27 May, 2018

স্বামী-স্ত্রীর কৌতুক


কৌতুক-০০১

স্ত্রীঃ " ওই মাতাল লোকটাকে দেখেছ???"

স্বামীঃ "কে সে??"

স্ত্রীঃ " ১০ বছর আগে সে আমার প্রেমিক ছিল...আমি তাকে বিয়ে করতে রাজি হই নি.. মানা করে দিয়েছিলাম"

স্বামীঃ " Oh my god... লোকটা এখনো সেটা celebrate করছে !!!"

কৌতুক-০০২

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথোপকথন—

স্বামী: পাশের ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে একটু চিনি নিয়ে এসো তো?

স্ত্রী: ওরা আমাদের চিনি দেবে না।

স্বামী: ওরা তো খুব কঞ্জুস!

স্ত্রী: ওদের কিপ্টেমির কথা আর বোলো না।

স্বামী: তাহলে আর কী করা; আমাদের আলমারি থেকেই চিনি বের করে চা করে নিয়ে এসো যাও।

কৌতুক-০০৩

অফিস থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে ভাতটা দাও।’

স্ত্রী ভাত বেড়ে দিল। ভাত খেয়ে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে পানি দাও।’

স্ত্রী পানি দিল। পানি খেতে খেতে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে এক কাপ চা দাও না আমাকে।’

এইবার স্ত্রী গেল খেপে, ‘পেয়েছ কী তুমি আমাকে, আমি তোমার চাকর? অফিস থেকে ফিরে একটার পর একটা খালি অর্ডার মেরেই যাচ্ছ…ছোটলোক, স্বার্থপর…’

স্বামী কানে তুলা গুঁজতে গুঁজতে বলে, ‘এই যে…শুরু হয়ে গেল।’

কৌতুক-০০৪

স্বামী: এখনো রাঁধ নি। আমি চললাম হোটেলে।

স্ত্রী: একটু দাড়াও, কাপড়টা পরে আসি। তারপর একসংগে যাব।

কৌতুক-০০৫

অভিযোগের সুরে স্ত্রী স্বামীকে বলল, বিয়ের আগে তুমি বলতে, আমি নাকি তোমার ‘সূর্য’। তাহলে এখন প্রতিদিন বারে গিয়ে বিয়ার খাও কেন?

—কী আশ্চর্য! সূর্যের গরমে তেষ্টা পাবে, সেটাই স্বাভাবিক না?

কৌতুক-০০৬

স্ত্রী: এ্যাই, খেলার চ্যানেল পাল্টাও, আমি এখন রেসিপির অনুষ্ঠান দেখব।

স্বামী: রেসিপির অনুষ্ঠান দেখে কি লাভ, তুমি কোনো দিন ওসব রান্না করবে নাকি?

স্ত্রী: এই বুড়ো বয়সে তুমিই বা ক্রিকেট খেলা দেখ কোন আক্কেলে?

কৌতুক-০০৭

বিয়ের পরদিন সকালের নাশতায় রুটিতে কামড় দিয়ে স্বামী বলল, ‘একি! রুটিতে এটা কী লাগিয়েছ?’

নতুন বউ জবাব দেয়, ‘রুটি পুড়ে গেছিল তো, তাই মাখনের বদলে স্যাভলন ক্রিম মাখিয়ে দিলাম। ভালো হয়নি খেতে?’

কৌতুক-০০৮

স্ত্রী: কী ব্যাপার, আয়নার সামনে অতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?

ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা ঠেকছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি কিছুতেই মনে করতে পারছি না।

কৌতুক-০০৯

রাতের বেলা কেনাকাটা সেরে রিকশায় বাড়ি ফিরছে নতুন দম্পতি। হঠাৎ স্ত্রী বলল, দেখো দেখো, চাঁদটা কী সুন্দর!

স্বামী গোমড়া মুখে বলল, রিকশা ভাড়া বাদে আমার কাছে আর একটা টাকাও নেই।

কৌতুক-০১০

স্বামী: ও গো শুনছ, একটু পর আমার একজন বন্ধু আসবে।

স্ত্রী: গাধা, বোকার হদ্দ কোথাকার, করেছ কী? দেখো না ঘরের কী অবস্থা? ভাঙা ফুলদানি, কাচের প্লেট, ঝাড়ু ঘরজুড়ে সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

স্বামী: এই জন্যই তো ওকে আসতে বলেছি। গর্দভটা বিয়ে করার কথা ভাবছে!

কৌতুক-০১১

স্বামী দেরি করে বাসায় ফিরলে জেরা শুরু করল স্ত্রী:

—কোথায় ছিলে এতক্ষণ?

—বন্ধুর বাসায়।

—কী করছিলে?

—দাবা খেলছিলাম।

—তাহলে তোমার শরীরে ভোদকার গন্ধ কেন?

—তবে কিসের গন্ধ থাকবে, দাবার?

কৌতুক-০১২

তোমার রান্না মোটেও আমার মায়ের মতো না।

—তোমার বেতনও মোটেই আমার বাবার মতো না।

কৌতুক-০১৩

স্ত্রীঃ অনেকক্ষন ধরে দেখছি তুমি আমাদের বিয়ের কাবিননামা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছ। “কী খুজছ শুনি?”

স্বামীঃ না মানে, তেমন কিছু না... মেয়াদ উত্তীর্নের তারিখটা দেয়া আছে কি না দেখলাম।

কৌতুক-০১৪

রঞ্জু রাগ করে বাসা ছেড়ে চলে গেছে। কিছুদিন পর রঞ্জু একটি ছাগল নিয়ে বাসায় এল।

এটা দেখে রঞ্জুর স্ত্রী বলল, ‘ওই বদমাশটাকে নিয়ে এলে কেন?’

রঞ্জু রেগে বলল, ‘বদমাশ বলছ কেন, দেখছ না এটা ছাগল!’

‘আমি তো ছাগলকেই জিজ্ঞেস করেছি।’—রঞ্জুর স্ত্রীর জবাব।

কৌতুক-০১৫

একটা কাপ নিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে ঘরে ঢুকল স্বামী। তাই দেখে তার স্ত্রী বলল, ‘একি! এত হাঁপাচ্ছ কেন? এই কাপটাই বা কোথায় পেলে?’

স্বামী: দৌড় প্রতিযোগিতায় দুজনকে হারিয়ে এটা পেলাম।

স্ত্রী: মাত্র তিনজন নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতা?

স্বামী: হ্যাঁ, প্রথমে আমি, তারপর পুলিশ আর সবার পেছনে এই কাপটার মালিক।

কৌতুক-০১৬

বাসররাতে কনে ঘরে অপেক্ষা করছে স্বামীর। সে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দুই ঘণ্টা ধরে। অতিষ্ঠ হয়ে শেষমেশ কনে ডাক দিল তাকে,

-এতক্ষণ ধরে ব্যালকনিতে কী করছ! ঠাণ্ডা লেগে যাবে তো! ঘরে এসো।’

-না গো, এখন আসব না। আমার বাবা সারা জীবন আমাকে বলে এসেছে, এই রাতটা হবে তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠ রাত। আমি সেটা মিস করতে চাই না।

কৌতুক-০১৭

এক লোকের বউ তাকে বলছে :

জান, আজকে আমি যখন গোসল করে তোয়ালা পেঁচিয়ে বাথরুম থেকে বের হয়েছি, তখন তোমার বাবা মানে আমার শ্বশুর আমাকে দেখে ফেলেছে।

স্বামীঃ তো তুমি তখন কি করলা?

স্ত্রীঃ জান, আমি কি আর আমার সংস্কার ভুলতে পারি?

আমি সাথে সাথেই তোয়ালা টা খুলে ঘোমটা দিলাম্ ।

কৌতুক-০১৮

মহিলা:হ্যালো আপনি কি বিবাহিত?
পুরুষ: না।
মহিলা: ওরে শয়তান, আমি তোর বউ। আজ বাড়ি আয় তুই।
ফোন কেটে গেল।
একটু পর:ক্রিং ক্রিং.....,
মহিলা: হ্যালো আপনি কি বিবাহিত?
পুরুষ: হ্যা।
মহিলা: কি বললি? তুই বিবাহিত? তাহলে এতদিন আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করলি কেন?
পুরুষ: না জানু। আমি আসলে অবিবাহিত।
মহিলা: ওরে, হারামজাদা। আজ তুই বাসায় আয়। আমি তোর বউ।
জামাই তো পুরাই বেহুশ।।।।।।।।।

কৌতুক-০১৯

পিসির সামনে বসে প্রোগ্রাম রচনা করছে প্রোগ্রামার। তার দৃষ্টি আকর্ষণের নানাবিধ চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর

তার স্ত্রী নতুন কেশবিন্যাস করল, নতুন পোশাক পরল, মেকআপ করল মন দিয়ে, তারপর তার কাছে গিয়ে বলল,

‘আমার দিকে তাকিয়ে দেখো তো। কোনো পরিবর্তন লক্ষ করছো?’

স্ত্রীর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে প্রোগ্রামার বলল, নতুন স্কিন?

কৌতুক-০২০

“অনেক কঠিন সময় যাচ্ছে আমার অফিসে। ২ দিন টানা অফিসে কাজ করতে হয়েছে একটা প্রোজেক্টের কাজে। তো এরকম শ্রান্ত হয়ে আমি সন্ধ্যাবেলা বাসায় ফিরলাম। আমার স্ত্রী আমাকে অনেক অনুরোধ করেছে আজকে আমি যাতে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরি। আমি অনেক ক্লান্ত আর এদিকে আমি দুপুরে খেয়েছি গাজরের হালুয়া আর পরাটা (যেটা আমার একদম খাওয়া ঠিক হয় নি)। আমার গ্যাসের অনেক সমস্যা। এসব খাওয়াতে গ্যাস অনেক ববেড়ে গিয়েছে।

আমি বাসায় ফিরার পর আমার স্ত্রী আমাকে দেখে অনেক উচ্ছ্বসিত হল। আর বলল “হানি, আজকে তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ ডিনার আছে। সে অনেক সময়ই এই কাজ করে। চমকে দিয়ে সারপ্রাইজ দিতে পছন্দ করে। যাই হোক সে আমাকে টেবিলে নিয়ে বসালো। দেখলাম যে টেবিলের পাশে সাদা পর্দা দিয়ে ব্লাইন্ডফোর্ড দেয়া। এদিকে গ্যাসে আমার অবস্থা খারাপ। আমার গ্যাস বের করা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। কি করব বুঝছি না। এই সময়ে আশীর্বাদের মত পাশের রুমে ফোন বাজলো। আমার স্ত্রী অই রুমে চলে গেল। আমি হাপ ছেড়ে বাঁচলাম। সে ফোন ধরতে গেল আর আমি সাথে সাথে বায়ুত্যাগ করলাম শব্দ করে। গন্ধ বের হল যেন ময়লার ডাস্টবিনের মতো।

আমি ন্যাপকিন দিয়ে নাড়তে গন্ধ তাড়ালাম। মানে চেষ্টা করতে লাগলাম।এরপর চাপ আরেকটা হাল্কা করার জন্য আরেকবার গ্যাস ছাড়লাম অ্যাটমবোমের মতো। এবার গন্ধ বের হল পচা শাঁকসবজির। আমি খেয়াল করছিলাম সে কতক্ষণ ফোনে কথা বলে। এরই মাঝে আরও কয়েকবার গ্যাস ছাড়লাম। গন্ধ বের হচ্ছিল পুরো সারের ট্রাক থেকে যেরকম গন্ধ আসে ওরকম। সে ফোনটা রেখে চলে আসছিল। এরমধ্যে আমি সর্বশেষ গ্যাসটা ছাড়লাম। খুবই শান্তি লাগছিল।

যাই হোক সে আসলো। সে এসে জিজ্ঞেস করল যে আমি সাদা পর্দা সরিয়েছি নাকি! আমি আশ্বস্ত করলাম যে আমি সরাই নি।

সে তখন সাদা পর্দাটি সরাল।

প্রায় ২০ জনের মতো বন্ধু আর আত্মীয় সেখান থেকে বের হয়ে আসলো আর বলল “শুভ জন্মদিন!!!!!!!!”

কৌতুক-০২১

মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল স্ত্রীর। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলেন, স্বামী বিছানায় নেই।

বিছানা থেকে নেমে গায়ে গাউন চাপালেন তিনি। তারপর স্বামীকে খুঁজতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলেন। বেশি খুঁজতে হলো না। রান্নাঘরের টেবিলেই বসে থাকতে দেখা গেল স্বামীকে। হাতে গরম এক কাপ কফি নিয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, গভীর

কোনো চিন্তায় মগ্ন।

মাঝেমধ্যে অবশ্য হাতের রুমাল দিয়ে চোখ থেকে পানি মুছে নিচ্ছেন, তারপর কফি খাচ্ছেন।

‘কী হয়েছে তোমার?’ রান্নাঘরে ঢুকতে ঢুকতে চিন্তিতভাবে বললেন স্ত্রী।

‘এত রাতে রান্নাঘরে কেন?’

স্বামী তাঁর স্ত্রীর দিকে তাকালেন। তারপর গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘হঠাৎ ২০ বছর আগের কথা মনে পড়ল।

খেয়াল আছে তোমার, যেদিন আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। আর তার পর থেকেই তো আমরা ডেট

করতে শুরু করেছিলাম।

তোমার বয়স ছিল ষোলো। তোমার কি মনে পড়ে সেসব?’

স্ত্রী তাঁর স্বামীর চোখের পানি মুছে দিতে দিতে জবাব

দিলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই মনে আছে।’

স্বামী একটু থেমে বললেন,

‘তোমার কি মনে আছে, পার্কে তোমার বাবা আমাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন?’

‘হ্যাঁ, আমার মনে আছে।’ একটা চেয়ার নিয়ে স্বামীর কাছে বসতে বসতে বললেন স্ত্রী।

স্বামী আবার বললেন, ‘মনে আছে, তোমার বাবা তখন রেগে গিয়ে আমার মুখে শটগান ধরে বলেছিলেন, ‘এক্ষুনি আমার মেয়েকে বিয়ে করো, নয়তো তোমাকে ২০ বছর জেল খাটাব আমি।’

স্ত্রী নরম সুরে বললেন, ‘আমার সবই মনে আছে।’

স্বামী আবার তাঁর গাল থেকে চোখের পানি মুছতে মুছতে বললেন,

‘আজকে আমি জেল

থেকে ছাড়া পেতাম।

কৌতুক-০২২

এক লোক স্ত্রীর সাথে বিদেশে শিকাগো শহর ঘুরতে গেলো। হোটেলে উঠে রুমে গিয়ে লোকটা বলল তুমি রেস্ট নাও… আমি বাইরে গিয়ে টিকেট বুকিং দিয়ে আসি।

তো স্ত্রী বিছানায় শুয়ে রেস্ট নিচ্ছিল।

তখনি রুমের জানালার পাশ দিয়ে এলিভেটেড ট্রেন চলে গেলো রকেট গতিতে;আর রুমটাকে এত জোরে কাঁপাল যে স্ত্রী ঝাকুনিতে মাটিতে পড়ে গেলো।

একটু পর আরেকটা ট্রেন গেলো। আবার সে ঝাঁকুনিতে মাটিতে পড়ে গেলো

এরপর সে ডেস্কে ফোন করে ম্যানেজারকে ডাকল।

…ম্যানেজার এসে বলল যে এটা সম্ভব না। শব্দ হয় ঠিকই ট্রেনের জন্য;কিন্তু এর জন্য কেউ মাটিতে পড়ে যাওয়া সম্ভব না

কিন্তু স্ত্রী বারবার বলতে লাগল যে এটা সত্যি।

“আপনি আমার পাশে শুয়ে দেখুন;ট্রেন আসলে আপনিও মাটিতে পড়ে যাবেন।“

তো স্ত্রী জিদ করাতে সে স্ত্রীর পাশে শুয়ে পড়লেন

আর তখনি স্বামী আসলেন

সে ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করলো “তুমি এখানে কি করছ?”

বিব্রত ম্যানেজার বললেন, “আপনি কি বিশ্বাস করবেন যে আমি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি”

কৌতুক-০২৩

করিম সাহেব এবং জরিনা বেগম স্বামী-স্ত্রী। দুজনের মধ্যে কিছুতেই বনিবনা হচ্ছে না। দিনরাত ঝগড়া লেগেই থাকে।

তাঁরা গেছেন একজনপরামর্শকের কাছে। সব শুনে পরামর্শক করিম সাহেবকে বললেন,

‘আপনাদের সমস্যাটা বুঝতে পেরেছি। শুনুন, আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটবেন।’

এক সপ্তাহ পর করিম সাহেবকে ফোন করলেন পরামর্শক।

পরামর্শক: কী খবর করিম সাহেব, আছেন কেমন?

করিম সাহেব: আমি তো খুবইভালো আছি! আপনার পরামর্শ কাজে লেগেছে।

পরামর্শক: বাহ! আপনার স্ত্রী কেমন আছেন?

করিম সাহেব: কী করে বলব? আমি তো বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে আছি!

কৌতুক-২৪

ঘরের বউ এর ২-৩ টা অবৈধ সম্পর্কের কথা শুনে স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেলো

বউ এর আরও ৪-৫ টা অবৈধ সম্পর্কের কথা শুনে শ্বশুরও হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেলো।

কিন্তু শাশুড়ির কিছু হল না… … কেন?? “কিউ কি সাস ভি কাভি বহু থি”

কৌতুক-০২৪

এক নব-বিবাহিত দম্পতি এক হোটেল এ রুম ভাড়া নিতে গিয়েছে ।

হোটেল ম্যানেজার : “দেখুন , আমাদের খাট-গুলো বেশ পুরাতন । এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । তো , স্বামী–স্ত্রী দের আমরা খাট দেই না । আপনারা কষ্ট করে ফ্লোর এ থাকবেন । “

এই বলে ম্যানেজার রুম-বয় কে ডেকে বলল : এই খাট গুলা সরা ।

স্বামী : দেখুন ভাই, আমরা নব বিবাহিত …

ম্যানেজার ( রুম বয়কে ডেকে ) : এই, চেয়ার গুলাও সরা..

কৌতুক-০২৫

স্বামীর অবর্তমানে স্ত্রী তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছিল। স্বামীর অপ্রত্যাশিত আগমন টের পেয়ে সবকিছু দ্রুত সামলে নিল সে।

বয়ফ্রেন্ডের গায়ে লোশন মেখে পাউডার ছিটিয়ে দিয়ে ঘরের এক কোণে দাঁড় করিয়ে বলল – তুমি এখন একটা স্ট্যাচু, একটুও নড়বে না,বুঝতে পেরেছ?

বয়ফ্রেন্ড স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। ঘরে ঢুকে স্বামী নতুন স্ট্যাচু দেখে খুব খুশি হলো। স্ত্রী এত সস্তায় এত সুন্দর একটা স্ট্যাচু কিনে এনেছে বলে ধন্যবাদ দিল।

গভীর রাতে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে স্বামী বিছানাছেড়ে নামল। ফ্রিজ খুলে এক পিস কেক নিয়ে স্ট্যাচুর সামনে গিয়ে দাঁড়াল। বলল,

.
.
.
.
.
.
কেকটুকু খেয়ে নাও। আমিও আমার গার্লফ্রেন্ডের বাসায় এভাবে তিনদিন দাঁড়িয়ে ছিলাম, কেউ কিছু খেতে দেয় নি ।

কৌতুক-০২৬

বসে বসে পতিপ্রবরের মাছি মারা দেখে স্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করছে—

স্ত্রী: কী করছ তুমি?

স্বামী: দেখছ না, মাছি মারছি।

স্ত্রী: তা কয়টা হলো?

স্বামী: তিনটা পুরুষ আর দুইটা স্ত্রী মাছি মারলাম।

স্ত্রী: কী করে পুরুষ-স্ত্রী বুঝলে?

স্বামী: কারণ, দুইটা মাছি ফোনের কাছে ঘুরঘুর করছিল, আর তিনটা মাছি দূর থেকে তা দেখছিল।

কৌতুক-০২৭

স্ত্রী : কী ব্যাপার! বাজার থেকে পেঁয়াজ আননি কেন, দাম বেশি বলে পেঁয়াজ আনবে না ?
স্বামী : না, ঠিক তা নয়।

স্ত্রী : তাহলে?
স্বামী : পেঁয়াজ কাটতে বসে তুমি প্রতিদিন চোখের জল ফেলবে, দৃশ্যটা আমি সহ্য করতে পারি না।

কৌতুক-০২৮

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফোনে কথা হচ্ছে।
স্ত্রী: (ধমকের স্বরে) কোথায় তুমি?

স্বামী: প্রিয়তমা, তোমার কি সেই জুয়েলারির দোকানটার কথা মনে আছে, যে দোকানের একটা গয়নার সেট তুমি পছন্দ করেছিলে এবং বলছিলে, ‘ ইশ্! যদি এটা কিনতে পারতাম? ’

স্ত্রী: (গদগদ স্বরে) হ্যাঁ প্রিয়তম, মনে আছে!
স্বামী: আমি সেই জুয়েলারির দোকানের ঠিক পাশের দোকানে বসে চা খাচ্ছি।

কৌতুক-০২৯

স্ত্রী : এই আজতো আমাদের ১ম বিবাহ বর্ষিকী। আমরা আজ কি করব?
.
.
.
.
স্বামী : একটু চুপ করো, আস আমরা দুই মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন করি।

কৌতুক-০৩০

স্ত্রীঃ কালতো আমাদের বিয়ে-বার্ষিকী!
স্বামীঃ আমাকে কি করতে হবে?
স্ত্রীঃ কিছু না, এই গোটা পঁচিশেক মুরগির রোস্টের ব্যবস্থা করলেই হবে।
স্বামীঃ পঁচিশ বছর আগের ভুলের জন্য আবার পঁচিশটা প্রাণী হত্যা করা কি ঠিক হবে?

কৌতুক-০৩১

ঘরে ঢুকতে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর গায়ে ধাক্কা লাগল-

স্ত্রী : উফ অন্ধ নাকি তুমি, দেখতে পাও না ?

স্বামী : অন্ধ না হলে কি আর তোমাকে বিয়ে করি।

কৌতুক-০৩২

: আপনি এত রাতে অন্য লোকের বাড়িতে ঢুকেছিলেন কেন ?

: ভেবেছিলাম ওটা আমার বাড়ি।

: তাহলে সে বাড়ির মহিলাকে দেখে আবার ছুটে বেরিয়ে এসেছিলেন কেন ?

: ভেবেছিলাম সে আমার স্ত্রী…

কৌতুক-০৩৩

মার্কেটে কেনাকাটার সময় এক ভদ্রমহিলাকে বলছেন এক লোক, ‘এই যে শুনুন।’

ভদ্রমহিলা: বলুন

লোক: এখানে এসে আমি আমার স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি কি আপনার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারি?

ভদ্রমহিলা: স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছেন তো আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন কেন?

লোক: না মানে…আমি লক্ষ করেছি, যখনই আমি কোনো অপরিচিত নারীর সঙ্গে কথা বলতে নিই, তখনই কোথা থেকে যেন আমার স্ত্রী এসে হাজির হয়!

কৌতুক-০৩৪

বাজার করতে গিয়ে এক লোক বন্ধুদের খপ্পরে পড়ে গেল। পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আড্ডা দেওয়ার পর বাজার করে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলো। হাঁটতে হাঁটতে বউয়ের কথা মনে পড়তেই তার শরীর কাঁপতে লাগল। কারণ, সে যে পরিমাণ দেরি করেছে, তাতে বউ তাকে আস্ত রাখবে না।

কিন্তু বউয়ের হাতে মার খেলে যেহেতু মানসম্মান থাকবে না, তাই সে বাঁচার জন্য একটা পথ খুঁজতে লাগল। খুঁজে খুঁজে পেয়েও গেল। তার ব্যাগে ছিল চিংড়ি মাছ। চিংড়িগুলো তখনো জীবিত ছিল। সে সিদ্ধান্ত নিল, চিংড়িগুলোকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে। করলও তা-ই।

বাড়িতে পৌঁছেই সে উঠানে ছেড়ে দিল চিংড়িগুলো। বউ তার সামনে এসে দাঁড়াতেই সে চিংড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে বলল, এই হাঁট হাঁট। জোরে হাঁট। এত আস্তে আস্তে হাঁটছিস বলেই তো তোদের নিয়ে বাড়ি ফিরতে এত দেরি হয়ে গেল।

কৌতুক-০৩৫

স্বামীর মৃত্যুর কয়দিন পরেই এক মহিলা তার দেবরকে বিয়ে করে ফেললেন। তার বান্ধবীদের অনেকেই ব্যাপারটা মনঃক্ষুন্ন হলো। একদিন মহিলার বাড়িতে বাড়িতে এসে তার বান্ধবীরা লক্ষ করল, শোবার ঘরের দেওয়ালে তার মৃত স্বামীর বিশাল একটা ছবি টানানো।

সবাই খুব খুশি হলো ছবি দেখে। এদের মধ্যে একজন মহিলার স্বামীকে চিনত না।

ছবি দেখে তাই সে জানতে চাইল, ছবিটা কার?

মহিলা বললেন, আমার ভাশুরের। কয়েকদিন আগে মারা গেছেন!

কৌতুক-০৩৬

wife :তুমি আমাকে কতটুকু ভালোবাসো ?

Hus : আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি, কখনও তোমাকে বুলতে পারবনা ।

wife : তুমি আমাকে কেমন ভালোবাসো একটো খুলে বলনা

Hus : okey, যেমন ধরো আমি হোলাম মোবাইল আরতুমি সিম কার্ড সিম কার্ড ছাড়া মোবাইল যেমন তোমাই ছাড়া আমি তেমন ।

wife : woow,, দারুনরোমান্টিক ,,,,,,,,,,,,,,,,,

Hus : (মনে মনে) আল্লাহ বাচাইছে সে বুজতে পারেনি আমি একটা চাইনা মোবাইল আর এর ভিতরে চারটা সিম ঢুকানু আছে,,,,,

কৌতুক-০৩৭

স্বামী: আচ্ছা বিয়ের আগে তোমাকে কেউ চুমু খেয়েছিল?

স্ত্রী: একবার পিকনিকে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে একা পেয়ে একটা ছেলে ছোরা বের করে বলেছিল, যদি চুমু না খাও, তাহলে খুন করে ফেলব।

স্বামী: তারপর তুমি চুমু খেতে দিলে?

স্ত্রী: দেখতেই পাচ্ছো, আমি এখনও বেঁচে আছি...

কৌতুক-০৩৮

বাসর ঘরে জামাই বৌ করার জন্য জামা কাপড় খুলেছে।

বৌ: আমার সবকিছু তোমার পছন্দ হইছে?

জামাই: সবকিছু ঠিক আছে তবে তোমার বুক দুইটা বেশী ঝুলে পরছে।

বৌ:মানে? EDEN College এ ৫টা বছর কি শুধু আমি পড়ছি? আমার বুক দুইটা পড়ে নাই??

কৌতুক-০৩৯

স্ত্রী: ওগো শুনছো, আমাদের মেয়ে নাবিলাকে রত্নার ছেলের সাথে বিয়ে দিলে কেমন হয়। আমাদের মেয়ের বয়স ১ বছর আর ওর ছেলের বয়স ২ বছর। তার মানে ওর ছেলের বয়স আমাদের মেয়ের বয়সের দ্বিগুন।

স্বামী: (চিন্তা করে) অর্থাৎ আমাদের মেয়ের বয়স যখন ২০ বছর হবে তখন রত্নার ছেলের বয়স হবে ৪০। না না না না আমি আমার মেয়েকে ওই বুড়ো লোকের সাথে বিয়ে দেবো না।

স্ত্রী: (হাসাতে হাসতে) আরে পাগল, আগামী বছরইতো আমার মেয়ের বয়স দুই বছর হয়ে যাবে। তাহলে তখন সমান সমান হয়ে যাবে না।

কৌতুক-০৪০

স্বামীঃ বছর খানেক আগেও তুমি ২৫০ মিঃ লিঃ কোকের বোতলের মতো ছিলে।

স্ত্রীঃ হ্যাঁ, আমি এখনো তাই আছি। পার্থক্যটা হলো আগে ছিলাম ২৫০মিঃলিঃ আর এখন ১.৫ লিটার !

কৌতুক-০৪১

স্ত্রীঃ আমার নতুন পোশাক কিনতে হবে।

স্বামীঃ কি আশ্চর্য, তোমার আলমারীটা না কাপড় চোপড়ে ঠাসা।

স্ত্রীঃ এ গুলো এলাকার মহিলারা দেখে ফেলেছে।

স্বামীঃ তাহলে চল এলাকা পরিবর্তন করে ফেলি।

কৌতুক-০৪২

নারী: আমি তোমাকে…

পুরুষ: আমিও তোমাকে…

নারী: আমি বহুদিন ধরে স্বপ্ন দেখে এসেছি, এই দিনটির…

পুরুষ: এই জীবনে এর চেয়ে তীব্রভাবে আর কিছু চাইনি আমি…

নারী: তোমার সবাই রাজি হবে তো?

পুরুষ: আমার পক্ষের কাউকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তোমার দিক থেকে কেউ বিরোধিতা না করলেই হলো…

নারী: আমার পক্ষের সবাই বহু আগে থেকেই রাজি…

পুরুষ: চমত্কার…

নারী: অবশেষে তুমি আর আমি…

পুরুষ: হ্যাঁ, চলো, যাওয়া যাক…

নারী: চলো…

তারা দুজন চলল ডিভোর্সের কাগজপত্র জমা দিতে।

কৌতুক-০৪৩

আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, ‘স্বামী হলো ওয়াইনের মতো, যত পুরোনো ততই ভালো।’

পরদিন সে আমাকে সেলারে আটকে রাখল।

কৌতুক-০৪৪

আমি ৪৯ বছর ধরে একজন নারীকেই ভালোবাসছি।

আমার স্ত্রী জানতে পারলে অবশ্য আমাকে খুন করবে।

কৌতুক-০৪৫

আমাদের বিয়েটা টিকে থাকার একটি রহস্য আছে।

আমি আর আমার স্ত্রী সপ্তাহে দুই দিন রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো খাবার খাই আর ওয়াইন পান করি।

আমি সোমবারে যাই আর আমার স্ত্রী যায় মঙ্গলবারে।

কৌতুক-০৪৬

স্ত্রীদের সঙ্গে তর্কের দুটি নিয়ম আছে।

যার কোনোটিই কার্যকরী নয়।

কৌতুক-০৪৭

আমার স্ত্রী গতরাতে বলছিল, আমি নাকি তার কোনো

কথাই মন দিয়ে শুনি না…নাকি…এ রকমই কিছু একটা… ঠিক মনে পড়ছে না।

কৌতুক-০৪৮

আমি সব সময় ওর হাত ধরে থাকি।

কারণ, হাত ছাড়লেই সে কেনাকাটা করতে যায়।

কৌতুক-০৪৯

স্বামীর তার স্ত্রীকে পেটানোর ইচ্ছা হয়েছে, কিন্তু স্ত্রীর কোন দোষ পাচ্ছে না। সে অনেক ভেবেও স্ত্রীর কোন দোষ পায় না। হঠাৎ স্বামী বাইরে থেকে এসে দেখে বাড়ির উঠানে একটি কুকুর শুয়ে আছে। সে এটা দেখে আর দেরি না করে দ্রুত ঘরে ঢুকে স্ত্রীকে পেটাতে থাকে।

স্ত্রীঃ (কাঁদো কণ্ঠে) আমারে মারতাছ ক্যান? আমি কি করছি?

স্বামীঃ ঐ হারামজাদি বাইরে এতক্ষণ ধইরা কুত্তা শুইয়া রইছে তুই বালিশ দেস নাই ক্যান?

কৌতুক-০৫০

আদালতে স্ত্রী কে উকিল জিগ্গেস করলোঃ আপ্নি কেনো আপনার স্বামীর সাথে ডিভোর্স নিতে চাচ্ছেন্?

স্ত্রীঃ সে রাত এ আমাকে খুব একটা সুখ দিতে পারে না।

স্ত্রীর বোন আদালতেই ছিলো। সে চিৎকার করে উঠলো – আপু , তুমি মিথ্যা বলতেছো কেনো?আমাকে দুলাভাই দিনেই এতো সুখ দিছে আমাকে যা আর কেউ দিতে পারে নাই, আর রাত এ তো . . . . . . .!!

কৌতুক-০৫১

স্বামী আর স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া। মুখ দেখা, কথা বন্ধ। রাতে শুতে যাওয়ার সময় স্বামীর মনে পড়ল পরের দিন ভোরবেলা ফ্লাইট । এদিকে স্বামী বেচারা সকালে উঠতে পারে না। সাত-পাঁচ ভেবে সে একটি কাগজে লিখল

” কাল সকাল চারটার সময় ডেকে দিও।”

কাগজটা স্ত্রীর বালিশের কোণায় চাপা দিয়ে স্বামী নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ল। পরের দিন সকালে সাড়ে আটটার সময় স্বামীর ঘুম ভাংল। সময় দেখে তার তো চক্ষু চড়কগাছ। রেগেমেগে চিৎকার করে স্ত্রীকে ডাকতে গিয়ে তার নজরে পড়ল বালিশের পাশে একটা চিরকুট। খুলে দেখল লেখা আছে

” চারটে বেজে গেছে, উঠে পড়ো।”

কৌতুক-০৫২

স্ত্রীঃ আজ তোমার কেমন লাগছে গো?

স্বামীঃ দারুন লাগছে ডার্লিং… ইচ্ছে করছে তোমার ভিতর চিরদিনের জন্য ডুকে যাই।

বারান্দায় কাজের বুয়াঃ ডুকে যাওয়ার আগে আমার টাকাটা দিয়ে যাবেন।

কৌতুক-০৫৩

সি. আই. এ অফিসে নতুন এজেন্ট দরকার। প্রার্থী দুইজন পুরুষ, একজন মহিলা।

এদের নার্ভ কেমন শক্ত তা পরীক্ষা করতে কর্তৃপক্ষ তাদের প্রত্যেককে একটি করে পিস্তল দিল।

এদের কাজ হবে পাশের রুমে এদের একজন প্রিয় মানুষ আছে। তাকে গুলি করতে হবে। তবে এদের জানানো হয়নি পিস্তলে আসলে কোন গুলি নেই।

প্রথম প্রাথী রুমে প্রবেশ করে দেখল একটি চেয়ারে হাত মুখ বাধা অবস্থায় তার স্ত্রী।

প্রিয় জনকে দেখে তার চোখ দিয়ে পানি …পড়তে শুরু করে। গুলি করার বদলে ছুটে গিয়ে সে তার স্ত্রীকে মুক্ত করল । ফলে এই পরীক্ষায় সে ফেল মারল।

দ্বিতীয় প্রার্থীর বেলায়ও একই ব্যাপার ঘটল।

তৃতীয় মহিলা প্রার্থী ভেতরে প্রবেশ করে তার স্বামীকে হাত বাধা অবস্থায় পেল। অনেকক্ষণ পর সেই মেয়ে হাপাতে হাপাতে বেরিয়ে আসল।

রেগে মেগে বলতে লাগল আপনারা কি পিস্তল দিয়েছেন গুলিই বের হয় না। শেষ পর্যন্ত পিস্তলের বাট দিয়ে পিটিয়ে আমার স্বামীকে মারতে হয়েছে।

কৌতুক-০৫৪

স্বামী তার স্ত্রীকে বলছে…

স্বামী : “জানু…আমার অফিসে না আমি একটা সমস্যায় পরেছি।”

স্ত্রী : “আমার বলে না জান, বল আমাদের। আমি কি আর একা আছ? তুমি আর আমি এখন একজন, তাই তোমার সমস্যা এখন আমার সমস্যা।”

স্বামী : ওকে জান আমার !…আসলে আমাদের দ্বারা আমাদের “secretary” কিছুদিন আগে pregnant হয়ে গিয়েছে…!!!”

কৌতুক-০৫৫

এক পুলিশ এবং তার পরিবার আনন্দঘন পরিবেশে ছুটি কাটানোর জন্য সমুদ্র তীরবর্তী একটা রিসোর্ট ভাড়া করলো। নির্ধারিত দিনে জরুরী কাজ পড়ে যাওয়া পুলিশ বাধ্য হয়ে তার বউ এবং সন্তাকে পাঠিয়ে দিল এবং দুদিনের মধ্যে কাজ সেরে সে নিজেও পৌছে গেল।

প্রাকৃতিক নিরিবিলি পরিবেশে অপরুপ সুন্দরী বউকে কাছে টেনে নিয়ে কানে কানে বলল- “চলো ভালোবাসা নির্মান করি”।

বউ বলল- নো ডারলিং, এখান তো করা যাবে না, বাচ্চাটা দেখে ফেলবে।

স্বামী-তুমি ঠিকই বলেছ। চলো না বিচের এক কোনায় যাই, বিচতো খুবই নিরিবিলি মনে হচ্ছে।

কিছুক্ষন হাটাহাটি করে তার এক নিরিবিলতে ভালোবাসা নির্মানে ব্যস্ত হয়ে পরলো।

কিন্তু হঠাৎ করে কোথা থেকে এক পুলিশ এসে বলল- তাড়াতাড়ি কাপড় পড়ে নেন। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত এরকম পাবলিক প্লেসে অসামাজিক কাজ করছেন। লজ্জিত স্বামী তার পরিচয় দিয়ে বলল- দেখেন আমি একজন পুলিশ অফিসার, একটু নিরিবিলি একান্ত সময় কাটানোর জন্যই আমরা এসেছে, আমাদের ভুল হয়ে গেছে, আপনি যদি কেস ফাইল করেন তাহলে আর ইজ্জত থাকবে না।

পুলিশ অফিসার কিছুক্ষন ভাবলো, তারপর বলল- চিন্তার কিছু নেই – যেহেতু আপনি আমাদের একজন সহকর্মী আর এটা আপনার ফার্ষ্ট টাইম তাই আপনাকে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি কিন্তু এই মহিলাকে ছাড়া যাবে না কারন গত দুই দিনে তিন তিন বার তাকে ক্ষমা করা হয়েছে, আর সম্ভব না।

কৌতুক-০৫৬

চল্লিশ বছর বয়সের এক জুটি সংসদ ভবনের সামনে বসে, হাতে হাত রেখে গল্প করছিল।

এক পুলিশ ব্যাপারটা দেখে কৌতূহলী হল।

পুলিশঃ আমি আপনাদের নিষেধ করছি না; শুধু জানতে ইচ্ছা হল, আপনারা কারা?

পুরুষটিঃ আমরা স্বামী-স্ত্রী।

পুলিশঃ (কিছুটা রেগে) স্বামী-স্ত্রীতো এখানে কেন? বাসায়ইতো…

পুরুষঃ না মানে, আমি একজনের স্বামী আর ও অন্যজনের স্ত্রী।

কৌতুক-০৫৭

জজ কোর্ট।

জজ আসামীর দিকে তাকিয়ে রায়ের আদেশ পড়ছেন। “ তুমি বউকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগে অভিযুক্ত।“

দর্শকদের ভিতর থেকে রোকন চিৎকার করে বলল” হারামজাদা!”

জজ রায় পড়ে যাচ্ছেন। “ তুমি তোমার শাশুড়িকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মেরেছো”

দর্শকদের ভিতর থেকে রোকন আবার বলে উঠল” হারামজাদা!!”

এইবার জজ রোকনকে বললেন, “আমি আপনার রাগের কারন বুঝতে পারছি। কিন্তু এটা কোর্টরুম। আর একবার আপনি এই রকম চিৎকার করলে আপনাকে বিচারে বাধা দেয়ার জন্য গ্রেফতার করা হবে। বুঝছেন?

এইবার রোকন দাঁড়িয়ে বলল,” আমি গত পনের বছর ধরে ওই বদমাশ হারামজাদার প্রতিবেশি। যতবারই আমি তার কাছে একটা হাতুড়ির ধারের জন্য গেছি, সে বলছে তার কাছে হাতুড়ি নাই।

কৌতুক-০৫৮

এক লোক অফিস এ তার সহ কর্মী কে দেখলো যে সে কানে একটা কানের দুল পড়ছে।

এটা দেখে লোক টি অবাক হলো, কারণ সে জানতো যে তার সহ কর্মী লোক টি অনেক কনজার্ভেটিভ , তাই সে জিগ্গেস করলোঃ ভাই, তোমার কানে এটা কি?

২য় জন্ঃ আরে ভাই, এটা শুধুই একটা কানের দুল্।

১ম জন্ঃ কিন্তু তুমি তো আগে কানের দুল পড়তা না, হঠাৎ করে কানের দুল পড়া শুরু করছো কবে থেকে?

২য় জন্ঃ যেদিন আমার বউ আমাদের বিছানায় এই কানের দুল টি পেয়েছে সেদিন থেকে।

কৌতুক-০৫৯

এক মহিলার স্বামী হারিয়ে গেছে ।

সে এ ব্যাপারে রিপোর্ট করতে পুলিশ স্টেশনে উপস্থিত –

মহিলা : আমার স্বামী হারিয়ে গেছে ..

ইন্সপেক্টর : তার উচ্চতা কত ?

মহিলা : আমি কখনো খেয়াল করিনি

ইন্সপেক্টর : স্লিম নাকি স্বাস্থ্যবান ?

মহিলা : স্লিম না । মনে হয় স্বাস্থ্যবাণ

ইন্সপেক্টর : তার পড়নে কি ছিলো ?

মহিলা : স্যুট নয়তো শার্ট । ঠিক মনে পড়ছে না

ইন্সপেক্টর : তার সাথে তখন কেউ ছিলো ?

মহিলা : হ্যাঁ, আমার প্রিয় কুকুরটা ছিল । নাম – টমি , গলায় সোনালী চেইন বাঁধা, ২৬ ইঞ্চি , স্বাস্থ্যবাণ , নীল চোখ , কালচে বাদামী লোম , তার বাম পায়ের বুড়ো আঙুলটা একটু ভাঙা , সে কখনো ঘেউ ঘেউ করেনা এবং সে ভেজিটেরিয়ান !

(কথাগুলো বলা শেষে মহিলা কাঁদতে লাগলো)

ইন্সপেক্টর : হুমম .. বুঝলাম । প্রথমে কুকুরটাকেই খুঁজে বের করা দরকার !

কৌতুক-০৬০

স্বামী তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিতে আদালতে গেছেন—

স্বামী: আমি আমার স্ত্রীকে আজই তালাক দিতে চাই। আপনি একটু ব্যবস্থা করুন।

আইনজীবী: কেন, সমস্যা কী আপনাদের?

স্বামী: আমার স্ত্রী প্রায় ছয় মাস ধরে আমার সঙ্গে কথা বলে না।

আইনজীবী: আরেকবার ভেবে দেখুন। এমন স্ত্রী পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার।

কৌতুক-০৬১

উকিল সাহেব হস্তদন্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনেক আগেই ।

উকিল গিন্নী অবাক হয়ে বললেন, “কোন দিকে চাঁদ উঠল আজ । এত সকাল সকাল সাহেব যে বাড়ী চলে এলেন।”

… “সে কথা পরে বলছি”, উকিল সাহেব বললেন, “আগে তুমি, তোমার বোন আর আমার বোনকে নিয়ে জলদি তোমার বাপের বাড়ী চলে যাও।

আরো অবাক হয়ে গিন্নি বললেন, “ওমা সে কি কেন ?”

উকিল : “আজ এক অতি কুখ্যাত ধর্ষককে বেকুসুর খালাস করিয়ে এসেছি। সে নাকি সন্ধার পর কৃতজ্ঞতা জানাতে বাসায় আসবে।”

কৌতুক-০৬২

স্বামী: মেহমানকে খাবার দিলে, কিন্তু চামচ দিলে না কেন?

স্ত্রী: ভয় লেগেছিল।

স্বামী: কিসের ভয়?

স্ত্রী: না মানে, .
.
.
.
.
.
.
.
চামচগুলো আমি ওদের বাসা থেকেই এনেছিলাম। দিলে যদি টের পেয়ে যায়—এই ভয়েই…..!!!

কৌতুক-০৬৩

একদিন রাতে রোকনের বউ রোকনকে বলছে,”এই তাড়াতাড়ি নিচে এস, একটা চোর না ঘরে ঢুকসে| হায় হায়! তোমার জন্য যে কেকটা বানাইছি সেটা খেয়ে ফেলছে! তাড়াতাড়ি আসো!” .
.
.
.
.
.
.
.
রোকনের উত্তর,”এখন আমি কি করব? পুলিশ ডাকব নাকি এম্বুলেন্স ডাকব?”

কৌতুক-০৬৪

এক লোক থানায় গেলো, তার বাসায় গত রাতে যে চোর ঢুকেছে,তার সাথে কথা বলতে চাইলো।

পুলিশ বলল,”সেই সুযোগ তোমাকে আদালতে দেয়া হবে।”

লোকটির জবাব, “না না…. .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আমি ওই চোরের কাছ থেকে জানতে চাই,কিভাবে আমার স্ত্রীকে না জাগিয়ে আমার ঘরে ঢুকল।আমি কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করছি|”

কৌতুক-০৬৫

জেলে কয়েদ থাকা অবস্থায় একদিন ভোলানাথের কাছে তার স্ত্রীর চিঠি এল।

চিঠিতে লেখা, ‘আমি সামনের বাগানটায় স্ট্রবেরি চাষ করতে চাই। তুমি কি বলে দেবে, এর জন্য কোন সময়টা উপযুক্ত?’

ভোলানাথ বুঝতে পারল যে জেলপ্রহরী তার সবগুলো চিঠি আগেই পড়ে ফেলে। তাই জেলপ্রহরীকে মজা দেখানোর জন্য ভোলানাথ তাঁর স্ত্রীর কাছে চিঠি লিখল, ‘খবরদার! সামনের বাগানে হাত দেবে না। ওখানে আমার সবগুলো টাকা লুকিয়ে রেখেছি।’

কিছু দিন পর ভোলানাথ আবারও তার স্ত্রীর একটি চিঠি পেল। তাতে লেখা, ‘তুমি কল্পনাও করতে পারবে না, কী ঘটেছে! কাল কিছু পুলিশ এসে তোমার সামনের বাগানটা অযথা খোঁড়াখুঁড়ি করে চাষ করে ফেলেছে। কিন্তু তারা কিছুই পায়নি।’

চিঠির উত্তরে ভোলানাথ লিখে, ‘হুম, এখনই হচ্ছে স্ট্রবেরি চাষের উপযুক্ত সময়। আর দেখলে, কীভাবে পুলিশদের দিয়ে ফ্রি ফ্রি বাগানটা চাষ করিয়ে নিলাম।’

কৌতুক-০৬৬

এক লোক তীব্র গতিতে রাস্তাতে গাড়ি চালাচ্ছিল।

ট্রাফিক পুলিশ তাকে আটকাল।

পুলিশঃ “আপনি এভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন কেন?”

লোকঃ “এটা আমার জীবন মরণের ব্যাপার”

পুলিশঃ “কেন? কি হয়েছে?”

লোকঃ “এক সুন্দরী মহিলা আমার বেডরুমে আমার জন্য অপেক্ষা করছে”

পুলিশঃ “এতে জীবন মরণের কি হল?”

লোকঃ অবশ্যই,আমার স্ত্রীর আগে আমি না পৌঁছালে আমি শেষ”

কৌতুক-০৬৭

এক ব্যক্তি অভ্যাস ছিল প্রত্যেক রাত্রে ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় পেশাব করে দিত। তার স্ত্রী বেচারীকে প্রতিদিন সেগুলো ধুতে হতো। একদিন তার স্ত্রী বললো, “আমি প্রতিদিন পেশাব ধুতে ধুতে হয়রান হয়ে পড়েছি। আর পারি না। আপনার ঘাড়ে কি কোন ভুত চাপে নাকি রাত্রে?

লোকটি বললো, “রাত্রের বেলায় ঘুমের মধ্যে একটা শয়তান আসে। এসে বলে, ‘চল তোমাকে বেড়িয়ে নিয়ে আসি।’ আমি যখন বেড়াতে যেতে উগ্যেত হই তখন শয়তান বলে, ‘পেশাব করে নাও! আগে পেশাবের কাছ সেরে পরে চল।’ তখন আমি পেশাবখানাতে পেশাব করছি ভেবে পেশাব করি। পরে দেখি সেটা শোয়ার বিছানা।”

স্ত্রী বললো, “শয়তানতো জীনের বাদশা। আমরা গরীব মানুষ। তুমি শয়তানকে বল আমাদেরকে কিছু টাকা এনে দিতে। আমাদের এই দুঃখের জীবন শীঘ্রই কেটে উঠবে।”

স্বামী শয়তানকে বলতে রাজী হলো।

রাত্রে যখন ঘুমালো তখন আবার শয়তান আসলো।

শয়তান বললো, “চল বেড়িয়ে আসি।”

লোকটি বললো, “রোজ রোজ খালি হাতে বেড়াতে পারবো না। কোথাও থেকে কিছু টাকা এনে দাও। তবে যাই।”

শয়তান বললো, “ এটা আবার এমন কি কঠিন কাজ। টাকা নিতে হলে আমার সঙ্গে চল, যত ইচ্ছা নিয়ে যাও।”

এই বলে সে লোকটিকে এক বাদশার ধনভান্ডারের সামনে নিয়ে দাঁড় করিয়ে দিল। দেখে শুনে টাকার একটা বিরাট বোচকা ওর মাথায় চাপিয়ে দিল। বোচকা এত ভারী ছিল যে তার চাপে লোকটার পায়খানা বাহির হয়ে আসলো।

যখন সকাল হলো, দেখে পায়খানার স্তুপ।

স্ত্রী বললো, “এটা কেমন করে হলো?”

বললো, “রাত্রে শয়তান আমার মাথায় টাকার তোড়া এত বেশী চাপিয়ে ছিল যে ভোঝার ভারী সহ্য করতে না পেরে ক্রটিপূর্ন পায়খানা হয়ে গেছে।”

স্ত্রী বললো, “ আগে পেশাব করতেন জনাব সেই ভাল ছিল। আল্লাহর ওয়াস্তে আর পায়খানা করবেন না।” আমাদের টাকা পয়সার দরকার নেই।”

ঘটনাটি অশ্নীল বটে; কিন্ত যদি চিন্তা করা যায় তবে আমাদের জীবনের সাথে লোকটির স্বপ্নের বড় মিল রয়েছে। জীবনটা যেন ঘুমন্ত অবস্থা। মৃত্যু এসে চোখ খোলে দিবে। আমরা তখন বাস্তব জীবনে ফিরে যাব। নাপাক গুনাহ তখন আমাদের সারা অঙ্গে মাখানো থাকবে।

আমাদের দেশের রাজনীতিবিদের অবস্থাও এই লোকটির মত। অর্থলোভী বউ আর দুর্ণিতিবাজ সহকর্মীদের প্ররোচনায় ক্ষমতায় বসেই কিভাবে কোটি কোটি আত্মসাৎ করা যায় সেই স্বপ্ন দেখতে থাকে। জনগন ও রাষ্টর টাকা নিজেদের পকেটে ভরতে থাকে। এই ঘৃন্য কাজে কেউ বা সফল হয় কেউ বা ধরা পড়ে। ধরা খেয়ে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়। আমৃত্যু পরিবার ও জনগনের কাছে ঘৃনার পাত্র হয়। তাই আমাদের কে মনে রাখতে হবে–লোভে পাপ পাপে মৃত্যু

কৌতুক-০৬৮

এক বিয়েতে কনেকে সুন্দর করে সাজিয়ে তার বান্ধবীরা পালকীতে তুলে দেওয়ার সময় চিবুক স্পর্শ করে বললো ‍”সখি আজ তোমাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।”

কনে বললো, “তোমরা শত শত বান্ধবী ও যদি আমাকে সুন্দর বল তবুও আমি সুন্দর হতে পারি না সখি, যতক্ষণ না সে একজন আমাকে সুন্দর বলছে যার জন্য আমার এত সাজ গোজ।”

সত্যিই সুন্দর কথা! যার জন্য আমাদের জীবন মরণ সেই আল্লাহ যদি আমাদেরকে ভাল না বলেন তবে লোকে ভাল বললে কী আসে যায়?

কৌতুক-০৬৯

এক কৃষক খালি হাতে মাঠ থেকে ঘরে ফিরে এল। বউ জিজ্ঞেস করল, আরে, তোমার কোদাল কোথায়?

গলা চড়িয়ে কৃষক বলল, যাহ, কোদাল ভুলে মাঠে ফেলে এসেছি।

বউ শান্ত গলায় বলল, গলা নামিয়ে বলো। কথাটা কেউ যদি শুনতে পায় তা হলে সে মাঠে গিয়ে তোমার কোদাল চুরি করে নিয়ে যাবে। যাও, তাড়াতাড়ি মাঠে গিয়ে কোদাল নিয়েএসো।

কৃষক তাড়াতাড়ি মাঠে গেল। কিন্তু কোথায় কোদাল? চুরি হয়ে গেছে।

বাড়ি ফিরে কৃষক গলা নামিয়ে বউয়ের কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, কোদাল চুরি হয়ে গেছে।

কৌতুক-০৭০

বিবাহবার্ষিকীর রাতে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী তার স্বামীকে বলল, ‘শোনো, আমি স্বপ্ন দেখলাম যে তুমি আমাকে কাল সকালে একটি নেকলেস ও হীরার আংটি দিচ্ছ। এর মানে কী, তুমি বলতে পার? তুমি কি সত্যিই আমাকে এগুলো কিনে দেবে?’

শুনেই স্বামীর পিলে চমকে গেল। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই স্বামী হন্তদন্ত হয়ে বাইরে গেলেন। কিছুক্ষণ পর ফিরে এলেন কাগজে মোড়ানো একটি প্যাকেট নিয়ে। প্যাকেট দেখেই স্ত্রীর তো চোখ-মুখ হাসিতে ঝলমল। দ্রুত স্ত্রী প্যাকেট খুললেন। ভেতরে একটা বই। বইয়ের নাম—খোয়াবনামা।

কৌতুক-০৭১

স্বামী-স্ত্রীর কথা হচ্ছে-

: আচ্ছা এভাবে যদি জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে, তাহলে আমরা কী করব ?

: সবাই যখন কষ্ট করে জিনিসপত্র কিনবে আমরা আরাম করে বসে বসে দেখব।

কৌতুক-০৭২

: কীরে ! এত দেখেশুনে শেষমেশ এই খাটো মেয়ে বিয়ে করলি।

: আরে ! বিপদ যত ছোট হবে ততই তো ভালো।

কৌতুক-০৭৩

: কী করে, তোর নাকি শুনলাম বউয়ের সাথে মাসে তিরিশ দিনই কথা বন্ধ থাকে?

: না, ঊনত্রিশ দিন।

: মানে ???

: বেতন যেদিন পাই সেদিন ঘরে ঢোকার পরই হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে- ‘দে’।

কৌতুক-০৭৪

স্ত্রী : বিয়ের আগে কি তোমার কোনো বান্ধবী ছিল?

স্বামী : না, তুমিই প্রথম।

স্ত্রী : কাল যে মেয়েটির সঙ্গে খুব হেসে কথা বলছিলে ওই মেয়েটি তা হলে কে ?

স্বামী : ওর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে বিয়ের পর।

কৌতুক-০৭৫

বিয়ের ৪র্থ দিনের মাথায় অফিসফেরত স্বামীকে স্ত্রী একটি নতুন খবর আছে জানাল। কৌতুহলী হয়ে স্বামী সেটা কী জানতে চাইল। ‘কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের এই বাড়ির সদস্য সংখ্যা দুই থেকে তিন-এ দাঁড়াতে যাচ্ছে … ’ স্ত্রী এ কথা জানাতেই স্বামী এসে খূশী হয়ে —বলল-

: এত বড় সংবাদ দিতে তুমি আমার অফিস থেকে ফেরা অবধি অপেক্ষা করেলে কেন ?

: কী আশ্চর্য ! আমি তো টেলিগ্রামই পেলাম এই মাত্র। তাছাড়া আমি কি আর বুঝতে পেরেছি আমার মা আমাদের সঙ্গে থাকতে আসবে শুনে তুমি এত খুশি হবে !!!

কৌতুক-০৭৬

স্ত্রী : তোমার এই টানাটানির সংসারে আমি আর থাকতে পারব না, আমি বাপের বাড়ি চললাম।

স্বামী : রাগটা কাল করলে হয় না?

স্ত্রী : মানে?

স্বামী : মানে আজ ২৪ ঘন্টা হরতাল কিনা।

কৌতুক-০৭৭

স্ত্রী : কী ব্যাপার! বাজার থেকে পেঁয়াজ আননি কেন, দাম বেশি বলে পেঁয়াজ আনবে না?

স্বামী : না, ঠিক তা নয়।

স্ত্রী : তাহলে?

স্বামী : পেঁয়াজ কাটতে বসে তুমি প্রতিদিন চোখের জল ফেলবে, দৃশ্যটা আমি সহ্য করতে পারি না।

কৌতুক-০৭৮

একজন মহিলা ২ সপ্তাহের জন্য ইটালি যাবেন কোম্পানি ট্রেনিং এ। তার স্বামী তাকে এয়ারপোর্টে পৌছে দিলেন এবং তার শুভযাত্রা কামনা করলেন। তার স্ত্রী ধন্যবাদ দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন “তোমার জন্য কি আনব?”

উত্তরে তার স্বামী হেসে বললেন “একজন ইটালী মেয়ে”

স্ত্রী কিছু না বলে চলে গেলেন। ২ সপ্তাহ পরে তার স্বামী আসলেন তাকে রিসিভ করতে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন “যাত্রা কেমন হল?”

“চমৎকার। ধন্যবাদ” উত্তর দিলেন তার স্ত্রী।

“আমার উপহার এর কি হল?” জিজ্ঞেস করলেন স্বামী।

স্ত্রী বললেন”কোন উপহার?”

“ঐ যে আমি একটা ইটালীয়ান মেয়ে চেয়েছিলাম…” বললেন স্বামী

“ওহ, ঐটা…আমি যা পেরেছি করেছি…কিন্তু মেয়ে কিনা তা জানতে ৯ মাস অপেক্ষা করতে হবে।”

কৌতুক-০৭৯

এক সাধু বাবা এসেছেন জলিল সাহেবের বাড়িতে। তিঁনি জলিল সাহেবের বউকে ডেকে বললেনঃ মা জননী, অনেকদিন পর আবার তীর্থে যাচ্ছি। ভাবলাম যাওয়ার আগে তোমাদের একটু খবর নিয়ে যাই। সেবার তো তোমার সন্তান-সন্তুরির জন্য তীর্থে মোমাবাতি জ্বেলে এসেছিলাম। তার সুফল পেয়েছো?

জলিলের বউ বললোঃ জি, সাধু বাবা। তারপর আমাদের আট-আটটি ছেলেমেয়ে হয়েছে!

সাধু বাবা বললেনঃ ও আচ্ছা! বেশ ভালো! তা জলিল সাহেবকে দেখছি না যে! তিনি কোথায় গেছেন?

জলিলের বউ বললোঃ জি, উনিও তীর্থে গেছেন আপনার জ্বালানো মোমবাতিটা নিভাতে!

কৌতুক-০৮০

রোমেলের বউ শেষ মিনিটে বললো, সে যাবে না, তার মাথা ধরেছে। রোমেল একটা স্পাইডারম্যানের মুখোশ পরে বেরিয়ে গেলো একাই। ঘন্টাখানেক পর রোমেলের বউ মত পাল্টে একটা মুখোশ পরে নিয়ে পার্টিতে গেলো, একা একা রোমেল কী করে বেড়ায় দেখতে।

পার্টিতে গিয়ে সে দেখলো স্পাইডারম্যানের মুখোশের চারপাশে অনেক মহিলা, জমিয়ে আড্ডা মারছে রোমেল। চটে মটে রোমেলের বউও সেই ভিড়ে গিয়ে জুটলো, তারপর এক এক করে মহিলাকে হটিয়ে দিয়ে রোমেলকে দখল করলো সে। নির্জনে রোমেল তার কানে কানে কুপ্রস্তাব দিলো।

মনে মনে চটে গিয়ে রাজি হলো রোমেলের বউ। ঘন্টাখানেক আদরসোহাগের পর রোমেলকে পার্টিতে রেখেই বাড়িতে ফিরে এলো সে।

গভীর রাতে ক্লান্ত রোমেল বাড়িতে ফিরলো।

তার বউ চিবিয়ে চিবিয়ে জানতে চাইলো, পার্টি কেমন হয়েছে। রোমেল বললো, ‘আরে ধ্যুৎ, খুব বোরিং। আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধু কোণার ঘরে বসে তাস খেলেছি।’

‘তাই? কোন মজা হয়নি পার্টিতে?’

‘একদম না। তবে যে ব্যাটাকে আমার মুখোশটা ধার দিয়েছিলাম, ঐ শালা খুব মজা লুটেছে।’

কৌতুক-০৮১

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হচ্ছে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী তার স্ত্রীর গালে ঠাস করে একটা চড় কষিয়ে দিলেন।

স্ত্রী : কী! তুমি আমার গায়ে হাত তুললে?

স্বামী বেচারা ভেবে দেখলেন, আসলে কাজটা অন্যায় হয়ে গেছে। তাই একটু নরম সুরে তিনি বললেন, আরে না না, আমি তোমাকে ভালোবেসে চড়টা মেরেছি।

স্ত্রী তখন স্বামীর দুই গালে কষে দুইটা চড় লাগিয়ে দিলেন।

স্বামী : (থ হয়ে) তুমিও আমাকে.

স্ত্রী : তুমি কি ভেবেছ আমি তোমাকে কম ভালোবাসি?

কৌতুক-০৮২

একজন স্ত্রী তার স্বামীকে তার (স্ত্রী) সম্পর্কে বর্ননা করতে বলেছে…………

স্বামী বর্ণনা করছে, “তুমি হচ্ছো A,B,C,D,E,F,G,H,I,J,K”

স্ত্রী জানতে চাইলো, “এর মানে কি?”

স্বামীঃ Adorable, Beautiful, Cute, Delightful, Elegant, Foxy, Gorgeous, Hot”

স্ত্রীঃ ওহ, কী যে সুন্দর! মন ভরে গেলো। ওগো, বাকী তিনটা I,J,K-তে কী হয় গো?

স্বামীঃ I’m Just Kidding!!!

কৌতুক-০৮৩

স্ত্রী : তোমাকে একটা বলি…….??

স্বামী : হুম বলো…..

স্ত্রী :মারবে না তো……??

স্বামী :আরে জানু মারব কেন…..??

স্ত্রী :আমি না মা হতে চলেছি……

স্বামী : আরে বলো কি এটা তো অনেক খুশিরখবর…… এর জন্য তোমাকে মারতে যাব কেন……??:O











স্ত্রী : না মানে কলেজে থাকতে বাবাকে এই কথা বলাতে বাবা অনেক মেরেছিল……..

কৌতুক-০৮৪

স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে ব্যাগ গোছাতে শুরু করলেন স্ত্রী। রাগে গজগজ করতে করতে বললেন, ‘আর জীবনে কোনো দিন আমি এমুখো হব না। থাকো তুমি একলা। আমি চললাম বাবার বাড়ি।’

স্বামী কটা টাকা এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘যাও যাও। আর এই নাও, যাওয়ার ভাড়াটা নিয়ে যাও।’

স্ত্রী মুখে ঝামটা মেরে বললেন, ‘আর ফেরার ভাড়াটা কে দেবে শুনি?’

কৌতুক-০৮৫

একটি আন্তর্মহাদেশীয় ট্রেনে এক ব্যক্তি আর এক মহিলা একই কম্পার্টমেন্টে শোওয়ার জায়গা পেয়েছেন। প্রথমে কিছুক্ষণ উসখুস করলেও দুজনেই খুব ক্লান্ত থাকায় অল্পক্ষণের মধ্যেই তারা ঘুমিয়ে পড়লেন। ভদ্রলোক উপরের বার্থে আর ভদ্রমহিলা নীচের বার্থে।

মাঝরাতে হঠাৎ ভদ্রলোকের ঘুম ভাংল। তিনি একটু ইতস্তত করে ভদ্রমহিলাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বললেন ” দেখুন কিছু মনে করবেন না , আমার এত ঠান্ডা লাগছে, আপনি কি দয়া করে আমার সুটকেস থেকে একটা কম্বল বার করে আমায় দেবেন ?”

ভদ্রমহিলা উত্তরে বললেন ” আমার আরো একটা ভালো আইডিয়া আছে। আজকের রাতের জন্য মনে করি না আমরা স্বামী আর স্ত্রী?”

ভদ্রলোক খুব অবাক আর মনে মনে খুব খুশি হয়ে বললেন ” ওয়াও!!! দারুণ আইডিয়া!! তাহলে এখন আমার কি করা উচিত?”

“উঠুন আর নিজের কম্বল নিজে নিয়ে নিন। “

কৌতুক-০৮৬

একজন মহিলা ২ সপ্তাহের জন্য ইটালি যাবেন কোম্পানি ট্রেনিং এ। তার স্বামী তাকে এয়ারপোর্টে পৌছে দিলেন এবং তার শুভযাত্রা কামনা করলেন। তার স্ত্রী ধন্যবাদ দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন “তোমার জন্য কি আনব?”

উত্তরে তার স্বামী হেসে বললেন “একজন ইটালী মেয়ে”

স্ত্রী কিছু না বলে চলে গেলেন। ২ সপ্তাহ পরে তার স্বামী আসলেন তাকে রিসিভ করতে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন “যাত্রা কেমন হল?”

“চমৎকার। ধন্যবাদ” উত্তর দিলেন তার স্ত্রী।

“আমার উপহার এর কি হল?” জিজ্ঞেস করলেন স্বামী।

স্ত্রী বললেন”কোন উপহার?”

“ঐ যে আমি একটা ইটালীয়ান মেয়ে চেয়েছিলাম…” বললেন স্বামী

“ওহ, ঐটা…আমি যা পেরেছি করেছি…কিন্তু মেয়ে কিনা তা জানতে ৯ মাস অপেক্ষা করতে হবে।”

কৌতুক-০৮৭

স্ত্রী : জানো আজ একটা বাজে জিনিস হয়েছে৷

স্বামি : কী?

স্ত্রী : আজ গোছল করে কাপড় বদলানোর সময় ভুলে সদর দরজা খোলা ছিল৷

স্বামি : কী সর্বনাশ ৷ কোন সমস্যা হয়নিতো?

স্ত্রী : সমস্যা হয়নি মানে৷ আমি কেবল ব্রা পরছি এমন সময় তোমার বন্ধু ঘরে ঢোকে! কি লজ্জার ব্যাপার বলতো?

স্বামি : তখোন তুমি কি করলা?(রাগত ও আশ্চর্য গলায়)

স্ত্রী : আমি আর কি করব৷ লজ্জায় ব্রা দিয়ে মুখ ঢাকলাম……………

কৌতুক-০৮৮

স্বামীঃ আচ্ছা বিয়ের আগে তোমাকে কেউ চুমু খেয়েছিলো?

স্ত্রীঃ একবার পিকনিকে গিয়েছিলাম | সেখানে আমাকে একা পেয়ে একটা ছেলে ছোরা বের করে বলেছিলো, যদি চুমু না খাও, তাহলে খুন করে ফেলবো |

স্বামীঃ তারপর তুমি চুমু খেতে দিলে?

স্ত্রীঃ দেখতেই পাচ্ছো, আমি এখনও বেঁচে আছি |

কৌতুক-০৮৯

স্বামী আর স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া। মুখ দেখা, কথা বন্ধ।

রাতে শুতে যাওয়ার সময় স্বামীর মনে পড়ল পরের দিন ভোরবেলা ফ্লাইট । এদিকে স্বামী বেচারা সকালে উঠতে পারে না। সাত-পাঁচ ভেবে সে একটি কাগজে লিখল ” কাল সকাল চারটার সময় ডেকে দিও।” কাগজটা স্ত্রীর বালিশের কোণায় চাপা দিয়ে স্বামী নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ল।

পরের দিন সকালে সাড়ে আটটার সময় স্বামীর ঘুম ভাংল। সময় দেখে তার তো চক্ষু চড়কগাছ। রেগেমেগে চিৎকার করে স্ত্রীকে ডাকতে গিয়ে তার নজরে পড়ল বালিশের পাশে একটা চিরকুট।

খুলে দেখল লেখা আছে ” চারটে বেজে গেছে, উঠে পড়ো।”

কৌতুক-০৯০

শপিং সেরে বাড়ি ফিরতেই ছোট্ট বাবু তার মাকে বললো, “মা মা, আজ কী হয়েছে শোনো, আমি তোমার আলমারিতে লুকিয়ে খেলছিলাম, এমন সময় বাবা আর পাশের ফ্ল্যাটের টিনা আন্টি এসে ঢুকলো। তারা দু’জন সব জামাকাপড় খুলে ফেললো, তারপর বাবা টিনা আন্টির ওপর চড়ে বসলো …।”

এটুকু শুনেই বাবুর মা তাকে থামিয়ে দিলেন। মুখখানা গম্ভীর করে বললেন, “ব্যস, আর একটা শব্দ না। এবার বাবা ফিরলে তুমি যা দেখেছো, তা আবার ঠিক ঠিক বলবে, কেমন?”

বাবুর বাবা বাড়ি ফিরতেই বাবুর মা মুখ ঝামটা দিলেন। “তোমার মতো একটা লম্পটের সাথে আমি আর সংসার করবো না।”

বাবুর বাবা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললেন, “কেন?”

তখন বাবুর মা বললেন, “বল বাবু, কী দেখেছিস গুছিয়ে বল।”

বাবু বললো, “আমি তোমার আলমারিতে লুকিয়ে খেলছিলাম, এমন সময় বাবা আর পাশের ফ্ল্যাটের টিনা আন্টি এসে ঢকলো। তারা দু’জন সব জামাকাপড় খুলে ফেললো, তারপর বাবা টিনা আন্টির ওপর চড়ে বসলো, তারপর তুমি আর আক্কাস আঙ্কেল গত পরশু দিন দুপুরে যা করেছিলে, বাবা আর টিনা আন্টি তা-ই করতে লাগলো …।”

কৌতুক-০৯১

রোমেলের বউ শেষ মিনিটে বললো, সে যাবে না, তার মাথা ধরেছে। রোমেল একটা স্পাইডারম্যানের মুখোশ পরে বেরিয়ে গেলো একাই। ঘন্টাখানেক পর রোমেলের বউ মত পাল্টে একটা মুখোশ পরে নিয়ে পার্টিতে গেলো, একা একা রোমেল কী করে বেড়ায় দেখতে।

পার্টিতে গিয়ে সে দেখলো স্পাইডারম্যানের মুখোশের চারপাশে অনেক মহিলা, জমিয়ে আড্ডা মারছে রোমেল। চটে মটে রোমেলের বউও সেই ভিড়ে গিয়ে জুটলো, তারপর এক এক করে মহিলাকে হটিয়ে দিয়ে রোমেলকে দখল করলো সে। নির্জনে রোমেল তার কানে কানে কুপ্রস্তাব দিলো। মনে মনে চটে গিয়ে রাজি হলো রোমেলের বউ। ঘন্টাখানেক আদরসোহাগের পর রোমেলকে পার্টিতে রেখেই বাড়িতে ফিরে এলো সে।

গভীর রাতে ক্লান্ত রোমেল বাড়িতে ফিরলো।

তার বউ চিবিয়ে চিবিয়ে জানতে চাইলো, পার্টি কেমন হয়েছে। রোমেল বললো, ‘আরে ধ্যুৎ, খুব বোরিং। আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধু কোণার ঘরে বসে তাস খেলেছি।’

‘তাই? কোন মজা হয়নি পার্টিতে?’

‘একদম না। তবে যে ব্যাটাকে আমার মুখোশটা ধার দিয়েছিলাম, ঐ শালা খুব মজা লুটেছে।’

কৌতুক-০৯২

এক সাধু বাবা এসেছেন জলিল সাহেবের বাড়িতে। তিঁনি জলিল সাহেবের বউকে ডেকে বললেনঃ মা জননী, অনেকদিন পর আবার তীর্থে যাচ্ছি। ভাবলাম যাওয়ার আগে তোমাদের একটু খবর নিয়ে যাই। সেবার তো তোমার সন্তান-সন্তুরির জন্য তীর্থে মোমাবাতি জ্বেলে এসেছিলাম। তার সুফল পেয়েছো?

জলিলের বউ বললোঃ জি, সাধু বাবা। তারপর আমাদের আট-আটটি ছেলেমেয়ে হয়েছে!

সাধু বাবা বললেনঃ ও আচ্ছা! বেশ ভালো! তা জলিল সাহেবকে দেখছি না যে! তিনি কোথায় গেছেন?

জলিলের বউ বললোঃ জি, উনিও তীর্থে গেছেন আপনার জ্বালানো মোমবাতিটা নিভাতে!

কৌতুক-০৯৩

এক বক্তৃতা সভায়, বক্তা তার জীবনের নানা গল্প শোনাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি বলছিলেন,

: এত বছর পরে, লোকানোর আর কিছুই নেই। আমি জীবনের সবচেয়ে মধুর দিনগুলো এমন এক নারীর সাথে কাটিয়েছি, যে আমার স্ত্রী নয়!

বলেই বক্তা চুপ !!

উপস্থিত দর্শকরাও হতভম্ব!

দীর্ঘ নীরবতা ভঙ্গ করে বক্তা বলে উঠলেন, ‘সেই নারী ছিলেন আমার মা।’

এই অভূতপূর্ব ব্যাখ্যা শুনে সারা হল হাততালিতে ফেটে পড়ল। আমার চোখ দিয়েও জল বেরিয়ে এল। আহা! অনুপ্রাণিত হলাম।

বাড়ি ফিরে গ্লাস নিয়ে বসলাম। চার পেগ খাবার পর বক্তার ওই কথাগুলো মনে পড়ল। ভাবলাম, বউকে চমকে দেবার এর থেকে ভালো সুযোগ আর হবে না! বউ জানুক আমিও সমঝদার এক ব্যক্তি। আমার কথারও মারপ্যাচ আছে।

টলায়মান অবস্থায় রান্নাঘরে গেলাম। আমাকে ঢুকতে দেখে রান্না করতে করতে ঘেমে নেয়ে একাকার স্ত্রী একবার তাকালো আমার দিকে। কোনোরকম ভণিতা না করে আমি বলে উঠলাম, ‘এত বছর পরে, লুকানোর আর কিছুই নেই। আমি আমার জীবনের সবচেয়ে মধুর দিনগুলো এমন এক নারীর সাথে কাটিয়েছি, যে আমার স্ত্রী নয় ‘

পরের লাইনটা আর মনে পড়ল না তো মনেই পড়ল না। নেশা চড়ে গেছিল। বউ দেখলাম স্থির দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ঘাবড়ে গিয়ে বিড়বিড় করলাম, ‘আমার ঠিক মনে পড়ছে না নারীটা কে ছিলো!’

পরের দিন হাসপাতালের বেডে হুঁশ ফিরেছিল। সারা গায়ে ব্যান্ডেজ। বেলন দিয়ে মারের চোটে হাত, পা, চোয়াল ভেঙে গেছিলো। গরম ডাল পড়ে মাথার চুল উঠে গেছিলো। প্রাণে যে বেঁচে গেছি, এই অনেক।

কৌতুক-০৯৪

প্রোগ্রামার স্বামী ল্যাপটপ নিয়ে কাজে মগ্ন। স্ত্রী এসে বলল, দাও না গো, একটু খেলি?

মনিটর থেকে চোখ না সরিয়ে উত্তর দিল প্রোগ্রামার, তুমি যখন রান্না করো, আমি কখনো হাঁড়ি চাই তোমার কাছে?

কৌতুক-০৯৫

বড় কর্তার সেক্রেটারির সঙ্গে বড় কর্তার স্ত্রীর কথা হচ্ছে—

সেক্রেটারি: ম্যাডাম, কয়েক দিন ধরে আপনাকে বেশ উদাস দেখা যাচ্ছে। কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি!

বড় কর্তার স্ত্রী: আর বোলো না। শুনেছি তোমার বস অফিসের এক নতুন কর্মচারীর প্রেমে পড়েছে।

সেক্রেটারি: বলেন কী! এটা কিছুতেই হতে পারে না। স্যার কিছুতেই আমাকে ধোঁকা দিতে পারেন না।

কৌতুক-০৯৬

দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে—

প্রথম বন্ধু: আমি আর আমার স্ত্রী জীবনের ২০টি বছর সুখী জীবনযাপন করেছি।

দ্বিতীয় বন্ধু: তারপর?

প্রথম বন্ধু: তারপর একদিন….আমাদের দুজনের দেখা হলো!

কৌতুক-০৯৭

: আমার স্ত্রীর স্মৃতিশক্তি সবচেয়ে জঘন্য।

: সব ভুলে যায়?

: সব মনে রাখে।

কৌতুক-০৯৮

স্বামী দেরি করে বাসায় ফিরলে জেরা শুরু করল

স্ত্রী: —কোথায় ছিলে এতক্ষণ?

—বন্ধুর বাসায়।

—কী করছিলে?

—দাবা খেলছিলাম।

—তাহলে তোমার শরীরে ভোদকার গন্ধ কেন?

—তবে কিসের গন্ধ থাকবে, দাবার?

কৌতুক-০৯৯

দুই বান্ধবীর কথোপকথন।

—স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করেছ কেন?

—ও একগাদা অশ্লীল গান জানে!

—তোমাকে গেয়ে শুনিয়েছে?

—না, শিস বাজায় সারাক্ষণ।

কৌতুক-১০০

রহিম ভাইয়ের বউ ফাতেমা ভাবী একটি পাখির দোকানে গিয়ে একটা চৌকস টিয়া পাখি পছন্দ করল। খাঁচায় পাখিটার মূল্য লেখা রয়েছে ২৫০/- টাকা I এত সুন্দর পাখির এত কম দাম দেখে ফাতেমা ভাবীর একটু খটকা লাগল। সে pet shop owner কে জিজ্ঞেস করলঃ- এত সুন্দর পাখিটার দাম এত কম কেন ?

Owner মহিলাকে ভালো করে দেখে বললঃ- দেখুন, আমি আপনাকে প্রথমেই জানিয়ে দিতে চাই যে ওই পাখিটা অনেকদিন একটা পতিতা পল্লীতে ছিল, তাই ওর কথা-বার্তা কিন্তু খুব নোংরা আর অশ্লীল I তাই এটা আমি কম দামেই বিক্রি করে দেব I

ভাবী কিছুক্ষণ এ ব্যাপারে চিন্তা করল, কিন্তু পাখিটাকে তার ভীষণ ভালো লেগে গেছে I তাই অবশেষে সে পাখিটাকে কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিল।

পাখিটাকে ঘরে নিয়ে এল। পাখিটার খাঁচাটাকে লিভিং রুমে ঝুলিয়ে রেখে পাখিটার কথা শোনার অপেক্ষায় রইল।

পাখিটা প্রথমে ঘরের চারদিক ভালো করে চেয়ে দেখল, তারপর ভাবিকে ভালো করে দেখে, বলে উঠল — “New house, new madam.”

পাখিটার কথা শুনে ভাবী বেশ রোমাঞ্চিত হয়ে উঠল, আর মনে মনে ভাবল, পাখিটা এত খারাপও হবে না I

যখন তার দুই teenage মেয়ে স্কুল থেকে ঘরে ফিরল তখন পাখিটা তাদেরকেও ভালো করে দেখে বলল– , “New house, new madam, new girls.”

পাখিটার কথা শুনে ভাবী আর ওর মেয়েরা ভীষণ মজা পেল !

বিকেলবেলা অফিস থেকে ঘরে ফিরল রহিম ভাই …

পাখিটা তাকেও ভালো ভাবে দেখে, বলে উঠল,

.
.
.
.
.
.
“Hi রহিম , how are you ??

কৌতুক-১০১

বলটু তার বউ-কে বিদেশ থেকে রাতে ফোন করল । ফোনটা এক চাকর ধরল ।

চাকর : হ্যালো।

বলটু: ম্যাম সাহেবকে ফোনটা দে।

চাকর : কিন্তু ম্যাম সাহেব তো সাহেবের সাথে বেড রুমে ঘুমাচ্ছে।

বলটু : মানে?? সাহেব তো আমি।

চাকর : আমি এখন কি করব??

বলটু : দুইজনকে-ই গুলি করে মেরে ফেল ৫ লাখটাকা দিব।

চাকর দুইজনকে গুলি করে মারার পর……….

চাকর : সাহেব, লাশ ২টা এখন কি করব??

বলটু : লাশ ২টা বাড়ির পিছনের সুইমিং পুল এ ফেলে দে।

চাকর : কিন্তু সাহেব, বাড়ির পিছনে তো কোন সুইমিং পুল নাই।

বলটু : সুইমিং পুল নাই…..!!! ওহ সরি, তাইলে রং নাম্বার

কৌতুক-১০২

একবার এক রানীর সোনার গহনা বানাতে ইচ্ছা হল।। আর রাজার পেনিস (penis) খুব ব্যথা হলো।

কোনো উপায় না দেখে তিনি যৌন অভিজ্ঞ ডাক্তারকে আর স্বর্ণকারকে ডেকে পাঠালেন।

তাই দেখে রাজার প্রাসাদের দুই বরকন্দাজ আলাপ করছে-

প্রথম বরকন্দাজ : আচ্ছা, রাজার হঠাৎ যৌন ডাক্তার আর স্বর্ণকার এতো দরকার পড়লো কেন বলো তো?

দ্বিতীয় বরকন্দাজ : আরে, এও বুঝলে না। রাজার এবার শখ হয়েছে তিনি সোনার কনডম পরবেন!

কৌতুক-১০৩

“অনেক কঠিন সময় যাচ্ছে আমার অফিসে। ২ দিন টানা অফিসে কাজ করতে হয়েছে একটা প্রোজেক্টের কাজে। তো এরকম শ্রান্ত হয়ে আমি সন্ধ্যাবেলা বাসায় ফিরলাম। আমার স্ত্রী আমাকে অনেক অনুরোধ করেছে আজকে আমি যাতে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরি। আমি অনেক ক্লান্ত আর এদিকে আমি দুপুরে খেয়েছি গাজরের হালুয়া আর পরাটা (যেটা আমার একদম খাওয়া ঠিক হয় নি)। আমার গ্যাসের অনেক সমস্যা। এসব খাওয়াতে গ্যাস অনেক ববেড়ে গিয়েছে।

আমি বাসায় ফিরার পর আমার স্ত্রী আমাকে দেখে অনেক উচ্ছ্বসিত হল। আর বলল “হানি, আজকে তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ ডিনার আছে। সে অনেক সময়ই এই কাজ করে। চমকে দিয়ে সারপ্রাইজ দিতে পছন্দ করে। যাই হোক সে আমাকে টেবিলে নিয়ে বসালো। দেখলাম যে টেবিলের পাশে সাদা পর্দা দিয়ে ব্লাইন্ডফোর্ড দেয়া।

এদিকে গ্যাসে আমার অবস্থা খারাপ। আমার গ্যাস বের করা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। কি করব বুঝছি না। এই সময়ে আশীর্বাদের মত পাশের রুমে ফোন বাজলো। আমার স্ত্রী অই রুমে চলে গেল। আমি হাপ ছেড়ে বাঁচলাম। সে ফোন ধরতে গেল আর আমি সাথে সাথে বায়ুত্যাগ করলাম শব্দ করে। গন্ধ বের হল যেন ময়লার ডাস্টবিনের মতো।

আমি ন্যাপকিন দিয়ে নাড়তে গন্ধ তাড়ালাম। মানে চেষ্টা করতে লাগলাম।এরপর চাপ আরেকটা হাল্কা করার জন্য আরেকবার গ্যাস ছাড়লাম অ্যাটমবোমের মতো। এবার গন্ধ বের হল পচা শাঁকসবজির। আমি খেয়াল করছিলাম সে কতক্ষণ ফোনে কথা বলে। এরই মাঝে আরও কয়েকবার গ্যাস ছাড়লাম।

গন্ধ বের হচ্ছিল পুরো সারের ট্রাক থেকে যেরকম গন্ধ আসে ওরকম। সে ফোনটা রেখে চলে আসছিল। এরমধ্যে আমি সর্বশেষ গ্যাসটা ছাড়লাম। খুবই শান্তি লাগছিল।

যাই হোক সে আসলো। সে এসে জিজ্ঞেস করল যে আমি সাদা পর্দা সরিয়েছি নাকি! আমি আশ্বস্ত করলাম যে আমি সরাই নি।

সে তখন সাদা পর্দাটি সরাল।

প্রায় ২০ জনের মতো বন্ধু আর আত্মীয় সেখান থেকে বের হয়ে আসলো আর বলল “শুভ জন্মদিন!!!!!!!!”

কৌতুক-১০৪

পিসির সামনে বসে প্রোগ্রাম রচনা করছে প্রোগ্রামার। তার দৃষ্টি আকর্ষণের নানাবিধ চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তার স্ত্রী নতুন কেশবিন্যাস করল, নতুন পোশাক পরল, মেকআপ করল মন দিয়ে, তারপর তার কাছে গিয়ে বলল, ‘আমার দিকে তাকিয়ে দেখো তো। কোনো পরিবর্তন লক্ষ করছো?’

স্ত্রীর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে প্রোগ্রামার বলল, নতুন স্কিন?


Developed by

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন