29 July, 2019
28 July, 2019
27 July, 2019
কানের যত অসুখঃ প্রতিকারের আছে উপায়
কানের যত অসুখঃ প্রতিকারের আছে উপায়
নাক কান ও গলা শরীরের এই তিনটি অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি হতে পারে। সাধারণ হাঁচি-সর্দি থেকে শুরু করে গলার ক্যাসার সবই রয়েছে এই তালিকায়। স্বল্পপরিসরে সেইসব রোগের কয়েকটি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হল।
কানপাকা রোগঃ কানের রোগগুলোর অন্যতম। কান পাকা রোগ দুই ধরনের। একটি হচ্ছে নিরাপদ ধরনের, অন্যটি মারাত্মক ধরনের। নিরাপদ ধরনের কানপাকা রোগে কান থেকে কানের পর্দা ছিদ্র থাকে। কান দিয়ে পুঁজ পড়ে। কানেব্যথা হয়, কান চুলকায়, কানে কম শোনা যায়। প্রাথমিক অবস্হায় কিছু ওষুধ ব্যবহার করে ও উপদেশ মেনে চলে রোগ নিরাময় করা যায়। তবে এতে কানের পর্দা জোড়া লাগেনা। তবে অপারেশন করে কানের পর্দা জোড়া লাগানো যায়। মারাত্মক ধরণের কানপাকা রোগে কান দিয়ে সবসময়েই একটু করে কষের মত ঝরে। কানের এই কষ পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা এই দুর্গন্ধ থেকেই রোগটির ধরন বুঝতে পারেন। মারাত্মক ধরনের কানপাকা রোগে অপারেশনই হচ্ছে প্রকৃত চিকিৎসা। উভয় ধরনের কানপাকা রোগ জটিল হয়ে কানের পুঁজ মস্তিষ্ক পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। এ ধরনের জটিলতায় কানে অপারেশন লাগে। অনেক ক্ষেত্রে রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি রোগীর জীবন বাঁচানোর জন্য এই অপারেশন করতে হয়। কান পাকা রোগ নিয়ে কখনোই হেলা ফেলা করা উচিত নয়।
মধ্যকর্ণে প্রদাহঃ এই সমস্যা শিশুদের বেশি হয়ে থাকে। তবে বড়দেরও হয়ে থাকে। সাধারণত উর্ধ্বশ্বাসনালীর প্রদাহ, টনসিলের ইনফেকশন, এডিনয়েড নামক গুচ্ছ লসিকা গ্রন্হির বৃদ্ধি ইত্যাদি থেকে এই ইনফেকশন হয়ে থাকে। এই রোগে কানে বেশ ব্যথা হয়, কান বন্ধ মনে হয়। সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না করলে কানের পর্দা ফুটো হয়ে রোগটি কান পাকা রোগে রূপ নিতে পারে। এন্টিবায়োটিক ও নাকের ড্রপসহ অন্যান্য ওষুধ হচ্ছে এই রোগের চিকিৎসা।
মধ্যকর্ণে পানির মত তরল জমাঃ এই রোগের কারণও উপসর্গ অনেকটা মধ্যকর্ণে প্রদাহের মতই । তবে উপসর্গসমুহের তীব্রতা অনেক কম থাকে। সাধারণ ওষুধেই এ রোগ সারে। অনেক সময় ছোট্ট অপারেশন করে মধ্যকর্ণে জমে থাকা পানি বের করে দিতে হয়।
কানে ফাঙ্গাস ও কানে ক্ষতঃ কানের মধ্যে অনেক সময় ফাঙ্গাস এবং ক্ষত হয়। সাধারণত কান খোঁচানোর জন্য কানের মধ্যে ফাঙ্গাস হয়ে থাকে। কান পরিষ্কার করা কিংবা কান খোঁচানো অনেক সময় একই বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এসব কাজে ব্যবহার করা হয় কটনবাড থেকে মুরগির পালক, কলমের মুখ, চুলের ক্লিপ ইত্যাদি। এসব কিছুই কানের এই রোগটির জন্য দায়ী। কানে ফাঙ্গাস হলে কান মুলত চুলকায়। সাথে ইনফেকশন বেড়ে প্রদাহ হলে ব্যথা হয়, কষ ঝরে ও কান বন্ধ হয়ে থাকে। অনেক সময় কানের ভিতরে ক্ষত হয়ে ফাঙ্গাসের সাথে কানের বাইরের পথটিতে ক্ষত সৃষ্টি হলে ব্যথা মারাত্মক আকার ধারন করে। তবে চিকিৎসায় পুরো সেরে যায়। তবে ওষুধের চিকিৎসা শুরুর আগে ইএনটি বিশেষজ্ঞ দিয়ে কান পরিষ্কার করিয়ে নিতে হবে।
কানে ওয়াক্স বা খোলঃ কানে ওয়াক্স বা খোল অতি পরিচিত সমস্যা। এই খোল অনেকেই পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। নিজে এটি পরিষ্কার করা ঠিক নয। নিজে পরিষ্কার করতে গেলে জমে থাকা খোলের বেশিরভাগই ভিতরে চলে যায়। ফলে বিপত্তি আরো বাড়ে। কানে খোল আটকে গেলে কানে ব্যথা হয়, কানে কম শোনা যায় কান বন্ধ থাকার কারণে। ইএনটি স্পেশালিস্ট কান দেখে এটি পরিষ্কার করে দিতে পারেন। তাবে পরিষ্কার করা সম্ভব না হলে খোল গলানোর ওষুধ রয়েছে। তাতেও কাজ না হলে কিংবা অবস্হা বেশি খারাপ হলে অজ্ঞান করে কান পরিষ্কার করে দিতে হয়। যাদের কানে খোল হওয়ার প্রবনতা রয়েছে তারা নিয়মিত কানে ৪/৫ ফোঁটা করে অলিভ অয়েল দিতে পারেন।
**************************
ডা. সজল আশফাক
সহযোগী অধ্যাপক, নাক কান গলা বিভাগ
হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
চেম্বারঃ ইনসাফ ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, ১২৯ নিউ ইস্কাটন, ঢাকা।
দৈনিক আমারদেশ, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০০৮
শীতে নাকের অ্যালার্জি
শীতে নাকের অ্যালার্জি
নাকের অ্যালার্জি অনেকের কাছেই একটি পরিচিত সমস্যা। ছোট-বড় সবাই এ সমস্যায় ভুগতে পারে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১০ শতাংশ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় নাকের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। নাকের অ্যালার্জির এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়ে থাকে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস কথার অর্থ হচ্ছে অ্যালার্জিজনিত নাকের প্রদাহ।
নাকের অ্যালার্জি কেন হয়, কিভাবে হয় মূলত শ্বাসের সাথে নাসারন্ধ্রে ঢুকে যাওয়া অ্যালার্জি উদ্রেককারী বস্তুকেই অ্যালার্জির প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়। তবে অ্যালার্জি উদ্রেককারী খাবার গ্রহণের কারণে নাকের অ্যালার্জি হওয়ার ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না। শ্বাসের সাথে নাকের মধ্যে ঢুকে পড়া অ্যালার্জি উদ্রেককারী এই বস্তুকে বলা হয় অ্যালার্জেন। এই অ্যালার্জেন বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ ও এর প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে নাকে অ্যালার্জিজনিত উপসর্গ সৃষ্টি করে থাকে। ফলে নাকে চুলকানি বা অস্বস্তি, নাকের ঝিল্লি ফুলে যাওয়া ও লালাভ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে পানি ঝরা ইত্যাদি দেখা যায়। অনেক সময় একটু দেরিতে এ কারণে শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে। তবে নাকের এই অ্যালার্জি কার কিসে হচ্ছে বা কী কারণে হচ্ছে বুদ্ধিমান বা বুদ্ধিমতী রোগীরা তা সহজেই বুঝে নিতে পারেন। যেমন অনেককেই বলতে শোনা যায়, ধুলাবালিতে গেলেই কিংবা শীতের সময় ঠাণ্ডা হাওয়া নাকে লাগলেই তার এই অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। বিষয়টা একটু সচেতনভাবে লক্ষ করলেই বের করা সম্ভব।
সব ঋতুতেই বিভিন্ন ফুলের পরাগরেণু উড়ে বেড়ায় এবং ফাঙ্গাসের স্পোর বা বীজ বেশি বেশি সংস্পর্শে আসার সুযোগ পায়। এসব অ্যালার্জিতে আক্রান্ত রোগীর নাক-চোখ চুলকায়, হাঁচি হয়, নাক দিয়ে পানি পড়ে এবং শেষে নাক বন্ধ হয়ে থাকে। এ ছাড়া ঘরবাড়ির ধুলায় অবস্থিত মাইটের মল থেকে এ ধরনের নাকের অ্যালার্জি প্রায় সারা বছর ধরেই হতে পারে। তবে মাইটের সাথে ঘরবাড়ির অন্যান্য ধুলা, পাখির পালক, পশুর লোম থেকেও এ ধরনের অ্যালার্জি হয়ে থাকে। এ ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত রোগীদের নাসারন্ধ্রের পার্শ্ববর্তী মাংসপিণ্ড (ইনফিরিয়র টারবিনেট) ফুলে বড় হয়ে যায়। অনেকে এটিকে নাকের পলিপ বলে ভুল করে থাকেন।
নাক পর্যবেক্ষণঃ যদিও উপসর্গ থেকেই নাকের অ্যালার্জি সম্পর্কে অনেকটা ধারণা নেয়া যায়। তারপরও নাক পর্যবেক্ষণ করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার দরকার আছে। এ ক্ষেত্রে নাক পর্যবেক্ষণ করে তীব্র অবস্থায় নাকের ভেতরে ভেজাভাব, ফোলা ও ফ্যাকাসে ঝিল্লি, নাসারন্ধ্রের পার্শ্ববর্তী মাংসপিণ্ড ফুলে বড় হওয়া ইত্যাদি দেখা যায়।
দীর্ঘদিনের অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় নাসারন্ধ্রের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হাল্কা গোলাপি রঙের ফুলে বড় হওয়া মাংসপিণ্ড দেখা যায়, যার পেছনের দিকটা ফুলে থাকে।
ল্যাব টেস্টঃ দুয়েকটা ল্যাবরেটরি টেস্ট এ ক্ষেত্রে করা যায়। যেমন ইমিউনোলজিক্যাল টেস্ট (অ্যান্টিজেনিক চ্যালেঞ্জ, ইয়োসিনোফিল কাউন্ট এবং আইজি-ই মাত্রা)।
কেমন হবে চিকিৎসাঃ কিছু নিয়ম মেনে চলা, জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং কিছু ওষুধপত্রের মাধ্যমে অ্যালার্জিজনিত নাকের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। নাকের এই অ্যালার্জি পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব হয় না। কারণ এর সাথে অ্যালার্জেনের উপস্থিতির বিষয়টি জড়িত। অ্যালার্জেনকে কখনোই এই পরিবেশ থেকে চিরতরে নির্মূল করা যেমন সম্ভব নয়, তেমনি অ্যালার্জেনকে সব সময় এড়িয়ে চলাও প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তবে সবকিছু মিলিয়ে ভালো থাকা কোনো কঠিন বিষয় নয়।
অ্যালার্জি উদ্রেককারী বস্তু এড়িয়ে চলাঃ অ্যালার্জি উদ্রেককারী বস্তু বা অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলার পূর্বশর্ত হচ্ছে, কোন জিনিসে অ্যালার্জির উদ্রেক হচ্ছে সেটি বের করা। ঘরবাড়ির ধুলার কারণে অ্যালার্জি দেখা দিলে ঘর পরিষ্কার, ধুলামুক্ত রাখতে হবে। প্রয়োজনে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ঘর ধুলামুক্ত রাখতে হবে। দরকার হলে ধুলার উৎস কার্পেট সরিয়ে ফেলতে হবে, বিছানার চাদর নিয়মিত ধুতে হবে, ঘরটিকে একটু খোলামেলা রাখতে হবে, যাতে ঘরের আর্দ্রতা কম থাকে।
ওষুধপত্রঃ ওষুধপত্র দেয়া হয় উপসর্গ অনুযায়ী। অ্যান্টিহিস্টামিনজাতীয় বিভিন্ন ওষুধের যে কোনোটি উপযুক্ততা বিচার করে ব্যবহার করতে হয়। এ ছাড়া রয়েছে সরাসরি অ্যালার্জিরোধক কিছু ওষুধ। এগুলো কারো বেলায় বেশ ভালো কাজ করে। অ্যালার্জির কারণে নাক বন্ধ হলে নাক বন্ধ প্রতিরোধক ওষুধও সাথে ব্যবহার করতে হয়। অনেক সময় নাকে স্টেরয়েডজাতীয় স্প্রে নাকের অ্যালার্জি সমস্যায় ব্যবহার করতে হয়। এজাতীয় স্প্রে একটু বেশি সময় ধরে ব্যবহার করতে হয়। এগুলো রক্তে খুব একটা শোষিত হয় না বলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম। তবে ৫-৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের এ স্প্রে ব্যবহারের ব্যাপারে বিতর্ক রয়েছে।
মুখে খাওয়ার স্টেরয়েড এবং স্টেরয়েড ইনজেকশন গ্রহণের ব্যাপারে এখন আর তেমন উৎসাহিত করা হয় না। একইভাবে এ ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন খুব একটা কার্যকর নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। নাকের অ্যালার্জির জন্য কার্যকর কোনো অপারেশন নেই। তবে নাসারন্ধ্রের পার্শ্ববর্তী মাংসপিণ্ড ফুলে বড় হয়ে নাক বন্ধ হয়ে গেলে সেই মাংসপিণ্ডগুলো ডায়াথারমি করে কিংবা ছোট ছোট করে দেয়ার দরকার হয়।
একজন নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে নাকের অ্যালার্জিজনিত সমস্যার চিকিৎসা ধৈর্যসহ গ্রহণ করা উচিত। চিকিৎসায় শুধু ওষুধের ওপর নির্ভর করলেই চলবে না। অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করতে হবে।
**************************
লেখকঃ ডা. সজল আশফাক
সহযোগী অধ্যাপক (নাক কান গলা), চেম্বারঃ ইনসাফ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, ১২৯ নিউ ইস্কাটন, ঢাকা।
দৈনিক নয়াদিগন্ত, ০৬ জানুয়ারী ২০০৮
গলগন্ড রোগ দুর করার উপায়
গলগন্ড রোগ দুর করার উপায়
মানবদেহের শারীরিক, মানসিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধিভিত্তি এবং শরীরের যাবতীয় কার্যাদি সম্পাদনে বিভিন্ন গ্লান্ড জড়িত। এর মধ্যে এন্ডোক্রাইন গ্লান্ড অন্যতম। থাইরয়েড গ্লান্ড এমনই একটি এন্ডোক্রাইন গ্লান্ড।
*থাইরয়েড গ্লান্ডের অবস্হান কোথায়?
গলার সামনে মাঝামাঝি স্হানে এর অবস্হান।
গলার সামনে মাঝামাঝি স্হানে এর অবস্হান।
* থাইরয়েড গ্লান্ডের কাজ কি?
থাইরক্সিন নামক হরমোন এই গ্লান্ড তৈরি করে। এই হরমোন শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।
থাইরক্সিন নামক হরমোন এই গ্লান্ড তৈরি করে। এই হরমোন শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।
* থাইরয়েড হরমোন কমবেশি হলে কি হয়?
জন্ম থেকে এই হরমোন কম বা ঘাটতি হলে শিশু শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে যায় এবং বড়দের ক্ষেত্রে এর অভাবে মিক্সইডিমা ও হরমোন অধিক হলে থাইরট ক্সিকোসিস নামক রোগ হয়।
জন্ম থেকে এই হরমোন কম বা ঘাটতি হলে শিশু শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে যায় এবং বড়দের ক্ষেত্রে এর অভাবে মিক্সইডিমা ও হরমোন অধিক হলে থাইরট ক্সিকোসিস নামক রোগ হয়।
* থাইরয়েড গ্লান্ডে কি কি রোগ হয়?
বহু ধরনের থাইরয়েড গ্লান্ডে বহু ধরনের রোগ হতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে গলগন্ড।
বহু ধরনের থাইরয়েড গ্লান্ডে বহু ধরনের রোগ হতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে গলগন্ড।
* গলগন্ড কি?
থাইরয়েড গ্লান্ড ফুলে যাওয়াকে গলগন্ড বলে।
থাইরয়েড গ্লান্ড ফুলে যাওয়াকে গলগন্ড বলে।
* গলগন্ড রোগ কত প্রকার?
গলগন্ডের ভাগগুলো নিন্মরূপ-
১. সাধারণ বা সিম্পল গলগন্ড।
এক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্লান্ডটি ফুলে যায়। হরমোন লেভেল স্বাভাবিক থাকে এবং হরমোনজনিত কোনো সমস্যা থাকে না।
গলগন্ডের ভাগগুলো নিন্মরূপ-
১. সাধারণ বা সিম্পল গলগন্ড।
এক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্লান্ডটি ফুলে যায়। হরমোন লেভেল স্বাভাবিক থাকে এবং হরমোনজনিত কোনো সমস্যা থাকে না।
২. মাল্টি নডুলার গলগন্ড
এখানে থাইরয়েড গ্লান্ডটিতে ছোট-বড় অসংখ্য চাকা থাকে। হরমোন লেভেল কমবেশি বা স্বাভাবিক যে কোনোটি থাকতে পারে।
এখানে থাইরয়েড গ্লান্ডটিতে ছোট-বড় অসংখ্য চাকা থাকে। হরমোন লেভেল কমবেশি বা স্বাভাবিক যে কোনোটি থাকতে পারে।
৩. সলিটারি থাইরয়েড নডিউল
এক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্লান্ডে একটি মাত্র চাকা থাকে।
এক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্লান্ডে একটি মাত্র চাকা থাকে।
৪. টিউমার গলগন্ড।
থাইরয়েড গ্লান্ডের টিউমারজনিত কারণে এই গলগন্ড হতে পারে।
থাইরয়েড গ্লান্ডের টিউমারজনিত কারণে এই গলগন্ড হতে পারে।
৫. থাইরয়েড গ্লান্ডের ক্যাসার বা ক্যাসার গলগন্ড
৬. ইনফেকশনজনিত গলগন্ড।
৭.
প্রেগনেসি ও উঠতি বয়সে থাইরয়েড গ্লান্ড অধিক হরমোন তৈরি করে থাকে এবং এই সময় থাইরয়েড গ্লান্ডটি ফুলে যায়। এই ধরনের গয়টারকে স্বাভাবিক গয়টার বলা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে কাজ শেষে থাইরয়েড আবার নরমাল সাইজে ফিরে যায়।
* গয়টার বা গলগন্ডের কারণ কি?
১. বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কারণ জানা যায়নি।
১. বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কারণ জানা যায়নি।
২. খাদ্যে আয়োডিনের অভাব গয়টারের একটি অন্যতম কারণ।
৩. শরীর গঠন বা অধিক বৃদ্ধির সময় স্বাভাবিক গলগন্ড সৃষ্টি হতে পারে।
৪. কোনো কারণে গলায় রেডিয়েশন দেয়া হলে পরবর্তী থাইরয়েড গ্লান্ডের ক্যাসার (ক্যাসার গয়টার) হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
কিভাবে গলগন্ড রোগ নির্ণয় করা যায়?
স্বাভাবিক অবস্হায় থাইরয়েড গ্লান্ডটি গলার সামনে দেখা যায় না। যখন থাইরয়েড গ্লান্ড ফুলে যায় অর্থাৎ গয়টার হয়, তখন গলার সামনে মাঝ বরাবর ঢুকে গিলার সঙ্গে গ্লান্ডটিকে উপর-নিচ ওঠানামা করতে দেখা যায়। দ্বিতীয়ত, রক্তে হরমোন লেভেল দেখে এটা সিম্পল না টক্সিক বলা যায়। সিম্পল গলগন্ডে হরমোন লেভেল স্বাভাবিক এবং টক্সিক গলগন্ডের ক্ষেত্রে হরমোন লেভেল রক্তে বেড়ে যায়। তাছাড়া হরমোন লেভেল কমবেশি হলে বিভিন্ন প্রকার উপসর্গও লক্ষ্য করা যায়। গ্লান্ডের কষ পরীক্ষা (ঋঘঅঈ) করেও রোগ নির্ণয় করা হয়।
স্বাভাবিক অবস্হায় থাইরয়েড গ্লান্ডটি গলার সামনে দেখা যায় না। যখন থাইরয়েড গ্লান্ড ফুলে যায় অর্থাৎ গয়টার হয়, তখন গলার সামনে মাঝ বরাবর ঢুকে গিলার সঙ্গে গ্লান্ডটিকে উপর-নিচ ওঠানামা করতে দেখা যায়। দ্বিতীয়ত, রক্তে হরমোন লেভেল দেখে এটা সিম্পল না টক্সিক বলা যায়। সিম্পল গলগন্ডে হরমোন লেভেল স্বাভাবিক এবং টক্সিক গলগন্ডের ক্ষেত্রে হরমোন লেভেল রক্তে বেড়ে যায়। তাছাড়া হরমোন লেভেল কমবেশি হলে বিভিন্ন প্রকার উপসর্গও লক্ষ্য করা যায়। গ্লান্ডের কষ পরীক্ষা (ঋঘঅঈ) করেও রোগ নির্ণয় করা হয়।
* চিকিৎসাঃ থাইরয়েড গ্লান্ডটি যে কোনো কারণেই একবার ফুলে গেলে এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসে না। তাই এ ক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন হয়।
* কেন সার্জারি বা অপারেশন প্রয়োজন হয়?
১. দেখতে কুৎসিত বা অসুন্দর লাগে।
১. দেখতে কুৎসিত বা অসুন্দর লাগে।
২. গ্লান্ডটি ফুলে গিয়ে আশপাশের জায়গায় চাপ দেয়। যার ফলে শ্বাসকষ্ট বা খেতে, ঢোক গিলতে কষ্ট হতে পারে।
৩. ক্যাসারে রুপ নিতে পারে।
সুতরাং এসব কারণে সঠিক রোগ নিরুপণ ও চিকিৎসার জন্য সার্জনের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
সুতরাং এসব কারণে সঠিক রোগ নিরুপণ ও চিকিৎসার জন্য সার্জনের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
**************************
লেখকঃ ডা. এম এ হাসেম ভুঁইয়া
এমবিবিএস, এফসিপিএস, এফআরসিএস (লন্ডন)
সহযোগী অধ্যাপক, সার্জারি বিভাগ, জেনারেল লেপারোসকাপিক, কলোরেক্টাল ও ক্যাসার সার্জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
দৈনিক আমারদেশ, ২৪ ডিসেম্বর ২০০৭
লেখকঃ ডা. এম এ হাসেম ভুঁইয়া
এমবিবিএস, এফসিপিএস, এফআরসিএস (লন্ডন)
সহযোগী অধ্যাপক, সার্জারি বিভাগ, জেনারেল লেপারোসকাপিক, কলোরেক্টাল ও ক্যাসার সার্জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
দৈনিক আমারদেশ, ২৪ ডিসেম্বর ২০০৭
শিশুর কানে ব্যাথা
শিশুর কানে ব্যাথা
মিমের বয়স পনর মাস। হঠাৎ করে রাতে চিৎকার শুরু করল। কিছুতেই কান্না থামানো যাচ্ছে না। মা-বাবা চেষ্টা করেও চুপ করাতে পাচ্ছেন না। অস্থির হয়ে কোলে নিয়ে পায়চারি, কোল বদল নাহ কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। সোনামণির কি হল। জ্বর নেই, সুস্থ বাচ্চা দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। মাঝরাতে কি হল বাবুর। হেলপ লাইনে ফোন করলেন বাবা। এত রাতে ওষুধ কোথায় পাবেন। নিকটস্থ ক্লিনিকে নিবেদিতা শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসলেন। জরুরী বিভাগের ডাক্তার ভাল করে পরীক্ষা করে দেখলেন কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। ভাবলেন কোথাও ব্যথা হবে হয়ত। ভর্তি করালেন। ব্যথার ওষুধ, শান্ত করার জন্য ঘুমের ওষুধ দিলেন। পরদিন সকালে রাউন্ডে এসে দেখা গেল মিম হাসছে, খেলছে ব্যথা নেই। কিন্তু কান দুটো পরীক্ষা করতেই দেখা গেল রক্ত ঝরছে একটা কান দিয়ে। কানে ব্যথা শিশুদের একটা মারাত্মক সমস্যা। ঠিকমত চিকিৎসা না করালে এখান থেকে মস্তিষ্কের ইনফেকশন হতে পারে। আবার বিভিন্ন কারণে কানে ব্যথা হতে পারে যেমন-টনসিলের সংক্রামণ। টনসিলে ইনফেকশন হয়ে যখন ব্যথা হয় সেই ব্যথা স্নায়ুর মাধ্যমে কানে চলে যায় এবং কানে ব্যথা হয়। ঠিকমত চিকিৎসা না করলে কানে ইনফেকশন হয়ে মস্তিষ্কে সংক্রামণ ছড়িয়ে পড়ে। আবার টনসিল অপারেশনের পর কিছুদিন কানে ব্যথা থাকতে পারে। শিশুদের কানে ব্যথার অন্যতম ও প্রধান কারণ অ্যাকিউট অটাইটিম মিডিয়া।
কি করে বুঝবেনঃ
-প্রচণ্ড কানে ব্যথা যা শিশুকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলবে।
-উচ্চ তাপমাত্রা শিশুকে দুর্বল করে তুলবে।
-ঠান্ডা কাশির হিস্ট্রি থাকবে। কয়েকদিন ধরে শ্বাসনালীর প্রদাহে ভুগছে।
-কানের পর্দার রং পরিবর্তন হবে লাল ও ইনফেকটেড দেখা যাবে।
-কানের পর্দা ফুলে যাবে।
-পর্দা বা টেম্পেনিক মেমব্রেন ছিঁড়ে যাবে যা ফুটো হয়ে যাবে।
-হলুদ পুঁজ বা রক্ত পড়বে। কান দিয়ে পুঁজ বা রক্ত পড়ার পর ব্যথা কমে যাবে শিশুকে দেখলে বোঝা যাবে না যে, সে অসুস্থ ছিল।
-উচ্চ তাপমাত্রা শিশুকে দুর্বল করে তুলবে।
-ঠান্ডা কাশির হিস্ট্রি থাকবে। কয়েকদিন ধরে শ্বাসনালীর প্রদাহে ভুগছে।
-কানের পর্দার রং পরিবর্তন হবে লাল ও ইনফেকটেড দেখা যাবে।
-কানের পর্দা ফুলে যাবে।
-পর্দা বা টেম্পেনিক মেমব্রেন ছিঁড়ে যাবে যা ফুটো হয়ে যাবে।
-হলুদ পুঁজ বা রক্ত পড়বে। কান দিয়ে পুঁজ বা রক্ত পড়ার পর ব্যথা কমে যাবে শিশুকে দেখলে বোঝা যাবে না যে, সে অসুস্থ ছিল।
চিকিৎসাঃ
কানের পুঁজ পরীক্ষা করলে নিম্নলিখিত জীবাণু পাওয়া যাবেঃ
-হেমোলাইটি স্ট্রেপটো কক্কাস।
-স্টাফাইলো কক্কাস পায়োজেনস।
-নিউমোকক্কাস বা
-হেমোফাইলাস ইনফ্লুইঞ্জি।
-হেমোলাইটি স্ট্রেপটো কক্কাস।
-স্টাফাইলো কক্কাস পায়োজেনস।
-নিউমোকক্কাস বা
-হেমোফাইলাস ইনফ্লুইঞ্জি।
এন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন দিতে হবে। ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল, নাক বন্ধ থাকলে নাকের ড্রপ দিতে হবে। কান পরিষ্কার করতে হবে। মুখে ওষুধ খেতে না পারলে ইঞ্জেকশন দিতে হবে। প্রয়োজনে অপারেশন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
**************************
লেখকঃ ডাঃ মোঃ মুজিবর রহমান মামুন,
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, নিবেদিতা শিশু হাসপাতাল, ওয়ারী, ঢাকা।
দৈনিক ইত্তেফাক, ১৬ ডিসেম্বর ২০০৭
লেখকঃ ডাঃ মোঃ মুজিবর রহমান মামুন,
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, নিবেদিতা শিশু হাসপাতাল, ওয়ারী, ঢাকা।
দৈনিক ইত্তেফাক, ১৬ ডিসেম্বর ২০০৭
নাকের সমস্যা
নাকের সমস্যা
সমস্যাঃ আমার বয়স ১৮। ছোটবেলা থেকেই আমি আমার নাকের দুই অংশ দিয়ে একসঙ্গে নিঃশ্বাস নিতে পারি না। নাকের একটি ছিদ্র দিয়ে নিঃশ্বাস নিলে অন্যটি বন্ধ থাকে। এভাবে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একবার একটি দিয়ে, পরে অন্যটি দিয়ে বাতাস বের হয়। এটা থেকে কী সমস্যা হতে পারে? উল্লেখ্য, গত বছর আমার মাঢ়ির শেষে চারটি দাঁত উঠেছে। এ জন্য আমার গলার ভেতরে ব্যথা ও ঘা হয়।
নাম প্রকাশেঅনিচ্ছুক,
ঢাকা।
পরামর্শঃ আমাদের দুই নাসারন্ধ্র দিয়ে বাতাস চলাচল সাধারণত অসম। বেশির ভাগ সুস্থ মানুষের নাকের বাতাস চলাচল নিয়মিত চক্রাকারে চলে। সময়ের ব্যবধানে একবার নাকের একটি ছিদ্র দিয়ে, পরে অন্যটি দিয়ে বাতাস চলাচল করে। শতকরা ৮০ ভাগ লোকের ক্ষেত্রে এই নাসিকা চক্র উপস্থিত থাকলেও বেশির ভাগ মানুষই তা খেয়াল করতে পারে না। তাই আপনার নাকের এই ব্যাপারটিকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা যায়। তবে নাক বন্ধ বেশি হলে বা নাক দিয়ে মোট বাতাস চলাচল কম মনে হলে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে নিন। আপনার মাঢ়ির পেছনের দিকের দাঁত বড় বা বাঁকা থাকলে আঘাত লেগে গলায় ঘা ও ব্যথা হতে পারে। এ জন্য আপনাকে নাক, কান ও গলা এবং দন্ত উভয় বিশেষজ্ঞের পরামর্শে চিকিৎসা নিতে হবে।
**********************************
লেখকঃ অধ্যাপক ডা· আবুল হাসনাত জোয়ারদার
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
উৎসঃ দৈনিক প্রথম আলো, ২৮ নভেম্বর ২০০৭
নাম প্রকাশেঅনিচ্ছুক,
ঢাকা।
পরামর্শঃ আমাদের দুই নাসারন্ধ্র দিয়ে বাতাস চলাচল সাধারণত অসম। বেশির ভাগ সুস্থ মানুষের নাকের বাতাস চলাচল নিয়মিত চক্রাকারে চলে। সময়ের ব্যবধানে একবার নাকের একটি ছিদ্র দিয়ে, পরে অন্যটি দিয়ে বাতাস চলাচল করে। শতকরা ৮০ ভাগ লোকের ক্ষেত্রে এই নাসিকা চক্র উপস্থিত থাকলেও বেশির ভাগ মানুষই তা খেয়াল করতে পারে না। তাই আপনার নাকের এই ব্যাপারটিকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা যায়। তবে নাক বন্ধ বেশি হলে বা নাক দিয়ে মোট বাতাস চলাচল কম মনে হলে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে নিন। আপনার মাঢ়ির পেছনের দিকের দাঁত বড় বা বাঁকা থাকলে আঘাত লেগে গলায় ঘা ও ব্যথা হতে পারে। এ জন্য আপনাকে নাক, কান ও গলা এবং দন্ত উভয় বিশেষজ্ঞের পরামর্শে চিকিৎসা নিতে হবে।
**********************************
লেখকঃ অধ্যাপক ডা· আবুল হাসনাত জোয়ারদার
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
উৎসঃ দৈনিক প্রথম আলো, ২৮ নভেম্বর ২০০৭
কানের সমস্যা
কানের সমস্যা
সমস্যাঃ আমার বয়স ২১ বছর। ছোটবেলা আমার দুই কানে পানি ঢুকে পুঁজ হয়েছিল। সেই থেকে আমি দুই কানে কম শুনি। কয়েকজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছিলাম। হোমিও ওষুধও খেয়েছিলাম; কিন্তু কোনো উপকার পাইনি। এখন আমার কানে পানি না ঢুকলেও পাকে এবং ভেতরে সব সময় পুঁজ থাকে। মাঝেমধ্যে পানি গড়িয়ে আসে এবং চুলকায়। কোনো কিছু দিয়ে কান চুলকানোর সময় ওপরের দিকে ঠেলে ধরে রাখলে আমি ভালো শুনতে পাই। দিন দিন আমার শ্রবণশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। আমি কি আমার শ্রবণশক্তি স্থায়ীভাবে ফিরে পাব? খুবই দুশ্চিন্তায় আছি।
সোহেল, টুটপাড়া, খুলনা।
পরামর্শঃ কান পাকা রোগের স্থায়ী চিকিৎসা হচ্ছে টিমপেনোপ্লাস্টি অপারেশন। এ অপারেশনে মাইক্রোসার্জারি করে কানের পর্দা লাগানো হয়। এ ক্ষেত্রে অপারেশনের আগে কান শুকনো থাকতে হয়। কানে একটানা পুঁজ বা পানি আসতে থাকলে একই সঙ্গে মাসটয়েডেকটমি নামের অপারেশন যুক্ত করতে হয়। বেশির ভাগ সময় বধিরতার কারণ পর্দা ফুটো থাকা। এ অপারেশনে বধিরতা প্রায় পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী কান পাকার জন্য স্মায়ুজনিত বধিরতা সৃষ্টি হতে পারে, যা এ অপারেশনে ভালো হয় না। আপনি নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে দ্রুত কানের অপারেশন করিয়ে নিন।
*********************************
লেখকঃ অধ্যাপক ডা· আবুল হাসনাত জোয়ারদার
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
উৎসঃ দৈনিক প্রথম আলো, ১০ অক্টোবর ২০০৭
সোহেল, টুটপাড়া, খুলনা।
পরামর্শঃ কান পাকা রোগের স্থায়ী চিকিৎসা হচ্ছে টিমপেনোপ্লাস্টি অপারেশন। এ অপারেশনে মাইক্রোসার্জারি করে কানের পর্দা লাগানো হয়। এ ক্ষেত্রে অপারেশনের আগে কান শুকনো থাকতে হয়। কানে একটানা পুঁজ বা পানি আসতে থাকলে একই সঙ্গে মাসটয়েডেকটমি নামের অপারেশন যুক্ত করতে হয়। বেশির ভাগ সময় বধিরতার কারণ পর্দা ফুটো থাকা। এ অপারেশনে বধিরতা প্রায় পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী কান পাকার জন্য স্মায়ুজনিত বধিরতা সৃষ্টি হতে পারে, যা এ অপারেশনে ভালো হয় না। আপনি নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে দ্রুত কানের অপারেশন করিয়ে নিন।
*********************************
লেখকঃ অধ্যাপক ডা· আবুল হাসনাত জোয়ারদার
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
উৎসঃ দৈনিক প্রথম আলো, ১০ অক্টোবর ২০০৭
রাইনোস্পরিডিওসিসঃ নাকের ফাংগাল ইনফেকশন
রাইনোস্পরিডিওসিসঃ নাকের ফাংগাল ইনফেকশন
নাকের ফাংগাল ইনফেকশনকে রাইনোস্পরিডিওসিস বলা হয়। এই ইনফেকশন নাক ছাড়াও দেহের অন্য অঙ্গেও হতে পারে।
কিভাবে ছড়ায়ঃ ফাংগাল স্পোর গরু-ছাগল, ঘোড়ার মলদ্বারা পুকুরের পানি ও বাতাসে ছড়ায়। এই স্পোর সংক্রমিত পানিতে গোসল করলে বা সংক্রমিত বাতাসে শ্বাস গ্রহণ করার মাধ্যমে তা মানুষের দেহে প্রবেশ করে। নাকে কোনো ক্ষত থাকলে সেই ক্ষত দিয়ে জীবাণু ছড়াতে থাকে। এই স্পোর নাকের সাব মিউকোসাতে বংশ বৃদ্ধি করে স্পোরানজিয়া গঠন করে। এই স্পোর জার্মিনাল পোর-এর মধ্য দিয়ে ভেঙে যায় এবং টিস্যুতে নিঃসরিত হয় এবং টিস্যুতে রিএকটিভ হাইপারপ্লাসিয়া হয় এবং পলিপের মতো বা টিউমারের মতো দেখতে অনেকটা স্ট্রবেরি ফলের মতো দেখায়।
কাদের এবং কোথায় বেশি হয়ঃ নাকের ছত্রাকজনিত রোগ পুরুষের বেশি হয়। সাধারণত ১১ থেকে ৪০ বছর বয়সে বেশি হয়। তবে যে কোনো বয়সে এবং মহিলারাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগ ভারতীয় উপমহাদেশে যেমন বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বেশি হয়ে থাকে।
রোগের লক্ষণসমূহঃ নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, নাকে চুলকানি হওয়া, নাকে টিউমারের মতো বা পলিপের মতো কিছু (স্ট্রবেরি ফলের মতো) দেখা যেতে পারে।
রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতিঃ বায়োপসি এবং হিস্টোপ্যাথলজি করে রোগ নিশ্চিত করা যায়।
চিকিৎসাঃ পলিপয়েড মাস এবং আশপাশের আক্রান্ত জায়গায় সম্পূর্ণ এবং বিস্তৃতভাবে অপারেশন করতে হবে। কেটে ফেলা স্থানটি কটারাইজেশন করতে হবে। এতে করে রক্তপাত কম হবে এবং আবার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
���������������������������
লেখকঃ প্রফেসর ডা. এম আলমগীর চৌধুরী
বিভাগীয় প্রধান, নাক, কান ও গলা বিভাগ, মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন, উত্তরা, ঢাকা।
দৈনিক নয়াদিগন্ত, ১১ নভেম্বর ২০০৭ সংখ্যায় প্রকাশিত
���������������������������
লেখকঃ প্রফেসর ডা. এম আলমগীর চৌধুরী
বিভাগীয় প্রধান, নাক, কান ও গলা বিভাগ, মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন, উত্তরা, ঢাকা।
দৈনিক নয়াদিগন্ত, ১১ নভেম্বর ২০০৭ সংখ্যায় প্রকাশিত
কানের অসুখ
কানের অসুখ
নাক কান ও গলা শরীরের এই তিনটি অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি হতে পারে। সাধারণ হাঁচি-সর্দি থেকে শুরু করে গলার ক্যান্সার সবই রয়েছে এই তালিকায়। স্বল্পপরিসরে সেইসব রোগের কয়েকটি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হল।
কানপাকা রোগঃ কানের রোগগুলোর অন্যতম। কান পাকা রোগ দুই ধরনের। একটি হচ্ছে নিরাপদ ধরনের, অন্যটি মারাত্মক ধরনের। নিরাপদ ধরনের কানপাকা রোগে কান থেকে কানের পর্দা ছিদ্র থাকে। কান দিয়ে পুঁজ পড়ে। কানেব্যথা হয়, কান চুলকায়, কানে কম শোনা যায়। প্রাথমিক অবস্থায় কিছু ওষুধ ব্যবহার করে ও উপদেশ মেনে চলে রোগ নিরাময় করা যায়। তবে এতে কানের পর্দা জোড়া লাগেনা। তবে অপারেশন করে কানের পর্দা জোড়া লাগানো যায়। মারাত্মক ধরনের কানপাকা রোগে কান দিয়ে সবসময়েই একটু করে কষের মত ঝরে। কানের এই কষ পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা এই দুর্গন্ধ থেকেই রোগটির ধরন বুঝতে পারেন। মারাত্মক ধরনের কানপাকা রোগে অপারেশনই হচ্ছে প্রকৃত চিকিৎসা। উভয় ধরনের কানপাকা রোগ জটিল হয়ে কানের পুঁজ মস্তিষ্ক পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। এ ধরনের জটিলতায় কানে অপারেশন লাগে। অনেক ক্ষেত্রে রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি রোগীর জীবন বাঁচানোর জন্য এই অপারেশন করতে হয়। কান পাকা রোগ নিয়ে কখনোই হেলা ফেলা করা উচিত নয়।
মধ্যকর্ণে প্রদাহঃ এই সমস্যা শিশুদের বেশি হয়ে থাকে। তবে বড়দেরও হয়ে থাকে। সাধারণত উর্ধ্বশ্বাসনালীর প্রদাহ, টনসিলের ইনফেকশন, এডিনয়েড নামক গুচ্ছ লসিকা গ্রন্থির বৃদ্ধি ইত্যাদি থেকে এই ইনফেকশন হয়ে থাকে। এই রোগে কানে বেশ ব্যথা হয়, কান বন্ধ মনে হয়। সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না করলে কানের পর্দা ফুটো হয়ে রোগটি কান পাকা রোগে রূপ নিতে পারে। এন্টিবায়োটিক ও নাকের ড্রপসহ অন্যান্য ওষুধ হচ্ছে এই রোগের চিকিৎসা।
মধ্যকর্ণে পানির মতো তরল জমাঃ এই রোগের কারণও উপসর্গ অনেকটা মধ্যকর্ণে প্রদাহের মতই । তবে উপসর্গসমূহের তীব্রতা অনেক কম থাকে। সাধারণ ওষুধেই এ রোগ সারে। অনেক সময় ছোট্ট অপারেশন করে মধ্যকর্ণে জমে থাকা পানি বের করে দিতে হয়।
কানে ফাঙ্গাস ও কানে ক্ষতঃ কানের মধ্যে অনেক সময় ফাঙ্গাস এবং ক্ষত হয়। সাধারণত কান খোঁচানোর জন্য কানের মধ্যে ফাঙ্গাস হয়ে থাকে। কান পরিষ্কার করা কিংবা কান খোঁচানো অনেক সময় একই বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এসব কাজে ব্যবহার করা হয় কটনবাড থেকে মুরগির পালক, কলমের মুখ, চুলের ক্লিপ ইত্যাদি। এসব কিছুই কানের এই রোগটির জন্য দায়ী। কানে ফাঙ্গাস হলে কান মূলত চুলকায়। সাথে ইনফেকশন বেড়ে প্রদাহ হলে ব্যথা হয়, কষ ঝরে ও কান বন্ধ হয়ে থাকে। অনেক সময় কানের ভিতরে ক্ষত হয়ে ফাঙ্গাসের সাথে কানের বাইরের পথটিতে ক্ষত সৃষ্টি হলে ব্যথা মারাত্মক আকার ধারন করে। তবে চিকিৎসায় পুরো সেরে যায়। তবে ওষুধের চিকিৎসা শুরুর আগে ইএনটি বিশেষজ্ঞ দিয়ে কান পরিষ্কার করিয়ে নিতে হবে।
কানে ওয়াক্স বা খোলঃ কানে ওয়াক্স বা খোল অতি পরিচিত সমস্যা। এই খোল অনেকেই পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। নিজে এটি পরিষ্কার করা ঠিক নয। নিজে পরিষ্কার করতে গেলে জমে থাকা খোলের বেশিরভাগই ভিতরে চলে যায়। ফলে বিপত্তি আরো বাড়ে। কানে খোল আটকে গেলে কানে ব্যথা হয়, কানে কম শোনা যায় কান বন্ধ থাকার কারণে। ইএনটি স্পেশালিস্ট কান দেখে এটি পরিষ্কার করে দিতে পারেন। তাবে পরিষ্কার করা সম্ভব না হলে খোল গলানোর ওষুধ রয়েছে। তাতেও কাজ না হলে কিংবা অবস্থা বেশি খারাপ হলে অজ্ঞান করে কান পরিষ্কার করে দিতে হয়। যাদের কানে খোল হওয়ার প্রবনতা রয়েছে তারা নিয়মিত কানে ৪/৫ ফোঁটা করে অলিভ অয়েল দিতে পারেন।
�����������������������
লেখকঃ ডা. সজল আশফাক
নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ,
ইনসাফ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, ১২৯ নিউ ইস্কাটন, ঢাকা।
�����������������������
লেখকঃ ডা. সজল আশফাক
নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ,
ইনসাফ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, ১২৯ নিউ ইস্কাটন, ঢাকা।
দৈনিক নয়াদিগন্ত, ২১ অক্টোবর ২০০৭ এ প্রকাশিত
03 July, 2019
শুধুমাত্র অ্যাক্টিভ 2G/3G সিম থেকে 4Gতে রূপান্তর করলেই পাচ্ছেন দুর্দান্ত অফার





শর্তাবলী:
- ৫জিবি 4G ইন্টারনেট ৭ দিন মেয়াদে (অ্যাক্টিভেশনের ৬ ঘন্টা সহ)
- শুধুমাত্র অ্যাক্টিভ 2G/3G সিম থেকে 4Gতে রূপান্তর করলেই গ্রাহক এই অফারটি গ্রহণ করতে পারবে
- কেবলমাত্র 4 জি কভারেজকৃত এলাকায় 4G সিম, 4G সক্ষম হ্যান্ডসেটে এই 4G ডাটা ব্যবহার করা যাবে
- এই অফারটি গ্রহণ করতে গ্রাহককে 3G সিম থেকে 4Gতে রূপান্তরিত করতে হবে
- 3G সিম থেকে 4Gতে রূপান্তর করলে গ্রাহক এই অফারের সাথে ৭ দিন মেয়াদী ১.৫জিবি 2G/3G/4G ডাটা ও ফ্রি পাবেন
- অফারটি শুধুমাত্র একবারই গ্রহণ করা যাবে
- সকল জিপি গ্রাহকের জন্য অফারটি প্রযোজ্য
- অটো রিনিউয়াল প্রযোজ্য নয়
- প্রতিবার ইন্টারনেট প্যাক শেষ (মেয়াদ/ভলিউম) হবার পর সর্বোচ্চ PayGo রেট ৫.৮২৫ টাকা (VAT,SD,SC অন্তর্ভুক্ত)
- ইন্টারনেট ব্যালেন্স জানতে ডায়াল *১২১*১*৪#
- ইন্টারনেট অফার বাতিল করতে ডায়াল *১২১*৩০৪১#
- অফারটি স্কিটো গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য নয়
- ইন্টারনেট প্যাকগুলির সমস্ত শর্তাবলী এখানে প্রযোজ্য হবে
- পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেট অফারটি চলবে
Subscribe to:
Posts (Atom)
-
সাধারন কথোপকথন ✪ আমি খাই -- আই হাই ✪ আমি যাই -- আই যাই ✪ আমি খেলি -- আই খেলি ✪ আমি পড়ি -- আই ফড়ি ✪ আমি খাবো -- আই হাইয়ুম ✪...
-
আমগো পুরান ঢাকার ছক্কু বেপারী লেনের নাম হুনছেন ! না হুনেন নাইক্কা ! মাগার চাংখার পুলের নাম তো হুনছেন না কি কন ? হেই চাংখার পুলের থেকা যে রা...
-
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস অধ্যায়ঃ তৃতীয় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর 1. বাইনারি ডিজিটকে সংক্ষেপে বলে...