27 May, 2018

শিশুর স্মরণশক্তি বাড়ানোর উপায়


# ছোট শিশুদের জন্য মায়ের দুধ, মায়ের দুধ শিশুর স্মরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য এর বিকল্প আর কিছুই নেই। এটা আল্লাহর নেয়ামত।

# কিশোর-কিশোরীদের জন্য পুষ্টি ও সুষম খাদ্য শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য একান্ত দরকার । অনেক টিনএজ মেয়েরা ডায়েটিং করে থাকে। এতে স্মরণশক্তি (মেমোরি) বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্তরায় হতে পারে।

# অনেক গবেষক মনে করেন, বাদাম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সকালে খাওয়ানো যেতে পারে।

# তাজা/ফ্রেস ফলমূল যেমন : আম, পেঁপে, পেয়ারা, তরমুজ ইত্যাদি বেশি বেশি খাওয়ানো উচিত।

# শিশুর আয়রণ ও জিংক ঘাটতি থাকলে স্মরণশক্তির সমস্যা থাকতে পারে। সেদিকে খেয়াল রেখে জিংক ও আয়রন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে খাওয়ানো যেতে পারে।

# ওমেগা ও ফ্যাটি এসিড বুদ্ধি ও স্মরণশক্তি সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে বলে বিশ্বাস করা হয় অতএব ওমেগা এগুলো বেশি খাওয়ানো উচিত।

ব্রিটেনে একটি গবেষণায় দেখা গেছে কম মনোযোগী বাচ্চাদের (Fish Oil) খাওয়ানোর পর তাদের বিহেভিয়ার ও স্কুল Performance এর উন্নতি হয়েছে।

তাই এগুলো পরিমাণে সামান্য কম, ভাত+সবজি+মাছ খাওয়াই ভালো।

# ঘুম : পরিমিত ঘুম খুবই দরকার। এইজন্য পরীক্ষার আগে সারারাত জেগে পড়ার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে হচ্ছে না। রুটিনমাফিক পড়াই উত্তম। পড়ার পর বিশ্রাম স্মরণশক্তি বাড়ায়। অর্থাৎ ঘুম স্মরণশক্তি বাড়ায়।

# ব্যায়াম : ব্যায়াম স্মরণশক্তি বাড়ায়। বড় বড় করে বাচ্চাকে শ্বাস নিতে বলুন। পেটভরে শ্বাস তাতে ব্রেনের থিটা ওয়েব বেশি হবে। ব্রেনে অক্সিজেন বেশি সঞ্চালন হবে। স্মরণশক্তি বাড়বে।

# চুইংগাম : সুগার ছাড়া চুইংগাম চিবাতে পারে এতে কিছুক্ষণের জন্য; ব্রেনে অক্সিজেন সঞ্চালন বেশি হতে পারে।

# যদি খুব টেনশন লাগে তাহলে নিয়মিত মেডিটেশন করা যেতে পারে।

# পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে প্রয়োজন পড়াশুনা বেশিদিন মনে রাখা এবং বেশি সময় স্মরণ থাকা।

প্রত্যেক পিতামাতার উচিত

# কফি, কেনডি ও Drink না খাওয়াই ভালো ।খেতে দিন পরিমিত পরিমাণে।

# ছোট ছোট শিশুদের বলুন, এই ছড়াটা মনে রাখতে পারলে এই উপহারটা পাবে।

# আত্মবিশ্বাস : আমি পারবো- এই ধারণা শিশুকে আরো সামনে নিয়ে যেতে উৎসাহ জোগাবে।

# সময় করে দেয়া : এতোটুকু সময়ে এই পরিমাণ পড়বে এই জন্য টাইমবক্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

# রিপিট : মনে মনে ওই পড়াটা আবার স্মরণ করা।

# শিক্ষণ প্রদ্ধতি : স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির প্রধান শর্ত হলো শিক্ষণ। শিশুকে যতোটুকু পড়াবেন তা যেন শিশু বুঝে বুঝে পড়ে এবং পড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকে এমন কিছু মিলিয়ে উদাহরণ দিয়ে কোনো ক্ষেত্র তৈরি করে পড়ানো উচিত।

# ছন্দ ও সুর করে পড়া ভালো।

# আবৃত্তি করে পড়া : মৃদু জোরে জোরে পড়লে দুটি ইন্দ্রীয় কাজ করে থাকে বিধায় মনোযোগ বেশি থাকে শিশুর জন্য এটি দরকারি।

# রুটিন প্রদ্ধতি : প্রতিদিন নিয়মিত পড়লে খুব অল্পতে পরীক্ষার প্রস্তুতি হয়ে যায়।

# পরীক্ষার আগে অনেক মানসিক চাপ থাকে এই চাপের কারণে পড়া শেষ হয় না অতএব রুটিনভাবে পড়া উচিত।

# বিশ্রাম : একটানা দীর্ঘ সময় পড়ার পর মাঝখানে একটু বিশ্রাম নেয়া ভালো। তাতে আবার পূর্ণ শক্তি পাওয়া যায়।

# জবাবদিহি করা : পড়ার পর, মাঝখানের থেকে প্রশ্ন করতে হবে কি পড়লাম।

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন