১. সৃষ্টির প্রেক্ষাপট । অতীতে এলাকাটি ছিল দ্বীপতুল্য-ভূভাগ। বিচ্ছিন্নভাবে
বসবাসরত জনগণের উপর মগরা প্রায়শই হামলা চালাতো। ১৮৪৫ সালে।
মহকুমা স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল এলাকার অপরাধ দমন করা। মগরা শব্দ থেকে
মাগুরা এসেছে। প্রায় ১৪০ বছর মাগুরা যশোর জেলার মহকুমা হিসেবে বজায়।
থাকে। ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ মাগুরা মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়।
২. নামকরণ : মাগুরা নামকরণের ক্ষেত্রে নদী বেশি প্রধান্য পেয়েছে। মাগুরার বুক
চিরে এককালে প্রবল প্রতাপে প্রবাহিত ছিল নবগঙ্গা। এর রূপ এত ভয়ংকর ছিল
যে, লোকে গঙ্গা নদীর সাথে তুলনা করে বনগঙ্গা নাম রেঘেছিল। বড়দিনের
পরে নবগঙ্গার রূপ ও বিশালতা আরো ভয়ংকর ছিল । সামান্য বাতাস হলেই
বড়দিয়ার পর থেকে নদীতে ভীষণ ঢেউ হতো। তাই এখানকার নাম দেয়।
কালীগঙ্গা। কালীগঙ্গা নদীতে মগদের আস্তানা ছিল । মগরা এলাকায় এসেও
আখড়া গেড়েছিল। ধর্মদাস নামে জনৈক মগ আরাকান থেকে আজকের মাগুরা
শহর থেকে উত্তর পূর্ব কোণের সোজাসুজি গড়াই নদীর তীরে খুলুমবাড়ী মৌজা
প্রভতি দখল করে । লোকে তাকে মগ জায়গীর বলে আখ্যায়িত করেছিল ।
আওরঙ্গজেবের আমলে ধর্মদাস দূত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। পরে তার নাম
হয় নিজাম শাহ। মগরা এই অঞ্চলে এত অত্যাচার শুরু করেছিল। যে তাদের
ভয়ে লোকজন সব সময় আতংকগ্রস্থ থাকতো। মগরা দলবদ্ধ হয়ে ছিল নৌকায়
করে এসে নবগঙ্গার স্নানরত সুন্দরী গৃহবধূদের ধরে নিয়ে যেতো। তাদের উপর
চালাতো পাশবিক অত্যাচার। নিরীহ জনসাধারণ মগদের অত্যাচারে মাগুরা
অঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে এক সময় এ অঞ্চল জনশূন্য হয়ে পড়ে। তখন।
মগরা ছাড়া কেউ এখানে আসতো না। পরে তারা স্থায়ী আখড়া গেড়েছিল ।
অনেকের মতে, মগরা থেকে মাগুরা নামের উৎপত্তি হয়েছে।
৩. আয়তন : (প্রায়) ১০৪৯ বর্গ কি. মি.।
৪. লোকসংখ্যা : মোট- (প্রায়) ৯,১৮,৪১৯ জন। পুরুষ-৪,৫৪,৭৩৮ ও মহিলা
৪,৬৩,৬৮০। বৃদ্ধির হার : ১.০৭% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ৮৮৪ জন।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৪টি। মাগুরা সদর, মোহাম্মদপুর, শালিখা ও
শ্রীপুর।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ৪টি। মাগুরাশালিখা, মোহাম্মদপুর ও শ্রীপুর।
৭. সংসদীয় আসন। : ০২টি। (১) নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ ব্যতীত মাগুরা সদর ।
উপজেলাশক্রজিৎপুরগোপাল গ্রাম, কুচিয়ামোড় ও বেরইলপলিতা এবং শ্রীপুর
উপজেলা। (২) মোহাম্মদপুর ও শালিখা উপজেলা এবং নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ
: শক্রজিৎপুর, গোপাল গ্রাম, কুচিয়ামোড় ও বেরইলপলিতা।
৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : কবি ফররুখ আহমদ, ডা: লুৎফর রহমান, সাংবাদিক সৈয়দ
সিরাজউদ্দিন হোসেন, সৈয়দ আলী আহসান, কবি কাদের নেওয়াজ, সৈয়দা।
সুফিয়া খাতুন, শেখ হাবিবুর রহমান সাহিত্য রত্ন, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
প্রমুখ ।
৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২০১ কি. মি.।
১০ . যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস : ঢাকা-গাবতলীমাগুরা বাস স্টেশন, কেন্দ্রীয় বাস
স্টেশন মাগুরা । এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৬১১ ও পোস্ট কোড- ৭৬০০।
১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক খেদমত, সাপ্তাহিক গ্রামীণ বাংলামোহাম্মদপুর বার্তা
মাগুরা বৃত্তান্ত ও গণ সংবাদ।
১২. পৌরসভা০১টি ও ইউনিয়ন-৩৬টি।
১৩. উপজেলা ভূমি অফিস-০৪টি ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস-৩০টি ।
১৪. মৌজার সংখ্যা-৫৩৭টি ও গ্রামের সংখ্যা-৭৩০টি।
১৫. মোট জমি- ১০,৩৪,৪২৮ একর।
১৬. আদর্শ গ্রাম-০৩টি । শিক্ষার হার-৪৪.৭%
১৭. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, আখ, তামাক, পাট, গম, , সরিষা ও ডাল ।
১৮. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : মাধ্যমিক বিদ্যালয়-১৪৯টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৩০টি,
কলেজ-২৬টি, কারিগরী কলেজ-১৫টি ও মাদ্রাসা-৭২টি।
১৯. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-১,৭০৮টি ।
২০. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৪টি, উপ-স্বাস্থ্য
কেন্দ্র-১৪টি ও ক্লিনিক- ৮ টি।
২১. নদনদীর নাম : নবগঙ্গাকুমার, গড়াই, মধুমতীচিত্রা ও ফটকী।
২২. দর্শনীয় স্থান : রাজা সীতারাম রায়ের রাজধানীর ধবংসাবশেষ, সুলতানী আমলে
প্রতিষ্ঠিত মাগুরা আঠারখাদা মঠবাড়ি সিদ্ধেশ্বরী মঠ, ভাতের ভিটা পুরাকীতি,
শ্রীপুর জমিদার বাড়ী, হযরত পীর মোকাররম আলী শাহ (র:) এর দরগাহ,
শক্ৰজিৎপুর মদনমোহন মন্দির, নেংটা বাবার আশ্রম ও মন্দির।
২৩. জেলার ঐতিহ্য : শারদীয়া পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার অল্প কিছুদিনের
কাত্যায়ণী । এটা মাসে । সব ধরনের
পূজা অনুষ্ঠিত হয়নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়
স্বতফুর্ত অংশগ্রহণে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষ এই পূজা
উপভোগ করে যা জেলার অন্যতম ঐতিহ্য।
বসবাসরত জনগণের উপর মগরা প্রায়শই হামলা চালাতো। ১৮৪৫ সালে।
মহকুমা স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল এলাকার অপরাধ দমন করা। মগরা শব্দ থেকে
মাগুরা এসেছে। প্রায় ১৪০ বছর মাগুরা যশোর জেলার মহকুমা হিসেবে বজায়।
থাকে। ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ মাগুরা মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়।
২. নামকরণ : মাগুরা নামকরণের ক্ষেত্রে নদী বেশি প্রধান্য পেয়েছে। মাগুরার বুক
চিরে এককালে প্রবল প্রতাপে প্রবাহিত ছিল নবগঙ্গা। এর রূপ এত ভয়ংকর ছিল
যে, লোকে গঙ্গা নদীর সাথে তুলনা করে বনগঙ্গা নাম রেঘেছিল। বড়দিনের
পরে নবগঙ্গার রূপ ও বিশালতা আরো ভয়ংকর ছিল । সামান্য বাতাস হলেই
বড়দিয়ার পর থেকে নদীতে ভীষণ ঢেউ হতো। তাই এখানকার নাম দেয়।
কালীগঙ্গা। কালীগঙ্গা নদীতে মগদের আস্তানা ছিল । মগরা এলাকায় এসেও
আখড়া গেড়েছিল। ধর্মদাস নামে জনৈক মগ আরাকান থেকে আজকের মাগুরা
শহর থেকে উত্তর পূর্ব কোণের সোজাসুজি গড়াই নদীর তীরে খুলুমবাড়ী মৌজা
প্রভতি দখল করে । লোকে তাকে মগ জায়গীর বলে আখ্যায়িত করেছিল ।
আওরঙ্গজেবের আমলে ধর্মদাস দূত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। পরে তার নাম
হয় নিজাম শাহ। মগরা এই অঞ্চলে এত অত্যাচার শুরু করেছিল। যে তাদের
ভয়ে লোকজন সব সময় আতংকগ্রস্থ থাকতো। মগরা দলবদ্ধ হয়ে ছিল নৌকায়
করে এসে নবগঙ্গার স্নানরত সুন্দরী গৃহবধূদের ধরে নিয়ে যেতো। তাদের উপর
চালাতো পাশবিক অত্যাচার। নিরীহ জনসাধারণ মগদের অত্যাচারে মাগুরা
অঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে এক সময় এ অঞ্চল জনশূন্য হয়ে পড়ে। তখন।
মগরা ছাড়া কেউ এখানে আসতো না। পরে তারা স্থায়ী আখড়া গেড়েছিল ।
অনেকের মতে, মগরা থেকে মাগুরা নামের উৎপত্তি হয়েছে।
৩. আয়তন : (প্রায়) ১০৪৯ বর্গ কি. মি.।
৪. লোকসংখ্যা : মোট- (প্রায়) ৯,১৮,৪১৯ জন। পুরুষ-৪,৫৪,৭৩৮ ও মহিলা
৪,৬৩,৬৮০। বৃদ্ধির হার : ১.০৭% ও ঘনত্ব (বৰ্গ কি. মি.) : ৮৮৪ জন।
৫. উপজেলার সংখ্যা ও নাম : ০৪টি। মাগুরা সদর, মোহাম্মদপুর, শালিখা ও
শ্রীপুর।
৬. থানার সংখ্যা ও নাম : ৪টি। মাগুরাশালিখা, মোহাম্মদপুর ও শ্রীপুর।
৭. সংসদীয় আসন। : ০২টি। (১) নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ ব্যতীত মাগুরা সদর ।
উপজেলাশক্রজিৎপুরগোপাল গ্রাম, কুচিয়ামোড় ও বেরইলপলিতা এবং শ্রীপুর
উপজেলা। (২) মোহাম্মদপুর ও শালিখা উপজেলা এবং নিম্নবর্ণিত ইউনিয়নসমূহ
: শক্রজিৎপুর, গোপাল গ্রাম, কুচিয়ামোড় ও বেরইলপলিতা।
৮. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ : কবি ফররুখ আহমদ, ডা: লুৎফর রহমান, সাংবাদিক সৈয়দ
সিরাজউদ্দিন হোসেন, সৈয়দ আলী আহসান, কবি কাদের নেওয়াজ, সৈয়দা।
সুফিয়া খাতুন, শেখ হাবিবুর রহমান সাহিত্য রত্ন, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
প্রমুখ ।
৯. ঢাকা থেকে দূরত্ব : সড়ক পথে-২০১ কি. মি.।
১০ . যোগাযোগ ব্যবস্থা : বাস : ঢাকা-গাবতলীমাগুরা বাস স্টেশন, কেন্দ্রীয় বাস
স্টেশন মাগুরা । এনডব্লিউডি কোড নম্বর : ০৬১১ ও পোস্ট কোড- ৭৬০০।
১১. পত্রপত্রিকা : দৈনিক খেদমত, সাপ্তাহিক গ্রামীণ বাংলামোহাম্মদপুর বার্তা
মাগুরা বৃত্তান্ত ও গণ সংবাদ।
১২. পৌরসভা০১টি ও ইউনিয়ন-৩৬টি।
১৩. উপজেলা ভূমি অফিস-০৪টি ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস-৩০টি ।
১৪. মৌজার সংখ্যা-৫৩৭টি ও গ্রামের সংখ্যা-৭৩০টি।
১৫. মোট জমি- ১০,৩৪,৪২৮ একর।
১৬. আদর্শ গ্রাম-০৩টি । শিক্ষার হার-৪৪.৭%
১৭. উল্লেখযোগ্য ফসল : ধান, আখ, তামাক, পাট, গম, , সরিষা ও ডাল ।
১৮. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : মাধ্যমিক বিদ্যালয়-১৪৯টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৩০টি,
কলেজ-২৬টি, কারিগরী কলেজ-১৫টি ও মাদ্রাসা-৭২টি।
১৯. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান : মসজিদ-১,৭০৮টি ।
২০. চিকিৎসা কেন্দ্র : হাসপাতাল-০১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-০৪টি, উপ-স্বাস্থ্য
কেন্দ্র-১৪টি ও ক্লিনিক- ৮ টি।
২১. নদনদীর নাম : নবগঙ্গাকুমার, গড়াই, মধুমতীচিত্রা ও ফটকী।
২২. দর্শনীয় স্থান : রাজা সীতারাম রায়ের রাজধানীর ধবংসাবশেষ, সুলতানী আমলে
প্রতিষ্ঠিত মাগুরা আঠারখাদা মঠবাড়ি সিদ্ধেশ্বরী মঠ, ভাতের ভিটা পুরাকীতি,
শ্রীপুর জমিদার বাড়ী, হযরত পীর মোকাররম আলী শাহ (র:) এর দরগাহ,
শক্ৰজিৎপুর মদনমোহন মন্দির, নেংটা বাবার আশ্রম ও মন্দির।
২৩. জেলার ঐতিহ্য : শারদীয়া পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার অল্প কিছুদিনের
কাত্যায়ণী । এটা মাসে । সব ধরনের
পূজা অনুষ্ঠিত হয়নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়
স্বতফুর্ত অংশগ্রহণে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষ এই পূজা
উপভোগ করে যা জেলার অন্যতম ঐতিহ্য।
No comments:
Post a Comment