কাদের হতে পারে হাঁপানি :- যে কোনো বয়সের স্ত্রী, পুরুষ, শিশু-কিশোর যে কারও হতে পারে। যাদের রক্তের সম্পর্কের আত্দীয়দের হাঁপানি আছে তাদের এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। আবার দাদা-দাদির থাকলে (বাবা-মায়ের না থাকলেও) নাতি-নাতনি বা তাদের ছেলেমেয়েরা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। পিতৃকুলের চেয়ে মাতৃকুল থেকে হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
অ্যাজমা কি ছোঁয়াচে :- না, অ্যাজমা ছোঁয়াচে রোগ নয়। পারিবারিক বা বংশগতভাবে অ্যাজমা হতে পারে। কিন্তু ছোঁয়াচে নয়। অ্যাজমায় আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেয়ে শিশুদের অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। মায়ের সংস্পর্শ থেকেও কোন অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা নেই।
লক্ষণ :- বুকের ভেতর বাঁশির মতো সাঁই সাঁই আওয়াজ। শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট। দম খাটো অর্থাৎ ফুসফুস ভরে দম নিতে না পারা। ঘন ঘন কাশি। বুকে অাঁটসাট-বন্ধ ভাব।
চিকিৎসা :- রক্তের বিশেষ পরীক্ষা ও বুকের এঙ্-রে।
স্কিন প্রিক টেস্ট :- এই পরীক্ষায় রোগীর চামড়ার ওপর বিভিন্ন এলার্জেন দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং পরীক্ষাতে কোন জিনিসে রোগীর অ্যালার্জি আছে তা ধরা পড়ে।
স্পাইরোমেট্রি :- এই পরীক্ষা করে ফুসফুসের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা যায়।
এলার্জেন পরিহার :- হাঁপানির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো যে জিনিসে অ্যালার্জি তা যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলা। তাই অ্যাজমা রোগীদের প্রথমেই অ্যালার্জি পরীক্ষা করে জানা দরকার তার কিসে কিসে অ্যালার্জি হয়।
ওষুধ প্রয়োগ :- ওষুধ ব্যবহার করে সুস্থ থাকা যায়।
ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি :- অ্যালার্জি দ্রব্যাদি এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিনও অ্যাজমা রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। আগে ধারণা ছিল অ্যাজমা একবার হলে আর সারে না। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। প্রথম দিকে ধরা পড়লে অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমা সারিয়ে তোলা সম্ভব।
No comments:
Post a Comment