01 November, 2018

জরিপ পদ্ধতি ও গজ


১২ ইঞ্চি = ১ ফুট এবং ৩ ফুট= ১ গজ
ভূমি যে কোন সাইজের কেন ভূমির দের্ঘ্য ও প্রস্থে যদি ৪৮৪০ বর্গগজ হয় তাহলে এটা ১.০০ একর (এক একর) হবে।
যেমনঃ ভূমির দৈর্ঘ্য ২২০ গজ এবং প্রস্থ ২২ গজ সুতরাং ২২০ গজ×২২ গজ= ৪৮৪০ বর্গগজ।
ভূমি জরিপকালে যে সকল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা হল:
  • শিকল জরিপ
  • কম্পাস জরিপ
  • প্লেনটেবিল জরিপ
  • থিয়োডোলাইট জরিপ

শিকল জরিপ :

ভূমি জরিপের জন্য শিকল জরিপ সবচেয়ে সহজ। য়ে জায়গায় পরিপ করতে হবে তা কতকগুলো ত্রিভুজে ভাগ করে নিতে হয় এবং ত্রিভুজের বাহুগুলোর দৈর্ঘ্য শিকল দিয়ে মাপ করা হয়। জ্যামিতিক ক্ষেত্রগুলির মধ্যে ত্রিভুজ অংক পদ্ধতি সর্র্বাপেক্ষা সহজঅ পুরো জায়গাটিকে সারি সারি ত্রিভুজে ভায করে নিতে হয়। ত্রিভুজের কোণগুলি ৬০ ডিগ্রির কর বা ১২০ ডিগ্রির বেশী না হয় তা দেখতে হবে। মাঠের মাঝামাঝি দিয়ে একটি বা দুটি মেরুদন্ড রেখা টেনে নেয়া যায়। এই মেরুদন্ড রেখার সালে প্রধান প্রধান ত্রিভুজগুলো আবদ্ধ থাকরে এবং এরপর বড় বড় ত্রিভুজগুলোকে আরো ছোট ছোট ত্রিভুজে বিভক্ত করতে হবে। এভাবে ই শিকল জরিপ সম্পন্ন করা হয়।

কম্পাস জরিপ :

কম্পাসের সাহায্যে যে জরিপ পরিচালিত হয় তার নাম কম্পাস জরিপ। এতে দুই ধরনের কম্পাস ব্যাবহার করা হয়। এ কম্পাস দুটি হল প্রিজমেটিক কম্পাস এবং সার্ভেয়াস কম্পাস। বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন, রাস্তা, নদী এবং ধারাবাহিক রেখার নকশা প্রণয়ন কাজে প্রিজমেটিক কম্পাস ব্যাবহার করা হয়। আর বড় নদী বা সমুদ্র এলাকায় যখন বিশাল চর জেগে উঠে তখন তা নরম থাকে যে তার উপর দিয়ে চলাফের করা যায় না । তখন কম্পাস জরিপের মাধ্যমে তার অবস্থান, সীমানা এবং আয়তন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তবে এ জরিপের বর্তমানে কোন ব্যাবহার নেই বললেই চলে।

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন