11 December, 2020

ফাটাফাটি জোকস ৩

 জ্বর এর ভয়াবহতা

(৪১) রোগী : আজ আমি বুঝতে পারছি সামান্য জ্বর যে কত ভয়াবহ হতে পারে।
ডাক্তার : কিভাবে বুঝলেন?
রোগী : আপনার বিলের কাগজটা দেখে!

সালোকসংশ্লেষণ কাকে বলে?

(৪২) পল্টু কোনো দিন পড়া পারে না। কিন্তু সেদিন হঠাৎ জীববিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষক পড়া ধরায় হাত তুলল সে।
স্যার : আরে বাহ্। পল্টু বল তো সালোকসংশ্লেষণ কাকে বলে?
পল্টু : (মাথা চুলকে) স্যার পড়ে এসেছি। কিন্তু মনে পড়ছে না।
স্যার : কতটুকু মনে আছে?
পল্টু : স্যার, শেষের দিকটা।
স্যার : ঠিক আছে। শেষের দিকটাই বল।
পল্টু : একেই সালোকসংশ্লেষণ বলে!

জঠিল গনিত ও সহজ সমাধান

(৪৩) পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছে,‘লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে লন্ডনের দূরত্ব ৮০০০ কিলোমিটার। একজন লোক লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে গাড়িতে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে লন্ডন রওনা হলো এবং অপর একব্যক্তি লন্ডন থেকে গাড়িতে ১৬০ কিলোমিটার বেগে লস অ্যাঞ্জেলেসে রওনা হল তাদের দুজনের কোথায় দেখাহবে?’ ছোট্ট জনি উত্তর লিখল, ‘জেলখানায়! এত জোরে গাড়ি চালাবেন, পুলিশ বুঝি আঙুল চুষবে?’

সিংহের মুখোমুখি হওয়া

(৪৪) রবিন : আমার সিংহের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনাটা তোকে বলেছিলাম?
সালেক : না তো, কী হয়েছিল?
রবিন : সঙ্গে বন্দুক নেই, সিংহটা সমানে গর্জাচ্ছে, এগিয়ে আসছে...।
সালেক : হায় হায়, তুই তখন কী করলি?
রবিন : বানর দেখতে পাশের খাঁচায় চলে গেলাম!

সাইকেল চালানো

(৪৫) বাবা : তোকে না বলেছিলাম পাস করলে সাইকেল কিনে দেব। তবু ফেল করলি! পড়া বাদ দিয়া কী করছিলি?
ছেলে : সাইকেল চালানো শিখছিলাম!

ফেক আইডি

(৪৬) মন্টু : বাবা আজ তোমাকে একটা কথা বলতে চাই?
বাবা : বল।
মন্টু : আমি না মেয়েদের নাম দিয়ে ফেসবুকে পাঁচটা ফেক আইডি খুলছি।
বাবা : হারামজাদা! তোর আর কোন কাজ নাই? এইসব আকাম করছ? তা এই কথা তুই আমাকে কেন বলছিস?
মন্টু : বাবা তুমি যে গত এক মাস যাবত স্বর্ণা চৌধুরী নামের মেয়েটাকে পটানোর চেষ্টা করতাছো ঐটা আমিই!

অতিথির আবির্ভাব

(৪৭) এক বাড়িতে একজন অতিথি এসেছেন। অনেকদিন হয়ে গেল তবু নড়বার কোন লক্ষণ নেই। স্বামী-স্ত্রী কেউ কিছু বলতে পারে না লজ্জায়। একদিন অতিথিকে শুনিয়ে পাশের ঘরে দু’জন খুব ঝগড়া করতে লাগলো। স্ত্রীকে মারধর এবং স্ত্রীর কান্নার আওয়াজও শোনা গেল। অবস্থা সুবিধার নয় ভেবে অতিথি ভদ্রলোক তার সুটকেস নিয়ে বেরিয়ে গেল। স্বামী-স্ত্রী জানালা দিয়ে তা দেখে ঝগড়া বন্ধ করে খুব হেসে নিল যে, বুদ্ধি করে তারা অতিথি তাড়াতে পেরেছে। স্বামী বলল, ‘তোমার লাগেনি তো? যে জোরে কাঁদছিলে।’ স্ত্রী বলল, ‘ধুর একটুও লাগেনি। এ তো লোক দেখানো কেঁদেছিলাম।’ এক সময় অতিথির আবির্ভাব। সে হাসতে হাসতে বলল, ‘আমিও কিন্তু লোক দেখানো গিয়েছিলাম!

সেইরাম জোকস - দাঁতে খুব ব্যথা!

(৪৮) জুয়েলের দাঁতে খুব ব্যথা। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার বললেন, দাঁত তুলতে হবে। শুনে তো ভয়েই তানভীরের আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার যোগাড়। ও আবার এইসব অপারেশন খুব ভয় পায়। সব শুনে ডাক্তার বললেন, তাহলে আপনি এই ওষুধটা খেয়ে নিন, দেখবেন দাঁত তুলতে একদম ব্যথা পাবেন না। আর সাহসও যাবে বেড়ে। শুনে তানভীরও খুব করে ওষুধটা খেয়ে নিলো। এবার ডাক্তার জিজ্ঞেস করলো, কি, এখন সাহস পাচ্ছেন তো? - পাচ্ছি না মানে! এবার দেখি, কার এমন বুকের পাটা যে আমার দাঁত তুলতে আসে!

দাদা মারা গেছেন!

(৪৯) দাদা : যা, পালা তাড়াতাড়ি। তুই আজকে স্কুলে যাসনি। তাই তোর হেডমাস্টার বাড়ির দিকে আসছে।
নাতি : আমি পালামু না দাদু। তুমি বরং পালাও। কারণ আমি স্যারকে বলেছি আমার দাদা মারা গেছেন। তাই স্কুলে যাইনি!

দমকল বাহিনী

(৫০) আজিজ মিঞার কারখানায় আগুন লেগেছে। জলদি আগুন নেভাতে না পারলে সর্বনাশ। আজিজ খবর দিলেন দমকলকর্মীদের। চটজলদি হাজির হলো দমকল বাহিনী। কারখানার সামনের ছোট গলিটার দুই পাশের দোকানগুলো ভেঙে, সদর দরজা গুঁড়িয়ে দিয়ে, দেয়াল ভেঙে সোজা অগ্নিকাণ্ডের স্থলে গিয়ে থামল গাড়ি! প্রচণ্ড ঝাঁকি খেয়ে গাড়ির পেছনে রাখা পানির ট্যাংকিটা ছিটকে গিয়ে পড়ল আগুনে। ব্যস, নিভল আগুন। দমকলকর্মীদের তৎপরতা দেখে ভীষণ খুশি আজিজ। তিনি দমকল বাহিনীর প্রধানের হাতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার তুলে দিলেন। জিজ্ঞেস করলেন, 'এই টাকা দিয়ে আপনারা কী করবেন বলুন তো?'
দমকল বাহিনীর প্রধান : প্রথমেই গাড়ির ব্রেকটা ঠিক করাব!

নাইট গার্ড

(৫১) এক লোক দাতের ব্যাথায় অতিষ্ট হয়ে ডাক্তারের কাছে এসেছে।
রোগী : ডাক্তার সাহেব আমাক তাড়াতাড়ি ওষুধ দেন দাতের ব্যথায় রাতে ঘুমাতে পারি না।
ডাক্তার : ভাল ! আপনেকই তো আমি খুঁজতেছি।
রোগী : কেন ?
ডাক্তার : আমার একজন নাইট গার্ড লাগব!

চার আনা পয়সা

(৫২) নাতিঃ আমাদের বাড়ির সামনের ভদ্রলোক কি গরীব আর কিপ্টে?
নানুঃ কেন রে, কি হয়েছে। না তেমন কিছু নয়।
নাতিঃ ওদের ছোট মেয়েটি মাত্র চার আনা পয়সা গিলে ফেলেছে তাই সেটা বার করতে কী কান্ডই না করছে!

নানু ও নাতির মধ্যে কথোপকথন

(৫৩) নানু ও নাতির মধ্যে কথা হচ্ছে—
নানুঃ বলতে পারিস, তোর বাবার বয়স এখন কত হলো?
নাতিঃ কেন, দশ বছর।
নানুঃ তা কি করে হয়? তোর বয়সই তো দশ বছর।
নাতিঃ সে জন্যই তো বলছি, আমার জম্মের পরই তো তিনি বাবা হয়েছেন!

গুনতে সুবিধা হবে!

(৫৪) বিক্রেতা : এই নাও, তোমাকে ওজনে একটু কম দিলাম, বাসায় নিয়ে যেতে সুবিধা হবে।
বল্টু : এই নিন টাকা।
বিক্রেতা : এ কী, মাছের দাম তো একশ টাকা, দশ টাকা দিলে কেন?
বল্টু : টাকা একটু কম দিলাম, আপনার গুনতে সুবিধা হবে!

অপারেশন টেবিলে

(৫৫) হাতে সেলাই দেওয়া লাগবে। অপারেশন টেবিলে শুয়ে রোগী কাতর চোখে ডাক্তারকে বলল, 'ডাক্তার সাহেব একটা কথা আছিল।'
ডাক্তার : কী কথা বুঝতে পেরেছি আর বলতে হবে না, সেলাইয়ের সময় যেন ব্যথা না দিই এই তো?
রোগী : না না, তা নয় ডাক্তার সাহেব, সেলাই তো ভালোমতো করবেনই, লগে আমার শার্টের হাতার বোতামটাও একটু সিলাইয়া দিয়েন, ছুইটা গ্যাছে!

এক পাগল ডোবার পাশে দাঁড়িয়ে

(৫৬) এক পাগল ডোবার পাশে দাঁড়িয়ে চিত্কার করছেঃ পাঁচ পাঁচ পাঁচ।পাশ দিয়ে এক লোক হেঁটে যাচ্ছিল। সে অবাক হয়ে বললঃ তুমি এভাবে পাঁচ পাঁচ পাঁচ বলে চিত্কার করছ কেন? তখন পাগলটি বললঃ তুমি কাছে আসো তোমাকে দেখাই। লোকটি কাছে যেতেই পাগলটি ধাক্কা মেরে তাকে ডোবার মাঝে ফেলে দিয়ে বলতে লাগলঃ
.
.
. .
ছয় ছয় ছয়।

বইয়ের ভেতর

(৫৭) স্বামী : ওগো, তোমার ছেলের জন্য কোথাও টাকা রেখে শান্তি পাচ্ছি না।
স্ত্রী : টাকাগুলো ওর বইয়ের ভেতর রেখো, পরীক্ষার আগ পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে!

চালাক প্রাণী

(৫৮) স্যার : এই বল্টু, বল তো পৃথিবীতে সবচেয়ে চালাক প্রাণী কোনটি?
বল্টু : পৃথিবীতে সবচেয়ে চালাক প্রাণী হচ্ছে গরু।
স্যার : এইটা কেমনে সম্ভব। ব্যাখ্যা দে।
বল্টু : ব্যাখ্যা তো আরো সহজ! বাংলা দ্বিতীয় পত্রে প্রবাদ আছে-অতি চালাকের গলায় দড়ি। বেশির ভাগ গরুর গলায় দড়ি থাকে। সুতরাং গরুই সবচেয়ে চালাক প্রাণী (প্রমাণিত)।

গৃহিণীর সঙ্গে চালাকি

(৫৯) এক সেলসম্যান দরজায় নক করলে দরজা খুললেন গৃহকর্ত্রী। সেলসম্যান দ্রুত লিভিংরুমে ঢুকে এক ব্যাগ গোবর ফ্লোরে ছড়িয়ে দিয়ে বলল, 'ম্যাডাম, নেক্সট তিন মিনিটের মধ্যে যদি এ পুরো গোবরটুকু আমার কম্পানির ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে না পারি তাহলে গোবরটা আমি খাব।'
গৃহকর্ত্রী : তা গোবরটা খাওয়ার জন্য তোমাকে কী দেব, চিলি নাকি টমেটো সস?
সেলসম্যান : কেন ম্যাডাম, এ কথা কেন বলছেন?
গৃহকর্ত্রী : কারণ বাসায় ইলেকট্রিসিটি নেই। তাই ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে নেক্সট তিন মিনিটে তোমার গোবর পরিষ্কার করা হচ্ছে না!

ডাক্তারের সঙ্গে চালাকি

(৬০) এক ডাক্তার ক্লিনিক খুলেছেন। ক্লিনিকের দরজার বাইরে লেখা-যেকোনো ধরনের চিকিৎসার ফি ৩০০ টাকা। বিফলে ১০০০ টাকা ফেরত। এক চালাক লোক ভাবল, ডাক্তারের চেম্বারে যাবে আর চালাকি করে ১০০০ টাকা কামাই করবে। ডাক্তারের কাছে এসে লোকটি বলল, 'ডাক্তার সাহেব, আমার জিহ্বায় কোনো স্বাদ পাচ্ছি না।'
ডাক্তার : 'নার্স, ২২ নম্বর বোতল থেকে কয়েক ফোঁটা তরল ওনার জিহ্বায় ঢেলে দাও।'
ডাক্তারের কথামতো নার্স ২২ নম্বর বোতল থেকে কয়েক ফোঁটা তরল লোকটির জিহ্বায় ঢেলে দিতেই চিৎকার করে উঠল লোকটি, 'ছি ছি! এসব কী? এটা তো প্রস্রাব!'
ডাক্তার : কনগ্র্যাচুলেশন, আপনার জিহ্বার স্বাদ ফিরে এসেছে।'
লোকটি রেগেমেগে ৩০০ টাকা ফি দিয়ে চলে গেল।
দুই সপ্তাহ পরে লোকটি আবার এলো ডাক্তারের কাছে, এবার সুদে-আসলে টাকাটা আদায় করার পরিকল্পনা করে।
এবার বলল, 'আমি আমার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছি, ডাক্তার।
ডাক্তার : নার্স, ২২ নম্বর বোতল থেকে কয়েক ফোঁটা ওনার জিহ্বায় ঢেলে দাও তো।
শুনে এবারও চিৎকার করে উঠল লোকটি, 'সেকি ডাক্তার! ওই ওষুধ তো আপনি জিহ্বার স্বাদ ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবহার করেছিলেন!
ডাক্তার : কনগ্র্যাচুলেশন, আপনার স্মৃতিশক্তি ফিরে এসেছে।

No comments:

Post a Comment

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে শিবগঞ্জ উপজেলাবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

 বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহিম ঈদ বয়ে আনুক সবার জীনবে সুখ শান্তি ও কল্যাণের বার্তা ঈদের দিনের মতো সুন্দর হোক প্রতিটি দিন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক...