতীয় কাস্টমস অফিসারঃ আচ্ছা, ম্যাডাম! শুনলাম ওখানে নাকি স্পষ্ট দুটি ভাগ আছে, সত্যি নাকি? আমারও দেখতে খুব শখ হচ্ছে।
ফলাফল – তার ডান চোখেও কালসিটে।
কৌতুক-১২
আদালতে বিচার চলছিলো।
আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে একটি মেয়েকে অশ্লীল প্রস্তাব জানিয়েছে। মেয়েটিকে যখন বলা হলো আসামী তাকে কি প্রস্তাব দিয়েছিলো, সবার সামনে সে কথা বলতে মেয়েটি ভীষণ লজ্জা পেলো। আসামীর প্রস্তাবটা সে এক টুকরো কাগজে লিখে দিলো।
জজ সাহেব কাগজটা পড়ে তা জুরীদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। জুরীর প্রত্যেকে একে একে কাগজটা পড়ে সেটা পাশের জনকে বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন। জুরীদের মধ্যে একজন সুন্দরী মহিলাও ছিলেন। কাগজটা পড়ে পাশের জনকে দিতে গিয়ে তিনি দেখলেন, পাশের ভদ্রলোক ঝিমোচ্ছেন। তাঁকে মৃদু খোঁচা দিয়ে জাগিয়ে কাগজটা তাঁর হাতে গুঁজে দিলেন।
ভদ্রলোক কাগজটা পড়ার পর মহিলা সদস্যার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন, ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালেন। তারপর কাগজটা পকেটে রেখে হাসি মুখে বসে রইলেন।
কারণ কাগজে লেখা ছিলো
↓
↓
↓
↓
↓
“আমার সাথে বিছানায় যাবেন ?”
কৌতুক-১৩
পিয়ন: স্যার চিঠি এসেছে।
বদরাগী বসঃ কোন ছাগলের চিঠি?
পিয়নঃ স্যার আপনার।
বদরাগী বসঃ কোন গাধা লিখেছে?
পিয়নঃ আপনার বাবা বোধহয়।
কৌতুক-১৪
ইচ্ছে করতাছে বিয়াডা কইরাই ফালাই ।
তো এই জন্যে কাজী অফিসে ও গেছিলাম . . .
আমি: আসতে পারি ?
… কাজী: আসুন ।
আমি: ধন্যবাদ ।
কাজী: বসুন এবং বলুন আপনাকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি ?
আমি: জ্বি . .(ম ম ম) মানে এক জন ছাত্রের বিয়ে করতে কি কি লাগে ?
কাজী: কার জন্য?
আমি: আ আ আমার জন্য ।
কাজী: পাত্রী লাগবে,এস এস সি পরীক্ষার সনদ, দুই জন সাক্ষী , একশ টাকার স্ট্যাম্পে র একটা দলিল । আর বাকি থাকে কাবিন নামা ।ঐটার ব্যবস্থা আমি করব । বাকী গুলার ব্যবস্থা আপনি করেন ।
আমি: সব ব্যবস্থাই করতে পারব । তয়একটা কথা ছিল ।
কাজী: কী কথা ?
আমি: পাত্রীর এই খানে আসাটা কী জরুরি? ওরে না জানায়া কাজটা সারাযায় না ? ধরেন ওরে একটা সারপ্রাইজ দিলাম আর কি !!!
কৌতুক-১৫
অফিসের বড় সাহেবের ভয়ে সর্বদাই তটস্ত থাকে সেই অফিসের এক কেরানি।
একদিন সে তার সহকর্মীকে বললো- ভাই,আজকে আমার শরীর টা খুব খারাপ লাগছে। কি করি বলোতো?
স্যার তো এখন অফিসে নাই, তুমি বরং বাড়ী চলে যাও – বুদ্ধি দিলো বন্ধুটি।
সহকর্মীর কথায় সাহস করে সে বাড়ী চলে এল।
বাড়ী এসে জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে বড় সাহেব তার স্ত্রীর সাথে জড়াজড়ি করে হাসাহাসি করছে।
ভয়ে সে তৎক্ষণাৎ অফিসে ফিরে গেল।
একটু দম নিয়ে সহকর্মীকে বললো, তোমার কথা মত বাড়ী গিয়ে প্রায় ধরা পড়ে গিয়েছিলাম!
কৌতুক-১৬
এক লোক অফিস এ তার সহ কর্মী কে দেখলো যে সে কানে একটা কানের দুল পড়ছে।
এটা দেখে লোক টি অবাক হলো, কারণ সে জানতো যে তার সহ কর্মী লোক টি অনেক কনজার্ভেটিভ , তাই সে জিগ্গেস করলোঃ ভাই, তোমার কানে এটা কি?
২য় জন্ঃ আরে ভাই, এটা শুধুই একটা কানের দুল্।
১ম জন্ঃ কিন্তু তুমি তো আগে কানের দুল পড়তা না, হঠাৎ করে কানের দুল পড়া শুরু করছো কবে থেকে?
২য় জন্ঃ যেদিন আমার বউ আমাদের বিছানায় এই কানের দুল টি পেয়েছে সেদিন থেকে।
কৌতুক-১৭
শীতের রাত, চট্টগ্রাম থেকে ট্রাক নিয়ে ঢাকা ফিরছে। কেবিনে ড্রাইভার আর হেলপার। চৌদ্দগ্রামের কাছে পুলিশ ট্রাক থামালো। ড্রাইভারকে বল্লো দুইজন পুলিশকে ঢাকা নিয়ে যেতে হবে। ড্রাইভার অনিচ্ছাস্বত্তেও রাজী হলো। বেচারা হেলপারকে পেছনে চলে যেতে হলো। শীতের রাত, ড্রাইভারের হেলপারের জন্য খারাপ লাগছিলো। কিন্তু কিছু করার নেই।
পুলিশ অফিসার আলাপ জমানোর জন্য জানতে চাইলো, বাড়ি কই?
ডাইভারঃ কূড়িগ্রাম
পু.অঃ বাড়িতে কবে গেছেন শেষ?
ড্রাইঃ তাও ছয় মাস আগে
পু.অঃ তা বাড়ীর সবাই কেমন আছে?
ড্রাইঃ ভালো, বউ চিঠিতে জানাইছে হ্যায় তিন মাসের পোয়াতী
পু.অঃ কন কি! আপ্নে ছয় মাস বাড়ি যান নাই, আর আপ্নের বউ তিন মাসের পোয়াতী! তাইলে বাচ্ছাতো আপ্নের না! অবৈধ!
ড্রাইঃ হ, তাতো বুঝতেই পারতাছি।
পু.অঃ তা, এই জারজ কে নিয়ে কি করবেন?
ড্রাইঃ কি আর করমু, কিছুদুর পাড়াশুনা করাইয়া, পুলিশে ঢুকাইয়া দিমু!
কৌতুক-১৮
বস বলছেন কর্মচারীকে, ‘আপনি কি মৃত্যুর পরের জনমে বিশ্বাস করেন?’
কর্মচারী: জি স্যার।
বস: হুমম, করারই কথা। গতকাল আপনি মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর কথা বলে অফিস থেকে ছুটি নেওয়ার পর আপনার মা অফিসে এসেছিলেন, আপনার সঙ্গে দেখা করতে
কৌতুক-১৯
একটা ছোট্ট শহরের একমাত্র এনজিও শহরের গরীবদের জন্যে নানা সেবামূলক কাজ করে। তাদের এক কর্মী ডোনারদের লিস্ট পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখল, শহরের সবচেয়ে বড়লোক কোটিপতি উকিল একটা পয়সাও এনজিওকে দান করে নি।
কর্মীটি তখন সেই উকিলকে ফোন করে বলল, “আমরা খবর নিয়ে জেনেছি যে, আপনি এ শহরের সবচেয়ে বড়লোক, অথচ আপনি আমাদের সংস্থাকে আজ পর্যন্ত এক পয়সাও দান করেন নি।”
উকিল একটুক্ষণ চুপ করে বললেন, “তুমি তো অনেক খবর নিয়েছো দেখছি। …তুমি কি জানো যে, আমার মা দশ বছর ধরে অসুখে শয্যাশায়ী আর নিজের চিকিৎসার বিল মেটানোর কোনও ক্ষমতা ওঁর নেই।”
” না, তা জানি না।”
” আর আমার ছোট ভাই, অ্যাকসিডেণ্টে যারপা কাটা গেছে, একটা পয়সা রোজগার করার তার কোনও ক্ষমতা নেই।”
” তাওতো আমি জানি না” একটু লজ্জিত হয়েকর্মীটি স্বীকার করল।
“আমার বোনের স্বামী মারা গেছে, পাঁচ ছেলেকে রেখে। আমার বোনের একটা পয়সা ব্যাঙ্কে নেই যে বাচ্চাদের মানুষ করে।”
” সত্যি, এর কিছুই আমি জানতাম না”, কর্মীটি এবার বাস্তবিকই ক্ষমা চাইতে উদ্যত হয় ডোনেশন চাইবার জন্যে।
” এবার শোন”, উকিল বলে চলেন, “এদের কাউকে আমি একটা পয়সা দিই নি, তাহলে কেন তোমার ধারণা হচ্ছে – তোমায় আমি টাকা দেবো!”
কৌতুক-২০
ম্যানেজার তার নতুন সেক্রেটারীকে বললো, আমি এখন এক জরুরী মিটিং-এ ব্যস্ত থাকবো । কোন ফোন এলে পরে করতে বলবে ।
সেক্রেটারীঃ জরুরী কথা থাকলে?
ম্যানেজারঃ যে কথাই হোক তুমি স্রেফ না বলে দেবে। বলবে অমন কথা সবাই বলে । যা হোক আমি এখন কথা বলতে চাই না । হ্যাঁ মনে থাকে যেন । বলবে অমন কথা সবাই বলে।
ম্যানেজার যেতেই সেক্রেটারী ফোন রিসিভ করতে লাগলো এবং না করে দিলো; কিন্তু ওপাশের মহিলা জরুরী ভীষন জরুরী কথা ইত্যাদি বলে কিন্তু সেক্রেটারীকে গলাতে না পেরে বলেই ফেললো আমি তার স্ত্রী কথা বলছি…
সেক্রেটারী অধৈর্য কন্ঠে বললো, অমন কথা সবাই বলে…
কৌতুক-২১
কর্মচারী: স্যার, আমার একদিনের ছুটি দরকার।
বস: বছরে ৩৬৫ দিনে প্রতি সপ্তাহে দুদিন করে ৫২ সপ্তাহে আপনি সাপ্তাহিক ছুটি পান মোট ১০৪ দিন। বাকি রইল ২৬১ দিন। প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা আপনি অফিসের বাইরে কাটান। সে হিসাবে আপনি অফিসের বাইরে থাকেন মোট ১৭০ দিন। বাকি রইল ৯১ দিন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে আপনাকে চা পানের বিরতি দেওয়া হয়। হিসাব অনুযায়ী, রইল বাকি ৬৮ দিন। প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে আপনাকে দুপুরের খাবারের বিরতি দেওয়া… হয়। রইল বাকি ২২ দিন। দুদিন আপনি অসুস্থতার জন্য ছুটি কাটান। রইল ২০ দিন। বছরে ১৯ দিন থাকে সরকারি ছুটি, রইল আর ১ দিন।
সেই একটা দিনও আপনি ছুটি কাটাতে চান?
কৌতুক-২২
এক লোক সিঙ্গাপুরের রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে।
একটা সিগন্যাল অতিক্রম করার সময় সে দেখল, রাস্তার পাশে রাখা ক্যামেরা তার ছবি তুলেছে।
লোকটা তড়িঘড়ি করে স্পিডমিটার চেক করল। কিন্তু না, সবই ঠিক আছে। তাহলে ছবি তুলল কেন?
লোকটার মাথায় তো কিছুই ঢুকছে না।
সে ভাবল, কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে। তাই সে বিষয়টা আরেকটু পরীক্ষা করার জন্য একটু ঘুরে আবার ওই রাস্তায় এল। আবারও ক্যামেরা তার ছবি তুলল। এবার গাড়ির গতি গতবারের চেয়ে কম… ছিল।
তার কৌতূহল আরও বেড়ে গেল। সে ভাবল, নিশ্চয় কোথাও কোনো বড় রকমের ঝামেলা হয়েছে। এভাবে সে আরও তিনবার একই সিগন্যাল অতিক্রম করল। প্রতিবার গতি আগেরবারের চেয়ে কমিয়ে দিয়ে। কিন্তু ক্যামেরা প্রতিবারই তার ছবি তুলল।
এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর লোকটার ঠিকানায় তার নামে পাঁচটা চিঠি এল। সিটবেল্ট না বেঁধে ড্রাইভিং করার অপরাধে পাঁচটা চিঠিতেই তাকে জরিমানা করা হয়েছে!
কৌতুক-২৩
এক প্রবীণ শান্ত মেজাজের ভদ্রলোক হঠাত্ খেপে গিয়ে বাসে এক ভদ্রমহিলার মাথায় গাট্টা মারলেন।
এ নিয়ে আদালতে মামলা উঠেছে।
বিচারক বললেন, ‘আপনাকে দেখেশুনেতো মনে হয়না আপনি এমন বাজে কাজ করতে পারেন। কিন্তু বাসের সবাই সাক্ষী। এ কাজ আপনি করতে গেলেন কেন?’
অভিযুক্ত ভদ্রলোকটি বললেন, ‘হুজুর, শুনুন তবে কেন এমন স্বভাববিরোধী কাজটা করেছি। ভদ্রমহিলার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি। বাসটা যাচ্ছিল মতিঝিল থেকে মিরপুর। কন্ডাক্টর ভাড়া চাইতে এল| সিটে বসেই …তিনি হাতের বড় ব্যাগটা খুললেন, তা থেকে একটা ছোট ব্যাগ বের করলেন। তারপর বড় ব্যাগটা বন্ধ করে ছোট ব্যাগটা খুললেন উনি। তা থেকে একটা ১০ টাকার নোট বের করে ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন। তারপর বড় ব্যাগটি খুলে ছোট ব্যাগটি তার ভেতর পুরে বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন। কন্ডাক্টর ইতিমধ্যে দূরে সরে যাওয়ায় ভদ্রমহিলা আবার বড় ব্যাগটি খুললেন, ছোট ব্যাগটি বের করলেন। বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন, ছোট ব্যাগটি খুলে টাকাটা ছোট ব্যাগে পুরলেন। তারপর ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন, বড় ব্যাগটি খুললেন—!’
বিচারক অধৈর্য হয়ে বললেন, ‘কী একশবার ছোটব্যাগ-বড়ব্যাগ, বড়ব্যাগ-ছোটব্যাগ করছেন! ইয়ার্কি পেয়েছেন?’
অভিযুক্ত লোকটি বলল, ‘হুজুর, আপনি দুই মিনিট শুনেই ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন? ঝাড়া আধঘণ্টা ধরে দুই শত একত্রিশ বার চোখের সামনে এই জিনিস দেখার পর আমি গাট্টাটা মেরেছি।’
বিচারক রায় দিলেন,‘কেস ডিসমিসড।’
কৌতুক-২৪
অফিসের কাজে একবার রিয়াদ সাহেব এক শহরে গেলেন|
কিন্তু রাতে থাকার জন্য হোটেল খুজতে গিয়ে পড়লেন বিশাল এক ঝামেলায়, কারণ কোনো হোটেলে রুম পাওয়া যাচ্ছেনা!
ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে শহরের শেষ প্রান্তের শেষ হোটেলে গিয়ে হাজির হলেন|
হোটেলের ম্যানেজার বলল, “খালি রুম তো নাই, কিন্তু দোতলায় একটা ডাবল রুমের একটা বেড খালি আছে| কিন্তু একটা সমস্যা আছে! পাশের বেডের লোকটি প্রচন্ড জোরে নাক ডাকে সারারাত| বেশ কয়েকজন চেষ্টা করেও রাতে ঘুমাতে পারেনি| তাই মনে হয় আপনিও পারবেন না!”
রিয়াদ সাহেব বললেন,”ভাই আমি থাকতে পারব, সমস্যা হবে না!”
কি আর করা, হোটেলের ম্যানেজার তাকে ওই রুমে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন|
পরদিন সকালে রিয়াদ সাহেব বেশ সতেজ ও ফুরফুরে মেজাজে নিচতলায় সকালের নাস্তা করতে এলেন|
হোটেলের ম্যানেজার তাকে দেখে জিগ্যেস করলেন ঘুম কেমন হয়েছে?
রিয়াদ সাহেব বললেন যে তিনি খুব এরচেয়ে ভালো ঘুম আর কোনদিন ঘুমাননি!
হোটেলের ম্যানেজার অবাক হয়ে বললেন, “কিভাবে সম্ভব হলো?”
জবাবে রিয়াদ সাহেব হাসতে হাসতে বললেন,”রাতে রুমে ঢুকেই আমি তার গালে একটা চুমু দিয়ে বললাম যে সে খুব সুন্দর! এরপর নিজের বেডে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম| আর ও সারারাত বেডে বসে থাকলো!”
কৌতুক-২৫
অপু এবং নাছের দুই বন্ধু একই অফিসে চাকরি করে।
অপু: দোস্ত, কত দিন ধরে ছুটি পাই না। কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু বস তো কিছুতেই ছুটি দেবেন না।
নাছের: হুমম্। আমিও হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমি বসের কাছ থেকে ছুটি নিতে পারব, দেখবি?
বলেই নাছের টেবিলের ওপর উঠে দাঁড়াল এবং ছাদ থেকে বেরিয়ে আসা একটা রড ধরে ঝুলতে শুরু করল।
কিছুক্ষণ পর বস এলেন।
বস: এ কী নাছের! তুমি ঝুলে আছ কেন?
… নাছের খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল, ‘স্যার আমি লাইট, তাই ঝুলে আছি।’
বস ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন।
কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, ‘অতিরিক্ত কাজের চাপে তোমার মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা দিচ্ছে। তুমি বরং এক সপ্তাহের ছুটি নাও।’
নাছের অপুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রুম থেকে বিদায় নিল।
অপু চেয়ে চেয়ে দেখল। নাছের বেরিয়ে যেতেই সেও নাছেরের পিছু নিল।
বস: সে কী! ছুটি তো ওকে দিয়েছি! তুমি কোথায় যাচ্ছ?
অপু: কী আশ্চর্য! লাইট ছাড়া কাজ করব কী করে?!
কৌতুক-২৬
কর্মচারী : আমার স্ত্রী বলছিল, আমার মাইনেটা একটু বাড়লে ভালো হত।
মালিক : ঠিক আছে, আমিও এ বিষয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে নেব।
কৌতুক-২৭
—আপনাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা কেমন এখন?
—আমি মাসে পাই ১৫ হাজার রুবল, তারপর স্ত্রীও পায় ১৫ হাজার রুবল।
—সাকুল্যে ৩০ হাজার মাসে? বেশ তো!
—না, আপনি বোঝেননি। সাকুল্যে ১৫ হাজার। প্রথমে আমি বেতন পাই ১৫ হাজার রুবল, পরে আমার স্ত্রী আমার কাছ থেকে পায় ১৫ হাজার রুবল।
কৌতুক-২৮
সি. আই. এ অফিসে নতুন এজেন্ট দরকার। প্রার্থী দুইজন পুরুষ, একজন মহিলা।
এদের নার্ভ কেমন শক্ত তা পরীক্ষা করতে কর্তৃপক্ষ তাদের প্রত্যেককে একটি করে পিস্তল দিল।
এদের কাজ হবে পাশের রুমে এদের একজন প্রিয় মানুষ আছে। তাকে গুলি করতে হবে। তবে এদের জানানো হয়নি পিস্তলে আসলে কোন গুলি নেই।
প্রথম প্রাথী রুমে প্রবেশ করে দেখল একটি চেয়ারে হাত মুখ বাধা অবস্থায় তার স্ত্রী।
প্রিয় জনকে দেখে তার চোখ দিয়ে পানি …পড়তে শুরু করে। গুলি করার বদলে ছুটে গিয়ে সে তার স্ত্রীকে মুক্ত করল । ফলে এই পরীক্ষায় সে ফেল মারল।
দ্বিতীয় প্রার্থীর বেলায়ও একই ব্যাপার ঘটল।
তৃতীয় মহিলা প্রার্থী ভেতরে প্রবেশ করে তার স্বামীকে হাত বাধা অবস্থায় পেল। অনেকক্ষণ পর সেই মেয়ে হাপাতে হাপাতে বেরিয়ে আসল।
রেগে মেগে বলতে লাগল আপনারা কি পিস্তল দিয়েছেন গুলিই বের হয় না। শেষ পর্যন্ত পিস্তলের বাট দিয়ে পিটিয়ে আমার স্বামীকে মারতে হয়েছে।
কৌতুক-২৯
রাহাত রাত ১২ টায় অনেক কষ্টে লাইব্রেরিয়ান এর নাম্বার যোগার করে তাকে ফোন দিল।
: লাইব্রেরি কয়টায় খুলবে?
: সকাল ৯ টায়? এটা জানার জন্য তুমি এত রাতে ফোন দিয়েছ?
: জ্বি, এর আগে খোলা যায় না প্লিজ?
: কেন হঠাৎ কি এত জরুরি দরকার পড়লো যে তুমি সকাল ৯ টার আগেই ঢুকতে চাচ্ছ?
: কে বলেছে আমি ঢুকতে চাচ্ছি?? আমি তো বের হতে চাছি !!
কৌতুক-৩০
মকবুল: দয়া করে তাড়াতাড়ি ৫০৬ নম্বর কক্ষে চলে আসুন।
হোটেল ম্যানেজার: কেন, সমস্যা কী?
মকবুল: আমার স্ত্রী জানালা দিয়ে লাফ মেরে আত্মহত্যা করতে চাচ্ছে।
হোটেল ম্যানেজার: আপনি স্বামী হয়ে কিছু করছেন না। আর আমি কী করতে পারি?
মকবুল: আরে ভাই, এখন কথা বলার সময় নয়। আমার স্ত্রী কিছুতেই জানালা খুলতে পারছে না। জানালাটা খুলে দিয়ে যান
হোটেল ম্যানেজার তো পুড়াই তাসকি!!!
কৌতুক-৩১
মফস্বল শহরে বেড়াতে এসে একজন ট্যুরিষ্ট একটা রেস্তোরাঁয় ঢুকল। ঢুকে সে দুটো সিদ্ধ ডিম আর চায়ের অর্ডার দিল। খাওয়া শেষে তাকে বলা হল বিল পঁচিশ টাকা।
ট্যুরিষ্ট বলল, এত দাম ডিমের? তোমাদের এখানে কি ডিম পাওয়া যায় না?
ওয়েটার বলল, ডিম পাওয়া যায়, কিন্তু ট্যুরিষ্ট পাওয়া যায় না।
কৌতুক-৩২
ওয়েটারকে প্রশ্ন করা হলো, আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন কী?
সেদিন আসবে কবে, যেদিন থেকে লোকজন রেস্টুরেন্টে খাওয়া বন্ধ করে দেবে, তবে টিপস পাঠাবে মানি-অর্ডার করে?
কৌতুক-৩৩
হোটেল গেস্ট : এ রুমেই চলবে। তবে একটা অ্যাটাস্ট বাথরুম লাগবে।
হোটেল রিসেপশনিস্ট : এটা রুম নয়, এটা আমাদের লিফট।
কৌতুক-৩৪
ঢাকা যাদুঘরে গ্রামের
এক লোক
ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত
হয়ে এক
চেয়ারে বসে আরাম
...করছিল।।
ঠিক তখনি যাদুঘরের এক
কর্মচারী ছুটে এসে বললেনঃ “আরে আরেহ,
করছেন কি??
জলদি ওঠেন!!
এইটা তো নবাব সিরাজ-
উদ-দৌলার চেয়ার!!”
লোক: “উইঠা যামু ভাই,
সিরাজ-উদ-
দৌলা সাহেব আইলেই
উইঠা যামু!!”
কৌতুক-৩৫
মিলিটারিদের '' সাহস '' পরীক্ষা করছে তাদের প্রধান। এক মিলিটারিকে দূরে দাঁড় করিয়ে রেখে মাথায় লেবু রেখে বন্দুক দিয়ে সেই লেবুটিকে গুলি করল। মিলিটারিটি একদম নড়ল না। লেবুটি ফেটে গিয়ে তার শার্টটিকে নষ্ট করে দিল।
তাদের প্রধান তাকে ৫০ টাকা দিয়ে বলছে- ‘সাবাস, এই টাকা দিয়ে সাবান কিনে শার্টটি ধুয়ে নিও’।
মিলিটারিটি বলল - ‘তাহলে আরোও ৫০ টাকা দিন, প্যান্টটিও ধুতে হবে’।
কৌতুক-৩৬
মন্টু টেলিফোনে বিয়ে করানোর ব্যুরো খুলছে। প্রচার করছে এভাবে,
পাত্র/পাত্রী দেখার জন্য এক ১ টিপুন।
Engagement এর করার জন্য ২ টিপুন।
আর, বিয়ে করার জন্য ৩ টিপুন।
তখন একজন লোক বলল, ভাই আমি দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য কি টিপুম?
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
মন্টু:- দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য প্রথম স্ত্রীর গলা টিপুন।
কৌতুক-৩৭
মর্জিনা: আমাকে ২০০ টাকা বাড়িয়ে দিন।
নইলে আপনার দোকানে কাজ করতে পারমু না।
মালিক: তোর আগে আবুলও তো এই দোকানে কাজ করেছে। তাকেও তো ১০০ টাকা দিয়েছি। তোকে ৩০০ দিব কেন?
মর্জিনা: আবুল যখন কাজ করতো তখন যা
কাস্টমার আসতো, আমি আসার পরে তা চার গুণ বেড়ে গেছে। সেই লাভ শুধু আপনি ভোগ করবেন। তা কি হয়?
কৌতুক-৩৮
অফিসের বড় সাহেব বলছেন কর্মচারীকে, করিম সাহেব, আপনি নাকি অফিসে এসে সারাদিন ইন্টারনেটে শেয়ার বাজারের ওয়েব সাইটে বসে থাকেন?
করিম সাহেব : দুঃখিত স্যার, আমাকে ক্ষমা করুন।
বড় সাহেব : না না, আমি আপনার উপর খুবই সন্তুষ্ট।
করিম সাহেব (অবাক হয়ে) : কেন স্যার?
বড় সাহেব : আপনার অন্তত অফিসে এসে ঘুমিয়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই!
কৌতুক-৩৯
আমেরিকায় এক গবেষণায় দেখা গেছে:
বেকারদের খেলা: বাস্কেটবল।
শ্রমিকদের খেলা: ফুটবল।
ফোরম্যানদের খেলা: বেসবল।
ম্যানেজারদের খেলা: টেনিস।
সিইওদের খেলা: গলফ।
সিদ্ধান্ত: কর্পোরেট কাঠামোতে যে যত উঁচুতে, তার বল তত ছোট।
কৌতুক-৪০
মালিকঃ আমাদের দোকানে যে পচা ডিমগুলো ছিলো সেগুলো কে কিনলো??
কর্মচারীঃ লিয়াকত সাহেব।
মালিকঃ গত বছরের পাঁচ কেজি আটা?
কর্মচারীঃ লিয়াকত সাহেব।
মালিকঃ আর ঐ মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া সেমাইগুলো?
কর্মচারীঃ লিয়াকত সাহেবই সব নিয়ে গেছেন।
এমন সময়মালিকের মুখকালো হয়ে গেল। কপাল দিয়ে ঘাম ছুটতে লাগলো।
কর্মচারী ভয় পেয়ে জিজ্ঞাস করল- হুজুর আপনার কি শরীর খারাপ লাগছে? ↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
মালিকঃ না, লিয়াকত সাহেবের বাসায় আজ আমার সপরিবারে দাওয়াত আছে।
কৌতুক-৪১
ম্যানেজার: স্যার, সব সময় আপনি শুধু বিবাহিত লোকদের নিয়োগ দেন কেন?
বস: কারণ, একমাত্র বিবাহিতরাই গালাগাল শুনেও কাজ ছেড়ে যায় না।
কৌতুক-৪২
মনিব : কুকুর মারা গেল আমার আর হাউমাউ করে কাঁদছিস তুই। এত কান্নাকাটির কী হল ?
চাকর : আমর কাম অনেক বাইড়া গেল সাহেব কইতে গেলে ও-ই তো সব পরিস্কার কইরা রাখত। চায়ের কাপ, থালা – বাসন সব তো ও-ই চাইটা-পুইটা সাফ করত। আমি শুধু ওকে তালিম দিতাম।
কৌতুক-৪৩
হ্যাঁলো, এটা কি ফায়ার সার্ভিস অফিস?
-হ্যাঁ।
-দেখুন, মাত্র কিছুদিন হলো আমি আমার ফুলের বাগান করেছি। নানা জাতের ফুল ফুটেছে...
-আগুন লেগেছে কোথায়?
-গোলাপের চারাগুলো খুব দামি, অর্ডার দিয়ে বিদেশ থেকে আনিয়েছি...
-কোথায় আগুন লেগেছে তা-ই বলুন, শিগগির।
-তাই তো বলছি। আগুন লেগেছে আমার পাশের বাড়ি। আপনারা তো এক্ষুনি আসবেন। তাই অনুরোধ করছি, আগুন নেভানোর ফাঁকে একটু পানি ছিটিয়ে দিয়েন।
কৌতুক-৪৪
কমিশনার সাহেব বাসায় আছেন ?
কেন ?
আমার একটা চারিত্রিক সার্টিফিকেট দরকার |
তিন মাস পরে আসেন, উনি নারীঘটিত কেসে ছয় মাসের জেলে আছেন ||
কৌতুক-৪৫
ছোট্ট রানু গেছে গোয়েন্দাদের অফিসে। দেয়ালে ‘ওয়ান্টেড’-এর তালিকায় টাঙানো অপরাধীদের ছবি দেখে সে গোয়েন্দা অফিসারকে প্রশ্ন করল, তোমরা কি সত্যিই ওদের গ্রেফতার করতে চাও?
গোয়েন্দা : অবশ্যই।
রানু : তাহলে ছবি তোলার সময়ই আটকে রাখলে না কেন?
কৌতুক-৪৬
প্রত্যেকদিন এক লোক তার অফিসের এক সুন্দরী মেয়ের কাছে যেয়ে খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে দাড়াই। তারপর লম্বা একটা নিঃশ্বাস নিয়ে মেয়েটাকে বলে“তোমার চুলের গন্ধ আসলেই মারাত্মক!!”
কয়েকদিন এইটা সহ্য করার পর মেয়েটা তার বসের কাছে নালিশ দিলো।
বস অবাক হয়ে বলে“সে তোমার চুলের গন্ধের প্রসংসা করছে এতে এতো রাগ করার কি আছে!!!”
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
↓
মেয়েটা বিরক্ত হয়ে বলে“বস লোকটা হচ্ছে বাইট্টা আবুল। সে তো আমার কোমর পর্যন্ত লম্বা। বুঝতেছেন সে কোন চুলের প্রসংসা করে???”
কৌতুক-৪৭
মিটিং রুমে একজন প্রেজেন্টেশন দিচ্ছেন তার বসের কাছে। বস হচ্ছেন আবার মহিলা। প্রেজেন্টেশনের এক পর্যায়ে মাইক্রোসফট এক্সেলে বিজনেস কেস দেখাচ্ছেন বসকে।
তো, বস বলছেনঃ উপরে ওঠ, নিচে নামো। ওইটা খোল (কোন একটা ফাইল দেখিয়ে)।
এমন সময় প্রেজেন্টার বলছেনঃ আপা, একটু আস্তে বলেন, বাইরে লোকজন শুনলে কি মনে করবে!
আপা বললেনঃ কেন?? ১০ সেকন্ড পর অবশ্য আপার মুখ খানা লাল হয়ে গিয়েছিল।
কৌতুক-৪৮
তিন অপরাধীকে পাঁচ বছরের জন্য কারাভোগের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিচারক সদয় হয়ে তাদের একটা সুযোগ করে দিলেন। জেলখানায় সময় কাটানোর জন্য তারা চাইলে সঙ্গে কিছু নিতে পারবে। প্রথম অপরাধী সঙ্গে নিল একটা খাতা আর কলম। দ্বিতীয়জন সঙ্গে নিল একটা রেডিও। আর তৃতীয়জন নিল এক বাক্স সিগারেট।
পাঁচ বছর পর প্রথমজন যখন বেরিয়ে এল, তখন দেখা গেল, জেলখানায় তার সময় ভালোই কেটেছে। জেলের জীবন নিয়ে সে একটা উপন্যাস লিখে ফেলেছে।
দ্বিতীয়জনও আছে বেশ ফুরফুরে মেজাজে। জেলখানায় গান শুনে তার চমৎকার সময় কেটেছে।
তৃতীয়জন বেরিয়ে এল বিধ্বস্ত অবস্থায়। চুল উসকোখুসকো, উন্মাদপ্রায় দশা। বাক্সভর্তি সিগারেট হাতে নিয়ে সে কাতরস্বরে বলল, ‘কারও কাছে একটা দেশলাই হবে?’
কৌতুক-৪৯
দুই কয়েদি পালিয়েছে জেল থেকে। আবার যখন তাদের আটক করা হলো, কারারক্ষক প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা জেল থেকে পালিয়েছিলে কেন?’
১ম কয়েদি: কারণ, জেলখানার খাবার খুবই জঘন্য। খাওয়া যায় না।
কারারক্ষক: কিন্তু তোমরা জেলের তালা ভাঙলে কী দিয়ে?
২য় কয়েদি: সকালের নাশতার রুটি দিয়ে!
কৌতুক-৫০
বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলল এক কয়েদি, ‘হুজুর, আমাকে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি একেবারেই নিরপরাধ। আমাকে আপনি বাঁচান।’
সাক্ষী ব্যাংক কর্মকর্তা চিৎকার করে বললেন, ‘না হুজুর! পাঁচ ব্যাংক ডাকাতের মধ্যে এই লোকও ছিল। আমি নিশ্চিত।’
কয়েদি: অসম্ভব! এই লোকটা মিথ্যা বলছে হুজুর। আমরা চারজন ছিলাম!
কৌতুক-৫১
বড় কর্তার সেক্রেটারির সঙ্গে বড় কর্তার স্ত্রীর কথা হচ্ছে—
সেক্রেটারি: ম্যাডাম, কয়েক দিন ধরে আপনাকে বেশ উদাস দেখা যাচ্ছে। কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি!
বড় কর্তার স্ত্রী: আর বোলো না। শুনেছি তোমার বস অফিসের এক নতুন কর্মচারীর প্রেমে পড়েছে।
সেক্রেটারি: বলেন কী! এটা কিছুতেই হতে পারে না। স্যার কিছুতেই আমাকে ধোঁকা দিতে পারেন না।
কৌতুক-৫২
বসের সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছে কর্মচারীর।
কর্মচারী: স্যার, আজকে আমার শরীরটা খুব খারাপ। আজ অফিসে আসতে পারব না।
বস: শরীর খারাপ থাকলে আমি কী করি জানো? আমার প্রেমিকার সঙ্গে রিকশায় ঘুরে বেড়াই, বেশ ভালো লাগে। তুমিও চেষ্টা করে দেখতে পারো।
কিছুক্ষণ পর বসকে ফোন করলেন কর্মচারী। বললেন, ‘স্যার, আপনার বুদ্ধিটা বেশ কাজে লেগেছে। রিকশায় ঘুরে খুব ভালো লাগছে। আপনার প্রেমিকাও বেশ স্মার্ট, রিকশা ভাড়াটা সেই দেবে বলেছে…!’
কৌতুক-৫৩
বস-কর্মকর্তার মধ্যে কথা হচ্ছে—
কর্মকর্তা: স্যার, এবার আমার বেতনটা একটু বাড়িয়ে দিলে ভালো হতো।
বস: কেন? কর্মকর্তা: গত সপ্তাহে বিয়ে করেছি। তাই আগের বেতনে দুজনের চলাটা বেশ কষ্ট হবে, স্যার। বস: নিয়ম কানুন ঠিকমতো পড়ে আসুন। অফিসের বাইরের কোনো দুর্ঘটনার জন্য অফিস কোনোভাবেই দায়ী নয়। আর তার জন্য জরিমানা দিতেও অফিস রাজি নয়।
কৌতুক-৫৪
এক অফিসের কর্মচারীরা সবাই পৌঁছে যান একদম ঠিক সময়ে।
বসকে বললেন তাঁর এক বন্ধু, ‘তোমার কর্মচারীদের কী এমন জাদু করেছ যে তাঁরা এত সময়ানুবর্তী হয়ে গেল?’
বস হাসতে হাসতে বললেন, ‘জাদু না হে, আমার অফিসে একটা চেয়ার কম। সবাই সময়মতো পৌঁছাতে চেষ্টা করে, যেন দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়!’
কৌতুক-৫৫
অফিসের বস কর্মচারীদের বললেন, ‘আজ আমার মনটা বেশ ভালো। বলো, তোমাদের কী দাবিদাওয়া। আজ সব শুনব।’
এক কর্মচারী বললেন, ‘স্যার, আমরা ছুটি খুবই কম পাই। ছুটি একটু বাড়িয়ে দেওয়া যায় না?’
বস: কী রকম ছুটি চাও, বলো? কর্মচারী: ছয় মাসের ছুটি, বছরে দুবার!
কৌতুক-৫৬
একদিন দুপুরে বসের মুড বেশ ভালো। সে কর্মচারীদের একের পর এক কৌতুক শোনাচ্ছিল। কর্মচারীরাও হাসছিল হো হো করে। শুধু হাসছিলেন না এক মহিলা।
বস বললেন, ‘কী ব্যাপার, তুমি হাসছ না কেন?’
মহিলা: আমি কাল চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি। আমার অত হাসাহাসি না করলেও চলবে।
কৌতুক-৫৭
দুই বন্ধুর দেখা হলো বহুদিন পর।
প্রথম বন্ধু: শুনলাম তুই একটা ব্যবসা চালু করেছিস, কী সৌভাগ্য তোর!
দ্বিতীয় বন্ধু: আরে না, খুবই ছোট আকারের ব্যবসা।
প্রথম বন্ধু: তবু, তুই একটা অফিসের বস। তা তোর অধীনে অফিসে কতজন কাজ করে?
দ্বিতীয় বন্ধু: মোট লোকের অর্ধেক।
কৌতুক-৫৮
এক অফিসের বস কেবল বিবাহিত লোকদেরই নিয়োগ দেন।
একদিন তাঁর বউ তাঁকে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কেবল বিবাহিতদেরই নিয়োগ দাও কেন?’
স্বামী বললেন, ‘কারণ তারা সহজে বাসায় যেতে চায় না, ধমক সহ্য করে আর মুখ বন্ধ রাখতে জানে।’
কৌতুক-৫৯
অফিসের নতুন বড়কর্তা কাজের ব্যাপারে খুব কড়া। কাউকে একবিন্দু ছাড় দেন না। চাকরির প্রথম সপ্তাহেই একদিন খেপে গেলেন তিনি। রেগেমেগে রুম থেকে বেরিয়েই এক লোককে পাকড়াও করলেন। অফিসের সবার সামনে চিৎকার করে বললেন, ‘সপ্তাহে কত টাকা মাইনে পাও তুমি, শুনি?’
লোকটা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল, ‘৩০০০ টাকা’।
বড়কর্তা তাঁর মুখের ওপর ৩০০০ টাকা ছুড়ে দিয়ে বললেন, ‘এই নাও তোমার এ সপ্তাহের মাইনে, আর বেরিয়ে যাও।’
কৌতুক-৬০
লোকটা বেরিয়ে যাওয়ার পর বললেন বড়কর্তা, ‘প্রয়োজন হলে এভাবেই অফিসের প্রত্যেককে বের করে দেব আমি। যাই হোক, ওই লোকটা আমাদের অফিসে কী কাজ করে?’
কর্মচারীদের একজন বলল, ‘স্যার, ও আমাদের এখানে পিৎজা ডেলিভারি দেয়!’
কৌতুক-৬১
চিঠি পোস্ট করতে পোস্ট অফিসে গেছে নিতু।
কর্মকর্তা: চিঠিটা যদি দ্রুত পৌঁছাতে চান, খরচ পড়বে ৪০ টাকা। আর যদি স্বাভাবিক নিয়মেই পাঠাতে চান,
তাহলে খরচ পড়বে ৫ টাকা।
নিতু: সমস্যা নেই, আমার তেমন কোনো তাড়া নেই। প্রাপক তার জীবদ্দশায় চিঠিটা পেলেই হলো। কর্মকর্তা:
তাহলে আপনাকে ৪০ টাকাই দিতে হবে!
কৌতুক-৬২
বল্টু এক অফিসের ম্যানেজার পদে চাকরি পেল।
তো, বল্টু চাকরিতে জয়েন করার পরই কর্মচারীরা সময়মতো অফিসে আসা শূরু করল। কেউ লেট করেনা।
তাই দেখে অফিসের এম.ডি. একদিন বল্টুকে বললঃ ঘটনা কি? আগে তো কেউ সময়মতো অফিসে আসতোনা।
আপনাকে ম্যানেজার করার পর থেকেই সবাই টাইমের আগেই চলে আসে! আপনি কি জাদু জানেন নাকি ??
বল্টুঃ না স্যার, জাদু-টাদু কিছুনা।
আমি অফিস থেকে একটা চেয়ার
সরিয়ে ফেলেছি।
যে সবার পরে আসবে, তাকে দাঁড়িয়ে কাজ
করতে হবে !!
তাই সবাই টাইমের আগেই চলে আসে !!!
Developed by
No comments:
Post a Comment