27 May, 2018

চাপাবাজি কৌতুক



০১. চাপাবাজি

১ম চাপাবাজঃ আমি এত গরম চা খাই যে, কেতলি থেকে সোজা মুখে ঢেলে দেই!
২য় চাপাবাজঃ কি বলিস! আমি তো চা-পাতা, পানি, দুধ, চিনি মুখে দিয়ে চুলোয় বসে পড়ি!

০২. চাপাবাজি

একবার এক অনুষ্ঠানে এক বাংলাদেশি, সাউথ আফ্রিকান আর ইন্ডিয়ান গল্প করছে। আলোচনার বিষয়বস্তু ক্রিকেট।

ইন্ডিয়ান: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল, স্টাইকার এন্ডে ছিল শচীন। বোলার বল করল, শচীন সেটা থার্ডম্যানের দিকে ঠেলে দিয়ে ৩ রান নিল, ফিল্ডার সেটা ছুড়ল নন-স্টাইকার এন্ডে। ওভার থ্রো তে শচিন আরও তিন রান নিয়ে নিল। এবার ফল্ডার সাবধান হয়ে সেটা ছুঁড়ে দিল উইকেট কিপারের দিকে, উইকেট কিপার ধরতে পারল না আর বলটা চলে গেল বাউন্ডারির ওপারে ফলে চার রান। ৩+৩+৪ =১০ আমরা জিতে গেলাম।

সাউথ আফ্রিকান: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল। আমদের গ্রায়েম স্মিথকে তো তোমরা চেন। তার গায়ে মারাত্মক জোর। সে এমন জোরে মারল জে বল স্টেডিয়াম পার হয়ে কয়েক শ গজ দূরে গিয়ে পড়ল। আম্পায়ারের কোন উপায় ছিল না। সে ১২ রান দিয়ে দিল। আমরা জিতে গেলাম।

বাংলাদেশি: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল। আমাদের আশরাফুলকে তো তোমরা চেন, সে সেইরকম মারকুটে ব্যাটসম্যান। বোলার বল করল আর আশরাফুল সজোরে ব্যাট চালাল। ব্যাটের আঘাতে বল ভেঙে দুইটুকরা হয়ে গেল। এক টুকরা উড়ে বাউন্ডারি পার হল আর অন্যটুকরা গড়াতে গড়াতে বাউন্ডারি পার হল। ফলে আমরা ৬ + ৪ = ১০ রান করে ফেললাম। আমরা জিতে গেলাম।

০৩. চাপাবাজি

দুই চাপাবাজের মধ্যে আলাপ হচ্ছে-
প্রথম চাপাবাজ: জানিস মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারটা কিনে ফেলি।
দ্বিতীয়চাপাবাজ: অত সহজ না বন্ধু! ওটা আমি বেচলেতো।

০৪. চাপাবাজি

তিন বন্ধু ঘুম থেকে উঠে একজন আরেকজনকে স্বপ্নের কথা বর্ননা করছে।
প্রথম বন্ধুঃ "জানিস আমি স্বপ্নে দেখলাম মরুভুমির সব বালি সোনা হয়ে গেছে আর আমি সেগুলোর মালিক হয়ে গেছি।"
দ্বিতীয় বন্ধুঃ "আমি স্বপ্নে দেখলাম আকাশের সব তারা স্বর্নমুদ্রা হয়ে গেছে আর আমি তার মালিক হয়ে গেছি।"
তৃতীয় বন্ধুঃ "আমি স্বপ্নে দেখলাম এতো কিছু পেয়ে তোরা খুশিতে হার্টফেল করেছিস আর মরবার আগে আমাকে তোদের সব সম্পদ উইল করে দিয়ে গেছিস।"

০৫. চাপাবাজি

১ম বন্ধু : জানিস, আমার বাবা যদি একদিন অফিসে না যায় তাহলে কেউ অফিস করতেই পারবে না।

২য় বন্ধু : তাই নাকি? তোর বাবা বুঝি বড় অফিসার?

১ম বন্ধু : আমার বাবা অফিসের দারোয়ান।

০৬. চাপাবাজি

এক বৃদ্ধ রেস্টুরেন্টের ভেতর ঢুকে ম্যানেজারকে বলল, ‘আজ বিশ্বকাপের ফাইনাল, আমার নাতিটা ফুটবল খেলা খুব ভালোবাসে। ওকে যদি আজ বিকেলটা ছুটি দিতেন, তাহলে খুব ভালো হতো। আমরা দুজন একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারতাম।’

ম্যানেজার বলল, ‘দুঃখিত, সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ও তো আপনাকে কবর দিতে সারা দিনের জন্য ছুটি নিয়ে গেছে।’

০৭. চাপাবাজি

১ম বন্ধু : জানিস, আমি ছোটবেলায় একবার পাঁচতলা থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিলাম।

২য় বন্ধু : বলিস কি! তারপর? তারপর কী হলো? তুই কি মরে গিয়েছিলি?

১ম বন্ধু : কী জানি! ছোটবেলার কাহিনী কি আর এখন মনে আছে?

০৮. চাপাবাজি

তিন ইঁদুর নিজেদের বীরত্বের চাপাবাজি করছে।

প্রথম ইঁদুর: জানিস, সেদিনআমি এক বোতল ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে ফেলেছি, অথচ আমারকিছুই হয়নি।

দ্বিতীয় ইঁদুর: কিছুদিন আগে আমি একটা ফাঁদে আটকা পড়ে গেছিল ফাঁদটা ভেঙেবেরিয়ে এসেছি।

তৃতীয় ইঁদুর: তোরা গল্প কর, আমি আজ উঠি। বাড়ি ফিরে আবার পোষা বিড়ালটাকে খাবার দিতে হবে।

০৯. চাপাবাজি

দুই চাপাবাজের মধ্যে আলাপ হচ্ছে-

প্রথম চাপাবাজ: জানিস মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারটা কিনে ফেলি।

দ্বিতীয়চাপাবাজ: অত সহজ না বন্ধু! ওটা আমি বেচলেতো।

১০. চাপাবাজি

দুই চাপাবাজের মধ্যে চলছিল তুমুল চাপাবাজি।

প্রথমজন : আমার দাদার ছিল বিশাল এক গোয়ালঘর। সেখানে যে কত গরু থাকত, দাদা নিজেই তা জানতেন না। সেই গোয়ালঘরের একপাশ ধরে সকালে হাঁটা শুরু করলে অন্যপাশে পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যেত!

দ্বিতীয়জন : রাখ ব্যাটা তোর দাদার গোয়ালঘর। জানিস, আমার দাদার ছিল অনেক লম্বা একটা মই। সে মই দিয়ে দাদা প্রায়ই মেঘের দেশে যেত এবং মেঘরাজার প্রাসাদে গিয়ে ব্যাপক মাস্তি করত।

প্রথমজন : ধুর ব্যাটা, অত বড় মই তোর দাদা রাখত কোথায়?

দ্বিতীয়জন : কেন রে, তোর দাদার গোয়ালে!

১১. চাপাবাজি

মোটর সাইকেলে চড়ে দুই বন্ধু যাচ্ছে।

পেছনে বসে থাকা বন্ধু বলল, ‘দোস্ত একটু আস্তে চালা, ভয় লাগছে তো…!!’

যে বন্ধু মোটরসাইকেল চালাচ্ছে, সে উত্তর দিলো, ‘আরে ব্যাটা , বেশি ভয় লাগলে আমার মতো চোখ বন্ধ করে রাখ...!!’

১২. চাপাবাজি

বয়ফ্রেন্ড:- সুইটহার্ট

তুমি কোথায়?

.
.
.
.
গার্লফ্রেন্ড:- (এক্সট্রা ভাব নিয়ে) পাপা গাড়ি পাঠিয়েছে সাথে ড্রাইভার আছে সে আমাকে ক্লাব এ নামিয়ে দিবে। তুমি কোথায়?

.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
বয়ফ্রেন্ড:- আমি বাসে তোমার পিছনে বসে আছি। আর তুমি টিকেট নিওনা আমি তোমার জন্য টিকেট নিয়ে রাখিছ।

গার্লফ্রেন্ড :- ফুলস্টপ।

১৩. চাপাবাজি

দুই অভিনেতা তাঁদের অভিনয় জীবনের স্মৃতিচারণ করছেন ভক্তদের কাছে।

একজন : একবার এক দুঃখের দৃশ্যে এমন অভিনয় করেছিলাম যে দর্শকরা কেদেকেটে বুক ভাসিয়ে দিয়েছিল।

অন্যজন : একবার এক দুঃখের দৃশ্যে এমন অভিনয়ের পর দর্শকরা আমি মরে গেছি ভেবে খাটিয়া নিয়া হাজির হয়েছিল। শুধু কি তাই? ইনস্যুরেন্স কোম্পানি পর্যন্ত আমার বউকে পলিসি বাবদ সমস্ত পাওনা মিটিয়ে দিয়েছিল।

১৪. চাপাবাজি

এক শিকারি বন্ধুদের আড্ডায় বসে বলছে, ‘জানিস, সেবার আফ্রিকার জঙ্গলে গিয়ে আমি কতগুলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার মেরেছি?’

বন্ধুরা ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘আফ্রিকার জঙ্গলে তো রয়েল বেঙ্গল টাইগারই নেই! তুই মারবি কোথা থেকে?’

শিকারি: আহ্! সব যদি আমি মেরেই ফেলি, তাহলে থাকবে কোথা থেকে?!

১৫. চাপাবাজি

আলোকচিত্র সাংবাদিক হরিপদ মহাসড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন, পথিমধ্যে এক জায়গায় ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটেছে। জানা গেল, হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। করিৎকর্মা হরিপদ ভাবলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে চটজলদি কিছু ছবি না তুললেই নয়।

ক্যামেরা হাতে এগিয়ে গেলেন তিনি। এদিকে লোকজন ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে। হরিপদ ছবি তুলবেন কি, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যাওয়াই দায়।

ফন্দি আঁটলেন হরিপদ। উঁচু গলায় বলতে শুরু করলেন, ‘দেখি ভাই, আমাকে একটু সামনে যেতে দেন। যিনি মারা গেছেন, তিনি আমার অত্যন্ত আপনজন…একটু সামনে যেতে দিন।’

হরিপদকে জায়গা করে দিল লোকজন। হরিপদ সামনে গিয়ে দেখলেন, দুটো ছাগল মরে পড়ে আছে!

১৬. চাপাবাজি

তিনজন লোক।

একজন আমেরিকার, একজন ইংল্যান্ডের আর একজন বাংলাদেশের। একসাথে ঘুরতে বেরিয়েছে। কে কাকে কিভাবে টেক্কা দেবে তা নিয়ে প্রত্যেকেই ব্যতিব্যস্ত।

হঠাত আমেরিকার লোকটা বলে উঠল- জানো, আমরা কী রকম বীর? কোন বাঘ যদি আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায় তাহলে তার দিকে শুধু বন্দুকটা তাক করলেই কেল্লা ফতে! গুল্লি-র কোনো দরকার নাই!

এই কথা শুনে ব্রিটিশ লোকটা বলল, এ আর এমন কি? আমাদের এমন সাহস যে বন্দুক বেরই করতে হয় না….ঝোলার ভেতর থেকে বন্দুকের নলটা যদি কোনভাবে বাঘ ব্রাদারের নজরে পড়েছে বা কোনমতে টের পেইয়েচে তাইলে সেইখানেই তার হার্ট আ্যাটাক!!

এই দুইজনের কতা শুনে বাংলাদেশের লোকটা ভাবতেসে আমার তো প্রেস্টিজের ব্যাপার। তাই সে চট করে বলল-

আরে ধুরো মিয়ারা! তোমরা কোন জমানায় আছো? আমাদের তো বন্দুক-ফন্দুক কিসসু লাগে না! ওই সব আমাদের সাহসের কাছে ফালতু জিনিস, ফাও প্যাচাল!

কথা শুনে আমেরিকান আর ব্রিটিশ তো জব্বর টাসকি খায়া গেল। জিগাইল-তাইলে তোমরা বাঘরে মারো ক্যামনে?

বাংলাদেশের পাবলিক তখন কয়- আরে মিয়া এইডা কোনো ব্যাপার? কোনো বাঘ আমাদের সামনে আইলে তার সামনে গিয়া আমরা শুধু কই-

” ইয়া আল্লাহ.........! তুমি ন্যাংটো-পুটো? ”

বাঘটা তখন লজ্জাতেই মারা যায়!

১৭. চাপাবাজি

পাঁচ ফুট লম্বা একটি ছেলে গেছে পাত্রী দেখতে। পাত্রীর বাবা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, বাবা, তুমি কতটুকু লম্বা?

পাঁচ ফুট ১০ ইঞ্চি।

ছেলের মা পাশেই বসেছিলেন। তিনি ছেলেকে বললেন, চুপ কর বাপ, এটা ফেসবুক নয়।

১৮. চাপাবাজি

এক লোক অনেক চাপাবাজি করে। তো সে সঙ্গীত নিয়েও চাপাবাজি করছে। সে এই সঙ্গীত লিখেছে সেই সঙ্গীতের সুর দিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

তো তার বন্ধু তাকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি রবীন্দ্রসঙ্গীতের বিষয়ে কি জানো?

জবাবে সে বললো, কতো রবীন্দ্র সংগীত লিখলাম আর তুমি বলো কি জানি!?

১৯. চাপাবাজি

নিম্ন মধ্যবিত্তের পাড়ায় হঠাৎ এক বিত্তশালী পরিবার বাড়ী পরিবার বাড়ী-ঘর বানিয়ে বাস করতে এল । প্রত্যোক কথায় কাজে টাকার গরম দেখিয়ে দেখিয়ে তারা প্রতিবেশীদের সকাল – সন্ধ্যা কেবলই অবাক করে দিতে লাগল । কোন এক দুপুর বেলায় মেয়েদের মজলিসের বড়লোক গিন্নি আসর জাকিয়ে বসে গল্প শুরু করেন–

– আমার স্বামীর ভাইয়ের কেবল পাইপ টানতে চার জন লোক লাগে ।

– সে কি শুধু পাইপ খাওয়াতেই চারজন মানূষ খাটে?

– হ্যাঁ , একজন পাইপটা পরিস্কার করে, একজন তামাক ভরে তাতে , আরেকজন পাইপটি ধরিয়ে দেয়।

– এত গেক তিন জন । আরেকজন কি করে

– আরেকজন পাইপটি টানে। ওর আবার পাইপ খাওয়া সহ্য হয় না কিনা। ও তাই বরাবরের মত কাঁচি সিগারেটই খায়।

২০. চাপাবাজি

প্রথম বন্ধুঃ জানিস, আমার মামার বাড়িতে এত বড় আম হয় যে দুটিতেই এক কেজি হয়ে যায়!

দ্বিতীয় বন্ধুঃ আরে তুই জানিস, আমার মামাবাড়িতে এত বড় বড় আম হয় যে চারটিতেই এক ডজন হয়ে যায়!

২১. চাপাবাজি

ইংল্যান্ডে বেড়াতে এসে ট্রেনে যেতে যেতে এক জার্মান ব্রিটিশ সহযাত্রীর কাছে লম্বাচওড়া বক্তৃতা দিচ্ছিল। বলছিল, ‘আমরা একটা ত্রিশতলা বাড়ি এক মাসে শুরু করে পরের মাসেই হস্তান্তর করে দিই।’

শুনে ইংরেজ আর থাকতে পারল না। বলল, ‘এ আর এমন কী! এখানে কি হয় জানো? সেদিন আমি অফিস থেকে বেরোবার সময় দেখলাম, একটা স্কাই-স্কেপারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আর আমি যখন ফিরছি, দেখি কিছু লোককে ভাড়া বাকি পড়েছে বলে সেই ফ্লাট বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।’

২২. চাপাবাজি

জলিল সাহেব আর তাঁর স্ত্রী ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন। বাড়ির দোরগোড়ায় ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে। ট্যাক্সিতে ওঠার আগ মুহূর্তে জলিল সাহেবের স্ত্রী বললেন, ‘তুমি এক মিনিট অপেক্ষা করো। বাড়িতে তো বিল্লু একাই থাকবে, আমি ওকে ওর খাবারটা দিয়ে আসি।’

ট্যাক্সি ড্রাইভার জলিল সাহেবকে বললেন, ‘কিছু মনে করবেন না স্যার, বিল্লু কে?’

জলিল সাহেব ভ্রু কুঁচকে তাকালেন। বিল্লু জলিল সাহেবের বিড়ালের নাম। কিন্তু বিল্লু কে, তা জানতে ড্রাইভার ব্যাটার এত আগ্রহ কেন? এমনিতেই দিনকাল খারাপ, ব্যাটার অন্য কোনো মতলব নেই তো…! বাড়িতে কে একা থাকছে, ভালো করে জেনে নিয়ে পরে আবার… নাহ্, হাবভাব ভালো ঠেকছে না। বুদ্ধি করে বললেন জলিল, ‘ওহ্ বিল্লু? ও হচ্ছে আমার ছোট ভাই, পুলিশে চাকরি করে। খুবই বুদ্ধিমান আর সাহসী ছেলে। বেশ ভালো কারাতেও জানে। একাই দু-চারজনকে পিটিয়ে কাবু করতে পারে!’

কিছুক্ষণ পরই ফিরলেন জলিল সাহেবের স্ত্রী। জলিল বললেন, ‘কী, খাবার দিয়েছ ঠিকমতো?’

স্ত্রী: ‘আর বোলো না, আমার ডাক শুনেই ভয় পেয়ে খাটের নিচে গিয়ে ঢুকেছে পাজিটা। এত করে ডাকলাম, বেরই হলো না!’

২৩. চাপাবাজি

দাদা আর নাতি ডাইনিং টেবিলে বসে গল্প করছে

দাদা : তোরা কি খাস … খাওয়াদাওয়া করেছি আমরা … হাতি খেয়ে হজম করতে পারতাম।

নাতি : তখন বাথরুম করতে কোথায় ?

২৪. চাপাবাজি

: বুঝলি, আমি লক্ষপতি, তোর মতো লোককে এক হাটে কিনে অন্য হাটে বেচতে পারি।

: আমি ? কোটিপতি, তোর মতো মানুষকে কিনি, কিন্তু বেচবার দরকার হয় না।

২৫. চাপাবাজি

গদা: জানিস পদা, পৃথিবী দিন দিন মেধাশূন্য হয়ে পড়ছে।

পদা: কিভাবে?

গদা: এই ধর এরিস্টটল মারা গেলো, নিউটন গত হয়েছে, আইনস্টাইন মরে ভূত হয়ে গেল, স্টিফেন হকিং-এর স্বাস্থ্যও খারাপ, আমার শরীরটাও বেশি ভালো থেকছি না কয়েকদিন ধরে…

২৬. চাপাবাজি

: শোন, আমি বিদেশে মিউজিকের ওপর পড়ালেখা করেছি। যেকোনো কি-বোর্ডেই আমি সুর তুলতে পারি।

: তাই, এই নে আমার কম্পিউটারের কি-বোর্ড, এইটাতে সুর তুইলা দেখা।

২৭. চাপাবাজি

: ইনস্যুরেন্স কোম্পানির এজেন্ট কথা বলছেন এক ভদ্রলোকের সাথে।

: স্যার, আমরা খুব প্রম্পট পেমেন্ট করি। আমাদের অফিস আঠার তলা বিন্ডিংয়ের চারতলায়। একবার বারতলা থেকে এক লোক পড়ে যাচ্ছিলেন। তিনি যখন চারতলায় আমাদের অফিসের জানালার সামনে এলেন, আমরা জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে তাঁর লাইফ ইনস্যুরেন্সের চেক মিটিয়ে দিয়েছিলাম।

২৮. চাপাবাজি

: কী নিয়ে রাস্তায় ঝগড়া করছ তোমরা?

: একটা কুকুর ছানা নিয়ে, স্যার। আমরা স্থির করেছি, যে সবচেয়ে মজাদার মিথ্যা বলতে পারবে, কুকুর ছানাটা তারই হবে।

: বলিস কী! তোদের মতো বয়সে মিথ্যা কাকে বলে তো আমরা জানতামই না।

: তা হলে কুকুর ছানাটা আপনিই পেলেন, স্যার।

২৯. চাপাবাজি

একবার এক সম্মেলনে, একজন বাংলাদেশী এবং একজন আমেরিকান প্রাচীনকালের প্রযুক্তি সম্পর্কে কথা বলছিল, তো কথোপকথনে তারা তাদের নিজ নিজ দেশের অবস্থান আলোচনায় নিয়ে আসেন,

দু’জনের মধ্যেই কথা কাটাকাটি চলছে-

বাংলাদেশী: আমরা প্রাচীন কালে প্রযুক্তি বিদ্যায় অনেক অগ্রসর ছিলাম। তোমাদের মতো সাদা চামড়ার মানুষই আমাদের বর্তমান দুর্গতির কারন।

আমেরিকান: তোমরা তখনও মাথামোটা ছিলে এখনও তাই, প্রযুক্তি ট্রযুক্তি কিছু না, তোমাদের স্থুল বুদ্ধিই তোমাদের দুর্গতির কারন। আর চিকন বুদ্ধির কারনেই আমরা তখন আর এখন দুই সময়েই প্রযুক্তিতে উন্নত।

তো যাই হোক, দু’জনেই তাদের নিজ নিজ যুক্তি পোক্ত করার উদ্দেশ্যে, প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন সংগ্রহের জন্য তাদের স্বদেশে ফিরে গেলেন ।

কিছুদিন পরে, আমেরিকান লোকটি খনন কাজ শুরু করলো এবং খনন শেষে একটি পুরানো পেঁচানো তার উদ্ধার করলো।

তারপর সে সম্মেলনে ফিরে এসে বর্ণনা করলো- আমেরিকান সভ্যতা প্রাচীন কালেও অনেক অগ্রসর ছিলো কেন না এই তারটি প্রমান করে যে সেই সময়ে আমেরিকার মানুষ টেলিফোন ব্যবহার করতো।

এরপর বাংলাদেশী লোকটি দেশে ফিরে খনন কাজ শুরু করলো।

অনেক খোড়াখুড়ির পরেও লোকটি কিছুই উদ্ধার করতে পারলো না।

তো সম্মেলনে ফিরে লোকটি বর্ণনা করলো, বাংলাদেশের সভ্যতা প্রাচীন কালে বর্তমানের চেয়েও বেশী উন্নত ছিলো। তখন গ্রামে গ্রামে সবাই সেলফোন ব্যবহার করতো কেন না খনন কাজে আমরা কোন টেলিফোন তার পাই নি।।

৩০. চাপাবাজি

দুই বন্ধুর কথোপকথন:

- (গর্বের সাথে) জানিস, আমার ডিকশনারিতে "অসম্ভব" বলে কিছু নেই।

- ওহ হো, কি আর করবি, নেক্সট টাইম ডিকশনারি কেনার সময় দেখে কিনিস।

৩১. চাপাবাজি

দুই চাপাবাজের মধ্যে আলাপ হচ্ছে-

প্রথম চাপাবাজ: জানিস মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারটা কিনে ফেলি।

দ্বিতীয়চাপাবাজ: অত সহজ না বন্ধু! ওটা আমি বেচলে তো...

৩২. চাপাবাজি

দুই অভিনেতা তাঁদের অভিনয় জীবনের স্মৃতিচারণ করছেন ভক্তদের কাছে।

একজন : একবার এক দুঃখের দৃশ্যে এমন অভিনয় করেছিলাম যে দর্শকরা কেদেকেটে বুক ভাসিয়ে দিয়েছিল।

অন্যজন : একবার এক দুঃখের দৃশ্যে এমন অভিনয়ের পর দর্শকরা আমি মরে গেছি ভেবে খাটিয়া নিয়া হাজির হয়েছিল। শুধু কি তাই? ইনস্যুরেন্স কোম্পানি পর্যন্ত আমার বউকে পলিসি বাবদ সমস্ত পাওনা মিটিয়ে দিয়েছিল।

৩৩. চাপাবাজি

এক শিকারি বন্ধুদের আড্ডায় বসে বলছে, ‘জানিস, সেবার আফ্রিকার জঙ্গলে গিয়ে আমি কতগুলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার মেরেছি?’

বন্ধুরা ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘আফ্রিকার জঙ্গলে তো রয়েল বেঙ্গল টাইগারই নেই! তুই মারবি কোথা থেকে?’

শিকারি: আহ! সব যদি আমি মেরেই ফেলি, তাহলে থাকবে কোথা থেকে!

৩৪. চাপাবাজি

আলোকচিত্র সাংবাদিক হরিপদ মহাসড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন পথিমধ্যে এক জায়গায় ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটেছে। জানা গেল, হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। করিৎকর্মা হরিপদ ভাবলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে চটজলদি কিছু ছবি না তুললেই নয়।

ক্যামেরা হাতে এগিয়ে গেলেন তিনি। এদিকে লোকজন ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে। হরিপদ ছবি তুলবেন কি, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যাওয়াই দায়।

ফন্দি আঁটলেন হরিপদ। উঁচু গলায় বলতে শুরু করলেন, ‘দেখি ভাই, আমাকে একটু সামনে যেতে দেন। যিনি মারা গেছেন, তিনি আমার অত্যন্ত আপনজন…একটু সামনে যেতে দিন।’'

হরিপদকে জায়গা করে দিল লোকজন। হরিপদ সামনে গিয়ে দেখলেন, দুটো ছাগল মরে পড়ে আছে!

৩৫. চাপাবাজি

তিনজন লোক। একজন আমেরিকার, একজন ইংল্যান্ডের আর একজন বাংলাদেশের। একসাথে ঘুরতে বেরিয়েছে। কে কাকে কীভাবে টেক্কা দেবে তা নিয়ে প্রত্যেকেই ব্যস্ত।

হঠাৎ আমেরিকার লোকটা বলে উঠল- জানো, আমরা কী রকম বীর? কোনো বাঘ যদি আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায় তাহলে তার দিকে শুধু বন্দুকটা তাক করলেই কেল্লাফতে! গুল্লির কোনো দরকার নাই!

এই কথা শুনে ব্রিটিশ লোকটা বলল, এ আর এমন কি? আমাদের এমন সাহস যে বন্দুক বেরই করতে হয় না। ঝোলার ভেতর থেকে বন্দুকের নলটা যদি কোনোভাবে বাঘ ব্রাদারের নজরে পড়েছে বা কোনোমতে টের পাইছে তাইলে সেইখানেই তার হার্ট আ্যাটাক!

এই দুইজনের কতা শুনে বাংলাদেশের লোকটা ভাবছে, আমার তো প্রেস্টিজের ব্যাপার। তাই সে চট করে বলল- আরে ধুর মিয়ারা! তোমরা কোন জমানায় আছ? আমাদের তো বন্দুক-ফন্দুক কিচ্ছু লাগে না! ওই সব আমাদের সাহসের কাছে ফালতু জিনিস, ফাও প্যাচাল!

কথা শুনে আমেরিকান আর ব্রিটিশ তো জব্বর টাসকি খেয়ে গেল। জিগাইল- তাইলে তোমরা বাঘরে মারো ক্যামনে?

বাংলাদেশি তখন বলল- আরে মিয়া এইডা কোনো ব্যাপার? কোনো বাঘ আমাদের সামনে আইলে তার সামনে গিয়া আমরা শুধু কই- এ রাআআআমম! তুমি ন্যাংটো-পুটো? বাঘটা তখন লজ্জাতেই মারা যায়!

৩৬. চাপাবাজি

একবার এক অনুষ্ঠানে এক বাংলাদেশি, সাউথ আফ্রিকান আর ইন্ডিয়ান গল্প করছে। আলোচনার বিষয়বস্তু ক্রিকেট।

ইন্ডিয়ান: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল, স্টাইকার এন্ডে ছিল শচীন। বোলার বল করল, শচীন সেটা থার্ডম্যানের দিকে ঠেলে দিয়ে ৩ রান নিল, ফিল্ডার সেটা ছুড়ল নন-স্টাইকার এন্ডে। ওভার থ্রো তে শচিন আরও তিন রান নিয়ে নিল। এবার ফিল্ডার

সাবধান হয়ে সেটা ছুঁড়ে দিল উইকেট কিপারের দিকে, উইকেট কিপার ধরতে পারল না আর বলটা চলে গেল বাউন্ডারির ওপারে ফলে চার রান। ৩+৩+৪ =১০ আমরা জিতে গেলাম।

সাউথ আফ্রিকান: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল। আমদের গ্রায়েম স্মিথকে তো তোমরা চেন। তার গায়ে মারাত্মক জোর। সে এমন জোরে মারল জে বল স্টেডিয়াম পার হয়ে কয়েক শ গজ দূরে গিয়ে পড়ল। আম্পায়ারের কোন উপায় ছিল না। সে ১২ রান দিয়ে দিল। আমরা জিতে গেলাম।

বাংলাদেশি: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল। আমাদের আশরাফুলকে তো তোমরা চেন, সে সেইরকম মারকুটে ব্যাটসম্যান। বোলার বল করল আর আশরাফুল সজোরে ব্যাট চালাল। ব্যাটের আঘাতে বল ভেঙে দুইটুকরা হয়ে গেল। এক টুকরা উড়ে বাউন্ডারি পার হল আর অন্যটুকরা গড়াতে গড়াতে বাউন্ডারি পার হল। ফলে আমরা ৬ + ৪ = ১০ রান করে ফেললাম।

আমরা জিতে গেলাম।

৩৭. চাপাবাজি

ছেলেঃ HELLO!

মেয়েঃ HI!

ছেলেঃ কি করেন?

মেয়েঃ মুড়ি খাই।

ছেলেঃ আরে না, আমি বলতে চাচ্ছি ,আপনি কিসে পড়েন?

মেয়েঃ চেয়ারে বসে বসে পড়ি।

ছেলেঃ ধ্যাত তেরি ,মানে কোন ক্লাসে পড়েন ?

মেয়েঃ ও! আগে বলবেন তো , আমি বুয়েটে পড়ি

ছেলেঃ ও, আপনি তো অনেক মেধাবী । অনেক পড়তে হয় । তাই না ?

মেয়েঃ হুঁম।

ছেলেঃ কোন বিষয় নিয়ে পড়েন?

মেয়েঃ চারুকলা।.. (ছেলে, মনে মনে, শালির বেটি, বুয়েটে চারুকলানিয়া পড়স ? আমার লগে ফাইজলামি দেখতাছি তোরে)

ছেলেঃ অনেক কঠিন সাবজেক্ট ?

মেয়েঃ হ্যাঁ খুব কঠিন।

ছেলেঃ ও

মেয়েঃ আপনি কিসে পড়েন? ↓











ছেলেঃ আমি ঢাকা মেডিকেলে ইতিহাস নিয়ে পড়ছি......

৩৮ চাপাবাজি

বল্টু বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়েছে!! তো বল্টু আর মেয়ে আলাদা ঘরে একা। কি কথা বলবে সেটা অনেক চিন্তা করে বললঃ

“আপু, তোমরা কয় ভাই বোন??” ↓























মেয়ে রেগে গিয়ে উত্তর দিলঃ “আগে ৪ ভাই বোন ছিল!! কিন্ত এখন থেকে ৫ জন!!

৩৯ চাপাবাজি

আমার বোনের বাচ্চা হবে ↓










কেউ জানে না ছেলে হবে না মেয়ে হবে ↓












তাই আমিও জানি না আমি মামা হব না মামি হব. . .

৪০ চাপাবাজি

বৃস্টি পরতেছে : ↓












Rain is reading

৪১ চাপাবাজি

ধুর কিছুই ভালো লাগতেছে না সকাল থেকে বৃস্টি হচ্ছে : ↓












আমি আমার বাগানের গাছ গুলোতেও পানি দিতে যেতে পারছি না।

৪২ চাপাবাজি

দিন দিন পৃথিবী মেধা শূণ্য হয়ে পরছে ↓












আইজ্যাক নিউটন মরা গেলো ↓












আইন্সটাইন ও মরা গেলো ↓












আমার শরীর টাও কয়দিন ধরে বেশি একটা ভালো না

৪৩চাপাবাজি

হাতি যাচ্ছে নদীতে গোসল করতে৷ ৩ পিপড়া গাছের উপর থেকে হাতিকে দেখে বলল,

"চল আমরা হাতিরে মাইর লাগাই, ব্যাটা আমাগো অনেক বন্ধুরে পা দিয়া মারছে৷"

হাতিটা গাছের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় ৩জনে গাছ থেকে লাফিয়ে হাতির পিঠে চড়ে কামড়াতে শুরু করল৷ হাতি গা ঝাড়া দিল, একটা পিপড়া নিচে পড়ে গেল৷

শুড় দিয়ে বাড়ি দিল, আরেকটা পিপড়া পড়ল৷ কিন্তু ৩য়টা কিছুতেই পড়েনা৷

হাতি ভাবল যাই, পানিতে ডুব দেই গোসলও হয়ে যাবে পিপড়াও চলে যাবে৷ যেই ভাবা, সেই কাজ৷

হাতি তাড়াতাড়ি নদীতে নেমে ডুব দিতে থাকল৷ এদিকে হাতির পিঠ থেকে পড়ে যাওয়া দুই পিপড়াও হাতির পিছে পিছে নদীর পাড়ে গিয়ে উপস্থিত হল৷

তারা দেখল, হাতিটা ডুবছে আর ভাসছে৷ আর তাদের বন্ধু হাতির পিঠ কামড়ে ধরে বসে আছে৷

এই দেখে তারা উল্লাসে চিৎকার দিয়ে তাদের বন্ধুকে বলল, "সাব্বাস দোস্ত, সাব্বাস !!!

চুবা হাতিটারে ভালা কইরা পানিত চুবা৷"

৪৪ চাপাবাজি

বিলগেটস'র সঙ্গে মিটিং করতে গিয়েছি আমেরিকা।

গেটস আমাকে বলল - চলো, তোমাকে কিছু দেখাই। চোখে কৌতুহল নিয়ে ছুটলাম তার পিছু।

এক গভীর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে বললঃ''একটা গর্ত খনন করো'। আমি করলাম।

গেটসঃ: আরো গভীর গর্ত করো। তাও করলাম।

গেটসঃ আরো আরো গভীর।

খুড়তে খুড়তে ভাবলাম ফইন্নির পুত আজ জান'হি নিকালে'গা ! ১০০ ফুট পর্যন্ত খনন করে ফেললাম। টায়ার্ড তো আমি হই না কারণ 'হ্যাম বাঙালি হ্যায় '

মাথা দিয়া না পারলে পাছা দিয়া পাহাড় ঠেলে ধরে রাখি।

গেটসঃ ওকে, দ্যাট'স ফাইন- এখন কিছু খুঁজে দেখো পাও কিনা।

আমি পেলাম একটা ক্যাবল,মানে 'তার'।

হাতে নিয়ে গেটসের মুখের দিকে তাকাতেই বলল-''ইউ নো হোয়াট,এটা প্রমান করছে যে ১০০ বছর আগেও আমরা টেলিফোন ব্যবহার করতাম'' !!

কি আর করা- তাদের উন্নতি'র হিংসায় ভস্ম হয়ে আমিও তাকে ইনভাইট করে আসলাম আমাদের ডিজিটাল উন্নতি দেখতে। প্ল্যান তো রেডি। চিন্তা করতে হয় নাকি আবার ! ''হ্যাম বাঙালি হ্যায় ''। দেমাগ চলে উসাইন বোল্টের চেয়েও দ্রুত গতিতে। বিল গেটস এলো।

নিয়ে গেলাম জঙ্গলে। বললাম - 'খনন করো। সে করলো। বললাম '' আরো গভীর থেকে গভীর''। খুড়তে খুঁড়তে ৪০০ ফুট অতিক্রম করলো। ভাবলাম বেচারা'র 'জান হি নিকাল জ্যায়েগা আভি। রেহ'নে দো। চেক করে দেখো কিছু পাও কিনা-

গেটসঃ নো বাডি, দেয়ার ইজ নাথিং !!

মৃদ হেসে বললাম- ''ইউ নো হোয়াট, এতেই প্রমানিত হয় যে, ৪০০ বছর আগেও আমরা ওয়ারলেস ব্যবহার করতাম।

শেষ খবার পাওয়া পর্যন্ত বিল গেটস হসপিটালে।

৪৫ চাপাবাজি

চিড়িয়া খানায় লোক নিয়োগ হবে,শর্ত-চাকুরী প্রার্থিকে জুলোজির স্টুডেন্ট হতে হবে।

বল্টু জুলোজির স্টুডেন্ট বিধায় সে আবেদন করলো,লিখিত পরীক্ষায় টিকে সে ভাইবাতে গেল।

ভাইবা বোর্ডে তাকে জানানো হল-

'আমাদের একমাত্র বাঘটা মারা গেছে,তাই আপাতত আপনাকে বাঘের পোষাক পরে বাঘের খাচায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শকদের মনরোঞ্জন করতে হবে!'

বল্টু আমতা আমতা করে শেষ পর্যায়ে রাজি হলো।

প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা সে খাচার বাঘ সেজে দর্শকদের মনরঞ্জন করতে লাগলো। বাঘের খাচার পাশেই ছিল সিংহের খাচা।উভয় খাচার মাঝে একটা দরজা ছিল।বল্টু ভুলেও সেই দরজার কাছে যেতনা। তার ভয় যদি কখনো দরজাটা কোন ভাবে খুলে যায় তবে তার আর রক্ষা নাই,কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তাকে সিংহের পেটে চলে যেতে হবে।তাই সে সতর্ক।

দিন যায়,মাস যায়,বছর যায়। খাচার নিরিহ বাঘ হিসেবে বল্টুও সবার কাছে বেশ জনপ্রীয়। ছেলে-বুড়োদের লাঠির খোচা-ঢিল সে নিরবে সহ্য করে।

একদিন সে হঠাত টের পেল কিভাবে যেন সিংহের খাচার দরজাটা খুলে গেছে। জীবনটা এখানেই শেষ!! আর মাত্র কয়েক সেকেন্ড!! সিংহ হামলা করবেই! সাথে সাথে নড়াচড়া বন্ধ করে দিয়ে চোখ মুদে কুকড়ে বসে রইলো। থর থর করা কাপুনি রোধ করতে পারলো না।

১ সেকেন্ড

২ সেকেন্ড

৩ সেকেন্ড

৪ সেকেন্ড

৫ সেকেন্ড

৬ সেকেন্ড

৭ সেকেন্ড

৮ সেকেন্ড

৯ সেকেন্ড

১০ সেকেন্ড ↓












৬০ সেকেন্ড!!

ব্যপারটা কি? হামলা করছেনা কেন!! এতক্ষনে ঘাড় থেকে মাথাটা বিচ্ছিন্ন হইবার কথা!! বল্টু ভয়ে ভয়ে আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখলো অপর পাশের খাচার সিংহটাও তার মত চোখ বন্ধ করে বসে থর থর করে কাপছে!! দু ঘন্টা পর।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ''বল্টু ও ঝন্টুকে'' নোটিশ পাঠিয়ে জানালো-

''আমাদের বাঘ ও সিংহটা মারা যাওয়ায় দর্শকদের মনোরঞ্জন দিতে আপনাদের দুই জুলোজির স্টুডেন্ট কে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যপারটা গোপন রাখার নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে!!!'

৪৬ চাপাবাজি

বল্টু আমেরিকা তে সমুদ্রসৈকত এ sun bath নিচ্ছেন।

এক লোক বল্টুর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলঃ "are u relaxing?"

বল্টুঃ "No...I'm Boltu Mia"

ওই লোক এটা শোনার পর অভাক হয়ে চলে গেলো। কিছুক্ষন পর এক মহিলা বল্টুকে জিজ্ঞেস করলঃ

“are u relaxing?"

বল্টুঃ “No....I'm Boltu...."

মহিলাও অভাক হয়ে চলে গেলো...এমন আরো দুইজন প্রশ্ন করাতে বল্টু বিরক্ত হয়ে উঠে হাটা ধরলো।

সামনে গিয়ে দেখে বারাক ওবামা সাহেব ও ছাতার নিচে বিশ্রাম নিচ্ছেন।

বল্টু কি মনে করে তাকে জিজ্ঞেস করলোঃ "are u relaxing?"

বারাকুবামাঃ "yes, I'm...why?"

এটা শোনার পর বল্টু বারাক ওবামাকে কষে এক থাপ্পড় দিয়ে বললঃ ↓












ওই দিকে তরে সব মানুষ খুঁজতাছে আর তুই এইখানে ছাতার তলে বাতাস খাছ......?

৪৭ চাপাবাজি

পাঁচ চাপাবাজ বন্ধুর মধ্যে তাদের দাদার বীরত্ব নিয়ে কথা উঠছে।

প্রথম বন্ধুঃ তারপর তো আমার দাদা কর্মচারীকে বললো, “দে, আমার বন্দুক দে।”

তার কর্মচারী তাকে বন্দুক দিলো। সে বাঘকে এক গুলিতে মেরে ফেললো।

দ্বিতীয় বন্ধুঃ আমার দাদাও বাঘ মারছিলো। দাদা বনে যায়ে বাঘের সামনে দাঁড়ায়ে কর্মচারীকে বললো,

-দে, আমার বন্দুক দে।

-হুজুর বন্দুক তো আনি নাই।

-তাইলে বন্দুকের গুলি দে।

তারপর সেই গুলি এত জোরে ছুঁড়ে মারলো, এত জোরে ছুঁড়ে মারলো, বাঘ মরে গেলো।

তৃতীয় বন্ধুঃ আমার দাদাও বাঘ মারছিলো। বাঘের সামনে দাঁড়ায়ে দাদা কর্মচারীকে বললো,

-দে, আমার বন্দুক দে।

-হুজুর বন্দুক তো আনি নাই।

-তাইলে বন্দুকের গুলি দে।

-হুজুর গুলিও তো আনি নাই।

-তাইলে গুলি রাখার বাক্স দে।

যেই দাদা গুলি রাখার বাক্স হাতে পাইলো, এত জোরে ছুঁড়ে মারলো, এত জোরে ছুঁড়ে মারলো, বাঘ চিত্পটাং ।

চতুর্থ বন্ধুঃ আমার দাদাও বাঘ মারছিলো। বাঘের সামনে দাঁড়ায়ে দাদা কর্মচারীকে বললো,

-দে, আমার বন্দুক দে।

-হুজুর, বন্দুক তো আনি নাই।

-তাইলে বন্দুকের গুলি দে।

-হুজুর, গুলিও তো আনি নাই।

-তাইলে গুলি রাখার বাক্স দে।

-হুজুর, গুলির বাক্সও তো আনি নাই।

-তাইলে বন্দুকের লাইসেন্স দে।

যেই দাদা লাইসেন্স হাতে পাইলো, এত জোরে ছুঁড়ে মারলো, এত জোরে ছুঁড়ে মারলো, বাঘ মরে গেলো।

পঞ্চম বন্ধুঃ আমার দাদাও বাঘ মারছিলো। বাঘের সামনে দাঁড়ায়ে দাদা কর্মচারীকে বললো,

-দে, আমার বন্দুক দে।

-হুজুর, বন্দুক তো আনি নাই।

-তাইলে বন্দুকের গুলি দে।

-হুজুর, গুলিও তো আনি নাই।

-তাইলে গুলি রাখার বাক্স দে।

-হুজুর, গুলির বাক্সও তো আনি নাই।

-তাইলে বন্দুকের লাইসেন্স দে।

-হুজুর লাইসেন্সও তো আনি নাই।

-তাইলে আনছস কি?

-কিছুই আনি নাই।

-তাইলে তুই ঐ কোনায় গিয়া দাঁড়া।

এরপর দাদা এক পা, দুই পা করে আস্তে আস্তে বাঘের আরেকটু সামনে গেলো।

তারপর বাঘকে বললো, -বাঘ মামা, তোমার গায়ে তো কিচ্ছু নাই! সবকিছু দেখা যায়! বাঘ লজ্জায় মরে গেলো।

৪৮ চাপাবাজি

বল্টু গেলো "কে হতে চায় কোটিপতি" অনুষ্ঠানে!!

১০০০ টাকার জন্য চান্দুকে প্রশ্ন করা হলঃ আপনার বাবার নাম কি?? অপশনগুলো হচ্ছে, A. Amir Khan.
B. Shah Rukh Khan.
C. মখলেস মিয়াঁ D. Sachin Tendulkar.
বল্টু অনেকক্ষণ ভাবার পর

বললঃ আমি লাইফ লাইন নিতে চাই। ৫০-৫০। দুটো অপশন মুছে গেলো, রইলঃ C. মখলেস মিয়াঁ
D. Sachin Tendulkar.
বল্টু তবুও নিশ্চিত নয়। বলল, আমি দর্শকদের সাহায্য নিতে চাই।

দর্শক ভোটিং এর রেসাল্টঃ C. মখলেস মিয়াঁ (৮০%)
D. Sachin Tendulkar. (২০%)
বল্টু এবারো নিশ্চিত নয়। বলল, আমি আমার শেষ অপশন ফোন ফ্রেন্ড ব্যাবহার করতে চাই।

উপস্থাপকঃ আপনি কাকে ফোন করতে চান?

বল্টুঃ আমার বাবা, জনাব মখলেস মিয়াঁকে!!

উপস্থাপক অজ্ঞান!! লেও ঠ্যালা।

৪৯ চাপাবাজি

ঢাকায় একটি উঁচু বিল্ডিং দেখে দুজনের কথা হচ্ছে-

১ম – দোস্ত দেখ কত উঁচা বিল্ডিং, এইটা এতো উঁচায় রঙ করল কেমনে?

২য়- হুর ছাগল, এইটা ব্যাপার নাকি? কাইত কইরা রঙ করছে, পরে সোজা কইরা খাড়া করাইছে,

কিন্তু ভাবনার বিষয় হইল“এই ছোট গেট দিয়া এতো বড় বিল্ডিং ঢুকলো কেমনে?”

৫০ চাপাবাজি

বিয়ের ৩ মাস পরই হাবলু’র বউ-এর বাচ্চা হল.

হাবলু তার বউকে জিজ্ঞাসা করলোঃ “আচ্ছা,আমাদের বিয়ের ৩ মাস পরই বাচ্চা কেমনে হল?”

হাবলু’র বউ বললোঃ “তোমার বিয়ের কয় মাস হইসে?”

হাবলু কয়ঃ “৩ মাস!”

হাবলু’র বউ আবার জিগায়ঃ “আমার বিয়েরকয় মাস হইসে?”

হাবলু আবারো কয়ঃ “৩ মাস!” হাবলু’র বউ আবার

জিগায়ঃ “আর, বাচ্চা কয় মাস পরে হইসে??”

হাবলু আবারো কয়ঃ “৩ মাস!” এইবার হাবলুর বউ

জিগায়ঃ “তাহলে মোট কয়মাস হইল?”

হাবলু খুশি তে লাফাইতে লাফাইতে কইলোঃ “নয় মাস! আমি তো ভয় পাইয়া গেসিলাম!!”

হাবলুর বউ মুচকি হাইসা কইলোঃ হাবলু তো হাবলুই

৫১ চাপাবাজি

তিন চাপাবাজ ইঁদুর নিজেদের বীরত্বের গল্প করছে।

প্রথম ইঁদুর: জানিস, সেদিন আমি এক বোতল ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে ফেলেছি, অথচ আমার কিছুই হয়নি।

দ্বিতীয় ইঁদুর: কিছুদিন আগে আমি একটা ফাঁদে আটকা পড়ে গেছিলাম। ফাঁদটা ভেঙে বেরিয়ে এসেছি। তৃতীয় ইঁদুর: তোরা গল্প কর, আমি আজ উঠি। বাড়ি ফিরে আবার পোষা বিড়ালটাকে খাবার দিতে হবে।

৫২ চাপাবাজি

গদা: জানিস পদা, পৃথিবী দিন দিন মেধাশূন্য হয়ে পড়ছে।

পদা: কিভাবে?

গদা: এই ধর এরিস্টটল মারা গেলো, নিউটন গত হয়েছে, আইনস্টাইন মরে ভূত হয়ে গেল, স্টিফেন হকিং-এর স্বাস্থ্যও খারাপ, আমার শরীরটাও বেশি ভালো থেকছি না কয়েকদিন ধরে…

৫৩ চাপাবাজি

এক শিকারি বন্ধুদের আড্ডায় বসে বলছে, ‘জানিস, সেবার আফ্রিকার জঙ্গলে গিয়ে আমি কতগুলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার মেরেছি?’

বন্ধুরা ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘আফ্রিকার জঙ্গলে তো রয়েল বেঙ্গল টাইগারই নেই! তুই মারবি কোথা থেকে?’

শিকারি: আহ্! সব যদি আমি মেরেই ফেলি, তাহলে থাকবে কোথা থেকে?!

৫৪ চাপাবাজি

জলিল সাহেব আর তাঁর স্ত্রী ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন। বাড়ির দোরগোড়ায় ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে। ট্যাক্সিতে ওঠার আগ মুহূর্তে জলিল সাহেবের স্ত্রী বললেন, ‘তুমি এক মিনিট অপেক্ষা করো। বাড়িতে তো বিল্লু একাই থাকবে, আমি ওকে ওর খাবারটা দিয়ে আসি।’

ট্যাক্সি ড্রাইভার জলিল সাহেবকে বললেন, ‘কিছু মনে করবেন না স্যার, বিল্লু কে?’ জলিল সাহেব ভ্রু কুঁচকে তাকালেন।

বিল্লু জলিল সাহেবের বিড়ালের নাম। কিন্তু বিল্লু কে, তা জানতে ড্রাইভার ব্যাটার এত আগ্রহ কেন? এমনিতেই দিনকাল খারাপ, ব্যাটার অন্য কোনো মতলব নেই তো…! বাড়িতে কে একা থাকছে, ভালো করে জেনে নিয়ে পরে আবার… নাহ্, হাবভাব ভালো ঠেকছে না।

বুদ্ধি করে বললেন জলিল, ‘ওহ্ বিল্লু? ও হচ্ছে আমার ছোট ভাই, পুলিশে চাকরি করে। খুবই বুদ্ধিমান আর সাহসী ছেলে। বেশ ভালো কারাতেও জানে। একাই দু-চারজনকে পিটিয়ে কাবু করতে পারে!’ কিছুক্ষণ পরই ফিরলেন জলিল সাহেবের স্ত্রী।

জলিল বললেন, ‘কী, খাবার দিয়েছ ঠিকমতো?’

স্ত্রী: ‘আর বোলো না, আমার ডাক শুনেই ভয় পেয়ে খাটের নিচে গিয়ে ঢুকেছে পাজিটা। এত করে ডাকলাম, বেরই হলো না!’

৫৫ চাপাবাজি

আলোকচিত্র সাংবাদিক হরিপদ মহাসড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন, পথিমধ্যে এক জায়গায় ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটেছে। জানা গেল, হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। করিৎকর্মা হরিপদ ভাবলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে চটজলদি কিছু ছবি না তুললেই নয়। ক্যামেরা হাতে এগিয়ে গেলেন তিনি। এদিকে লোকজন ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে।

হরিপদ ছবি তুলবেন কি, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যাওয়াই দায়। ফন্দি আঁটলেন হরিপদ। উঁচু গলায় বলতে শুরু করলেন, ‘দেখি ভাই, আমাকে একটু সামনে যেতে দেন। যিনি মারা গেছেন, তিনি আমার অত্যন্ত আপনজন…একটু সামনে যেতে দিন।’ হরিপদকে জায়গা করে দিল লোকজন। হরিপদ সামনে গিয়ে দেখলেন, দুটো ছাগল মরে পড়ে আছে!


Developed by

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন