27 May, 2018

রাজনীতি-টাজনীতি কৌতুক (২৫)




কৌতুক-০০১

এক ডাক্তার, এক আর্কিটেক্ট এবং এক রাজনীতিকের মধ্যে যার যার পেশা নিয়ে তর্ক হচ্ছে-

ডাক্তার : আমার পেশা সবচেয়ে প্রাচীন, কেননা আল্লাহ যখন সৃষ্টির শুরুতে আদম থেকে হাওয়াকে তৈরি করেন, সেটা ছিল ডাক্তারীবিদ্যারই একটি অংশ।

আর্কিটেক্ট : আমার পেশা আরো প্রাচীন, ডাক্তারীরও আগে এ পেশার জন্ম। কারন পুরো পৃথিবী একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে তৈরি করা হয়। এটা অবশ্যই আর্কিটেকচারের অংশ।

রাজনীতিক : তাই না ? আর ঐ বিশৃঙ্খল অবস্থাটা তৈরি করলো কারা ?

কৌতুক-০০২

সংসদের গেটের সামনে ভাঙাচোরা একটা সাইকেলে তালা মেরে রেখে যাচ্ছিল এক লোক। তা দেখে হা হা করে ছুটে আসে দারোয়ান। চিৎকার করে বলে, ‘ওই ব্যাটা, এখানে সাইকেল রাখছিস কী বুঝে? জানিস না, এ পথ দিয়ে মন্ত্রী-মিনিস্টাররা যান।’

লোকটা একগাল হেসে জবাব দেয়, ‘কোনো সমস্যা নাই ভাইজান, সাইকেলে তালা মাইরা দিছি।’

কৌতুক-০০৩

সততা, বুদ্ধি ও পার্টির প্রতি আনুগত্য—কোনো রাজনীতিবিদের ভেতরেই এই তিনটি গুণের দুটোর বেশি থাকতে পারে না। কারণ:

- যে সৎ ও বুদ্ধিমান, সে পার্টির প্রতি অনুগত নয়।

- যে সৎ ও পার্টির প্রতি অনুগত, সে বুদ্ধিমান নয়।

- যে বুদ্ধিমান এবং পার্টির প্রতি অনুগত, সে সৎ নয়।

কৌতুক-০০৪

নির্বাচন সামনে রেখে এক ডেমোক্রেট আর রিপাবলিকানের মধ্যে কথা হচ্ছিল।

ডেমোক্রেট-আমি যখন কোন টেক্সিতে চড়ি তখন সেই টেক্সি ড্রাইভারের সাথে খুব ভাল ব্যবহার করি। প্রথমে তার ছেলে মেয়ের কোজ খবর নেই, তাকে মোটা বকশিস দেই। এবং নামার সময় বলি ডেমোক্রেটদের ভোট দিও।

রিপাবলিকান-আমি টেক্সিতে উঠেই ড্রাইভারকে গালাগালি দিতে শুরু করে দেই। সিগারেট ধরিয়ে তার মুখে ধোয়া ছেড়ে দেই, এক টাকাও টিপস দেই না। তবে নামার সময় তোমার মতই বলি ডেমোক্রেটদের ভোট দিও।

কৌতুক-০০৫

বিরোধী দলীয় নেতা সমুদ্র সৈকতে একটি প্রাচীন বোতল কুড়িয়ে পেলেন। বোতলের ছিপি খুলতেই ভেতর থেকে এক দৈত্য। নেতাকে কুর্নিশ করে দৈত বলল-আপনি আমাকে জাদুর বোতল থেকে মুক্ত করেছেন,

তাই আমি আপনার তিনটি ইচ্ছা পূরণ করব। তবে শর্ত হচ্ছে আপনি যা পাবেন আপনার প্রতিপক্ষ নেতা পাবে এর দুই গুণ।ঠিক আছে-নেতা রাজী হলেন।

আমার প্রথম ইচ্ছা একটি বিলাস বহুল বাড়ী,

২য় ইচ্ছা একটি বিলাস বহুল গাড়ী, আর

শেষ ইচ্ছা আমি আমার একটি কিডনি জনস্বার্থে দান করে দিতে চাই।

কৌতুক-০০৬

নেতা: কথা দেন, আমারে ভোট দিবেন৷

ভোটার: আরেকজনেরে যে কথা দিয়া ফেলছি৷

নেতা: আরেকজনরে কথা দিলেই যে আরেকজনরে ভোট দিতে হবে, তা তো না৷

ভোটার: তাইলে আপনারেও কথা দিলাম৷

কৌতুক-০০৭

ভোট অন্যতম নাগরিক অধিকার, যা প্রয়োগে অধিকাংশ সময়েই নাগরিকদের কোনো অধিকার অর্জিত হয় না।

কৌতুক-০০৮

স্নায়ুযুদ্ধকালের গল্প। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেছেন আমেরিকা সফরে। এয়ারপোর্টে সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরল। একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করল, ‘ আমরা জানি ক্রেমলিনে পতিতাপল্লী নেই। আপনি কি ওয়াশিংটনে এসে পতিতাপল্লীতে যাবেন?’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জবাব দিলেন না।

পরের সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি কি ওয়াশিংটনে এসে পতিতাপল্লীতে যাবেন?’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবারও এড়িয়ে গেলেন।

তৃতীয় সাংবাদিক এবার জানতে চাইলেন, ‘মিস্টার মিনিস্টার, আপনি ওয়াশিংটনে স্বাগতম। আপনি কি ওয়াশিংটনে এসে পতিতাপল্লীতে যাবেন?’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন বিদঘুটে প্রশ্ন শুনে ভাবলেন সাংবাদিকরা তাঁকে নিয়ে মজা করছে। তিনিও পাল্টা মজা করে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ আপনাদের ওয়াশিংটনের পতিতাপল্লীটা কোথায়?’

ব্যাস, পরের দিন সব পত্রিকার শিরোনাম হলো, ‘ওয়াশিংটনে নেমেই রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পতিতাপল্লীর রাস্তাঘাটের খোঁজ করলেন !’

দিস ইস কলড সাংঘাতিকতা ।।

কৌতুক-০০৯

রাষ্ট্রপতি হতে চান কিনা এই প্রশ্নের জবাবে জনাব এরশাদ বলেন, “আমি আর রাষ্ট্রপতি হতে চাই না, আমি প্রধান মন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখি” ।

সম্পুরক প্রশ্ন : কাকার কি এই চুরাশি বছর বয়সেও স্বপ্ন দোষ হয় ?????

কৌতুক-০১০

একদিন ডা. ইমরান এইচ সরকার পেলেন এক আশ্চর্য প্রদীপ। জ্বীন হইতাছে আবার ডিজিটাল। ডাক্তার সাহেব মনে মনে কিছু ভাবলেই বাস্তবায়ন করে ফেলে।

একদিন ডাক্তার সাহেব মনে মনে ভাবলেন শাহবাগে একখান নাটক করবেন জার নাম হবে “গনজাগরন নাটক”। জ্বীন সাথে সাথে তা ব্যবস্থা করে দিল।

একদিন ডাক্তার সাহেব মনে মনে ভাবলেন সাঈদীর ফাঁসী চাই, জ্বীন সাথে সাথে তা ব্যবস্থা করে দিল।

একদিন ডাক্তার সাহেব শুনতে পেলেন যে সবচেয়ে বড় রাজাকারের অবস্থান শাহবাগে। তিনি তখন মহাচিন্তায় পড়ে গেলেন। ভাবলেন যে এ আবার কোন বিপদ। এই বেটা কে বের করে যদি পাছায় একটা বাঁশ ঢুকি্যে দিতে পারতাম। সাথে সাথে তার পাছা্য় একটা বিরাট বাঁশ ঢুকে গেলো।

আর ডাক্তার সাহেব বুঝতে পারলেন তার ডিজিটাল জ্বীনকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব না।

কৌতুক-০১১

প্রবীণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাৎকার নিতে এসে সাংবাদিক জানতে চাইলেন, ‘আচ্ছা, আপনি বিয়ে করেননি কেন?’

মুচকি হেসে রাজনীতিবিদ বললেন, ‘এর পিছনে রয়েছে একটি ঘটনা।আজ থেকে বিশ বছর আগে এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। আমার সাম্নেই বসে ছিলেন এক শাড়ি পরা মহিলা।আমি চেয়ার থেকে উঠতে গেলে হটাৎ তার শাড়ির সাথে পা লেগে যায়। নিচের দিকে তাকিয়েই মহিলা গাধা,উল্ললুক,টিকটিকি,হনুমান,মুখপোড়া বলে শুরু করেন গালাগাল। হঠাৎ মুখ তুলে আমাকে সামনে দেখতে পেয়ে বলেন,”দুঃখিত, কিছু মনে করবেন না। আমি ভেবেছিলাম এটা বুঝি আমার স্বামীর কাজ”।

কৌতুক-০১২

দ্বিতীয়বার নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগে জর্জ ডাব্লিউ বুশ টেক্সাসের কোন এক জায়গা থেকে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন ।

রাস্তার পাশে ছিল শুয়োরের একটা খামার ।

আর গাড়ির ড্রাইভারও ছিল বেপরোয়া। হঠাৎ খামার থেকে একটা শুয়োর ছুটে এসে গাড়ির সামনে পড়লো । গাড়ির আঘাতে শুয়োরটা পিষ্ট হল ।

বুশ এটা দেখে ড্রাইভার কে অনেক বকাঝকা করলেন। তারপর শান্ত হয়ে বললেন , যাও , খামারের মালিকের কাছে যেয়ে মাফ চেয়ে আসো।

ড্রাইভার গেলো , ফিরল অনেকক্ষণ পর । হাতে অনেক খাবার এবং গিফটের প্যাকেট নিয়ে।

বুশ অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো – এগুলো কি ?

আজ্ঞে , খামারের মালিকরা খুশি হয়ে আমাকে এগুলো দিল।

তুমি তাদের শুয়োর মারলে , আর তারা তোমাকে উপহার দিল ?সত্যি করে বল তো , তুমি তাদের কি বলেছ ?

আমি বলেছি- আমি বুশের গাড়ির ব্যক্তিগত ড্রাইভার । শুয়োরটা মরেছে। আমি নিজ হাতে গাড়ি চাপা দিয়ে শুয়োরটাকে মেরেছি ।

কৌতুক-০১৩

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন বাছবিচারহীন সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানকে নিরুৎসাহিত করতেন।

তিনি এ প্রসঙ্গে একটি গল্প শোনাতেন।

গল্পটি এ রকম—একদিন এক নৈশভোজে অতিসাধারণ এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হলো আমার, যিনি তিন তিনটে সম্মানসূচক ডিগ্রির অধিকারী। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে আমার এক বন্ধু জানাল, তাঁকে তৃতীয় ডিগ্রিটি দেওয়া হয়েছিল কারণ তাঁর দুটো ডিগ্রি আছে। দ্বিতীয়টি দেওয়া হয়েছিল, কারণ ইতিমধ্যেই তাঁর একটা ডিগ্রি আছে। আর প্রথমটা দেওয়া হয়েছিল তাঁর একটাও ডিগ্রি ছিল না বলে।

কৌতুক-০১৪

এক মন্ত্রী মৃত্যুর পর পরজগতে গেলো।

সে যখন স্বর্গে ঢুকবে,(যাই হোক ধরে নেই সে কোনোভাবে স্বর্গে ঢুকবে) তখন দেবতা তাকে বলল,”স্বর্গে কিছু সংস্কার চলছে;তুমি ২দিন শুধু নরকে ঘুরে আসো;এরপর স্বর্গে ঢুকো”

মন্ত্রী রাজি হল।

নরকে শয়তান তাকে সাদর আমন্ত্রণ জানালো। এরপর সে তাকে নরক ঘুরে দেখাতে লাগলো

মন্ত্রী অবাক হয়ে দেখতে লাগলো যে নরক অনেক সুন্দর।খুবই আরামের বাবস্থা,সুন্দর সুন্দর প্রাসাদ থাকার জন্য।

খেলাধুলার জন্য পুল,গলফ মাঠ আরও অনেক কিছু।অনেক সুস্বাদু পানীয়,খাবার দাবারের বাবস্থা। আর অসংখ্য সুন্দরী অপ্সরী।

মানুষ অনেক আরামে আছে ওখানে

২ দিন পর দেবতার কাছে মন্ত্রী বলল যে সে নরকেই থাকতে চায়।

দেবতা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,”তুমি সত্যি ওখানে থাকতে চাও?’

মন্ত্রি,”হ্যাঁ”

দেবতা রাজি হল।

কিন্তু এরপর মন্ত্রী নরকে গিয়ে দেখল যে নরক পুরো অন্যরকম।কোন সুন্দর জায়গা নেই। শুধু আগুন আর কয়লা। মানুষজনকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।দৈত্যরা মানুষজনকে শাস্তি দিচ্ছে।অসংখ্য সাপ আর হিংস্র প্রাণী ঘুরে বেড়াচ্ছে;খুবই কুৎসিত আর জঘন্য জায়গা।

মন্ত্রী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো শয়তানকে “নরকের এই হাল কেন?আগে আমি কি দেখলাম!!”

শয়তান হেসে বলল,” আরে ওইটা তো ছিল একটা ক্যাম্পেইন। তোমরা যেমন নির্বাচনের আগে মানুষকে স্বর্গের স্বপ্ন দেখিয়ে পরে নরক উপহার দাও;আমিও তাই করেছি। তোমার তো এটা বুঝার কথা|”

কৌতুক-০১৫

বিল ক্লিনটনের আমেরিকা সফরে গেছেন ইংরেজিতে দূর্বল জাপানের তখনকার প্রধানমন্ত্রী |

দোভাষী প্রধানমন্ত্রীকে বললেন সাক্ষাতে মিঃ প্রেসিডেন্টকে আপনি শুধু বলবেন HOW ARE YOU (আপনি কেমন আছেন) | এর জবাবে মিঃ প্রেসিডেন্ট আপনাকে বলবেন I AM FINE (আমি ভাল) | উত্তরে আপনি বলবেন ME TOO (আমিও [ ভাল ]) |

কিন্তু সাক্ষাতের সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ভুল করে HOW …ARE YOU (আপনি কেমন আছেন) এর পরিবর্তে বিল ক্লিনটনকে বললেন WHO ARE YOU (আপনি কে ?) |

ইংরেজিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দূর্বলতা ধরতে পেরে বিল ক্লিনটন ও একটু রসিকতা করে বললেন I AM THE HUSBAND OF HILLARI CLINTON (আমি হিলারী ক্লিনটনের স্বামী) |

উত্তরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বললেন ME TOO (আমিও [ হিলারী ক্লিনটনের স্বামী ]) |

কৌতুক-০১৬

নয় মার্কিন পণ্ডিত আর এক বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ গেলেন হিমালয় জয় করতে।

কিন্তু পাহাড়ে ওঠার সময় ভীষণ বিপদে পড়ে গেলেন দশ অভিযাত্রী। বেয়ে ওঠার দড়িটা খুব দুর্বল হয়ে গেছে!!!

যেকোনো একজনকে দড়ি থেকে ফেলে না দিলে সবাই একসঙ্গে পড়ে যাবেন এমন অবস্থা!!

কিন্তু কেউই হাত থেকে দড়ি ছাড়তে নারাজ।

বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ দেখলেন পরিস্থিতি বেশি সুবিধার না।

তাঁরা নয়জন মিলে তাঁকে হাত থেকে দড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য করবেন!!

তখন তিনি সবার উদ্দেশে বক্তৃতা শুরু করলেন, কেন তাঁদের মতন মহান পণ্ডিতদের জীবন তাঁর মতন তুচ্ছ মানুষের জীবনের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান এবং তিনি এই নয় মার্কিন পণ্ডিতের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পেরে কেমন ধন্য বোধ করছেন!!!

পণ্ডিতেরা বক্তৃতায় আবেগাপ্লুত হয়ে সবাই হাততালি দিয়ে উঠলেন!!!!

কৌতুক-০১৭

এক চেয়ারম্যান মঞ্চে দেশ ভক্তি র ভাষণ দিচ্ছিলেন । তো তিনি দেশীয় পণ্যের কথা বলতে লাগলেন ….

দেখেন আমি কখনো বিদেশী জিনিস ব্যবহার করি না, আমার এই পাঞ্জাবী, লুঙ্গি, এমনকি এই আন্ডার প্যান্টাও দেশী……..বলতে বলতে তিনি লুঙ্গি উঠিয়ে দেখালেন ।

বাড়িতে ফিরে বউয়ের কাছে বললো, জানো আজ আমার ভাষণ শুনে সবাই অনেক হাততালি দিলো ।

বউ বললো কি ভাষণ দিয়েছো

সব শুনে বউ বললোঃ

.

.

.

.

.

.

.

.

তুমি করেছো কি ? তুমিতো আজ আন্ডার প্যান্ট পরে যাও নাই|

কৌতুক-০১৮

আমেরিকার এক রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রাট প্রার্থীর কথোপকথন|

রিপাবলিকান প্রার্থী বলছে, আমি যখন ট্যাক্সি তে উঠি ড্রাইভার কে অনেক টাকা বখশিস দেই আর তার সাথে খুব ভালো ব্যাবহার করি তারপর খুব সুন্দর ভাবে বলি আপনি দয়া করে রিপাবলিক প্রার্থী কে ভোট দিয়েন!!

ডেমোক্রাট প্রার্থী বলছে হ্যাঁ আমি ট্যাক্সি তে উঠলে কোন বখশিশ দেই না, গালাগালি করি আর সব শেষে আমিও বলি রিপাবলিক প্রার্থী কে ভোট দিয়েন

কৌতুক-০১৯

একদিন একটি গ্রামে একটি বিমান আছড়ে পড়ল।

গ্রামবাসী বিমানের সকল যাত্রীকে মৃত ভেবে কবর দিয়ে দিল। সেই বিমানে বাংলাদেশের এক মন্ত্রীও ছিল। এখন এই খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেই গ্রামে গেল খবর সংগ্রহ করতে। ওই গ্রামের সবচেয়ে গন্য-মান্য ব্যক্তি কে প্রশ্ন করল, “সকল যাত্রীই মারা গেছে, এই ব্যাপারে কি আপনারা নিশ্চিত?”

লোকটি বলল,

.

.

.

.

.

“কবর দেওয়ার সময় যদিও মন্ত্রিসাহেব বলছিলেন যে উনি জীবিত। কিন্তু রাজনীতিবিদ তো তাই কথাটা বিশ্বাস করি নাই। কবর দিয়া দিছি।”

কৌতুক-০২০

টনি ব্লেয়ার একবার আমেরিকায় সফরে গেল।

হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট বুশ ব্লেয়ারের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করলেন।

খাওয়ার সময় ব্লেয়ার বুশের সাথে হাসিঠাট্টা করতে করতে বুশকে একটা ধাঁধা জিজ্ঞেস করলো,”আমার বাবা মায়ের একটা সন্তান, কিন্তু সে আমার ভাইও না বোনও না; বলেন তো মিস্টার প্রেসিডেন্ট সে কে?”

বুশ উত্তর দিতে পারল না।

তখন ব্লেয়ার জবাব দিল, “মিস্টার প্রেসিডেন্ট, ওটা হলো আমি।”

বুশ খুব মজা পেলো। সে ঠিক করলো সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সাথে দেখা হলে তাকে এই ধাঁধা জিজ্ঞেস করে জব্দ করবে! বেটা ক্লিনটন খালি জ্ঞানের বাহাদুরি দেখায়।

এরমধ্যে এক অনুষ্ঠানে বুশের সাথে ক্লিনটনের দেখা হলে বুশ তাকে ধাঁধাটি জিজ্ঞেস করলো।

ক্লিনটন একটু চিন্তা করে জবাব দিলেন, “মিস্টার প্রেসিডেন্ট, ওটা হলো আপনি।”

এবার বুশ অট্টহাসি দিয়ে বলল, “হয়নি মিস্টার ক্লিনটন, এর উত্তর হলো টনি ব্লেয়ার !”

কৌতুক-০২১

একবার সরকার প্রধান ঘোষনা দিলেন তিনি সেনাবাহিনী , RAB এবং পুলিসের মধ্যে কে সবচেয়ে দক্ষ তা পরীক্ষা করবেন।

এজন্য তিনি একটি খরগোস বনে ছেড়ে দিয়ে বললেন যে এই খরগোসটি ধরে আনতে পারবে বুঝব সে বাহিনীটিই সবচেয়ে দক্ষ।

তারপর সেনাবাহিনী সারদেশের বন উজাড় করে দুই সপ্তাহ পর বলল কোথায়ও খরগোস নেই।

RAB দুই মাস গভীর তদন্ত করে বলল খরগোসটি ভারতে চলে গেছে

পুলিস দুই ঘন্টা পর একটি ভাল্লুক ধরে আনল যেটাকে দেখে মনে হচ্ছে খুব মার খেয়েছে এবং সেটা চিৎকার করে বলছে ঠিকাছে আমি খরগোস! ঠিকাছে আমি খরগোস!……

কৌতুক-০২২

একবার ১ জন সাংবাদিক , ১ জন হুজুর , ১ জন রাজনীতিবিদ

একসাথে হাটছিলেন হঠাৎ রাত হয়ে গেলোতারা আশ্রয়ের জন্য একটি বাসায় গেলেন বাসার মালিক তাদেরকে রাখতে রাজি হলেন কিন্তু বাসায় ২ জনের বেশি থাকতে দেয়া যাবে না।

তিনি বললেনঃ "পাশে একটা গোয়ালঘর আছে আপনারা কেউ যদি পারেন তবে ওখানে থাকুন শুধু একটা গরু আছে "

প্রথমে হুজুর বললেনঃ "গোয়ালে আমিই থাকবো সারারাত দোয়া কালাম পরে কাটিয়ে দিতে পারব "

তো তিনি গেলেন কিন্তু ৫ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসলেন বললেনঃ " অনেক গন্ধ, থাকতে পারছি না "

তারপর গেলেন রাজনীতিক ৫ মিনিট পর দরজায় ধাক্কা তিনি ফিরে এসেছেন বললেনঃ " গরুটা অনেক নড়াচরা করে থাকতে পারলাম না "

তারপর সাংবাদিক বললেনঃ " আমিই যাই , আমি অনেক যায়গায় থেকেছি , আমি পারবো থাকতে "

তার যাওয়ার ৩০ মিনিট পর আবার দরজায় ধাক্কা দরজা খুলে দেখা গেলো স্বয়ং গরুই উঠে এসেছে।

গরু বললঃ" কারে পাঠাইছেন ? খালি প্রশ্ন করে ঘুমাইতেই দিলো না।

কৌতুক-০২২

আবুল আর বাবুল দুই জনে ভোটে দাঁড়িয়েছে...দুই জনের মার্কা যথাক্রমে তালা R ছাতা

তো একদিন রাস্তায় তাদের দেখা....

আবুল:- বুঝলা বাবুল,,ভোটে এবার আমরাই জিতব...ক্যান জানো?যখন আমার দলের কর্মীরা রিকশায় উঠে তখন তারা রিকশায়ালার খোঁজখবর নেয় R রিকশা থেকে নেমে দশ টাকা বকসিস দেয় R তালা মার্কায় ভোট দিতে বলে...তাই এবার আমরাই জিতব

.

.

.

.

.

বাবুল:- উহু...এবার আমরাই জিতব...আমার দলের কর্মীরা যখন রিকশায় উঠে ,রিকশায়ালার সাথে খারাপ ব্যবহার করে আর রিকশা থেকে নামার সময় ১০ টাকা কম দেয় আর বলে তালা মার্কায় ভোটটা দিস

কৌতুক-০২৩

একদিন একটি গ্রামে একটি বিমান আছড়ে পড়ল। গ্রামবাসী বিমানের সকল যাত্রীকে মৃত ভেবে কবর দিয়ে দিল। সেই বিমানে বাংলাদেশের এক মন্ত্রীও ছিল। এখন এই খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেই গ্রামে গেল খবর সংগ্রহ করতে। ওই গ্রামের সবচেয়ে গন্য- মান্য ব্যক্তি কে প্রশ্ন করলঃ

“সকল যাত্রীই মারা গেছে, এই ব্যাপারে কি আপনারা নিশ্চিত?”

লোকটি বললঃ

.

.

.

.

.

কবর দেওয়ার সময় যদিও মন্ত্রিসাহেব বলছিলেন যে উনি জীবিত। কিন্তু রাজনীতিবিদ তো তাই কথাটা বিশ্বাস করি নাই। নগদে কবর দিয়া দিছি!

কৌতুক-০২৪

একবার বাংলাদেশ আর নেপালের তথ্যমন্ত্রীর মধ্যে দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলো । পাহাড়ি

দেশ নেপালের তথ্যমন্ত্রী সহজেই জিতে গেলেন। এখন কি হবে ???

কিন্তু বিটিভি খবরটা প্রকাশিত হল এভাবেঃ “তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতার পর বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী

রৌপ্যপদক জয় করেছেন, অথচ নেপালের তথ্যমন্ত্রী অনেক চেষ্টার পরও শেষ লোকটার আগেপৌঁছেছেন মাত্র !!!

কৌতুক-০২৫

একবার দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সরকারের এক মন্ত্রীকে ডেকে পাঠালেন দূর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে।

দুদক: আপনি যে কোটি টাকার হামার গাড়িটি ব্যবহার করেন সেটার টাকা কোথায় পেলেন ?

মন্ত্: আমার মার্সিডিজটা বিক্রি করে তার সাথে কিছু টাকা যোগ করে কিনেছি।

দুদক: তা মার্সিডিজটা কিভাবে কিনলেন ?

মন্ত্রী: আমার পাজেরোটা বিক্রি করে তার সাথে কিছু টাকা যোগ করে কিনেছি।

দুদক: পাজেরোটা কিভাবে কিনেছিলেন ?

মন্ত্রী: আমার টয়োটাটা বিক্রি করে তার সাথে কিছু টাকা যোগ করে কিনেছি।

দুদক: কিন্তু টয়োটাটা কিভাবে পেলেন?

মন্ত্রী: যত্তসব, ওটার জন্য তো আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একবার জেল খেটেছি আবার ওটা নিয়ে টানাটানি করছেন কেন ?

দুদক বিবৃতি দিল: ” শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ তদন্তে খুজে পাওয়া যায়নি “

কৌতুক-০২৬

শামীম সাহেব ভোটে দাঁড়িয়েছেন। গণনা শেষে দেখা গেল, তিনি তিনটি ভোট পেয়েছেন। বাড়ি ফিরে দেখেন,

বউ ঝাঁটা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন! শামীম সাহেবকে দেখেই চিৎকার জুড়ে দিলেন, ‘মিনসের ঘরে মিনসে! তুমি

একটা ভোট দিছ, আমি একটা দিছি। আরেকটা দিল কে?’

কৌতুক-০২৭

ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন দুই ভোটার—সলিম আর জব্বার।

সলিম: জব্বার, দোস্ত দেখ, তুই কলা মার্কায় ভোট দিবি। আর আমি মুরগি মার্কায়। দুজনের ভোট কাটাকাটি

হইয়া গেল। কেউ আগাইল না, পিছাইলও না। তাইলে আমাগো ভোট দিয়া কী লাভ?

জব্বার: ঠিকই তো কইলি। তাইলে আর লাইনে দাঁড়ায়া কী হইব? চল, যাইগা। দুজন লাইন থেকে বেরিয়ে এল।

পেছন থেকে এক বৃদ্ধ সলিমকে বললেন, ‘দুজন মিলে ভালোই তো চুক্তি করলা।’

‘হ চাচা, সকাল থেকে পাঁচজনের সঙ্গে এই চুক্তি করছি।’ সলিমের জবাব।

কৌতুক-০২৮

ওবামা আর পুতিনের মধ্যে কথা হচ্ছিল-

ওবামা বললেন, “মিস্টার পুতিন, যে কারণে আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, তা হলো- যে কোনও একটা লোক সোজা হোয়াইট হাউজে ঢুকে নির্ভয়ে বলে দিতে পারে ‘বারাক ওবামা যেভাবে আমেরিকা চালচ্ছে, সেটা আমি পছন্দ করি না।'”

পুতিন উত্তর দিলেন, “ব্যাপারটা রাশিয়াতেও সত্য। যে কেউ ক্রিমলিন-এ এসে বলতে পারে ‘বারাক ওবামা যেভাবে আমেরিকা চালচ্ছে, সেটা আমি পছন্দ করি না।


Developed by

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন