মাছের তেল:
প্রাকৃতিকভাবে তেল আছে এমন মাছ কোনোভাবেই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে আপনার যদি স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ইচ্ছে থাকে তাহলে তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত মাছই হওয়া উচিত আপনার প্রথম পছন্দ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাছের তেলে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলো মস্তিষ্ক ছাড়াও সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে এবং আপনাকে স্মার্ট করে তুলবে।
জৈব, কাঁচা সবজি
জৈব, কাঁচা সবজিতে রয়েছে বহু ধরনের পুষ্টিগুণ। বিভিন্ন সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফোলেট থাকে। গবেষণা বলে, ফোলেটসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের ফলে আমাদের স্মৃতিধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর এগুলো মস্তিষ্কের জন্যও অত্যন্ত দরকারি। এ ছাড়াও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি ও বিটা-ক্যারোটিন, ফলে এ খাবারগুলো আপনার স্মার্টনেস বাড়াতে সহায়তা করবে।
অল্প সিদ্ধ ডিম:
ডিমে রয়েছে পরিপূর্ণ মিনারেল ও ভিটামিন। যা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাবার হিসেবেও ডিম পরিচিত। এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন, আয়োডিন ও ভিটামিন বি১২। কিন্তু এটি ভাজলে বা বেশি সিদ্ধ করা হলে পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে না। তাই অল্প সিদ্ধ ডিম খান এটি আপানার মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ব্লুবেরি:
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ব্লুবেরি এবং আঙ্গুর একটি অন্যতম খাবার। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন নিয়ম করে ব্লুবেরি জুস খান তারা ২ মাস পর ঠিকই ফল পাবেন। একই ফল পাওয়া যায় আঙ্গুরের জুসে খেলেও।
চিনি এড়িয়ে চলুন:
চিনি খেলে শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়া বাঁধাগ্রস্ত হয়। একইসাথে সুক্রোজ স্থূলতা ও ডায়াবেটিসও বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চিনি খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও হারিয়ে যায়। তাই আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চাইলে চিনি থেকে দূরে থাকুন।
No comments:
Post a Comment