30 March, 2018

বাক্য সংকচোন বা এক কথায় প্রকাশ


১/ অকালে পেকেছে যে- অকালপক্ক্ব ।
২/ অক্ষির সম্মুখে বর্তমান- প্রত্যক্ষ ।
৩/ অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার- অনভিজ্ঞ ।
৪/ অহংকার নেই যার- নিরহংকার ।
৫/অশ্বের ডাক- হ্রেষা ।
৬/অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি- দক্ষ ।
৭/অনুসন্ধান করবার ইচ্ছা- অনুসন্ধিৎসা ।
৮/ অনুসন্ধান করতে ইচ্ছুক যে- অনুসন্ধিৎসু ।
৯/ অপকার করবার ইচ্ছা- অপচিকীর্ষা ।
১০/ অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে কাজ করে যে- অবিমৃষ্যকারী ।
১১/অতি শীতও নয়, অতি উষ্ণও নয়- নাতিশীতোষ্ণ ।
১২/অবশ্য হবে/ঘটবে যা- অবশ্যম্ভাবী ।
১৩/অতি দীর্ঘ নয় যা- নাতিদীর্ঘ ।
১৪/ অতিক্রম করা যায় না যা- অনতিক্রমনীয়/অনতিক্রম্য ।
১৫/ যা সহজে অতিক্রম করা যায় না- দুরতিক্রমনীয়/দুরতিক্রম্য ।
১৬/অগ্রে জন্মেছে যে- অগ্রজ।
১৭/অনুতে/পশ্চাতে/পরে জন্মেছে যে- অনুজ ।
১৮/অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম ।
১৯/ অন্য উপায় নেই যার- অনন্যোপায় ।
২০/ অনেকের মাঝে একজন- অন্যতম ।
২১/ অন্য গাছের ওপর জন্মে যে গাছ- পরগাছা ।
২২/আচারে নিষ্ঠা আছে যার- আচারনিষ্ঠ ।
২৩/ আপনাকে কেন্দ্র করে চিন্তা যার- আত্মকেন্দ্রীক ।
২৪/ আকাশে চরে যে- খেচর ।
২৫/আকাশে গমন করে যে- বিহগ, বিহঙ্গ ।
২৬/ আপনার রং লুকায় যে/যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না- বর্ণচোরা।
২৭/ আয় অনুসারে ব্যয় করে যে- মিতব্যয়ী ।
২৮/ আপনাকে পণ্ডিত মনে করে যে- পণ্ডিতম্মন্য ।
২৯/আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত- আদ্যন্ত ।
ইতিহাস রচনা করেন যিনি- ঐতিহাসিক ।
৩১/ ইতিহাস বিষয়ে অভিঞ্জ যিনি- ইতিহাসবেত্তা।
৩২/ ইন্দ্রকে জয় করেছে যে- ইন্দ্রজিৎ ।
৩৩/ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে- জিতেন্দ্রিয়ি।
৩৪/ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার- আস্তিক ।
৩৫/ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার- নাস্তিক ।
৩৬/ঈষৎ আমিষ/আঁষ গন্ধ যার- আঁষটে ।
৩৭/ উপকার করবার ইচ্ছা- উপচিকীর্ষা।
৩৮/উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে- কৃতজ্ঞ।
৩৯/উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে- অকৃতজ্ঞ।
৪০/উপকারীর অপকার করে যে- কৃতঘ্ন।
৪১/একই সময়ে বর্তমান- সমসাময়িক।
৪২/একই মায়ের সন্তান- সহোদর ।
৪৩/এক থেকে আরম্ভ করে- একাদিক্রমে।
৪৪/ একই গুরুর শিষ্য- সতীর্থ।
৪৫/ কথায় বর্ণনা যায় না যা- অনির্বচনীয় ।
৪৬/কোনভাবেই নিবারণ করা যায় না যা- অনিবার্য।
৪৭/সহজে নিবারণ করা যায় না যা/কষ্টে নিবারণ করা যায় যা- দুর্নিবার ।
৪৮/ সহজে লাভ করা যায় না যা/কষ্টে লাভ করা যায় যা- দুর্লভ।
৪৯/কোন কিছুতেই ভয় নেই যার- নির্ভীক, অকুতোভয় ।
৫০/ক্ষমার যোগ্য- ক্ষমার্হ ।
৫১/ কেউ জানতে না পারে এমনভাবে- অজ্ঞাতসারে
৫২/ গোপন করার ইচ্ছা- জুগুপ্সা ।
৫৩/ চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত- চাক্ষুষ ।
৫৪/চৈত্র মাসের ফসল- চৈতালি ।
৫৫/জীবিত থেকেও যে মৃত- জীবন্মৃত ।
৫৬/জানার ইচ্ছা- জিজ্ঞাসা ।
৫৭/জানতে ইচ্ছুক- জিজ্ঞাসু ।
৫৮/ জ্বল জ্বল করছে যা- জাজ্বল্যমান ।
৫৯/ জয় করার ইচ্ছা- জিগীষা ।
৬০/ জয় করতে ইচ্ছুক- জিগীষু ।
৬১/জানু পর্যন্ত লম্বিত- আজানুলম্বিত।
৬২/ তল স্পর্শ করা যায় না যার- অতলস্পর্শী ।
৬৩/ তীর ছোঁড়ে যে- তীরন্দাজ।
৬৪/ দিনে যে একবার আহার করে- একাহারী ।
৬৫/ দীপ্তি পাচ্ছে যা- দীপ্যমান ।
৬৬/ নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার- নশ্বর ।
৬৭/নদী মেখলা যে দেশের- নদীমেখলা ।
৬৮/ নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে- নাবিক ।
৬৯/নিজেকে যে বড়ো মনে করে- হামবড়া ।
৭০/ নূপুরের ধ্বনি- নিক্কণ ।
৭১/ পা থেকে মাথা পর্যন্ত- আপাদমস্তক ।
৭২/ প্রিয় বাক্য বলে যে নারী- প্রিয়ংবদা।
৭৩/ পূর্বজন্ম স্মরণ করে যে- জাতিস্মর ।
৭৪/ পান করার যোগ্য- পেয় ।
৭৫/ পান করার ইচ্ছা- পিপাসা ।
৭৬/ ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়- ওষধি ।
৭৭/ বিদেশে থাকে যে- প্রবাসী ।
৭৮/ বিশ্বজনের হিতকর- বিশ্বজনীন ।
৭৯/ব্যাকরণ জানেন যিনি- বৈয়াকরণ ।
৮০/ বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে গবেষণায় রত যিনি- বৈজ্ঞানিক ।
৮১/ বেদ-বেদান্ত জানেন যিনি- বৈদান্তিক ।
৮২/ বয়সে সবচেয়ে বড়ো যে- জ্যেষ্ঠ ।
৮৩/ বয়সে সবচেয়ে ছোটো যে- কনিষ্ঠ ।
৮৪/ ভোজন করার ইচ্ছা- ‍বুভুক্ষা ।
৮৫/ মৃতের মত অবস্থা যার- মুমূর্ষু ।
৮৬/ মুষ্টি দিয়ে যা পরিমাপ করা যায়- মুষ্টিমেয় ।
৮৭/ মৃত্তিকা দ্বারা নির্মিত- মৃন্ময় ।
৮৮/ মর্মকে পীড়া দেয় যা- মর্মন্তুদ ।
৮৯/ মাটি ভেদ করে ওঠে যা- উদ্ভিদ ।
৯০/ মৃত গবাদি পশু ফেলা হয় যেখানে- ভাগাড় ।
৯১/ মন হরণ করে যা- মনোহর ।
৯২/ মন হরণ করে যে নারী- মনোহারিণী ।
৯৩/ যা দমন করা যায় না- অদম্য ।
৯৪/ যা দমন করা কষ্টকর- দুর্দমনীয় ।
৯৫/ যা নিবারণ করা কষ্টকর- দুর্নিবার।
৯৬/ যা পূর্বে ছিল এখন নেই- ভূতপূর্ব।
৯৭/ যা বালকের মধ্যেই সুলভ- বালকসুলভ ।
৯৮/ যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে- অযত্নলব্ধ ।
৯৯/ যা ঘুমিয়ে আছে- সুপ্ত ।
১০০/ যা বার বার দুলছে- দোদুল্যমান।
১০২/ যা দীপ্তি পাচ্ছে- দেদীপ্যমান ।
১০৩/ যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না- অনন্যসাধারণ ।
১০৪/ যা পূর্বে দেখা যায় নি- অদৃষ্টপূর্ব ।
১০৫/ যা কষ্টে জয় করা যায়- দুর্জয় ।
১০৬/ যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ ।
১০৭/ যা অধ্যয়ন করা হয়েছে- অধীত ।
১০৮/ যা অনেক কষ্টে অধ্যয়ন করা যায়- দুরধ্যয় ।
১০৯/ যা জলে চরে- জলচর ।
১১০/ যা স্থলে চরে- স্থলচর ।
১১১/ যা জলে ও স্থলে চরে- উভচর ।
১১২/ যা বলা হয় নি- অনুক্ত ।
১১৩/ যা কখনো নষ্ট হয় না- অবিনশ্বর ।
১১৪/ যা মর্ম স্পর্শ করে- মর্মস্পর্শী ।
১১৫/ যা বলার যোগ্য নয়- অকথ্য ।
১১৬/ যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না- অজ্ঞাতকুলশীল ।
১১৭/ যা চিন্তা করা যায় না- অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য ।
১১৮/ যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু- বন্ধুর।
১১৯/ যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয়- ব্যয়বহুল ।
১২০/ যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয়- নাতিশীতোষ্ণ ।
১২১/ যার বিশেষ খ্যাতি আছে- বিখ্যাত।
১২২/ যা আঘাত পায় নি- অনাহত ।
১২৩/ যা উদিত হচ্ছে- উদীয়মান।
১২৪/ যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে- বর্ধিষ্ণু ।
১২৫/ যা পূর্বে শোনা যায় নি- অশ্রুতপূর্ব।
১২৬/ যা সহজে ভাঙ্গে- ভঙ্গুর ।
১২৭/ যা সহজে জীর্ণ হয়- সুপাচ্য ।
১২৮/ যা খাওয়ার যোগ্য- খাদ্য ।
১২৯/ যা চিবিয়ে/চর্বণ করে খেতে হয়- চর্ব্য ।
১৩০/ যা চুষে খেতে হয়- চোষ্য ।
১৩১/ যা লেহন করে খেতে হয়/লেহন করার যোগ্য- লেহ্য ।
১৩২/ যা পান করতে হয়/পান করার যোগ্য- পেয় ।
১৩৩/ যা পানের অযোগ্য- অপেয় ।
১৩৪/ যা বপন করা হয়েছে- উপ্ত ।
১৩৫/ যা বলা হয়েছে- উক্ত ।
১৩৬/ যার অন্য উপায় নেই- অনন্যোপায় ।
১৩৭/ যার কোন উপায় নেই- নিরুপায়।
১৩৮/ যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে- প্রত্যুৎপন্নমতি ।
১৩৯/ যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে- সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব ।
১৪০/ যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই- অকুতোভয়।
১৪১/ যার আকার কুৎসিত- কদাকার ।
১৪২/ যার কোন শত্রু নেই/জন্মেনি- অজাতশত্রু ।
১৪৩/ যার দাড়ি/শ্মশ্রু জন্মে নি- অজাতশ্মশ্রু ।
১৪৪/ যার কিছু নেই- অকিঞ্চন ।
১৪৫/ যে কোন বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে- বীতস্পৃহ ।
১৪৬/ যে শুনেই মনে রাখতে পারে- শ্রুতিধর ।
১৪৭/ যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে- উদ্বাস্তু ।
১৪৮/ যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়- স্বয়ংবরা ।
১৪৯/ যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না- বনস্পতি ।
১৫০/ যে রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে মরে- হাতুড়ে ।
১৫১/ যে নারীর সন্তান বাঁচে না/যে নারী মৃত সন্তান প্রসব করে- মৃতবৎসা ।
১৫২/ যে গাছ অন্য কোন কাজে লাগে না- আগাছা।
১৫৩/ যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে- পরগাছা ।
১৫৪/ যে পুরুষ বিয়ে করেছে- কৃতদার ।
১৫৫/ যে মেয়ের বিয়ে হয়নি- অনূঢ়া ।
১৫৬/ যে ক্রমাগত রোদন করছে- রোরুদ্যমান (স্ত্রীলিঙ্গ- রোরুদ্যমানা) ।
১৫৭/ যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না- অপরিণামদর্শী ।
১৫৮/ যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে/অগ্র পশ্চাত বিবেচনা না করে কাজ করে যে- অবিমৃশ্যকারী ।
১৫৯/ যে বিষয়ে কোন বিতর্ক/বিসংবাদ নেই- অবিসংবাদী ।
১৬০/ যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ- শ্বাপদসংকুল ।
১৬১/ যিনি বক্তৃতা দানে পটু- বাগ্মী ।
১৬২/ যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায়- সর্বংসহা ।
১৬৩/ যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে- বীরপ্রসূ ।
১৬৪/ যে নারীর কোন সন্তান হয় না- বন্ধ্যা ।
১৬৫/ যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে- কাকবন্ধ্যা ।
১৬৬/ যে নারীর স্বামী প্রবাসে আছে- প্রোষিতভর্তৃকা ।
১৬৭/ যে স্বামীর স্ত্রী প্রবাসে আছে- প্রোষিতপত্নীক ।
১৬৮/ যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর- সুদর্শন (স্ত্রীলিঙ্গ- সুদর্শনা) ।
১৬৯/ যে রব শুনে এসেছে- রবাহুত ।
১৭০/ যে লাফিয়ে চলে- প্লবগ ।
১৭১/ যে নারী কখনো সূর্য দেখেনি- অসূর্যম্পশ্যা ।
১৭২/ যে নারীর স্বামী মারা গেছে- বিধবা ।
১৭৩/ যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে- নবোঢ়া ।
১৭৪/ লাভ করার ইচ্ছা- লিপ্সা ।
১৭৫/ শুভ ক্ষণে জন্ম যার- ক্ষণজন্মা ।
১৭৬/ শত্রুকে/অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম ।
১৭৭/ শত্রুকে বধ করে যে- শত্রুঘ্ন ।
১৭৮/ সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা- প্রত্যুদ্গমন ।
১৭৯/ সকলের জন্য প্রযোজ্য- সর্বজনীন ।
১৮০/ সকলের জন্য হিতকর- সার্বজনীন।
১৮১/ স্ত্রীর বশীভূত হয় যে- স্ত্রৈণ ।
১৮২/ সেবা করার ইচ্ছা- শুশ্রুষা।
১৮৩/ হনন/হত্যা করার ইচ্ছা- জিঘাংসা।
১৮৪/ হরিণের চামড়া- অজিন।
১৮৫/ হাতির ডাক- বৃংহতি।

No comments:

Post a Comment

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে শিবগঞ্জ উপজেলাবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

 বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহিম ঈদ বয়ে আনুক সবার জীনবে সুখ শান্তি ও কল্যাণের বার্তা ঈদের দিনের মতো সুন্দর হোক প্রতিটি দিন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক...