27 May, 2018

রাঙ্গামাটি জেলার ইতিহাস


১.সৃষ্টির প্রেক্ষাপট এ জেলা সৃষ্টির পূর্বে নাম ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম, জেলা সৃষ্টির শুরুতে নাম হয় কার্পাস মহল । বিভিন্ন
প্রেক্ষাপটে ২০-০৬ ১৮৬০ সালে রাঙ্গামাটি জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
২. নামকরণ : অবারিত সবুজ আর বিশাল পাহাড়ের প্রাচুর্যময় সম্পদের নাম
সৌন্দর্য আর রাঙ্গা। এই জনপদে লোকবসতি
তেমন একটা ছিলনা। খরস্রোতা কর্ণফুলী নদীর বদৌলতে এখানে ক্রমে ক্রমে
জনবসতি গড়ে উঠে। রাঙ্গা মৃত্তিকা থেকেই এই অঞ্চলের নাম রাঙ্গামাটি হয়।
বলে ধারণা করা হয় ।
৩. আয়তন : (প্রায়) ৬১১৬১৩ বর্গ কি. মি.।
৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ৫,৯৫,৯৭৯ জন। পুরুষ- ৩,১৩,০৭৬ ও মহিলা
২,৮২৯০৩ । বৃদ্ধির হার : ১.৫৮% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ৯৭ জন।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ১০টি। রাঙ্গামাটি সদর, কাপ্তাই, নানিয়ারচর,
জুরাইছড়ি, বরকল, কাউখালীবাঘাইছড়ি, রাজস্থলি, লংগদু ও বেলাইছড়ি ।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম এ ১১টি। রাঙ্গামাটি, বরকল, বাঘাইছড়ি, কাউখালী,
জুরাইছড়ি, লংগদু, নুনের চর, ঝিনাইছড়ি, কাপ্তাই, রাজস্থলী ও চন্দ্রঘোনা।
৭. সংসদীয় আসন : ০১টি। রাংগামাটি পার্বত্য জেলা।
৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : দীপংকর তালুকদার, জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু
লারমা), কামিনী মহন দেওয়ান, রাজমাতা বিনিতা রয়, সুবিমল দেওয়ান, বিনয়
কুমার চাকমা, কর রঞ্জন চাকমা, সুদীপ্তা দেওয়ান, পারিজাত কুসুম চাকমামনি
স্বপন দেওয়ান, ড: মানিক লাল দেওয়ান, চিত্ত কিশোর চাকমারাজা দেবাশীস
রায় প্রমুখ ।
৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-৩৪০ কি. মি.।
১০. যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস : ঢাকা সায়েদাবাদ-রাঙ্গামাটি বাস স্টেশন, রাঙ্গামাটি
কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন। এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৩৫১ ও পোস্ট কোড
৪৫০০ ।
১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক রাঙ্গামাটি, গিরিদর্শন ও পার্বত্য বার্তা ।
১২. পৌরসভা-০২টি, ইউনিয়ন-৪৯টি ও উপজেলা ভূমি অফিস-১০টি।
১৩. মৌজার সংখ্যা-৩৬৯টি ও গ্রামের সংখ্যা-১৩৪৭টি।
১৪. শিক্ষার হার-৩৬৪৮%।
১৫. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, গম, সরিষা, ভুট্টা, তুলা ও আখ ।
১৬শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রাথমিক বিদ্যালয়-৫১৮টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৫৪টি, জুনিয়র
মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৪৫টি, কলেজ-১২টি, মাদ্রাসা-১৪টি ও অন্যান্য স্কুল-০৩টি।
১৭. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-৪৩৭টি।
১৮. চিকিৎসা কেন্দ্র র হাসপাতাল-১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-৬টি, ইউনিয়ন।
স্বাস্থ্য কেন্দ্র১১টি ও ক্লিনিক-৮টি।
১৯. নদনদীর নাম : কর্ণফুলীশজ, কাশালঙ, রানখিয়াং ইত্যাদি।
২০. দর্শনীয় স্থান : কর্ণফুলী হ্রদ, পর্যটন মোটেল ও খুলশ্চ সেতু, সুবলং ঝর্ণা
উপজাতীয় যাদুঘর, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, জেলা প্রশাসক বাংলাবীর
মুক্তিযোদ্ধা এইচটি ইমাম সড়ক ও চন্দ্রঘোনা কাগজ কল ।
২১. জেলার ঐতিহ্য : নৃ-বৈচিত্র্যের অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বে
অবস্থিত পার্বত্যাঞ্চলে । । এখানে দীর্ঘদিন ধরে এগারটি ভাষাভাষীর বারটি
জাতিসত্ত্বা সহাবস্থান করছে। এমন বৈচিত্র্য ঐক্যতান বিশ্বের কোন দেশে চোখে
পড়ে না । এ পাহাড়ি ভূ-ভাগে এতগুলো জাতিসত্বা কখন, কিভাবে অভিবাসন
করেছে তা বলা মুশকিল ।

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন