কৌতুক-০০
দুই চাপাবাজ গল্প করতে করতে যাচ্ছে।
১ম: জানিস দোস্ আমার দাদার না একটা গোয়াল ঘর ছিল। তা এত বড় যে এক দরজা দিয়ে ছোট একটা বাছুর (গরুর বাচ্চা) প্রবেশ করে অন্য দরজা দিয়ে বের হতে হতে তার নিজের-ই বাচ্চা হয়ে যায়।
২য়: আরে রাখ তোর গোয়াল ঘর। আমার দাদার একটা মই ছিল তাতে চড়ে আকাশের নাগাল পাওয়া যেত।
১ম: চাপা মারার আর জায়গা পেলি না। তোর দাদা এত বড় মই রাখত কোথায়?
২য়: কেন তোর দাদার গোয়াল ঘরে।
কৌতুক-০০২
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে
প্রথম বন্ধু : জানিস, আমাদের নতুন বাসায় বাবা তিনটি সুইমিংপুল বানিয়েছে। একটা গরম পানির, একটা ঠাণ্ডা পানির আর আরেকটাতে কোনো পানি নেই।
দ্বিতীয় বন্ধু : গরম আর ঠাণ্ডা পানি না হয় বুঝলাম। কিন্তু পানি ছাড়া সুইমিংপুল, এটা বুঝলাম না।
প্রথম বন্ধু : এটা বুঝলি না? বাসার যারা সাঁতার জানে না তাদের জন্য আর কি!
কৌতুক-০০৩
প্রথম বন্ধু: কিরে, তোর চোখের ওপর ব্যান্ডেজ কেন? গালেও তো দেখছি চোট লেগেছে। গতকাল সন্ধ্যায়ও না দেখলাম এক সুন্দরী মহিলার সঙ্গে পার্কে বসে আছিস! এরই মধ্যে হঠাৎ কী হলো?
দ্বিতীয় বন্ধু: গতকাল তুই যা দেখেছিলি আমার স্ত্রীও তা দেখে ফেলেছে।
কৌতুক-০০৪
দু’বন্ধুর মাঝে আলাপ হচ্ছে।
: স্ত্রীর জন্য আমার আর মুখ দেখাবার উপায় রইল না। রোজ রাতে বারে যায়।
: ছিঃ ছিঃ ছিঃ কী জঘন্য কথা! কী করে বারে গিয়ে?
: আমাকে টেনেহিঁচড়ে বাড়িতে নিয়ে আসে।
কৌতুক-০০৫
১ম বন্ধুঃ কিরে তোর নাকি ১৮টা ছেলে মেয়ে ? কাহিনী কি ?
২য় বন্ধুঃ সব দোষ আমার শ্বশুরের জন্য ।
১ম বন্ধুঃ শ্বশুরের জন্য মানে ?
২য় বন্ধুঃ না মানে বিয়ের সময় উনাকে কথা দিসিলাম উনার মেয়েকে কখনই খালি পেটে রাখবো না ।
কৌতুক-০০৬
প্রথম বন্ধু: কাল আমার ছেলেটার চোখে একটা বালি পড়ল। ডাক্তার দিয়ে বের করাতে গিয়ে একশ টাকা বেরিয়ে গেল।
দ্বিতীয় বন্ধু: আরে ভাই, আমার তুলনায় ও তো কিসসু না। বেড়াতে বেরিয়ে বউয়ের চোখে একটা শাড়ি পড়েছিল, পাঁচ হাজার টাকা বেরিয়ে গেছে।
কৌতুক-০০৭
৭০ বছরের এক বৃদ্ধ আরেক বৃদ্ধের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলো...
সে খুবি impressed হলো যখন তার বন্ধু তার বৃদ্ধা স্ত্রীকে 'জান'...'ময়না' ...'কলিজার টুকরা' বলে ডাকছিল...
যাওয়ার সময় সে তার বন্ধুকে বলল, "এটা অনেক সুন্দর...বিয়ের ৪০ বছর পরেও তুমি স্ত্রীকে নাম আদর করে এত সুন্দর করে ডাকো"
বৃদ্ধ নিচু গলায় বলল, "আমার মাথা থেকে তার নাম ১০ বছর আগেই মুছে গেছে...আমি ভয়ে তার নাম টা জিজ্ঞেস করতে পারি নি...তাই এসব বলেই ডাকি"
কৌতুক-০০৮
দুই ক্লাস থ্রী এর পিচ্চি পোলা টয়লেটে পিসাব করছে।
-দোস্ত! তোর জিনিসের ওপর চামড়া নাই ক্যান?
-আমার মুসলমানী হইছে।
- মুসলমানী কি জিনিস?
- মুসলমানীর সময় সামনের চামড়া কেটে ফেলে।
- তোর কবে করছে?
- জন্মের প্রথম সপ্তাহেই করছে।
- ব্যথা পাইছিলি দুস্ত?
- ছুটু ছিলাম ত কইতে পারি না। তবে হেভী ব্যথা পাইছিলাম এইটা শিওর। একবছর আমি হাটতেই পারি নাই।
কৌতুক-০০৯
প্রথম বন্ধু: একটা সময় ছিল যখন আমাকে ছাড়া আমার পাড়ার ফুটবল টিম কোনো ম্যাচ খেলতেই পারত না। আমি ছিলাম দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য খেলোয়াড়।
দ্বিতীয় বন্ধু: তারপর?
প্রথম বন্ধু: তারপর আরকি, আমাদের পাড়ার আরও একটা ছেলে ফুটবল কিনে ফেলল…
কৌতুক-০১০
: জানিস, ম্যানেজার সাহেব আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন।
: কেন?
: তিন দিন অফিসে যাই নি তাই।
: ম্যানেজার সাহেবকে বলে দিলেই পারতি যে তোর বাব মারা গেছেন।
: এ কথা উনি বিশ্বাস করতেন না।
: কেন, কারো কি বাবা মারা যায় না?
: মারা তো অবশ্যই যায়, কিন্তু ম্যানেজার সাহেবই যে আমার বাবা।
কৌতুক-০১১
১ম বন্ধু :পুলিশের হাতে মার খেতে খেতে জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে গেল ।
২য় বন্ধু :কেন রে ? তুই চোর নাকি রে ?
১ম বন্ধু :আমার বাবা পুলিশ অফিসার ।
কৌতুক-০১২
দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে—
প্রথম বন্ধু: আমি আর আমার স্ত্রী জীবনের ২০টি বছর সুখী জীবনযাপন করেছি।
দ্বিতীয় বন্ধু: তারপর?
প্রথম বন্ধু: তারপর একদিন….আমাদের দুজনের দেখা হলো!
কৌতুক-০১৩
দুই বান্ধবীর কথোপকথন।
—স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করেছ কেন?
—ও একগাদা অশ্লীল গান জানে!
—তোমাকে গেয়ে শুনিয়েছে?
—না, শিস বাজায় সারাক্ষণ।
কৌতুক-০১৪
এক বন্ধু কানে তুলো গুঁজে জোরে জোরে কী যেন পড়ছে। পাশে গভীর মনোযোগে আরেক বন্ধু তা শুনছে আর লজ্জায় একটু পর পর লাল হয়ে যাচ্ছে।
তৃতীয় আরেক ব্যক্তি কৌতূহল চাপতে না পেরে জানতে চাইলেন, 'তা পড়ছ কী আর কানে তুলো গুঁজে রেখেছ কেন?' প্রথম বন্ধু হাসিমুখে বলল, 'আমার বন্ধুটি পড়তে জানে না।
তার প্রেমিকা তাকে চিঠি লিখেছে। আমি তাকে সেটা পড়ে শোনাচ্ছি। আর বন্ধু চায় না আমিও কথাগুলো শুনে ফেলি।'
কৌতুক-০১৫
তিন বন্ধু একটি মোটরসাইকেলে চড়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। কিছুদূর যাওয়ার পর ট্রাফিক তাদের থামিয়ে দিয়ে বলল, ‘একটি মোটরসাইকেলে তিনজন ওঠা আইনত অপরাধ, এটা আপনারা জানেন না?’
‘জানি’, জবাব দিল একজন।
ট্রাফিক রেগে বলল, ‘জানেন তো একটি মোটরসাইকেলে তিনজন উঠেছেন কেন?’
‘জেনেশুনে অপরাধ করব না বলেই তো আমাদের একজনকে বাসায় রেখে আসতে যাচ্ছি, স্যার।’
কৌতুক-০১৬
শোভা– বুঝলি সোমা, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি অয়নকে বিয়ে করব না।
সোমা– সে-কি-রে, পাঁচ বছর ধরে প্রেম করলি, এখন বিয়ে করবি না কেন?
শোভা– জানিস, অয়ন একেবারে ... নাস্তিক!
সোমা– ও নাস্তিক তাতে তোর কি, তুই তো আর নাস্তিক নোস ।
শোভা– ও নরক আছে বলে বিশ্বাস করে না। ভয়ানক ব্যাপার নয়?
সোমা– ঘাবড়াচ্ছিস কেন, বিয়েটা হতে দে। কয়েকদিনের মধ্যেই বাছাধন বুঝে যাবে যে নরক সত্যিই আছে !!!
কৌতুক-১৭
১ম বন্ধু : তুমি কাল রাতে এরকম করলে কেন?
২য় বন্ধু : আমার দোষ নেই। এক ডোকে সমস্ত বোতলটা শেষ করতে হয়েছিল কিনা তাই ...
১ম বন্ধু : কেন বাজি ধরেছিলে নাকি?
২য় বন্ধু : না, বোতলের ছিপিটা হারিয়ে গিয়েছিল ..
কৌতুক-০১৮
ক্লাস 5 এর এক ছেলে তার বন্ধুকে বলছে…….
” দোস্ত, ক্লাস টিচারকে ভালোবাসা অনেক মুশকিল… !!!
: কেন দোস্ত ???
:প্রেমপত্র পাঠিয়ে ছিলাম…
হোম ওয়ার্ক মনে করে বানান ঠিক করে সাইন করে দিয়েছে…
কৌতুক-০১৯
১ম বন্ধু: জানিস কাল আমি স্বপ্ন দেখেছি!
২য় বন্ধু: কী রকম?
১ম বন্ধু: আমি দমকলে কাজ করছি । আগুন লেগেছে এক জায়গায় আমি নেভাছিলাম..
২য় বন্ধু: তো ?
১ম বন্ধু:সকালে উঠে দেখি বিছানা ভিজায় দিয়েছি ।
কৌতুক-০২০
এক মেয়ের সাথে আরেক মেয়ের কথা হচ্ছে..
১ম মেয়েঃ আজকালকের ছেলেদের কোন বিশ্বাস নাই আমি তো আজকে থেকে ওর মুখও দেখতে চাইনা…
২য় মেয়েঃকি হইছে??.. তুমিকি ওকে অন্য কোন মেয়ের সাথে দেখে ফেলছ??
…
১ম মেয়েঃ আরে না! ও আমারে আরেক ছেলের সাথে দেখে ফেলছে..
কালকে ও আমারে বলছিল ও নাকি শহরের বাইরে যাবে. . . . !
মিথ্যুক , বদ, ধোঁকাবাজ…
কৌতুক-০২১
ঝন্টু: শোন পল্টু, আগামী রোববার আমার জন্মদিন। সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় চলে আসিস।
পল্টু: অবশ্যই আসব। কিন্তু তোর বাসার ঠিকানা তো জানি না।
ঝন্টু: শোন, মালিবাগ মোড় থেকে ডান দিকে এসে বাম দিকের প্রথম গলিতে ঢুকে সোজা এগিয়ে ডান পাশের সরু গলিটার শেষ মাথায় আমাদের বাড়ি। বাড়ির ৩ তলায় উঠে ডান পাশের দরজায় কনুই দিয়ে কলবেল বাজাবি, ব্যস্, আমি দরজা খুলে দেব।
পল্টু: কনুই দিয়ে বেল বাজাতে হবে কেন? হাত দিয়ে বাজালে কী হয়?
ঝন্টু: ওমা! তোর হাতে উপহারের বাক্স থাকবে না! হাত দিয়ে বেল বাজাবি কী করে?!
কৌতুক-০২২
: জান, আমার স্ত্রী কাল রাতে স্বপ্ন দেখেছেন এক কোটিপতির সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে।
: রাতে স্বপ্ন দেখেছেন, হা-হা-হা।
: হাসছ কেন?
: আমার স্ত্রী দিনের বেলায়ও সেই স্বপ্ন দেখেন, বন্ধু।
কৌতুক-০২৩
দুই বন্ধু রঞ্জু আর সঞ্জুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
রঞ্জু: বল তো, ঘটা করে বিয়ে আর প্রেম করে বিয়ের মধ্যে পার্থক্য কী?
সঞ্জু: এটা তো খুবই সোজা।
রঞ্জু: আহা বল না।
সঞ্জু: শোন, পার্থক্যটা খুবই সাধারণ। প্রেম করে বিয়ে করলে নিজের প্রেমিকাকে বিয়ে করতে হয়, আর ঘটা করে বিয়েতে অন্যের প্রেমিকাকে বিয়ে করতে হয়।
কৌতুক-০২৪
দুই বিবাহিত বন্ধু বিল্টু আর দুবলোর মধ্যে কথা হচ্ছে—
বিল্টু: আচ্ছা দুবলো! বল তো, সিনেমার জীবন আর বাস্তব জীবনের মধ্যে পার্থক্য কী?
দুবলো: এইটা বুঝলি না! সিনেমায় অনেক ঝক্কিঝামেলা পেরোনোর পর বিয়ে করতে হয়। আর বাস্তব জীবনে বিয়ের পর অনেক ঝক্কিঝামেলা শুরু হয়।
কৌতুক-০২৫
: বাজারে একটা টনিক এসেছে যেটা খেলে মানুষ ১০০ বছর বাঁচে।
: আমি ব্যাচেলার হলে একটা কিনতাম।
কৌতুক-০২৬
আসাদঃ আমি বিয়ে করলাম কেন, জানিস?
সাগরঃ কেন রে?
আসাদঃ আরে! রান্নাবান্না, জামাকাপড় কাচা, বাড়িঘর পরিষ্কার করা, বাজার করা···উফ! এত কাজ আর একলা করতে পারছিলাম না, তাই বিয়ে করে নিলাম।
সাগরঃ দারুণ! তুই কি জানিস এই একই কারণে আমার ডিভোর্স হয়েছে?
কৌতুক-০২৭
দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম ব্যক্তিঃ ভাই, আপনি বিয়ে করেছেন?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ।
১ম ব্যক্তিঃ কাকে?
২য় ব্যক্তিঃ একটা মেয়েকে।
১ম ব্যক্তিঃ কেউ কি ছেলেকে বিয়ে করে?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ, করে। গত বছর আমার বোন একটা ছেলেকে বিয়ে করেছিল।
কৌতুক-০২৮
এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলল, তুমি মেয়েদের ব্যাপারে কিভাবে জানবে? তুমি তো বিয়েই কর নাই।
২য় বন্ধুর উত্তর, কি যে বল! মেয়েদের ব্যাপারে জানি বলেই তো বিয়ে করি নাই।
কৌতুক-০২৯
৩ বাটপার বন্ধু বহুদিন পর দেখা । তো এক রেস্টুরেন্টে খেতে গেলো ।
১জন ওয়াশ রুমে গেলো…
বাকী ২ জন আলাপ করছে । আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে ……
কৌতুক-০৩০
বুলুঃ তারপর দোস্ত, বাচ্চা কাচ্চা কয়টা ?
টুলুঃ আমার একটাই ছেলে । আমার মতোই বুদ্ধিমান ।
ভার্সিটিতে পড়ে। বিরাট বড়োলোকের একমাত্র মেয়েকে পটাইছে ।
কৌতুক-০৩১
মেয়েকে ইম্প্রেস করার জন্য একটা গাড়ি গিফ্ট করছে ।
একবার বিয়ে হয়ে গেলে, মেয়ের বাপের সব প্রোপার্টি আমার ।
কৌতুক-০৩২
বুলুঃ আমারও একটাই ছেলে ।
আমার মতোই বুদ্ধিমান ।
ভার্সিটিতে পড়ে । সেও বিরাট বড়োলোকের একমাত্র মেয়েকে পটাইছে ।
কৌতুক-০৩৩
মেয়েকে ইম্প্রেস করার জন্য ফ্লাট গিফ্ট করছে ।
ভালোয় ভালোয় বিয়েটা হয়ে গেলেই, মেয়ের বাপের সব প্রোপার্টি আমার ।
.
.
.
এর মধ্যে তৃতীয় বন্ধু এলো ।
১জনে জিগাইলো, দোস্ত তোর ছেলে মেয়ে কয়টা ?
মনুঃ আমার এক মেয়ে, আমার মতোই ধান্দাবাজ ।
২ পোলারে নাকে দড়ি দিয়া ঘুরাইতেছে ।
১জন দিছে ফ্লাট আর ১জন দিছে গাড়ি ।
আগামীতে আরো অনেক কিছু আদায় করার প্লান আছে ।
কৌতুক-০৩৪
১ম বন্ধু : তোর রোল কত ?
২য় বন্ধু : আমার রোল আটানব্বই । তোর রোল কত ?
১ম বন্ধু : আমার রোল ময়দানব্বই ।
২য় বন্ধু : দূর মিয়া ! ময়দানব্বই কারও রোল হয় নাকি ?
১ম বন্ধু : তোর রোল আটা হলে আমার রোল ময়দা হবে না !
কৌতুক-০৩৫
মঞ্জু ও বাবুল খেতে কাজ করছিল। একটু দূরেই গাছের ছায়ায় বসে আরাম করছিল সগীর।
মঞ্জু বলল বাবুলকে, ‘এই কড়া রোদে আমরা কাজ করছি। আর ওই ব্যাটা আয়েশ করে বসে আছে কেন?’
বাবুল বলল, ‘তাই তো! দাঁড়া, গিয়ে জিজ্ঞেস করে আসি।’
বাবুল গেল সগীরের কাছে, ‘এই যে নবাব! আমরা কাজ করছি, আর আপনি হাত-পা গুটিয়ে বসে আছেন কেন?’
সগীর হাসে। বলে, ‘কারণ, আমি বুদ্ধিমান।’
‘কীভাবে?’ বাবুলের প্রশ্ন।
‘দাঁড়া, দেখাচ্ছি।’ সগীর তাঁর এক হাত একটা বড় পাথরের সামনে ধরে বলে, ‘আমার হাতে জোরে একটা ঘুষি মার তো দেখি।’
বাবুল যেই ঘুষি মারতে গেছে, অমনি সগীর হাত সরিয়ে ফেলে। ঘুষি লাগে পাথরের গায়ে। ব্যথায় ককিয়ে ওঠে বাবুল।
সগীর হো হো করে হেসে ওঠে, ‘দেখলি তো, তোকে কেমন বোকা বানালাম। একেই বলে বুদ্ধি।’
মন খারাপ করে বাবুল যায় মঞ্জুর কাছে। মাথা নিচু করে বলে, ‘ও বসে আছে। কারণ ও বুদ্ধিমান।’
‘কেমন বুদ্ধি?’ এবার মঞ্জুর জিজ্ঞাসা।
বাবুলের চোখ আনন্দে ঝলমল করে ওঠে। হাসিমুখে সে বলে, ‘দেখতে চাস?’ নিজের নাকের কাছে হাত রেখে সে বলে, ‘আমার হাতে একটা জোরে ঘুষি মার তো দেখি…!’
কৌতুক-০৩৬
প্রথম বন্ধু : কি রে, গত পরীক্ষায় ইংরেজীতে সর্বোচচ নম্বর পেলি, এবার ফেল, ব্যাপারটা কী বলতো?
দ্বিতীয় বন্ধু : আর বলিস না দোস্ত, ইংরেজী পরীক্ষার দিন ভুলে পকেটে করে বিজ্ঞান বই নিয়ে গিয়েছিলাম।
কৌতুক-০৩৭
একবার এক বন্ধু তার একজন বন্ধুকে ৩বার কল দিল। কিন্তু সে বন্ধুটি ফোন ধরল না। তারপর প্রথম বন্ধুটি এস.এম.এস করলঃ
“সেই মেয়েটি তোর ফোন নাম্বার চেয়ে ছিল আমি কি দিব?”
দ্বিতীয় বন্ধু এবার প্রথম বন্ধুকে ৩০ বার ফোন দিল কিন্তু প্রথম বন্ধুটি ফোন ধরলনা।
এভাবেই সায়েস্তা করতে হয় কি বলেন!
কৌতুক-০৩৮
দুই বান্ধবীর মধ্যে কথা হচ্ছে-
- জানিস? রফিকের দাদায় খুব দানশীল লোক ছিলেন। তিনি মরার আগে সব এতিমখানায় দান করে গেছেন।
- তাই নাকি! তা তিনি এতিমখানায় কি দিয়ে গেছেন ?
- দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
কৌতুক-০৩৯
দুই বান্ধবীর মাঝে তর্কাতর্কি হচ্ছে। তর্কাতর্কির এক প্রর্যায়ে এক বান্ধবী অন্য বান্ধবীকে একটি থাপ্পড় দিয়ে ফেলল। তখন বান্ধবীটি জিজ্ঞাসা করল-
১ম বান্ধবী : তুমি কি আমাকে থাপ্পড়টি সত্যি সত্যি মারছো নাকি ইয়ার্কি করে মারছো ?
২য় বান্ধবী : সত্যি সত্যি মারছি।
১ম বান্ধবী : তবে ঠিক আছে। আমি আবার ইয়ার্কি একদম সহ্য করিনা
কৌতুক-০৪০
হে প্রভু, যদি আমার ওজন না-ই কমে, তাহলে আমার বন্ধুদের মোটা বানিয়ে দাও।
কৌতুক-০৪১
করিম একদিন বলছেন তাঁর বন্ধুকে—জানিস, বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া হলে আমি কী করি?
বন্ধু: কী করিস?
করিম : আমাদের বিয়ের ভিডিও দেখি।
বন্ধু: কেন?
করিম : কারণ, আমি ভিডিওটা ‘রিওয়াইন্ড’ মুডে দেখি। সবকিছু উল্টো হতে থাকে। আমার স্ত্রী হাত থেকে আংটি খুলে ফেলে, আমাকে রেখে গাড়িতে উঠে চলে যায়। দেখতে বড় ভালো লাগে!
কৌতুক-০৪২
রণন আর নাছের দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে।
রণন: বুঝলি নাছের, সুলেখাকে আমি ভালোবাসতাম, কিন্তু এখন আর বাসি না।
নাছের: কেন?
রণন: মেয়েটা কানে কম শোনে।
নাছের: কী করে বুঝলি?
রণন: আমি ওকে বললাম, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর ও বলল, আমার পায়ের স্যান্ডেলটা নতুন!
কৌতুক-০৪৩
বান্দরবান ঘুরে আসার পর এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করল, কি রে, বান্দরবানে প্রাকৃতিক দৃশ্য কেমন দেখলি?
জবাবে আরেক বন্ধু বলল, ‘আরে দূর, পাহাড়ের জন্য কিছুই দেখতে পারিনি।’
কৌতুক-০৪৪
রনি :- জানিস একটা বাংলাদেশী মেয়ে আমাকে আজ থাপ্পর মেরেছে।
টনি :- কেন?
রনি :- জানিনা রে ভাই।
আমি শুধু বলেছিলাম ৷৷ ৷৷
৷৷
৷৷
৷৷
৷৷
৷৷
৷৷
৷৷
আপনাদের ঢাকা জায়গাটা খুব সুন্দর
কৌতুক-০৪৫
আজকার মানুষকে যখন কেউ প্রশংসা করে তখন তাকে সে নির্ভরযোগ্য হিসেবে ধরে নিয়ে সত্যি সত্যি নিজেকে ভাল মনে করে বসে। একবার ভেবে ও দেখে না সে আল্লাহর কাছেও ভাল কি না।
এক নাপিতনী তার প্রতিবেশী এক মেয়েলোককে নাকের নথ খুলে মুখ ধুতে দেখছিল। নথ খুলতে দেখে ভাবল মেয়েটি বিধবা হয়ে গেছে। দৌড়ে দিয়ে তার নাপিতকে বললো, “ বসে দেখছো কি? শিগগির গিয়ে মেয়েটির স্বামীকে খবর দাও.. তার স্ত্রী বিধবা হয়ে গেছে।”
নাপিত তাড়াতাড়ি উঠি-পড়ি করে মেয়েটির স্বামীর কাছে গিয়ে বলতে লাগলো, “হুজুর বরবাদ হয়ে গেছে! আপনার স্ত্রী বিধবা হয়ে গেছে।”
এই খবর শোনা মাত্র লোকটি ডুকরিয়ে কাঁদতে লাগলো, “হায় আমার কি হবে?”
বন্ধুরা সব ছুটে আসলো। জিজ্ঞাসা করলো, “কাদঁছো কেন? খুলে বল কি হয়েছে?”
বললো, “সর্বনাশ! আমার স্ত্রী বিধবা হয়ে গেছে।”
বন্ধু বললো, “জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পেয়েছে নাকি তোমার? তুমি স্বশরীরে জীবন্ত বসে আছ আর তোমার স্ত্রী বিধবা হয়েছে?”
হাঁ তা তো ঠিকই। জীবিত্ই তো আছি। কিন্তু খবর যে নির্ভরযোগ্য লোক দিয়েছে! না কেঁদে পারি না। ”
সেইরূপ আজকাল মানুষ নিজের প্রশংসাকারীকে নির্ভরযোগ্য মনে করে আত্মভোলা হয়ে পড়ে। এবং গোনাহগার হওয়া সত্বেও নিজেকে নেককার ভেবে থাকে।
আল্লাহ তাকে ভাল বললো কিনা সেদিকে খেয়াল নাই। এরা হলো প্রকৃত বোকা।
কৌতুক-০৪৬
স্কুল পড়ুয়া দুই বন্ধুর পরীক্ষার শেষে স্কুল মাঠে দেখা-
১ম বন্ধুঃ কীরে দোস্ত, পরীক্ষা কেমন হলো ?
২য় বন্ধুঃ পরীক্ষা ভাল হয়নি দোস্ত; তবে ৫ নম্বর নিশ্চিত পাবো ।
১ম বন্ধুঃ কীভাবে ?
২য় বন্ধুঃ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ছিল ৫ নম্বর, তাই
আমি পরীক্ষার খাতায় কলমের একটা আঁচড়ও দেইনি; ৫ নম্বর নিশ্চিত পাবো।
১ম বন্ধুঃ হায় হায়! সর্বনাশ হয়েছে। আমিও তো তোর মতো পরীক্ষার খাতায় কলমের একটা আঁচড়ও দেইনি। আমাদের দুই জনের খাতাই একই রকম দেখলে টিচার তো মনে করবে যে আমরা দুজনে নকল করেছি!
কৌতুক-০৪৭
রাতে একটি তাঁবু টানিয়ে তার ভেতর ঘুমিয়ে পড়ল।
মাঝরাতে বল্টু ..পল্টুকে ডেকে তুলল।
বল্টু : দোস্ত, আকাশ দেখতাছস?
পল্টু : হ দোস্ত। দেখতাছিতো।
বল্টু : কি বুঝলি?
পল্টু : আকাশে কোন মেঘ নাই। অনেক তারা দেখা যাচ্ছে। তারমানে, আজ বৃষ্টি হবে না।
বল্টু : ওরে আবহাওয়াবিদের বাচ্চা!!
আমাগোর তাবুডা চুরি হইয়াগেছে, এইজন্যই আকাশ দেহা যাইতাছে |
কৌতুক-০৪৮
বল্টুঃ- কি রে কুদ্দুস । লিফট বন্ধ ক্যান ?
কুদ্দুসঃ- মনে হয় লিফট নষ্ট হইছে ।
বল্টুঃ- হায় হায় ! এহন তাইলে ১৯০ তলায় উঠমু ক্যামনে ?
কুদ্দুসঃ- সমস্যা নাই । সিঁড়ি দিয়া উঠমু !
বল্টুঃ- আমি পারমু না ?
কুদ্দুসঃ- শোন , আমি একটা মজার কথা কমু আর সিঁড়ি দিয়া উপরে উঠতে থাকমু । আমার মজার কথা শেষ হইলে তুই একটা দুঃখের কথা বলবি । এইভাবে কথা কইতে কইতে আমরা ১৯০ তলায় উইঠা যামু ।
বল্টুঃ- আইচ্ছা ঠিক আছে ।(কুদ্দুসের মজার কথা শুরু)
কুদ্দুসঃ- (মজার কথা শেষ কইরা ) দেখছস আমরা এহন কথা কইতে কইতে ১৬০ তলায় আইসা পড়ছি । এহন তুই একটা দুঃখের কথা কইতে থাক ।
বল্টুঃ- দুঃখের কথা আর কি কমু , ফ্ল্যাটের চাবি তো নিচে গাড়িতে রাইখা আইছি।
কৌতুক-০৪৯
একবার ক্লাসে গানের প্রতিযোগীতা হচ্ছে !!
প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করবে তিন জন :
১. আবুল
২. পল্টু
৩. বল্টু
স্যার প্রথমে আবুলকে গান গাইতে বললো :
তখন আবুল গান বললো :
এই বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর ,
বদনা হাতে আব্দুল গফুর ,
আঁকা-বাঁকা গ্রাম্য পথে ,
লুঙ্গি তুইলা হাইটা যায় !!
তাই দেখিয়া বুকটা আমার
বেলুনের মত ফাইটা যায় . . . .
আবুলের গান শুনে স্যার বেইজ্জতি !!
এবার পল্টুর পালা ,
পল্টু গান বললো :
হৈ হৈ বাশের পাতা খসখসে ,
লাউয়ের পাতা নরম ,
ছকিনার মুখে চুমু দিতে ,
আমার লাগে শরম . . . . .
এবার স্যারের মাথা পুরাই হ্যাং . . . . .
এবার বল্টুর পালা . . . . .
বল্টু স্যারের মেয়েকে ভালবাসতো !!
স্যারের মেয়ের নাম ছিলো জরিনা !! তাই , ক্লাসে জরিনাকে লক্ষ্য করে , বল্টু ব্যান্ডের গান বললো :
চাঁদ উঠেছে আকাশে ,
জরিনা আমার বাম পাশে ,
আমি সমুদ্র জরিনা ঢেউ ,
জরিনা কুত্তা আমি ঘেউ ,
ভ্রক ভ্রউউউউউউঊউ . . . . .
স্যার , এবার পুরাই বেহুশ !!
কৌতুক-০৫০
বল্টু আর পল্টু দুই বন্ধু বেড়াতে গেল জাপান। তারা সেখানে বড় একটা হোটেলে উঠল।
: পল্টুঃ খুব খিদে পেয়েছে দোস্ত।
বল্টুঃ তোর এই খাই খাই সভাবটা আর গেলনা। :
পল্টুঃ চল না, দোস্ত
বল্টুঃ বল কি খাবি?
পল্টুঃ তুই ওর্ডার দে। বল্টু ওয়েটার কে ডাকল ওয়েটার খাবারের মেনু বইটা দিল। বল্টু ভাষা না বুঝে আন্দাজে একটা টিক দিয়ে দিল। একটু পরে খাবার আসল, পরাটা আর মাংস দু'জনে খুব মজা করে খাচ্ছে
বল্টুঃ খুব টেস্ট, এটা খাসির মাংস
পল্টুঃ আরে দুর ব্যাটা এটা গরুর মাংস এই নিয়ে দু'জনের মাঝে ভিশন ঝগড়া লোকজন জরো হয়ে গেল ওয়েটার কে ডাকল। ওয়েটারত এদের ভাষা বোঝেনা। তাই এরা মাংসের টুকরা হাতে নিয়ে।
বল্টুঃ এইটা,,, ম্যা ম্যা,,,,,,,
পল্টুঃ এইটা,,, হাম্বা হাম্বা,,,,,,
: ওয়েটার কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল ইট'স,,,,, ঘেউ ঘেউ,,,,,,
Developed by
No comments:
Post a Comment