27 May, 2018

জজ-আসমীর কৌতুক



কৌতুক-০১

জজ আসামীর দিকে তাকিয়ে রায়ের আদেশ পড়ছেন। “তুমি বউকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগে অভিযুক্ত।“

দর্শকদের ভিতর থেকে আবুল চিৎকার করে বলল ”হারামজাদা!”

জজ রায় পড়ে যাচ্ছেন। “তুমি তোমার শাশুড়িকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মেরেছো”

দর্শকদের ভিতর থেকে আবুল আবার বলে উঠল ”হারামজাদা!!”

এইবার জজ আবুল কে বললেন, “আমি আপনার রাগের কারন বুঝতে পারছি। কিন্তু এটা কোর্টরুম। আর একবার আপনি এই রকম চিৎকার করলে আপনাকে বিচারে বাধা দেয়ার জন্য গ্রেফতার করা হবে। বুঝছেন?

এইবার আবুল দাঁড়িয়ে বলল, “আমি গত পনের বছর ধরে ওই বদমাশ হারামজাদার প্রতিবেশি। যতবারই আমি তার কাছে একটা হাতুড়ির ধারের জন্য গেছি, সে বলছে তার কাছে হাতুড়ি নাই। হারামজাদা”

কৌতুক-০২

জজ সাহেবঃ যখন এই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল তখন কি তুমি সেখানে উপস্থিত ছিলে?

সাক্ষীঃ জী হ্যাঁ।

জজ সাহেবঃ তোমার এই ঝগড়া থেকে কি ধারনা হলো?

সাক্ষীঃ হুজুর আমি জীবনেও বিয়ে করব না ।

কৌতুক-০৩

স্বামী তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিতে আদালতে গেছেন—

স্বামী: আমি আমার স্ত্রীকে আজই তালাক দিতে চাই। আপনি একটু ব্যবস্থা করুন।

আইনজীবী: কেন, সমস্যা কী আপনাদের?

স্বামী: আমার স্ত্রী প্রায় ছয় মাস ধরে আমার সঙ্গে কথা বলে না।

আইনজীবী: আরেকবার ভেবে দেখুন। এমন স্ত্রী পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার।

কৌতুক-০৪

উকিল সাহেব হস্তদন্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনেক আগেই । উকিল গিন্নী অবাক হয়ে বললেন কোন দিকে চাদ উঠল আজ ।

এত সকাল সকাল সাহেব যে বাড়ী চলে এলেন । যে কথা পরে বলছি , উকিল সাহেব বললেন আগে তোমার যাবতীয় কাপড় চোপড় আর গহনাগুলো শিগরীর তোমার বাপের বাড়ীতে রেখে আসোগে ।

আরো অবাক হয়ে গিন্নি বললেন ওমা সে কি কেন ?

আজ এক অতি কুখ্যাত চোরকে বেকুসুর খালাস দিয়ে এসেছি । সে নাকি সন্ধার পর কৃতজ্ঞতা জানাতে আসবে ।

কৌতুক-০৫

উকিলঃ সেকি ম্যাডাম ? আপনার স্বামী তো পাচ বছর আগে মারা গেছেন ।

তাহলে চার বছরের আর একটি দুবছরের বাচ্চা এলো কোথা থেকে ?

ভদ্রমহিলা রাগের স্বরেঃ তা আমি তো বেচে আছি না কি?

কৌতুক-০৬

এক নামকরা কাবাডি খেলোয়াড়ের বউ উকিলের কাছে এল ডির্ভোসের জন্য। উকিল বলল,”আপনি ডির্ভোস চাইছেন কেন?” মহিলা বলল,”আমার স্বামী একজন কাবাডি প্লেয়ার।” উকিল বলল, “তাতে কি হয়েছে?”

মহিলা বলল,”সেখানেই তো সমস্যা। আমার স্বামী আমারে ছুঁইয়ে চলে যায়।”

কৌতুক-০৭

স্বামী স্ত্রীর ডিভোর্স হতে যাচ্ছে।

আদালতে স্ত্রী কে উকিল জিগ্গেস করলোঃ আপ্নি কেনো আপনার স্বামীর সাথে ডিভোর্স নিতে চাচ্ছেন্?

স্ত্রীঃ সে রাত এ আমাকে খুব একটা সুখ দিতে পারে না।

স্ত্রীর বোন আদালতেই ছিলো। সে চিৎকার করে উঠলো – আপু , তুমি মিথ্যা বলতেছো কেনো?আমাকে দুলাভাই দিনেই এতো সুখ দিছে আমাকে যা আর কেউ দিতে পারে নাই, আর রাত এ তো . . . . . . .!!

কৌতুক-০৮

পুলিশ নাইট ক্লাবে হানা দিয়ে তিন মহিলার সাথে হোটেলের ম্যানেজারকেও(ছেলে) গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান করে দিল।

বিচার শুরু হলে জর্জ মেয়েদের প্রফেশন লাইফ সম্পর্কে প্রশ্ন করে রায় দিচ্ছেন-

প্রথম মেয়ে: স্যার, আমি একজন মডেল।

জর্জ তাকে তিন মাসের জেল দিলেন।

দ্বিতীয়মেয়ে: স্যার, আমি একজন অভিনেত্রী।

জর্জ তাকেও তিন মাসের দন্ড দিলেন।

তৃতীয় মেয়ে: স্যার, আমি কলগার্ল।

জর্জ তাকে বেকসুর খালাস দিলেন।

এবার জর্জ ম্যানেজারের দিকে তাকিয়ে- তা তোমার পেশা কি?

ম্যানেজারের উত্তর: স্যার আমিও কলগার্ল।

কৌতুক-০৯

আদালতে বিচার চলছিলো।

আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে একটি মেয়েকে অশ্লীল প্রস্তাব জানিয়েছে। মেয়েটিকে যখন বলা হলো আসামী তাকে কি প্রস্তাব দিয়েছিলো, সবার সামনে সে কথা বলতে মেয়েটি ভীষণ লজ্জা পেলো। আসামীর প্রস্তাবটা সে এক টুকরো কাগজে লিখে দিলো।

জজ সাহেব কাগজটা পড়ে তা জুরীদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। জুরীর প্রত্যেকে একে একে কাগজটা পড়ে সেটা পাশের জনকে বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন। জুরীদের মধ্যে একজন সুন্দরী মহিলাও ছিলেন। কাগজটা পড়ে পাশের জনকে দিতে গিয়ে তিনি দেখলেন, পাশের ভদ্রলোক ঝিমোচ্ছেন। তাঁকে মৃদু খোঁচা দিয়ে জাগিয়ে কাগজটা তাঁর হাতে গুঁজে দিলেন।

ভদ্রলোক কাগজটা পড়ার পর মহিলা সদস্যার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন, ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালেন। তারপর কাগজটা পকেটে রেখে হাসি মুখে বসে রইলেন।

কারণ কাগজে লেখা ছিলো




“আমার সাথে বিছানায় যাবেন ?”

কৌতুক-১০

কোর্ট এ একটা কেস চলতেছে | সাক্ষী এর কাঠগড়ায় দাড়িয়ে আছেন এক দাদীমা | তার বয়স অনেক, সাদা চুল, মুখে ফলসে দাঁত, হাই পাওয়ার চশমা | যাই হোক, বাদী পক্ষের উকিল এগিয়ে এলেন দাদিমার দিকে|

উকিল: আচ্ছা দাদীমা, আপনি আমারে চেনেন ?

দাদীমা : চিনিনা মানে? বিলক্ষণ চিনি | তোমারে তো আমি লেংটা হইয়া ঘুরে বেরাইতে দেখছি | কিন্তু মোতালেব, তুমি তো জীবনে কিছু করবার পারলা না |তুমি মিছা কথা কও | তোমার সুন্দরী বউ থাকতে অন্য মাই…য়ার পিছনে ঘুর ঘুর কর |লোকেরে উল্টা বুঝাও, সবাইরে ঠকাও, আর পিছনে লোকের বদনাম কর | তুমি মনে কর তুমি নিজেরে মনে কর রাঘব বোয়াল ! আসলে তুমি একটা পুঁটি মাছ ও না ! আমি তোমারে অবশ্যই চিনি |

উকিল এই শুইন্যা পুরা ঘাবড়ায় গেলেন | গোটা কোর্টের লোকজন ও একদম হা হইয়া গেছে | কী করবে বুঝতে না পাইরা এইবার উকিল আসামি পক্ষের উকিল রে দেখায় বললেন,

উকিল: দাদীমা, আপনি কী ওরে চেনেন ?

দাদীমা: আরে, আসলাম না ? ওরে কেন চিনুম না |আমার যখন বিয়া হয় তখন ওই বেটা দুধের শিশু | ছোটবেলায় তো বেশ ভালই আছিল | বড় হইয়া হইল একটা অলস, অকর্মার ধারী| আবার শুনি রোজ রোজ মদ খাওয়া শুরু করছে |কার ও সাথে ঠিকঠাক কথা কইবার পারে না | এই জেলার সবথিকা বাজে উকিল হইল ওই আসলাম |

ওঃ বলতে ভুইলা গেছিলাম | এ আবার তিনটা পরকীয়া প্রেম করছে | তার একটা তোমার বউ এর লগে |

এই কথা শুইন্যা আসলাম উকিল কোর্টের মধ্যে অজ্ঞান হয়া গেলেন | এইবার বিচারক বললেন,

“মোতালেব মিয়াঁ, আপনি সীট এ যায়া বসেন | আর যদি মুর্খের মত প্রশ্ন করছেন যে উনি আমারে চেনে কিনা, আপনারে আমি ফাঁসিতে ঝোলামু |”

কৌতুক-১১

উকিল ডাক্তারকে : আচ্ছা পোষ্টমর্টেম শুরু করার আগে কি লোকটার নাড়ি টিপে দেখেছিলেন ?

-না

লোকটার রক্তচাপ দেখেছিলেন ?

-না

লোকটা নি:শ্বাস নিচ্ছে কিনা খেয়াল করেছিলেন ?

-না

তা হলে এটা কি সম্ভব নয় যে পোষ্টমর্টেম করার সময় লোকটি জীবিত ছিল?

-না

কি করে আপনি নিশ্চিত হলেন ?

-কারণ লোকটার মাথার ঘিলু আমার সামনে বোতলে ছিল

কিন্তু তা সত্তেও লোকটা বেচে থাকেত পারে – পারে না ????

ডাক্তার একটু চুপ করে থেকে ,

এখন মনে হয় পারে, হয়তো বেচে থেকে কোথাও ওকালতি করছে ।

কৌতুক-১২

স্বামী তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিতে আদালতে গেছেন—

স্বামী: আমি আমার স্ত্রীকে আজই তালাক দিতে চাই। আপনি একটু ব্যবস্থা করুন।

আইনজীবী: কেন, সমস্যা কী আপনাদের?

স্বামী: আমার স্ত্রী প্রায় ছয় মাস ধরে আমার সঙ্গে কথা বলে না।

আইনজীবী: আরেকবার ভেবে দেখুন। এমন স্ত্রী পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার।

কৌতুক-১৩

উকিল সাহেব হস্তদন্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনেক আগেই ।

উকিল গিন্নী অবাক হয়ে বললেন, “কোন দিকে চাঁদ উঠল আজ । এত সকাল সকাল সাহেব যে বাড়ী চলে এলেন।”

… “সে কথা পরে বলছি”, উকিল সাহেব বললেন, “আগে তুমি, তোমার বোন আর আমার বোনকে নিয়ে জলদি তোমার বাপের বাড়ী চলে যাও।

আরো অবাক হয়ে গিন্নি বললেন, “ওমা সে কি কেন ?”

উকিল : “আজ এক অতি কুখ্যাত ধর্ষককে বেকুসুর খালাস করিয়ে এসেছি। সে নাকি সন্ধার পর কৃতজ্ঞতা জানাতে বাসায় আসবে।”

কৌতুক-১৪

সড়ক দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগে রোকনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে—

বিচারক: কীভাবে ঘটালেন দুর্ঘটনাটা?

রোকন : কোন দুর্ঘটনা?

বিচারক: কেন, যে দুর্ঘটনাটির জন্য আপনি আদালতে?

রোকন : হুজুর, আমি তো ওই দুর্ঘটনার সময় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলাম। ওই সময় আমি জেগে থাকলে না হয় বলতে পারতাম।

কৌতুক-১৫

জজঃ আপনি বলছেন, আপনার প্রতিবেশী আপনাকে জোর করে আপনাকে চুমু খেয়েছে?

তরুণীঃ হ্যা, ইয়োর অনার।

জজঃ কিন্তু এটা কি করে সম্ভব? সে তো আপনার চেয়ে অনেক খাটো!

তরুণীঃ কেন, আমি কি নিচু হতে পারি না?

কৌতুক-১৬

এক আসামিকে আদালতে হাজির করা হলো জজ সাহেবের সামনে|

জজ সাহেব তাকে তার দোষ সম্পর্কে জিগ্গেস করলে আসামী নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে এবং একটি ডায়রি জজ সাহেবের কাছে দিয়ে বলে যে, এই ডায়রি পড়লে জজ সাহেব বুঝতে পারবেন যে সে নির্দোষ|

জজ সাহেব ডায়রি খুলে দেখলেন ডায়রিতে কায়দা করে ৫০ হাজার টাকা রাখা আছে|

তখন তিনি মুখ গম্ভীর করে বললেন, তোমাকে নির্দোষ প্রমান করতে হলে এরকম আরো ৩ টা ডায়রি লাগবে!!!!

কৌতুক-১৭

মাদক সেবনের দায়ে দুজন ছেলেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসলো পুলিশ। কিছুদিন কারাভোগের পর জজসাহেবের হাতে সোপর্দ করে দিল। জজসাহেব তাদের খুব করে দেখে বললেন, “দেখো। তোমাদের দেখে মনে হচ্ছে তোমাদের মধ্যে তারুণ্যের শক্তি এখনো ক্ষয়ে যায়নি। তোমাদের যদি এখুনিই পাকাপাকিভাবে জেলে পুরে ফেলার ফরমান জারি করি, তাহলে দু দুটো তরুণ সম্পদ বিফলে যাবে। তাই আমি তোমাদের ঠিকানা টুকে নিলাম, আর তোমাদের একবার সু্যোগ দিচ্ছি আবার লোকালয়ে ফিরে যাওয়ার। তোমরা যদি মাদকবিরোধী ব্যাপক প্রচারণা চালাতে পারো, আর বেশ কিছু মাদকাসক্তকে মাদকমুক্ত করতে পারো, তাহলে তোমাদের শাস্তি মওকুফের ব্যবস্থা আমি নিজেই করবো।”

এক সপ্তা পর সেই ছেলেদুটোকে আবার আদালতে হাজির করা হল। জজসাহেব প্রথমজনকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কতজনকে মাদকবিমুখ করতে পেরেছ?”

সে বললো, “সতেরো জনকে, ইওর অনার। তাদেরকে এমনভাবে প্রণোদিত করেছি যে তারা আর বাকি জীবন মাদক ছুঁয়েও দেখবে না।”

“বেশ তো”, বললেন জজসাহেব। “কীভাবে করলে?”

ছেলেটা চটপট একটা কাগজ আর একটা কলম তুলে নিয়ে দুটো বৃত্ত আকলো এভাবেঃ O o । অর্থাৎ একটা বড় আর পাশেরটা ছোট। তারপর সে বড়টার উপর আঙুল ধরে বললো, “আমি তাদেরকে বলেছি, মাদক নেয়ার আগে এটা হলো তোমাদের মস্তিষ্কের আকার।”, তারপর ছোটটার দিকে আঙুল সরিয়ে বললো, “মাদক নেয়া শুরু করলে তোমাদের মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে দাঁড়ায় ঠিক এমন।”

“বাহ, প্রশংসনীয় কাজ!”, বললেন জজসাহেব। এবার দ্বিতীয়জনকে বললেন, “তুমি কজনকে মাদকের গ্রাস থেকে ফেরাতে পেরেছ?”

সে গম্ভীর গলায় বললো, “দুশো জনকে।”

জজসাহেব বলিহারী গেলেন। “এরমধ্যেই এত্তজন, চমৎকার! কিন্তু কীভাবে!!”

প্রথমজনের আঁকা বৃত্তদুটোর ছোটটার উপর আঙুল রাখলো সে। “আমি সবাইকে বললাম, জেলে ঢোকার আগে এটা হলো তোমাদের পায়ুছিদ্রের আকার….”

কৌতুক-১৮

বিয়ের রাতে যৌনকর্ম করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল আবুল ও তার বৌ।

মাঝপথে আবুল থেমে যায়।

পরদিন বৌকে তালাক দেয়।

বৌ আদালতে কেস করে।

উকিল আবুলের কাছে বৌ তালাকের কারন জানতে চায়।

সে বলে, .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আমি দেখলাম ওই মাইয়ার ব্রা ও প্যান্টিতে স্টিকার লাগানো এবং এতে লিখা

“Tested Ok (Karim and Sons)” !!

কৌতুক-১৯

এক দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।

একমাত্র বাচ্চা কার কাছে থাকবে এটা নিয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হলো তারা।

বিচারক প্রথমে মহিলাকে বলল, “বাচ্চা আপনার কাছে রাখার যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিন।”

স্ত্রী, “আমি ১০ মাস পেটে ধারণ করেছি অতএব আমার সন্তান আমার প্রাপ্য” .
.
.
.
.
.
বিচারক এবার স্বামীর কাছে শুনতে চাইলেন,

স্বামীঃ “একটি কয়েন, কফি মেশিনে ফেলার পরে কফি বের হয়ে আসলো,

এই কফির মালিক কে আমি না কফি মেশিন?”

কৌতুক-২০

: অমন স্ত্রী নিয়ে আমি আর ঘর করতে পারিছ না, হুজুর।

: কেন?

: হাতের কাছে যা পায় তাই ছুড়ে মারে।

: কবে থেকে তার এই বাতিক দেখা দিয়েছে?

: বিয়ের পরপরই।

: তা হরে আপনি দশ বছর পরে ডিভোর্স চাচ্ছেন কেন?

: আগে হাতের ঠিক ছিল না। একটাও লাগত না। দশ বছরে হাত পেকেছে। এখন একটাও ফসকায় না।

কৌতুক-২১

উকিলঃ আমি যা যা প্রশ্ন করব তার উত্তরে শুধু হ্যা অথবা না বলবে। এর বেশি কোনো ব্যাপারে অনর্থক কথা বলবে না।

আসামীঃ সব প্রশ্নের উত্তর কি হ্যা না দিয়ে দেয়া যায়।

উকিলঃ অবশ্যই যায়।

আসামীঃ তাহলে আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করি

উকিলঃ করো।

আসামীঃ আপনি কি আগের মত এখনো পকেট মারেন ?

কৌতুক-২২

এক প্রবীণ শান্ত মেজাজের ভদ্রলোক হঠাত্ খেপে গিয়ে বাসে এক ভদ্রমহিলার মাথায় গাট্টা মারলেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা উঠেছে।

বিচারক বললেন, ‘আপনাকে দেখেশুনে তো মনে হয়না আপনি এমন বাজে কাজ করতে পারেন। কিন্তু বাসের সবাই সাক্ষী। এ কাজ আপনি করতে গেলেন কেন?’

অভিযুক্ত ভদ্রলোকটি বললেন, ‘হুজুর, শুনুন তবে কেন এমন স্বভাববিরোধী কাজটা করেছি। ভদ্রমহিলার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি। বাসটা যাচ্ছিল মতিঝিল থেকে মিরপুর। সিটে বসেই তিনি হাতের বড় ব্যাগটা খুললেন, তা থেকে একটা ছোট ব্যাগ বের করলেন। তারপর বড় ব্যাগটা বন্ধ করে ছোট ব্যাগটা খুললেন উনি। তা থেকে একটা ১০ টাকার নোট বের করে ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন। তারপর বড় ব্যাগটি খুলে ছোট ব্যাগটি তার ভেতর পুরে বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন। কন্ডাক্টর ইতিমধ্যে দূরে সরে যাওয়ায় ভদ্রমহিলা আবার বড় ব্যাগটি খুললেন, ছোট ব্যাগটি বের করলেন। বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন, ছোট ব্যাগটি খুলে টাকাটা ছোট ব্যাগে পুরলেন। তারপর ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন, বড় ব্যাগটি খুললেন—!’

বিচারক অধৈর্য হয়ে বললেন, ‘কী একশবার ছোটব্যাগ-বড়ব্যাগ, বড়ব্যাগ-ছোটব্যাগ করছেন! ইয়ার্কি পেয়েছেন?’

অভিযুক্ত লোকটি বলল, ‘হুজুর, আপনি দুই মিনিট শুনেই ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন? ঝাড়া আধঘণ্টা ধরে দুই শত একত্রিশ বার চোখের সামনে এই জিনিস দেখার পর আমি গাট্টাটা মেরেছি।’

বিচারক রায় দিলেন, ‘কেস ডিসমিসড।’

কৌতুক-২৩

বিচারক : আপনি বলেছেন- আপনার বন্ধুর সঙ্গে অবৈধ প্রণয় চলছিল বলে বউকে খুন করেছেন। কিন্তু আপনি আপনার বন্ধুকে খুন না করে বউকে খুন করলেন কেন?

আসামি : হুজুর আমার অনেক বন্ধু। সপ্তায় একজন করে বন্ধুকে মারার চেয়ে বউকে মারাই সহজ মনে হল তাই।

কৌতুক-২৪

বিচারক : রাত বারটার সময় খিড়কি দরজা দিয়ে তুমি এই মহিলার বাড়িতে ঢুকেছিলে কেন?

আসামি : ভেবেছিলাম, ওটা আমার নিজের বাড়ি।

বিচারক : বেশ, যদি তাই হয়, তা হলে এই মহিলাকে দেখে জানালা টপকে চৌবাচ্চার আড়ালে লুকাতে গেলে কেন?

আসামি : ভেবেছিলাম, ইনি আমার স্ত্রী।

কৌতুক-২৫

ভদ্রলোক : আমি আপনার কাছে জানতে এসেছি আমার ডিভোর্স করার গ্রাউন্ড আছে কি না?

উকিল : আপনি কি বিবাহিত?

ভদ্রলোক : অবশ্যই।

উকিল : তা হলে গ্রাউন্ড আছে।

কৌতুক-২৬

উকিল: আচ্ছা, আপনি ওই লোকের ঘড়ি চুরি করলেন কেন?

মক্কেল: না! আমি তো চুরি করিনি। তিনি নিজেই আমাকে ঘড়িটি দিয়েছেন।

উকিল: কী বলছেন! তিনি কখন আপনাকে ঘড়িটি দিলেন?

মক্কেল: কেন? আমি যখন আমার বন্দুকটি দেখালাম!

কৌতুক-২৭

আদালতে জজ চোরকে বলতেছে—-

জজ : তোমার শেষ ইচ্ছা কি?

চোর : মুক্তি

কৌতুক-২৮

কোর্ট এ একটা কেস চলতেছে | সাক্ষী এর কাঠগড়ায় দাড়িয়ে আছেন এক দাদীমা | তার বয়স অনেক, সাদা চুল, মুখে ফলসে দাঁত, হাই পাওয়ার চশমা | যাই হোক, বাদী পক্ষের উকিল এগিয়ে এলেন দাদিমার দিকে|

উকিল: আচ্ছা দাদীমা, আপনি আমারে চেনেন ?

দাদীমা : চিনিনা মানে? বিলক্ষণ চিনি | তোমারে তো আমি লেংটা হইয়া ঘুরে বেরাইতে দেখছি | কিন্তু মোতালেব, তুমি তো জীবনে কিছু করবার পারলা না |তুমি মিছা কথা কও | তোমার সুন্দরী বউ থাকতে অন্য মাই…য়ার পিছনে ঘুর ঘুর কর |লোকেরে উল্টা বুঝাও, সবাইরে ঠকাও, আর পিছনে লোকের বদনাম কর | তুমি মনে কর তুমি নিজেরে মনে কর রাঘব বোয়াল ! আসলে তুমি একটা পুঁটি মাছ ও না ! আমি তোমারে অবশ্যই চিনি |

উকিল এই শুইন্যা পুরা ঘাবড়ায় গেলেন | গোটা কোর্টের লোকজন ও একদম হা হইয়া গেছে | কী করবে বুঝতে না পাইরা এইবার উকিল আসামি পক্ষের উকিল রে দেখায় বললেন,

উকিল: দাদীমা, আপনি কী ওরে চেনেন ?

দাদীমা: আরে, আসলাম না ? ওরে কেন চিনুম না |আমার যখন বিয়া হয় তখন ওই বেটা দুধের শিশু | ছোটবেলায় তো বেশ ভালই আছিল | বড় হইয়া হইল একটা অলস, অকর্মার ধারী| আবার শুনি রোজ রোজ মদ খাওয়া শুরু করছে |কার ও সাথে ঠিকঠাক কথা কইবার পারে না | এই জেলার সবথিকা বাজে উকিল হইল ওই আসলাম |

ওঃ বলতে ভুইলা গেছিলাম | এ আবার তিনটা পরকীয়া প্রেম করছে | তার একটা তোমার বউ এর লগে |

এই কথা শুইন্যা আসলাম উকিল কোর্টের মধ্যে অজ্ঞান হয়া গেলেন | এইবার বিচারক বললেন,

“মোতালেব মিয়াঁ, আপনি সীট এ যায়া বসেন | আর যদি মুর্খের মত প্রশ্ন করছেন যে উনি আমারে চেনে কিনা, আপনারে আমি ফাঁসিতে ঝোলামু |”

কৌতুক-২৯

এক ইয়া মোটা মহিলা বাসায় একচোর ধরল।। আর তার উপর বসল যাতে চোরটা পালাতে না পারে।। তারপর চাকরকে বলল পুলিশে খবর দিতে!!

চাকরঃ “আমার জুতা কোথায় গেল?? খুঁজে পাচ্ছি নাহ তো!!” .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
চোরঃ “আরে জুতা না পেলে আমারটা পড়ে যা বাপ!! তাও তাড়াতাড়ি যা!!”

কৌতুক-৩০

একজন বাস ড্রাইবার এক্সিডেন্ট করে রাস্তার পাশে জমির ভিতর ঢুকে পরে আদালতে তাকে জিজ্ঞাস করল

উকিলঃ ফাকা রাস্তায় এরকম এক্সিডেন্ট করলি কেন?

ড্রাইবারঃ স্যার, আমি তো ভালোভাবেই বাস চালাচ্ছিলাম হটাৎ করে এক পাগল রাস্তার মাঝে এসে নাচতে শুরু করল আমি ভাবলাম আমি যদি পাগলকে বাচাই,তাহলে বাসের সবাইকে মারতে হবে আর যদি বাসের সবাইকে বাচাই,তাহলে পাগলকে মারতে হবে আমি চিন্তা করে দেখলাম একজনের চেয়ে সবাইকে বাচানো ভালো তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম পাগলটাকে মারবো !!

উকিলঃ তাহলে বাস জমির দিকে চালালি কেন?

ড্রাইভারঃ স্যার আমি যখন পাগলটাকে মারতে গেলাম তখন, পাগলটা দৌড়ে জমির ভিতর ঢুকে গেল, তাই.........।

বলুন তো এই বেটা ড্রাইভার কে কি করা উচিৎ

কৌতুক-৩১

পুলিশ এক জুয়ার আসরে হানা দিয়ে এক জুয়ারীকে গ্রেফতার করল । থানায় আনার পর জুয়ারী ইন্সপেক্টরকে .......

জুয়ারী : আমাকে ধরে আনা হল কেন ? .
.
.
.
.
.
.
.
ইন্সপেক্টর : ন্যকামো হচ্ছে?? জানিস না তোকে জুয়া খেলার জন্য ধরে আনা হইছে । .
.
.
.
.
.
.
.
জুয়ারী : ( উল্লাসিত হয়ে ) তাহলে দেরী করছেন কেন? চলেন শুরু করি ।

কৌতুক-৩২

পুলিশ : তোমাকে কিছুক্ষণ পরে ফাঁশি দেওয়া হবে। তোমার শেষ ইচ্ছা কি?

আসামী : আমার শেষ ইচ্ছা আমি Airtel সিম দিয়ে কিছুক্ষণ নেট ব্রাউজিং করতে চাই।

পুলিশ : এত সিম থাকতে Airtel দিয়ে কেন??

আসামী : স্যার Airtel সিমের নেট স্পীড দেখলে আমার এমনিতেই মরতে ইচ্ছা করে!

কৌতুক-৩৩

একবার এক লোক একটা উড়ন্ত হাঁস শিকার করল। গুলি খেয়ে হাঁসটি একটা ক্ষেতের উপর পড়ল। লোকটি বেড়া টপকে ক্ষেতে ঢুকতে গেলে বৃদ্ধ মালিক তাকে আটকালেন।

“আমার জমিতে ঢোকা যাবে না।আমার জমিতে কিছু পড়লে সেটা আমার।” বললেন তিনি।

লোকটি বলল, “আমি এ দেশের সবচেয়ে বড় উকিল। আমি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করব। তারপর দেখবে হাঁস আমার নাকি তোমার।” ক্ষেতের মালিক মনে মনে উকিলের উপর চটে গেলেন।

তিনি বললেন,”আমাদের এদিকে ঝগড়া মীমাংসা করার ধরণ একটু ভিন্ন। আমরা ঝগড়া মীমাংসা করি তিন লাত্থি পদ্ধতিতে।”

উকিল বলল, “তিন লাত্থি পদ্ধতি কি?”

ক্ষেতের মালিক বললেন, “প্রথমে আমি তোমাকে তিন লাথি দেব। তারপর তুমি আমাকে তিন লাথি দেবে। আবার আমি তোমাকে তিনলাথি দেব। এভাবে চলতেই থাকবে যতক্ষণ না কেউ সারেন্ডার করে।”

উকিল দেখল এখন মামলা টামলা করলে অনেক সময় নষ্ট হবে, হাঁস হয়তো পাওয়া যাবে না, পাওয়া গেলেও হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া এই বৃদ্ধকে সে অচিরেই তিন লাথিতে হারাতে পারবে। তাই সে এই পদ্ধতিতে মীমাংসা করতে রাজি হয়ে।

বৃদ্ধ প্রথম লাথিটা মারলেন তার হাঁটুতে, উকিল চিৎকার করে মাটিতে পড়ে গেল। দ্বিতীয় লাথিটা ধেয়ে এল তার নাক বরাবর, উকিল রক্তাক্ত মুখে মাটিতে শুয়ে পড়ল। তৃতীয় লাথি আঘাত করল উকিলের বুকে, উকিল ব্যথায় ককিয়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে গেল। না, অজ্ঞান হলে তো চলবে না। উকিল তার সমস্ত শক্তি একত্র করে উঠে দাঁড়াল। বৃদ্ধকে কষে একটা লাথি মারার জন্য পা তুলল সে। ঠিক সেই মুহূর্তে বৃদ্ধ হেসে বললেন, “আমি সারেন্ডার করলাম। তোমার হাঁস তুমি নিয়ে যাও।”


Developed by

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন