১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট : সাতক্ষীরা মহকুমার প্রকৃত জন্ম হয় ১৮৫২ সালে যশোর
জেলার চতুর্থ মহকুমা হিসেবে এবং কলারোয়াতে এর কার্যালয় স্থাপিত হয়।
পরবর্তীতে ১৮৬৩ সালে ২৪ পরগণাকে পৃথক জেলা ঘোষণা করা হয় এবং
সাতক্ষীরা মহকুমাকে যশোর জেলা থেকে ২৪ পরগণা জেলায় অন্তর্ভুক্ত করা
হয়। ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল খুলনা জেলা সৃষ্টি হলে লর্ড রিপনের আন্ত
রিক প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা মহকুমাকে ২৪ পরগণা হতে খুলনা জেলার অন্তর্ভুক্ত
করা হয়। ১৮৬২ সালে সাতক্ষীরার তৎকালীন জমিদারদের প্রচেষ্ঠায়।
মহকুমার প্রধান কার্যালয় কলারোয়া থেকে সাতক্ষীরায় স্থানান্তরিত করা হয়।
বাংলাদেশের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ফলে ১৯৮৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি
সাতক্ষীরা মহকুমা জেলার উন্নীত হয় ।
২. নামকরণ : সাতক্ষীরা নামের উৎপত্তি নিয়ে জনশ্রুতি রয়েছে যে, বিষ্ণুরামের
পুত্ৰ পাননাথ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য সাতঘর কুলীন ব্রাহ্মণ এনে তার
পরগনায় সবরকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বসতি স্থাপনের ব্যবস্থা করেন। সেই
সাত ঘর হতে সাত ঘরিয়া এবং পরবর্তীতে সাতক্ষীরা নামকরণ করা হয়েছে।
৩. আয়তন : (প্রায়)৩৮৫৮ বর্গ কি. মি.।
৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ১৯,৮৫,৯৫৯ জন। পুরুষ- ১,৮২,৭৭৭ ও
মহিলা১০,০৩,১৮২ । বৃদ্ধির হার : ০.৬২% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ৫২০
জান।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৭টি। সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া, তালা
দেবহাটা, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম ; ০৭টি। সাতক্ষীরা, কালীগঞ্জ, দেবহাটা, তালা,
আশাশুনি, শ্যামনগর ও কলারোয়া ।
৭. সংসদীয় আসন : ৪টি। (১) কলারোয়া ও তালা উপজেলা । (২) সাতক্ষীরা
সদর উপজেলা। (৩) আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলা এবং কালিগঞ্জ
উপজেলার নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ : চাম্ৰফুল, ভাড়াশিমলাতারালী ও
নলতা । (৪) শ্যামনগর উপজেলা এবং নিম্নবর্ণিত ইউনিয়ন ব্যতীত কালিগঞ্জ
উপজেলা : চাম্ৰফুল, ভাড়াশিমলাতারালী ও নলতা ইউনিয়ন।
৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : সিকান্দার আবু জাফর, গোলাম মঈন উদ্দিন, কাজী রেজা
আফজাল হোসেন ও আলহাজ্ব খান বাহাদুর আসানউল্লাহ।
৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-৩৪৩ কি. মি.।
১০. যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস । : ঢাকা- গাবতলীমহাখালী- সাতক্ষীরা বাস
স্টেশন, সাতক্ষীরা বাস স্টেশন, কালিগঞ্জ বাস স্টেশন, শ্যামনগর।
এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৪৭১ ও পোস্ট কোড-৯৪০০।
১১. পৌরসভা০১টি ও ইউনিয়ন-৭৭টি।
১২. উপজেলা ভূমি অফিস-০৬টি।
১৩. গ্রামের সংখ্যা-১৪৮০টি ও মৌজার সংখ্যা-৯৬১টি।
১৪. শিক্ষার হার-৪৫.৫১%।
১৫. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, আখ, তামাক, পাট, গম, ভুট্টা, সরিষা ও ডাল ।
১৬শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : জুনিয়র স্কুল-৪৯টি, উচ্চ বিদ্যালয়-২০১টি, স্কুল এন্ড
কলেজ-৮টি, কলেজ -৩৮টি ও ডিগ্রী কলেজ-২৩টি।
১৭. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-৩,৬৭৬টি।
১৮. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-৬টি, উপ-স্বাস্থ্য
কেন্দ্ৰ-০৭টি
১৯. নদনদীর নাম : রায়মঙ্গল, কালিন্দীপাঙ্গাশিয়াহাড়িয়াভাঙ্গা, মালঞ্চ, বেতনা
ইত্যাদি ।
২০. দর্শনীয় স্থান : সুন্দরবন, দক্ষিণ তালপটি ।
২১. জেলার ঐতিহ্য : লৌকিক আচার-আচরণ, বিশ্বাস আর পৌরানিকতায় সমৃদ্ধ
সাতক্ষীরা। নানা কিংবদন্তীর প্রবাহমান ধারায় সজীব এখানকার ঐতিহ্য।
বঙ্গোসাগরের আটল ছোয়া সুন্দরবন, আর সুন্দরবনকে বুকে নিয়ে সমৃদ্ধ
এখানকার প্রকৃতি, এমনি অর্থনীতিও । সুন্দরবনের চোখ জুড়ানো চিত্রা হরিণ,
ডোরাকাটা বাঘ, রাজা প্রতাপাদিত্যের জাহাজঘাটা, বিভিন্ন মোগলীয় কীর্তি,
অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পুরাকালের কাহিনীজারি সারি, পালাগান,
পালকি গান ইত্যাদি এ জেলার ঐতিহ্য বহন করে আছে।
জেলার চতুর্থ মহকুমা হিসেবে এবং কলারোয়াতে এর কার্যালয় স্থাপিত হয়।
পরবর্তীতে ১৮৬৩ সালে ২৪ পরগণাকে পৃথক জেলা ঘোষণা করা হয় এবং
সাতক্ষীরা মহকুমাকে যশোর জেলা থেকে ২৪ পরগণা জেলায় অন্তর্ভুক্ত করা
হয়। ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল খুলনা জেলা সৃষ্টি হলে লর্ড রিপনের আন্ত
রিক প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা মহকুমাকে ২৪ পরগণা হতে খুলনা জেলার অন্তর্ভুক্ত
করা হয়। ১৮৬২ সালে সাতক্ষীরার তৎকালীন জমিদারদের প্রচেষ্ঠায়।
মহকুমার প্রধান কার্যালয় কলারোয়া থেকে সাতক্ষীরায় স্থানান্তরিত করা হয়।
বাংলাদেশের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ফলে ১৯৮৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি
সাতক্ষীরা মহকুমা জেলার উন্নীত হয় ।
২. নামকরণ : সাতক্ষীরা নামের উৎপত্তি নিয়ে জনশ্রুতি রয়েছে যে, বিষ্ণুরামের
পুত্ৰ পাননাথ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য সাতঘর কুলীন ব্রাহ্মণ এনে তার
পরগনায় সবরকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বসতি স্থাপনের ব্যবস্থা করেন। সেই
সাত ঘর হতে সাত ঘরিয়া এবং পরবর্তীতে সাতক্ষীরা নামকরণ করা হয়েছে।
৩. আয়তন : (প্রায়)৩৮৫৮ বর্গ কি. মি.।
৪. লোকসংখ্যা : মোট-(প্রায়) ১৯,৮৫,৯৫৯ জন। পুরুষ- ১,৮২,৭৭৭ ও
মহিলা১০,০৩,১৮২ । বৃদ্ধির হার : ০.৬২% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ৫২০
জান।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৭টি। সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া, তালা
দেবহাটা, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম ; ০৭টি। সাতক্ষীরা, কালীগঞ্জ, দেবহাটা, তালা,
আশাশুনি, শ্যামনগর ও কলারোয়া ।
৭. সংসদীয় আসন : ৪টি। (১) কলারোয়া ও তালা উপজেলা । (২) সাতক্ষীরা
সদর উপজেলা। (৩) আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলা এবং কালিগঞ্জ
উপজেলার নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ : চাম্ৰফুল, ভাড়াশিমলাতারালী ও
নলতা । (৪) শ্যামনগর উপজেলা এবং নিম্নবর্ণিত ইউনিয়ন ব্যতীত কালিগঞ্জ
উপজেলা : চাম্ৰফুল, ভাড়াশিমলাতারালী ও নলতা ইউনিয়ন।
৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : সিকান্দার আবু জাফর, গোলাম মঈন উদ্দিন, কাজী রেজা
আফজাল হোসেন ও আলহাজ্ব খান বাহাদুর আসানউল্লাহ।
৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-৩৪৩ কি. মি.।
১০. যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস । : ঢাকা- গাবতলীমহাখালী- সাতক্ষীরা বাস
স্টেশন, সাতক্ষীরা বাস স্টেশন, কালিগঞ্জ বাস স্টেশন, শ্যামনগর।
এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৪৭১ ও পোস্ট কোড-৯৪০০।
১১. পৌরসভা০১টি ও ইউনিয়ন-৭৭টি।
১২. উপজেলা ভূমি অফিস-০৬টি।
১৩. গ্রামের সংখ্যা-১৪৮০টি ও মৌজার সংখ্যা-৯৬১টি।
১৪. শিক্ষার হার-৪৫.৫১%।
১৫. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, আখ, তামাক, পাট, গম, ভুট্টা, সরিষা ও ডাল ।
১৬শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : জুনিয়র স্কুল-৪৯টি, উচ্চ বিদ্যালয়-২০১টি, স্কুল এন্ড
কলেজ-৮টি, কলেজ -৩৮টি ও ডিগ্রী কলেজ-২৩টি।
১৭. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-৩,৬৭৬টি।
১৮. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-৬টি, উপ-স্বাস্থ্য
কেন্দ্ৰ-০৭টি
১৯. নদনদীর নাম : রায়মঙ্গল, কালিন্দীপাঙ্গাশিয়াহাড়িয়াভাঙ্গা, মালঞ্চ, বেতনা
ইত্যাদি ।
২০. দর্শনীয় স্থান : সুন্দরবন, দক্ষিণ তালপটি ।
২১. জেলার ঐতিহ্য : লৌকিক আচার-আচরণ, বিশ্বাস আর পৌরানিকতায় সমৃদ্ধ
সাতক্ষীরা। নানা কিংবদন্তীর প্রবাহমান ধারায় সজীব এখানকার ঐতিহ্য।
বঙ্গোসাগরের আটল ছোয়া সুন্দরবন, আর সুন্দরবনকে বুকে নিয়ে সমৃদ্ধ
এখানকার প্রকৃতি, এমনি অর্থনীতিও । সুন্দরবনের চোখ জুড়ানো চিত্রা হরিণ,
ডোরাকাটা বাঘ, রাজা প্রতাপাদিত্যের জাহাজঘাটা, বিভিন্ন মোগলীয় কীর্তি,
অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পুরাকালের কাহিনীজারি সারি, পালাগান,
পালকি গান ইত্যাদি এ জেলার ঐতিহ্য বহন করে আছে।
No comments:
Post a Comment