27 May, 2018

অসাধারণ ঔষধিগুণে পরিপূর্ণ ফল খেজুর


পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খেজুর অসাধারণ ঔষধিগুণে পরিপূর্ণ। সারা বছর খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপযোগী। এছাড়াও এই বিশেষ ফলটিতে রয়েছে মারণরোগকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা। গবেষণায় খেজুরের যেসব গুণাবলী আবিষ্কৃত হয়েছে সেগুলো নিুে দেওয়া হলো।

১) প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ২৭৭ কিলোক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। এতে শর্করা ৭৪.৯৭ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮১ গ্রাম, কোলেস্টেরল ০.০০ গ্রাম ও ৬.৭ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে, সোডিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফসফরাস, থায়ামিন, নিয়াসিন, রিবোফ্ল্যাভিন, বিটা-ক্যারোটিনসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে। তবে শুকনো খেজুরে ভিটামিন-সি নষ্ট হয়ে যায়। ২) খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ফাইবার। গবেষণায় দেখা গেছে খেজুরে ক্যানসার প্রতিরোধ করার উপাদান রয়েছে। অন্ত্রের ক্যানসার নিরাময়ে এটি খুবই উপকারী। নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যানসারের সম্ভবনাও অনেকটাই কমে যায়।

৩) মহিলাদের প্রসব যন্ত্রণা কমাতেও খেজুর বেশ সাহায্য করে। এটি জরায়ুর মাংসপেশি দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে তাড়াতাড়ি প্রসব হতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ফল প্রসব পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।

৪) খেজুর হৃদয়ের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ও রক্ত পরিশোধন করে। এটি হৃদপি-রে সংকোচন প্রসারণ সঠিক রাখে। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য খেজুর অত্যন্ত উপকারী।

৫) খেজুরে পচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বর্তমান। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর।

৬) দীর্ঘ সময় পেট খালি থাকলে শরীরে প্রচুর গ্ল“কোজের প্রয়োজন হয়। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে গ্ল“কোজ থাকায় এই ঘাটতি পূরণ হয়। এছাড়াও খেজুর শরীরে রক্ত উৎপাদন করতে সাহায্য করে।

৭) ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সাহায্য করে খেজুর । এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এর ফলে খেজুর হাড় মজবুত করে ও হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে মুক্ত রাখে।এছাড়াও খেজুর হজমবর্ধক, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তি বাড়ায়, যৌনশক্তি বাড়ায়, মুখে রুচি আনে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। খেজুরের বীজ রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও খেজুর ফুলের পরাগরেণু পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করে শুক্রাণু বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

No comments:

Post a Comment

ইসমাইল হোসেন