# আরএইচ(রিসাস) ব্লাড গ্রুপ ও-এ-বি ব্লাড সিস্টেমের সাথে কারো শরীরে রক্ত সঞ্চালন কিংবা নবজাতক শিশুতে মারাত্নক হেমোলাইটিক ডিজিস তৈরিতে আরএইচ ব্লাড গ্রুপ খুব গুরুত্বপূর্ণ।
# এবিও রক্তের গ্রুপ সিস্টেম
• একদা যুদ্ধক্ষেত্রের অনুমান-পর্যবেক্ষণ—সিদ্ধ তথ্য গবেষণায় সিদ্ধি লাভ করে জানা গেছে, মূল রক্তের গ্রুপ হলো চারটি: এ, বি, এবি এবং ও।
• ও রক্তের গ্রুপ যেকোনো রক্তের শ্রেণীতে মেশালে তা জমাট বাঁধে না। তাই একে ইউনিভার্সেল ডোনার বলা হয়।
• এ গ্রুপের রক্ত এ অথবা এবির সঙ্গে মিশতে পারে যদি তা বি বা ও-এর সঙ্গে মেশে, তবে জমাট বাঁধবে।
• একইভাবে বি রক্তকোষ শ্রেণী নিরাপদে বি বা এবির সঙ্গে মেশানো যায়, কখনো ও বা এ-এর সঙ্গে নয়।
• এবি রক্তের শ্রেণী শুধু এবির সঙ্গে মেশে আর কারও সঙ্গে নয়।
• তবে প্রধান এই চার রক্তের গ্রুপ অ্যান্টিজেনের বাইরেও ক্যাপিটাল সি—স্মল সি, ডি, বড় ই-ছোট ই, বড় কে = ছোট কে, এম, এন এবং আরও অনেক জট পাকানো রক্তশ্রেণীর অস্তিত্ব রয়েছে।
# আরএইচ ডি রক্তের শ্রেণীর গরমিল
• ভাগ্য ভালো, সব রক্তশ্রেণী দুর্যোগ তৈরি করে না। কিন্তু ডি অ্যান্টিজেনের গরমিলের চিত্র খুব ভয়াবহ হতে পারে।
• তবে মাতা-পিতা দুজনই যদি ডি নেগেটিভ হন, বাচ্চা কখনো ডি পজেটিভ হবে না। সুতরাং বিপদমুক্ত।
• কিন্তু ডি নেগেটিভ মায়ের সঙ্গে ডি পজেটিভ স্বামীর যোগসূত্রে বাচ্চা ডি পজেটিভ, ডি নেগেটিভ দুটোর যেকোনো একটা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডি পজেটিভ বেবি হলেই কেবল বিপদ।
• গর্ভস্থ ভ্রূণ ডি পজেটিভ হলেও প্রথম বাচ্চা এতে আক্রান্ত হয় না। প্রথম বাচ্চা জন্মদানের সময় আরএইচ পজেটিভ রক্তকোষজাত অ্যান্টিডি-অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করে, যা পরবর্তী সময়ে গর্ভস্থ শিশু থেকে বা রক্ত সরবরাহতন্ত্রে প্রাপ্ত যেকোনো ডি পজেটিভ রক্তকোষ পেলে সমূহ সংহারে উদ্যোগী হয়। এভাবে আরএইচ নেগেটিভ মা তাঁর ডি-অ্যান্টিজেন নিয়ে কতটা সংবেদনশীল হয়েছেন, তার মাত্রা মায়ের গর্ভকালীন সিরাম ইনভাইরেক্ট কুম্বসটেস্ট দ্বারা নির্ণয় করা যায়। প্রতিক্রিয়ার মাত্রা যত বেশি হবে, গর্ভস্থ ভ্রূণ তত বেশি ক্ষতির শিকার হবে; যার সর্বাধিক নমুনা হচ্ছে হাইড্রপস ফিটালিস
No comments:
Post a Comment