রজনীগন্ধা একটি মনোরম ও সুগন্ধী ফুল। রঙ ও সুগন্ধীর জন্য রজনীগন্ধা ফুল সবার কাছেই প্রিয়। রাতে এ ফুল সুগন্ধ ছড়ায় বলে একে রজনীগন্ধা বলে। এর ইংরেজি নাম Tube rose ও বৈজ্ঞানিক নাম Polianthes tuberosa. সাধারণত রজনীগন্ধা হচ্ছে বর্ষা মৌসুমের একটি ফুল। আমাদের দেশের যশোর, সাভার, নরসিংদী প্রভৃতি এলাকায় এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতে রজনীগন্ধা ফুল চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে।
বাজার সম্ভাবনা
আমাদের দেশে সারাবছরই রজনীগন্ধা ফুলের চাহিদা থাকে। কাটা ফুল হিসেবে রজনীগন্ধার ব্যবহার হয়ে থাকে। ঘরে সাজিয়ে রাখলে এ ফুলের মিষ্টি গন্ধ ঘরকে ভরিয়ে দেয়। তাই সৌখিন মানুষেরা ঘর সাজানোর জন্য এই ফুল ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়া বিয়ে, গায়ে হলুদ, বিভিন্ন সভা, সমাবেশে, অনুষ্ঠানের স্থান ফুল দিয়ে সাজানো হয়ে থাকে। তাই ফুলের চাহিদা প্রায় সারাবছরই থাকে। আমাদের দেশের প্রায় সব জেলা শহরে ফুলের দোকান দেখা যায়। এসব ফুলের দোকানে ফুল সরবরাহ করে আয় করা সম্ভব। এছাড়া রজনীগন্ধা ফুল চাষ করে দেশীয় বাজারে বিক্রয়ের পাশাপাশি ফুল বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সহায়তা দিয়ে থাকে। রজনীগন্ধা ফুল বিদেশে রপ্তানি করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
রজনীগন্ধা ফুল উৎপাদন কৌশল
* চাষের উপযোগী পরিবেশ ও মাটি
জাত
আমাদের দেশে দুই ধরণের রজনীগন্ধার জাত দেখা যায়। যেমন: সিংগেল ও ডাবল জাত। সুগন্ধ ও ফুলের সংখ্যা বেশি তাই সিংগেল জাতের চাহিদা বেশি। ডাবল ফুলের পাপড়ি অনেক কিন্তু ফুলের সংখ্যা কম। এতে গন্ধ নেই বললেই চলে।
তথ্যসূত্র : কৃষি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, জুন ২০০৭,Microfinance for Marginal and Small Farmers (MFMSF) Project, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সেল-১, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), ঢাকা।
বংশবিস্তার
কন্দ দিয়ে রজনীগন্ধার বংশবিস্তার করা হয়। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল ফোটা শেষ হলে মাটির নিচ থেকে রজনীগন্ধার কন্দ তুলে নিতে হবে। এরপর রোপণের জন্য বড় মাপের কন্দ বাছাই করে বেশ কয়েক দিন ছায়াতে রেখে শুকিয়ে নিতে হবে।
জমি তৈরি
১. জমি গভীরভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে ও সমান করে নিতে হবে।
২. বর্ষার পানি নিকাশের সুবিধার জন্য বেড তৈরি করে নিয়ে তাতে কন্দ লাগাতে হবে। তাহলে বেশি ফুল ধরবে।
কন্দ রোপণ
১. ২৫-৩০ সে.মি. দূরে দূরে সারি তৈরি করে তাতে কন্দ রোপণ করতে হবে।
২. প্রতি সারিতে ১০-১৫ সে.মি. দূরে দূরে কন্দ রোপণ করতে হবে।
৩. রজনীগন্ধার কন্দ ৭ সে.মি. মাটির গভীরতায় পুঁতে লাগাতে হবে।
সার প্রয়োগ
কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে রজনীগন্ধা ফুল চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। নিজের গবাদি পশু না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশি যারা গবাদি পশু পালন করে তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশে-পাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদি স্তুপ করে রেখে আবর্জনা পচা সার তৈরি করা সম্ভব।
সেচ ও নিষ্কাশন
১. কন্দ লাগানোর পরপরই জমিতে সেচ দিতে হবে।
২. মাটির অবস্থা বুঝে ৭-১০ দিন পরপর সেচ দেওয়া ভালো।
৩. বর্ষাকালে জমিতে যেন পানি না জমে সেজন্য নিকাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
রোগবালাই ও তার প্রতিকার
রজনীগন্ধা ফুলের বাগানে পোকার আক্রমণ হলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে পোকা দমন না হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে।
চাষের সময় পরিচর্যা
১. জমিতে আগাছা থাকলে পোকামাকড়, রোগজীবাণু ও ইঁদুরের আক্রমণ বেশি হয়। তাই সময়মতো নিড়ানির সাহায্যে আগাছা তুলে ফেলতে হবে।
২. মাটির ঢেলা ভেঙ্গে দিতে হবে এবং মাটি ঝরঝরে রাখতে হবে।
ফুল সংগ্রহ
এক জমিতে একবার কন্দ লাগানোর পর এক নাগাড়ে তিনবছর রজনীগন্ধার চাষ করা যায়। এরপর জমি পরিবর্তন করতে হয়। সকাল বেলায় ফুল আধাফোটা অবস্থায় থাকাকালীন ডাঁটা কেটে রজনীগন্ধা সংগ্রহ করতে হয়।
উৎপাদিত ফুলের পরিমাণ
প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমি থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯০০টি রজনীগন্ধার স্টিক পাওয়া যায়।
রজনীগন্ধা ফুল উৎপাদন খরচ
* ১ বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে ফসল উৎপাদন খরচ
তথ্যসূত্র : মাঠকর্ম, চাটমোহর, পাবনা, অক্টোবর ২০০৯
মূলধন
এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে রজনীগন্ধা ফুল চাষের জন্য প্রায় ২০০০০ টাকার প্রয়োজন হবে। মূলধন সংগ্রহের জন্য ঋণের প্রয়োজন হলে নিকট আত্মীয়স্বজন, সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও)-এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।
প্রশিক্ষণ
রজনীগন্ধা চাষের আগে অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে রজনীগন্ধা চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। এছাড়া চাষ সংক্রান্ত কোন তথ্য জানতে হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
রজনীগন্ধা মনোরম ও সুগন্ধী ফুল। এ ফুল সবার কাছেই প্রিয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের স্থান ও ঘর সাজানোর জন্য রজনীগন্ধা ফুলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে । তাই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রজনীগন্ধা ফুল চাষ করে বাড়তি আয় করা সম্ভব।
বাজার সম্ভাবনা
আমাদের দেশে সারাবছরই রজনীগন্ধা ফুলের চাহিদা থাকে। কাটা ফুল হিসেবে রজনীগন্ধার ব্যবহার হয়ে থাকে। ঘরে সাজিয়ে রাখলে এ ফুলের মিষ্টি গন্ধ ঘরকে ভরিয়ে দেয়। তাই সৌখিন মানুষেরা ঘর সাজানোর জন্য এই ফুল ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়া বিয়ে, গায়ে হলুদ, বিভিন্ন সভা, সমাবেশে, অনুষ্ঠানের স্থান ফুল দিয়ে সাজানো হয়ে থাকে। তাই ফুলের চাহিদা প্রায় সারাবছরই থাকে। আমাদের দেশের প্রায় সব জেলা শহরে ফুলের দোকান দেখা যায়। এসব ফুলের দোকানে ফুল সরবরাহ করে আয় করা সম্ভব। এছাড়া রজনীগন্ধা ফুল চাষ করে দেশীয় বাজারে বিক্রয়ের পাশাপাশি ফুল বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সহায়তা দিয়ে থাকে। রজনীগন্ধা ফুল বিদেশে রপ্তানি করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
রজনীগন্ধা ফুল উৎপাদন কৌশল
* চাষের উপযোগী পরিবেশ ও মাটি
জলবায়ু | মাটির প্রকৃতি |
মার্চ থেকে এপ্রিল মাস রজনীগন্ধার চারা লাগানোর জন্য উপযুক্ত সময়। | প্রায় সব রকম মাটিতে রজনীগন্ধার চাষ করা যেতে পারে। তবে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি এ ফুল চাষের জন্য ভালো। মাটির পিএইচ ৬.৫-৭.৫ হওয়া উচিত। |
জাত
আমাদের দেশে দুই ধরণের রজনীগন্ধার জাত দেখা যায়। যেমন: সিংগেল ও ডাবল জাত। সুগন্ধ ও ফুলের সংখ্যা বেশি তাই সিংগেল জাতের চাহিদা বেশি। ডাবল ফুলের পাপড়ি অনেক কিন্তু ফুলের সংখ্যা কম। এতে গন্ধ নেই বললেই চলে।
তথ্যসূত্র : কৃষি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, জুন ২০০৭,Microfinance for Marginal and Small Farmers (MFMSF) Project, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সেল-১, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), ঢাকা।
বংশবিস্তার
কন্দ দিয়ে রজনীগন্ধার বংশবিস্তার করা হয়। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল ফোটা শেষ হলে মাটির নিচ থেকে রজনীগন্ধার কন্দ তুলে নিতে হবে। এরপর রোপণের জন্য বড় মাপের কন্দ বাছাই করে বেশ কয়েক দিন ছায়াতে রেখে শুকিয়ে নিতে হবে।
জমি তৈরি
১. জমি গভীরভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে ও সমান করে নিতে হবে।
২. বর্ষার পানি নিকাশের সুবিধার জন্য বেড তৈরি করে নিয়ে তাতে কন্দ লাগাতে হবে। তাহলে বেশি ফুল ধরবে।
কন্দ রোপণ
১. ২৫-৩০ সে.মি. দূরে দূরে সারি তৈরি করে তাতে কন্দ রোপণ করতে হবে।
২. প্রতি সারিতে ১০-১৫ সে.মি. দূরে দূরে কন্দ রোপণ করতে হবে।
৩. রজনীগন্ধার কন্দ ৭ সে.মি. মাটির গভীরতায় পুঁতে লাগাতে হবে।
সার প্রয়োগ
কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে রজনীগন্ধা ফুল চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। নিজের গবাদি পশু না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশি যারা গবাদি পশু পালন করে তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশে-পাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদি স্তুপ করে রেখে আবর্জনা পচা সার তৈরি করা সম্ভব।
সেচ ও নিষ্কাশন
১. কন্দ লাগানোর পরপরই জমিতে সেচ দিতে হবে।
২. মাটির অবস্থা বুঝে ৭-১০ দিন পরপর সেচ দেওয়া ভালো।
৩. বর্ষাকালে জমিতে যেন পানি না জমে সেজন্য নিকাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
রোগবালাই ও তার প্রতিকার
রজনীগন্ধা ফুলের বাগানে পোকার আক্রমণ হলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে পোকা দমন না হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে।
চাষের সময় পরিচর্যা
১. জমিতে আগাছা থাকলে পোকামাকড়, রোগজীবাণু ও ইঁদুরের আক্রমণ বেশি হয়। তাই সময়মতো নিড়ানির সাহায্যে আগাছা তুলে ফেলতে হবে।
২. মাটির ঢেলা ভেঙ্গে দিতে হবে এবং মাটি ঝরঝরে রাখতে হবে।
ফুল সংগ্রহ
এক জমিতে একবার কন্দ লাগানোর পর এক নাগাড়ে তিনবছর রজনীগন্ধার চাষ করা যায়। এরপর জমি পরিবর্তন করতে হয়। সকাল বেলায় ফুল আধাফোটা অবস্থায় থাকাকালীন ডাঁটা কেটে রজনীগন্ধা সংগ্রহ করতে হয়।
উৎপাদিত ফুলের পরিমাণ
প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমি থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯০০টি রজনীগন্ধার স্টিক পাওয়া যায়।
রজনীগন্ধা ফুল উৎপাদন খরচ
* ১ বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে ফসল উৎপাদন খরচ
খরচের খাত | পরিমাণ | আনুমানিক মূল্য (টাকা) |
বীজ/চারা | ১০০০টি | ১০০০০ |
জমি তৈরি | চাষ ও মই | ৮০০ |
পানি সেচ | ৬ বার | ১৫০০ |
শ্রমিক | ২০ জন | ৩০০০ |
সার | প্রয়োজন অনুসারে জৈব সার | এই সার বাড়িতেই তৈরি করা সম্ভব। তাই এর জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন নেই। |
কীটনাশক | প্রয়োজন অনুসারে জৈব বা রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার | নিজস্ব/দোকান |
জমি ভাড়া | একবছর | ৪০০০ |
মাটির জৈব গুণাগুণ রক্ষা ও উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ বাড়তে পারে। |
মূলধন
এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে রজনীগন্ধা ফুল চাষের জন্য প্রায় ২০০০০ টাকার প্রয়োজন হবে। মূলধন সংগ্রহের জন্য ঋণের প্রয়োজন হলে নিকট আত্মীয়স্বজন, সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও)-এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।
প্রশিক্ষণ
রজনীগন্ধা চাষের আগে অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে রজনীগন্ধা চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। এছাড়া চাষ সংক্রান্ত কোন তথ্য জানতে হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
রজনীগন্ধা মনোরম ও সুগন্ধী ফুল। এ ফুল সবার কাছেই প্রিয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের স্থান ও ঘর সাজানোর জন্য রজনীগন্ধা ফুলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে । তাই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রজনীগন্ধা ফুল চাষ করে বাড়তি আয় করা সম্ভব।
No comments:
Post a Comment