গলগন্ড রোগ দুর করার উপায়
মানবদেহের শারীরিক, মানসিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধিভিত্তি এবং শরীরের যাবতীয় কার্যাদি সম্পাদনে বিভিন্ন গ্লান্ড জড়িত। এর মধ্যে এন্ডোক্রাইন গ্লান্ড অন্যতম। থাইরয়েড গ্লান্ড এমনই একটি এন্ডোক্রাইন গ্লান্ড।
*থাইরয়েড গ্লান্ডের অবস্হান কোথায়?
গলার সামনে মাঝামাঝি স্হানে এর অবস্হান।
গলার সামনে মাঝামাঝি স্হানে এর অবস্হান।
* থাইরয়েড গ্লান্ডের কাজ কি?
থাইরক্সিন নামক হরমোন এই গ্লান্ড তৈরি করে। এই হরমোন শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।
থাইরক্সিন নামক হরমোন এই গ্লান্ড তৈরি করে। এই হরমোন শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।
* থাইরয়েড হরমোন কমবেশি হলে কি হয়?
জন্ম থেকে এই হরমোন কম বা ঘাটতি হলে শিশু শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে যায় এবং বড়দের ক্ষেত্রে এর অভাবে মিক্সইডিমা ও হরমোন অধিক হলে থাইরট ক্সিকোসিস নামক রোগ হয়।
জন্ম থেকে এই হরমোন কম বা ঘাটতি হলে শিশু শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে যায় এবং বড়দের ক্ষেত্রে এর অভাবে মিক্সইডিমা ও হরমোন অধিক হলে থাইরট ক্সিকোসিস নামক রোগ হয়।
* থাইরয়েড গ্লান্ডে কি কি রোগ হয়?
বহু ধরনের থাইরয়েড গ্লান্ডে বহু ধরনের রোগ হতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে গলগন্ড।
বহু ধরনের থাইরয়েড গ্লান্ডে বহু ধরনের রোগ হতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে গলগন্ড।
* গলগন্ড কি?
থাইরয়েড গ্লান্ড ফুলে যাওয়াকে গলগন্ড বলে।
থাইরয়েড গ্লান্ড ফুলে যাওয়াকে গলগন্ড বলে।
* গলগন্ড রোগ কত প্রকার?
গলগন্ডের ভাগগুলো নিন্মরূপ-
১. সাধারণ বা সিম্পল গলগন্ড।
এক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্লান্ডটি ফুলে যায়। হরমোন লেভেল স্বাভাবিক থাকে এবং হরমোনজনিত কোনো সমস্যা থাকে না।
গলগন্ডের ভাগগুলো নিন্মরূপ-
১. সাধারণ বা সিম্পল গলগন্ড।
এক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্লান্ডটি ফুলে যায়। হরমোন লেভেল স্বাভাবিক থাকে এবং হরমোনজনিত কোনো সমস্যা থাকে না।
২. মাল্টি নডুলার গলগন্ড
এখানে থাইরয়েড গ্লান্ডটিতে ছোট-বড় অসংখ্য চাকা থাকে। হরমোন লেভেল কমবেশি বা স্বাভাবিক যে কোনোটি থাকতে পারে।
এখানে থাইরয়েড গ্লান্ডটিতে ছোট-বড় অসংখ্য চাকা থাকে। হরমোন লেভেল কমবেশি বা স্বাভাবিক যে কোনোটি থাকতে পারে।
৩. সলিটারি থাইরয়েড নডিউল
এক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্লান্ডে একটি মাত্র চাকা থাকে।
এক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্লান্ডে একটি মাত্র চাকা থাকে।
৪. টিউমার গলগন্ড।
থাইরয়েড গ্লান্ডের টিউমারজনিত কারণে এই গলগন্ড হতে পারে।
থাইরয়েড গ্লান্ডের টিউমারজনিত কারণে এই গলগন্ড হতে পারে।
৫. থাইরয়েড গ্লান্ডের ক্যাসার বা ক্যাসার গলগন্ড
৬. ইনফেকশনজনিত গলগন্ড।
৭.
প্রেগনেসি ও উঠতি বয়সে থাইরয়েড গ্লান্ড অধিক হরমোন তৈরি করে থাকে এবং এই সময় থাইরয়েড গ্লান্ডটি ফুলে যায়। এই ধরনের গয়টারকে স্বাভাবিক গয়টার বলা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে কাজ শেষে থাইরয়েড আবার নরমাল সাইজে ফিরে যায়।
* গয়টার বা গলগন্ডের কারণ কি?
১. বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কারণ জানা যায়নি।
১. বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কারণ জানা যায়নি।
২. খাদ্যে আয়োডিনের অভাব গয়টারের একটি অন্যতম কারণ।
৩. শরীর গঠন বা অধিক বৃদ্ধির সময় স্বাভাবিক গলগন্ড সৃষ্টি হতে পারে।
৪. কোনো কারণে গলায় রেডিয়েশন দেয়া হলে পরবর্তী থাইরয়েড গ্লান্ডের ক্যাসার (ক্যাসার গয়টার) হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
কিভাবে গলগন্ড রোগ নির্ণয় করা যায়?
স্বাভাবিক অবস্হায় থাইরয়েড গ্লান্ডটি গলার সামনে দেখা যায় না। যখন থাইরয়েড গ্লান্ড ফুলে যায় অর্থাৎ গয়টার হয়, তখন গলার সামনে মাঝ বরাবর ঢুকে গিলার সঙ্গে গ্লান্ডটিকে উপর-নিচ ওঠানামা করতে দেখা যায়। দ্বিতীয়ত, রক্তে হরমোন লেভেল দেখে এটা সিম্পল না টক্সিক বলা যায়। সিম্পল গলগন্ডে হরমোন লেভেল স্বাভাবিক এবং টক্সিক গলগন্ডের ক্ষেত্রে হরমোন লেভেল রক্তে বেড়ে যায়। তাছাড়া হরমোন লেভেল কমবেশি হলে বিভিন্ন প্রকার উপসর্গও লক্ষ্য করা যায়। গ্লান্ডের কষ পরীক্ষা (ঋঘঅঈ) করেও রোগ নির্ণয় করা হয়।
স্বাভাবিক অবস্হায় থাইরয়েড গ্লান্ডটি গলার সামনে দেখা যায় না। যখন থাইরয়েড গ্লান্ড ফুলে যায় অর্থাৎ গয়টার হয়, তখন গলার সামনে মাঝ বরাবর ঢুকে গিলার সঙ্গে গ্লান্ডটিকে উপর-নিচ ওঠানামা করতে দেখা যায়। দ্বিতীয়ত, রক্তে হরমোন লেভেল দেখে এটা সিম্পল না টক্সিক বলা যায়। সিম্পল গলগন্ডে হরমোন লেভেল স্বাভাবিক এবং টক্সিক গলগন্ডের ক্ষেত্রে হরমোন লেভেল রক্তে বেড়ে যায়। তাছাড়া হরমোন লেভেল কমবেশি হলে বিভিন্ন প্রকার উপসর্গও লক্ষ্য করা যায়। গ্লান্ডের কষ পরীক্ষা (ঋঘঅঈ) করেও রোগ নির্ণয় করা হয়।
* চিকিৎসাঃ থাইরয়েড গ্লান্ডটি যে কোনো কারণেই একবার ফুলে গেলে এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসে না। তাই এ ক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন হয়।
* কেন সার্জারি বা অপারেশন প্রয়োজন হয়?
১. দেখতে কুৎসিত বা অসুন্দর লাগে।
১. দেখতে কুৎসিত বা অসুন্দর লাগে।
২. গ্লান্ডটি ফুলে গিয়ে আশপাশের জায়গায় চাপ দেয়। যার ফলে শ্বাসকষ্ট বা খেতে, ঢোক গিলতে কষ্ট হতে পারে।
৩. ক্যাসারে রুপ নিতে পারে।
সুতরাং এসব কারণে সঠিক রোগ নিরুপণ ও চিকিৎসার জন্য সার্জনের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
সুতরাং এসব কারণে সঠিক রোগ নিরুপণ ও চিকিৎসার জন্য সার্জনের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
**************************
লেখকঃ ডা. এম এ হাসেম ভুঁইয়া
এমবিবিএস, এফসিপিএস, এফআরসিএস (লন্ডন)
সহযোগী অধ্যাপক, সার্জারি বিভাগ, জেনারেল লেপারোসকাপিক, কলোরেক্টাল ও ক্যাসার সার্জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
দৈনিক আমারদেশ, ২৪ ডিসেম্বর ২০০৭
লেখকঃ ডা. এম এ হাসেম ভুঁইয়া
এমবিবিএস, এফসিপিএস, এফআরসিএস (লন্ডন)
সহযোগী অধ্যাপক, সার্জারি বিভাগ, জেনারেল লেপারোসকাপিক, কলোরেক্টাল ও ক্যাসার সার্জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
দৈনিক আমারদেশ, ২৪ ডিসেম্বর ২০০৭
No comments:
Post a Comment