10 December, 2018

উবাদার (রা) সত্যনিষ্ঠা



তখন উসমান (রা)-এর খিলাফত। ময়াবিয়া (রা) তখন সমগ্র সিরিয়ার গভর্নর।
উবাদাহ ইবনে সামিত তাঁর অধীনে একজন শাসক।
উবাদাহ (রা) সেই লোক যিনি সত্য কথা, উচিত কথা বলেন, তখন কোথায় কার কাছে বলছেন তার পরোয়া করেন না।
তাঁর বিরোধ বাধল মুয়াবিয়া (রা)-এর সাথে।
মুয়াবিয়া (রা) খলিফা উসমান (রা) কে লিখলেন, “উবাদাহ বিন সামিতের কথা ও ভাষণ জনগণকে উত্তেজিত করে এবং বিশৃংখল করে তোলে।
তাঁকে সিরিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিন। তা না হলে আমি সিরিয়ার শাসন কাজ পরিত্যাগ করব।”
উসমান (রা) উবাদাহ ইবনে সামিতকে মদীনায় ডেকে পাঠালেন।
তিনি এলেন খলিফা উসমান (রা)-এর দরবারে।
দরবারে তখন অনেক লোক। উবাদাহ (রা) এক কোনায় চুপ করে বসে পড়লেন।
উবাদাহ (রা)-কে দেখতে পেয়েই উসমান (রা) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “বলুন তো কি ঘটনা।”
স্পষ্টবাদী উবাদাহ (রা) উঠে দাঁড়ালেন। সত্য প্রকাশের অসীম আবেগে তিনি উদ্দীপ্ত।
দরবারের সমাবেশকে লক্ষ্য করে তিনি বললেন, “হে মানুষেরা, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আমার পর আমীরেরা সৎকে অসৎ এবং অসৎকে সৎ-এ পরিবর্তন করবে। অবৈধ কাজকে বৈধ মনে করতে থাকবে। কিন্তু গুনাহর কাজে কারও আনুগত্য জায়েয নয়।
তোমরা অবশ্যই অসৎ কাজ থেকে দূরে থাকবে।’
আবু হুরাইরা (রা) উবাদাহ (রা)-এর বক্তব্যে কিছু বাধা দিতে চাইলেন।
উবাদাহ ইবনে সামিত সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন, “আমরা যে সময় রাসুলুল্লাহর (সা) হাতে বাইয়াত (নবুয়তের ত্রয়োদশ বছরে বাইয়াতে আকাবায় এ বাইয়াত সংঘটিত হয়) করেছিলাম, তখন আপনি সেখানে ছিলেন না।
আমাদের বাইয়াতের শর্ত ছিল যে, লোকদের কাছে ভাল কথা পৌঁছাতে থাকবো, খারাপ কথা থেকে বিরত রাখবো।
কখনো কারো ভয়ে ভীত হবো না।…..
এই বাইয়াত মহানবীর সাথে হয়েছিল। ওয়াদা পূরণ আমাদের অবশ্যকর্তব্য কাজ।”
উবাদার (রা) এই কথার পর কারও কোন কথা আর থাকতে পারে না।
আর কেউ কোন কথা বলতে সাহস করলো না।

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন