ক. লিউকেমিয়া (শ্বেতকণিকা থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সার)
• একিউট মাইলোবস্নাস্টিক লিউকেমিয়া
• একিউট লিমফোবস্নাস্টিক লিউকেমিয়া
• ক্রনিক লিমফোসাইটিক লিউকেমিয়া
খ. লিমফোমা : (লসিকা গ্রন্থি থেকে সৃষ্ট এক ধরনের ব্লাড ক্যান্সার)
• হজকিন ও নন হজকিন লিমফোমা,
• লিমফোবস্নাস্টিক লিমফোমা ইত্যাদি।
গ. মাইলোমা ও প্লাজমা সেল লিউকেমিয়া: প্লাজমা সেল থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সার।
ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ : -
রক্ত কণিকাগুলো সঠিক মাত্রায় উৎপন্ন না হলে রক্তশূন্যতা, রক্তক্ষরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে রোগীর মৃত্যু ঘনিয়ে আসে।
রক্তশূন্যতাজনিত লক্ষণ : -
1. যেমন-অবসাদ ও দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় ইত্যাদি।
2. শরীরে ইনফেকশনের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ফলে লাগাতার জ্বর থাকতে পারে।
3. রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা দেখা দেয়, যেমন নাক, দাঁতের মাড়ি, চোখ ও ত্বকে রক্তক্ষরণ এবং মাসিকের সময় বেশি রক্ত যাওয়া প্রভৃতি হতে পারে।
4. শরীর বা হাড়ে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা।
5. লিভার ও স্পিলিন বড় হয়ে যাওয়া।
6. গলায়, বগলে বা অন্যত্র লিম্ফনোড বড় হওয়া।
ব্লাড ক্যান্সারের কারণগুলো :-
যেসব ফ্যাক্টর ব্লাড ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ায় তা হলো জেনেটিক, পরিবেশ ও পেশাগত ফ্যাক্টর।
• তেজস্কিয়তা: বোমা বিস্ফোরিত হওয়া।
• রাসায়নিক পদার্থ: বেনজিন, পেট্রোল ও প্লাস্টিক কারখানায় ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ। • জেনেটিক ডিজ অর্ডার: এনিমিয়া, ডাউন সিনড্রোম। অনকোজিনের আধিক্য অথবা টিউমার সাপ্রেসর জিনের অক্ষমতায় রক্তকণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে ব্লাড ক্যান্সার হয়ে থাকে।
প্রতিরোধের উপায় :
• যেসব রোগীকে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি একসঙ্গে দেয়া হয় তাদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সারের প্রবণতা প্রায় ২০ গুণ বেড়ে যায়।
• তেজস্ক্রিয়তা পরিহার করতে হবে।
• রাসায়নিক দ্রব্যাদির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে।
• এক্স-রে বিভাগে ও নিউক্লিয়ার বিভাগের কাজ করার সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
• ধূমপান ও তামাক জর্দা পরিহার করতে হবে।
ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি :-
আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রতি লাখে ৪ থেকে ৫ জন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। সে হিসাব অনুযায়ী ১৫ কোটি মানুষের মধ্যে প্রতিবছর ৬-৭ হাজার লোক আক্রান্ত হচ্ছেন।
অধিক ঝুঁকির কারণ :-
• কৃষি কাজে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা।
• কলকারখানায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা।
• পরিবেশ দূষণ।
ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয় :-
• ব্লাড ফিল্ম পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
• বোনাম্যারো ও ট্রিফাইন বায়োপসি পরীক্ষা: কোমরের হাড় থেকে অস্থিমজ্জা সংগ্রহ করে পরীক্ষা।
• লিমফোনোড এফএনএসি ও বায়োপসি পরীক্ষা: লসিকা গ্রন্থি থেকে টিস্যু নিয়ে পরীক্ষা।
No comments:
Post a Comment